নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিএনপি-জামাতের মিলনমেলা মদিনা !

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:০৭

সৌদি আরবে গিয়ে এক ঢিলে তিন পাখি মারছেন জিয়া পরিবারের সদস্যরা। ওমরা পালন করতে গিয়ে মা-ছেলের দেখা হয়েছে দীর্ঘ দিন পর। সম্ভাব্য আন্দোলনের কৌশল ও দলীয় নীতি-নির্ধারণে আলাপ-আলোচনা সেরে নিয়েছেন। এই ফাঁকে খানিকটা রাজনীতিও করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় মদিনায় জমে উঠেছে তারেক কেন্দ্রিক ইফতার পলিটিক্স। মসজিদে নববীতে গত রোববার একসঙ্গে ইফতার করেছেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ এবং সাঈদীর পুত্র মাসুদ। ২০ দলীয় জোটের প্রভাবশালী এই তিন নেতার একসঙ্গে বসে ইফতার করা নিয়ে শুধু সৌদিপ্রবাসী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদেরই নয়, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনেও চলছে নানা গুঞ্জন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, মদিনায় জমে উঠেছে জিয়া পরিবার ও বিএনপি-জামাতের মিলমেলা।



জানা যায়, মসজিদে নববীতে আন্দালিব রহমান পার্থ ও সাইদীপুত্র মাসুদ সবসময় তারেক রহমানের পাশে পাশেই ছিলেন। শুধু তাই নয়, পার্থ ও মাসুদ সার্বক্ষণিক তারেক রহমানকে সঙ্গ দিয়েছেন। ইফতারে সৌদি আরব পশ্চিমাঞ্চল বিএনপির সভাপতি আহমেদ আলী মুকিবসহ প্রবাসী বিএনপি নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।



২০০৭ সালের ১/১১-এর পর খালেদা-তারেকের আর দেখা হয়নি। এর আগে মালয়েশিয়ায় এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা থাকরেও পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে সেই পরিকল্পনা বাতিল করা হয়। পরবর্তীতে দলের চেয়ারপারসন, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও দলের নীতিনির্ধারণী ফোরামের নেতাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সৌদিতে এই মিলনমেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয় বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।



জামাত-বিএনপির রাজনৈতিক সম্পর্কের নানা টানাপড়েনের খবর রাজনৈতিক অঙ্গনে ফলাও করে প্রচার হয়ে আসছে অনেক দিন থেকেই। তবে জিয়া পরিবারের মিলনমেলায় সাইদীপুত্রের অংশগ্রহণে তাদের সম্পর্ক অটুট থাকছে বলে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল থেকে ধারণা করা হচ্ছে। প্রবাসী রাজনীতিকরা ধারণা করছেন, ঈদের পর বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচির কৌশল নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা করতেই মসজিদে নববীতে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছিল। আর আন্দোলন সফলের লক্ষ্যে বিএনপির পাশে ছায়ার মতোই থাকছে জামাত।



তবে প্রবাসীদের এই ধারণার কথা সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছেন জামাত নেতা মাসুদ সাঈদী। মোবাইল ফোনে মাসুদ সাঈদী গণমাধ্যমকে জানান, মদিনায় আমাদের একসঙ্গে ইফতার করা ছিল সম্পূর্ণ ‘ফ্রেন্ডলি’। তাছাড়া, মসজিদে নববীতে বসে রাজনৈতিক আলোচনার প্রশ্নই ওঠে না। শুধু তাই নয়, ঈদের পরে আন্দোলন নিয়ে সৌদিতে তারেক রহমানের সঙ্গে তাদের জোটগত আলোচনার কোনো পরিকল্পনাও নেই বলেও জানান তিনি।



বর্তমানে সৌদি আরবে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, আন্দালিব রহমান পার্থ, মাসুদ সাঈদীসহ ২০ দলীয় জোটের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা অবস্থান করছেন। অনেকেই ধারণা করছেন, বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট ঈদের পরে যে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে, তার পরিকল্পনা সৌদি আরবে বসেই করা হবে।জিয়া পরিবারের মিলনমেলায় সাইদীপুত্রের অংশগ্রহণ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, এটা পরিবারে নয়, ইফতারে অংশগ্রহণ। ইফতারে যে কেউই অংশগ্রহণ করতে পারে। এটাকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করে সমালোচনার কোনো সুযোগ নেই।



উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে সৌদি বাদশাহর আমন্ত্রণে ওমরাহ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরবে যান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। অপরদিকে লন্ডন থেকে সপরিবারে দুবাই আসেন দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেখান থেকে তার মায়ের সঙ্গে একই ফ্লাইটে মদিনায় আসেন তিনি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৩৯

বাংলার আকাশ বলেছেন: তো সমস্যা কোথায় ?

২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:১৯

নিজাম বলেছেন: তারেক রহমান কী হাঁটতে পারছেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.