নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মো: এম রহমান

মো: এম রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

এমবিভার্ট (Ambivert)

২৫ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৪৩

আমাদের মাঝে কেউ কেউ ইন্ট্রোভার্ট হয় আবার কেউ হয় এক্সট্রোভার্ট অর্থাৎ কেউ খুব মিশুকে হয়(Extrovert) কেউ আবার নিজের মত একা থাকে(Introvert)। কিন্তু এদের মাঝামাঝি আরেক ভাগ আছে যারা কখনো ইন্ট্রোভার্ট আবার কখনো এক্সট্রোভার্ট।
এদেরকে বলা হয় এমবিভার্ট।

জীবনে চলার পথে সবচেয়ে বেশি সমস্যা এমবিভার্টদের হয়। যারা এমবিভার্ট তারা মাঝে মাঝে খুব হৈ চৈ করতে ভালোবাসে আবার মাঝে মাঝেই একা থাকতে ভালোবাসে।এরা সহজে সবার সাথে মিশে যায় কিন্তু তবুও এদের অনেক ফ্রেন্ড থাকেনা আবার এরা একদম একাও থাকেনা। গুটিকয়েক ফ্রেন্ড নিয়েই এরা থাকে।

এদের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো শত কষ্ট হলেও এরা মুখ ফুটে বলবেনা কিছু আপনাকে। বরং সেই কষ্ট সহ্য করেই হাসিমুখে থাকবে।
তাই এদের মন খারাপ হলেও সেটা মুখে না বলা পর্যন্ত আপনি সেটা ধরতে পারবেননা।
ওদের একটা আলাদা জগৎ থাকে।
নিজেদের চারপাশে এরা একটা দেয়াল বানিয়ে নেয়।সে
জগতে আপনি চাইলেই প্রবেশ করতেই পারবেননা।
বরং সেখানে প্রবেশ করার চাবি হচ্ছে আপনার ভালোবাসা আর ভরসা করার মতো ভালো ব্যবহার।
এমবিভার্টরা যাকে ভালোবাসে তাকে খুব মন দিয়ে
ভালোবেসে ফেলে। আর তাই কষ্টটাও বেশি পায়।
কিন্তু তবুও এরা আপনার খারাপ চাইবেনা কোনোদিন।এরা আপনার প্রতি ভরপুর ফিলিংস রেখেও আপনার থেকে নিদিষ্ট দূরত্ব চলবে আপনি চাইলেও সেটা বুঝাতে পারবেনা। এদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় কেউই এদের বুঝতে পারেনা।
কারণ যে মানুষটা ঠিক একটু আগেই অনেক খুশি ছিলো হঠাৎ করেই সে বদলে গিয়ে একা থাকতে চাইলে কেউই সেটা ভালোভাবে নিবেনা।
তখন বেশিরভাগই তাদের ভুল বুঝে। কেউই বুঝেনা এখানে এদের কোনো হাত নাই। কেউ চাইলেও এদের এই চেঞ্জ হওয়া আটকাতে পারবেনা।
এমবিভার্টরা মাঝে মাঝে নিজেদের ভীষণ একা ভাবে।কারণ মন খুলে কথা বলার মতো কেউ হয়তো নেই।
এদেরকে শামুক বলা যায়।
কারণ এরা বাহিরের দিকে শামুকের মতো শক্ত খোলস পরে থাকে কিন্তু এদের ভিতরটাও শামুকের শরীরের মতো নরম।
তাদের নিজেদের জগতে যদি আপনি একবার ঢুকে যেতে পারেন,তখন বুঝবেন সে আসলে আপনার চেনার চেয়েও কতটা অন্যরকম। তখন হয়তো আপনি তাকে আরও বেশি ভালোবেসে ফেলবেন।
কিন্তু প্রবেশ করার অধিকার পেয়েও আপনি যদি তার সেই ভরসা-বিশ্বাস একবার ভেঙে ফেলেন তখন তার সেই জগৎ টা ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।
সে তখন ভীষণ একা হয়ে যায়।
এমবিভার্টদের ঠকানো অনেক সহজ।

কারণ হাজারবার ঠকলেও এরা আপনার নামে একটা অভিযোগও করবেনা।কিন্তু সেই ঠকে যাওয়াই এদের ভীষণভাবে পালটে দেয়।
তখন তারা তাদের চারপাশের জগৎ টাকে আরও ধোঁয়াশা বানিয়ে ফেলে।
একদল মানুষ তখন তাদের ভুল বুঝে,ভাবে এরা ভাব নেয়। কিন্তু এরা হাসিমুখে এটার পিছনে থাকা সত্যিটা লুকিয়ে সব মেনে নেয়।
আপনাকে না জানিয়েই এরা আপনাকে সারাজীবন ভালোবেসে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে।

আপনি হয়তো কোনোদিন জানতেও পারবেননা দূর থেকে কেউ একজন সবসময়ই আপনার ভালো চায়।আর তার জন্যই দিনশেষে এরা ভীষণ একা,ধোঁয়াশার রাজ্যে ডুবে থাকা একদল মানুষ যাদের আমরা বলি এমবিভার্ট।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:১৯

জেরী বলেছেন: লেখাটা পড়ে মনে হলো আমি এমবিভাট পাবলিক :|

২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:২০

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: মনোজগতের বেশ জটিল একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন।

কষ্ট চেপে রাখা জটিল মানুষগুলো পাথুরে দেয়ালের আবরন গড়ে রাখেন তার স্বভাবের চারপাশ। কষ্ট কিংবা ভালোবাসা প্রকাশ করতে না পারা মন ফাপা থাকে সবসময়। তাদের সহজে সবাই বুঝতে পারে না।

সুইসাইড করা বেশির ভাগই এই স্বভাবের।

তাদের একটু ভালোবাসাই সহজ জীবনে ফিরিয়ে আনতে পারে।

৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: এতো কথা আছে, এতো গান আছে
এতো প্রান আছে, এতো সুখ আছে
এত স্বাধ আছে- প্রান হয়ে আছে ভোর ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.