![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিএনপি ও তাদের মিত্রদের বর্জিত দশম সংসদ নির্বাচনের এক বছর পূর্তি ৫ জানুয়ারি। দিনটি সরকারি দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পালন করবে সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষা দিবস হিসেবে আর বিএনপি ও তার মিত্ররা ঘোষণা দিয়েছে, তাদের জন্য এই দিনটি হবে গণতন্ত্র হত্যা দিবস। গত নির্বাচনের আগে তারা ঘোষণা দিয়েছিল, তারা নির্বাচন বর্জন করার মধ্যেই তাদের কর্মকাণ্ড সীমাবদ্ধ রাখবে না, তাকে প্রতিরোধ ও প্রতিহতও করবে। তাদের এই কর্মসূচি সফল করার জন্য বিএনপি ও তাদের ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী বলে পরিচিত জামায়াত-শিবির নির্বাচনের আগের ছয় মাস দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল এবং সেই যুদ্ধে দেশের কোটি কোটি টাকার সম্পদের হানি তো হয়েইছিল, একই সঙ্গে গুরুতর আহত ও প্রাণ হারিয়েছিল প্রায় ৫০০ সাধারণ মানুষ, সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্য। অবোধ পশু পর্যন্ত বাদ যায়নি। তখন বাংলাদেশকে ইসরায়েলের গাজা উপত্যকা অথবা আফ্রিকার কোনো গৃহযুদ্ধে লিপ্ত দেশ, যেমন- নাইজেরিয়া, সুদান অথবা মালির সঙ্গেই শুধু তুলনা করা যেত। ক্ষমতার জন্য যে একটি দল এবং তার মিত্ররা কত হিংস্র ও নিষ্ঠুর হতে পারে, তা মনে করলে এখনো গা শিউরে ওঠে। বছর শেষে সেই আলামত আবারও দেখা যাচ্ছে। গত ২৯ ডিসেম্বর বিএনপি হরতালের নামে আবার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। তাদের পিকেটারদের ইটের আঘাতে একজন স্কুলশিক্ষিকা নিহত হয়েছেন। আগুনে ঝলসে গেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ দুজন। তাদের একজনের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। আগের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, আগুনে ঝলসে মানুষ হত্যা সম্ভবত বিএনপি ও জামায়াতের কাছে বেশ সমাদৃত। তাদের দাবি, বর্তমানে যে সরকার ক্ষমতায় আছে তারা অবৈধ, তাই তাদের ক্ষমতা ছাড়তে হবে এবং নতুন করে নির্বাচন দিয়ে তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার পথ সুগম না করলে মানুষের শরীর ঝলসানোর কর্মসূচি আবার নতুন করে শুরু হবে।
কেমন করে হলো আমাদের শান্তিপ্রিয় দেশের এমন ভয়াবহ হাল? কারাই বা এর সঙ্গে জড়িত? উত্তরণের কি কোনো উপায় ছিল? এমন পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য কী করতে পারতেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগ? এসব প্রশ্ন ও তার উত্তর অনেক দিন ধরেই চলে আসছে। এক বছরে প্রশ্নও বদল হয়নি অথবা উত্তরের। যে যার অবস্থানে এখনো অনড়। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে তিন জোট একমত হয়েছিল, এরশাদের পতনের পর তিনটি সংসদ নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে। প্রথমটি বিচারপতি সাহাবুদ্দীনের অধীনেই হয়েছিল। তারপর সবাই ভুলে গিয়েছিল তাদের অঙ্গীকারের কথা। এমন একটা ব্যবস্থার যে প্রয়োজন আছে তা মনে করিয়ে দিল খালেদা জিয়ার ১৯৯১-৯৫ সালের সরকার যখন মাগুরা ও ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচন নামক একটি প্রহসন অনুষ্ঠিত হলো। আওয়ামী লীগ ও তার মিত্ররা বলল, আগামী নির্বাচনকে প্রহসনমুক্ত করতে হলে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করতে হবে। খালেদা জিয়া বললেন কাভি নেহি। ফের আন্দোলন। তবে সেই আন্দোলনে হরতাল-অবরোধ হয়েছে; কিন্তু দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা অথবা বেপরোয়া নরহত্যা হয়নি। খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি নির্বাচন করলেন। সেই নির্বাচন তাঁর সরকারের অধীনেই হয়েছিল। অংশগ্রহণ করেছিল বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের দল ফ্রিডম পার্টি। সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর অন্যতম খুনি, বর্তমানে পলাতক ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কর্নেল (অব.) রশীদ। সেই সংসদেই ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে পাস হয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। এরপর তিনটি নির্বাচন এ ব্যবস্থার অধীনেই অনুষ্ঠিত হয় এবং একটিতে বিএনপি-জামায়াত জোট আর দুটিতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট বিজয় লাভ করে। ২০০৬ সালের সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি-জামায়াত জোট এ ব্যবস্থাকে মারাত্মকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে। একমাত্র উদ্দেশ্য, যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় থাকা। এর আগে ২০০৫ সালে আবদুল মান্নান খান নামের একজন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি এ ব্যবস্থা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি না সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন। হাইকোর্ট বেঞ্চ সেই মামলার কোনো শুনানি না করে পাঠিয়ে দেন সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে। দীর্ঘ শুনানির পর দেশের সর্বোচ্চ আদালত রায় দেন, একটি গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় ক্ষমতা এক মুহূর্তের জন্যও অনির্বাচিত কোনো ব্যক্তির কাছে গেলে তা হবে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং সেই যুক্তিতে ব্যবস্থাটিকে ভাবীসাপেক্ষভাবে বাতিল করে দেন। এখানে এটিই ছিল একমাত্র তর্কিত বিষয়। অন্য কিছু নয়। আদালতের বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ ছিল, যার মধ্যে বলা হয়েছে সংসদ যদি চায়, তাহলে আরো দুই মেয়াদের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বলবৎ রাখতে পারে, তবে তা গঠিত হওয়া উচিত শুধু নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের দ্বারা। পর্যবেক্ষণ রায়ের অংশ নয় এবং তা মানতেও বাধ্য নয়। তার পরও এ বিষয়ে সরকারি দলের সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয় এবং সেই কমিটি বিরোধী দলসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিদের মতামত গ্রহণ করে। আমন্ত্রণ পাওয়া সত্ত্বেও বিএনপি-জামায়াত জোট তাদের মতামত জানাতে অস্বীকার করে। বলে, আগের অবস্থায় ফিরে গেলেই শুধু আলোচনা হতে পারে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করা কারো পক্ষে উচিত নয়। বড় কথা হচ্ছে, ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করা হয়েছিল সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে। মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন করে পুরো সংবিধান বাতিল করা ছাড়া আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। তা যদি করার চেষ্টা করা হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কেউ একজন মামলা করে দিলে তখন সব কিছুই ঝুলে যাবে। বিএনপিতে অনেক বাঘা বাঘা ব্যারিস্টার আছেন। তাঁদের এই সামান্য কথাটা না বোঝার তো কোনো কারণ নেই। এর আগে উচ্চ আদালত আরেকটি রায়ে সরকারকে পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করে ১৯৭২ সালের সংবিধানে ফিরে যেতে নির্দেশ দেন। সুতরাং বিএনপি যদি দেশের সংবিধান মানে, তাহলে আগামী দিনে যখনই নির্বাচন হবে তখনই বিদ্যমান ব্যবস্থায় তাদের নির্বাচন করতে হবে।
আলোচিত নির্বাচন, সরকার ও প্রতিপক্ষ
অনেক বিদগ্ধ পণ্ডিত ব্যক্তি টিভির টক শো এবং তাঁদের লেখালেখিতে বেশ খোলামেলা আলোচনা করে বলেন, গত এক বছরে বাংলাদেশ সার্বিক অবস্থায় রসাতলে গেছে। গণতন্ত্রের নামে এখানে নির্বাচিত একনায়কতন্ত্র চলছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার চেষ্টা চলছে। বিরোধী দলকে (বিএনপি-জামায়াত) নিশ্চিহ্ন করার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চলছে। যাঁরা এসব কথা বলেন, তাঁদের আবার বলা হয় সুধী। কেউ কেউ নিজেদের নাগরিক সমাজও বলে থাকেন। ২০০৮-২০১৩ সাল মেয়াদে বিএনপি সংসদে বিরোধী দলে ছিল। কয় দিন তারা সংসদ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছে? মাঝেমধ্যে যখন সংসদে তাদের আসন বাঁচানোর জন্য গিয়েছে, তখন তারা সংসদে কলতলার অবস্থা সৃষ্টি করেছে। তখন কিন্তু এই সুধীরা তেমন কোনো উচ্চবাচ্য করেননি। দিনের পর দিন আন্দোলনের নামে দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে জামায়াত-বিএনপি। সুধীরা চুপ থেকেছেন। এই যে বছর শেষে হরতালের নামে স্কুলশিক্ষিকা শামসুন নাহারকে সন্ত্রাসীরা হত্যা করল অথবা দুজনকে পেট্রলবোমা ছুড়ে গুরুতর জখম করল, তখন কোনো সুধী তো পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে তার নিন্দা করলেন না। বছরের প্রথম দিন স্কুলে বাচ্চারা সরকার থেকে নতুন বই পাবে। সেদিন জামায়াত সারা দেশে হরতাল দিল। কারণ তাদের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ঘাতক আজহারুল ইসলামকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল একাত্তরের অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। তারা তাদের মক্কেলের মামলায় আইনি লড়াই লড়ল। হেরে গিয়ে হরতাল। এর বিরুদ্ধে গোলটেবিলের সুধীরা কই? আসলে সব সুধী জামায়াতের অর্থের কাছে নিজেদের সতীত্ব বিক্রি করে দিয়েছেন অনেক আগেই। একজন সুধী পত্রিকায় দেওয়া তাঁর বক্তব্যে বললেন, এখনো বিএনপি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। তাহলে বিএনপি গত নির্বাচনে অংশ নিল না কেন? শেখ হাসিনা তো সব রকমের ছাড় দেওয়ার কথা বলেছিলেন। ভেতরের খবর হচ্ছে, খালেদা জিয়ার চারদিকে থাকা তাঁর কিছু স্তাবক আমলা আর এসব সুধীই তাঁকে গত নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে বিরত রেখেছিলেন। বলেছিলেন, 'ম্যাডাম চিন্তা করবেন না। আমাদের বিদেশি মুরব্বিরা সব ঠিক করে দেবেন।' মুরব্বিরা চেষ্টা করেছিলেন। হেরে গেছেন একজন শেখ হাসিনার দৃঢ়তার কাছে। বিএনপির দেশের মানুষের ওপর যত না আস্থা, তার চেয়ে তারা বেশি নির্ভর করে বিদেশি প্রভুদের ওপর, সুধীরা তো আছেনই। বর্তমান সরকারের সমালোচকরা সুযোগ পেলেই বলেন, সংসদে যে বিরোধী দল আছে তা গৃহপালিত। কারণ তারা সংসদে বিএনপির মতো আচরণ করে না। বিরোধী দলের অর্থ শুধু কথায় কথায় সরকারের সব কাজের বিরোধিতা হতে পারে না। জনস্বার্থের পক্ষে বিরোধী দল অবশ্যই সংসদীয় রীতিনীতি মেনে বিরোধিতা করবে। তার জন্য সংসদের আসন ভাঙার প্রয়োজন হয় না। জাতীয় পার্টি যে বিরোধী দল তা প্রমাণ করতে কি কয়েকটি আসন আর টিভি ক্যামেরা ভাঙতে হবে?
গত এক বছরে দেশ কি আগের বছরগুলোর চেয়ে ভালো চলেছে? আগের বছরগুলোর চেয়ে ভালো না চললেও খারাপ তো চলেনি। সুশাসনের বড় কোনো উন্নতি হয়নি ঠিক, তবে তেমন একটা অবনতিও হয়নি। দুর্নীতি বহাল তবিয়তে আছে, তবে কিছুটা তো কমেছে। মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের প্রয়োজনে দুদক এখন তলব করে, যা আগে কখনো হয়নি। দেশের আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিতভাবে আরো ভালো হতে পারত। এক ছাত্রলীগ আর যুবলীগ নামধারী দুর্বৃত্তরা শেখ হাসিনা সরকারের অনেক অর্জন ম্লান করে দিয়েছে। দলের কিছু মন্ত্রী আর সংসদ সদস্যের অতিকথনের কারণে সরকারের ভাবমূর্তির তো কিছুটা হলেও ক্ষতি হয়েছে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক ক্ষেত্রেই উন্নত হয়েছে। বিজয়ী হয়েছে অনেক আন্তর্জাতিক ফোরামের নির্বাচনে। নির্বাচনের আগে পশ্চিমা দেশগুলো যেভাবে দাদাগিরি শুরু করেছিল, তার অনেকটা ইতি ঘটেছে। বিশ্বব্যাংক, রাশিয়া, জাপান, চীন, ইইউ প্রভৃতি দেশ ও সংস্থা বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এগুলো সরকার ও শেখ হাসিনার কূটনৈতিক সাফল্য। বিশ্বব্যাংকের নাটক উপেক্ষা করে নিজের অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। নিজের ওপর আস্থা থাকলে তা সম্ভব। বৈদেশিক বাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু নেতিবাচক পদক্ষেপের পরও বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে ১ শতাংশ আর রেমিট্যান্স বেড়েছে ৫ শতাংশ। দেশের গড় জাতীয় প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের ওপরে থেকেছে। মুদ্রাস্ফীতি ৭ শতাংশের নিচে। তবে ২০১৪ সালে বাংলাদেশের জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত ছিল, যখন হেনরি কিসিঞ্জারের তলাবিহীন ঝুড়ির এই দেশটি বিদেশে চাল রপ্তানি শুরু করে। প্রথম চালানটি গেছে শ্রীলঙ্কায়। ভারতও বাংলাদেশ থেকে চাল ক্রয়ের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশ অনেকটা জঙ্গিমুক্ত হয়ে বিশ্বের নজর কেড়েছে।
যদিও ২০১৪ সালে শেখ হাসিনা সরকারের অর্জন একেবারে নজরকাড়া নয়, তবে কমও নয়। তাঁকে অনেক বৈরী পরিবেশ পাড়ি দিয়ে যেতে হবে অনেক দূর। মাঝেমধ্যে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে একজন নিঃসঙ্গ সেনাপতির মতো মনে হয়। যাঁদের তিনি বিশ্বাস করেছেন তাঁরা তো সবাই সেই বিশ্বাসের মূল্য দেননি। এ পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসতে পারলে তিনি যেতে পারেন অনেক দূর। কিভাবে বের হবেন, তা তাঁকেই ঠিক করতে হবে। এটি তো স্বীকার করতেই হবে, শেখ হাসিনার অবর্তমানে আওয়ামী লীগের মতো একটি দলের হাল ধরার মতো নেতৃত্ব এখনো তৈরি হয়নি। এটি দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা। ২০১৫ সাল বিএনপি-জামায়াত জোটের কারণে প্রত্যাশিতভাবে ভালো যাবে, তা মনে করি না। তবে তৃণমূল থেকে দলকে সংগঠিত করতে আওয়ামী লীগ যদি সক্ষম হয়, কাজটি কিছুটা হলেও সহজ হবে। আর গণতন্ত্রের সংজ্ঞা যদি হয় দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, তাহলে দেশের মানুষ চায় না তেমন গণতন্ত্র। বিএনপি নামক দলটির উচিত হবে সঠিক গণতন্ত্রের মূল স্পিরিট ধারণ করা। বছরের শেষ দিনে বিএনপি চেয়ারপারসন সংবাদ সম্মেলন করে নতুন করে তাঁর পুরনো সাত দফা উত্থাপন করেছেন। দেখা যাক কোথাকার পানি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়। তার পরও আশা করি, ২০১৫ সালটি আর কিছু না হোক অন্তত ২০১৪ সালের মতো শান্তিতে কাটবে।
২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৫৭
কিবর বলেছেন: কেউ কেউ নিজেদের নাগরিক সমাজও বলে থাকেন। ২০০৮-২০১৩ সাল মেয়াদে বিএনপি সংসদে বিরোধী দলে ছিল। কয় দিন তারা সংসদ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছে? মাঝেমধ্যে যখন সংসদে তাদের আসন বাঁচানোর জন্য গিয়েছে, তখন তারা সংসদে কলতলার অবস্থা সৃষ্টি করেছে।
আপনার প্রিয় নেত্রী তো নির্বাচিত হয়ে বালেছিলেন শপৎ নিবেন না, পরে শপৎ নিলেন, বার পর বাললেন সংসদে যাবেন নাম পরে গেলেনও , বিএনপির মতো আওয়ামীলীগ ও কিন্তু সংসদ কম বর্জন করেন নি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:১৯
খেলাঘর বলেছেন:
বাংলাদেশের সংবিধান সামন্তবাদী সংবিধান।
খালেদা জিয়ার রাজনীতি তারেক শেষ করে দিয়েছে।