নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিএনপি জামাত নজরদারিতে

০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:১৩

সরকার গভীরভাবে বিএনপি-জামায়াত জোটের কার্যক্রম ও গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে। আন্দোলনের নামে দেশে কোনো ধরনের নাশকতা বা নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে। বিএনপি-জামায়াতের মাঠ পর্যায়ের কর্মী, যারা আন্দোলনে দায়িত্বে থাকেন তাদের গতিবিধি নজরদারি করা হচ্ছে। সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে তথ্য আছে জামায়াত-শিবিরের আত্মগোপনে থাকা কর্মীরা নাশকতার মাধ্যমে ফের রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারেন। সে কারণে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের রাজনৈতিক কার্যালয়গুলোও কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে। সূত্রমতে, বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন তীব্র হলে তাদের বিরুদ্ধে সরকারের রাজনৈতিক কৌশল আরও জোরদার করা হবে। মামলার জালে আবদ্ধ করা হবে নেতা-কর্মীদের। পাশাপাশি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা তদন্তাধীন রয়েছে সেগুলোর দ্রুততম সময়ে চার্জশিট দেওয়া হবে। এ ছাড়া অপেক্ষমাণ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় দ্রুত কার্যকর করা হবে। বিএনপি ও জামায়াত-শিবির নেতাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে যেসব মামলা রয়েছে তার বিচার শুরু হবে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতার করা হবে। ইতিমধ্যে জামায়াতের সম্ভাব্য নৈরাজ্য ও নাশকতা ঠেকাতে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট এবং অফিস-আদালত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। মহাসড়ক ও রেলপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন রাজপথে প্রতিহত করতে ধারাবাহিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগসহ দলের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো। বিশেষ করে রাজধানীতে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবেন সরকারদলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা। ১৪ দলের শরিক নেতাদের সঙ্গে নিয়েও সারা দেশে সভা-সমাবেশের প্রস্তুতি রয়েছে আওয়ামী লীগের। সম্প্রতি ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের বৈঠকে এবং বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ঢাকা মহানগরী আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় দলীয় নেতাদের এমন ইঙ্গিত দেন আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও ঢাকা মহানগরী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম। দলের কয়েকজন সিনিয়র নেতা বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বিএনপি-জামায়াত কোনো ধরনের নাশকতা সৃষ্টি করলে তার দাঁতভাঙা জবাব দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আন্দোলনের নামে নাশকতা সৃষ্টি করলে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন তারা। এ ব্যাপারে মোহাম্মদ নাসিম গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সরকারবিরোধী আন্দোলন রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলায় ধারাবাহিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবে ১৪ দল। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত সরকারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালালে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতা বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশে বড় ধরনের নাশকতা সৃষ্টি করতে পারে এমন আশঙ্কায় সরকার সতর্ক রয়েছে। সরকার পতনের আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা নাশকতা সৃষ্টি করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। ১৪ দলের শরিক নেতা, জাসদ সাধারণ সম্পাদক শরীফ নূরুল আম্বিয়া বলেন, বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে তার দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। তিনি বলেন, চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করা না হলে ষড়যন্ত্র থামবে না।সরকারকে কঠোর হাতে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য দমন করতে হবে। - See more at: Click This Link

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৪৮

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: জামায়াত অবশ্য নজরদারিতে রাখার মতই দল - তারা কখন কি করতে সক্ষম বোঝা কঠিন।

কিন্তু বাকসর্বস্ব বিএনপিকে নজরদারিতে রেখে সরকার কেন মূল্যবান সময় ও অর্থ নষ্ট করছে বোধগম্য নয়। পালের কয়েকটা গোদাকে খোয়াড়ে রেখে উত্তম মধ্যম দিলেই আর কেউ রাস্তায় নামার সাহস করবেনা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.