নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

এটাই গণতন্ত্র, গণতন্ত্রের ইতিবাচক দিক

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৭

উদীয়মান পরাশক্তি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন আর তার কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে রক্ষা করেছেন। নয়াদিলি্লতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাওয়ার পর তিনি এ ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভারতের পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। ভারতের সহযোগিতা বাংলাদেশ পেয়ে আসছে নানাভাবে। ঐতিহাসিক সম্পর্ক ও ভৌগোলিক নৈকট্য ছাড়াও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের রয়েছে সাংস্কৃতিক, ঐতিহ্যগত এবং রক্তগত সুসম্পর্ক। ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ। তিনি অতীতে এ দেশ সফর করে বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর কোনো কিছু তিনি করবেন না। বাংলাদেশের জনগণের পাশে ভারতের সুদৃঢ় সহাবস্থান অব্যাহত থাকবে। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরও তিনি সেই অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। এছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে ইতোপূর্বেকার সিদ্ধান্তগুলোর দ্রুত বাস্তাবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি। ভারতের পানিসম্পদমন্ত্রী উমাভারতীও বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর কোনো উদ্যোগে ভারত সিদ্ধান্ত নেবে না বলে জানিয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি দ্রুত স্বাক্ষরিত হওয়ার ব্যাপারে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিউইয়র্কে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয় আলোচনায় স্থান পেতে পারে প্রতিবেশী দুই প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে ভারত আমাদের দেশের জনগণের পক্ষে যথেষ্ট ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছিল। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত, দুঃসাহসিক পদক্ষেপ এবং উদার সহযোগিতা বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম এবং স্বাধীনতা অর্জনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল। বাংলাদেশের জনগণের অবিসংবাদিত নেতা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সামগ্রিক সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছিলেন তিনি। এতে শেখ মুজিব স্বাধীন বাংলাদেশের সুপ্রতিষ্ঠায় সক্ষম হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রবাসী বন্ধুদের পুরস্কৃত করে এ কৃতজ্ঞতা স্মরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারত ও রাশিয়া বাংলাদেশের পক্ষে এগিয়ে এসেছিল। মিত্রবাহিনীর ত্যাগ ও মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগে বাংলাদেশ স্বাধীনতার গৌরব অর্জন করেছিল। ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আবার বাংলাদেশের বীরত্ব, গৌরব এবং স্বাধীনতা অর্জনের প্রশংসা করে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করেছেন। শুধু তাই নয়_ বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, দক্ষতা ও অবদানের কথা স্মরণ করেছেন তিনি। তার মতে, বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন বাংলাদেশকে সুরক্ষা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এ স্বীকৃতি ও ইতিবাচক মনোভাব বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে প্রণোদনা। বঙ্গবন্ধুর বৈশ্বিক স্বীকৃতি ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তার অসমাপ্ত আত্মজীবনী প্রকাশের পর বঙ্গবন্ধুর ওপর মানুষের প্রদত্তে সম্মান বেড়েছে এবং বিভ্রান্তি ও অপপ্রচার রোধ হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির মুক্তিসংগ্রামে অর্ধশত বছর ধরে রাজনৈতিক সংগ্রাম করেছেন। প্রায় ২৫ বছর কারাবন্দি জীবনযাপন করেছেন তিনি জনগণের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে, স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে। ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি জনগণকে মুক্তিসংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করেছেন এবং স্বাধীনতা লাভের জন্য উজ্জীবিত করেছেন। তার ঐতিহাসিক ভাষণেরও বিশ্বস্বীকৃতি জুটেছে বিগত আড়াই হাজার বছরের বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণগুলোর সঙ্গে শেখ মুজিবের ঐতিহাসিক ভাষণ গ্রন্থবদ্ধ হওয়ায়। বিশ্বনেতা নেলসন ম্যান্ডেলা, ফিদেল কাস্ট্রো ও ইন্দিরা গান্ধীর পর নরেন্দ্র মোদি স্বীকার করলেন বঙ্গবন্ধুর অবদান। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব, সাহস ও গুণাবলির উচ্চ প্রশংসা করেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য প্রচেষ্টা চালাবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশরক্ষামূলক উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার বলেছেন তিনি দেশের জনগণের জন্য রাজনীতি করেন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সোনার বাংলা গঠনে তিনি জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন। কোনোরূপ হুমকি এবং প্রাণনাশের অপচেষ্টায় ভীত নন তিনি। তার হারানোর কিছু নেই। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সুযোগ্য কন্যা। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর তিনি স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করে জনগণের সঙ্গে সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
দেশ থেকে হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্র ও স্বৈরাচারী, রাজনীতি দূর করতে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। জনগণের ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার গণতান্ত্রিক আন্দোলন করেছেন সংসদ, সংবিধান, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তিনি নিরলসভাবে ধারাবাহিক সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবায়নে তৎপর হয়েছেন। দেশকে কৃষিতে স্বনির্ভর, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে অগ্রসর করে চলেছেন। মধ্যম আয়ের দেশ গড়তে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন। কৃষক, সাধারণ জনগণ ও শ্রমজীবী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। সহিংস রাজনীতি, জঙ্গিবাদমৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত বাংলাদেশ গঠনে তার সরকার ভূমিকা পালন করে চলেছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সহিংস ও নাশকতামূলক রাজনীতির বিপরীতে সাংবিধানিক, সংসদীয় ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির ধারা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন। বিশ্বব্যাপী তার নেতৃত্বের স্বীকৃতি জুটেছে। জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা হস্তান্তর ও বিশ্বশান্তির মডেল প্রশংসিত ও গৃহীত হয়েছে। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার জন্য তার মনোভাবের প্রশংসা পেয়েছেন। স্বাধীনতার মূল নীতি ফিরিয়ে আনতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী হয়েছে। ক্ষমতায় বিরোধী দলের অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছেন। অসাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা হস্তান্তরের পথ বন্ধ করেছেন। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে উঠেছে। শান্তি ও নিরাপত্তার স্বার্থে আঞ্চলিক সহযোগিতামূলক চুক্তি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ অগ্রসর হয়েছে। জঙ্গিবাদের উত্থান ও প্রসার রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সন্ত্রাসী ও সহিংস রাজনীতির উৎসাহীরা এ দেশে আর জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতার সুযোগ পাবে না। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদী শক্তি প্রশ্রয় পাবে না বলে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সুদৃঢ় মনোভাব, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান তাকে এক ও অদ্বিতীয় নেতৃত্বে বিকশিত করেছে। সংবিধানের পথ থেকে তিনি একচুলও নড়বেন না বলে ঘোষণা দেয়ার পরও সহিংস রাজনীতির নেত্রী এবং জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকরা রাজনীতিকে হুমকির মুখে নিতে ব্যর্থ হয়েছে। তার অধীনে বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, ভবিষ্যতেও তাই হবে বলে তিনি সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন। অসাংবিধানিক পন্থায় তিনি আর ক্ষমতা হস্তান্তর হতে দেবেন না। স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর বাংলাদেশের সামগ্রিক অগ্রগতি জাদুকরী বলে চিহ্নিত ও প্রশংসিত হয়েছে। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিনষ্টে যারা সহিংস রাজনীতি করেছেন তারা পরাজিত হয়েছেন। তিনি দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে উদ্যোগী হয়েছেন। তার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক ধারায় রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে। বিএনপিজামায়াতহেফাজত জোটের যাবতীয় হুমকি ও উস্কানি মোকাবেলা করে তিনি বিজয়ী হয়েছেন। সে জন্য তার জনপ্রিয়তা বেড়েছে। দেশকে অনিশ্চয়তা ও অসাংবিধানিক ধারা থেকে তিনি সুরক্ষা করেছেন। যার স্বীকৃতি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লন্ডনের প্রভাবশালী সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টের জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনা এক ও অদ্বিতীয়।
তিনি সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে আগামী নির্বাচনও তার অধীনে এবং নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে সম্পন্ন করার সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন। খালেদা জিয়ার হুমকিও বাকসন্ত্রাস তিনি উপেক্ষা করেছেন। এছাড়া ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে উলি্লখিত হয়েছে খালেদা জিয়ার শাসনামলের স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি আর অযোগ্যতা। শেখ হাসিনা সরকার অর্থনীতিকে উন্নত করেছেন, দারিদ্র্য হ্রাস করেছেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে এগিয়ে চলেছেন, দেশকে সাংবিধানিক ধারায় সুনিশ্চিত করেছেন এবং রাজনীতিকে সংসদীয় গণতান্ত্রিক ধারায় ধাবিত করেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বঙ্গবন্ধু হত্যা বিচার, রমনার বটমূলে বোমা বিস্ফোরণের বিচার এবং জাতীয় চারনেতা হত্যার বিচার প্রক্রিয়ায় দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার তদন্ত ও বিচার অগ্রসরমান। ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিএনপি অপেক্ষা আওয়ামী লীগের সরকার বিদেশি সরকারগুলোকে অধিক উৎসাহী করেছে। তাদের সমর্থন ও সহযোগিতা বেড়েছে। বিএনপিজামায়াতের সহিংস রাজনীতি ধিকৃত হয়েছে। আর মহাজোটের জনসমর্থন বেড়েছে। বিএনপিজামায়াত এখন সংসদের বিরোধী দল নয়। নির্বাচন না করে বিএনপি আত্মঘাতী রাজনীতির পথে ধাবিত হয়েছে। রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে জামায়াতের কার্যকারিতা নেই। ২০ দলীয় জোট করেও বিএনপি এগোতে পারছে না বলে মন্তব্য করেছে ইকোনমিস্ট। এ পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার এখন চাপমুক্ত। সবকিছুই সরকারের অনুকূলে। কারণ সহিংস রাজনীতি জনগণ সমর্থন করে না, বিচারপতিদের অভিশংসন ক্ষমতা সংসদের হাতে, জামায়াত দুর্বল ও অকার্যকর রাজনৈতিক শক্তি এবং নির্বাচিত বিরোধী দল সরকারের সহযোগী। এ অবস্থায় দেশের শান্তি, নিরাপত্তা ও অগ্রগতি প্রত্যাশিত। জনগণের পক্ষে সরকার এগিয়ে চলেছে। শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সঙ্গে এবং আস্থার সঙ্গে এগিয়ে চলেছেন। জনগণকে আশাবাদী করে তুলতে পেরেছেন। এ জন্য তার স্বীকৃতি ও প্রশংসা জুটেছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.