নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেগম জিয়ার চিত্তশূন্য

২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৫৬

একুশে আগস্ট শোকবাহ দিন। দেশের মতো বিদেশের বাংলাদেশীদের মনেও এর বিরূপ এবং দুঃখজনক প্রভাব আছে। আওয়ামী লীগ করেন না এমন অনেক ব্যক্তিকে আমি এ বিষয়ে শোকার্ত ও সোচ্চার দেখতে পাই। খুব ভালভাবে এবং নিবিড় পর্যবেক্ষণে দেখলে বোঝা কঠিন নয়। হামলাটির লক্ষ্য ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তাঁকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার এমন হীন ও জঘন্য হত্যাকাণ্ডে অফসল প্রতিপক্ষ কিন্তু একেবারে ব্যর্থ ছিল না। এই হামলায় অন্যান্য নিরীহ নেতাকর্মীর সঙ্গে উড়ে গিয়েছিল আইভী রহমানের পদযুগল। আইভী রহমানের স্বামী জিল্লুর রহমান পরবর্তীতে এ দেশের সর্বোচ্চ পদে আসীন ছিলেন। তিনিও আজ প্রয়াত। প্রশ্ন জেগেছে প্রবাসীদের মনে, দেশের শীর্ষ দুটি পদে আসীন মানুষদের জীবন ও পরিবার নিয়ে খেলার পরও খুনীদের বিচার আজও কেন ঝুলে আছে?

এটা পঁচাত্তর নয়। এখন আর আগের মতো সত্য ধামাচাপা দেয়া সম্ভব নয়। একুশে আগস্ট জাতির জীবনে কলঙ্কময়-রক্তাক্ত অধ্যায়। প্রতিপক্ষকে প্রকাশ্য রাজপথে রক্তে ভাসিয়ে দেশকে আফগানিস্তান বা বধ্যভূমি বানানোর পেছনে কারা জড়িত, সবাই জানে। তবু কেন বিচার হলো না! তবে কি আমরা ধরে নেব, শত্রুর হাত দীর্ঘ ও শক্তিশালী? এমনকি ক্ষমতার চেয়েও বড়?

এবার আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম, কিছু মিডিয়া পুরো ঘটনার দায় একটি জঙ্গী সংগঠনের ওপর চাপিয়ে দিতে চাইছে। হুজি নামের এই সংগঠনটি নিশ্চয়ই দায়ী হতে পারে। বর্বর গ্রেনেড হামলা চালানোর জন্য ওই জাতীয় সাংগঠনিক ভিডি প্রশিক্ষিত কর্মী বা খুনীর প্রয়োজনও স্বীকৃত। কিন্তু এই দোষারোপ সম্পূর্ণ সঠিক বা উদ্দেশ্যহীন কিছু নয়, এতে তারেক জিয়া, বাবর, জজসহ দেশের কিছু সুশীল বাদ পড়ে যাচ্ছে। কে জড়িত, কে জড়িত না; তার বিচার ও শাস্তি আইনের হাতে। আমরা প্রবাসে থেকেও উদ্বিগ্ন আর ভয়ার্ত। এই কারণে বন্দুকের গুলি বা নলের বিচারে অন্তত আমাদের দেশে নেপথ্যে থাক। আসল খুনীরা বিচারের আওতায় আসে না। ছলেবলে-কৌশলে পার পেয়ে যায়। একুশে আগস্টের হোতারা পার পেয়ে গেলে বাংলাদেশের স্থিরতা ও অগ্রগতি ব্যাহত হবে, তোপের মুখে পড়বে ইমেজ; সব চেয়ে ভয়ের বিষয় খুনের রাজনীতি আবারও উস্কে উঠবে। লন্ডন থেকে মাঝে মাঝে সে ইন্ধন নানা চেহারা ও বক্তব্যে ভেসে আসে। টের পাওয়া যায় চৌকোণা বাক্স পুড়ে অনর্গল বকে যাওয়া, রাতজাগা অতিথির কণ্ঠে। ফলে সাবধানতার বিকল্প নেই। সিডনি প্রবাসী তথা অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীরা একুশে আগস্টের ঘটনার পেছনে জড়িত থাকা সকলের শাস্তি চায়। নির্বিঘ্ন-সুন্দর-চমৎকার স্বদেশের কামনায় এটা হওয়াই জরুরী। কেবল এতেই ঝরে যাওয়া প্রাণ ও রক্তধারা শুদ্ধ হয়ে উঠতে পারে।

শূন্যতায় শোকসভা ও বেগম জিয়া?

ধরে নিলাম, বিশাল কোন জনসভায় উপস্থিত থাকার কথা, কিন্তু শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকতে পারেননি। এবার কয়েকটি মিডিয়ার কথা ভেবে নিই, আর কিছু লেখক নামধারী সুশীল ও টকশো বক্তাওয়ালা। গলগল করে বিষবাষ্প বেরুচ্ছে। ভন ভন করে কথার মাছি উড়ছে। সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিকের গুজবের ডানা তখন আসমানে। ট্যাবলয়েডের জমিনে মুখরোচক গল্পে আওয়ামী লীগে ভাঙ্গনের বা অন্য কিছুর বিকৃত আনন্দ। এ কল্পনা নিছক অনুমাননির্ভর কিছু না। আমাদের নিয়তি অথবা দুর্ভাগ্য যেটাই বলি না কেন, মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে চেনা-অচেনা, পাল্টে যাওয়া মুখের শত্রুরা এভাবেই তাদের আক্রোশ চরিতার্থ করে আসছে।

ঢাকঢোল পিটিয়ে জনগণের দোহাই দিয়ে স্বৈরশাসনের অবসান চাওয়া বিএনপির মহাসমাবেশে খালেদা জিয়া ছিলেন অনুপস্থিত। সভা চলাকালে কেউ প্রশ্ন করে না, প্রশ্নের বা উত্তরেরও সুযোগ থাকে না। তাঁরা নিজেরাই বলে দিয়েছেন, খালেদা জিয়া না আসার পেছনে কোন রহস্য নেই। শুধু তাই নয়, এদের শরিক বাংলাদেশের রাজনীতির কলঙ্কপুত্র শফিউল আলম প্রধান জনসভায় দাঁড়িয়েই এ সত্য অনুমোদন করে বলেছেন তারা এ সত্য মেনে নিয়েছেন। যেমন সত্যবাদী তেমনি তার অনুমোদনদাতা। আজ যাঁরা সাত খুন নয়, খুন খুনের নহরে ভাসা লাশের জন্য আহাজারি করেন, প্রকৃত দোষী চিহ্নিতকরণ বা নিশ্চিত শাস্তিদানের পরিবর্তে পানি ঘোলা করছেন তাঁরা জেনেও ভুলে থাকেন স্বাধীন দেশে সাত খুনের আসামি এই প্রধান। এখনও বিএনপির দোসর হয়ে প্রধান ভূমিকায় থাকার কসরৎ করে যাচ্ছেন। ইনিই খালেদা জিয়াকে মঞ্চে তিলকওয়ালী বলে সম্বোধন করেছিলেন। বারোস্তরের রাজনীতিতে তেরোতম পিশাচ দিচ্ছে সত্যের অনুমোদন, হাস্যকরই বটে!

বিএনপি জানে, জামায়াতের সঙ্গে নিবিড়ঘন বন্ধুত্বের আকাশে এখন ভাঙনের কালো মেঘ। এও জানে, মজেনা মানেই আমেরিকা নয়, ড. ইউনূস মানে ব্যাপক দুনিয়া নয়। কদিন আগে দু-একটি মিডিয়া গায়িকা ন্যান্সির আত্মহত্যার প্রচেষ্টা এবং বেঁচে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগকে দায়ী করতে চেয়েছিল; তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বেগম জিয়াকে সমর্থনই নাকি এই বিপর্যয়ের নেপথ্য কারণ। এখন তাঁরা কি বলবেন? অসুস্থ খালেদা জিয়ার অসুখ আওয়ামী অভিশাপ না চক্রান্ত?

আমরা কারও বিপদে মন্দ বলি না, অসুস্থতা কামনা করি না। কেন জানি দেশ বিভাগের অব্যবহিত পূর্বের গল্পটি মনে পড়ে যাচ্ছে-শেষ ভাইসরয় নাকি দুঃখ করে বলেছিলেন, জিন্নাহ সাহেবের যক্ষ্মা বা ক্ষয়রোগ হয়েছে জানলে পাকভারতের বিভক্তিটা আরও কিছুদিন ঝুলিয়ে দেখতাম, কি হয়। শ্রুত যে, বেগম জিয়া নাকি গুরুতর এক অসুখে ভুগছেন জানলে জামায়াত ও দেশী-বিদেশী চক্রান্তকারীরা কি ভাববেন, কে জানে। উদ্যানে যতবড় জমায়েতই হোক না কেন, রোল কলে দেখা গেল : খালেদা জিয়া এ্যাবসেন্ট! প্লিজ, এভাবে কি আন্দোলন হয় আদৌ?

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:০৯

রওনক বলেছেন: সেইফ হওয়া সত্তেও আমার পোস্ট প্রথম পাতায় আসে না, ৩ মাস ধরে কমপ্লেন ও ফিডবেক দিচ্ছিকাজ হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে কমেন্ট ফ্লাডিং করছি।
প্রসঙ্গ: ডায়াবেটিস, মিষ্টি/মিষ্টান্ন বনাম কোমল পানীয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.