নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চাই মধ্য ডানের স্থিতিশীলতা।

নিরপেক্ষ মতামত কখনও মধু কখনও হুল।

মৌ-মাছি

বিরোধীতা বা সমর্থনের চেয়ে নিজস্ব নিরপেক্ষ মতামত প্রকাশে উচ্চকন্ঠ। সুশীল ও স্বাধীন লেখা বা মতামতের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।

মৌ-মাছি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইউনুস অপসারনে বিএনপি সমর্থকদের চোখে মুখে আনন্দ!

১০ ই মার্চ, ২০১১ রাত ২:৩২

ইউনুসের অপসারনে স্বল্প ও দীর্ঘ উভয় মেয়াদে সবচেয়ে খুশী হয়েছে বিএনপি, সমর্থকদের অানন্দ তাই চোখে মুখে। খালেদার বাড়ি বিষয়ে হারার পরে বিএনপির তেমন বলার কিছু ছিলনা। অাজ যখন ইউনুসের মতো একজন ব্যক্তিও প্রায় একই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন, তখন বিএনপির জন্য বলা সহজ যে অামরা না হয় দোষী ছিলাম, কিন্তু সারাদেশের কাছে প্রিয় এত সম্মানিত ইউনুস কি অপরাধ করেছে। কাজেই অাগের শোকাহত বিএনপি সদ্য শোকাহত ইউনুসের সমর্থন দিয়েছে। অবশ্যম্ভাবী ফলশ্রুতিতে ইউনুসের প্রতি জনসমর্থনের বেশ খানিকটা বিএনপিও পেয়েছে। অার ১/১১ এর সময়ে ইউনুস যে রাজনীতি বিরোধী পক্ষে নেমেছিলেন, তার কারণে ইউনুস অপদস্থ হওয়ায় বিএনপি ভিতরে ভিতরে খুশীও। কোন কারণে মেয়াদের অাগে বা অথবা পরেও অাওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে চলে গিয়ে যদি ১/১১ এর মতো করে ইউনুস ক্ষমতা নিয়ে নেন, সেটা তো কোন ভাবেই বিএনপির জন্য শুভ হবে না। ১/১১ তে ইউনুস ক্ষমতার অফার ফিরিয়ে দিলেও নতুন পরিস্থিতিতে যে অাবারও সেটা ফিরিয়ে দিবেন সেটা নাও হতে পারে। কাজেই অাওয়ামী লীগের হাতে ইউনুসের গায়ে কলংক লাগানো বিএনপির জন্য দু তরফেই ভাল।



বলার অপেক্ষা রাখে না ইউনুস বা গ্রামীন ব্যাংক সবচেয়ে ক্ষতির সম্মুখীন। ৩০ বছরে ইউনুস গ্রামীন ব্যাংকে শক্ত ও স্বাধীন কাঠামোর উপরে দাঁড় করাতে পারেন নি। কাজেই ইউনুস চলে গেলে এই ব্যাংকটি কি রকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়, তা দেখবার বিষয়। উপরন্ত অাগে যেমন সকল সরকারের কাছে থেকে গ্রামীন বিশেষ সুবিধা পেয়ে এসেছে, এখন তার পরিবর্তে পাবেন বৈরী মনোভাব। অন্যদিকে সরকার ও অারো স্বার্থপর কোন গোষ্ঠি গ্রামীনকে করায়ত্ত করে এটাকে নিজের মতো করে ব্যবহার করতে পারে। সেই অাশংকা তো রয়েছেই। ইউনুস অপসারনে অাওয়ামী লীগের লাভ হয়েছে নাকি ক্ষতি এটা বলা মুশকিল। স্বল্পমেয়াদে অবশ্যই ক্ষতি হয়েছে। সাধারণ জনগন এমনকি অনেক অাওয়ামী লীগ সমর্থকও এই ইস্যুতে সরকারের বিরুদ্ধে। এর মাঝে নোবেল নিয়ে কৌতুক ও তাচ্ছিল্য একটা ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে। যা হোক দীর্ঘমেয়াদে অাওয়ামী লীগ এর সুফল ঘরে তুলতে পারবে কিনা সেটাও পরিস্কার নয়। ইউনুসকে দেয়া কলংক যদি কার্যকর হয় তাহলে ইউনুস হুমকি থেকে দলটি বাঁচতে পারে, অার যদি কার্যকর না হয়ে ইউনুসকে ট্রাজিক হিরো হিসাবে তুলে অানে সেক্ষেত্রে অাওয়ামীলীগকে বিরাট মাসুল গুনতে হতে পারে, যেমন গুনেছিল বিএনপি ১/১১ এর পরে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৩:১৪

মনে নাই বলেছেন: বিম্পী খুশী হলেও কোন ফায়দা উঠাতে পারবেনা আপাততঃ, ডঃ ইউনূস বিম্পীরটা খায়না, আর ইস্যুটা লংরানে আম্লীগের জন্য খারাপ ফল বয়ে না আনার কোন কারন নেই।

১০ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৩:১৯

মৌ-মাছি বলেছেন: দেখা যাক, রাজনীতি সবসময়ই কিছু না কিছু অনিশ্চয়তা থাকে। ইউনুস বিএনপিকে কাছে পেলে ক্ষতিতো নেই। অন্যসরকারগুলোর পাশাপাশি দুদুটো বিএনপি সরকার থেকেও তিনি তো সুবিধা নিয়েছেন। মিলেমিশে যা ২৭ বছরে করেছেন তিনি ঝগড়াবিবাদে ৩ বছরে তাতে দাগ লেগে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। তিনি তো ভিন্নভাবেও ভেবে দেখতে পারেন।

২| ১০ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৩:২৫

মোসাজস বলেছেন:
বিএনপির মুখের হাসি দেখার চাইতে আম্লীগের পিছন দিয়ে যে বাঁশটা যাবে সেইটার গাঁট গুনতে রেডি হোন|

১০ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৩:২৯

মৌ-মাছি বলেছেন: মুখের হাসি দেখার জন্যও রেডি হইতে হয়, বাঁশ দেখার জন্য রেডি হইতে হয়। অন্তত ৯০ থেকে তো সব ভাল মতোই দেখতেছি। কার মুখে কখন হাসি আর কখন বাঁশ।

৩| ১০ ই মার্চ, ২০১১ ভোর ৪:৪২

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: এক কথায় বলতে গেলে, এই ভুলের তুলনা চলে আদমের গন্ধম খাওয়ার সাথে! বলা হইছিল সব খাও কিন্তু গন্ধম খাইয়ো না আর আদমে ঐটাই খাইলো! তেমনই সবাই জানতো খালেদারে ঘর থিকা বাইর করো আর যাই করো ইউনুসরে কিছু কইয়ো না!!! কিন্তু আপায় ঐ কামডাই করলো!!

১০ ই মার্চ, ২০১১ ভোর ৫:৪৪

মৌ-মাছি বলেছেন: ইউনুসকে আদমের সাথে তুলনা করে পরোক্ষভাবে আমেরিকাকেও অন্যকারো সাথে তুলনা অনুচিৎ।

আর এটা গন্ধম বলে মনেহয় না। ৯০ এর (৮৬ প্রজন্ম হলে জানার কথা না) দিকে ফিলিপাইনে আমেরিকা একদিকে একুইনোকে দিয়ে আন্দোলন করিয়ে বলে গণতন্ত্রের বৈভবময় বিজয়, অন্যদিকে হেলিকপ্টার দিয়ে বাড়ির ছাদ থেকে মার্কোস কে উড়িয়ে নিয়ে ভুস্বর্গ হাওয়াই দ্বীপের হনলুলুতে প্রাসাদ দেয়। এ রকম উদাহরণ আরো রয়েছে, এইতো মিশরে হোসনী মোবারকও খানিকটা একই অবস্থায়।

কাজেই আপনি যত সরল সমীকরণ করছেন বিষয়টা তা না। ৭০ এ আওয়ামীলীগকে হাতে রাখতে না পারার ভুলের মাসুল আওয়ামী লীগও যেমন দিয়েছে, অামেরিকাকেও দিতে হয়েছে। এখানে নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করতে তাদের রীতিমত খুন খারাবীর মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। কাজেই আমেরিকামুখী বর্তমান আওয়ামী লীগকে অামেরিকা গন্দম খাওয়ার অপরাধে পুরোপুরি মর্তে পাঠাইয়া দিবে এটা কোন ভাবেই বিশ্বাস যোগ্য নয়। ক্ষমতায় যে যাই যাক, আমেরিকার নিয়ন্ত্রন বজায় রাখতে চাইলে আমেরিকাকে এখানে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাপা, জামায়াত, ইউনুস সবাইকে মোটামুটি সমান চোখেই দেখতে হবে। তবে ইউনুস তাদের চোখে এখন তুরুপের তাস মতো। এই তাস পুঁজিবাদের জন্য যতটা উপকারী, ঠিক ততটাই এটা দিয়ে আওয়ামী লীগ, বিএনপি সহ প্রতিষ্ঠিত দলগুলোকে ভালো মতো সাইজ করার সম্ভব।

৪| ১০ ই মার্চ, ২০১১ ভোর ৬:৪১

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: রিপ্লাইয়ের জন্য ধন্যবাদ। আসলে বিষয়টা এত সহজ করে আমিও দেখি নাই।


আমি বিষয়টা এভাবে দেখেছি যে,

দেশে আমেরিকা'র প্রভাব বিস্তারে সাহায্য করার জন্য আমাদের দেশের সব রাজনৈতিক দল ও বুদ্ধিজীবি অক্লান্ত পরিশ্রমী। তাই এখানে আসলে যুক্তরাষ্ট্রের করনীয় খুব কম। তাদের কাছে পৌছানোর জন্য আমাদের দেশীয় দলগুলোর মাঝে যে রেস হয় তাতে আগামীতে আওয়ামী লীগ একটু পিছিয়ে থেকে শুরু করবে।কারন ইউনুসের ঘটনায় তাদের সুনিদৃষ্ট চাওয়া ছিল যা আওয়ামী লীগ পুরন করছে না!

সরকারের বর্তমান পরিস্থিতিতে এর চেয়ে বড় স্ট্র্যাটেজিক ভুল করার কোন সম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু সরকার সব ছেড়ে এটাই করলো।সেজন্যই এরূপ রুপক উদাহরন দেয়া!

একটি "শটে" পশ্চিমা শক্তিগুলোর কাছে এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় আওয়ামী লীগ যতটুকু নেগেটিভ হাইলাইটেড হলো সেটা তাদের বিরোধী দলগুলো ৬ মাস অনশন করেও করতে পারতো কি না আমার সন্দেহ আছে।

পুরো বিষয়টিতে এখন শুধু শেখ হাসিনার ব্যাক্তি বিদ্বেষ, তার ছেলের বেআইনি চিঠি,নামকরনের রাজনীতি এগুলো হাইলাইট হয়ে গেল। আগামীতে বি,এন,পি তাদের প্রচারনায় এই ইউনুস কেসের উদাহরন দিয়ে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে ভাল পজিশন নিতে পারবে। কারন আওয়ামী চারিত্রিক দোষগুলোর এরকম সর্বজনস্বীকৃত উদাহরন খুব কমই পাওয়া যায়!

সরকারী দলের এই পদক্ষেপটা তাদের দোষ-ত্রুটি'র একটা দৃষ্টান্ত হেয় থাকবে। গন্ধম খাওয়া যেমন একটা দৃষ্টান্তমুলক ভুল ছিল। এখানে আসলে আমি "সাবজেক্টিভ" হিসেবে দেখি নাই বরং ঘটনাটার "অবজেক্টিভ" রম্য তুলনা করেছি তাই কোন চরিত্রের সাথে তুলনা হয় নাই।

১০ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ৭:০৫

মৌ-মাছি বলেছেন: এবারে বক্তব্য বেশ ফুটে উঠেছে। এজন্য ধন্যবাদ।

বিষয়টা এভাবেও দেখতে পারেন। এখন সরকারের কাছে থেকে আমেরিকার পাওয়ার সময়, মানে সরকারে যেহেতু। কিন্তু সরকার হয়তো দিচ্ছে না (যেমন টিফা ইত্যাদি অনেককিছু)। কাজেই সরকারকে এখন আমেরিকার হুমকি দেয়াই দরকার। এজন্য কাকে ব্যবহার করবে। বিএনপি এখনও নড়বড়ে। কাজেই ইউনুস হচ্ছে সবদিক থেকে আমেরিকার তুরুপের তাস। এখানে ইউনুস এগিয়ে গেল এটা সত্যি। এখন নির্ভর করছে সরকার পরের চাল কি দেয় তার উপর। সরকার যদি নিজে এগিয়ে যাওয়ার স্বার্থে কিছু দেয়, তাহলে ব্যালেন্স হয়ে যেতে পারে। আখেরে ইউনুসকে ক্ষমতায় বসানোর চাইতে বিএনপি আওয়ামী লীগের মতো মত বড় দলকে হাতে রাখা বেশী লাভজনক। ইউনুসের মুল উপযোগীতা গরীবদেরকে ব্যাংকে আওতায় আনার বিষয়টিতে। সরকারের হাতে এখনও তিন বছর সময় আছে। তারা তাদের প্রতিপক্ষকে ল্যাং মেরেছে। কিন্তু সেটা পুষিয়ে নেয়ার সময় তাদের হাতে আছে। এখন নির্ভর করছে তারা পরে কি করে তার উপর। তারা কোন ভাবেই আমেরিকাকে ল্যাং মারে নাই এখন পর্যন্ত। হয়তো বা তারা ঠিক করেছে ক্ষমতার শেষ দিকে ল্যাংমেরে ভজঘট বাধানোর চেয়ে শুরুরদিকে ল্যাং মারা ভাল, তাতে পরের দিকে মেকাপের সময় পাওয়া যাবে।

আর আগের নির্বাচনে বিএনপি যেমন হাসিনার ডিগ্রীর ফাইল নিয়ে কার্টুন করেছিল, পরের টাতেও হয়তো নোবেল নিয়ে কিছু করবে, যদি বদরুদ্দোজার মতো কারিশমা এখন বিএনপিতে নাই। তবে আমার ধারণা এরকম কার্টুনের চেয়ে মুল বিষয় হয়ে দাঁড়াবে দ্রব্যমুল্য, বিদ্যুত ইত্যাদি সহ রিয়েল ইস্যু।

৫| ১০ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ৯:৪২

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: বিনা পয়সায় বিনোদন নিয়ে গেলাম

১০ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ৯:৪৮

মৌ-মাছি বলেছেন: আপনি বিএনপি করেন? এখন তো বিনোদন পাওয়ারই সময়। এক শত্রু আরেক শত্রুকে হাপিস করছে। আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.