![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা তিনি। নাম তার আব্দুল হাই সিকদার। চেহারা সুরতে পোষাকে-আসাকে মাশাল্লাহ খুব সুরত-কেতা-দূরস্ত মাওলানা সাহেব আরকি।চাকুরী করেন গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে। গত ১৩/১১/২০১৫ তারিখে আমি আমার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত আনুমানিক ২৫ শতাংশ জমি খারিজ করার জন্য কাপাসিয়া উপজেলার রানীগঞ্জ বাজারে অবস্থিত দুর্গাপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়েছিলাম। সাথে আমার মরহুম বড় ভাইয়ের ছেলেরাও একই কাজে উপস্থিত ছিল। ভূমি কর্মকর্তার সাথে দরদাম পাকা হলো যে, প্রতিটা খারিজে তাকে ৬০০০/-টাকা দিতে হবে। এতে খাজনার রশিদ,ডিসিআর এবং অন্যান্য কাগজ পত্র যা দরকার সবই দেবেন তিনি। যেহেতু একমাত্র অফিস তাই একান্ত বাধ্য হয়ে রাজি হয়ে গেলাম এবং ঘুষের(?) আংশিক টাকা তার হাতে দিলাম । যেহেতু আমার কাগজপত্র সব বৈধ তাই ৩০দিন পর সবকিছূ ওকে করে দেয়ার কথা বললেন।৩০দিন পাড় করে ৪৫দিনের দিন মোবাইলে কল দিয়ে জানতে চাইলাম আমার কাজের অগ্রগতি কতটুকু? তিনি বললেন আরও ১৫দিন পর আসুন।নির্ধারিত দিনে আবার মোবাইলে কল দিলাম।তিনি বললেন, ‘‘সরকারী কাজ তিন মাসের কম সময়ে হবে না আরও কিছু টাকা দিয়ে যান।’’ সাড়ে তিন মাস পর আমাকে মোবাইলে কল দিয়ে বললেন, আপনি আসুন আপনার কাজ হয়েছে। অফিস থেকে ছুটি নিয়ে ছুটে গেলাম। ব্যাংকে চাকুরী করার সুবাধে জমি-জমার হিসাব কিতাব তথা ফারায়েজটা আমার ভালভাবে জানা ছিল তাই আগেভাগেই আমি আমার ১টা ও ভাতিজাদের ২টা মোট ৩টা খারিজ এর জমাভাগের হিসাবের কপি দিয়ে আমার কাছে একটা কপি রেখে দিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি তাদের ভুলে আমার ২টা দাগের জমি খারিজ করে নাই। যা নতুন করে আলাদাভাবে খারিজ করতে হবে যার জন্য আলাদা টাকাও দিতে হবে। আরেক নতুন কিসসা আটলেন তিন্। তাকে প্রতি খারিজে সরকারী পাওনা ছাড়াই ৬০০০/-টাকা দিতে হবে। আমি যতোই বলি মানি রশিদ ছাড়া আমি কোন টাকা দিতে রাজি নই। তিনি বলেন ‘‘এটা আমার পাওনা মানি রশিদ ছাড়াই আমাকে ৩৬,০০০/টাকা দিতেই হবে’’।দেখলাম স্থানীয় কিছু দালালও তার পক্ষ নিল। যেহেতু আমি ঐ এলাকারই সন্তান তাই আমারও কিছূ হিতাকাঙখী পাওয়া গেল।কিন্তু তারা নিরুপায়। তারা গ্রামের মানুষ সরকারী অফিস এর নিয়মকানুনই আলাদা। তারা আমার কোনই উপকারে আসতে পারল না। আমি আমার অফিসিয়াল পরিচয় দিলাম যে, ভাই আমিতো আপনার এসি ল্যান্ড অফিসারের একটু উপরের পদেই সরকারী চাকরি করি। আমাকে তো কেউ রশিদ ছাড়া টাকা দেয় না। যাহোক আজ প্রায় ৫মাস আমি আমার খারিজের কাগজপত্র গুলো আজও পাইনি। ইতিমধ্যে ১৩,০০০/-টাকা নিয়েছে-প্রকাশ্য ঘুষখোর-আব্দুল হাই সিকদার,উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা। আজ ১৩ জুন ২০১৭ রোজ মঙ্গলবার আজও আমার জমির খারিজ হয় নাই। তবে ইতিমধ্যে আব্দুল হাই সিকদার অন্যত্র বদলী হয়ে গেছেন। এখন ইচ্ছা হয় স্থানীয় দালালগুলোর পাছার কাপড় উল্টে দিয়ে সেখানে আলকাতরা বা লোচা মেখে বাজারে বাজারে ঘুরাই।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০১
মাতৃভুমি বলেছেন: আউযুবিল্লাহি-মিনাশ শাইতানির রাজিম।বিতারিত শয়তান থেকে মহান আল্লাহর পানাহ চাই।
২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:১৮
তাল পাখা বলেছেন: প্রতি খারিজে ছয় হাজার মাত্র। এ আর এমন বেশি কী ভাই? দিয়ে দেন, দিয়ে দেন। তাড়াতাড়ি দিয়ে দেন। যত দেরী করবেন ততই অমংগল ডেকে আনবেন কপালে। আপনার পক্ষে বলার কাউকে পাবেন না টাকা ছাড়া। অফিসের চেয়ার টেবিল থেকে শুরু করে ছোট সাহেব, বড় সাহেব সবাই হা করে আছে আপনার টাকার দিকে।আপনার দেরী যে ওদের সইবেনা। আপনার পক্ষে কাউকে বলার জন্য আনবেন? তাকেও মানি রিসিট ছাড়াই মানি দিতে হবে।আপনি যদি মনে করেন উনি ঘুষ চাইছেন তাহলে আপনি আমাদের বড়কর্তা অর্থাৎ রাবিশ খবিশ প্রবক্তার থিউরি অমান্য করছেন। বড়কর্তা না বলেছেন ঘুষ খাওয়া জায়েজ আছে।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০৬
মাতৃভুমি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। প্রতি খারিজে রশিদ ছাড়াই ৬০০০/-টাকা । রশিদ দিয়ে তো আরও কমপক্ষে ৬০০০/-টাকা। তাহলে একুনে কত গেল? আর সময়ের হিসাব কার ঘরে নিবেন?
৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:২৩
তাল পাখা বলেছেন: ভাই, এত কিছু হিসেব করতে গেলে জীবনের চাকা অচল হয়ে যাবে। অন্তত পক্ষে এ দেশে বাস করে এত কিছু হিসেব করা যাবেনা।
৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৪০
সোজোন বাদিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরার জন্য। সমাধান কি কিছু কল্পনা করেছেন?
৫| ২০ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:০৬
মাতৃভুমি বলেছেন: কল্পনায়ই আছি।সহজ সমাধান আজও হয়নি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
"চাকুরী করেন গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে। "
-ভুমি অফিসে যারা চাকুরী করেন, তাদের ২ কাঁধে যে ২ জন ফেরেশতা আছে, ঐ ফেরেশতাদের খবর নিয়ে দেখেন