![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশের সব জঙ্গি সংগঠনের পেছনে জামায়াত রয়েছে বলে মনে করেন কয়েকজন বিশিষ্ট ইসলামী নেতা। তাঁরা জঙ্গিবাদে মদদদাতা জামায়াতকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘ইসলামের আলোকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস মোকাবিলায় আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তাঁরা এমন মত প্রকাশ করেন। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপপরিষদ গোলটেবিল বৈঠকটি আয়োজন করে।
গোলটেবিল আলোচনায় শোলাকিয়া ঈদগাহের প্রধান ইমাম মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, ‘দেশের সব জঙ্গি সংগঠনের পেছনে রয়েছে জামায়াত। এই সংগঠন এখন আন্ডারগ্রাউন্ডেও সুবিধা নিচ্ছে, বাইরেও সুবিধা নিচ্ছে।’
সরকারের উদ্দেশে ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, ‘আপনারা এখনো জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করতে লজ্জা পাচ্ছেন কেন? অনেকের ধারণা, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করলে তারা আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাবে। আমি বলি, তা কি এখনো বাকি আছে?’
জামায়াতকে উত্খাত না করলে বাংলাদেশকে পবিত্র করা সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ। তিনি বলেন, ‘মওদুদী কিভাবে তরুণদের ব্রেনওয়াশ করতে পারতেন, তা আমরা মুক্তিযুদ্ধের সময় দেখেছি। ওই সময় কাদের মোল্লা, মুজাহিদ তরুণ ছিলেন। মওদুদীর দর্শন কিভাবে তাদের হিংস্র বানিয়ে ফেলল তা আমরা দেখেছি। এখনো সেই দর্শন তরুণদের ব্রেনওয়াশ করে হিংস্র বানাচ্ছে।’
তরীকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী বলেন, ‘বাংলাদেশে লাখ লাখ আলেম-ওলামা ও হাজার হাজার ওয়াজিন আছেন। ওয়াজিনরা ইসলামের নাম নিয়ে ওয়াজ নসিহত করে যাচ্ছে। তারা কারা, তারা সরকারবিরোধী কি না? তারা জামায়াতের অনুসারী কি না? তারা যদি কোরআন-সুন্নাহর ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ওয়াজ করে তাহলে এটা বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনকে দিয়ে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।’
সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নজিবুল বশর বলেন, ‘জঙ্গিবাদ ইস্যুতে হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ছাড়াও লাখ লাখ আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখ কোথাও এক জায়গায় মিলিত হতে বা বসতে চায়। এ ব্যাপারে কাউকে দায়িত্ব দিয়ে এটা করা উচিত।’ তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ নিয়ে সরাসরি দায়ী পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। আর ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ জড়িত। জড়িত জামায়াতে ইসলামীর প্রেতাত্মারা। এরা জেএমবি-হরকাতুল জিহাদসহ বিভিন্ন রূপ ধারণ করে জঙ্গি তত্পরতায় লিপ্ত। তাই সবাই মিলে এ সমস্যা থেকে দেশকে উত্তরণ ঘটাতে এগিয়ে আসতে হবে।’
ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মেসবাহ উর রহমান চৌধুরী জঙ্গিবাদের জন্য জামায়াতে ইসলামীকে সরাসরি দায়ী করে বলেন, ‘জামায়াতকে ছোট করে দেখলে হবে না। দোস্তি করলে হবে না। তাদের টাকায় বিলবোর্ড টাঙানো ঠিক হবে না। এরা নেই কোথায়? এমনকি এরা সাংবাদিকদের মধ্যেও আছে।’ তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদবিরোধী প্রচারণায় একটি সেল গঠন করা প্রয়োজন। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের ঠাঁই হবে না। কারণ যারা জিহাদের নামে মৃত্যুবরণ করেছে তাদের লাশ নেওয়ার লোকও নেই। এমনভাবেই দেশের মানুষ জঙ্গিবাদকে ঘৃণা করে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপপরিষদের চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম। পরিচালনা করেন, আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ ও উপপ্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল।
©somewhere in net ltd.