![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অন্তত তিনটি কারণে তাবিথ-আব্বাসকে আপনি ভোট দিবেন না এবং অন্যকে নিরুৎসাহী করবেন। সম্প্রতি এক জনমত জরিপে অন্তত এই তিনটি কারণে ঢাকাবাসী তাবিথ-আব্বাসকে ভোট দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছে।
প্রথম কারণ হলো, তারা দু'জনই দুর্নীতিবাজ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সরাসরি সুবিধাভোগী। এদের একজনের বিরুদ্ধে রয়েছে ১২৮ কোটি টাকার দুর্নীতি মামলা। গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী থাকা অবস্থায় মির্জা আব্বাস তেজগাঁও শিল্প এলাকার প্লট বরাদ্দে গুরুতর অনিয়ম ও রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় সরকারের অধিনে থাকা ১৮টি বাড়ি পাতানো দরপত্রের মাধ্যমে বিক্রি করে দেয়। বর্তমান বাজার দরে যাতে রাষ্ট্রে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ হাজার কোটি টাকা। অন্যজন কিছুদিন আগে পর্যন্ত ছিলেন ঋণ খেলাপি। এছাড়া তাবিথ কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নয়, সে মূলত তার বাবা আব্দুল আউয়াল মিন্টুরই ডামি ক্যান্ডিডেট। শুধু তাই নয় তার সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মূল মালিক তার বাবা। ১৭ টি কোম্পানির মাঝে ১৪ টির মালিক তার বাবা, বাকি তিনটি বাবার মালিকানাধীন অফিস বিল্ডিংয়েই অবস্থিত এবং কাগুজে কোম্পানী। এদের প্রদর্শিত সম্পদের চেয়ে ব্যাংক ঋণ কয়েকগুণ বেশি, এছাড়া ঋণ খেলাপী হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। তাই, যেকোন সময় এরা দেউলিয়াও হয়ে যেতে পারে। মূলত, একজন সরকারের সম্পত্তি অবৈধপন্থায় আত্মসাৎ করতে সহায়তা করে দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা হাতিয়েছেন অন্যজন ঋণ খেলাপীর মাধ্যমে জনগণের টাকা যেকোন সময়ে মেরে দেয়ার ধান্দায় আছেন। এমন ধরণের দুর্নীতিবাজ প্রার্থীদের বিএনপি নেত্রী স্বৈরতান্ত্রিকভাবে মনোনয়ন দিয়েছেন ঢাকাকে লুট করার জন্য। তাই জনগণ এদের ভোট দিতে পারে না।
দ্বিতীয়ত কারণ হলো, দুইজন এবং তাদের পরিবার নিকট অতীত সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জরিত ছিলো। তাবিথ আউয়ালের পিতার নামে রয়েছে হাফ ডজনেরও বেশি বিস্ফোরক আইনে মামলা। তিন মাসের উপর দেশব্যাপি যে ব্যাপক নাশকতা, সহিংসতা ও অগ্নীসংযোগের ঘটনাগুলো তার পিছনে রয়েছে তাবিথের পিতার অপরাজনীতি। একই ঘটনা আরেক মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের ক্ষেত্রে। তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের দায়ে মামলা আছে ৩৭টি। যারা কিছুদিন আগেও পেট্রোল বোমা মেরে জীবন্ত মানুষ জ্বালিয়েছে তারা কী করে ঢাকাকে মানুষের বসবাস উপযোগী নগর করতে পারে? কোন মানুষ তাদের ভোট দিয়ে জ্বালাও পোড়াও ফিরিয়ে আনতে চাইবে?
তৃতীয় কারণটি হলো, তাবিথের শ্বশুর বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতপন্থী ব্যবসায়ী নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইস্কান্দার আলী। তিনি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডের অডিট কমিটির চেয়ারম্যান এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসীর দন্ডপ্রাপ্ত আসামী মীর কাশেম আলীর পত্রিকা দৈনিক নয়া দিগন্ত ও দিগন্ত টেলিভিশনের পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান। এছাড়া মীর্জা আব্বাসের ঢাকা টেলিকম অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায় জরিত ছিলো। ২৪ ডিসেম্বর, ২০০৯ অবৈধভাবে বৈদেশিক কল আদানপ্রদানের অভিযোগে বাড্ডা থানায় ঢাকা ফোনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ঢাকা ফোনের লাইন ব্যবহার করে জমির টেলিকম বাংলাদেশে কল টার্মিনেট করতো। যাতে সরকার রাজস্ব হারিয়েছে কয়েকশত কোটি টাকা। বলা বাহুল্য, জনগণের ট্যাক্সে টাকাতেই দেশে উন্নয়ন হয়। সাধারণ জনগণ ট্যাক্স দেয় আর মির্জা আব্বাস মার্কা নেতারা শত কোটি টাকার ট্যাক্স ফাঁকি দেয়। এর ব্যতিক্রম নয় খোদ বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়াও। যিনি নিজেই কর ফাঁকি দিতে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ নিয়েছেন।
এই তিনটি কারণ গভীরভাবে বিশ্লেষণ করে আপনি কি আপনার মূল্যবান ভোটটি দিয়ে লুটেরা, দু্র্নীতিবাজ, স্বাধীনতাবিরোধীদের হাত শক্তিশালী করতে সরাসরি অবদান রাখবেন?
মনে আছে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে ভোট দিতে যাওয়া ভোটারদের খালেদা জিয়া কী বলেছিলেন? হ্যাঁ কুকুর বলেছিলেন। শুধু তাই নয় এখন যেই সেনাবাহিনীকে তারা নির্বাচনে চাইছেন সেই সেনাবাহিনী যখন খালেদা জিয়ার ক্যান্টনমেন্টে রাজনীতি করা বন্ধ করলেন তখন তাদের বলেছিলেন অকৃতজ্ঞ কুকুর। আন্দোলনের নামে করে শত শত মানুষ পুড়িয়ে জামিন নিয়ে বাড়ি চলে গেলে খালেদা জিয়া। তাইলে এই রাজনীতি তো দেখা যায় সব তাদের ব্যক্তিস্বার্থ। তারা ভোটারদের কুকুর আর সেনাবাহিনীকে বলে অকৃতজ্ঞ কুকুর। এরপরও জনগণ তাদের ভোট দিবে?
জনগণ সিদ্ধান্ত নিক তারা জয়ী হবে না পরাজিত হবে। জনগণকে জয়ী হতে হলে অবশ্যই খালেদা জিয়া মনোনিত প্রার্থীদের বর্জন করতেই হবে।
২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৩০
বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: ঢাকাবাসী তাবিথ-আব্বাসকে ভোট দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছে।
তো ভোটের আর দরকার কি, ঢাকাবাসী যাকে ভোট দিতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে তাকে বিজয়ী ঘোষনা করে দিলেই তো হয়।
৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:২৪
মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেছেন: জনগণেরটা জনগনের উপর ছেড়ে দেওয়া হলে বোঝা যাবে কত ধানে কত চাল ।
৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪
আমি আবুলের বাপ বলেছেন: ভোট ডাকাতি না হলে তাবিথ জিতবেন, কারন
(১) তিনি বি এন পির প্রার্থী।বাকী সব যোগ্যতা্ ছাপিয়ে এটাই তার বড় যোগ্যতা। বিগত পাচ সিটিতে বি এন পির প্রায় সব প্রার্থী আওয়ামী লীগের থেকে কম যোগ্যতা ছিলো।কিন্ত লাভ হয় নাই।
(২)কেউ কেউ মনে করেন সময় চেঞ্জ হয়েছে। কিন্তু সময় চেঞ্জ হয় নাই।কারন ৫ জানুয়ারী নির্বাচনের পর সরকার এমন কিছু দেখাতে পারে নাই, যে মানুষ আওয়ামী লীগেকে জেতাবে।বরং আরো খারপ হয়েছে।
(৩)আগে উন্নুনের প্রচারনা আওয়ামী লীগের কৌশল হলেও এখন সবচেয়ে বড় এবং একমাত্র কৌশল পেট্রল বোমা।আওয়ামী লীগের মন্ত্রী থেকে সবাই এক সুরে এই গান গাইতেছে। কিন্তু মানুষ বিশ্বাস করে না। এর ছোটো একটা প্রমান দেই। খালেদা জিয়ার ছেলে কোকো, যিনি কোনো নেতাও না, আবার দুর্নিতির অভিযোগে তিনি ছিলেন বিদেশে।তিনি যখন মারা যান, তখনই পেট্রল বোমার হামলা সবচেয়ে বেশি হয়েছে। কিন্ত তার জানাজায় তেমন কোনো প্রচারনা ,লোক ভাড়া করা ছাড়াই নিজের ইচ্ছায় দশ লক্ষাধিক লোকের বাংলাদেশের ২য় বড় জানাজা (১মটা প্রেসিদেন্ট জিয়ার) হয়।আবার সেই সময়টাও ছিলো হরতাল-অবরোধের।তবে সত্য কথা হল,এসব লোক কোকোর জন্য আসে নাই।আসছে প্রতিবাদের জন্য।মানুষ সরকারের কথা বিশ্বাস করলে জানাজায় এত লোক হতো না।বরং খালেদা জিয়াকে অভিশাপ দিত।আরেকটা বিষয় হলো,এসব লোকের অধিকাংশ ঢাকা এবং তার আশেপাশের।দশ লাখের যদি পাচ লাখও ঢাকার ভোটার হয়,তাহলেও হিসাব করে দেখেন।এরা ছাড়াও এদের পরিবারের মহিলারা,এক শ্রেনীর নিরব ভোটার এবং আলেম ওলামারা,মাদ্রাসার ছাত্ররা তো আছেই।
৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৩
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: আনিসুল হক জিতবেই - কারণ সমস্ত নিয়ম নীতি ভেঙে শেখ হাসিনা মন্ত্রীসভার বৈঠকে তাকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
আনিসুল হক প্রচারণার নামে অত্যাধিক ভাঁড়ামো করছেন। ভোটাররা এসব ভাড়ামি পছন্দ করে।
৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৭
ইভেন বলেছেন: ভাই আফনে কি আওয়ামীলিগ?????
৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:১০
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: @ইভেন, ইনি একজন চিহ্নিত পেইড ব্লগার। ব্লগ লেখার জন্য উনি টাকা পান, কিন্তু কমেন্টের জবাব দেওয়ার জন্য পাননা - তাই উনি কোন কমেন্টের জবাব দেন না।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
খালেদার ২ ডাকাত।
শেখ হাসিনার ২ ডাকাত।