নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কথাবাজি

[email protected]

মোস্তাফিজ রিপন

অর্থহীন কমলালেবুর পিঠে ঘরকুনো গাছ

মোস্তাফিজ রিপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোটগল্পঃ আলো-ছায়ার ওপাড়ে

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৩:০৪





রবীন্দ্রনাথের পরে আর কিছু লেখার কোনো মানে হয়না। বরং আসুন আমরা তাঁর উচ্চতা মাপি। দৈর্ঘ্য ছাব্বিশ ইঞ্চি, প্রস্থ ছাব্বিশ ইঞ্চি, উচ্চতা ছাব্বিশ ইঞ্চি। আপত্তির কিছু নেই; আমাদের হ-য-ব-র-ল’র ফিতেতে ছাব্বিশটুকুই টিকে আছে। ছাব্বিশই সই। ওটি তেরও হতে পারত। আমি মাপন ফিতেটি গলায় ঝুলিয়ে আবার রবীন্দ্র গবেষণায় মন দেই, যার উচ্চতা ছাব্বিশ ইঞ্চি। ওই ছাব্বিশটুকু পরিমাপ করতেই আমাকে পেছনে হেলতে হয়। হেলতে হেলতে গীতবিতানে পিঠ ঠেকে। বলা যায়, গীতবিতানে আটকাই বলেই আমার সপাট পতন রুদ্ধ হয়। মা পাশের ঘর থেকে জিজ্ঞেস করেন, ‘কি হলোরে?’ আমি বলি, ‘কিছু না মা। রবীন্দ্রনাথ।’ মার আর কোনো শব্দ পাইনা। হয়তো মা নিশ্চিন্ত থাকেন আমার রবীন্দ্র পতনে।



রবীন্দ্রনাথ কবে ঢুকেছিলেন আমাদের বাড়ীতে, আমি জানিনা। মা হয়তো জানেন। অনুমান হয়- উপহার প্রার্থনীয় নহে, দোয়া কাম্য- লেখা দাওয়াত কার্ডের সূত্রধরেই ভদ্রলোক আমাদের বাড়ীতে ঢুকেছিলেন। সুখী হও, তেরশ বাষট্টি- নীল কালিতে প্যাঁচানো হাতের লেখাকে সম্বল করে আমি হয়তো উদঘাটন করতে পারি গীতবিতানের গৃহপ্রবেশ ইতিহাস; কিন্তু আমার ইচ্ছে হয়নি। মা হয়তো জানেন। মার কাছে জানলেই হয়! আমার বড় বোনও জানতে পারে। হয়তো বাবাও। কিন্তু কেন যেন জীবনানন্দের মতো আমারো হৃদয় খননের অভিরুচি হয়নি। গীতবিতানের পাতাগুলো বুড়োর দাঁতের মতো ন্যালন্যালে হয়েছে আমার অত্যাচারে। আমার বয়স বেড়েছে, গীতবিতানেরও বেড়েছে। হয়তো রবীন্দ্রনাথেরও। কিন্তু তেরশ বাষট্টি কথাটি কেবল তেরশ বাষট্টিতে ঠোক্কর খাচ্ছে।



আমার রবীন্দ্র পতন রক্ষা হলেও, বাবার হাতে গীতবিতান ধরা পড়ে। সাথে আমিও। বাবা জিজ্ঞেস করেন, ‘এখানে কী হচ্ছে?’ বাবাকে আমি যমের মতো ভয় পাই। রবীন্দ্রনাথ বাবাকে দেখলেই বলেন, ‘হেনকালে হায় যমদুত প্রায়।’ আমি রবীন্দ্রনাথকে খুঁজি। বুড়ো পালিয়েছে। আমি বলি, ‘তেরশ বাষট্টি।’ বাবা বলেন, ‘তেরশ বাষট্টি! এখন ক্যালকুলাস করতে বস।’ আমি গীতবিতান হাতে বসেই ছিলাম। উঠে দাঁড়াই। বাবা ঘরময় হাঁটেন। আবার প্রশ্ন করেন, ‘তেরশ বাষট্টি কি?’ বাবার প্রশ্নে আমি আছাড় খাই। তাইতো, তেরশ বাষট্টি কি? গীতবিতানের এক-বাই-আট ফর্মার প্রথম পৃষ্ঠায়, নীল কালিতে লেখা- তেরশ বাষট্টি কথাটির মানে কি! মানে নেই। কোনো মানে নেই। আমার মাপন যন্ত্রে তেইশ, কিংবা তেরশ বাষট্টি একই রকম লাগে। বাবা বলেন, ‘হাতে কি?’ আমি এই প্রশ্নের উত্তর জানি। বলি, ‘রবীন্দ্রনাথ।’ উত্তরে দশে দশ আশা করে আমি বাবার দিকে তাকাই। বাবা বলেন, ‘ওটি শেলফে তুলে রাখো।’ আমি চাইনা বইটি শেলফে থাকুক। ওখানে নীল কালিতে শুধু তেরশ বাষট্টি কথাটিই লেখা নেই। আরো টুকরো লেখাও রয়েছে। সুখী হও, তেরশ বাষট্টি- কার লেখা জানিনা। বাকীগুলো আমার। বাবার হাতে পড়লে বানান ভুল বেরুবে, আমি নিশ্চিত।



‘বইটা আমার ঘরে নিয়ে যাই?’ আমি ভালো মানুষের মতো বাবাকে অনুরোধ করি। বাবা আমার হাত থেকে গীতবিতানটি নিয়ে নেন। বলা যায় আলগোছে ছিনিয়ে নেন। বলেন, ‘এবার অঙ্কে যেন কত পাওয়া হয়েছে?’ বাবার ভাববাচ্যের প্রশ্নটি আমাকে লজ্জিত করে। আমি ছিনতাই হওয়া গীতবিতানের শোক নিয়ে নিজের ঘরে ফিরি। ঘরে ফিরি কিনা বুঝতে পারিনা, ব্যাপারটা দাঁড়ায় ‘ফিরেছ কি ফির নাই, বুঝিব কেমনে’ গানটার মতো। আমি টেবিলে বসি। কান রাখি ঘরের বাইরে, বাবা কী বলেন শোনার জন্য।



‘শুনছো!’ বাবা মাকে ডাকছেন। মার কোন নাম নেই। আমরা মাকে মা বলি। বাবা মাকে ডাকেন- শুনছো, কই গেলে- এ জাতীয় কোনো শব্দে। আমার বাবারও কোনো নাম নেই। মা বাবার সাথে কথা শুরু করেন- ওগো শব্দটি যোগ করে। এ বাড়ীতে শুনছো, কিংবা ওগো শব্দদুটো আমার আর বড় আপার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়নি। আবারো বাবার গলা শুনি, ‘কী হলো, শুনছো?’ মার সাড়া নেই। আমি কান খোলা রাখতে রাখতে অধৈর্য হই। ক্যালকুলাস বইয়ের শেষ পৃষ্ঠায় লিখি- আমি কান পেতে রই।



রাতে খাবার টেবিলে বসতেই মা আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তেরশ বাষট্টি কিরে?’ আমি আকাশ থেকে পড়ি। মাও জানেনা! তাহলে কে জানবে আর! বড় আপা? সে সম্ভাবনা ক্ষীণ। গ্রেস অ্যানাটমি মুখস্ততে সে এখন ব্যস্ত। গীতবিতানে তার মাথাব্যথা নেই। আমি হতাশ সুরে মাকে বলি, ‘তুমিও জাননো না!’ মা বলেন, ‘তুই না-কি গীতবিতানে কীসব লিখে রেখেছিস?’ আমি আমতা আমতা করি। বলি, ‘কে বলেছে?’ মা হাসেন, বলেন, ‘খুব সেয়ানা হচ্ছো, তাইনা!’ সেয়ানা কথাটিতে আমার বরাবরই আপত্তি। রবীন্দ্রনাথেরও আপত্তি ছিল শব্দটিতে। বলি, ‘মা, তুমি অরাবীন্দ্রিক শব্দ ব্যবহার করছ খাওয়ার টেবিলে।’ মা এবার জোরে হাসেন। তারপর গুনগুন করে গেয়ে ওঠেন, ‘যে রাতে মোর দুয়ারগুলি ভাঙলো ঝড়ে।’ আমি বলি, ‘গান ছাড়লে কেন?’

- ‘তোদের জ্বালায়।’

- ‘আমরা খুব জ্বালাই তোমাকে?’

- ‘মা হওয়ার পর বুঝবি।’

- ‘কী বুঝবো?’

- ‘তোর মেয়েরা যখন গীতবিতানের পাতায় প্রেমের কবিতা লিখতে শুরু করবে সেদিন টের পাবি।’



মার কথা শুনে আমি লাল হই। হুমায়ূন আহমেদ হলে বলতেন- বেগুনী। যাহোক, কান গরম হয়ে উঠছে, টেরপাই। আমি কাঁপা কাঁপা গলায় বলি, ‘ওগুলো প্রেমের কবিতা না। রবীন্দ্র সঙ্গীতের টুকরো।’ মা হাসেন। প্লেটে ভাত বাড়তে বাড়তে এবার একটু উচ্চস্বরে গেয়ে ওঠেন, ‘জানিনাইকো আসবে তুমি এমন করে।’ তারপর হঠাৎ গান থামিয়ে বলেন, ‘তোর বাবাকে খেতে ডাক।’ আমি মায়ের কাছে মিনতি করি, ‘বাবার সামনে এসব কথা তুলো না।’



খাবার টেবিলে বড় আপা চেয়ার টানতে টানতে বাবাকে জিজ্ঞেস করল, ‘তেরশ বাষট্টি কি?’ বাবা কেবল ভাত মুখে নিয়েছেন, বড় আপার প্রশ্ন শেষ না হতেই তিনি হেচকি তুললেন। আমি ভাবলাম, যাক তেরশ বাষট্টির এবার একটা হিল্লে হবে। বাবা একের পর এক হেচকি তুলতেই থাকলেন। মা বললেন, ‘খাওয়ার সময় এত কথা কিসের!’ বড় আপা বলল, ‘সারাদিন এই তেরশ বাষট্টি শুনতে শুনতে কাটল!’ মা বললেন, ‘তুই থামতো!’



আমরা থেমে গেলেও তেরশ বাষট্টি আমাদের মাথায় গেঁথে রইল। আমার মাথায়। বড় আপার মাথায়। মার মাথায়। শুধু বাবার মাথাই রক্ষা পেয়েছে তেরশ বাষট্টি থেকে। তেরশ বাষট্টি বাবার গলায় হেচকি হয়ে আটকে আছে। মাথায় ওঠার সাহস পাচ্ছেনা।



রাতের খাবার শেষে বড় আপার রুমে ঢুকতেই আপা বলল, ‘তোর প্রিয় একটা কবিতা বল।’ আমি বললাম, ‘কেন?’ বড় কপট বিরক্ততে বলল, ‘দরকার আছে।’

- ‘কোন রসের কবিতা শুনবে- কাম রস, না করুণ রস?’

- ‘তোর ইচড়ে পাকামো রাখ।’



আমি ইচড়ে পাকামো রবীন্দ্রনাথের জন্য তুলে রেখে সুনীলের কবিতার কথা ভাবি। পূর্ণেন্দু পত্রী হাতড়াই। না কিছু মাথায় আসছেনা। রবীন্দ্র কবিতার ছিটে-ফোঁটাও মনে নেই। এই হয়! পরীক্ষায় আমি বরাবর ফেল করি। বড় আপাকে বলি, ‘গান হলে চলবে?’

- ‘আগে শুনি!’

- ‘এই লভিনু সঙ্গ তব সুন্দর হে সুন্দর।’

- ‘নতুন কিছু শোনা। এটি পঁচে গেছে।’

- ‘আমার ভাঙা পথের রাঙা ধূলায় পড়েছে কার পায়ের চিহ্ন।’

- ‘এটিও পঁচে গেছে। রবীন্দ্রপ্রেমীদের সমস্যা কি জানিস, ওরা রবীন্দ্রসঙ্গীতকে পচনশীল জৈবে পরিণত করেছে।’



বড় আপার কথায় আমি আহত হই। ওর মনের মতো গানটি খুঁজে পাচ্ছিনা বলে অস্থির লাগে। রবীন্দ্রনাথের ওপর খুব রাগ হয়। কেন রাগ হয়? জানিনা। হয়তো আমার মনে হয়েছে, এই মানুষটির ওপর রাগ করা যায়। তাই রাগ করি।



- ‘আমি তোমাতে পেতেছি শয্যা, আমি তোমাতে করিব বাস, দীর্ঘ বরষা, দীর্ঘ শ্রাবণ মাস।’

- ‘তুই নাকি পুরো গীতবিতান মুখস্থ করেছিস! বাবা বললেন।’

- ‘আমি কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় না যে- গীতবিতান মুখস্থ করতে যাব।’

- ‘তোর এই- পেতেছি শয্যা গানটি ভাল। আবার বল, লিখে রাখি।’

- ‘আপা তুমি প্রেমে পড়েছো?’



বড় আপা আমার দিকে শ্যেন চোখে তাকিয়ে থাকে। রবীন্দ্রনাথ হলে বলতেন, কটাক্ষ হানিলো। আমি বলি, ‘প্রেমে পতনের প্রথম প্রকাশ, রবীন্দ্রসঙ্গীতকে পঁচা প্রমানে। এটি তীব্রভাবে তোমাকে ধারণ করে বলেই একে অসহ্য ভাব।’ বড় আপা আমার দিকে আবার কটাক্ষ হানে। বলে, ‘তোকে কে শিখিয়েছে এসব?’ আমি হাসি। বড় আপাকে তৎসম শব্দের প্যাঁচে ফেলা গেছে। বলি, ‘রবীন্দ্রনাথ।’ ‘রবীন্দ্রনাথ দেখি তোকে সবকিছু বলে গেছে!’- বড় আপা আমার কান টেনে ধরে। আমি কান বাঁচাই এবং রবীন্দ্র-ইজ্জত বাঁচাতে জোর গলায় গেয়ে উঠি, ‘সহে না যাতনা, দিবস গনিয়া গনিয়া বিরলে।’ বড় আপা আমার কান ছেড়ে দিয়ে মুখ চেপে ধরে। বলে, ‘বাবা শুনতে পাবে।’ আমি আমার রবীন্দ্র প্রতিভায় বিমুগ্ধ হই। যেন রবীন্দ্রনাথকে গেয়ে উঠলেই বাবা টের পাবেন- বড় আপা প্রেমে পড়েছে! আমি আরো একবার রবীন্দ্র-উচ্চতা মাপি। দৈর্ঘ্য তেইশ, প্রস্থ তেইশ, উচ্চতা তেইশ।



সে রাতে লোডশেডিংয়ের ছুটি শুরু হলে- আমি মাকে ছাদে খুঁজতে যাই। দেখি বাবা ছাদে হাঁটছেন। মা রেলিংয়ে হেলান দিয়ে বসে। অন্ধকারে দু’জনকে কী দেখে আমার কী যেন হয়, রবীন্দ্রনাথ আমার কণ্ঠে সাহস নিয়ে গেয়ে ওঠেন, ‘দু’জনে মুখোমুখি, গভীর দুঃখে দুখী আঁধারে মিশে গেছে আর সব।’ বাবা শব্দ করে হাসেন। বলেন, ‘মিনু, একটা গান শোনাও।’ আবছায়া বলেই বাবা মায়ের নাম ধরে ডাকেন এবং হয়তো আবছায়া বলেই আমার মনে হয়, বাবা মিনু নামেই মাকে সারা জীবন ডেকেছেন। আমি মায়ের গা ঘেঁষে বসি। বলি, ‘শোনাও না একটা গান!’ মা বলেন, ‘এতদিনে গানের সব কথা ভুলে গেছিরে।’ বাবা বলেন, ‘যেটুকু মনে আছে, তাই শোনাও।’ মা প্রথমে গুণগুণ করে শুরু করলেন, ‘এ পারে মুখর হলো কেকা ওই, ও পারে নীরব কেন কুহু হায়।’ মায়ের গুণগুণ কণ্ঠ কখন যেন একলা কেকা হয়ে আমাদের ছাদে উড়ে বেড়াতে লাগল। কোথাও বাতাবী লেবু গাছে ফুল এসেছে। মাকে সঙ্গত করতেই লেবুঘ্রাণ থমকে রইল বাতাসে। হয়তো রবীন্দ্রনাথও দূরে কোথাও দাঁড়িয়ে ছিলেন।



এভাবেই রবীন্দ্রনাথ আমাদের বাড়ীতে টিকে আছেন। গীতবিতানে, খাওয়ার টেবিলে, কিংবা আমার সেয়ানা হয়ে ওঠায়, লেবু ঘ্রানমাখা অন্ধকার রাতে, ছাদে।



গান শেষ হলে, আমরা যখন চুপ করে বসে ছিলাম, বড় আপার আসাও টের পাইনি, তখন বাবা মাকে বলেন, ‘অনেকদিন পরে পুরো একটা গান গাইলে। মনে হয়, কয়েক যুগ পরে।’ মা কিছুক্ষণ চুপ রইলেন। তারপর বললেন, ‘তোমার মনে আছে তেরশ বাষট্টি?’ বাবা উত্তর দিলেন না। হয়তো তার বলার মতো কিছু নেই। বেশ তেরশ বাষট্টির প্যাঁচে পড়া গেলতো!



আমি বললাম, ‘তুমিইতো আমাকে জিজ্ঞেস করলে, তেরশ বাষট্টি কি?’ মা কথার জবাব দিলেন না। বাবা মাথা নীচু করে রইলেন। অনেকক্ষণ। আমি ফিসফিস করে মাকে বললাম, ‘তেরশ বাষট্টি কি মা?’ মা নিশ্চুপ। হয়তো কথা সাজাচ্ছেন, আর আমার চুলে বিলি কাটছেন। কিংবা হয়তো ও পারের নিঃসঙ্গ কুহুর কথা ভাবছেন। হয়তো বাবার কাছ থেকেই শুনতে চাইছেন তেরশ বাষট্টিকে।



‘আমাদের বিয়েতে তোর মায়ের গানের মাষ্টার বইটা উপহার দিয়েছিল’, বাবা কথা শুরু করেন। আমরা কান খাড়া করি। রবীন্দ্রনাথের ভাষায়- ‘আমি কান পেতে রই।’ কথা আর এগোয় না। কান পাতা সাড় হয়। বড় আপা বলেন, ‘এই খবরটিকে এত ভয়াবহ বানাচ্ছো কেন?’ বাবা চুপ থাকেন। মাও চুপ। আমার কেমন যেন অস্বস্তি লাগে। বুড়ো রবীন্দ্রনাথ আমাকে বলেন, ‘সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালবাসিলাম।’ আমি বলি, ‘কিন্তু তোমাদের বিয়েতো আর বাষট্টিতে হয়নি! আরো বছর পাঁচেক পরে হয়েছে।’ আমার পাকামোতে বড় আপা চিমটি কাটে। মা চুল ধরে টান দেন।



‘লোকটির হয়তো আর কিছু দেবার ছিলনা। পুরনো বইটিই দিয়েছে’, মা বলেন। আবার সব চুপচাপ। অমোঘ মৌনতা। তারপর নীরবতা অসহ্য হয়ে ওঠার আগেই বাবা বলেন, ‘এক রাতে লোকটি আমাদের বাড়ীতে আশ্রয় নিতে এসেছিল। একাত্তর সালের মাঝামাঝি।’ আমরা তেরশ বাষট্টির রহস্যভেদে হামাগুড়ি দিয়ে এগোই। অবিন্যস্ত আবছায়া বাবা-মাকে ঘিরে। আলোর বরফি। আঁধারের ছক। এ যেন মৈত্রেয়ী দেবী আর রবীন্দ্রনাথকে ঘিরে আলো-ছায়ার খেলা। এক সময় মার চোখে পানি জমে হয়তো। নাহলে অনেকক্ষণ পরে, মা কেন ভাঙা ভাঙা গলায় বলে উঠলেন, ‘আমরা তাকে অন্য মানুষের হাতে তুলে দিয়েছিলাম।’ তারপর আর কোনো কথা নেই। বাবা দূরে কোথাও তাকিয়ে থাকেন। মা আরো দূরে। আমি ফিসফিস করে বলি, ‘কাদের হাতে?’ মার উত্তর দিতে খুব দেরী হয়। বাবারও।



লেবু ঘ্রাণ, আমাদের মৌনতা, কিংবা আমরা রবীন্দ্রপ্রেমীরা আবছায় বসে থাকি। হয়তো রবীন্দ্রনাথও বসে থাকেন। হয়তো বুড়ো মানুষটি গাইতে থাকেন, ‘অমল ধবল পালে লেগেছে মন্দ-মধুর হাওয়া।’ কিংবা তিনিও আঁধারে মিশে থাকেন। আলো-ছায়ার ওপাড়ে।

মন্তব্য ১০৭ টি রেটিং +৩২/-০

মন্তব্য (১০৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৩:০৯

রন্টি চৌধুরী বলেছেন: জ্বর সারলে পড়ব।
+ অগ্রীম

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৩:১১

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: জ্বর ভালো হোক।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:১৪

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: জ্বর ভালো হতে এত সময় নিচ্ছে কেন? (আইরিশ জ্বর খুব পাজি নাকি?)

২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৩:২৪

ভাঙ্গা পেন্সিল বলেছেন: অসাধারণ একটা গল্প...আপনার সব গল্পই কি এতো সুন্দর হয়? তাহলে যে পড়া শুরু করতে হয়!

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৩:২৬

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাঙা পেন্সিল। আপনার মন্তব্য পেলে ভালো খুশি হব।

৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৩:২৭

একরামুল হক শামীম বলেছেন: লগ আউট করে ফেলছিলাম। অসাধারণ গল্পটা পড়ে ভালো লাগা জানাতে লগ ইন হতে হলো।
গল্পটা অনেক ভালো লাগলো মোস্তাফিজ রিপন ভাই।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৩:২৯

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: ধন্যবাদ শামীম ভাই। খুশি হয়েছি আপনার মন্তব্য পেয়ে।

৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৩:৩৫

বিষাক্ত মানুষ বলেছেন: নতুন করে কিছু বলার তো আর নাই । আপনার লেখা দেখে যা পাইতে চাইছিলাম .... পাইছি । +++++++

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৩:৩৬

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: ধন্যবাদ বিমা। শুভাশিষ জানুন।

৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:৪০

রাজর্ষী বলেছেন: আপনার গল্প যখনই পড়ি তখুনি মনে হয় সা.ইনে ব্লগিং করাটা সার্থক হয়েছে। প্রতিটি লেখাই একেকটা উল্কাপাত ঘটায়। আপনি আরো ভালো লিখুন সেই কামনাতে।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:৪৪

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: ধন্যবাদ রাজর্ষী। আপনার মন্তব্যটি নিঃসন্দেহে আমাকে উৎসাহ জানাবে। তবে আমি জানি, এতবড় কম্পলিমেণ্ট পাওয়ার যোগ্যতা আমার নেই।

আপনার লেখার হাতও কিন্তু চমৎকার।

৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:৪২

বিগব্যাং বলেছেন: +

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:৪৫

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: :)

৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৬:১৯

আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: প্রথম পাতায় চোখ বুলিয়ে চলে যাচ্ছিলুম, আপনার লেখা চোখে পড়ল। পড়লাম।

বুড়ো দেখি এখানে-ও ভর করেছে! বুড়োবিহীন দিন/সপ্তাহ পার করা কষ্টকর বৈকি।

তবে গল্পে অধিকমাত্রায় পরিলক্ষিত হল, একটু কম হলে সুবিধা হত।
অবশ্য আলো-ছায়ায় আমার অনেক কিছুকেই রহস্যময় মনে হয়।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৬:২৯

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: এটি হচ্ছে রবীন্দ্র-পতন, রবীন্দ্র-যাপনের গল্প। আমাদের কোন অনুভূতিকে ধারণ করেননি তিনি? 'আমার সকল দুঃখের প্রদীপ'। রবীন্দ্রনাথ সবকিছুকে দেখেন- আলোর মূহুর্তে, আঁধারের রাতে, আলো-ছায়ার বিচিলিত ক্ষণে।

ভালো থাকুন।

৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৬:৪৪

তনুজা বলেছেন: আপনার লেখার অনেক প্রশংসা চোখে পড়েছে, কেন পড়েছে েখন বেশ বুঝতে পারছি।

অনবদ্য রচনা।
তবে শেষটা বিস্ময়কর ক্রুরতায় পড়া, কিছুটা বিদ্রূপ যেন। সেটা আপনি স্বেচ্ছায়ই করেছেন হয়ত।

অভিনন্দন।

একটু উশখুশ করছে একজায়গায়, একটু কনফার্ম করবেন.."এপাড়ে মুখর হলো কেকা ওই, ওপাড়ে নীরব কেন কুহু হায়’ 'এপাড়/ওপাড়' না 'এপার/ওপার' (আমার কাছে গীতবিতান নেই)

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৬:৫৭

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: এইরে! আমি বানানটা জানিনা। তবে ছাপার অক্ষরে দেখে এপার/ওপারকেই ঠিক বানান মনে হচ্ছে। হাতের কাছে কোন অভিধানও নেই যে দেখে নেবো। চোখের আন্দাজে বানান ঠিক করতে হয় আমাকে। সুযোগ থাকলে আপনি বানানদুটো কনফার্ম করতে পারবেন, প্লিজ?

আপনার মন্তব্যটি খুব কাজের।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৭:২০

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: এ পার... ও পার ঠিক করে নিয়েছি। অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৬:৪৮

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
মনে হলো আমার কথাগুলো বললে রিপন.........
সেই কবে গীতবিতান এর পাতা উল্টানো শুরু........
সব গানের সুর কি আর জানতাম.........।যেগুলো জানতাম তো জানতাম।না জানাগুলো সুর করে গাইতাম......।

কোন পাতায় কোন গান একসময় সূচী দেখতা হতো না.....।
সুরের আগুন ছড়িয়ে দিলো কবে কোনসময় এখনো ভাবলে অবাক হই।
মনে হয় ক্লাস টুতে হাতে এসেছিলো গীতবিতান.........।

মেজোবোন এর সাথে বসে, কখনো বা দোতলায় থাকা লতা আপার সাথে বসে কান্নাহাসির দোল দোলানো থেকে শুরু হতো গান গাওয়া.....
তোমার লেখায় স্মৃতিগুলো মুখর হলো।

লিখতে ইচ্ছা করছে সেইসব দিন।
সুনেত্রা ঘটকের একটা লেখা পড়ে ক'দিন একম হয়েছিলো।একটা লেখাও লিখেছিলাম।
আসলে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে ভাবাভাবি কখনোই শেষ হবেনা........
"শেষ নাহি যে শেষ কথা কে বলবে?"

ভাবনার অতলে ভীড় করে থাকে কত অনুভব......
"বহে নিরন্তর অনন্ত আনন্দধারা......."

রিপন অসাধারণ লেখা জন্য অনেক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা..........
ভালো থেকো।
লেখা আসুক.....লেখা চলুক।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৭:০৭

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: সাজি আপা, এখনো লালমনির হাটে? খুব শীতের পিঠে খাচ্ছেন, তাইনা!

রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে আসলেই 'শেষ নাহি হবে।' এত তীক্ষ্ণভাবে তিনি সবকিছুকে দেখেছেন যে তাঁকে এড়িয়ে যাবার সাধ্য কার? বিষাদ, আনন্দ, অসহায় মূহুর্ত... সবকিছুকে তিনি প্রকাশ করেছেন, নানা মাত্রায়, নানান বর্ণে।

বই বক্রি হচ্ছে? বই প্রকাশ, এই সংক্রান্ত অনুভূতি নিয়ে পোষ্ট চাই। আমি জানতে চাই,

'এক নতুন কবির
প্রথম কবিতায়
জল পড়ে পাতা নড়ে
কত বিমুগ্ধতায়'...

১০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৬:৫৩

তনুজা বলেছেন: তবে শেষটা বিস্ময়কর ক্রুরতায় ভরা, 'পড়া' নয়

১১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৭:০১

তনুজা বলেছেন: বই পাবো না রে ভাই, আমি গানের সুরটা ভাবার চেষ্টা করলাম, পাড় না পারই মনে হয়, কারণ সাগরপাড়, সাগরপার দুটোই সঠিক । কিন্তু ভেবে দেখেন গানে পাড় ঠিক থাকার কথা না ।

আমারও অসম্ভব প্রিয় লিরিক , কিন্তু গানটাও খুঁজে পাইনা সহজে

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৭:১০

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: মেঘদূতের দেয়া লিঙ্কটাতে দেখলাম-
এ পারে ... ও পারে

১২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৭:০২

মে ঘ দূ ত বলেছেন: বাহ! ভালো লাগলো পরে।

তনুজাদি মন্তব্য করেছেন দেখেই পড়তে বসা। শুরুতেই রবীন্দ্রনাথ দেখে পড়ার উৎসাহ আরো বেড়ে গেলো।

একটা প্রশ্ন ছিলঃ দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা তেইশ এই তেইশটা কি বলবেন?

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৭:১৪

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: সুকুমার রায়ের হ-য-ব-র-ল পড়েছেন? ওখানে একটা বেড়াল ছিল। যার গজফিতেয় সব কিছু মুছে গিয়ে কেবল তেইশ সংখ্যাটি টিকে ছিল। তাই সে যা-ই মাপতো, সেটাই ঠেকতো তেইশে। :)

১৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৭:০৬

মে ঘ দূ ত বলেছেন: লিরিকটা এখানে পেতে পারেনঃ

Click This Link

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৭:১৫

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: মেঘদূত কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৭:২১

মে ঘ দূ ত বলেছেন: মজারতো :D। হয়তো বুঝতে পারছেন ওটা আমার পরা নেই। তাই আপনি আপনার লেখায় "হ-য-ব-র-ল" উল্লেখ করা সত্ত্বেও বুঝতে পারিনি।

ধন্যবাদ।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৭:৩১

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: সুযোগ পেলে ওটা পড়ে নেবেন। দারুণ! (বিফলে মূল্য ফেরত টাইপ লেখা। :))

১৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:৫৯

আবু সামিহা বলেছেন: অদ্ভুত (সুন্দর)। ঠিক আগের রাগী রাগী গল্পটার পর এটাতে কেমন যেন কোমল মায়াময়তার ছাপ। অন্য গল্পগূলোর মতো এখানে ও অপেক্ষা করছিলাম শেষটুকুর জন্য। রাগ বা বিস্ময় নয়, মন ভরে গেলো নিস্তব্ধ বিষাদে।
অনেক দিনের ভুলে যাওয়া গানগুলোর জন্য ধন্যবাদ। সেই কবে কোন সুদূর অতীতে বন্ধুর গলায় "কুহু কুহু কুহু হায়..." শুনে মুগ্ধ হয়েছিলাম। আর গীতবিতান... সঞ্চয়িতায় "পুরাতন ভৃত্য" আর "শুধু বিঘে দুই" এর বেশী এগুতে না পারলেও বার বার ফিরে গেছি গীতবিতান এর কাছে। দেশ ছেড়ে আসার সময় আরো অনেক কিছুর সাথে গীতবিতান ও হারিয়ে এসেছি। ধন্যবাদ মনে করিয়ে দেয়ার জন্য।
ভালো থাকুন, লিখতে থাকুন, অনেক।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:৩৫

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: রাগী রাগী গল্পে রাগ হলে কোমল গল্পে আসা যাক। আমরা দেশ ছাড়ি- গীতবিতানও হারিয়ে যায়। এ এক অদ্ভুত বিষাদ। তবুও দেখুন, গীতবিতানের সুরগুলো ঠিকই ফিরে ফিরে আসে।

ভাল থাকবেন।

১৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:০৬

ভালোমানুষ বলেছেন: কি দারুন লেকা, পড়তে গিয়া মনডা ভালা হইয়া গেলগা +

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:৩৬

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: ভালো মানুষের মন ভালো হলো যেনে প্রীত হলাম। :)

১৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:৪১

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: আপনার গল্পটা দেখেই লগইন করা

একেবারে রবীন্দ্রনাথে মুড়ে দিয়েছেন গল্পটাকে, আপনি পারেনও!! শ্রদ্ধাতো হয়ই, ঈর্ষাও হয়।

নো কান্ট্রি ফর ওল্ড ম্যান, পিয়ানিস্ট টাইপের মুভি দেখা এই যুগে রবিবাবুর ছোটগল্পগুলো পড়ে আর সেরকম "শেষ হইয়াও হইলোনা শেষ" অনুভূতিটার চেয়ে "খানিকটা রেশ রয়ে গেল" অনুভূতিটাই বেশী হয়, হয়তো পিকাসো ব্যাটাই বারোটা বাজিয়ে দিয়ে গেছে মূলে।
তবে আপনার গল্প "শেষ হইয়াও হইলোনা শেষ" সংজ্ঞাটাকে বাঁচিয়ে রাখবে।

একটু সমালোচনা করি (ঈর্ষা যখন করেই ফেলছি সমালোচনার কিছু তো খুঁজে বের করতেই হয়! ;) )
রবিঠাকুরে মোড়া গল্পটায় আবার হুমায়ূন আর সুনীলের উঁকিটাকে পাঠক কিভাবে নেবে সেটা বিতর্কের বিষয়, আমি পুরোপুরি রবিঠাকুরে বুঁদ হয়েই পড়তে চেয়েছিলাম।


আরেকটা ব্যাপার বুঝলামনা, তেরশো বাষট্টি হবে না বাহাত্তর? এই জায়গাটায় সংশয় এখনও কাটলোনা।

মানে খুলে বললে, বাষট্টি ধরলে যে প্রশ্নগুলো জাগে,
বিয়ের দশ বছর পর গানের মাস্টার আশ্রয় চাইতে এসেছিলেন? উপহারটা কি দশ বছর আগে দিয়েছিলেন? না দশ বছর পর আশ্রয় চাইতে আসার সময় সাথে করে নিয়েএসেছিলেন?

বাহাত্তর ধরলে এত প্রশ্ন থাকেনা, ধরে নেয়া যায় যে বিয়ের বছরই গানের মাস্টার আশ্রয় নিতে এসেছিলেন, সাথে উপহার।

নাকি আমি আরো গভীর কিছু মিস করলাম!! ;)

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:০৩

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: সময়ের আমি হিসেবটা এভাবে করেছি-
গানের মাষ্টার মশাই তেরশ বাষট্টিতে গীতবিতানটি উপহার পেয়েছিলেন কারো কাছ থেকে। যেখানে লেখাছিল 'সুখী হও' কথাটি। বছর পাঁচেক পরে মায়ের বিয়েতে তিনি ওটিই উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন। তিনি আমাদের বাড়ীতে আশ্রয় চেয়েছিলেন তেরশ বাহাত্তরে, যেটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বছর।

সময়ের হিসেবটি গল্পের জন্য খুব দরকারী নয়। দরকারী ছিল, অপ্রাসঙ্গিক এই সময়কালটি, যা গল্পের কথক মেলাতে পারেনি চেষ্টা করেও। তার মনে এক ধরনের কৌতুহল জেগেই ছিল এই সময়কালকে নিয়ে। সময়ের পেছনের মানুষগুলোকে আবছায়ায় আবিষ্কার করতে কার না কৌতুহল হয়নি।

আপনি এতো মনোযোগ দিয়ে লেখাটি পড়েছেন যেনে অবাক হয়েছি। খুশিও হয়েছি দারুণ!

সুনীল, হুমায়ূনের পাঠেকেরা মন খারাপ করবে? কলেজ পড়ুয়া একটি মেয়ে হুমায়ূন পাঠ করবে, সুনীলের প্রেমের কবিতার বই বালিশের নীচে লুকিয়ে কাঁদবে- এমনই ভাবতাম আমি।

যাই বলুন, সুনীলের প্রমের কবিতার তুলনা নেই।

'ভ্রুর পল্লবে ডাক দিলে দেখা হবে চন্দনের বনে'... কে আর বলতে পারবে এমন করে, সুনীল ছাড়া!

১৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:০৩

শান্তির দেবদূত বলেছেন: মাই গড !!! বেস্ট অফ দা বেস্ট .........

আপনার সেরা গল্পটাই মনে হয় পড়ে ফেললাম ......

একটা ব্যাপার .... আপনি এত সুন্দর সুন্দর ছবি কোথায় পান ? ....মনে হয় এই ছবিগুলো শুধু আপনার গল্পের জন্যই আঁকা ......

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:১০

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: ওহে দেবদূত, (আমি কিন্তু আপনার নাম জানি এখন :)), সেরা গল্পটা এখনও লিখিনি কিন্তু! এর পরেরটাই সেরা হবে। কসম।

আপনি গল্প লেখা বাদ দিলেন কেন? আমি একদিন কী সব বলেছিলাম, তার পর থেকেই আপনি গল্প লিখেননি। কথাটি কিন্তু সত্য। এক ধরনের অপরাধ বোধ কাজ করে আমার। আপনার পুনর্জন্ম গল্পটি আমার অনেক প্রিয় একটি গল্প।

প্লিজ লিখুন। (বিয়ে করেও কিন্তু গল্প লেখা যায়।)

১৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:২৪

শান্তির দেবদূত বলেছেন: :) পরের গল্পটার জন্য অপেক্ষায় রইলাম ......

কি যে বলেন না বস !! আপনের কথা, আলোচনা আমি খুবই উপভোগ করি .... সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে আপনার মত লেখকের "সমালোচনা" পেলে .....

অনেক গুলো গল্পই মাথায় ঘুরছে, ২ টা আবার অর্ধেক লেখাও হয়ে আছে ..... কিন্তু বিচিত্র কারনে আর এগুতে পারছি না :( ....... মনে হচ্ছে হ্যাং হয়ে আছি ........

বিয়ের সাথে লেখার কোন সম্পর্ক নাই :) ...... তবে একটু ভয়ে ভয়ে আছি ,

..... কারন ...... আমার এবং আমার বউ এর বন্ধু মহলে আমার একটা "গুড বয়, গুড বয়" ইমেজ আছে .... আর আমার বিয়েতে , ছন্নছাড়ার পেন্সিল আর শামীম ভাই আমার কোথোপোকোথোনের :) সবগুলো পর্ব বাঁধায় করে বই আকারে গিফ্ট করে .......

আর আমার বউ এখন ঐ বইটা বন্ধুদের ধরে ধরে জনে জনে পড়াচ্ছে আর আমি কত "নিচ" :| , কত "ছোটলোক" :| এই ব্যাপারে জনমত তৈরী করছে ....... দেশে গেলেই প্রতিটা পর্বের জন্য " কাফ্ফারা " সরুপ চাইনিজ খাওয়াতেই হবে :(( :(( ........

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:৩৫

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: ছন্ন আর শামীম ভাইকে থ্যাঙ্কু। আপনার 'বিবাহনামা' কিন্তু আমি বাঁধাই করে গিফট করব। বুকিং দিলাম।

:)

২০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:২৫

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: যাক, ক্লিয়ার হলো ...
পাঠক হিসাবে আমার একটা দোষ বলতে পারেন, বিশেষ করে আপনার গল্প পড়ার পর, যেসব যেসব জায়গায় পাঠককে অনুমান করার স্কোপ দেয়া হয়, তার সবগুলোই অনুমান করে একটা পরিপূর্ণ কাহিনী দাঁড় করানো ...
সেকারণেই অজানা সময়টা নিয়ে কথকের মধ্যে যে ধুম্রজাল সেটাকে পুরোপুরি না দূর করলেও যে চলে -- সেটা টের পাইনি।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:৪২

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: আমার ভালো লাগে এটা ভেবে যে, আপনার মতো অনেকেই মনোযোগ দিয়ে লেখাগুলো পাঠ করেন। এই বিষয়গুলো আমাকে খুব টানে। সচেতন হয়ে ওঠা এবং ভুল এড়ানোর যথেষ্ট অবকাশ থাকে এসব পর্যবেক্ষণে। যেটা খুব জরুরী।

২১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:৫৮

বাফড়া বলেছেন: ধূর কি ভাবছিলাম কমেন্ট দিমু.. শেষটুকু পইড়া আমার প্লানিং টাই বরবাদ... বাদ দেন... অবশ্য এইটাও কথা যে রিয়াল লাইফে মানুষ আসলেই কিছুটা শয়তান, স্বার্থপর..।

জ্বিনের বাদশার প্যাচ খেলানোয় ধন্যবাদ... এতে একটা জিনিস কিলিয়ার হইছে.। সেইটা হইল লেখকের ভিউটা... আসলে বিখ্যাত লেখকদের (আপনার না... খিকজ) সমালোচকরা লেখা পইড়া এই সেই লিখে... বলে যে লেখক এই মিন করছেন, সেই কমিন করছেন.. চিপায় লেখক কি মিন করছেন তা জানাই যায় না। জ্বিনের বাদশার কমেন্টে অন্তত পয়লাবারের মত জানতে পারলাম লেখকের ইন্টেনশন কি ছিল। জ্বিন্টুরে ধন্যবাদ।

আামার গার্লফ্রেন্ড আমারে মাঝেমাঝে ফোনে রবীন্দ্রসংগীত শুনাইত চাপাচাপি করলে... কই যে গেল সেই সব দিন... আর সেই সব মানুষ..

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:১৫

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: আরে বাফরা যে, ম্যালা দিন পরে। জ্বিণ্টু নামটা কিন্তু সুন্দর হৈছে। ডাকতে সুবিধা। কিন্তু লিখতে গেলে অনেকগুলা বাটন চাপতে হয়।

:)

আসলে প্যাচটা খুলছে বইলা যা ভাবতেছেন তা কিন্তু না। আপনে হয়তো বিষয়টা বিঝতে পারবেন। ধরেন, তেরশ বাষট্টি। এর সাথে যোগ দেন পাঁচ। ফলাফল যা পাইলেন, তার থিকা আবার পাঁচ বাদ দিয়া সাত যোগ করেন। এইবার সরল অঙ্কের ডান দিকে ঊনিশ একাত্তর আর বাম দিকে তেরশ বাষট্টি লিখা সমান চিহ্ন বসান। এর থিকা যে রেজাল্ট পাইবেন, তারে তেরশ বাষট্টি দিয়া গুন করবেন।

বাফরা, গার্লফ্রণ্ডকে গান শেখান। সিডি প্লেয়ার কেনার পয়সা বাঁচবে। আমার কথা বিশ্বাস করেন।

কেমন আছেন আপনি?

২২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:১৮

সীমান্ত আহমেদ বলেছেন: রিপন ভাই, পড়লাম পড়লাম আবার পড়ব।

সস্তা প্রশংসা করা আমার ধাতে নেই তবে আপনার লেখা পড়ে প্রশংসা না করেও পারি না। আপনার লেখা যখনই পরি ভালো লাগে পুরনো লেখাগয়ুলোও পরি।
এত সুন্দর লিখেন কেমনে ভাই?
মুগ্ধতা আর ভালো লাগা রেখে গেলাম।
আপনার লেখা চলতে থাকুক এই কামনায়.........

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:৫৫

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: ধন্যবাদ সীমান্ত। আমার লেখাগুলো আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হয়েছি। কয়েকদিন আগে আপনার ব্লগে ঢু মেরে ছিলাম। একদিন সারাদিন কাটানোর ইচ্ছা আছে আপনার ব্লগে। আরো কথা হবে তখন।

২৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:০৫

বিষাক্ত আলো বলেছেন: দারুণ গল্প !!!

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:৫৬

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: শুভাশিষ জানবেন।

২৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:২৯

কঁাকন বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো

শেষ টা অনেক নাটকীয়
ভালো থাকুন

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:৫৭

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: কাঁকন, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:২৮

আকাশচুরি বলেছেন: আহ! চিরায়ত বুড়ো, আহ! একাত্তর,

মুগ্ধতা প্রকাশের ভাষাগুলো ইদানিং খুব ক্লিশে হয়ে গেছে, আপনার জন্য নতুন কিছু খুঁজে বের করতে হবে:)

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:৫১

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: আপনাকে খুব এক্সপেক্ট করছিলাম। :)

২৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:৩১

আকাশচুরি বলেছেন: শান্তির দেবদূতের বিবাহ পরবর্তি ধরা খাওয়া দেখে ব্যাপক মজাক পাইলাম:D

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:৫৬

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: আমিও। ভেবেছিলাম শামীম ভাই, আর ছন্ন বুঝি নিরস টাইপের হবে; ভাল মানুষ জাতীয় আর কি! ;) এরা শুধু সরসই নয়, রীতিমত টুপটুপে রসালো। :)

২৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:১৭

আকাশচুরি বলেছেন: বস, আপনার গল্প খুব প্রত্যাশিত ছিল, যদিও জানি এমন লেখা একটু বিরতিতে পাওয়ায় ভালো, কিন্ত আমাদের তর যে সয় না! :)

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:২১

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: তারিক ভাই, আমাদেরও কী তর সয়! এত কম লিখেন কেন?

২৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:২৪

ছন্নছাড়ার পেন্সিল বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমিও। ভেবেছিলাম শামীম ভাই, আর ছন্ন বুঝি নিরস টাইপের হবে; ভাল মানুষ জাতীয় আর কি! ;)

এরকম ভাবনা আজই বাদ দেন। দেশে ফিরতেছেন কবে? আপনার ধরা খাওয়ার ব্যবস্থাও করা যাইবেক। ;)

যাহোক, এটা অফটপিক ছিল। অনটপিকে কিছু বলার পাচ্ছি না। কালকে একবার পড়েছি গল্পটা। আজকে আরেকবার পড়লাম। আরো কয়েকবার পড়ে তারপর মন্তব্য। (ভাল জিনিশের জন্যে অপেক্ষা করতে হয়!;))

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:৪৫

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: ভাল জিনিসের জন্য অপেক্ষা করেই ছিলাম। আরো ভাল কিছু আসছে বুঝি! :)

অনেকদিন দাওয়াত খাইনা; বিয়ের দাওয়াত পেলেই আসব। ;)

২৯| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:১০

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:



বাপ্পাদিত্য,
শুভেচ্ছা জেনো। তোমার মন্তব্যটি মুছে দিয়েছি বলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। ব্যাপক শরমিন্দা লাগছিল। আমার শোকসভার জন্য আরো ভালো কিছু লিখো।


তুমি কি এখন নাটকের দলে কাজ করছো? যতটুকু মনে পড়ছে, টিটু বলেছিল, আরণ্যকে আছো। মঞ্চে কি নিয়মিত? তোমার দেয়া গানগুলো প্রায়ই শুনি।

৩০| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:৫০

চিটি (হামিদা রহমান) বলেছেন: লেখাটি পড়ছিলাম আর চোখের সামনে ভেসে আসছে........গীতিবিতান।
মনে মন......... মাপতে থাকি দৈর্ঘ্য তেইশ, প্রস্থ তেইশ, উচ্চতা তেইশ।

পুরা লেখায় রবীন্দ্রপ্রেমীর মত মুগ্ধ। লেবুর ঘ্রাণ।
তাই সে জন্মেছে.............বাংলার মাটিতে।
খয়েরি ডানা শালিকে .............।






অসাধারণ লিখেছেন রিপন।

ভালো থাকুন।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৭:০৯

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: ধন্যবাদ চিটি আপু। আপনিও ভালো থাকুন।

৩১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৫১

প্রণব আচার্য্য বলেছেন: বুকমার্ক করে রাখলাম...


সময় নিয়ে পড়বো।




বইয়ের কাজ প্রায় শেষ।

বের হলে পোষ্ট দেবো।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:৪৫

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: বইয়ের কাজ কি ঢাকায় হচ্ছে? নাকি আপনাদের ওখানেই?

৩২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫৭

প্রচ্ছদ বলেছেন: লেবু ঘ্রাণ, আমাদের মৌনতা, কিংবা আমরা রবীন্দ্রপ্রেমীরা আবছায় বসে থাকি। হয়তো রবীন্দ্রনাথও বসে থাকেন। হয়তো বুড়ো মানুষটি গাইতে থাকেন, ‘অমল ধবল পালে লেগেছে মন্দ-মধুর হাওয়া।’ কিংবা তিনিও আঁধারে মিশে থাকেন। আলো-ছায়ার ওপাড়ে।
....






লেখাটি লেখার আগে কি কয়েকবার সম্পুর্নটা মনে মনে সাজান নি?

৩৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:৫৪

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: অনেক আগে বিটিভিতে প্রচ্ছদ নামে একটা অনুষ্ঠান হতো; সাহিত্য বিষয়ক। আপনার নামটি দেখে সে অনুষ্ঠানের কথা মনে হলো। বিটিভির সাহিত্য বিষয়ক সবচেয়ে ঋদ্ধ অনুষ্ঠান ছিল সেটি।

কথা হচ্ছে পলিমারের মতো, একটা তৈরী হলে আরেকটা যোগ হয় তার পিঠে। :)

৩৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:১৫

বাপ্পাদিত্য বলেছেন: রিপন ভাই... এখানে এখন রাত ১.১২ মিঃ

আজ স্বরকল্পনের জন্মদিন...

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৭:৫৮

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: শুভ জন্মদিন স্বরকল্পন।

৩৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:৫১

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: বেশ মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। নতুন করে কি বলব বুঝতে পারছিনা। আপনি অনেক গভীরে ভাবতে পারেন, শুধুমাত্র উচুমানের লেখকেরাই পারেন। অনেক ভালো লাগল। শুরু করার আগে আমার একটা অভ্যেস আছে সেটা হলো গল্পের দৈর্ঘ্য দেখে নেয়া। পড়া শুরু করার পরে সেটা ভুলেই গেছিলাম। এতোটাই মুগ্ধ হয়ে পড়ছিলাম কিংবা ডুবে ছিলাম, আমি আরো পড়তে চাচ্ছিলাম। না শেষ তো আছেই।
রিপন ভাই আপনার লেখায় মন্তব্য করার মতো জুঁতসই কোন শব্দ এখনো শিখতে পারিনি,মুগ্ধ নয়নে পড়া ছাড়া।
লিখে যান। ভালো থাকুন।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:২২

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: ইমন, অনেক ভাল লাগল আপনার মন্তব্য পড়ে। অনেক ভাল।

৩৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৪

যীশূ বলেছেন: বরাবরের মতই মুগ্ধ হলাম।

৩৭| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:২৭

বাপ্পাদিত্য বলেছেন: (মন্তব্য লিখেছেন- মাশরুক রহমান টিটু)

আপনার লেখার প্রশংসা বাপ্পা, মিন্টু, বুয়েট বাপ্পীর কাছ থেকে শুনতে শুনতে আজ আপনার লেখা পড়তেই বাপ্পার নিক থেকে সা.ইন এ ঢুকলাম। আপনার লেখার পাশাপাশি মন্তব্য গুলোও পড়লাম। পাঠকের ইচ্ছার প্রকাশ গুলো আপনার গুরুত্ব দেয়া উচিত... স্বরকল্পনে আপনার লেখা নিয়ে মঞ্চে কাজ করার ইচ্ছাপোষণ করেছে বুয়েট বাপ্পী- আমাদের বিশ্বাস সে ভালো করবে। আপনার অনুমতি এবং পরামর্শের অপেক্ষায় আছি। ঘাসফুল-কাশফুল-নাকফুল যেমন সুন্দর আপনার পারমিতাকে নিয়ে তেমন সুন্দর থাকবেন।

১৪ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:২৪

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: ঘাসফুল, নাকফুল, কাশফুল যেমন সুন্দর... কথাটি কিন্তু চমৎকার। (মঈনের মামুর বেটা, 'নোঁওগার' মানুষ এত ভাল কথা শিখলো কোথা থেকে হে?)

মঞ্চে কাজ করবে! খাইছে। (সলজ্জ অনুমতি দেয়া হল।)



পারমিতার দাঁত পড়েছে। পাকা পাকা কথা বলে। সারাদিন পটর পটর করে।

৩৮| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:২১

শব্দ স্বনন বলেছেন: ("সে রাতে লোডশেডিংয়ের ছুটি শুরু হলে- আমি মাকে ছাদে খুঁজতে যাই।"

'লোডশেডিঙের ছুটি' ঠিক আছে? লোডশেডিংটাই কি ইলেকট্রিসিটির ছুটি নয়!)

আপনার লেখনি মুগ্ধতার আবেশ ছড়ানোর ক্ষমতায় বিশিষ্ট। এর আগের কয়েকটি গল্পও পড়েছি। প্রত্যাশার কথা জানিয়ে গেলাম। অনেকদূর পর্যন্ত দেখতে চাই আপনাকে।

১৪ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:১১

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: 'লোডশেডিংয়ের ছুটি' না 'ইলেকট্রিসিটির ছুটি'... ব্যাপারটাতে খুব গোলমাল পাকিয়ে গেল। তাইতো, ইলেকট্রিসিটি ছুটি নিলে লোডশেডিং শুরু হয়; যদিও ছুটির ব্যবস্থাটা লোডশেডিংই করে দিচ্ছে।... এভাবে ভাবলে কেমন হয়,... ধরা যাক, পুজোর ছুটি... মানে, পুজো শুরু হলে ছুটি শুরু হয়।

লোডশেডিং বিদ্যুতকে ছুটি দেয় বলেই- কথাটিকে 'লোডশেডিংয়ের ছুটি' বলা যায় কি?

শব্দ স্বনন, আপনার মন্তব্যটি ভাল লেগেছে। অনেক দেরীতে জবাব দিলাম বলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

৩৯| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:০৪

হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: অনেক দিন আগে একটা নাটক দেখেছিলাম...."আমি, তুমি ও সত্যজিত".................স্টাইল ও থিম কোন কিছুতেই মিল না থাকলেও প্রধান বিষযটাতেই এরা একবিন্দুতে অবস্থান করেছে........সেটাতে সত্যজিত রায় নেপথ্যে ছিলেন, আর এখানে রবিঠাকুর......................

এবার গল্প প্রসঙ্গে বলি।আসলে তেমন কিছু বলবার অবকাশ নেই। দৃশ্যগুলো সুস্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছিল ................'১৩৬২' এর ঘোরটা বজায় রাখার ব্যাপারটা ভালো লাগল, কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায , এই রহস্যগুলো গল্পের শেষের দিকে ফাস হয়ে যায় , যেটা ও' হেনরি করতেন। কিন্তু এই ট্রেণ্ডটা ততটা ভালো লাগেনা আর..........বরং গল্পের শেষেও পাঠক কিংবা কথক ঘোর আর প্রশ্নের মাঝে থাকুক এটাই প্রতাশিত, তাই প্রত্যাশা পূরণের জন্য ধন্রবাদ ন্যস্ত করা যাচ্ছে.........

৪০| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:১৪

পারভেজ বলেছেন: সমাপ্তিটা মনে হলো সুন্দর আঁকা একটা ছবিকে কেউ চোখের সামনে থেকে ঠেলে দূরে সরিয়ে দিলো। মনের ভেতর কষ্ট টা রেখে গেলো।
অসাধারণ হয়েছে। খুব ভালো লাগলো। একটু বিষন্নতা থাকলো যদিও।

৪১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:২১

সহেলী বলেছেন: এটা পড়ে ভক্ত হয়ে গেলাম আপনার লেখার ! অনুযোগ আছে --তা হোল রবী ঠাকুরকে বুড়ো বলা যাবে না ; আমার মনে হয় তিনি আমাদের সবার চিন্তা , চেতনা , কাজের আল্পনা । মিলিয়ে দেখি সব আছে সেখানে যেমন করে চাই ।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল লেখা পড়বার সুযোগ করে দেয়ায় ।

৪২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:১১

আমি ও আমরা বলেছেন: অসাধারন। আমি অফিসের কাজ ফেলে মুগ্ধ হয়ে পড়ে গেলাম।

১৪ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:২৭

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: বাপ্পি ভাই, কেমন আছেন? (খুব দেরীতে জবাব দিলেও জানবেন, আমি খুব বেশী অসজ্জন নই ;))

৪৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:০৭

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: এই যে, আপনি একটু দেশে আসেন তো, আপনার সাথে কথা আছে।

১৪ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:২৯

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: ওহে নব্য বিবাহিত, বউভাতের দাওয়াত আজকাল লোকজন এভাবেই দেয় বুঝি!

৪৪| ০৬ ই মার্চ, ২০০৯ ভোর ৫:২৫

সুদীপ চৌধুরী বলেছেন:
=================================
পুরোদস্তুর ভক্ত বনে গেলুম।

১৪ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:২৯

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: ধন্যবাদ সুদীপ।

৪৫| ১০ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ১১:৩৮

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: মন্তব্য নং ৪৩, আবারও।

৪৬| ১৪ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: একটি মাইনাসসমৃদ্ধ গল্প পড়ার আমন্ত্রণ রইল।
Click This Link

১৪ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:৪৯

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: একটু আগেই গল্পটা পড়েছি। জট্টিল!!

৪৭| ১৪ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:৪৮

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:




যীশূ, অনেকদিন ধরেই সমস্যাটা হচ্ছে, প্রতি-মন্তব্যের কখনো কখনো ঘরে কিছু লিখতে পারিনা। বিষয়টা বিরক্তিকর। উপায় জানেন এ রোগ মুক্তির?





পাইমানব, আমি আপনার মন্তব্য উপভোগ করি; আপনার গল্পও। আপনার সংখ্যা বিষয়ক 'ব্যাপারটা' খুবই অদ্ভুত।





পারভেজ ভাই, শুভেচ্ছা জানুন।





সহেলী, শুভাশীষ রইল।





রিয়াজ, ৪৩ নম্বর মন্তব্যের জবাব তেতাল্লিশেই পাওয়া যেতে পারে। ;) কেমন আছেন আপনি?

৪৮| ১৪ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১২:১২

আগলিআগলি বলেছেন: রিপন ভাই, আপনার কি কোনো বই প্রকাশিত হয়েছে ?

১৪ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১২:২০

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: না, কোন বই প্রকাশিত হয়নি। বই প্রকাশ করার মতো সাহস হয়ে ওঠেনি এখনো।

৪৯| ১৯ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৯:৫৭

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: কী রে ভাই ফার্মাসিউটিক্যালের চাকরি কইরা তো টাইমই পাইতাছি না ব্লগানোর!

২১ শে মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১:২৪

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: দোষটা ফার্মাসিউটিক্যালসের চাকরীতে না, অন্য কোথাও। (আপনার বসেরা বিষয়টা জানে।) :)

৫০| ১৯ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ১১:০৩

নাজিম উদদীন বলেছেন: রিপন ভাই , কি খবর ডুব মারলেন কোথায়? গল্প সুন্দর হয়েছে, তবে হঠাত শেষ হয়ে গেল মনে হয়।

আপনার 'তৎসম শব্দের প্যাঁচে' পড়তে চাই, নতুন কিছু ছাড়েন।

৫১| ২১ শে মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১:২০

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: নাজিম ভাই, অনেকদিন পরে আপনার মন্তব্য পেলাম।

৫২| ২১ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৯:০৬

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: বসেরা জানে মানে? বুঝিনাই, বুঝায়া কন রিপন ভাই।

ধুর বয়স যত বাড়তাছে, সৃজনশীলতা তত কমতাছে...

৫৩| ২৩ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ১০:৪১

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: রিয়াজ ভাই, ঘটনা হইল, আপনার বসেরা ফাঁকিবাজ, তাগো বসেরাও ফাঁকিবাজ। এরা বাড়ীতে ফাঁকি দেওয়ার জন্য অফিসে রাত করে, কাজে ফাঁকি দেয়ার জন্য বসের রুমে চা খায়। তাগো যত কাজ শুরু হয় মাগরিবের আজানের পর। বছর দশেক আগে বেক্সিমকো থিকা আপনাগো কোনো এক সেলস ম্যানেজার এইটা অ্যারিষ্টোতে আমদানী করছে। (এইগুলা কিন্তু গোপন কথা... কাউরে কইয়েন না।) ;)

৫৪| ২৩ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ১০:৩৪

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: ভাই রে ভাই ঠিকই কইছেন... :(

৫৫| ২৪ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ৭:৪১

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: রিয়াজ ভাই, এতকিছুর পরেও... আইনস্টাইন পরীক্ষা কইরা প্রমান দেখাইয়া গেছে যে, শ্বশুর বাড়ী-অফিস আর বাপের বাড়ীর ট্রাইয়াঙ্গেলে আটকাইয়াও ব্লগে লেখা সম্ভব। :P

৫৬| ২৪ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ৮:২৮

েজবীন বলেছেন: অসাধারন!!
পুরা রবীন্দ্রনাথ দিয়ে বোনা গল্পটা। ১৩৬২ র প‌্যাচেঁ আমিও পড়েছিলাম, জিন্টুভাই কথা তোলায় বিষয়টা ক্লিয়ার হলাম। মাথায় ঘুরছে এখন - দৈর্ঘ্য তেইশ, প্রস্থ তেইশ, উচ্চতা তেইশ... :)


প্রিয়তে নেয়ার মতো লেখা। যদিও রেটিং করিনি, তবে সামু বাগের কল্যানে দেখাচ্ছে যে আমি করেছি....... যাই হোক পছন্দের একটা লেখা এটা নি:সন্দেহে... :)

২৫ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ৭:২২

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: ধন্যবাদ জেবীন। শুভাশিষ রইল।

৫৭| ৩১ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৮:১৩

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
অনেকদিন পর তোমার বাড়ী...................জানিয়ে এলাম।
মাঝে মাঝে না জানিয়ে ঘুরে যাই..........
অনেক প্রিয় বাড়ীতেই চুপচাপ ঘুরে বেড়াতে ভালো লাগে........কোন পায়ের ছাপ না রেখে এই যে ঘুরে যাওয়া.......
বেশ সাসপেন্স কাজ করে.........
আমি সব দেখছি।
ছুঁয়ে যাচ্ছি.............
যাই বলো ব্যাপারটা দারুণ.................

তোমার বাড়ী এমন।আসলে অনেক সময় নিয়ে আসতে হয়।
চা বানিয়ে বসতে হয়।
হিমালয়ের মত দুই কাপ চা হলে বেশ হতো।
একটা মগ নিয়েই বসি।
কি করে সময় চলে যায়..............

দেশ থেকে ফিরে এসে ব্লগে বসতে বসতে অনেকদিন লেগে গেলো।
দেশে খুব ভালো সময় কেটেছে,
সব লিখবো সব।
একটু মন গুছিয়ে বসলেই।

তোমার নতুন লেখা দেখলাম......।পড়িনি এখনো।
যাচ্ছি এখন।
অনেক ভালো থেকো।

অনেক শুভকামনা।
ভালো থেকো যেমন খুশী।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:৪২

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
সাজি আপা, আপনার বইয়ের প্রকাশনা উৎসবের ছবি ব্লগে দেখেছি। বইমেলা কেমন লাগলো এবার? নিশ্চয় অন্যরকম! অটোগ্রাফ দেয়ার গল্প শুনতে চাই। দেশ কেমন লাগলো? খুব বদলে গেছে তাইনা! ও আসলটাই কথা জিজ্ঞেস করা হয়নি- আপনার বইয়ের রেসপন্স কেমন? ব্লগের পাঠক আর বইয়ের পাঠককে আলাদা মনে হলো? (অনেক প্রশ্ন করলাম!) এইবার ব্রাকেটের বাইরে বলি, বিক্রির জন্য ড্যানফোর্থের এটিএন-এ আপনার বইয়ের কিছু কপি রাখুন। এখানে কিন্তু বৈশাখী মেলার খুব জোড় আয়োজন চলছে। মেলার বইয়ের স্টলে আপনার কাব্যগ্রন্থ দেখতে চাই।

৫৮| ০৭ ই মে, ২০০৯ ভোর ৫:২১

আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন:

মাঝে একবার আপনার ব্লগে ঢুঁ দিছিলাম নতুন গল্পের আশায় । তখন নতুন কিছু পাইনি । আজ এসে দেখি একদম তিনটা 'যাদু' (আপনার গল্পকে আমার কাছে যাদুর পরশ মনে হয় !) এসে হাজির ।

এ গল্পটি যখন পড়ে শেষ করলাম, তখন আমার এখানে সময় রাত ২:২২ । আমাকে সকাল ৮টায় উঠতে হবে । তারপরও, আপনার বাকী গল্পগুলো না পড়ে ঘুমুতে যেতে পারছিনা ।

প্রশংসার শব্দগুলো সব একরকম । নতুন কিছু চাই ।

৫৯| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ ভোর ৫:৫৬

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: শিপন ভাই, অনেকদিন পরে মন্তব্যের জবাব দিলাম। আলসেমী! আলস্য দোষের আকর। বুড়ো হচ্ছি, অলসতা বাড়ছে। :)

৬০| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৯:৩৬

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
রিপন কোথায় থাকো........?
কতদিন এখানে কোন লেখা দিচ্ছোনা
অন্য কোথাও দিচ্ছো কি?

শুভকামনা নিরন্তর।

৬১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৪৫

ভাঙ্গন বলেছেন: বিমুগ্ধ।

৬২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৫৩

সায়েম মুন বলেছেন:
শেষ অবধি মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায় গল্প!!
গল্পকার রিপন ভাইয়ের জন্য শুভকামনা রইল!!

৬৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ৮:৪০

স্বপ্ন দিগন্ত বলেছেন: অসাধারন...অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.