নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিং টাইগার

When i was five years old my mother always told me that happiness was the key to life. When I went to school, they asked me what I wanted to be when i grew up. I wrote down happy. They told me I didn't understand the assignment, I told them they didn't u

উৎকৃষ্টতম বন্ধু

নামের সার্থকতা রক্ষার চেষ্টায় আছি।

উৎকৃষ্টতম বন্ধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসঃ ভারসাই(versailles) চুক্তি

২৫ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:২৫

১৯১৮ সালের ১০ নভেম্বর, জার্মানি ও তার মিত্রপক্ষের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে ১ম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়। পরের দিন, তথা ১১ নভেম্বর জার্মানি ও মিত্রশক্তির মধ্যে আত্মসমর্পণ চুক্তি সাক্ষরিত হয়। এই পরাজয় হজম করতে, অনেক জার্মান প্রস্তুত ছিলেন না। কেননা, সেই সময় বিভিন্ন যুদ্ধের ময়দানে জার্মানরা শত্রুপক্ষের সাথে তুমুল লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল। এমতাবস্থায়, পরাজয়ের খবর অনেক জার্মানের কাছে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত আসে। পরাজয়ের গ্লানি তারা কখনো হজম করতে পারেননি।





যুদ্ধে পরাজয়ের কারণে জার্মান রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হয়। জার্মানিতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৩৩ সালে, হিটলার, চ্যান্সেলর হবার মাধ্যমে, জার্মানিতে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। এর মাঝে, ১৯১৮ থেকে ১৯৩৩ সাল পর্যন্ত, যে গণতান্ত্রিক যুগ ছিল তাকে WEIMAR REPUBLIC বলা হত।





১৯১৯ সালের ২৮ জুন, জার্মানির সাথে মিত্রপক্ষ "ভারসাই চুক্তি(versailles pact)" করে। জার্মানির অন্যান্য মিত্রদের সাথে ভিন্ন ভিন্ন চুক্তি সম্পন্ন করা হয়। তবে এদের মধ্যে সবচেয়ে কঠোর ছিল ভারসাই চুক্তি।







জার্মানিকে এই আত্মঘাতী চুক্তি স্বাক্ষরে বাধ্য করা হয়।





চুক্তির মাধ্যমে, জার্মানির সাথে মিত্রপক্ষের যুদ্ধাবস্থার ইতি টানা হয়।

কিন্তু যুদ্ধের জন্যে পুরাপুরি জার্মানিকে দায়ী করা হয় এবং রাজা কাইজার দ্বিতীয় উইলহেমকে প্রধান যুদ্ধাপরাধী ঘোষণা করা হয়। জার্মানরা তাদের কাইজারকে ভালবাসত, এবং এই সিদ্ধান্ত তাদের মনে তীব্র আঘাত হানে।





চুক্তি অনুসারে, জার্মানিকে যুদ্ধের সমস্ত ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য করা হয়। জার্মানির পক্ষে তা প্রদান করা বাস্তবিকপক্ষে সম্ভব ছিল না। জার্মানি এই ক্ষতিপূরণের অতি সামান্য অংশ দিতে গিয়েই দেউলিয়া হয়ে যায়।





ফলে অল্প কয়দিনেই দেশে অর্থনৈতিক ধস নামে। লোকজনের কোন কর্মসংস্থান ছিল না। এই সময় অনেক যুদ্ধফেরত মানুষ এসে দেখল যে, বিভিন্ন কল কারখানার এবং অফিস আদালতের বড় বড় পদগুলো ইহুদীদের দখলে। ১ম বিশ্বযুদ্ধে পুরো জার্মানি যেখানে যুদ্ধের পক্ষে ছিল, সেখানে ইহুদী সম্প্রদায়ের অধিকাংশ মানুষ ছিল যুদ্ধের বিপক্ষে। এই কারণে ইহুদীদের থেকে সবচেয়ে কম লোক যুদ্ধে গিয়েছিল।





মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইহুদীদের টান ছিল অবাক করার মত। যুক্তরাষ্ট্র যখন যুদ্ধে যোগদান করে, তখন ইহুদীদের আনন্দের সীমা ছিল না। এভাবে সাধারণ জার্মানদের মনে ইহুদিবিরোধী মানসিকতার বীজ রোপিত হয়। ইহুদীদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগও উঠে যে, তাদের পরোক্ষ ইন্ধনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ১ম বিশ্বযুদ্ধে মরার উপর খাড়ার ঘার মত যোগদান করে। এতগুলো দেশের আক্রমণ জার্মানির পক্ষে একা সামলানো সম্ভব হয়ে উঠেনি বলেই তাদের পরাজয় বরণ করতে হয়েছে।





ভারসাই চুক্তির প্রতি জার্মান নাগরিকের ঘৃণা অমূলক ছিল না। কারন একে তো পুরা যুদ্ধের সমস্ত ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য করা হয়েছে, তার উপর, জার্মানিকে পঙ্গু করে দেওয়ার জন্যে আরো অনেক কঠিন শর্ত আরোপিত হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, বিশাল জার্মান আর্মি ভেঙ্গে দেওয়া এবং জার্মানির অনেক ভুখন্ড নিরাপত্তার অজুহাতে কেড়ে নেওয়া।





চুক্তি অনুযায়ী, জার্মান আর্মিতে সৈন্য সংখ্যা হবে সর্বোচ্চ এক লাখ(১,০০,০০০)।





সাধারণ সৈন্যদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বারো বছর, এবং অফিসারদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পঁচিশ বছর সেনাবাহিনীতে থাকবার অনুমতি প্রদান করা হয়।





জার্মানির একটি নামকাওয়াস্তে নৌবাহিনী থাকবে। নৌসেনা সংখ্যা সর্বোচ্চ পনের হাজার(১৫,০০০) থাকতে পারবে।





ব্যটলশীপ সর্বোচ্চ ৬টি। তাও এদের ওজোন ১০,০০০ টনের বেশী হতে পারবে না।(দশ হাজার টনের ব্যটলশীপকে তখন খেলনা ব্যটলশীপ বলা হত)।





নৌবাহিনীতে মাত্র ৬টি ক্রুজার(৬,০০০ টন), ১২টি ডেস্ট্রয়ার(৮০০ টন), আর মাত্র ১২টি টর্পেডো বোট থাকতে পারবে।





নৌবাহিনীতে কোন সাবমেরিন এবং বিমানবাহী রণতরী থাকতে পারবে না।





ভারসাই চুক্তি অনুসারে জার্মানি কোন ধরণের অস্ত্র আমদানি অথবা রপ্তানি করতে পারবে না।





জার্মান সেনাবাহিনীতে কোন ধরণের ট্যাঙ্ক থাকতে পারবে না।





ভারসাই চুক্তি অনুসারে, জার্মানিকে তার সম্রাজ্যের অনেক অংশ, মিত্রবাহিনীর হাতে হস্তান্তর করতে হয়। সে সব স্থানে বসবাসকারী জার্মানরা এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি। নতুন দেশের অন্তর্ভুক্ত হলেও তারা নিজেদের জার্মান হিসেবেই দেখত। মনে প্রাণে পুনরায় জার্মানির সাথে মিলিত হবার স্বপ্ন দেখত তারা।





১ম বিশ্বযুদ্ধে হারার কারণে ক্ষতিপূরণ স্বরূপ, জার্মানিকে আলসাস(alsace) এবং লাউরেইন(lorraine) নামক দুটি স্থান ফ্রান্সের কাছ হস্তান্তর করতে হয়। কিন্তু এই দুটি স্থানে বসবাসকারী সকলেই ছিল একেবারে অরিজিনাল জার্মান।





উত্তর শ্লেষ-উইক(Northern Schleswig) নামক স্থান হস্তান্তরিত হয় ডেনমার্কের কাছে।





অধিকাংশ প্রুশিয়ান(prussian) এলাকা পোল্যান্ডকে দিয়ে দিতে হয়। যেমন পযনান(poznan), পশ্চিম প্রুশিয়া(west prussia) পোল্যান্ড নিয়ে নেয়।





ইউপেন-মালমেনডি(eupen-malmendy) নামক স্থান বেলজিয়ামের কাছে হস্তান্তর করা হয়।





জার্মানি থেকে অস্ট্রিয়াকে পৃথক করে ফেলা হয়।





অতি বিখ্যাত দানযিগ(danzig) সমুদ্র বন্দর পোল্যান্ড নিয়ে নেয়। মূলত এটি করা হয়েছিল পোল্যান্ডকে সমুদ্রসীমা প্রদান করার জন্যে।(এর পুর্বে পোল্যান্ডের কোন সমুদ্রসীমা ছিল না)।





বিভিন্ন উপমহাদেশে জার্মান কলোনিগুলো মিত্রপক্ষ নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়। ভারসাই চুক্তি মতে এইসব কলোনিগুলো আর কখনো জার্মান সম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে না।





যেমন, ব্রিটেন এবং ফ্রান্স, নিজেদের মধ্যে ক্যামেরুন(cameroon) এবং টোগোকে(togo) ভাগ করে নেয়।





বেলজিয়ামের ভাগে রুয়ান্ডা(ruanda) এবং উরুন্ডী(urundi) নামক দেশ দুটি পড়ে।





জার্মানি নিয়ন্ত্রিত দক্ষিণ আফ্রিকার অধিকাংশ এলাকা দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হস্তান্তর করা হয়।





এছাড়া আফ্রিকায় আরো অনেক জার্মান নিয়ন্ত্রিত এলাকা ছিল যা ব্রিটেন বগলদাবা করে নিয়ে যায়।





প্রশান্ত মহাসাগরেও জার্মান উপনিবেশ ছিল। এদের মধ্যে মারশাল-আইল্যান্ড(marshall island), ক্যারলিন-আইল্যান্ড(caroline island), মারিয়ানা-আইল্যান্ড(mariana island), পালাউ-আইল্যান্ড(palau island) সবগুলো জাপানের কাছে হস্তান্তর করা হয়।





সামোয়া-আইল্যান্ড(samoa island), নিউ-জিল্যান্ডকে এবং পাপুয়া-নিয়-গিনি(papua new guinea) অস্ট্রেলিয়ার কাছে হস্তান্তর করা হয়।





****





পুর্বেই বলা হয়েছে যে, ভারসাই চুক্তিতে, জার্মানিকে ১ম বিশ্বযুদ্ধের সম্পুর্ন ক্ষতিপূরণে বাধ্য করা হয়। জার্মানি শুরুতে চুক্তি স্বাক্ষরে রাজি না হলেও, যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়ে রাজি করানো হয়।



(চুক্তি সাক্ষরের সময় জার্মান কূটনৈতিকগণ)



প্রাথমিক সিদ্ধান্তে, ২২৬ বিলিয়ন জার্মান মার্ক ক্ষতিপুরণ হিসেবে ধার্য হয়। কিন্তু বিশেষ অনুরোধে, তা কমিয়ে ১৩২ বিলিয়ন জার্মান মার্ক করা হয়।





১৩২ বিলিয়ন মার্ক হল তৎকালীন ৩১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার(বর্তমানে ৪৪২বিলিয়ন মার্কিন ডলার)।





এই ক্ষতিপূরণের ১ম কিস্তি দিতে গিয়েই জার্মানি আক্ষরিক অর্থে দেউলিয়া হয়ে যায়।



এটা হল, জার্মান ১বিলিয়ন মার্কের নোট। প্রথম আসে ১৯২৩ সালের অক্টোবরে। এটা দিয়ে ৩টা ডিম কিনতে পাওয়া যেত।





আর এটা হল জার্মান ১০০বিলিয়ন মার্ক এর নোট। প্রথম আসে ১৯২৩ সালের নভেম্বরের ১ তারিখ। ১ তারিখ এটি দিয়ে ৩ পাউন্ড মাংশ কিনতে পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু ১৫ তারিখে এসে, এটি দিয়ে কেবল মাত্র দুই বোতল

বিয়ার ছাড়া আর কিছুই কিনা সম্ভব হয়নি।



অথচ বিস্ময়কর ব্যাপার হল, ১ম বিশ্বযুদ্ধের আগে, এক জার্মান মার্ক ছিল চার মার্কিন ডলারের সমতুল্য।



কিন্তু যুদ্ধের পর ১৯২৩ সালের শুরুতে ১৮,০০০ জার্মান মার্কের বিনিময় মুল্য দাড়ায় এক মার্কিন ডলার।



১৯২৩ সালের জুলাইে তা হয় ৩,৫০,০০০ জার্মান মার্ক।



১৯২৩ সালের ডিসেম্বরে তা হয় ১০লাখ জার্মান মার্ক।



২০১০ সালে এসে, জার্মানি, ১ম বিশ্বযুদ্ধে ক্ষতিপূরণের শেষ কিস্তি পরিশোধ করে।





হিটলারের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করার এক বড় কারণ হল এই অন্যায় ভারসাই চুক্তি।



(চলবে)



দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে আমার অন্যান্য লেখা

মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:১৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভয়ংকর অবস্থা ছিলো! সে থেক তারা যেভাবে কামব্যাক করে আজকের জায়গায় আসছে তা অবিশ্বাস্য!

চমৎকার পোস্ট +++++

২৫ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:১৯

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: হমমম, হিটলার কি মন্ত্র শুনায়সে আল্লাহই জানেন। কামব্যাক করতে তাদের মাত্র ৭ বছর লাগসে।

২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০০

আনু মোল্লাহ বলেছেন: ঐতিহাসিক পোস্ট ভাল লাগল। প্রিয়তে রাখলাম। ধন্যবাদ----

২৫ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১০

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ, কষ্ট করে পড়ার জন্যে।

৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:৫৩

কাউসার রুশো বলেছেন: নাহ! দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানদের আক্রোশ প্রদর্শন অমূলক ছিলোনা। বুঝা যাচ্ছে দীর্ঘদিনের চাপা ক্ষোভ একবারে নিংড়ে দিয়েছিলো জার্মানরা

দারুন পোস্ট +++

২৫ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:৫৬

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: হুম, হিটলার এই কারণেই সহজে সবার সমর্থন আদায় করতে পেরেছিলেন।

কষ্ট করে পড়ার জন্যে ধন্যবাদ ভাই

৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:২৪

সাইফুল আলী বলেছেন: আমার মতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ জন্য দায়ি একমাত্র এই ভারসাই চুক্তি।এই চুক্তি না হলে সম্ভবত হিটলারের জন্ম হত না।ভাবতে অবাক লাগে ইউরোপের সভ্য দেশগুলো তার প্রতিবেশী একটা দেশের প্রতি এ অন্যায় আচরন করল

২৬ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৫৪

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ভাই ১ম বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানি ছিল মারাত্মক একটা সুপার পাওয়ার। ব্রিটিশদের নৌবাহিনী সেরা হলেও, জার্মান স্থলবাহিনী ছিল সেরা।

জার্মানি হেরে যাওয়াতে ব্রিটেন ফ্রান্স ঈর্ষান্বিত হয়ে জার্মানিকে পঙ্গু করার লক্ষ্যে এই কাজটি করে।

এই কাজটা করে একে তো তারা ভুল করসে, তার উপর পরে দয়াবান হয়ে জার্মানিকে চুক্তির কিছু অংশে ছাড় দিয়ে আরো বড় ভুল করসে।

কিন্তু ততদিনে জার্মানদের মনে ভারসাই চুক্তি ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকল দেশের প্রতি ঘৃণা জন্মে যায়।

৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:১৫

কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: অসাধারন পোস্ট !!! এত সহজ আর সুন্দর করে লিখেছেন, একটানে পড়ে ফেললাম। এই লেখাটি শিরোনাম দেখেই বুক মার্ক করে রেখেছিলাম অনেক আগে। কারন, নাম শুনেছি এই চুক্তি 'র, কিন্তু কিছুই জানতাম না। অনেক ধন্যবাদ।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:০৭

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আজকালের মধ্যে এই ব্যাপারে আরেকটা পোস্ট দিব ইনশাল্লাহ

৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৪৭

রাতুলবিডি বলেছেন: কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: অসাধারন পোস্ট !!! এত সহজ আর সুন্দর করে লিখেছেন, একটানে পড়ে ফেললাম। এই লেখাটি শিরোনাম দেখেই বুক মার্ক করে রেখেছিলাম অনেক আগে। কারন, নাম শুনেছি এই চুক্তি 'র, কিন্তু কিছুই জানতাম না। অনেক ধন্যবাদ

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৮:১০

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ। আশা করি সবসময় এরকম অনুপ্রেরণাই দিয়ে যাবেন।

৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৫০

রাতুলবিডি বলেছেন: আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে হিটলারের অবদান - এ বিষয়ে একটা লেখা দিন, জোর অনোরোধ রইল! শুধু ভারতবর্ষ নয় সারাবিশ্বের উপনিবেশিক শাসন ব্যাবস্হার পরিবর্তন হয় ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর। আর এটা কোন কাকতলীয় ঘটনা নয়, পরিষকার চুক্তির মাদ্যমে তা হয়েছে! হিটলারের প্রচন্ড আক্রমণ ঠেকাতে ফ্রান্স বৃটেন যখন হিমশিম খাচ্ছে, তখন ভারত সহ অন্যান্য উপনিবেশগুলো বিদ্রোহ - বিরোধিতা করলে উপনিবেশিক শক্তি গুলো মাঠে মারা যেতো। জান বাচানোর জন্য তখন এরা অধিকৃত দেশগুলোর সাথে চুক্তি করে, বিশ্বযুদ্ধে এদের সাহায্য করলে যুদ্ধ জয়ের পর স্বাধীনতা দিয়ে দিবে। যার ফলশ্রুতিতে যুদ্ধের পর চুক্তি মত এরা কলোনীগুলো ছেড়ে দিতে বাধ্য হ্য়!

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:১০

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: হ্যা, আমি অবশ্যই লিখব ইনশাল্লাহ।

"আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে হিটলারের অবদান" এই শিরোনামে নয়।

অর্থাৎ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কারণে যে সব উপনিবেশ স্বাধীন হয়ে যায় তাদের নিয়ে লেখার ইচ্ছা আছে। তবে সেই পর্যন্ত যেতে হলে অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। আশা করি পাশে থাকবেন।

যেমন ধরেন মুক্তিযুদ্ধের অনেকগুলা অভিযানের পরিকল্পনা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অনেক অভিযানের আদলে করা হয়েছে। ওগুলো নিয়ে লেখার ইচ্ছা আছে।

৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৪৫

আহমেদ সাব্বির পল্লব বলেছেন: লেখক বলেছেন: হিটলার কি মন্ত্র শুনায়সে আল্লাহই জানেন। কামব্যাক করতে তাদের মাত্র ৭ বছর লাগসে।

B:-)

পোস্ট অসাম হইছে.....++++

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৫২

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৩১

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: এত বিস্তারিত জানতাম না । জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ ।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:২৫

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ।

১০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:১১

ইনো বলেছেন: জার্মানরা একটা জিনিস রে ভাই । নাইলে দুই বার বিশ্বযুদ্ধ হারার পর আবার ইউরোপে সবচে বড় অর্থনীতির দেশ , যাকে সবার সমীহ করে চলতে হয় !

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:২৫

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: হুম। কঠোর পরিশ্রমী তারা।

১১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৪৭

বাঁধ ভেঙে যাই....... বলেছেন: আপনার এ লেখাটার লিংক ব্যবহার করেছি।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:১৪

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ওকে ভাই।

১২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৮

সেচ্ছাচারী বলেছেন: মারাত্মক লিখছেন ভাই। এগুলো সম্পর্কে ডিটেইল জানার খুব ইচ্ছে ছিল, মনে মনে এমন একটা পোস্ট-ই খুজছিলাম এতোদিন। চালায়া যান।

আর একটা কথা, জার্মান মার্কের সাথে ডলারের ব্যাপারটা কেমন জানি খটকা লাগছে, এত্ত ইনফ্লেশান ছিল? B:-)

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৪

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: এইটা হইল, ১৯২৩ সালে জার্মান ১বিলিয়ন মার্কের নোট। প্রথম বাহির হয় ১৯২৩ সালের অক্টোবরে। এইটা দিয়া ৩টা ডিম কিনা যাইত।



বুঝতে নিশ্চয় পারতাসেন যে এইটা ১০০ বিলিয়ন মার্কের নোট। নভেম্বরে রিলিজ প্রাপ্ত।

নভেম্বরের ১ তারিখ যখন এইটা বাহির হয় তখন মানুষ দেখে যে এইটা দিয়া ৩ পাউন্ড মাংশ কিনন যাই। ৩ বিলিয়ন মার্ক দিয়া একটা গোটা পাউরুটি।

কিন্তু নভেম্বরের ১৫ তারিখ মানুষ গিয়া দেখে যে এইটা দিয়া খালি দুই বোতল বিয়ার কিনন যাই। আর ৮০ বিলিয়ন মার্ক দিয়া একটা গোটা পাউরুটি।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৮

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: আমি যে বই থেকে লিখেছি সেই বইতে ১৯২৩ সালের মুদ্রা বিনিময়ের ক্ষেত্রে অনুরূপ সংখ্যা দেওয়া আছে।

কিন্তু এখন ইন্টারনেট সার্চ দিয়ে দেখলাম বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন মান লেখা। অবশ্য কোনটাই বিলিয়নের নিচে নয়। একটাতে লেখা আছে যে বিনিময় মুল্য হল ১ ডলার= ৩.২ ট্রিলিয়ন জার্মান মার্ক।

১৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০৯

আমি তুমি আমরা বলেছেন: চমৎকার পোস্ট +++++

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১৪

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

১৪| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:০০

সক্রিয় বলেছেন: ++++, versailles chukti er agaoo porse bt ato detail painai.thanksss

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০৫

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: অনেক ধইন্যা।

১৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ++++++++++++++++

এরিখ মারিয়া রেমার্কের কিছু বই পড়েছিলাম এই সময় নিয়ে, এত বিস্তারিত জানতে পেরে ভালো লাগছে। মুদ্রাস্ফীতির সময়টাতে নাকি দিনে দুইবার মজুরী দেওয়া হত! কারন দুপুরের মজুরীতে রাতের খাবার জুটত না!

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:২৩

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। দিনে দুইবার মজুরীর ব্যাপারটা আমার জানা ছিল না। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাবার জন্যে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.