নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৩

হাঙ্গেরির পথে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানটি অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে সে খবর এখন অনেকটা পুরনো। যাঁরা যন্ত্র আর কল-কবজার সামান্য খবরাখবর রাখেন, তাঁদের বুঝতে অসুবিধা হবে না যে বিমানটিতে যেকোনো সময় আগুন ধরে যেতে পারত এবং ঘটে যেতে পারত একটি ভয়াবহ বিয়োগান্ত দুর্ঘটনা, যা ঘটার জন্য দেশে ও দেশের বাইরে একটি মহল সেই ১৯৭৫ সাল থেকে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। এই মহলটি দ্রুততম সময়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে সদা তৎপর। এরা জানে, শেখ হাসিনাই এ মুহূর্তে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী সবচেয়ে বড় প্রতীক। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা দেশে থাকলে বঙ্গবন্ধু যে নির্বংশ হয়ে যেতেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এটি আল্লাহর রহমত যে দেশের বাইরে থাকার কারণে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সেই যাত্রায় বেঁচে গেছেন। শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পরও এর আগে তাঁকে ১৯ বার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে তাঁর জনসভাস্থলে যাওয়ার পথে তাঁকে বহনকারী ট্রাকের ওপর পুলিশ আর বিডিআর নির্বিচারে গুলি চালালে ঘটনাস্থলে ২৩ জন নিহত হন। কর্মীরা নিজের জীবন দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে সেদিন রক্ষা করেছিলেন। পরদিন সকালে তাঁর সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরীর বাসভবনে দেখা হলে তিনি আমার কাছে আগের দিনের ঘটনার বিস্তারিত তথ্য জানতে চান। অবাক হয়েছি যে তিনি নিজের কথা তেমন একটা চিন্তা না করে প্রথমে দলের কর্মীদের খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেখানে দলের বেশ কয়জন নেতা উপস্থিত থাকার কারণে তাঁরা বিষয়টি সম্পর্কে আমার চেয়েও বিস্তারিত ব্যাখা দেন। এ ঘটনার পর দিন সারা চট্টগ্রামে কারফিউ অবস্থা বিরাজ করছিল। মুফতি হান্নান শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য কোটালীপাড়ায় শক্তিশালী বোমা পুঁতেছিল। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে দলীয় জনসভায় গ্রেনেড নিক্ষেপ করে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল। সেবারও তাঁকে রক্ষা করার জন্য ২৪ জন দলীয় নেতাকর্মী জীবন দেন। আহত হয়ে এখনো শরীরে স্প্লিন্টার বহন করে চলেছেন প্রায় ৩০০ নেতাকর্মী। ঘটনাস্থলে নিহত হন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমান। এ ঘটনার দুদিন পর শেখ হাসিনার সঙ্গে সুধা সদনে দেখা করতে গেলে তিনি তখনো অনেকটা আতঙ্কগ্রস্ত থাকলেও বারবার বলছিলেন, ‘আমার জন্য এত মানুষ প্রাণ দিল?’ কোনো একজন রাজনৈতিক নেতার জীবন বাঁচাতে জেনেশুনে নিজের জীবন দিতে পারে তেমন উদাহরণ বিশ্বের রাজনীতির ইতিহাসে খুঁজলে পাওয়া যাবে না। একটি বিষয় ইতিহাসের দায়বদ্ধতার স্বার্থে বলে রাখা ভালো, শেখ হাসিনাকে হত্যা করার এই তিনটি বড় ঘটনার সঙ্গে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে বিএনপি ও তার কতিপয় নেতানেত্রী যে জড়িত তা এখন অনেকটা পরিষ্কার। চট্টগ্রামের ঘটনার সময় মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ছিলেন মির্জা রকিবুল হুদা। কে এই রকিবুল হুদা? ১৯৭১ সালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আর্টিলারি রেজিমেন্টের মেজর ছিলেন। কর্মস্থল ছিল যশোর সেনানিবাস। একাত্তরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যুদ্ধবন্দি হিসেবে পাকিস্তানে ফেরত গিয়েছিলেন। দেশ স্বাধীন হলে বঙ্গবন্ধু সরকারের প্রচেষ্টায় অন্যান্য বাঙালি সেনা সদস্যের সঙ্গে তিনি দেশে ফিরে আসেন; তবে সেনাবাহিনীতে তাঁকে আত্তীকরণ করা হয়নি তাঁর অতীত কর্মের কারণে। জিয়া ক্ষমতা দখল করে এমন ১৯ জন সেনা কর্মকর্তাকে পুলিশ বাহিনীতে আত্তীকরণ করেছিলেন, যাঁদের মধ্যে পরে দুজন পুলিশের মহাপরিচালক ও বাকিরা অতিরিক্ত আইজি-ডিআইজি পদ অলংকৃত করেছেন। একজন খালেদা জিয়ার আমলে নির্বাচন কমিশনের সদস্য হয়েছিলেন। ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় এসে খালেদা জিয়া মির্জা রকিকুল হুদাকে অতিরিক্ত আইজি পদে পদোন্নতি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন। মুফতি হান্নান যে কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতেছিল সে তারেক জিয়ার হাওয়া ভবন ঘনিষ্ঠ ছিল। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার সঙ্গে যারাই জড়িত ছিল, তারা সবাই বিএনপির হয় শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ছিল অথবা তারা এই ঘটনা ঘটানোর আগে নিয়মিত হাওয়া ভবনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করত। এসব তথ্য কোনো দল, গোষ্ঠী বা ব্যক্তিকে খাটো করার জন্য উল্লেখ করা হয়নি। করা হলো এই কারণে যে দেশে একধরনের বুদ্ধিজীবী আর সুধী ব্যক্তি আছেন, যাঁরা মনে করেন, দেশে কোনো বড় ধরনের ঘটনা-দুর্ঘটনা ঘটলে সরকারি দল বা তার হিতাকাঙ্ক্ষীরা এসব ঘটনার জন্য অহেতুক বিএনপি বা তাদের মিত্রদের দায়ী করেন। ইতিহাস বলবে বিএনপি বা তার মিত্রদের দায়ী করার পেছনে অনেক যুক্তি আছে।
২০ বার (সাম্প্রতিক বিমানের ঘটনাসহ) শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার পরও তিনি যে এখনো বেঁচে আছেন, হয়তো তাঁর হাত দিয়ে আল্লাহ কোনো ভালো কাজ করাবেন বলে তাঁকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। কিউবার নেতা ফিদেল কাস্ত্রোকে হত্যার জন্য সিআইএ ৬৩৮ বার চেষ্টা করেছে। কাস্ত্রো ও কিউবার নিরাপত্তা বাহিনীর সতর্কতার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের চেষ্টা সফল হয়নি। লিবীয় নেতা গাদ্দাফিকে হত্যা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র বছরের পর বছর চেষ্টা করেছে। ব্যর্থ হয়ে দেশটাকেই শেষ পর্যন্ত দখল করে নিয়েছে। আফ্রিকার কঙ্গোর স্বাধীনতার মহানায়ক পেট্রিস লুবুম্বাকে যুক্তরাষ্ট্র (সিআইএ) ও কঙ্গোর যৌথ চেষ্টায় ১৯৬১ সালের ১৭ জানুয়ারি হত্যা করা হয়। একই বছর যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সম্মিলিত ষড়যন্ত্রে নিহত হন জাতিসংঘের মহাসচিব ড্যাগ হামারশোল্ড। হামারশোল্ডকে বহনকারী বিমানে ভূমি থেকে গুলি করা হয়েছিল। ধারণা করা হয়, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ব্রিটেনের সেনা গোয়েন্দা সংস্থা এমআই-৬ জড়িত ছিল। হামারশোল্ড আফ্রিকায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সম্প্রসারণবাদ বিস্তারে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। ভূ-রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে সিআইএ বা এমআই-৬ হয়তো হত্যার পরিকল্পনা করবে না; তবে তিনি বিদেশের অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা অথবা ভেতরের শত্রুদের হাত থেকে কতটুকু নিরাপদ—তা এ মুহূর্তে চিন্তা করার সময় এসেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পেছনে সিআইএ ও পাকিস্তানের আইএসআইয়ের প্রত্যক্ষ মদদ ছিল, যা এখন প্রমাণিত। বর্তমান বিশ্বে একজন রাজনৈতিক নেতাকে কোনো বিদেশি গোয়েন্দাদের পক্ষে হত্যার চেষ্টা করা সহজে সম্ভব নয়। তা করতে হলে প্রয়োজন কাছের মানুষকে তাদের বন্ধু বানানো। এ কাজটি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের আগে ঘাতকরা বেশ দক্ষতার সঙ্গে করতে পেরেছিল। সে কারণেই শত্রু বাইরে খোঁজার আগে খুঁজতে হবে ঘরের ভেতর। সম্প্রতি শেখ হাসিনাকে বহনকারী হাঙ্গেরিগামী বিমানের নাট-বোল্ট ঢিলা হওয়ার ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে সেই তদন্ত কমিটি কতটুকু কার্যকরভাবে কাজ করতে পারবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। হয়তো দেখা যাবে সবশেষে কমিটি পুরো বিষয়টি দৈবের ওপর ছেড়ে দিয়েছে। যদিও এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীসহ অনেক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, এই নাট-বোল্ট ঢিলা হওয়ার পেছনে মানুষের হাত ছিল। বাংলাদেশ বিমানের বর্তমান যে নাজুক অবস্থা তেমনটি এর আগে কখনো ছিল না বলে মনে হয়। মোট ১০টি (বিমানের এক ইউনিয়ন নেতার মতে ১২টি) এয়ারক্রাফট আছে। এই কয়টি বিমানের জন্য কর্মকর্তা আছেন চার হাজার। এর অর্থ হচ্ছে প্রতিটি বিমানের পেছনে ৩৩০ থেকে ৪০০ জন কর্মকর্তা কর্মরত আছেন। তাঁরা সবাই জনগণের অর্থে বেতন-ভাতা পান। জনগণের অর্থের এত বিশাল পরিমাণের অপচয় অন্য কোনো খাতে হয় বলে মনে হয় না। বিমানের মতো এত অথর্ব একটি বিমান সংস্থা অন্য কোনো দেশে নেই, তা হলফ করে বলা যায়। তবে এ কথাটি বিমানে কর্মরত কেউ কখনো স্বীকার করবেন না। তাঁরা সব সময় তাঁদের সার্বিক অযোগ্যতাকে নানা যুক্তি দিয়ে খণ্ডন করতে বেশ পারদর্শী। একটি পুরনো প্রবাদ আছে—‘যদি থাকে জোর ইমানে, চড়তে পারেন বিমানে!’ এই প্রবাদটি বর্তমানের মতো আর কখনো সত্য ছিল না।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি ছিল ভিভিআইপি, যা যাত্রার কমপক্ষে ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কোনো ভিভিআইপি নিরাপত্তা সংস্থার কাছে বিমানের মতো একটি হাইটেক যন্ত্রের সব ধরনের নিরাপত্তা চেক করার মতো সক্ষমতা থাকার কথা নয়। বাংলাদেশেও নেই। তারা শুধু বিমানের ভেতর ও বাইরের নিরাপত্তা দিতে পারে, যা তারা দেয় বলে মনে হয়। একবার প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবেও তা দেখেছি। কিন্তু ইঞ্জিন তথা অন্যান্য জটিল কারিগরি বিষয় সম্পর্কিত নিরাপত্তার জন্য বিমান সংস্থার ওপরই নির্ভর করতে হয়। সুতরাং এসবের দায়িত্বে যাঁরা থাকেন তাঁদের ওপর আস্থা প্রশ্নাতীত হতে হবে। এ ক্ষেত্রে তার ব্যত্যয় ঘটেছে বলে মনে হয়। সংবাদে প্রকাশ, একজন পাইলটের নিরাপত্তা ক্লিয়ারেন্স নেওয়া হয়েছিল তদবিরের জোরে। এসব বিষয় তদন্তে বের হয়ে এলে ভালো। কেউ কেউ প্রস্তাব দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য আলাদা বিমান সংগ্রহ করা হোক। প্রধানমন্ত্রী তা নাকচ করে দিয়ে যথার্থ কাজ করেছেন। বিমান ক্রয় বড় কথা নয়, তার নিরাপত্তা বিধানই বড় কথা। পাকিস্তানের সেনা শাসক জেনারেল জিয়াউল হককে যে বিমান উড়িয়ে আকাশে হত্যা করা হয়েছিল, তা বিমানবাহিনীর বিমান ছিল। শর্ষের মধ্যেই যদি ভূত থাকে, তাহলে সমস্যা।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী একজন সাংবাদিক লিখেছেন, ওই দিনের ঘটনার সময় প্রধানমন্ত্রী পুরো বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর খুব স্বাভাবিক ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যাঁরা কাছ থেকে চেনেন তাঁরা এতে অবাক হবেন না। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, শেখ হাসিনা অনেক জাতীয় সংকটও ধৈর্য ও সাহস দিয়ে মোকাবিলা করেছেন। ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহ আর ২০১৩ ও ২০১৪ সালে দেশের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার পেট্রলবোমা যুদ্ধ শেখ হাসিনা এককভাবে মোকাবিলা করেছেন বললে অত্যুক্তি হবে না। ২০১৪ সালের নির্বাচন নিয়ে দলের ভেতরও অনেকের দ্বিধা ছিল। তেমন একটি প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলা করে তিনি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে সংবিধান সমুন্নত রেখেছেন। এটি মনে হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে, কোনো একটি জাতীয় সংকটের মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর চারপাশে যেসব নেতাকর্মী থাকেন বা যেসব কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীকে জনবিচ্ছিন্ন করতে সর্বদা ব্যস্ত থাকেন, তাঁদের অনেককে সময়মতো পাওয়া যায় না। ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় মনে হয়েছে, সত্যিকার অর্থেই শেখ হাসিনা একজন নিঃসঙ্গ শেরপার দায়িত্ব পালন করছেন। এমনটি হওয়ার প্রয়োজন ছিল না। তিনি তাঁর মৃত্যুকে নিয়তির ওপর ছেড়ে দিয়েছেন, যা তিনি সব সময় বলে থাকেন। তবে এটা মনে রাখতে হবে, নিয়তির ওপর হয়তো কারো কোনো হাত নেই; তবে এই মুহূর্তে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদের মতো বলব না—‘আপনি আরো ২০০ বছর বাঁচুন’। কিন্তু এটা তো বলতে পারি—নিজের জন্য নয়, দেশের ১৬ কোটি মানুষের জন্য শেখ হাসিনাকে আরো অনেক দিন বেঁচে থাকতে হবে। এ মুহূর্তে শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। তা দেশের জন্য হোক বা দলের জন্য। তাঁকে হত্যার জন্য চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তা মোকাবিলা করার জন্য চাই তাঁর চারপাশে বিশ্বস্ত নেতাকর্মী আর দেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও প্রগতিশীল চিন্তাচেতনায় উদ্বুদ্ধ সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্র। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলি, ঘাতকরা আপনার কোনো ক্ষতি করুক তা দেখার জন্য আপনার অসংখ্য নেতাকর্মী তাঁদের জীবন দেননি। বিজয়ের এই মাসে শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.