![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইদানিং মহাসড়কে দুর্ঘটনা অহরহই হচ্ছে, দুর্ঘটনায় ঘটছে মৃত্যু। বিগত কয়েক বছর ধরেই সড়ক দুর্ঘটনা প্রকট আকার ধারণ করেছে। কিন্তু কেন এই অবস্থা? কোনভাবেই যেন থামানো যাচ্ছে না। চেষ্টাও ত কম করা হচ্ছে না। এই চেষ্টাতেও বেশ কিছু গলদ আছে বৈকি। চেষ্টা করা হচ্ছে ঠিকই কিন্তু কার্যকরী কি করা হচ্ছে কিছু? আসলে মহাসড়কে বেপরোয়া গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে কিছুতেই কিছু হবে না।
একটা সময় ছিল, ৮০ দশকের দিকে, তখন এরশাদ সরকারের সময়। সড়কে যান চলাচলের একটা নীতি ছিল। দিনের বেলা ভারি যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা। খুব কঠিনভাবে বাস্তবায়ন করা হত এই নিয়ম। কারন দিনের বেলা হাল্কা যানবাহন চলত সড়কগুলোতে। রাত ১১ টার আগে সড়কে ভারি যান বের হতে দিত না (যেমন- ট্রাক, লরি, কাভার্ড ভ্যান ইত্যাদি)। সম্ভবত এই কারনে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকটা রোধ করা যেত। এই নিয়মটা বর্তমানে একেবারেই মানা হয় না। দিনের বেলা সড়কগুলোতে ভারি যান অবাধে চলাচল করছে। বাড়ছে দুর্ঘটনা।
বর্তমানে এই আইনটি যথাযথ কার্যকরের ব্যবস্থা গ্রহন করা হলে সড়কে দুর্ঘটনা অনেকটাই হ্রাস পাবে আশা করা যায়। সেই সাথে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে বেপরোয়া গতির বাইকগুলোকে। প্রয়োজনে ডাম্পিং -এ দিতে হবে সাথে সাথে। আর যারা পাঠাও-উবার এর মত রাইড শেয়ারকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে, এরা বেশিরভাগই বেপরোয়া গতিতে সড়কে চলাচল করে, এদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া উচিত। বিশেষ করে ঢাকার বাইরে রেজিস্ট্রেশন করা বাইক দিয়ে ঢাকার রাস্তায় রাইড শেয়ার ব্যবসা করা যাবে না। কারন মুলত ঢাকার বাইরে থেকে আসা বাইকগুলোই বেশি উশৃংখল।
বর্তমানে আরেক প্যারার নাম- অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিক্সা। সড়কে এদের কারনেও ঘটছে দুর্ঘটনা। রিক্সাগুলোকে আগের মত রেজিস্ট্রেশন এর আওতায় আনা উচিত। অনিবন্ধিত রিক্সা সড়কে চলতে পারবে না।
সবকিছুর জন্য আইনের সঠিক ব্যবহারে সকলকে এগিয়ে না এলে কিছুই করা সম্ভব হবে না। সড়কগুলোতে শুধু বাইক আর প্রাইভেট কার আটকিয়ে জরিমানা আর রেকার বিল করে দৈনিক টার্গেট পূরণই দায়িত্ত হয়ে দাড়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টদের। এর থেকেও তাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৩৩
দেখা হবে রাজপথে বলেছেন: ভালো লিখেছেন তবে এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করার দরকার।
যাদের এসব দায়িত্ব তারা ঠিকঠাক পালন করলেই আমরা আম-পাবলিক শান্তি পাই।