নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

জঙ্গিবাদে খালেদা জিয়ার অবদান

২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:০৮

বাংলাদেশের জনগণ নিশ্চয় লক্ষ্য করেছেন যে, ভারতের বর্ধমানে বোমা গ্রেনেড বিস্ফোরণ সংঘটিত হওয়ার আগে আগে হঠাৎই খালেদা জিয়া নীরবতা ভেঙ্গে দুটি জনসভা করেছেন। বলা চলে, তাঁর এ জনসভাগুলো তেমন কোন ইস্যু না থাকা সত্ত্বেও। এদিকে কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে, যেটি রোজার ঈদে করা হয়নি, খালেদা জিয়া রীতিমতো উৎসবের সাজসজ্জা করে, উৎসবের সাজে সাজা একটি হোটেলে প্রধানত বিদেশী কূটনীতিকদের জন্য, সঙ্গে দেশীয় কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তি, দলীয় ও জোটের রাজনীতিকদের জন্য আয়োজন করেন চোখ ধাঁধানো এক ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের মেলা। সেখানে খালেদা নিজেকে উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী অথবা বিরোধী নেত্রীর অবস্থানে থাকা ব্যক্তির মতো করে, যা অনেকের মনেই সেদিন নানা প্রশ্নের সৃষ্টি করেছিল, বিরোধী নেত্রী না থাকা সত্ত্বেও খালেদা এই বিদেশী কূটনীতিক, সাংবাদিক, রাজনীতিকদের কি অকথিত অব্যক্ত বাণী বা ইঙ্গিত দিতে চেয়েছেন? তাছাড়া এ প্রশ্নও উঠেছে যে, রাজনীতির মাঠে অনেক বেশি রাজনৈতিকবোধ ও বুদ্ধিসম্পন্ন বর্তমান বিরোধী নেত্রী অনুপস্থিত কেন? তাঁকে ঈদ-সংবর্ধনা আয়োজন না করার জন্য কোন কোয়ার্টার থেকে কি অনুরোধ জানানো হয়েছিল? তা না হলে এটি তো আয়োজন করার কথা সংসদের বিরোধী নেত্রীর। যেন স্মরণ রাখেন- ভারতের পররাষ্টমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেছিলেন ‘আই এম ইমপ্রেস্ড’, এ প্রশংসা বাক্য রওশন এরশাদের রাজনৈতিক পরিপক্বতা ও বুদ্ধিকে প্রমাণ করেছে যা আমাদেরও গৌরবান্বিত করেছে। মূল প্রসঙ্গে ফিরে আসা যাক। এই বর্ধমানের বোমা বিস্ফোরণের আগে আগে অনেক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে যার দুটি শুরুতে উল্লেখ করেছি। এ ছাড়াও ঘটেছে আরও কয়েকটি ঘটনা। লন্ডনে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের ‘প্রথম রাষ্ট্রপতি’ ঘোষণা এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে পাকিস্তানপ্রেমিক, পাকি ‘অনুগত’, আত্মসমর্পণ করে প্রাণ রক্ষা করেছেন এবং কোন স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি ইত্যাদি বালখিল্য, তবে উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্য দিয়ে দেশের শান্ত পরিবেশকে অশান্ত উত্তপ্ত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল এই কিছুদিন আগে।
মধ্যপ্রাচ্যে বিশেষত ইরাকে, সিরিয়ায় সরকারবিরোধী জঙ্গীগোষ্ঠীর মধ্য থেকে আইসিস নামের এক প্রবল বলদর্পী অমানবিক জঙ্গী দলের উত্থান হয়েছে এবং ইরাক-সিরিয়ায় দখলকৃত অংশে ‘খেলাফত’ বা ধর্ম রাষ্ট্র স্থাপনে ওই অঞ্চলে গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে! অর্থাৎ মধ্যপ্রাচ্যের স্বৈরশাসক বিরোধী গণতন্ত্রকামী জনগোষ্ঠীর হাত থেকে ক্ষমতা চলে গেছে জঙ্গী, উগ্র, ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর হাতে, যাদের মধ্যপ্রাচ্যে শিয়া-সুন্নী কুর্দীদের পরস্পরবিরোধী লড়াইয়ের ফলে আরও ক্ষমতাবান করে তুলেছে, যার ফলাফল এ দেশেও প্রভাব বিস্তারের আশঙ্কা আছে।
আইসিসের প্রবল পরাক্রম দেখে আল কায়েদার শীর্ষ নেতা আয়মান আল জাওয়াহিরি তাঁর দীর্ঘকালীন নীরবতা ভঙ্গ করে ঘোষণা দেন- শীঘ্রই দক্ষিণ এশীয়, ‘আল কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্ট’ সংঘটিত হচ্ছে! তাঁর লোকজন এ লক্ষ্যে কাজ করছে!
বর্ধমানের বিস্ফোরণ থেকে জানা গেল বাংলাদেশে জেএমবি, ইন্ডিয়ান মুজাহিদীন এবং পাকিস্তানের আল জিহাদের সংশ্লিষ্টতায় গড়ে উঠছে দক্ষিণ এশীয় সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক যাতে মিয়ানমারও যুক্ত।
জাওয়াহিরির নাম, ছবিসহ ২০১৪-এর ফেব্রুয়ারিতে যে ‘ম্যাসাকার বিহাইন্ড আ ওয়াল অব সাইলেন্স’ নামে ইন্টারনেটে অডিওবার্তা প্রচারিত হয় তাতে বর্তমান বাংলাদেশ সরকারকে ‘ইসলামবিরোধী, ধর্মনিরপেক্ষ সরকার’ উল্লেখ করে একে প্রতিরোধের আহ্বান জানানো হয়েছে! এটি তো খালেদা-তারেকের ও তাঁদের মিত্র জঙ্গীদের এবং জামায়াতের প্রধান এজেন্ডা! পাঠক, দুই এ দুই-এ চার মিলে যাচ্ছে।
বর্ধমান বিস্ফোরণের পর তদন্ত কর্মকর্তা ও সেগুলোর সংবাদপত্র সূত্র মতে জঙ্গীরা ঈদের দিন কলকাতার নেতাজী সুভাষ বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেছিল! উপরন্তু বাংলাদেশের কিছু বিদ্যুত কেন্দ্র ধ্বংস করা এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিল।
বাংলাদেশে খালেদা-তারেক ও জামায়াত হচ্ছে জেএমবির জন্মদাতা, আশ্রয়দাতা, তাই জঙ্গীবিরোধী নেতা শেখ হাসিনার কঠোর পদক্ষেপের ফলে জেএমবি বর্তমানে ভারতে ঠাঁই নিয়ে বোমা, গুলি, গ্রেনেড বানিয়ে চলছে। আর জঙ্গীদের আশ্রয় দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গকে জঙ্গী মিত্র প্রদেশে পরিণত করছে। এ কাজে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল দলের কিছু নেতা ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা স্বয়ং জড়িত বলে খবরে প্রকাশ পেয়েছে।
এরপর, খালেদা, তারেক ও জামায়াতের আনন্দ রাখার জায়গা থাকবার কথা নয়! সুতরাং খালেদা দ্রুত গতকাল বাংলাদেশের হিন্দুদের কাছে ডেকেছেন এবং মমতা যদি জঙ্গী হতে পারেন, তাহলে তিনি ও জামায়াত বন্ধু হয়েও হিন্দুবান্ধব হতে পারবেন না কেন- তা বোঝানোর জন্য আকস্মিক হিন্দুদের জন্য মায়ের বদলে এক ‘মাসী’ হয়ে তাদের সমর্থন চেয়েছেন! সম্ভবত এর মধ্যে মমতা-খালেদা যোগাযোগ সংঘটিত হয়েছে এবং মমতার উপদেশে হতে পারে খালেদার তড়িঘড়ি এই হিন্দু তোষণ! খিলাফত যুগে, জেএমবি-জামায়াতের শাসনে, জঙ্গীবাদী জামায়াত জেএমবির মিত্র খালেদা-তারেকের বিএনপি আমলে হিন্দুরা, অন্য সংখ্যালঘু, আদিবাসীরা কেমন ছিলেন, থাকবেন তার নমুনা তো খালেদা-নিজামী-তারেক-বাংলাভাইরা ২০০১-২০০৬-এ দেখিয়ে দিয়েছেন। তারপর আর তাঁদের ভুল পথে পা বাড়াবার কথা নয়। খালেদার হিন্দুদের নিয়ে সভাটি কোন লক্ষ্যহীন, রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্কহীন ঘটনা নয় তা হিন্দু নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণীরা নিশ্চয় বোঝে।
সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে গোলাগুলি, সেনা-বেসামরিক ব্যক্তি নিহতের ঘটনা এবং ইমরান খানের আকস্মিকভাবে নেওয়াজ শরীফবিরোধী আন্দোলনের নেপথ্যে আইএসআইয়ের সম্পৃক্ততা না থেকে পারে না বলেই অভিজ্ঞ মহল মনে করে। এদিকে তৃণমূলের সাংসদ মুনমুন সেন ও ইমরান খানের সখ্য রয়েছে বলে আগেই জানা গেছে। তাহলে, পাকিস্তানের আইএসআই থেকে কাশ্মীরের মুজাহিদীন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল, ভারতীয় জামায়াত, বাংলাদেশের জামায়াত-জঙ্গীবান্ধব খালেদা-তারেক, জেএমবি, মিয়ানমারের ইসলামীগোষ্ঠী কি বর্তমানে এক সম-অবস্থানে পরস্পর পরস্পরের হাত ধরে দাঁড়িয়েছে? জিহাদী-দিদি, জিহাদী-ম্যাডাম আর জিহাদী ভাইয়া এখন এক লক্ষ্যে অবস্থান গ্রহণ করেছে কি? তা যদি হয়, তা তো অবশ্যই গণতন্ত্র ধ্বংস ও অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ এবং এর নেত্রীর বিরুদ্ধে অবস্থান! জনগণকে সাবধান হতে হবে।
অভিযোগ উঠেছে গত ২০১৩ সালে জামায়াত- বিত্রনপি আন্দোলনের নামে যে ভয়াবহ সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছিল তার অর্থ যোগান দিয়েছিল তৃণমূলের ইশারায় দরিদ্রের অর্থ লুটকারী পশ্চিমবঙ্গের সারদা গ্রুপ। এই সারদার অর্থ ওদিকে তৃণমূলের নির্বাচনে বিজয়ী হতে ব্যয় হয়েছে, এদিকে জামায়াত-বিএনপির মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের জোট সরকার পতনের আন্দোলনে ব্যয় হয়েছে যার সুবিধাভোগীদের মধ্যে জামায়াত-বিএনপির সঙ্গে হেফাজতের নামও উঠে এসেছে।
হঠাৎ করে মমতা ব্যানার্জী উর্দুকে পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় ভাষার মর্যাদা দিয়েছেন! বাংলাদেশে একাত্তরের ঘাতকদের বিচার শুরু হলে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ১ লাখ উর্দুভাষী মুসলমান এই বিচার বন্ধের দাবিতে, সাঈদীর মুক্তির দাবিতে রাজপথে মিছিল করে! অথচ মুক্তিযুদ্ধপন্থী বাম দলসহ অন্য দলকে বিচারের সমর্থনে মমতা সরকারের পুলিশ মিছিল করতে দেয়নি!
এসবের অর্থ কি এই নয় যে, খালেদা-মমতা-তারেক-ইমরান-আইএসআই, বাংলাদেশে এবং পাকিস্তানে গণতন্ত্র উচ্ছেদে ঐক্যজোট গঠন করে কাজ করছে?
বিশ্বস্তসূত্র মতে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, দুই চব্বিশ পরগনা, দুই দিনাজপুর, মালদহ, হাওড়া ও কলকাতার কয়েকটি মহল্লায় মৌলবাদী জঙ্গীরা নিরাপদ আশ্রয় গ্রহণ করে তাদের অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। ওখানে তৈরি বোমা, গ্রেনেড বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে বিশাল আকারের ধ্বংসকা- চালানোর লক্ষ্যে।
সম্প্রতি জঙ্গী হিসেবে গোয়েন্দা বাহিনী গ্রেফতার করেছে বেশ কয়েকজন ভারতাগত যুবককে এবং কিছু পরে বাঙালী ব্রিটিশ নাগরিক সামিউন রহমান ওরফে ইবনে হামদান নামে জঙ্গী রিক্রুট করার জন্য আগত যুবককে। সে আনসারুলা বাংলাটিমের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে। এর আগে সে সিরিয়ায় নুসরা ব্রিগেডের জেহাদি হামলায় অংশগ্রহণ করে! এর পরে জিহাদী কাজের জন্য যুবক রিক্রুট করতে মৌরিতানিয়া ও মরক্কো যায়। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আসিফ আদনান ও নাহিদ জঙ্গী রিক্রুট হিসেবে গ্রেফতার হয় যারা উচ্চশিক্ষিত পরিবারের সন্তান! বাংলাদেশে শরিয়াভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গঠন করা তাদের লক্ষ্য বলে হামদান জানায়। সুতরাং এতসব ঘটনা-অপঘটনার হোতারা কিন্তু তাদের সেই পুরনো লক্ষ্য-শরিয়া রাষ্ট্র বা ‘খেলাফত’ প্রতিষ্ঠা থেকে সরে তো আসেইনি, বরং অত্যন্ত শঙ্কার ও উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে যে, এতে অকল্পনীয়ভাবে পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু নেত্রী, উদার উচ্চশিক্ষিত, পাশ্চাত্য ধারায় শিক্ষিতদের কাউকে অর্থ ও ভোটের লোভ দেখিয়ে কব্জা করে ‘ইসলামী শরিয়া রাষ্ট্রের’ সমর্থক সদস্য হিসেবে তাদের সমর্থন লাভ করছে! বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধপন্থী মুসলমান, হিন্দু, আদিবাসীরা, জামায়াত-খালেদা-তারেক ও জেএমবির হিন্দু- আদিবাসী, সংখ্যালঘুবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধপন্থীবিরোধী বর্বর কালো শাসন দেখেছে।
সুতরাং এখন পড়শীর আকাশে সিঁদুরে মেঘ দেখে তাঁদের নিজেদের ঘরে আগুন লাগার ভয়ে শঙ্কিত হওয়ার কথা! মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে সুরক্ষিত রাখার লক্ষ্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই ’৭১-এ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যেমন বাঙালী ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল তেমনি একই রকম ঐক্যবদ্ধ হয়ে যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গী ও জঙ্গীমিত্র, শরিয়া রাষ্ট্রপন্থীদের আরেকবার পরাজিত করতে হবে।
নিজেদের সুরক্ষিত রাখার স্বার্থে সব সময়ের জন্য, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য শত্রুকে এখনই বিনাশ করে দিতে হবে। সরকারকে এখনই জঙ্গীবিনাশী ‘আঞ্চলিক টাস্কফোর্স’ গঠনে উদ্যোগ নিতে হবে। সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের শত ফোঁড় থেকে রক্ষা করে এ কথা ভেবে ভারত-বাংলাদেশকে যৌথ ‘টাস্কফোর্স’ গঠন করে জঙ্গী দমনের সময়োপযোগী কাজ এখনই শুরু করতে হবে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনি আসলে একটা ফালতু লোক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.