নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মো: এম রহমান

মো: এম রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

এন্ডোমেট্রিওসিস

২৩ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:১৯

এন্ডোমেট্রিওসিস ...

এন্ডোমেট্রিওসিস কি? জানেন? হ্যাঁ, আপনি হয়ত জানেন। কিন্তু আপনার মত ক'জনা জানেন? চলেন একটা গল্প বলি। এতে ব্যপারটা বুঝতে সুবিধা হবে।

নাম- ইয়াসমিন। বয়স- ৩০/৩২। আমাকে দেখাতে আসে। কমপ্লেইন
১.মাসিকের সময় ব্যথা,
২.স্বামী সহবাসে ব্যথা এবং
৩. বন্ধ্যাত্ব বা বাচ্চা না হওয়া

মাসিক সময়ের ব্যথা না হয় মেনে নেয়া গেলো কুঁকড়ে মুকরে কিন্তু বাচ্চা না হওয়া তো অপরাধ। আর ইন্টিমেট রিলেশনশিপে রোজ রোজ ব্যথা ব্যথা বলে ভয়ে ক্ষান্ত দেওয়া তো আরো বড় অপরাধ। ফলাফল ডিভোর্স। ব্যাক টু প্যাভিলিওন। বাপের বাড়ি।
পাঠক খেয়াল করুন উপরের তিনটিই লক্ষ্মণই একটি রোগকে ইঙ্গিত করে। জি হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন।
এন্ডোমেট্রিওসিস। এমন দুষ্টু রোগ কমই আছে। এটা করে না এমন কিছু নাই।
নারীরা তো ব্যথা বেদনার মধ্যে থাকেনই। এটাকে আলাদা করে হাইলাইট করার কি আছে? জি আছে। এই ব্যথা যে সে ব্যথা না। এর ভাব সাবই আলাদা। ইনি আসে মাসিকের দুই তিনদিন আগে, ব্যথার তীব্রতা মাসিকের সাথে সাথে বাড়ে। সবচেয়ে বেশি ব্যথা হয় শেষের দিকে। তারপর আস্তে আস্তে কমে বাট চলে যায় না। একটা চাপ ধরা ব্যথা থেকেই যায়।
অনেকের আবার প্রস্রাব পায়খানা, হাটাচলা করতেও ব্যথা হয়।বাচ্চাকাচ্চার কথা তো আগেই বললাম, হতে চায় না। বন্ধ্যাত্বের যতোগুলো কারণ আছে তার মধ্যে এটা অন্যতম। এই রোগে আক্রান্ত নারীদের শতকরা যাটভাগই সন্তানহীন থাকেন।
জানি আপনাদের মনে প্রশ্ন, রোগটা আসলে কি? কেনো এমন হয়, কি কারনে হয় তাই তো জানলাম না। জি জনাব বলছি। নারীদের মাসিক হয় এন্ডোমেট্রিয়াম নামক জরায়ুর একটা স্তর থেকে। এন্ডোমেট্রিয়াম থাকে জরায়ুর একদম ভিতরের দিকে। কিন্ত এন্ডোমেট্রিওসিসে আক্রান্ত রোগীদের জরায়ুর বাইরে ও এন্ডোমেট্রিওটিক টিশু থাকতে পারে। সেখান থেকে মাসে মাসে মাসিকের মতো রক্তপাত ও হয়। সেই রক্ত তলপেটের পরিবেশ নষ্ট করে। ফলে বাচ্চা আসতে চায় না। রক্ত জমা হয়ে হয়ে এক ধরনের টিউমার হয় যেটাকে বলে চকোলেট সিস্ট। এছাড়া গল্পের শুরুতে ইয়াসমিনের কথা তো শুনেছেন ই।
কেনো এমন হয়? অনেক সময় কোনো কারণ পাওয়া যায় না। জেনেটিক কারন আছে কিছুটা। যারা বেশি বয়সে বিয়ে করে, দেরীতে বাচ্চা নেয় এবং যারা বড়লোক্স তাদের মধ্যে এই রোগের প্রবণতা বেশি দেখা যায়।
চিকিৎসা কি? সবার চিকিৎসা এক রকম নয়। যেমন কুকুর তেমন মুগুর। না মানে যার যেমন সমস্যা তার তেমন চিকিৎসা। তবে সবার সমস্যা এক না হলেও একটা কমন পরামর্শ এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের
আমরা দিয়ে থাকি, বাচ্চা নিতে চাইলে আগেই নিয়ে ফেলুন মানে ফ্যামিলি কমপ্লিট করে ফেলুন। অযথা দেরী করবেন না। কে জানে কোন শত্রু হানা দেয়।




--------
সংগৃহীত

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.