নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামাত কানেকশন, বাংলাদেশের নাম ডুবলো

১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৫

পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার খাগড়াগড়ের জেএমবি জঙ্গী গোষ্ঠীর জেহাদী জাল বিস্তৃত বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় এবং জেএমবির এই জাল বিস্তারের অর্থের উৎস হিসেবে নেপথ্যে থেকে কাজ করছে জামায়াত। বর্ধমানের খাগড়াগড়ের বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত জেএমবির সদস্য শাকিল আহমেদের মোবাইলের কললিস্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এই ধরনের তথ্য পেয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকাসহ বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে বিশেষ সতর্কতা জারির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ-কে তদন্তের দায়িত্ব দেয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় বাংলাদেশের জঙ্গী সংগঠন জেএমবি জড়িত রয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশেই জেএমবির তৎপরতা রোধে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। এনআইএ-এর মূল্যায়ন রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকার আসার পর উগ্র মৌলবাদী জঙ্গী সংগঠনগুলোর মূল উৎপাটনে যে তৎপরতা দেখানো হচ্ছে তাতে দিল্লীর কাছে তা খুবই মূল্যবান ও তাৎপর্যপূর্ণ। নরেন্দ্র মোদি চান না, শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে সেই সম্পর্ক এতটুকু চ্যুতি ঘটুক। তদন্ত সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
সূত্র জানায়, হাসিনা সরকারের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদি সরকারের জঙ্গী সংগঠনগুলোর মূল উৎপাটনের ধারা অব্যাহত রাখতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সৈয়দ আকবরউদ্দিন বলেছেন, গোটা ঘটনার বিষয়ে সাহায্য চেয়েছে বাংলাদেশ। তদন্ত সংস্থাগুলোর পাওয়া যাবতীয় তথ্য নথিবদ্ধ করা হচ্ছে। তদন্ত সংস্থাগুলোর তদন্ত নথিবদ্ধ করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে তা বাংলাদেশের হাতে তুলে দেব। বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল থেকে নিহত শাকিলের স্ত্রী রাজিয়া ও সোবহান ম-লের স্ত্রী আলিমা বিবিকে তদন্ত সংস্থা জিজ্ঞাসাবাদ করছে। জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের কাছ থেকে কয়েকজনের নাম পেয়েছে তদন্ত সংস্থা। এরই মধ্যে ৬ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশের জেএমবির যেই সদস্যরা বিস্ফোরণের সময়ে ঘটনাস্থল থেকে গা-ঢাকা দিয়েছে তাদের হদিস এখনও মেলেনি বলে জানা গেছে।
তদন্ত সংস্থা এনআইএ সূত্রের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, সারদার ঘটনায় যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের আঁতাত পাওয়া গেছে, তেমনি বর্ধমানের বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায়ও তৃণমূলের সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগ উঠেছে। সারদা অর্থ কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে তদন্ত সংস্থা সিবিআই তৃণমূলের সাংসদের মাধ্যমে বাংলাদেশে বেআইনীভাবে জামায়াতের অর্থলগ্নি সংস্থার কাছে অর্থ পাঠানোর প্রমাণ পেয়েছে। এরই মধ্যে খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণস্থলের নিচে তৃণমূলের পার্টি অফিস থাকার প্রমাণ মেলায় ফের শাসক দলের সঙ্গে জামায়াত ও মৌলবাদীদের যোগাযোগের অভিযোগ সামনে চলে এসেছে। গত ২ অক্টোবর বিস্ফোরণের পরদিন বর্ধমান পুলিশ সুপার এসএমএইচ মীর্জা যে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন তাতে বাংলাদেশী মৌলবাদী সংস্থার যোগসাজশে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
কেন্দ্রের তদন্ত পছন্দ নয় মমতার ॥
কেন্দ্রের তদন্ত সংস্থা এনআইএ তদন্তভার আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করার দিন ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের তদন্ত যে তাঁর পছন্দ নয় সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। খোদ মুখ্যমন্ত্রী এনআইএ-এর তদন্তের বিরোধী হওয়ায় সেখানে তদন্তের বিষয়ে রাজ্য পুলিশ তাদের কতটা সাহায্য সহযোগিতা করবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি তথ্য প্রমাণ লোপাট করে দেয়ার অভিযোগও উঠেছে।
বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বোমা বিস্ফোরণে নিহত হওয়ার ১০ দিন আগে জেএমবির সদস্য শাকিল আহমেদের মোবাইল ফোন থেকে কল গিয়েছিল শ্রীলঙ্কায়। শ্রীলঙ্কায় এক জেহাদীর কাছে গিয়েছিল তার ফোনের কল। ফোনের কলের স্থায়িত্ব ছিল প্রায় ৩ মিনিট। গত ৬ মাসে তার মোবাইল ফোন থেকে কল গেছে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, রাজশাহীসহ বিভিন্ন স্থানের জেহাদী সংগঠনের কিছু জঙ্গী নেতার কাছে। কেরালার একটি জঙ্গী সংগঠনের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল নিহত শাকিলের। চেন্নাইয়েও তৎপর রয়েছে জেএমবির সদস্যরা। বাংলাদেশের জেএমবির কাছ থেকে বোমা তৈরির সরঞ্জামাদি বর্ধমানে গেছে। পশ্চিমবঙ্গ, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশে জেএমবির শাকিল গ্রুপের অর্থের যোগানদাতা হচ্ছে জামায়াত। তদন্তে নেমে এই বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে তদন্ত সংস্থা এনআইএ।
তদন্তে নেমে তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা জানতে পেরেছেন, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের জেএমবির সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের জেএমবির সদস্য নিহত শাকিল ছাড়াও সম্পর্ক রেখে চলত কাওসার ও হাবিবুর। তবে হাবিবুরের প্রকৃত পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। তারা বর্ধমানের বোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে অভিযুক্ত। বাংলাদেশে তাদের যাতায়াত ছিল। এই সুবাদে বাংলাদেশের জেএমবির সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে। নিহত শাকিলের কললিস্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এনআইএ জানতে পেরেছে, চেন্নাইতেও রয়েছে জেএমবির সদস্যরা। জাকির হোসেন নামে এক শ্রীলঙ্কার নাগরিককে ধরেছে কলকাতার পুলিশ। সেও জেহাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।
বর্ধমানের খাগড়াগড়ের বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাস্থলের অদূরে মঙ্গলকোর্টের শিমুলিয়ায় অননুমোদিত যে মাদ্রাসাটি শনাক্ত করা হয়েছে সেখানে অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ দেয়া হতো। বিস্ফোরক তৈরির পাশাপাশি ভবনের উপরের তলায় ছেলেদের ও নিচের তলায় মেয়েদের প্রশিক্ষণ দেয়া হতো বলে আটক মহিলা রুমি ও আকলিমার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জানা গেছে।
গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত ২ অক্টোবর বর্ধমান জেলার খাগড়াগড় নামক স্থানের এক বাড়িতে বোমা তৈরি করার সময় বিস্ফোরণে বাংলাদেশের দুই জেএমবির জঙ্গী সদস্য শাকিল আহম্মেদ ও সোবহান ওরফে স্বপন ম-ল নিহত হয়েছে। বাংলাদেশের জেএমবির দুই জঙ্গী নিহত হওয়ার ঘটনাটিতে বাংলাদেশের জঙ্গীদের পশ্চিমবঙ্গে যাওয়া এবং পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গীদের বাংলাদেশের মাটিতে আসার বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক অনুসন্ধান করা হচ্ছে। যখনই বাংলাদেশে জঙ্গীবিরোধী অভিযান জোরদার করা হয় তখনই তারা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ বিভিন্ন রাজ্যে চলে যায়। আবার ভারত যখন জঙ্গীসহ সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান জোরদার করে তখনই তারা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে। বর্ধমান বোমা বিস্ফোরণ ঘটনাটি দুই দেশকেই চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৬

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: নরেন্দ্র মোদীর পায়ের ধুলার স্বাদ নেবার জন্য হারামী লীগাররা যে আর কত নাটক মঞ্চস্থ করবে, তাই দেখবার অপেক্ষায় আছি।

আরে গবেটেরা এত বুঝিস এটা বুঝিসনা যে, জামায়াত যদি এত ক্ষমতাশালী হয়ে থাকে, তবে শেখ হাসিনাকে মারার ষড়যন্ত্র তো বাংলাদেশে বসেই করতে পারে - শুধু শুধু ভারতে যাবে কেন? ভারতে তাদের আছেটা কে?

আসলে এসব ঘটনা পরিষ্কার বুঝা যাবে, যদি জামায়াতের জায়গায় আওয়ামী লীগ বসিয়ে বর্তমান সরকারের জায়গায় জোট সরকার (২০০১-২০০৬) বসানো যায়। তাহলে সবার সামনে ক্লিয়ার হয়ে যাবে ভারতের ভূমি ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ দেশের বিরুদ্ধে কি ষড়যন্ত্রটাই না করেছিল!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.