![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যেসব দেশ ও জাতি তাদের সমস্যাকে বা সমস্যাগুলোকে প্রায়োরিটাইজ করতে জানে, তারাই সার্থক হয়। সংক্ষিপ্ত তালিকা করে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে চিহ্নিত করা ও সমাধান দেয়া খুব কঠিন? মেধাবহুল দেশে মানুষের অযাচিত উপদেশ আর অপ্রত্যাশিত মন্তব্য কিংবা সবজান্তামীর পরও আমরা চোখে দেখি না। এ দেশ ও জাতির ইমিডিয়েট কিংবা আসন্ন বিপদ কি আসলে খালেদা জিয়া? রাজনীতি এমন এক ব্যামো, আমাদের তা এমনভাবে আচ্ছন্ন করে রেখেছে মূল সমস্যা ভাবতেই দেয় না। খালেদা জিয়া তিরিশ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করার পর থেকে এক ধরনের উষ্মা ও ক্ষোভ কাজ করছে। খুব স্বাভাবিক। দফায় দফায় প্রান্তিক জনগণকে ভুল বুঝিয়ে সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে জোট বেঁধে বিএনপি ক্ষমতায় গিয়েছে। সে সুবাদে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী শহীদ সংখ্যা নিয়ে আবোল-তাবোল বলতে পারেন না। কিন্তু মোকাবেলাটা রাজনৈতিক হওয়াই বাঞ্ছনীয় নয় কি? এখন দেখছি আদাজল খেয়ে তাকে সাইজ করার জন্য আদালতের শরণাপন্ন হচ্ছেন একদল সরকারি নেতা। আদালত ঠিক করে দিলেও কি আসলে শহীদ ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে বিতর্কের অবসান ঘটবে? রায় দিয়ে দিলে সেটাই আজীবন মানবে সবাই? স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের প্রৌঢ়ত্বের শেষপ্রান্ত পর্যন্ত আইন-আদালত ও বিচার নিয়ে যেসব কাণ্ড-কারখানা দেখেছি তাতে এ বিশ্বাস রাখা অসম্ভব। এটি মানি আদালতই পারে অবমাননার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সাজা দিতে, কঠিন হতে। তাছাড়া কথায় কথায় আইন হাতে তুলে নেয়ার দেশে বা সমাজে সরকারি দলও আইনের কাছে যায় এটা দেখতে ভালোই লাগে। কিন্তু খালেদা জিয়া কি এই বিতর্ক নিজ মনগড়া কোনো কারণে তুলেছেন? তার কি আসলে শহীদ সংখ্যা বা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে সত্যি কোনো আবেগ আছে? না তা কাজ করে? মুশকিল হলো, আমরা কেউ সত্য বলি না, বলতে চাই না। বঙ্গবন্ধু ও চার নেতার মৃত্যুর পর ভোল পাল্টানো কাদের সিদ্দিকী, আ স ম রব, শাজাহান সিরাজ বা মুক্তিযোদ্ধারাই যেখানে পথভ্রষ্ট সেখানে খালেদা জিয়া কেন অনুগত ও বিশ্বস্ত থাকবেন? একটা কথা বোঝা বা জানার জন্য রাজনীতিবিদ হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না যে, এই তথ্য বিভ্রান্তি অযথা বিতর্ক বা মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অবমাননা আসলে শিখিয়ে দেয়া। যারা তাকে চালায়, তাদের হিসাব-নিকাশ, দেশে এক ধরনের বুদ্ধিজীবী ও গণতান্ত্রিক নামে পরিচিত সুশীলদের দিকে তাকালেই এর উত্তর পাবেন। খালেদা জিয়া এদের পরোক্ষ প্রতিনিধি। প্রত্যক্ষ নন কেন? প্রত্যক্ষ হলে এদের ভাগ-বাটোয়ারা ও হিসসায় টান পড়বে। তারা তো একশ্রেণির আওয়ামী বান্ধবও বটে। আওয়ামী লীগ তোয়াব খানকে বাদ দিয়ে এদের সাংবাদিকতার জন্য পুরস্কার দেয়। ট্রফি পদক ধরিয়ে দিয়ে হাতে রাখে। দলের সেরা ঝানু নেতারা নিজে কখনো একটি বাণী লিখতে বা অপরকে দিয়ে মেহেরবানী লিখাতে পারলে সেটা এসব সুশীলদের মিডিয়ায় পাঠিয়ে দেয়। তলে তলে লাইনবাজি আর মনের ভেতর সাম্প্রদায়িকতা লুকিয়ে রাখা অনেকে খালেদা জিয়ার এই তত্ত্বের বিরোধিতা করলেও ভাবেন, সেটাই সঠিক। তিরিশ লাখ মৃত্যুর ব্যাপারটা ঠিক না। সেটাও সমস্যা না, সমস্যা কিন্তু এদের প্রতিদিনকার আচার-আচরণ আর ঘটনা পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় স্পষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনার পর বলা নেই, কওয়া নেই, দেশের শীর্ষতম প্রচারিত পত্রিকার ভেতরের লোকেরা আজেবাজে কথা বলতে শুরু করলেন। ভাবছেন ক্ষোভ বা বেদনায়? মোটেই তা নয়। বি-বাড়িয়ার ঘটনায় আলাউদ্দীন খাঁর সরোদ, স্মৃতিচিহ্ন, ধীরেন দত্ত পাঠাগার লুণ্ঠনকে ধামাচাপা দেয়ার আধুনিক কৌশলে তারা হঠাৎ প্রশ্ন রাখলেন। জাতি কি কোনোদিন ভেবেছে রবিশংকর কেন পণ্ডিত আর আলাউদ্দীন খাঁ কেন ওস্তাদ? এ যেন চার্চে কেন পোপ আর রামকৃষ্ণ মিশনে কেন স্বামীজী টাইপের ভাবান প্রশ্ন। মূলত আমাদের কোমলমতি তারুণ্যের মনে হিংসা ও বিদ্বেষের আরেক ধরনের বীজ ঢুকিয়ে দেয়া। যাকে দিয়ে লেখানো বা বলানো হয়েছে, বিদ্যাবুদ্ধি থাকলেও এটা তার মগজে ক্লিক করার কথা না। এর পেছনে ছিল একদা সুমতিসম্পন্ন বামের দর্মতি। হঠাৎ তারা প্রমাণ করতে চাইলেন পণ্ডিত নাকি ওস্তাদের চেয়ে বড়। ফলে কোনো এক সময় হিন্দুস্তানিরা অন্যায় করেছে। সে কারণেই কি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাঙচুর? নাকি যারা লুটপাট করেছিল তারা ওস্তাদকে পেলে ছেড়ে দিত? ভয়ের কথা এরাই সমাজের বুদ্ধিজীবী, এদের কেউ কেউ বিশেষত বয়স্কজনরা কাফনের কাপড় পরে মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে যান। বঙ্গভবনেও দেখি তাদের। মুখে ও মনে দোদেল বান্দারাই কিন্তু খালেদা জিয়ার ভরসা। এরা নিজেদের স্বার্থ জীবন ভোগ ও আয়েশের কারণে অন্য দল বা রাজনীতির ভান করলেও ভেতরে অন্ধ। তাদের প্ররোচনা আর উসকানিতেই বিএনপির এই মরণ দশা। খালেদা জিয়াকে আদালতে আনার চাইতেও জরুরি কারা এই তথ্য ও তত্ত্বের উসকানিদাতা সেটা জানা। এ জাতিকে স্বাধীনতার ঘোষক বিতর্ক চাপিয়ে হীনবল করা ও লড়াই জিইয়ে রাখার মানুষরা মরেনি। তারাও রক্তবীজের মতো। একদল গেলে আরেক দলের জন্ম হয়। আজ যারা সে দলে তারা চতুর। তারা খালেদা জিয়ার মতো মৃত ঘোড়াকে সামনে দিয়ে এদের মাঠ ও তৃণমূলের সমর্থকদের চাঙ্গা রাখার জন্য ভুল বলিয়ে নিচ্ছে। আদালত হয়তো কঠিনভাবে হস্তক্ষেপ করে এখন তা চাপিয়ে রাখবে। কিন্তু কখনো যদি সময় বা সুযোগ আসে এরা কি পাল্টা ছোবল মারবে না? ফলে রাজনীতি দিয়ে মোকাবেলা ও উপযুক্ত জবাবদানের বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগ ক্ষমতার কারণে সেটা না করলে বা তৈরি না থাকলে এই আপদ এ জাতীয় বিপদ জাতিকে ছেড়ে কথা বলবে না। জানা মতে মানুষ রাজনীতিবিমুখ। তাদের হাতে অনেক কাজ। অনেক উন্নয়ন ও প্রত্যাশার হাতছানি। তাদের সেদিকে রাখতে হলে মেধা ও পরিচর্যার রাজনীতি প্রয়োজন। কেউই তা করতে পারছে না। বয়স্কজনদের পাশাপাশি তারুণ্যকে সঙ্গে নিলে হয়তো একটা পথ বেরিয়ে আসতে পারে। সেও নিশ্চয়ই বলে দিতে হয় না। অপেক্ষার প্রহর দীর্ঘ না হওয়াই মঙ্গলের।
সিডনি থেকে
অজয় দাশগুপ্ত : কলাম লেখক।
২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২১
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: খালেদার কথায় কান দেয়াটাও গাধামির মতো। গায়েশ তো ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা। আলতু ফালতু বলে লাইম লাইটে আস্তে চাইছে।
আসলে খালেদার এই দেশে রাজনীতি করারই অধকার নেই।
৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩২
বার্ণিক বলেছেন: তাই তো । এত বড় ভুল কি হতে পারে ?
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৬
অদৃশ্য যোদ্ধা বলেছেন: মানুষ কথায় কথায় শুধু বলে ৩০ লক্ষ শহীদ বলা বঙ্গবন্ধুর ভূল ছিলো। তাহলে সঠিকটা কি ??? সঠিক উত্তর যদি জানেনই তবে জরিপ করার কথাই কেন বলছেন?? সঠিক উত্তর না জানলে কেউ ভূল উত্তর দিছে সেটাই কেমনে বুঝলেন?? আর বঙ্গবন্ধু তো মূর্খ ছিলেন, কোন দিন স্কুল কলেজে যায় নাই তাই ৩ আর ৩০ এর পার্থক্য বুঝে নাই। তাই না??? তো বঙ্গবন্ধু ৩০ না বলে ৫০ লক্ষ কেন বললো না? কিংবা তারও বেশী কেন বললো না?? ভূল করে ৩০ লক্ষই কেন বললো? বঙ্গবন্ধু লন্ডনে শহীদের সংখ্যাটা বলেছিলন ৮ই জানু ৭২ রে। এর আগে কতজন ভূল করে ৩০ লক্ষ বলেছে সেটার কিছু প্রমাণ আপনাদের দেই--
১। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই ইয়াহিয়া ঘোষণা করেন- “ওদের ৩০ লক্ষ হত্যা করো, বাকীরা আমাদের থাবার মধ্যিই নিঃশেষ হয়ে যাবে” [Robert payne, massacre, the trage of Bangladesh and the phenomenon of mass slaughter throught history, p-50, new york, macmillan, 1971] --এখানে কিন্তু ৩০ লক্ষ। প্রথম ভূলটা ইয়াহিয়া করলো। তাই না???
২। যুদ্ধ শুরু ৩ মাসের মাথায় কে ফোর্সের প্রধান খালেদ মোশারফ কানাডার গ্রানাডা ঠিভিতে এক সাক্ষাৎকারে বলেন-”ইতিমধ্যে ১ মিলিয়ন মারা গেছে এবং এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে ৫ মিলিয়ন পর্যন্ত মারা যেতে পারে”-----প্রথম ৩ মাসেই কিন্তু ১ মিলিয়ন। ভূলটা কি খালেদ মোশারফও করেছিলেন???
৩ । মুক্তিযুদ্ধের সময় কবি আসাদ চেীধুরী লিখেন তার বিখ্যাত কবিতা “রিপোর্ট ১৯৭১” সেখানে তিনি বলেন--
”জনাব উথান্ট,
জাতিসংঘ ভবনের মেরামত অনিবার্য আজ।
আমাকে দেবেন গুরু, দয়া করে তার ঠিকাদারী?
বিশ্বাস করুণ রক্তমাখা ইটের যোগান
পৃথিবীর সর্বনিম্ন হারে একমাত্র আমি দিতে পারি
যদি চান শিশুর গলিত খুলি, দেওয়ালে দেওয়ালে শিশুদের রক্তের আলপনা
প্লিজ, আমোকে কন্ট্রাক্ট দিন।
১০ লক্ষ মৃতদেহ থেকে
দুর্গন্ধের দুর্বোধ্য জবান শিখে রিপোর্ট লিখছি-পড় পাঠ কর।”-- প্রথম ৩ মাসেই ১০ লক্ষ। কবি আসাদ চৌধুরীও ভূল করেছেন?
আসাদ চৌধুরী যুদ্ধের মাঝামাঝিতে আরেক কবিতা লিখেন-”বারবারা বিডলারকে”। সেখানে লিখেন--
”বিবেকের বোতামগুলো খুলে হৃদয় দিয়ে দেখো,
ওটা একটা জল্লাদের ছবি
পনেরো লক্ষ নিরস্ত্র লোককে সে গলা টিপে হত্যা করেছে
অদ্ভুদ জাদুকরকে দেখো
বিংশ শতাব্দীতে সে কৌশলে, টেনে হিচড়ে মধ্যযুগে নিয়ে যায়।
দেশলাইয়ের বাক্সের মত সহজে ভাঙ্গে
গ্রন্থাগার, উপাপসনালয়, ছাত্রাবাস মানুষের সাধ্যমত ঘরবাড়ি
সাত কোটি মানুষের কাঙ্খিত স্বপ্নের ফুলকে
সে বুট দিয়ে জুতোয় থেতলে দেয়।”---- যুদ্ধের মাঝামাঝিতে ১৫ লক্ষ। এখানে আসাদ চৌধূরী আবারও ভূল করলেন??
৪। মুক্তিযুদ্ধাদের উদ্ধপ্ত করতে স্বাধীন বাংলা বেতার থেকে আকতার মুকুল পাঠ করেন ”চরমপত্র” । সেই চরমপত্রের শেষ সংখ্যঅ ১৬ই ডিসেম্বরে লিখেন- “২৫ শা মার্চ তারিখে সেনাপাতি ইয়াহিয়া খান বাঙ্গালিগো বেশুমার মার্ডার করনের অর্ডার দিয়া কি চোটপাট। জেনারেল টিক্কা খান সেই অর্ডার পাইয়া ৩০ লাখ বাঙ্গালির খুন দিয়া গোসল করলো। তারপর বাঙ্গাল মুলুকের খান খন্দক, দরিয়া পাহাড়, গেরাম বন্দরের মধ্যে তৈরি করলো বিচ্ছু।”---১৬ই ডিসেম্বরে ৩০ লক্ষ। আকতার মুকুলের সেই চরমপত্রেরও ভূল বলেছেন???
৫। দৈনিক পূর্বাদেশ পত্রিকায় ২২-১২-৭১ তারিখে “ইয়াহিয়া জান্তার ফাঁসি দাও” শিরোনামে সম্পাদকীয় প্রকাশ করেন। সেখানে লিখেন-- “হানাদার দুশমন বাহিনী বাংলাদেশের প্রায় ৩০ লাখ নিরীহ লোক ও দু শতাধিক বুদ্ধিজীবীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।”----- ২২ তারিখেও ৩০ লাখ। পত্রিকাতেও ভূল বলেছে???
৬। রাশিয়ান পত্রিকা “প্রাভাদা” ৩ জানুয়ারী ৭২ এ ৩০ লাখ শহীদের কথা উল্লেখ করেন। ৫ তারিখ ”মর্নিং নিউজ “ পত্রিকা প্রাভাদার সেই ৩০ লাখ শহীদের কথা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়।---এখানে ৩০ লক্ষ। এরাও ভূল করেছে???
৭। ঢাকার ”দৈনিক অবজারভার” ৫-১-৭২ এ শিরোনাম করে--”Pak army killed over 30 lakh people"------- এখানেও ৩০ লাখ??? এরাও ভূল করেছে??
৮। দৈনিক আজাদ পত্রিকাও ৫-১-৭২ এ শিরোনাম করে- “দখলদার বাহিনী বাংলাদেশে ৩০ লাখ লোকে হত্যা করেছে”---এখানে ৩০ লাখ?? এরাও ভূল করেছে??
আমার কাছে আরও প্রমাণ আছে সময়ের অভাবে লিখতে পারলাম না । সবাই কি ভূলে ৩০ লক্ষ বলেছে??? সব সঠিক কি জানে গু আজমের পুত্র আর বিএনপি নেতারা?? তারা এমনভাবে ৩০ লক্ষকে মুজিবের ভূল বলে প্রচার করে যেন ওরা আগে হত্যা করেছে এবং পরে ওরাই গুণে ডায়রীতে লিখে রাখছে। ৩০ লক্ষ বললেই মুজিবের ভূল বলে ম্যা ম্যা করে উঠে। মুজিবসহ সবাই শুধু ভূলই করছে আর সঠিক হিসাব করছে রাজাকার ও বিএনপিরা??