নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রধানমন্ত্রী সৃষ্টি করেন, খালেদা জিয়া ধ্বংস করেন

১৯ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:২১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি-জামায়াত জোটের নাশকতা-ধ্বংসাত্মক ও জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, আমরা সৃষ্টি করছি, আর বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ধ্বংস করছেন। দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে দেশকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, আর উনি জঙ্গি ও সন্ত্রাসের নেত্রী হিসেবে আবির্ভূত হয়ে মানুষকে পুড়িয়ে মারছেন। যারা এসব নাশকতা-সহিংসতার মাধ্যমে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করছে, তাদের কাউকেই ক্ষমা করা হবে না। সারাবিশ্বে জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের যেভাবে বিচার হয়, বাংলাদেশেও একইভাবেই বিচার করা হবে।
বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৫তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
খালেদা জিয়ার উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দেশের মানুষকে শান্তিতে রাখতে যখন বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করি, তখন কিন্তু সেসব উনি সহ্য করতে পারেন না। জনগণের ওপর তার যেন অনেক ক্ষোভ। তার এসব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড কার স্বার্থে? আসলে উনি স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন না বলেই বাংলাদেশের উন্নয়ন তার সহ্য হয় না। তার দিলেতো আছে পেয়ারে পাকিস্তান। তার দেহ এদেশে থাকলেও হৃদয় তো ওই দেশে! এ কারণেই বাংলাদেশের উন্নয়ন ঠেকাতে তিনি জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ হত্যা ও ধ্বংসের রাজনীতি করে যাচ্ছেন। একটানা তিনি কার্যালয়ে বসে থেকে এসব করছেন। কে আছে যে নিজের বাড়ি ঘর রেখে অফিসে এতো দিন বসে থাকেন? আর ওই অফিসে বসে তিনি মানুষ হত্যার হুকুম দিয়ে যাচ্ছেন। একাত্তরের কায়দায় স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত ও জঙ্গীদের সঙ্গে নিয়ে খালেদা জিয়া দেশে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা শিক্ষার্থীদের নতুন বই দিই, আর উনি সেই বই পুড়িয়ে ফেলেন। তবে এসব আর সহ্য করা হবে না। কেউ দেশের ক্ষতি করলে তার কোনো ক্ষমা নেই। জঙ্গিবাদের শাস্তি অবশ্যই হবে।
দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে জঙ্গিবাদের স্থান হতে পারে না। এজন্য দরকার জনমত সৃষ্টি করা। দেশের প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে বিএনপি-জামায়াতের এসব নাশকতা-সহিংসতা ও জঙ্গীবাদী কর্মকান্ডের ব্যাপারে সচেতন করতে হবে। এ জন্য ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ, আওয়ামী মহিলা লীগসহ সকল সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতাকর্মীদের জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করতে হবে। দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো। এক্ষেত্রে যারা বোমা মারবে, আগুন দেবে, তাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে সোপর্দ করুন।
তিনি বলেন, আমরা দেশে শিশু ও মাতৃ মৃত্যুহার কমিয়েছি, আর বিএনপি নেত্রী বোমা মেরে শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা মাকে পর্যন্ত হত্যা করেছেন। তিনি বলেন, আমরা রেলের উন্নয়ন করলাম, আর উনি ৩৬ বার রেলের ওপর আক্রমণ করেছেন। যারা বাস-ট্রাকের ব্যবসা করে এমনকি ড্রাইভার-হেলপার তাদেরও পুড়িয়ে মারছেন তিনি। কোনো মানুষ যেন শান্তিতে না থাকতে পারে সেটা নিশ্চিত করাই যেন তার কাজ। উনি মনে হয় পুরো দেশের মানুষের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন!
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত প্রমুখ।
ড. হাছান মাহমুদের পরিচালনায় সভার শুরুতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরাবতা পালন করা হয়। দৈনিক ইত্তেফাক

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.