![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঢাকা: পুরান ঢাকার দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎ দাশ হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদতে কাঁদতে চোখের জলে বুক ভাসালেন নিহতের বাবা অনন্ত চন্দ্র দাশ।
স্বল্প কথার সাক্ষ্যে তিনি আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
রোববার ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবিএম নিজামুল হক তার সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
সাক্ষ্য দিতে দাঁড়িয়ে বিশ্বজিতের বাবা বলেন, ‘আমি মিষ্টির ব্যবসা করি। বিশ্বজিৎ আমার ছোট ছেলে। গ্রামের বাড়িতে থেকেই বিশ্বজিতের মারা যাবার খবর পাই। কিন্তু ঢাকা আসতে পারিনি। লাশ গ্রামের বাড়িতে নেয়া হলে আমি লাশ সৎকারের ব্যবস্থা করি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা যেভাবে কুপিয়ে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’ এই কথা বলেই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। তার কান্নায় পুরো আদালতের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। উপস্থিত আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী সবাই তখন নিরব হয়ে যান।
ছেলেহারা পিতার শোক কিছু সময়ের জন্য হলেও সবাইকে আপ্লুত করে। এরপর তিনি আর কোনো কথাই বলতে পারেননি।
এ পর্যন্ত এ মামলার ৬০ সাক্ষীর মধ্যে ৩০ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো।
গত ২ জুন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জহুরুল হক এ মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ ছাত্রের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন।
গত ৫ মার্চ বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের ২ মাস ২৪ দিন পর ২১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
অভিযুক্তদের মধ্যে ৮ জন জেলহাজতে আছেন। তাদের জেলহাজত থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পলাতক আছেন ১৩ জন।
চার্জশিটভুক্ত ২১ আসামি হলেন- ছাত্রলীগ ক্যাডার রফিকুল ইসলাম শাকিল (চাপাতি শাকিল), মাহফুজুর রহমান নাহিদ, এমদাদুল হক এমদাদ, জিএম রাশেদুজ্জামান শাওন, এইচ এম কিবরিয়া, কাইউম মিয়া টিপু, সাইফুল ইসলাম, রাজন তালুকদার, খন্দকার মো. ইউনুস আলী, তারিক বিন জোহর তমাল, গোলাম মোস্তফা, আলাউদ্দিন, ওবায়দুর কাদের তাহসিন, ইমরান হোসেন ইমরান, আজিজুর রহমান আজিজ, মীর মো. নূরে আলম লিমন, আল-আমিন শেখ, রফিকুল ইসলাম, মনিরুল হক পাভেল, কামরুল হাসান ও মোশারফ হোসেন।
জেলহাজতে থাকা ৮ জনের মধ্যে শাকিল, নাহিদ, এমদাদ ও শাওন আদালতে স্বীকারোক্তি করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ৯ ডিসেম্বর অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ক্যাডারদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন নিরীহ দর্জি বিশ্বজিৎ দাশ।
ওইদিন রাত্রেই অজ্ঞাতনামা ২৫ জন আসামির বিরুদ্ধে সূত্রাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন সংশ্লিষ্ট থানার এসআই জালাল আহমেদ।
২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৮
পানকৌড়ি বলেছেন: বিশ্বজিৎ বলেছিল,
হিন্দু আমি মুসলিম নয়
দেখুন নয় প্যান্ট খুলে
জন্ম থেকে আওয়ামীলীগ
আর কিছু নয় তিনকূলে ।
মার্কা দেখে ভোট দিয়ে যায়
কে দাড়ালো ভাবী না ।
এত কিছুর পরেও পার পাইনি বিশ্বজিৎ
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫
বাংলার আকাশ বলেছেন: বিশ্বজিৎ দাশ হত্যার সময় যে বেটা পুলিশ অফিসার দুরে দারাইয়া তামাশা দেখছিলো ওর কোনো বিচার হবো না ???