![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে উত্তরের বিএনপি সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালকে নিয়ে চলছে সমালোচনার ঝড়। উশৃংখল জীবনযাপনে অভ্যস্ত তাবিথের অতীত ইতিহাসের দালিলিক প্রমাণ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে রীতিমতো হইচই। দলের মধ্যেও রয়েছে তার কঠোর সমালোচক। তবে সাধারণ ভোটারের মধ্যেই এর মাত্রা বেশি। তিনি কোন দলের- বিএনপি’র নাকি জামায়াতের নাকি ২০-দলের সে নিয়েও রয়েছে কানাঘুষা।
তাবিথ সম্বন্ধে অনুসন্ধানে বের হয়ে আসছে একের পর এক কালো অধ্যায়। ২০০৪ সালে থার্টি ফার্স্ট নাইট অর্থ্যাৎ ২০০৫ জানুয়ারির ১ তারিখ গুলশানের টপকাপি রেস্টুরেন্টে তাবিথের আয়োজনে বর্ষবরণের পার্টি হয়। জানুয়ারির ২ তারিখের “দৈনিক সংবাদ” পত্রিকার প্রথম পাতা থেকে দেখা যাচ্ছে সেই পার্টি হতে উদ্ধার হয়েছে ৫০০ বোতল মদ এবং গ্রেফতার হয়েছে বেশ কয়েকজন কল গার্ল। কল গার্লদের স্ট্রিপিং এবং পার্টির অনৈক কার্যকলাপের ছবি তুলতে গেলে আয়োজকদে দ্বারা লাঞ্ছিত হয় বেশ কয়েকজন সাংবাদিক। এদের মাঝে হামলায় সংবাদ, জনকন্ঠসহ ৬টি পত্রিকা ও এটিএন বাংলার ক্যামেরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সাংবাদিকদের উপর হামলার খবরে সেখানে পুলিশ ও র্যাব ছুটে যায় এবং তাবিথসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে। উদ্ধার হয় পতিতা, যৌনউত্তেজক ড্রাগস ও রেস্টুরেন্ট ভর্তি মদ। কোন অনুমতি ছাড়াই অধুনিকতার নামে মদ, মাদক এবং যৌনতায় পূর্ণ পার্টির আয়োজন করা হয়, যার মূল আয়োজক ছিলেন তাবিথ আউয়াল।
ঘটনা ধামাচাপা দিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা মাঝরাতে ছুটে গিয়েছিলেন। তাবিথ আউয়াল পিতা আব্দুল আউয়াল মুচলেকা দিয়ে ছেলেকে ছাড়িয়ে আনেন। এসময় ঘটনার দায় স্বীকার করে তাবিথ আউয়াল ক্ষতিগ্রস্থ ক্যামেরাগুলোর ক্ষতিপূরণ দিবে বলে জানায়।
ছোটবেলা থেকেই তাবিথের উশৃংখলতা প্রকাশ পায়। আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে পর্ন ম্যাগাজিন নিয়ে ধরা পড়েছিলো তাবিথ যা সেসময়ের সকলেই জানেন। জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি পড়ার সময় তার চারিত্রিক কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। ঐ সময়ের একটি ভিডিও আমাদের হাতে এসেছে, যাতে দেখা যায় কাউবয় স্ট্রিপার হিসেবে প্রকাশ্যে নৃত্য করছে তাবিথ আউয়াল। জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশুনা করা অবস্থায় কোবাল্ট গে ক্লাবের মেম্বার ছিলো তাবিথ। এছাড়া বর্তমানে তাবিথ বাংলাদেশের লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল ও ট্র্যান্সজেন্ডার (এলজিবিটি) নিয়ে কাজ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং রেইনার এবার্টের সাথে। নির্বাচিত হলে সমকামিতার অধিকার নিয়ে কাজ করবে বলে তাদের কথা দিয়েছে তাবিথ। রেইনার নাবালক ছেলেদের দিয়ে সমকামিতার পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে অর্থায়ন করছে তাবিথ।
সমকামী বলে স্ত্রীর সাথেও বনিবনা হচ্ছে না তাবিথের। তার শ্বশুর ইস্কান্দার আলী জামায়াতে ইসলামীর প্রভাবশালীদের একজন। শ্বশুরের রাজনৈতিক আদর্শ তাকে কাজে কর্মে সিদ্ধান্তে একেবারে প্রভাবিত করবে না বলে তাবিথ তার বন্ধুদের জানিয়েছে।
এদিকে ২০ দলীয় জোটের অনেকেই তাবিথকে আপন করতে পারছেন না, স্রেফ জোটের প্রার্থী বলেই মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। কিন্তু তাদের আচরণ বুঝিয়ে দিচ্ছে, ‘মেনে নেওয়া ও মনে নেওয়ার ফারাক অনেক’। বিএনপির নেতাকর্মীদেরও কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, সোনার চামচ মুখে নিয়ে যে তাবিথের জন্ম, তিনি কী করে তৃণমূলের নেতা হবেন? নগরের ছিন্নমূলের প্রতিনিধি হবেন? এছাড়া তার যেসব কুকীর্তির কথা শুনা যাচ্ছে তাতে করে কোন সভ্য নাগরিকের তার পক্ষে কাজ করা সম্ভব নয়।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:১১
বিজন শররমা বলেছেন: ভালবাসার বাংলােদশ বলেছেন: আনিছুল হকের পরাজয় নিশ্চিত বুঝতে পেরে আওয়ামী লীগের বেজন্মা প্রজন্ম তাবিথ আওয়াল সম্পর্কে অশালীন অপ্রচারের মেতে উটেছে। চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে চাই এই সব অপ্রচার অসত্য।