নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মতিলাল

আমি সাদা মনের মানুষ। ধর্ম বর্ণ আমার কাছে সমান

মতিলাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাবি এলাকায় সমাবেশে বক্তারা : মূর্তির খেলা বন্ধ করুন, নইলে মাশুল দিতে হবে

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মূর্তি নির্মাণ বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষ লিখিত ঘোষণা না দিলে নতুন করে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দিয়েছেন ‘ভাস্কর্য প্রতিরোধ সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদ’র নেতারা। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন তেমুখী পয়েন্টে এক সভায় তারা বলেন, আমাদের আন্দোলন সরকারের বিরুদ্ধে নয়, মূর্তির বিরুদ্ধে। সিলেটবাসী ও সরকারকে বিব্রত করতে কোনো তৃতীয় পক্ষ এখানে কাজ করছে। বক্তারা আরও বলেন, আমাদের আন্দোলন মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতির বিপক্ষে নয়। আমরা প্রশাসনকে বলেছি প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫শ’ ফুট উঁচু দুটি কামান তৈরি করে একটি ভারতের এবং অন্যটি পাকিস্তানের দিকে তাক করে রাখেন। আমরা সাধুবাদ জানাব। কিন্তু মূর্তি নিয়ে খেলা করে সিলেটবাসীর সেন্টিমেন্টে আঘাত দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উসকে দেবেন না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ খেলা বন্ধ না করলে অবশ্যই মাশুল দিতে হবে।

বক্তারা যে কোনো ধরনের গুজবে কান না দিতে সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, জাহানারা ইমামের নামে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের নামকরণ নিয়ে আমাদের এক ভাই নিহত হয়েছেন। কোনোভাবেই তার রক্তের ওপর সেই নাস্তিক মহিলার মূর্তি নির্মাণ করতে দেয়া হবে না।

টুকেরবাজর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাস্কর্য প্রতিরোধ সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদের প্রেসিডিয়াম বোর্ডের সদস্য আলহাজ শহিদ আহমদের সভাপতিত্বে ডাক্তার হোসাইন আহমদ আসলাম রাহমানির পরিচালনায় সমাবেশে অতিথি ছিলেন পরিষদের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) আলী আহমদ, সিলেট জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র সহ-সভাপতি দিলদার হুসেন সেলিম, বদরুজ্জামান সেলিম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল গাফফার, জামায়াত নেতা হাফিজ আবদুল হাই হারুন, শাবির সাবেক প্রক্টর প্রফেসর ড. গোলাম আলী হায়দার চৌধুরী, মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের চেয়্যারম্যান মখন মিয়া এবং জালালপুর ইউনিয়নের চেয়্যারম্যান জালাল আহমদ।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বৃহত্তর সিলেট ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা আবদুল মতিন শায়খ ধনপুরী, শাহজালাল (রহ.) ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা কারী জমিরদ্দীন, সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য শায়খুল হাদিস মাওলানা আবদুর রহমান, আঞ্জুমানে হেমায়েতে ইসলামের সভাপতি, ইসলামী সমমনা ১২ দলের সিলেট জেলা আহ্বায়ক ও ভাস্কর্য প্রতিরোধ সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল হাই জেহাদী, মাওলানা মাশুক আহমদ, মাওলানা নাসির উদ্দিন, অধ্যক্ষ মাওলানা লুত্ফুর রহমান হুমায়দী, মকসুদ হোসেন মকসুদ, মাহমুদুর রহমান দেলোয়ার প্রমুখ।

১৩ ফেব্রুয়ারির হরতাল সফলে কর্মসূচি : এদিকে মূর্তিবিরোধী সংগঠন শাহজালাল ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও ভাস্কর্য প্রতিরোধ আন্দোলনের এক জরুরি সভা মঙ্গলবার রাতে জামেয়া মাদানিয়া কাজির বাজার মাদরাসায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আল্লামা শায়খ জিয়া উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জে পৃথক ৩টি প্রতিনিধি দল হরতাল সফলে সব ইসলামী রাজনৈতিক দল এবং দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। আগামীকাল আন্দোলনরত শরিক রাজনৈতিক দলগুলো পৃথক পৃথক বিক্ষোভ সমাবেশ করে। ১২ ফেব্রুয়ারি হরতাল সফলের লক্ষ্যে বন্দর বাজার থেকে সম্মিলিত প্রচার মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির ও প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান, আঞ্জুমানে আল ইসলাহ’র কেন্দ্রীয় সভাপতি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা হুসাম উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী প্রমুখ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭

শামা বলেছেন: কোনোভাবেই তার রক্তের ওপর সেই নাস্তিক মহিলার মূর্তি নির্মাণ করতে দেয়া হবে না।

তোদের সাহস থাকে তো ক্যাম্পাসে যা....! সাহস থাকে তো আজকে যা,,,! শূয়রের বাচ্চারা....!

২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০

শহুরে কাউয়া বলেছেন: শহীদ জননী জাহানারা ইমাম কে যারা নাস্তিক মহিলা বলে ডাকে
তাদের মুখে মুতে দেই
কুত্তার বাচ্চা X(( X(( X(( X(( X(( X(( X((

৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫

খুব সাধারন একজন বলেছেন: ওদের কানে হৃদয়ের কথা যাবে না।

ওদের কানে একাত্তরে যায়নি।

মানুষকে এইভাবে পশু করা যায়? এইভাবে? হাজার শুকরিয়া, ছেলেবেলায় কোন জামাতির কবলে আটকে যাইনি। পড়েছিলাম। সরাসরি কথা শুরুই হয়েছিল তিনটা মিথ্যা দিয়ে-

১. শিবির কিন্তু জামাতের কেউ না।
২. বাসায় জিগ্যেস করলে বলো নামাজ শিখতে গিয়েছিলাম, মসজিদে বড়ভাইরা নামাজ শিখাচ্ছিল।
৩. বাসায় গিয়ে বলো, পাড়ার ভাইয়ারা ক্লাসে কীভাবে ফার্স্ট হওয়া যায় তা শিখাচ্ছে।

নয় দশ বছর বয়স তো কম না। স্পষ্ট দেখতে পেলাম, যাদের শুরু মিথ্যা দিয়ে, তাদের সবই মিথ্যা।

কিন্তু এই ছেলেগুলোর জন্য কষ্ট হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.