নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিক্ষোভ ডেকে মাঠে ছিলো না বিএনপি

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৪

সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিলেও এই কর্মসূচির সমর্থনে গতকাল রবিবার রাজধানীতে বিএনপি ও এর নেতৃত্বাধীন জোটের নেতাকর্মীদের মাঠে নামতে দেখা যায়নি। কর্মসূচির সমর্থনে কয়েকটি ঝটিকা মিছিল ছাড়া সারা দিন তেমন কোনো তৎপরতা ছিল না তাদের।

গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে রবিবার দেশব্যাপী প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান গত ২ সেপ্টেম্বর জোটের পক্ষে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। ওই দিন জোটের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রথমে ৫ সেপ্টেম্বর এ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই দিন হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব জন্মাষ্টমী থাকায় কর্মসূচি প্রত্যাহার করতে আহ্বান জানানো হয়। ওই আহ্বানে সাড়া দিয়ে কর্মসূচি এক দিন পর নির্ধারণ করে বিএনপি। কর্মসূচি ঘোষণা করে ২০ দলীয় জোটের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে একটি লিফলেটও গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

এদিকে রাজধানীতে ২০ দলীয় জোটভুক্ত দলগুলোর কেন্দ্রীয় নেতাদের তেমন কাউকে রাজপথে দেখা যায়নি। ঢাকা মহানগর বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলেরও বড় কোনো জমায়েত ছিল না। সকাল থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও এর আশপাশে অন্যদিনের চেয়ে বেশিসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল।

নেতারা কেন মাঠে নেই জানতে চাইলে বিএনপির মিত্র দলের শীর্ষ নেতারা বলেন, জোটের নেতৃত্বে থাকা বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের কিছু জানানো হয়নি। আর বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, 'রাজধানীসহ সারা দেশে কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।'

জোটের অন্যতম শরিক এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম সাংবাদিকদের বলেন, 'কর্মসূচি পালনের জন্য আমরা দলীয়ভাবে আমাদের কার্যালয়ে প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু জোটের নেতৃত্বে থাকা বিএনপির পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করা হয়নি।'

কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আমিনুর রহমান বলেন, 'বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশের সময় ও স্থানের কথা আমাদের জানানোর কথা ছিল। কিন্তু কর্মসূচির সমন্বয়কারী বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহানের কথা বললেও তিনি রবিবার সময় ও স্থানের কথা জানাবেন বলেছিলেন। কিন্তু আমাদের তাও জানানো হয়নি।'

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ শাহজাহান সাংবাদিকদের বলেন, 'ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে আজকের কর্মসূচি পালিত হয়েছে। পুলিশি বাধার কারণে অনেক স্থানে নেতাকর্মীরা নামতে পারেনি। কোথাও কোথাও নামলেও সেখান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।'

গতকাল সন্ধ্যায় বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক আসাদুল করিন শাহিনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, স্থানীয় বিএনপি ও যুবদল নেতাদের নেতৃত্বে ঢাকার বনানী, ধানমণ্ডি, মোহাম্মদপুর, ওয়ারী, মুগদা, খিলগাঁও, শাহবাগ, সবুজবাগ, মতিঝিল, শ্যামপুর, মিরপুরের কালশী, বংশাল, পল্টন, শেরে বাংলানগর, তেজগাঁও, কাফরুল, সূত্রাপুর ও দক্ষিণখানে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, মতিঝিলে শান্তিপূর্ণ মিছিল থেকে বিএনপি নেতা হিরুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়ার নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের একটি মিছিল জনসন রোড ও ঢাকা জজকোর্ট এলাকা প্রদক্ষিণ করে।

এ ছাড়া সারা দেশে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে দাবি করা হয় বিএনপির পক্ষ থেকে। তবে অনেক জেলায় বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ বাধা দিয়েছে। নোয়াখালী জেলায় পুলিশি বাধায় বিএনপির মিছিল পণ্ড করে দেওয়া হয়। রাঙামাটি জেলায় পুলিশি হামলায় কর্মসূচি পালন করা সম্ভব হয়নি। বরিশাল মহানগরে পুলিশ মিছিলে হামলা চালিয়ে চার বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশের লাঠিচার্জে ছয়-সাতজন নেতাকর্মী আহত হয়। পিরোজপুর জেলায় পুলিশি বাধা ও হামলায় মিছিল পণ্ড হয়েছে। মাগুরায় পুলিশি বাধায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়নি। রংপুর মহানগর, রংপুর জেলা, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, নওগাঁ, নড়াইল ও ময়মনসিংহ সদরে পুলিশি বাধার মুখে কর্মসূচি পালন করা সম্ভব হয়নি বলে জানানো হয়। বগুড়া ও কুষ্টিয়ায় পুলিশি বাধার মুখেও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।

ছাত্রদলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, ঘোষিত কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্রদল। গতকাল শাহবাগ মোড় থেকে কাঁটাবন মোড়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জিমনেসিয়াম গেট থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ, কারওয়ান বাজার মোড় ও পরিবাগে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদল।

- See more at: Click This Link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.