![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মার্কিন প্রশাসনের কাছে বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করার অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি, যুবদল, জাসাস ও ছাত্রদলের নেতা-কমীরা। ২৫ অক্টোবর রবিবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের এক সমাবেশে প্রধান অতিথি বিএনপি নেতা গিয়াস আহমেদ বলেন, ”তাজিয়া মিছিলে সন্ত্রাসী হামলার পর সরকারের পক্ষ থেকে ঢালাওভাবে বিএনপিকে দায়ী করা হচ্ছে। এ ধরনের বক্তব্যে সত্যিকারের ক্রিমিনাল অথবা সন্ত্রাসীদের বাঁচানোর একটি প্রক্রিয়া লক্ষ করা যাচ্ছে-যা কারো জন্যেই শুভ নয়।’
অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক এম এ বাতিন বলেন, ”আওয়ামী সরকারের মন্ত্রীরা বিপুল অর্থ ব্যয়ে মার্কিন প্রশাসনের কাছে বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এজন্য বাঁচার তাগিদে যারা পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এসে এসাইলামের আবেদন করছেন তাদেরকেই প্রাথমিক দৃষ্টিতে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এভাবে সরকার তাদের দস্যুবৃত্তিকে ধামাচাপা দিতে চাচ্ছে।”
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ্ব সোলায়মান ভূইয়া অভিযোগ করেন, ”কোন অঘটনের পর তদন্ত শুরুর আগেই সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে সরাসরি বিএনপিকে দায়ী করে বক্তব্য দেয়া হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারাও একইভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন। এভাবে বাংলাদেশকে বিএনপিশূণ্য করার গভীর চক্রান্ত চলছে।”
যুবদল নেতা সাইদুর রহমান সাঈদের সভাপতিত্বে এ সমাবেশ পরিচালনা করেন সোহরাব হোসেন। ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি এবং ভিন্নমত পোষণকারিদের বিরুদ্ধে বর্বরতার নানা প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আরো বক্তৃতা করেন বিএনপি নেতা আনোয়ারুল ইসলাম, সৈয়দ এম রেজা, শাহ আলম, ফারুক হোসেন মজুমদার, গিয়াসউদ্দিন, সেলিম রেজা, কামালউদ্দিন, জাহাঙ্গির সোহরাওয়ার্দি, খলকু কামাল, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রদল সভাপতি আতাউর রহমান আতা, সেক্রেটারি মাজহারুল ইসলাম জনি প্রমুখ।
নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য বিএনপির সভাপতি মাওলানা অলিউল্লাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান তার বক্তব্যে অভিযোগ করেন, ”চিকিৎসার জন্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া লন্ডনে গেছেন। অথচ সরকারি দলের পাতিনেতারা গলা ফাটাচ্ছেন যে, বেগম জিয়া নাকি আর দেশেই ফিরবেন না। এ ধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে নির্লজ্জভাবে। যা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ধুলিসাত করার সামিল।”
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের পর যারা বিএনপি অথবা জামায়াত-শিবিরের সমর্থক হিসেবে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছে তাদেরকেই সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং এ শ্রেণির শতাধিক বাংলাদেশিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের উদ্যোগ গ্রহণের পরই টেক্সাসের এল পাসো ডিটেনশন সেন্টারে অনশন শুরু করেছিলেন ৫৪ বাংলাদেশি। ৬ দিন পর ইমিগ্রেশন বিভাগের সাথে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের বৈঠকের পর অনশন ভেঙ্গেছেন সকলে। অনশন শুরুর ৪৮ ঘন্টা পর ১১ জনকে জামিনে মুক্তি দেয়া হলেও অন্যরা এখনও মুক্তি পাননি। বিভিন্ন স্থানে এদের আটক রাখা হয়েছে। Click This Link
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৫
বাংলার জামিনদার বলেছেন: ধর্মের কল বাতাসে নড়ে।