নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরকার উৎখাতে তারেক জিয়ার আন্দোলন পরিকল্পনা!

২১ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:০৬

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান আপাতত নেতৃত্বে আসতে চান না। তিনি তার মায়ের পেছনে থেকেই কাজ করতে চান। মায়ের নেতৃত্বেই ক্ষমতাসীন সরকার পতনের আন্দোলন সফল করতে চান। তার মাকে সাফল্যের পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য আন্দোলনের সব পরিকল্পনা করলেও তা প্রকাশ করতে চাইছেন না। উল্টো মনে করছেন এখনও সময় হয়নি তার সামনে আসার। মাকেই সামনে রাখতে চান। আগামী দিনে সরকার পতনের আন্দোলন ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করানোর জন্য আন্দোলনের রূপরেখা প্রণয়ন করেছেন তারেক রহমান। তা করলেও এটা প্রকাশিত হোক তা চাননি। সেটা না চাইলেও গোপন থাকেনি। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়ে যায়। তারেক রহমান আগামী দিনের বার্তা দিয়ে, নেতাদের কি করতে হবে এ নিয়ে ঈদ উপলক্ষে সব নেতা-কর্মীদের কার্ড পাঠান। ওই বার্তা পাঠানোর পর অনেকেই মনে করতে থাকেন তারেক রহমান খুব সহসাই আন্দোলনের নেতৃত্বে আসছেন।



সূত্র জানায়, গত বছর ২৯ ডিসেম্বর মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচি যাতে সফল করতে না পারে এই জন্য সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখে। তিনি বাইরে বের হতে পারেননি। তখন তার অনপুস্থিতিতে দলের কোনো নেতা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে পারেননি। মাঠেও নামেননি। খালেদা জিয়া এবারও আন্দোলন শুরু করলে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখতে পারে সরকার এই আশঙ্কায় আন্দোলনের জন্য নেতৃত্বে দিতে আরো একজন নেতা প্রয়োজন। এছাড়াও বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা বেশি ভালো নয়। দেশের বিভিন্ন জেলায় সফর করে কর্মসূচি সফল করাও কঠিন। খালেদার বিকল্প হিসাবে এখন কোনো নেতা নেই যে আন্দোলন কর্মসূচি সফল করতে পারবেন। যে নেতাকে দেখেও তার কথায় মাঠের নেতারা উৎসাহিতবোধ করবেন। আন্দোলন চাঙ্গা করবেন। এই অবস্থা বিবেচনা করেই বিএনপির অনেকেই মনে করছেন তারেকই হবেন আগামী দিনের নেতা। বেগম খালেদা জিয়ার দিক নির্দেশনা নিয়ে তারেক রহমান ওই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিবেন। তিনি না আসলে সরকার পতনের আন্দোলন সফল হবে না। ওই নেতৃত্বে আসার জন্য এটা ছিল তারেক রহমানের প্রিওয়ার্ক। এই ঘটনার পর পরই তিনি তার নেতৃত্বে আসার বিষয়টি অস্বীকার করেন। লন্ডনে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, তারেক রহমানের পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে যে বিএনপি এগুবে এটা অনেকেরই বানানো কথা।



তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, তারেক রহমান লন্ডনে বসে নেই এটা সত্য। দলকে এগিয়ে নিতে, পুনর্গঠিত করতে ও দলের জন্য ভালো হবে এমন সব পরিকল্পনা করার জন্য সবই করছেন তারেক রহমান। বিএনপি দেশে আন্দোলন শুরু করলে কেমন করে তা সফল হবে এটা ছাড়াও আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন আদায়ের জন্য অনেক চেষ্টা করছেন। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বিরোধিতা করা দেশ ইংল্যন্ড, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন পর্যন্ত আগাম নির্বাচন ও সংলাপের জন্য কথা বলে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে তারেক রহমান সেখানে বসে যোগাযোগ রাখছেন। বেশ কয়েকজন ব্রিটিশ মন্ত্রীর সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে। এই কারণে সরকার তার ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে চাইলেও কোনো কিছুই পারেনি। তাকে দেশে ফেরত এনে কারাগারে নেওয়ার চেষ্টা করলেও সরকার সফল হয়নি। বরং ইংল্যান্ড তাকে ফেরত দেওয়াতো দূরের কথা, তাকে রক্ষা করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। বর্তমান সরকার ইংল্যান্ডের সঙ্গে এই বার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর তেমন সুবিধা করতে পারছে না।



এদিকে অবস্থা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডন যাচ্ছেন আজ। সেখানে তার সঙ্গে ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের বৈঠক হবে। দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করবেন। ইংল্যান্ডের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়ানোর উপর জোর দিবেন। এদিকে সূত্র জানায়, ক্যামেরন শেখ হাসিনাকে সংলাপ করার জন্য তাগিদ দিবেন। বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধান করার জন্যও উদ্যোগ নিতে বলবেন। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, ওই নির্বাচন জনগণ মেনে নেয়নি সেটাও স্মরণ করিয়ে দিবেন। ইতোমধ্যে তারেক রহমানের তরফ থেকে ইংল্যান্ড সরকারের কাছে বাংলাদেশের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন, এর পরবর্তী অবস্থা, মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়সহ বিভিন্ন বিষয়ে অবহিত করেছেন। সেই ব্যাপারেও সরকারের উপর চাপ আসতে পারে।



এদিকে সূত্র জানায়, তারেক রহমান লন্ডনে বসে আন্তর্জাতিক শক্তিসমূহের সঙ্গে তার প্রতিনিধিদের মাধ্যমেও যোগাযোগ করছেন। সামগ্রিক অবস্থা তুলে ধরছেন। সেই সঙ্গে সহযোগিতাও চাইছেন। তিনি এই সব কাজ করলেও নিজেকে সামনে নিয়ে আসতে চাইছেন না। মায়ের পেছনেই থাকতে চান। এই কারণে তারেক রহমানের পরিকল্পনা ও নির্দেশে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ঈদের পর সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু করবে এটা কেউ কেউ বললেও তিনি তাতে রাজি নন।



তারেক রহমান নিজে রাজনীতিতে সক্রিয় বলেই মনে করেন। তা হলেও মনে করেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে একানব্বই সালে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন সফল হয়েছে। ওই সময় সব দল একসঙ্গে একটি প্রতিবাদ মিছিল করার জন্য উদ্যোগ নেয়। চট্টগ্রামে শেখ হাসিনার জনসভায় এরশাদ সরকার গুলি করার কারণে প্রতিবাদ মিছিল আয়োজন করলেও ওই মিছিলে ভয়ে আসেননি হাসিনা। কিন্তু তিনি না আসলেও খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই আন্দোলন সফল হয়। এবারও খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই আন্দোলন হবে এবং তা সফল হবে।



তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ সূত্র আরো জানায়, তারেক রহমান আগামী দিনের আন্দোলন পরিকল্পনা, কর্মসূচি সব ঠিক করলেও সেটা তিনি তার মাকে পরামর্শ দিচ্ছেন বলেই মনে করছেন। তার পরামর্শ ছাড়াও বেগম খালেদা জিয়া, দলের সিনিয়র নেতা ও জোটের অন্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেই চূড়ান্ত করবেন আন্দোলনের পরিকল্পনা। সরকার তাকে দেশে ফেরামাত্র গ্রেপ্তার করবে এই কারণে তিনি আপাতত দেশে ফিরছেন না। শারীরিক অবস্থার আরো উন্নতি হলে দেশে ফিরবেন। প্রয়োজন হলে সামনেও চলে আসবেন। সময় ও সুযোগের জন্য অপেক্ষা করছেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.