নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নই সাধারন তবু নই অসাধারন!!জীবনকে ভালোবাসি ,মানুষকে ভালোবাসি তবে কোন মানুষ নামের পশুকে ভালোবাসিনি!! মানুষ হিসেবে একদমই সাদামাটা আমি,কেউ চাইলেই আমার সরলতাকে খুন করে রক্তাক্ত করতে পারে!!কিন্তু ক্ষত হলেও ক্ষতি করতে পারবেনা!!

জাহান জারা মুন

দেহের কোথাও অন্তরালে মনের ভেতরইতো মানুষের বসবাস; সুতরাং মৃত্যুটা তো ছোট গল্প বেঁচে থাকাটাই উপন্যাস।তবুও আমরা ছুটছি জীবনের পিছু.।

জাহান জারা মুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবনের মানে আত্মসম্মানবোধ

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:১৮

নিজেদের সম্পর্কে আমরা যা ভাবি সেইটাই হলো আত্মমর্যাদা বোধ। আমি আমার আত্মসম্মান থেকে কোন সম্পর্কের অধিক গুরুত্ব কখনও কারো দিবো না৷ বরং আমার আত্মসম্মানে আঘাত আসে এমন পরিস্থিতি যদি কেউ সৃষ্টি করে তাকে সকল সম্পর্কের বিবেচনার বাহিরে রাখতে দ্বিধাবোধ ও করবো না হুম এটাই "আমি"৷আমার কাছে আত্মসম্মান সকল কিছুর ঊর্দ্ধে!উন্নত আত্মসম্মান বোধ সুখী, পরিতপ্ত এবং অভীষ্ট লাভে উদ্যোগী জীবন যাপন সম্ভব করে। নিজের যথার্থ গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন না হলে আত্মসম্মানবোধ বাড়ে না। ইতিহাসের মহান বিশ্বনেতা ও আচার্যরাও এই কথাই বলেছেন যে অন্তরের প্রেরণা ব্যতীত সফল হওয়া যায় না।তেমনি সমালোচনা আমরা সবাই কম বেশি করে থাকি। তবে সমালোচনা করাটা কোন সমস্যা নয় কিন্তু সমালোচনা এমন তীব্রতার সঙ্গে করা ঠিক নয় যেন কোনও প্রবল প্রতিযোগিতায় বিজয়ীর পুরস্কারের প্রতিযোগী আপনি এবং যাকে নিয়ে বলছেন তার আত্মসম্মান নষ্ট করে বড় হচ্ছেন ভাবছেন৷অন্যের সমালোচনা করুন ঠিক আছে তবে ব্যক্তির আত্মসম্মানের দিকে আঘাত না আসে সেদিকে অবষ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে৷এমনটা কোন শালীনতায় পরে না৷
আত্মসম্মান বোধ না থাকলে শালীনতাবোধ ও থাকেনা৷
অন্যের প্রতি প্রশংসা বাক্য ব্যবহারে যদি কৃপণ থাকে আমাদের আবার কিসের ভৃত্তিতে অপরের নিকট প্রশংসা প্রাপ্তির আশা রাখেন। তাদের অন্যের প্রশংসা করলে তার ভুল ব্যাখ্যা করার প্রবণতা থাকে আবার কেউ তাদের প্রশংসা না করলে সেটা তাদের প্রাপ্য নয় বলে মনে করেন৷ সত্যি বলতে এমন স্বভাবে মানুষগুলো ঠিক যেনো ইঁদুর দৌড়ে তারা অংশগ্রহণকারী। ইঁদুর দৌড়ের সমস্যা হচ্ছে, জিতলেও ইঁদর থেকে যেতে হয় হারলেও ইঁদুর হয়েই মরে যাবে৷এদের মোটকথা নিজেদের সম্পর্কে তাদের কোনও গর্ববোধ নেই৷তারা মুখুশের আড়ালে (The put on a mask)— নিতেই জানে,কখনও দিতে জানেন না৷মুখখাশের আড়ালে আত্মমর্যাদাবোধহীন মানুষগুলির অবস্থা ঠিক এমনটাই হবে——একজন তরুন কর্মকর্তা উঁচুপদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন বটে কিন্তু তার নতুন পদের মর্যাদার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছিলেন না। একদিন দরজায় আওয়াজ শুনে ভাবলেন যে তিনি কত ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ তা আগন্তুককে বুঝিয়ে দেওয়া দরকার। তিনি আগন্তুককে ভিতরে আসতে বলে ফোনটা তুলে নিয়ে কথা বলতে শুরু করলেন। আগন্তুক অপেক্ষা করছেন, কিন্তু তিনি ফোনে কথা বলেই চললেন। ফোনে তিনি শুনিয়ে শুনিয়ে বললেন, না না ওসব কোনও সমস্যাই হবে না; আমি ঐ বিষয়টা নিজেই দেখব। কয়েক মিনিট পরে তিনি ফোন নামিয়ে রেখে আগন্তুকের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন তিনি তার জন্য কি করতে পারেন। আগন্তুক বললেন, আমি আপনার টেলিফোনটি চালু করে দিতে এসেছি।
এরূপ ব্যবহারের অর্থ কী হলো?
এরূপ চাতুরী কেন?
এর দ্বারা কী প্রমাণ হয়। এতে লাভই বা কী হয়?
মিথ্যা বলার দরকার কী?
মিথ্যা গর্বের জন্য এত আকাবা কেন?
এগুলি আসে নিরাপত্তা ও আত্মমর্যাদা বোধের অভাব থেকে।
ছল-ছাতুরীর প্রয়োজন কী?
আমরা যা করি বা করিনা, আমরা যা কিছু পছন্দ করি বা করিনা তাই দিয়েই আমাদের চরিত্রের বিচার হয়।
আমাদের প্রত্যেকটি কাজেই আমাদের চরিত্র প্রকাশিত, সুতরাং এত ভান বা ভনিতা করার কোনও প্রয়োজন নাই। আমি বিশ্বাস করি যদি কারুর দৃঢ় বিশ্বাস থাকে স্পর্শকাতরতা থাকে এবং সবার সহযোগীতা নিয়ে কাজ করার ক্ষমতা থাকে তবে তিনি অন্যের উপর নিজের প্রভাব বিস্তার করতে পারেন। সেই মানুষের আত্মসম্মানবোধ প্রগাঢ়।বেশি অহংকারবোধ থাকার অর্থ আত্মমর্যাদা বোধ নয়। কেউ যদি নিজের সঙ্গে শান্তিতে থাকতে না পারে তবে অন্যের সঙ্গেও শান্তিতে থাকতে পারবেনা। আমাদের যা নেই তা নিয়ে আমরা অন্যদের দিতে পারিনা। যদি আত্মসম্মানবোধের উপাদান আমাদের না থাকে। তবে আমরা তা অপরের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারবনা। এর জন্য আমাদের আত্মানুসন্মান করে বিতি গুলি দুর করতে হবে। এবোপ্লেনেও নিরাপত্তার নির্দেশনাবণীতে ও আছে আগে নিজে অক্সিজেনের মাসক পরে ,পরে সঙ্গের বাচ্চাকে পরাতে হবে৷ এটি বাচ্চার নিরাপত্তার জন্যই নিজেকে আগে বাঁচাতে হবে এখানে ব্যক্তির নিজ স্বার্থ কাজ করে না ৷আমরা নিজেদের সম্পর্কে যে মূল্যায়ন করি সেটিই হোল আত্মমর্যাদবোধ। নিজেদেরকে যে ভাবে আমরা দেখি সেই দেখার মধ্যে দিয়েই আমাদের আত্ম-প্রতিচ্ছবি তৈরি হয় এবং সেগুলি অন্যের সংস্পর্শে এসে আরো দৃঢ় হয়।জন্মের দিন থেকেই আমাদের মধ্যে এই আত্মমর্যাদবোধের সুচনা হয় তা সে ইতিবাচক আত্মমর্যাদাবোধই হোক কিংবা নেতিবাচক। নিজের সম্পর্কে অনুভুতি গুলি ধীরে ধীরে তৈরি হয় এবং সেগুলি অন্যের সংস্পর্শে এসে দৃঢ় হয়৷
বিশ্বাস করুন পৃথিবীতে যত সুস্থ সবল ভিক্ষুক আছে যদি তাদের আত্মসম্মান বোধ থাকতো তাদের কখনই পথে দেখতে পেইতেন না তেমনি সমাজের মোখশের আড়ালে যত নষ্ট নোংরা চরিত্রের মানুষ আছে যদি সুষ্ঠ আত্মসম্মানবোধ থাকতো তাহলে একটাও অনৈতিক কার্মকান্ডও চোখে পরতো না৷

——————মুন

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.