নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মো: এম রহমান

মো: এম রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"ই-কমার্স বিজনেস"- যেভাবে শুরু করবেন

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:২৯

শুরুর কথাঃ

আপনি যদি নতু্ন উদ্যোক্তা হিসাবে ই-কমার্স বিজনেস শুরু করতে চান, প্রথমে আপনাকে পণ্য নির্বাচন করতে হবে। যে পণ্য খুব সহজে আপনি ক্রেতার নিকট পৌঁছে দিতে পারবেন, সেই ধরনের পণ্য নিয়ে ই-কমার্স বিজনেস শুরু করতে পারেন। পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে অনলাইন ক্রেতার চাহিদার কথা বিবেচনা করতে হবে। যারা অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার করে পণ্য কিনবে, তারা কি ধরনের পণ্য কিনতে আগ্রহী সেই বিষয়ে খেয়াল রেখে পণ্য নির্বাচন করতে হবে। এছাড়া আপনি যদি কোন পণ্য বিক্রয় বা সরবরাহ করে থাকেন তাহলে আপনার পণ্য নিয়েই ই-কমার্স বিজনেস শুরু করতে পারেন।

যা যা প্রয়োজনঃ

ই-কমার্স বিজনেস শুরু করতে হলে প্রথমে কোম্পানির জন্য ভাল একটি নাম পছন্দ করতে হবে এবং নামের সাথে মিল রেখে একটা ডোমেইন কিনতে হবে। অনলাইনে পণ্য বিক্রয় করার মূল শর্ত হল ওয়েবসাইট থাকা । আপনার পণ্যগুলো ছবি সহ বর্ণনা করে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। যেখানে আপনার সকল পণ্যের দাম উল্লেখ থাকবে। পণ্য বাছাইয়ের মাধ্যমে সহজে ক্রয়ের ব্যবস্থা থাকতে হবে। যে কোন প্রয়োজনে তাৎক্ষনিক ক্রেতাদের সহায়তা দেবার ব্যবস্থা থাকতে হবে।

পেমেন্ট ওয়ে বা টাকা পরিশোধের মাধ্যমঃ

ক্রেতাদের জন্য পণ্যের দাম পরিশোধের মাধ্যমটা খুব গুরুত্বপূর্ণ । কয়েকটা উপায়ে পণ্যের দাম আপনি গ্রহণ করতে পারেন। বাংলাদেশে বর্তমানে পে অন ডেলিভারি/ক্যাশ অন ডেলিভারি ব্যবস্থাটা খুব জনপ্রিয়। এক্ষেত্রে পণ্য হাতে পেয়ে ক্রেতারা টাকা পরিশোধ করবে। এছাড়া অন্যান্য পেমেন্ট মাধ্যমেও টাকা গ্রহণ করতে পারেন। মোবাইল ব্যাংক বা সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে অগ্রিম টাকা গ্রহণ করেও পণ্য পাঠাতে পারেন।

ক্রেতার কাছে যে ভাবে পণ্য পৌছাবেনঃ

ক্রেতার কাছে নিরাপদে পণ্য পৌঁছানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একজন ক্রেতা পণ্য অর্ডার করার পর, যত দ্রুত আপনি পণ্যটি তার কাছে পৌঁছাতে পারবেন আপনার ব্যবসার জন্য তত সুফল বয়ে আনবে। তাই পণ্য সরবরাহের বিষয়টি আপনাকে সব থেকে বেশি খেয়াল রাখতে হবে। আপনি ক্রেতার কাছে কয়েকটি উপায়ে পণ্য পাঠাতে পারেন।

১) নিজস্ব পরিবহনের ব্যবস্থার মাধ্যমে
২) থার্ড পার্টি কুরিয়ারের মাধ্যমে
৩) ই-কমার্স পণ্য সরবরাহকারীদের মাধ্যমে।

ই-কমার্স বিজনেসের শুরুতে থার্ড পার্টি কুরিয়ার ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে কুরিয়ার কোম্পানিদের সাথে আগে থেকে চুক্তি করে নেয়া ভাল।

প্রচারই প্রসারঃ

প্রথম অবস্থায় যখন আপনি ই-কমার্স বিজনেস শুরু করবেন তখন আপনার কোনো ক্রেতা থাকবে না। এক্ষেত্রে আপনাকে বিজ্ঞাপন দিতে হবে। অনলাইন, অফলাইন উভয় ক্ষেত্রে আপনাকে বিজ্ঞাপন দিতে হবে। অনলাইনে বিজ্ঞাপনের জন্য আপনি ফেসবুক, গুগল এডওয়ার্ড, নিউজসাইট বা জনপ্রিয় বিভিন্ন ব্লগে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। এছাড়া অফলাইনেও প্রচার করতে হবে। যত বেশি গ্রাহকের কাছে আপনি পৌঁছাতে পারবেন আপনার পণ্যের বিক্রয় তত বেশি বেড়ে যাবে।

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য পরামর্শঃ

ই-কমার্স বিজনেস শুরু করতে হলে মোটামুটি অংকের টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। তাই ই-কমার্স বিজনেস শুরু করা আগে বিষয়টা ভাল করে ভেবে নিবেন। মার্কেট রিসার্চ করে গ্রাহকদের মতামত বিবেচনা করে পণ্য নির্বাচন করা যুক্তিযুক্ত হবে। আপনি চাইলে কম খরচেও ই-কমার্স বিজনেস শুরু করতে পারেন । কিছু কিছু কোম্পানি আছে যারা ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের পণ্য সরবরাহ করে থাকে। এজন্য আপনাকে অনেক পণ্য স্টক করে রাখার প্রয়োজন হবে না। বর্তমানে বাংলাদেশে কিছু কুরিয়ার আছে যারা ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের পণ্য সরবরাহ করতে সহায়তা করে। এছাড়াও একটা ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে ৫,০০০ টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। তাই প্রথমে ফেসবুক এপসের মাধ্যমে অনলাইন শপ তৈরি করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।







মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:০৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: বেশ উপকারী লেখা।

আচ্ছা, Wix দিয়ে ফ্রি ই-কমার্স সাইট করা যায় না?

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:০৬

মো: এম রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য। জি, Wix দিয়ে ফ্রি সাইট করতে পারেন। কিন্তু এটা না করাই শ্রেয়।

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:৪৩

Kausar_007 বলেছেন: আপনার লেখাটি পরে খুবই ভালো লাগল । আমার মাথায় এই রকম ই একটি আইডিয়া ঘুরপাক খাচ্ছে। বর্তমানে আমি সৈাদিআরব এ আছি এবং ইনশাহ আল্লাহ কিছুদিনের মধ্যে দেশে চলে আসব । আমি মূলত শুধু মাত্র রান্না ঘর কে টার্গেট করে পন্য নির্বাচন করেত চাই । যেমন শাক সবজি থেকে শুরু করে ছুরি, চাল, ডাল ইত্যিদি। এবং আমাদের নিজ্বস্ব প্রায় তিন শতাংশ জায়গা আছে এবং সেখানে আমি একটি দ্বিতল বিশিষ্ঠ স্টিল বিল্ডিং নির্মাণ করে মোটামোটি পাকা পোক্ত ভাবেই কাজ শুরু করতে চাই। আমার লোকেশন কিন্তু সিলেট শহর এ । প্রথমত আমার স্টিল বিল্ডিং এর নির্মাণ খরচ এর ব্যাপারে পর্যাপ্ত ধারনা নেই । যদি জানা থাকে তবে তথ্য দিয়ে উপকৃত করবেন । এই দ্বিতল বিল্ডিং এর প্রথম তলায় চাল, ডাল, তেল বা অন্যান্য ওজনে ভারি পন্য স্টক করতে বা সাজাতে চাই । এবং দ্বিতীয় তলায় তুলনামূলক হালকা পন্য দিয়ে সাজাতে চাই। পন্য সংগ্রহ করতে অবশ্যই নুন্যতম একটি পিকআপ ভ্যান গাড়ী র ব্যাবস্থা করতেই হবে বলে মনে করি । কারণ সকল পন্য তো আর কোম্পানী থেকে সংগ্রহ করা যাবে না। এবং যদি সম্ভব হয় তবে একই গাড়ী ব্যাবহার করে গ্রাহকের অর্ডার সরবরাহ ও করতে পারি। তবে নিকটতম গন্তব্যে পন্য সরবরাহ করতে পায়ে চালিত ভ্যান গাড়ী ব্যাবহার করতে চাই। তো এই ছিল আমার নিজের পরিকল্পনার কিছু মূল বিষয়। আপনারা ও আপনাদের মূল্যবান আইডিয়া শেয়ার করে অন্যদের এগিয়ে যেতে সাহায্য করবেন ।



২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:০৯

মো: এম রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার মন্তব্যের জন্য। স্টিল বিল্ডিং এর নির্মাণ খরচ এর ব্যাপারে আমারও তেমন ধারনা নেই। কিন্তু আপনার যুগোপযোগী চিন্তা ধারনাটা ভাল লাগলো। আপনি এগিয়ে যেতে পারেন নিশ্চিন্তে।

৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:১৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: কেন উচিৎ ন্য বলবেন কি? প্রোফেশনাল হয় না এজন্যে?

একটি ই-কমার্স সাইট ডেভেলপ করাতে অনেক খরচ।

কিন্তু, উইক্স-এ ডিজাইন করে নিজের ডোমেইনের সাথে লিংক করে দিলেই খরচটা বেঁচে যায় না?

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:২৬

মো: এম রহমান বলেছেন: আজকাল ওয়ার্ড প্রেস -এ খুব কম খরচেই সাইট ডেভেলপ করা যায়। আপনি মনে হয় ডেভেলপ সম্পর্কে বা ডোমেইন সম্পর্কে ভাল জানেন। ওয়ার্ড প্রেসে সাইট ডেভেলপ করতে মাত্র ৫০০০ টাকার মত খরচ হয়। আপনার চিন্তা ধারা যদি সুদূর প্রসারী হয়ে থাকে, তাহলে এটুকু অন্তত ইনভেস্ট ত করতে হতেই পারে। যখন আপনার আয় বেড়ে যাবে, তখন না হয় প্রফেশনালি আর ডেভেলপ করিয়ে নিলেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.