নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

রিয়াজ রহমান কি বিএনপি জামাতের নীলনকশার শিকার!

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৪০

বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা টানা অবরোধকে টেনে নিয়ে যাতে দীর্ঘায়িত করা যায় সেজন্য ‘কিলিং মিশন’ ছক কষা হয়েছে। নিজেরাই নিজেদের ‘লাশ ফেলার’ ষড়যন্ত্র করে অবরোধ টেনে নেয়ার কৌশল নেয়ার আশঙ্কা করছে গোয়েন্দা সংস্থা। তাদের আশঙ্কা, স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা হতে পারে। দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তৈরি করা হয়েছে এই ধরনের নীলনকশা। নাশকতা ও নৈরাজ্যের তৈরি ছক বাস্তবায়নে তৎপরতা চালাচ্ছে জামায়াত-শিবির, জঙ্গী ও যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠী। টানা অবরোধের ওপর এই ধরনের প্রতিবেদন তৈরি করেছে গোয়েন্দা সংস্থা।
গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র জানান, সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে বিএনপি নেতাদের হত্যা করে অবরোধ-আন্দোলন ধরে রাখার কৌশল নেয়া হচ্ছে। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান এই কৌশলের প্রথম টার্গেটে পরিণত হয়েছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রিয়াজ রহমানকে বিএনপির মধ্যে পাকিস্তানপন্থী হিসেবে অভিহিত করা হয়। তিনি বাংলার চেয়েও উর্দু ভাষায় কথা বলতে পারদর্শী। একজন পেশাদার কূটনীতিক হিসেবে তার সঙ্গে পাকিস্তানের শাসক দল মুসলিম লীগ ও সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র ঘনিষ্ঠতা আছে বলে তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা। তবে রিয়াজ রহমানের ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একে অপরকে দায়ী ও দোষারূপ করছে। রিয়াজ রহমানের গাড়িতে আগুন দিয়ে তার ওপর গুলি বর্ষণ করে হত্যা চেষ্টাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাকেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র জানায়, টানা অবরোধকে সফল করতে মাঠে তৎপরতা চালাচ্ছে জামায়াত-শিবির ও যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থক জঙ্গী ও ভাড়াটিয়া পেশাদার অপরাধীরা। অবরোধের মধ্যে গভীর রাতে চট্টগ্রাম মহাসড়কে গাড়ি ভাংচুর ও আগুন দেয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে গাড়ির চাপায় নিহত হয়েছে ইসলামী ছাত্র শিবিরের কর্মী বিশ বছর বয়স্ক মোঃ জুবায়ের। হরতাল-অবরোধে নাশকতার অভিযোগে কয়েকটি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের মিনারখিল নতুন বাজার এলাকার মোঃ ইউনুসের ছেলে শিবিরকর্মী জুবায়ের গাড়িতে আগুন দেয়ার সময় নিহত হওয়ার ঘটনার মধ্য দিয়ে পুলিশী তদন্তে প্রমাণ হচ্ছে, মাঠে তৎপরতা চালাচ্ছে জামায়াত-শিবির। যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে জামায়াত-শিবির এখন বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের কাঁধে ভর করে নাশকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। এ জন্য জঙ্গী গোষ্ঠীকেও মাঠে নামিয়েছে তারা। এর মধ্যে মোস্ট ওয়ান্টেড জেএমবির তিন জঙ্গীকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তারা বোমা তৈরি ও অস্ত্র পরিচালনায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও খুবই দক্ষ। দেশী-বিদেশী মহল থেকে নাশকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টিতে মদদ দেয়া হচ্ছে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, বুধবার রাজধানীর গুলিস্তান ও ধানম-ির মতো স্থানে দিনেদুপুরে জনাকীর্ণ এলাকায় সর্বক্ষণিক পুলিশী তৎপরতা থাকার মধ্যে একটি যাত্রীবাহী বাসে ও একটি গাড়িতে যে কায়দায় আগুন দিয়ে পোড়ানো হয়েছে তাতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও দক্ষ সন্ত্রাসী বা জঙ্গী গোষ্ঠীর সদস্য ছাড়া আর কারও পক্ষে তা সম্ভবপর নয়। বাস ও গাড়িতে পেট্রোল ঢেলে, গান পাউডার ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে চোখের পলকে গা ঢাকা দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তারা যে পেশাদার এবং তাদেরকে কোন মহল থেকে নামানো হয়েছে তা সন্ত্রাসী তৎপরতার ধরনেই প্রমাণ দেয়। এ ছাড়াও রংপুরের মিঠাপুকুরে মঙ্গলবার রাতে একটি বাসে পেট্রোলবোমা হামলা চালিয়ে শিশুসহ চারজন জীবন্ত দ্বগ্ধ করে হত্যাকা-ের ঘটনায় মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়ে দিয়েছে। আগুনে পুড়িয়ে পৈশাচিক কর্মকা-ের ঘটনায় প্রমাণ করে পেশাদার দুর্বৃত্তদের দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির নীলনকশারই প্লট।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, নিজেদের ডাকা টানা অবরোধ টেনে বেশিদিন ধরে রাখার কৌশল হিসেবে যে কিলিং মিশনের নীলনকশা তৈরি করা হয়েছে তাতে নিজেরাই এখন টার্গেটে পরিণত হচ্ছেন। তার প্রমাণ বএনপির নেতা বিশিষ্ট কূটনীতিক রিয়াজ রহমান। ভাড়াটিয়া পেশাদার দুর্বৃত্ত ও সন্ত্রাসীদের মাঠে নামানো হয়েছে যানবাহনে পেট্রোলবোমা মের্ েআগুন ধরিয়ে দেয়া, ব্যাপক বোমাবাজি করা, হত্যাযজ্ঞ চালানো, নাশকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করার জন্য। কিন্তু ভাড়াটিয়া পেশাদার দুর্বৃত্তরা তো আর চিনে না কে বিএনপি আর কে আওয়ামী লীগের নেতা এবং কোন্ দলের গাড়ি। এ জন্য নিজেদের ডাকা অবরোধে নিজেদের ভাড়াটিয়া পেশাদার দুর্বৃত্ত দলের হাতে বিএনপি নেতা রিয়াজ রহমান আক্রান্ত হয়ে গুলিবিদ্ধ ও তার গাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় সেমসাইড হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর আগে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আরেক উপদেষ্টা সাবিহউদ্দিনের গাড়িতেও আগুন দেয়ার ঘটনার মতো সেমসাইড ঘটনা ঘটে গেছে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, টানা ১০ দিনের অবরোধে ২০ জনকে হত্যা, আগুনে বোমায় ঝলসে ও পুড়ে গিয়ে দগ্ধ হয়ে প্রায় অর্ধশত জন চিরতরে পঙ্গুত্ব বরণ ও দুই শতাধিক যানবাহনে আগুন দিয়ে পোড়ানোর ঘটনার মধ্য দিয়ে আতঙ্ক, উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। ৫ জানুয়ারির নির্র্বাচনকে একতরফা অভিহিত করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পদত্যাগের দাবিতে গত ৬ জানুয়ারি থেকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ঘটনায় রক্তক্ষয়ী সহিংস সংঘাতে নিরীহ-নিরপরাধ মানুষজন বেঘোরে প্রাণ দিচ্ছে। জঙ্গী কায়দায় চোরাগুপ্তা হামলা চালিয়ে, বোমাবাজি, ককটেল নিক্ষেপ, পেট্রোলবোমা মেরে, যানবাহনে আগুন দিয়ে, ভাংচুর করে হতাহতের তালিকা প্রতিদিনই দীর্ঘায়িত করানো হচ্ছে।
গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক ডিসি সৈয়দ বজলুল করিম দৈনিক জনকণ্ঠকে বলেছেন, এটা অবরোধ নয়, জঙ্গী ও সন্ত্রাসী কর্মকা-। এটা কোন রাজনীতি নয়, হত্যাকাণ্ড ও পরিকল্পিত দুর্বৃত্তায়ন। আমরা এই ধরনের সন্ত্রাসের তা-বলীলা দেখেছি যুদ্ধাপরাধীর মামলায় যুদ্ধাপরাধীদের সাজা দেয়ার ঘটনায়। জামায়াত শিবির ও জঙ্গী গোষ্ঠী এই ধরনের নাশকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশ অচল করে দেয়ার চেষ্টা করতে দেখেছে গোটা দেশবাসী। আবারও এ ধরনের নাশকতা ও নৈরাজ্য অব্যাহত থাকার পেছনে গভীর ষড়যন্ত্রের নীলনকশা থাকতে পারে এবং এর পেছনে দেশী-বিদেশী মহলের মদদ থাকাটা স্বাভাবিক বলে মনে করেন সাবেক এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:০৮

রামন বলেছেন:
ম্যাডাম সেদিন বের হলে তারও পরিনতি এরকম হত৷ ম্যাডামের নিরাপত্তার জন্য আরও ২০টি বালুর ট্রাক বরাদ্ধ করা হোক৷

২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৩৮

অ িনর্বাি চত বলেছেন: বিএনপি যাতে বিদেশী কোন রাষ্ট্রের সাথে যোগাযোগ করতে না পারে বা কোন ধরনের লবিষ্ট নিয়োগ করতে না পারে ,তার জন্যই বিএনপির আমলের পররাষ্ট্র মন্ত্র¿নালয়ের সাবেক কর্মকর্তাদের উপর একের পর এক হামলা হয়েছে। শমসের মোবিনকে কি বিএনপি এরেষ্ট করিয়েছে? কোন অভিযোগ ছাড়াই তাকে গ্রেফতার কেন করা হল? প্রথমে শমসের মোবিন। তারপর সাবিহের উপর হামলা হল, তারপর রিয়াজ রহমানের উপর হামলা। সাবিহ এবং রিয়াজ রহমানের উপর কে হামলা করছে তা পরিষ্কার না হলেও শমসের মোবিনকে তো আওয়ামী লীগই গ্রেফতার করিয়েছে। যে কারনে শমসের মোবিনকে গেফতার করা হয়েছে, সেই কারনে বাকি দুইজনের উপরই ঔ গোষ্ঠই হামলা করেছে বলে দেশের সচেতন মহল মনে করেন। বিএনপি সাবিহ এবং রিয়াজ রহমানের উপর হামলা করেছে কথাটা যদি সত্যি হয়, তাহলে এটাও আমাদের মনে করতে হবে যে,শমসের মোবনিকে বিএনপি এরেষ্ট করিয়েছে। আওয়মী লীগের নোংরা রাজনীতির একটা সীমা থাকা উচিত। যে দলের ছাত্র নেতারা প্রকাশ্যে বলেন যে, সিনিয়র নেতাদের নেড়ি কুত্তার মত পিঠানো হবে, তারাই রিয়াজ রহমানের উপর হামলা করছেন।

৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:১৩

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: হমম যে রকম হাসিনা ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার আওয়ামী চক্রের শিকার হয়েছিল।

৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:১৪

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: হমম যে রকম হাসিনা ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার আওয়ামী চক্রান্তের শিকার হয়েছিল।

৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪৬

একাকি একজন বলেছেন: দু-বার ব্যর্থ হওয়ার পর আন্তর্জাতিক দৃষ্টি পেতে এটা অবশ্যই বি এন পির কিজেদের কাজ.........।

৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪৯

জেকলেট বলেছেন: ভাইরে সবাই আমাদের মত জনগনকে মামু ভাবে। বেআককলের দলকে যাবলি তাই খাবে চিন্তা কি??

এই বিএনপির সময় ২১ এ আগষ্ট আর এখন আওয়ামিলীগ রিয়াজ রহমান।

ঠিক আছে ভাই আমরা মামু ই তারপর ও প্লিজ একটু শান্তিতে মরতে দিন।

আর ভালো লাগেনা।এই বিএনপি আওয়ামিলীগ খেলা।
এই লাশ পোড়ানোর গন্ধ।
এত টেনশন।
তিনবেলা- সরি দুইবেলা ভাত খামু,
আপনাদের নি্র্দেশে খওয়া কমামু
শুধু একটু স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা চাই।

স্বাভাবিক জীবনের না, স্বাভাবিক বেচে থাকার না। স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা চাই।

আর আপনি যে পুথি পাট করলেন। যে কষ্ট করে এই লেখা লিখছেন তার থেকে অনেক কম কষ্টে সরকারের দায়িত্ব কি তা জেনে নিন।

সরকাকরি সংষ্থার কাজ শুধু ধারনা, খতিয়ে দেখা বা ষ্টেটমেন্ট দেওয়া নয়। অপরাধ ঠেকানো এবং অপরাধী ধরা ও

৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:০৫

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: এই দালালটার ব্লগে মন্তব্য করে কোন লাভ নেই। সে কোন মন্তব্যের জবাব দেবেনা। কারণ তাঁর বসেরা মন্তব্যের জবাব দেবার জন্য কোন পেমেন্ট করেনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.