নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নই সাধারন তবু নই অসাধারন!!জীবনকে ভালোবাসি ,মানুষকে ভালোবাসি তবে কোন মানুষ নামের পশুকে ভালোবাসিনি!! মানুষ হিসেবে একদমই সাদামাটা আমি,কেউ চাইলেই আমার সরলতাকে খুন করে রক্তাক্ত করতে পারে!!কিন্তু ক্ষত হলেও ক্ষতি করতে পারবেনা!!

জাহান জারা মুন

দেহের কোথাও অন্তরালে মনের ভেতরইতো মানুষের বসবাস; সুতরাং মৃত্যুটা তো ছোট গল্প বেঁচে থাকাটাই উপন্যাস।তবুও আমরা ছুটছি জীবনের পিছু.।

জাহান জারা মুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার একটা তুমি আছে?

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১৯

"এই শোনো,আমার একটা তুমি আছে সেটাকি তুমি জানো!"হুটহাট করে কাছের মানুষটা যদি এমন প্রশ্ন করেই বসে সত্যি তার জবাব টা ইতিবাচক হয় না৷তখন প্রশ্ন উল্টো দিক থেকে চলে আসবে, আসলে তুমি টা কে? প্রতিটা মানুষের একটা তুমি থাকে যে ডায়েরীর অনেকটা পাতায় নিজেকে দখল করে নেয় ৷
আমাদের অনেকের-ই একটা ডায়েরী আছে৷ উহু হ্যা এটা শুধু লেখার ডায়েরী নয়, কথা বলার ডায়েরী ও হতে পারে এবং ডায়েরী মানুষ ও হতে পারে৷প্রচন্ড সুখে তোমার কথা বলতে ইচ্ছে করে, সুখ ছড়িয়ে দিতে ইচ্ছে করে তাহলে ডায়েরীর মানুষটাকে খোঁজবে হৃদয়৷সুখ লুফে নেওয়ার মানুষের অভাব হবেনা৷ প্রচন্ড মন খারাপে ও তোমার কথা বলতে ইচ্ছে করে৷ মনের কোনে জমে থাকা তীব্র কষ্ট ও ছড়িয়ে দিতে ইচ্ছে করবে৷ তখন কাউকে পাবানা৷ তোমার ছোট্ট পৃথিবী তে স্রেফ একজোড়া হাত থাকবে, যে একজোড়া হাত তোমার মন খারাপের বর্ষার প্রতিটি ফোঁটা ছুঁয়ে দিতে প্রস্তুত ৷ সে প্রস্তুতকৃত মানুষটিই ডায়েরীর মানুষ৷ যেটা হলো আমার একটা তুমি আছে৷
আর সেই মানুষটাই তোমার হাত ডায়েরী মানুষের হয়ে যাবে৷ তোমার প্রচন্ড সুখ, প্রচন্ড মন খারাপে পাশে থাকা অনেকগুলা সাদা পৃষ্ঠার ডায়েরী হয়ে শব্দে শব্দে ছন্দ তৈরি করবে৷ তখন এই ডায়েরীর পাতা উল্টালে যে তুমি কে পাবে সে তুমিটাই আমার জীবন্ত ডায়েরী৷ একগাদা বিশ্বাস নিয়ে, বড় একটা নিঃশ্বাস নিয়ে হড়বড় করে তুমি ঐ ডায়েরী তে সব লিখবে না ঠিকই কিন্তু লেখা হয়ে যাবে৷ মন খারাপের কারন কিংবা কেন তোমার ভালো থাকার বারণ৷ সব লিখে ফেলার পর মন হালকা হয় তোমার, মন ভালো হয় আস্তে আস্তে৷ তারপর ডায়েরী টা বন্ধ করো, অন্য একটা মন খারাপের দিন পর্যন্ত সাদা পৃষ্ঠা হয়ে অপেক্ষায় থাকে৷
তুমি স্বার্থপর! লজ্জ্বা পেওনা, জগতের প্রতিটা মানুষ স্বার্থপর! ডায়েরী মানুষ টার কাছে নিজের মন খারাপের উপন্যাস পুরো টা পড়ে শুনিয়েছো; কখনো জানতে চেয়েছো, ডায়েরী টার কভার টা উজ্জ্বল রঙের আর ভেতরের পৃষ্ঠা গুলো হালকা নীলচে রঙের কেন? নিজের দুঃখ গাঁথা যে ডায়েরীর প্রতিটি পৃষ্ঠায় লিখে ভরাট করো, কখনো জানতে চেয়েছো ঐ পৃষ্ঠা টা আগে থেকেই একটু মুচড়ে আছে কেন? কখনো জানতে চেয়েছো, ডায়েরী টা প্রতি বর্ষায় জানালার কাঁচ হালকা একটু খুলে বাইরে হাত বাড়িয়ে কি খোঁজে? কিসের স্পর্শ খোঁজে? কখনো জানতে চাওনি, কারন তুমি স্বার্থপর! লজ্জ্বা পেওনা, জগতের প্রতিটা মানুষ ও স্বার্থপর আর স্বার্থপর তুমি এজন্যই তুমি জানোই না তোমাকে রাখা হয়েছে আমার একটা তুমি করে৷
তবে আমার ছোটবেলা থেকেই চুরি করে অন্যের ডায়েরী পড়ার খারাপ একটা বদ অভ্যাস ছিলো, এখনো আছে৷ কারন আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে,আমার একটা তুমি আছে মানুষগুলোকে৷ আবার খুব ইচ্ছেও করে যদি কারো ডায়েরীতে আমি হয়ে থাকি কারো "তুমি" ৷ আমার বড্ড শুনতে ইচ্ছে করে, জানতে ইচ্ছে করে গভীর রাতে মানুষ গুলো ছাদের কোনায় বসে কোন ভাবনায় ভাসে, কিসের সুখে হাসে৷ কি খোঁজে দুর আকাশের চাঁদে? হাতের ফাঁকে মুখ লুকিয়ে, সুখে থাকার পাঠ চুকিয়ে, নিরব হয়ে চুপটি করে কেনই বা কাঁদে? ডায়েরী মানুষ হতে ইচ্ছে করে খুব৷ সবারই করে তবে আমার একটা তুমিও সেটা চাইবে কিন্তু সে কি জানবে?
আসলে তা চাইলেও হতে পারিনা আমরা আর জানতেও পারিনা৷ কারন আমরা একটা প্রশ্ন করতে অভ্যস্ত, "কেমন আছো?" পরের প্রশ্নটি আর করা হয়না, "সত্যিই তুমি ভালো আছো?" প্রথম প্রশ্ন ভদ্রতার, পরের প্রশ্ন সত্যতার! প্রথম প্রশ্নে সবাই মিথ্যে বলে, দ্বিতীয় প্রশ্নে কষ্টে থাকা মানুষটি কাঁদে৷
আসলে আমরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, অফিসার তো নিজের জন্যেই হয়ে থাকে কিন্তু যদি পারো তবে একটা ডায়েরী হও" আমার একটা তুমি হও"—পৃথিবী তে নিঃস্বার্থ মানুষ গুলো ক্রমে কমে আসছে, তাই আমার একটা ডায়েরীটার বড্ড অভাব বড্ড অভাব৷
—————শুভ্রতা

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.