নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন সব হাসির ময়নাতদন্ত হবে, ফরেনসিক রিপোর্টে লেখা থাকবে - সবই মিথ্যে।
ভৌতিক বা আধিভৌতিক ঘটনা - মানুষের জীবনে অন্যতম ইন্টারেস্টিং একটি অভিজ্ঞতা। এই ধরনের অভিজ্ঞতা মানুষ নিজে অর্জন করার চাইতে অন্যদের অর্জিত অভিজ্ঞতার কথা শুনতেই সাধারনত বেশি পছন্দ করে। উপযুক্ত পরিবেশে অন্যদের মুখে এই ধরনের ঘটনার বর্ননা নিঃসন্দেহে অন্যরকম অতি প্রাকৃতিক এক আবহাওয়া তৈরী করে। তাই ভূতের গল্প যুগ যুগ ধরে নন্দিত একটি ব্যাপার।
ব্যক্তিগত ভাবে আমি এই সব ভূতপ্রেতের গল্প বিশ্বাস করি না এবং একজন শিক্ষিত মানুষ হিসেবে তা বিশ্বাস করার কোন সঠিক যুক্তিও নেই। তবে অনেক সময় পরিস্থিতির কারনে কিছু কিছু ঘটনা মনে গভীর দাগ সৃষ্টি করতে পারে। দূভার্গ্য হোক আর সৌভাগ্য হোক এমন কিছু বিরল অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে গিয়েছি এবং অন্যদের মুখ থেকে কিছু অভিজ্ঞতার কথাও শুনেছি। প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমি ঐ ঘটনাগুলোর একটি ব্যাখ্যা দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছি আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে সঠিক ব্যাখ্যার অভাবে বেশ অস্বস্তি বোধ করেছি।
ভূতের গল্প পছন্দ করেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই দূর্লভ একটি ব্যাপার। কাউকে যদি আপনি ভূতের গল্প শুনাতে চান, হোক সে শিশু কিংবা বৃদ্ধ, সবার কাছেই আপনি বেশ অভূতপূর্ব সাড়া পাবেন। এর সাথে বিশ্বাস অবিশ্বাসের কোন ব্যাপার নেই। এই পুরানো সূত্র মাথায় রেখেই আপনাদের সাথে ঘটনা গুলো শেয়ার করছি এবং পাশাপাশি আমার ব্যাখ্যাও দেয়ার চেষ্টা করেছি। যেগুলোর উপযুক্ত ব্যাখ্যা পাইনি তাও উল্লেখ্য করেছি। আমি দৃঢ়ভাবে যেমন বিশ্বাস করি, উপযুক্ত জ্ঞানের অভাবে কিছু ঘটনার সঠিক ব্যাখ্যা আমি দাঁড় করাতে পারি নি, তেমনি এটাও স্বীকার করি এই রহস্যময় পৃথিবীর রহস্যের ঠিক কতটুকুই বা আমরা জানি।
ঘটনা ০১
আমার এক দূর সম্পর্কের নানা ছিলেন যাকে আমরা ফকির নানা বলে ডাকতাম। তিনি ছিলেন যথেষ্ট বিদ্যান, অল্পভাষী এবং ধর্মজ্ঞান সম্পন্ন একজন সুফী মানুষ। আমরা শুনেছি যে তিনি সারারাত ধরে মসজিদের পাশের একটি ঘরে ইবাদত বন্দেগী করতেন। সেই সময় ঐ ঘরের আসেপাশে কারো যাওয়াটা তিনি পছন্দ করতেন না। কথিত ছিল, তার সাথে নাকি জীন আছে। আমাদের মা খালাদের এই বিশ্বাস আরো তীব্র হতো যখন তাঁর বাড়িতে বেড়াতে গেলে নানী আমাদেরকে মাঝে মাঝে কিছু চমৎকার ফল খেতে দিতেন যা বাজারে কখনও দেখতাম না। দীর্ঘদিন পরে এসে জানলাম, সেই ফলের নাম ছিল ড্রাগন ফল।
২০০২ সালে রোজার ঈদের পরদিন তিনি মারা যান। আমরা তখন ঈদ উপলক্ষে গ্রামের বাড়িতেই ছিলাম। সবাই মিলে তাড়াতাড়ি তার বাড়িতে গেলাম। তখন বাজে প্রায় রাতের দুইটা। ইতিমধ্যেই লাশকে গোসল দেয়া হয়েছে, কাফনের কাপড় পড়িয়ে বাড়ীর কাচারী ঘরে (গ্রাম দেশের বাড়ির সামনের বৈঠক ঘর) রাখা হয়েছে। সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বাদ ফজর তাকে দাফন করা হবে। স্থানীয় মসজিদের মোয়াজ্জেম সাহেবের সাথে কয়েকজন লাশের পাশে বসে গুন গুন করে কোরান শরীফ পড়ছেন।
কাচারী ঘরের বারান্দায় চেয়ার দেয়া হয়েছে। আমরা কয়েকজন সেখানে বসে আছি। অক্টোবরের শেষ দিক হওয়াতে বাতাসে হালকা শীতের আভাস। বাতাসে আগরবাতি এবং কর্পূর মিশ্রিত এক অদ্ভুত রহস্যময় গন্ধ।
হঠাৎ টিনের চালে ধুম করে কিছু একটা পড়ার শব্দে কিছুটা চমকে উঠলাম। গ্রাম দেশে টিনের চালে মাঝে মাঝে ডালপালা বা ফল জাতীয় কিছু ছিঁড়ে পড়লে এমন শব্দ হতেই পারে। প্রাথমিকভাবে আমাদেরও তাই ধারনা হয়েছিল। ফলে বিষয়টা নিয়ে দ্বিতীয় কোন চিন্তা মাথায় আসে নি। এর বেশ কিছুক্ষন পরে আবারও জোরে ধুম করে কিছু একটা পড়ার শব্দ হলো। এবার মনে হলো পানি ভর্তি একটা ড্রাম টিনের ছাদে গড়িয়ে গড়িয়ে যাচ্ছে। আমরা লাফ দিয়ে উঠানে এসে কাচারী ঘরের ছাদের দিকে তাকালাম। আমি মনে মনে একটা ডাব গাছ আশা করেছিলাম। কিন্তু ডাব জাতীয় কোন গাছই দেখতে পেলাম না। একটা ছোট লিচু গাছ আর কয়েকটি মাঝারি সাইজের আমগাছ কাচারী ঘরকে ঘিরে রেখেছে।
কিছুক্ষন খোঁজাখুঁজি করে যখন শব্দের উৎস সম্পর্কে জানা গেলো না, তখন পরিবেশটা কেমন যেন গুমোট হয়ে গেলো। এই যখন পরিস্থিতি তখন বাড়ির ভেতর থেকে খবর আসলো যে, নানা নাকি জীবিত কালে নানীকে বলে গিয়েছেন তার মৃত্যূর পর জানাযা দেয়ার আগে তাকে যেন কাচারী ঘরে কিছুক্ষনের জন্য একা রেখে আসা হয়।
মানুষের ভয় পাবার কিছু স্বভাবজাত ট্রিগার রয়েছে। ফলে আপনি যতই বিজ্ঞানমনস্ক হোন না কেন উপযুক্ত পরিবেশে যদি কোন কারনে সেই ট্রিগারে চাপ পড়ে তাহলে আপনি ভয় পেতে বাধ্য। বলাবাহুল্য আমিও এই তত্বের ব্যতিক্রম নই। কেন যেন আমার শিরদাঁড়া বেয়ে ভয়ের একটা শীতল স্রোত বয়ে গেলো। গ্রামের মানুষজন এই ধরনের পরিস্থিতির সাথে বোধকরি বেশ পরিচিত। তাই তাদের মধ্যে সামান্য কিছু উত্তেজনা ব্যতিত আর কিছুই দেখলাম না।
সবাই মুরুব্বীদের পরামর্শ অনুযায়ী লাশটাকে কাচারী ঘরে রেখে এসে দরজা ভিড়িয়ে দিয়ে দূরে এসে দাঁড়াল। আমার জন্য বেশ নতুন একটা অভিজ্ঞতা। ভয়, অবিশ্বাস আর উত্তেজনার সংমিশ্রনে একটা অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছিল যা ঠিক লিখে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আমি এদিকে সেদিকে তাকাচ্ছিলাম। কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। গভীর রাত, দুর থেকে ভেসে আসা কান্নার শব্দ, অন্ধকার, গুনগুন করে মানুষের ধর্মীয় মন্ত্রপাঠের শব্দ এবং থেমে থেমে কুকুরের বিক্ষিপ্ত ডাক একটা অদ্ভুত পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল।
এইভাবে বেশ অনেকক্ষন কেটে গেলো। ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি প্রায় রাতের ৩টা বাজে। আমি কাচারী ঘরের বারান্দা বাদ দিয়ে সামনে উঠোনের এক পাশে দাঁড়িয়ে আছি। মোয়াজ্জেম সাহেব কাচারী ঘরে ফকির নানার লাশ রেখে বাইরে বের হয়ে আসলেন।
এবার শুরু হলো অপেক্ষা। এই এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা। আপনার শিক্ষা, আপনার ধর্ম জ্ঞান, আপনার বিশ্বাসের সাথে এক অসম লড়াই। হঠাৎ মনে হলো কাচারী ঘরের সাথের আমগাছটা বেশ অদ্ভুতভাবে নড়চড়া করছে। মনে হচ্ছে গাছের উপর দিয়ে বেশ জোরে বাতাস বয়ে যাচ্ছে। আমার ছোট মামা আমার পাশে এসে দাঁড়ালেন। ফিসফিস করে বললেন, চলে আসছে। কিন্তু আমি গাছের পাতার নড়াচাড়া ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। দুই মিনিটের মধ্যে তাও থেমে গেলো। চারিদিক গ্রাস করল একটা শুনশান নীরবতায়। আমার মনে হচ্ছিল, কারা যেন ফিসফিস করে কথা বলছে। পরিস্থিতির সাপেক্ষে বেশ অতি প্রাকৃত ব্যাপারই বটে।
হঠাৎ 'ক্যাচ' করে দরজা খোলার মত একটা শব্দ পেলাম। আমি কাচারী ঘরের দিকে তাকিয়ে আছি। আমার মনে হলো দরজাটা অল্প একটু ফাঁক হয়ে আবার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমাদের মাথার উপরেই হঠাৎএকটা সুখ পাখি ডেকে উঠল। তারপর আবারও সব চুপচাপ। আরো ১০/১৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর সবাই একসাথে দোয়া পড়তে পড়তে কাচারী ঘরে প্রবেশ করল। বুঝলাম জীন দেখা পর্ব এখানেই শেষ। আগেই বলেছিলাম গ্রামের মানুষজন বুঝি এমন ঘটনার সাথে খুব পরিচিত। এখনও দেখলাম সবাই বেশ স্বাভাবিক আচরন করছে। পাশের বাড়ি থেকে ইতিমধ্যে চা চলে এসেছে। সবাই আয়েশ করে চা খেতে খেতে গল্প করছে।
মাঝে মাঝে আমার কাছে বিয়ে বাড়ি আর মরা বাড়ীকে একই রকম লাগে। বিয়ে বাড়িতে সবাই ছোট ছোট দল হয়ে গল্প গুজব করে মরা বাড়িতেও তাই। মাঝে মাঝে হাসি ঠাট্টা, মাঝে মাঝে আল্লাহ! বলে দীর্ঘশ্বাস ফেলে কিছুক্ষন থমকে যাওয়া তারপর আবারও হাসিঠাট্টা। এইভাবেই আসলে আমাদের জীবন চলে।
যাইহোক এরপরের ঘটনা সামান্য। আমরা ফজরের নামাজ পড়তে বাড়ির মসজিদে যাই। আমরা পোলাপাইনরা পিছনের সারিতে দাড়াই। নামাজের মধ্যেই হঠাৎ টের পাই আমার পিছনের সারিতে আরো কয়েকজন নামাজ পড়ছে। হাস্নাহেনা ফুলের চমৎকার একটা গন্ধ আমি পাচ্ছিলাম। কিন্তু সালাম ফেরানোর পর পিছনে তাকিয়ে আমি কাউকে দেখতে পাই নি। আমরা লাশ নিয়ে দাফন করার জন্য নানাদের পারিবারিক কবরস্থানের দিকে রওনা করলাম। বাড়ি থেকে বের হয়ে ডান দিকে সোজা একটা পথ ধরে প্রায় ১০০ গজ এগিয়ে গেলে পুকুর পাড়ে করবস্থান। লাশ দাফন করার পর যখন দোয়া হচ্ছিল, তখন উপস্থিত কয়েকজন মুরুব্বীর বিস্ময়মিশ্রিত চোখ অনুসরন করে দেখলাম কবরস্থানের দেয়ালের পাশেই তিনজন মানুষ দোয়ায় শামিল হয়েছেন। তখনও ভোরের আলো ঠিকভাবে ফুটে নি। পরিষ্কারভাবে তাদের চেহারা দেখা যাচ্ছিলো না তবে এই তিনজন মানুষকে আমার কেন যেন স্বাভাবিক লাগছিল না, যদিও আমি তাদের চেহারা পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছিলাম না, তথাপি তাদের শারিরীক গঠন আমার কাছে কিছুটা অস্বাভাবিক লাগছিল। কেমন অস্বাভাবিক, আমি তা ঠিক বুঝিয়ে বলতে পারব না। হঠাৎ কেমন যেন একটা শিরশির অনুভুতি হচ্ছিলো। মনে হলো, কে যেন আমার দিকে চেয়ে আছে। আমি পিছনে তাদের দেখার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু পাশের এক মুরুব্বী আমাকে ইশারায় তাকাতে মানা করলেন। মুনাজাতের সময় মাওলানা সাহেব বললেন, হে আল্লাহ! আমরা তোমার দুই অনন্য সৃষ্টি এখানে উপস্থিত আছি। তুমি আমাদের দোয়া কবুল করো।
মুনাজাত শেষ করে আমরা বাড়ির পথ ধরলাম। কবরস্থান থেকে একটাই মাত্র রাস্তা প্রধান সড়কে উঠেছে। পুরো রাস্তা ফাঁকা। কোথাও কেউ নেই। দূরে ফসলের মাঠে হালকা কুয়াশাগুলো এমন ভাবে সরে যাচ্ছিলো মনে হচ্ছিল তিনটা মানুষ বুঝি ভেসে ভেসে যাচ্ছে।
ব্যাখ্যাঃ
ঘরের চালে ধুম করে শব্দের ব্যাখ্যা হতে পারে, হয়ত কোন বড় পাখি কোন শুকনা ডালে হঠাৎ এসে বসায় ভার নিতে না পারায় তা ভেঙে চালে পড়েছে। আমি যখন পরে বিষয়টা নিয়ে ভাবলাম, তখন মনে হলো মাঝারি সাইজের একটা আম গাছে কি এমন শুকনা ডাল থাকতে পারে? উত্তর - হ্যাঁ থাকলেও থাকতে পারে।
এমন বড় কোন পাখি হতে পারে?
- আমি জানি না! হয়ত বড় কোন পেঁচা বা নাম না জানা অন্য কোন পাখি।
এত শব্দ কেন হলো?
- আমার মতে শব্দটা স্বাভাবিকই হয়েছিল, যতটুকু হবার কথা ততটুকুই হয়েছিল। তবে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে হয়ত তা হ্যালুসিনেট করে বেশি শুনিয়েছে।
ক্যাচ ক্যাচ শব্দে দরজার খোলার শব্দ?
- গ্রামের যৌথ পরিবারের বাড়ি। হয়ত লাগোয়া কোন বাড়ির দরজা মা খালারা সন্তর্পণে খোলার চেষ্টা করেছিলেন। সেই শব্দ আমার কানে আসার পর মনে হয়েছে তা কাচারি ঘর থেকেই আসছে।
নামাজের সময় পেছনের কারো উপস্থিতি?
গ্রামের মসজিদগুলো খুব একটা বড় হয় না। অনেক সময় চারিদিক যখন নিরব থাকে, সেই সময় এক সাথে সবাই মিলে রুকু বা সিজদায় যাবার শব্দ হয়ত মসজিদের দেয়ালে বাড়ি খেয়ে পেছনে থেকে এপ্লিফাই হতে পারে, যাতে মনে হয় পেছনে কেউ আছে।
ফুলের গন্ধ?
এটা খুবই স্বাভাবিক একটা ঘটনা। গ্রামে জানালা খোলা থাকলে স্বাভাবিক সময়েও ফুলের গন্ধ আসতে পারে। ফুলের গন্ধে অস্বাভাবিকতা খোঁজার বিষয়টি আমার নিজের কাছে কিছুটা হাস্যকরই লেগেছে।
তিনজন অপরিচিত ব্যক্তি?
- আমি জানি না! হতে পারে দুরের কোন পথচারী। লাশ দাফন করতে নিয়ে যাচ্ছে দেখে তারাও শেষ মুহুর্তে অংশ নিলেন। নিজেদের মত দ্রুত দোয়া করে আগেই চলে গেলেন।
আপনি কি এই সকল ব্যাখ্যা ১০০ভাগ বিশ্বাস করেন?
না, দুঃখিত। শতভাগ ব্যাখ্যা বিশ্বাস করে আমার দুর্লভ কিছু অতিপ্রাকৃতিক অভিজ্ঞতার ঝুলি নষ্ট করতে চাই না।
(চলবে)
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কি পনি আপা??
২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৭
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমি বিশ্বাস করি না।। রাত-বিরাতে জায়গা-অজায়গায় অনেক চলেছি একসময় ।। অনেক কিছু শোনা সত্বেও কিছুই সামনে আসে নি।। হয়তো আর সবার মত ভয়ই পেয়েছলো ।।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমি নিজেও কি কিছু দেখেছি? মনে তো হয় না? আসলে পরিস্থিতি অনেক সময় আপনাকে তার মত করে ভাবাতে পছন্দ করে! মাঝে মাঝে প্রকৃতি নিজেই অনেক ব্যতিক্রমগুলোকে সিংক্রোনাইজ করে আমাদের সামনে উপস্থিত করে। আমরা স্বাভাবিকতার বিচারে তাকে অতিপ্রাকৃতিক / ভৌতিক বা ব্যাখাতীত ঘটনা বলে শান্তনা খুঁজি।
৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১০
আরজু পনি বলেছেন:
আমার আগের মন্তব্য করতে গিয়ে দেখি পোস্ট নাই...নাইতো নাইই
লিখলাম কতো কিছু তাও কাঁদতে কাঁদতে...
আমিতো এতো রাইতে এই ভুতুরে পোস্ট পড়ানির লাইগ্যা মাইনাস বাটন খুঁজতেছিলাম...সত্যিই ভয় পাইছি যতো ব্যাখ্যাই থাকুক
অন্ধকার ঘরে জানালার কাছে পা দিয়ে ব্লগিং করতেছি এই লেখা পড়ার পরে কোন দিকে তাকাতে পারতেছি না ঠিকমতো ...পায়ে কেমন যেনো ঠান্ডা বাতাস লাগে...কোন ব্যাখ্যাই মন মানেনা
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হে হে! ভুতের গল্প পইড়া যদি ভয়ই না পান আফা তাইলে আর এই সব গাঁজা খুরি লেখার মানে কি! গত পোস্টটা আমি প্রথম পাতায় প্রকাশ করতে ভুলে গিয়েছিলাম। তাই আবার প্রকাশ করলাম।
৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১২
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: রাত বারোটায় ভূতের গল্প পোস্টাইলেন, এটা কোন কথা হইল| অভিজ্ঞতা হিসেবে না লিখে, গল্প আঁকারে লিখলে ভাল হত| হেব্বি একটা গল্প পাওয়া যেত| নু প্রবলেম, এইটারে নিয়া আমি লিখবো, যদি আপনার আপত্তি না থাকে
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহা! না। আমার কোন আপত্তি নেই। বরং আমি আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করব আপনার লেখার জন্য। আসলে দেখেন কিছু কিছু পরিস্থিতি থাকে যেখানে আপনি নিজের ইচ্ছায় পরিচালিত হতে পারবেন না। সেই সাথে যুক্ত হবে আশেপাশের মানুষদের চিন্তা চেতনা এবং বিশ্বাসের প্রভাব। আপনি প্রভাবমুক্ত থাকতে পারেন, এই জগতে তাহলে শুধু আপনি একাই আছেন আর যদি প্রভাব মুক্ত না হতে পারেন, তাহলে জেনে রাখুন আপনার পিছনেই হয়ত দাঁড়িয়ে আছে ভিন্ন জগতের এক মানুষ।
৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৬
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: রাতের এই সময়ের জন্য দারুণ ভৌতিক গল্প । আপাতত এর শতভাগ ব্যাখ্যা আমার কাছে নেই ।
পৃথিবী অনেক বৈচিত্রময় । মানব মস্তিষ্ক এর অনেক দূরে । পৃথিবীতে এমন আরও অনেক ঘটনাই ঘটে যার যৌক্তিক ব্যাখ্যা দাগি বিজ্ঞানীরাও দিতে পারেন না ।
এইসব ক্ষেত্রে বিশ্বাসটাই যুক্তিপূর্ণ ।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার বলেছেন। আপনার সাথে আমিও সহমত। আমি আরণ্যক রাখালকে বলেছিলাম যে, কিছু কিছু পরিস্থিতি থাকে যেখানে আপনি নিজের ইচ্ছায় পরিচালিত হতে পারবেন না। সেই সাথে যুক্ত হবে আশেপাশের মানুষদের চিন্তা চেতনা এবং বিশ্বাসের প্রভাব। আপনি প্রভাবমুক্ত থাকতে পারেন, এই জগতে তাহলে শুধু আপনি একাই আছেন আর যদি প্রভাব মুক্ত না হতে পারেন, তাহলে জেনে রাখুন আপনার পিছনেই হয়ত দাঁড়িয়ে আছে ভিন্ন জগতের এক মানুষ।
এটাই বাস্তব, এটাই সহজ ব্যাখ্যা।
৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৬
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
এখন পড়লে একা রাত জেগে আর বার্সার খেলা দেখতে পারবো না ||
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বলেন কি?? আমি তো আরো ভাবলাম কপালে দুয়ো আছে!!!
৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৮
জটায়ু. বলেছেন: জিন এই পৃথিবীতে আছে অস্বিকারের কিছু নেই। এর কারণ আমি নিজেও তাদের উপস্থিতি উপলোদ্ধী করেছি।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বেশ!! এটা থাকুক বা না থাকুক আমি ভাই দেখতেও চাই না।
৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২২
ধমনী বলেছেন: এ ধরণের ব্যাখ্যাবিহীন ঘটনা অভিজ্ঞতার ঝুলি সমৃদ্ধ করে।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হুমম, হয়ত ঠিক তাই।
৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩২
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: পিলাচ লন
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধইন্না! আপনারে ব্লগে দেইখা খুশি হইলাম।
১০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৫
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ও আরেকটা কথা বলতে ভুলে গেছি । অভিজ্ঞতার পোস্ট চালিয়ে যাবেন । ভৌতিকে বেশ ভাল লাগে ।
এক অদ্ভুত মাতালতার অনুভূতি খারাপ না !!!!
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: জী, আরো দুই একটা অভিজ্ঞতা আছে। সেইগুলো গল্প আকারেই আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করব। পাঠে কৃতজ্ঞতা জানবেন।
১১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৬
বিদেশী বাঙালী বলেছেন: আপনি কি জীন বিশ্বাস করেন না! উনারা জীন হতে পারেন, হতে পারেন ফেরেশতাও। আবার মানুষ হওয়া-ও অসম্ভব কিছু না। কিন্তু, নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, জীন বলে একটি জাতি আছে এই পৃথিবীতে।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: জী, মুসলিম আমারে বিশ্বাস করতে হয়। তবে ঐ ঘটনার সাথে জড়িত তিন জন আশা করি আপনার বর্ণিত কেউ ছিলেন না। আমার ধারনামতে তারা স্বাভাবিক মানুষই ছিলেন, পরিস্থিতির কারনে আমার ভিন্ন ধারনা হয়েছে।
আমি বিশ্বাস করি জীন পৃথিবীতে থাকলেও বাংলাদেশে জীন নাই।
১২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪০
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: আপনার এই লেখাতা পড়ে খুব ভয় লাগছে ভাইয়া ।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার! ভুতের গল্প পড়ে যদি ভয় ই পান তাহলে লাভ কি!! শুভ ভয়
১৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২২
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: এত রাতে ভূতের গল্প পড়লাম, আজ হয়েছে আমার ঘুম!!!
কখনও কিছু চোখে পড়েনি, তবে জ্বীনের গল্প অনেকের কাছেই শুনেছি।
আপনার লেখা পড়তে একটু ভয় ভয় করছিল, তবে-------------
আপনার ব্যাখ্যা ১০০ ভাগই বিশ্বাসযোগ্য !!!
ঘুমাতে যাই, অনেক শুভেচ্ছা ভাই!!!!
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: জী, আমারও যে কিছু চোখে পড়েছে তা আমি শতভাগ নিশ্চিত করে বলতে পারব না। তবে মাঝে মাঝে প্রকৃতি কিছু ঘটনা ঘটায় যার ব্যাখ্যা আমাদের সন্তুষ্ট করতে পারে না।
আশা করি ঘুম ভালো হয়েছে। শুভ সকাল।
১৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:২০
নতুন বলেছেন: ব্যাক্ষা ভাল হয়েছে।
যখন আমরা কিছু পুরা জানি না তখনই রহস্য বাসা বাধে...
দুনিয়াতে কারন ছাড়া কোন কাজই হয় না। অবশ্যই কারন থাকবে।
শব্ধ হতে হলে পদাথ` বিজ্ঞানের সুত্র মেনেই ঐ শব্দ হতে হবে। মানে কিছু একটা টিনের চালে আঘাত করেছে তাতেই কম্পনথেকেই শব্দের সৃস্টি...
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ঠিক বলেছেন। যখন আপনি সঠিক কারন জানবেন না, তখনই ঝামেলা শুরু হয়। আমিও মনে করি কোন কারন ছাড়া কোন কিছু সম্ভব নয়। আমি মনে করি অনেক সময় প্রকৃতি কিছু অস্বাভাবিক ঘটনাকে পর্যায়ক্রমে ঘটিয়ে ফেলে। আমরা সেই অস্বাভাবিক ঘটনার সারিবদ্ধ ফ্রেমকে হয়ত ভৌতিক ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করি।
১৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৯
রিকি বলেছেন: ভাই ভয় পেয়েছি, ব্যাখ্যা যায় থাকুক !!!!
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সুন্দর!! অভিনন্দন! ভয় পাওয়ার পোস্টে যদি ভয়ই না পান তাহলে কেমনে কি!
১৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভয়ের গল্প তাও পড়লাম সকালে। অখন কি আর ভয় পামু ? আবার লগে দিছেন ব্যাখ্যা
তবে আপনি যদি নিজে ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না থেকে ভয়টাকে নিয়েই থাকতে তৃপ্ত হন তবে তাই করা উচিত।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহা! ধন্যবাদ কান্ডারী ভাই! দীর্ঘ দিন পরে আমার ব্লগে আপনার মন্তব্য পেলাম। ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে হ্যাঁ, আমরা সেই পুরানো দিনগুলোতেই আছি।
আসলে যে ব্যাপারগুলোতে আমার বিশ্বাস তুলনামুলকভাবে কম, সেই ব্যাপারগুলোকে এত নির্দিধায় মেনে নিতে লজ্জা লাগে। তাই নিজস্ব একটা ব্যাখ্যা প্রস্তুতের চেষ্টা করেছি।
তবে আপনাকে বলি কাউকে বলবেন না, আমি নিজে মোটেও আমার ব্যাখ্যা নিয়ে সন্তুষ্ট নই।
১৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৪
রিকি বলেছেন: ভাই কথাটা এরকম 'গৌর সে দেখিয়ে উস চেহেরে কো'---ঐ লাইনটুকু এমনভাবে বলা হত, এমনি বিভিন্ন রকমের ফোবিয়া আই আই করতে করতে চলে আসত---তারপরে সেখানে যদি 'গোবেচারা ছাগল মার্কা' একজনকে দেখানোও হত, তাহলে সেটাও কিন্তু ভয়ঙ্কর চেহারার অপরাধী মনে হত!!! ভূতের গল্পগুলো অনেকটা এরকম লাগে , ব্যক্তিগত কিছু আধিভৌতিক ঘটনা এই লাইন দেখে আর পড়তে পড়তে আমরা অনেক লম্বা, শূন্যে ভাসা কোন একটা অস্তিত্ব কল্পনা করেই ফেলেছি---ভয় লাগবে না !!!!! ভাগ্যিস রাতে পড়িনি
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা হা! দারুন বলেছেন রিকি!
১৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০১
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
রাতে পড়ে ফেললেই ভাল হৈতো!
মনে হচ্ছিল হুমায়ুন আহমেদ এর বই পড়তেসিলাম, সেম ধাঁচে লিখা ||
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ওয়াও!! কি দারুন একটা কমপ্লিমেন্ট দিলেন! আমার সবচেয়ে পছন্দের লেখকের। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন মুন।
১৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩২
অগ্নি সারথি বলেছেন: মানব মন অনেক বিচিত্র একটা বস্তু। এইডা কখন কারে কি দেখায়, কি শোনায় কে জানে? যেহেতু জ্বিন-ভূতের অস্তিত্ব এখনো টের পাইনি কিংবা কেউ সরাসরি পেয়েছে তার সন্ধান ও পাই নাই তাই একটু কম বিশ্বাস করি।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ। আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। আমিও তাই মনে করি। আমার কাছে মনে হয় এই সব শব্দ, বাতাসের বাড়তি গতি ইত্যাদি সবই প্রকৃতির ব্যতিক্রমী এক সিংক্রোনাইজেশন! যার মাঝে দর্শক হিসেবে আমরা মাঝে মাঝে পড়ে যাই!!
২০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৯
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভূত প্রেত আমি বিশ্বাস করি না দিনের বেলায়। কিন্তু রাতের বেলায় ভয়ে কাবু থাকি। এতো ভীতু ছিলাম না বিগত কয়েক বছরে বেশ ভীতু হয়েছি। রিসেন্টলি আমি স্বপ্ন বিষয়ক ব্যাপারে খুব সাফার করছি। একের পর এক নন্সটপ স্বপ্ন দেখতে থাকি, রক্ত, মৃত মানুষের আগমন ইত্যাদি ব্যাপার স্বপ্নে থাকে। আমি হয়তো তাদের নিয়ে খুব ভাবি বলেই স্বপ্ন দেখি, এটাই ধরে নিয়েছি। কিন্তু যে পরিস্থিতিতে আমি এসব ফেস করি সেটা আমার জন্য ভয়াবহ।
ছোট একটা ঘটনা বলি। আমাদের বাসার সামনে একটা কবরস্থান,পাশাপাশি শশ্মান ঘাট, খ্রিস্টানদের একটা কবরস্থান আছে। এলাকায় নতুন আসছি। ভূত প্রেত পাত্তা দেই না। বুঝতেই পারছ পাশাপাশি তিনটা জিনিসের অবস্থানে কিছু রিউমর ছিলই। একদিন সন্ধ্যার পর বাসার সামনে মাঠে ( খালি প্লট, যেগুলোতে এখনো বাড়ি ঘর উঠে নাই ) হাঁটছিলাম। কলেজের ফার্স্ট ইয়ারের স্টুডেন্ট আমি। সন্ধ্যার পর মাঠ খালি হয়ে যাবার পরেও আমি অনেক সময় নিয়ে হাঁটছিলাম বরাবরের মতো। আমার মাথাভর্তি অনেক লম্বা লম্বা চুল ছিল যেগুলো খোলা অবস্থায় রেখেই হাঁটছিলাম। হঠাৎ আমার মনে হলো আমার পেছনে কয়েকজন আমাকে ফলো করছে। পেছনে তাকিয়ে দেখি কেউ নাই। কিছুক্ষণ পর পর একই ফিলিংস হচ্ছিলো যে আমার পেছন পেছন কয়েকজন আছে। কী ভয়াবহ এক অশরীরি ভয়ে আমি ঐ জায়গায় ফীজড হয়ে গেছি। তারপর দৌড়ে বাসায় এসে ভয়ে আমি কাঁদছিলাম আর আব্বা-আম্মাকে বলছিলাম। তোমাকে আমি এক্সপ্লেইন করতে পারবো না কী পরিমাণ আতংকগ্রস্ত আমি ছিলাম। সে রাতে কে কবে কোথায় ভূত দেখেছে ইত্যাদি গল্প আমাকে শুনালো। তারচেয়েও বড় কথা শশ্মানে মানুষ পোড়ালে চিতার দাউ দাউ আগুন আর হরি বোল হরি বোল শব্দ আমাদের বারান্দা থেকে দেখা আর শোনা যেতো। সেই থেকে আমার ভেতরে অশরীরি জিনিসের উপস্থিতির ভয় ঢুকেছে যা এখনো বহমান। আমি জানি কেউ নাই কিছু নাই কিন্তু আতংকে একা বাসায় রাতে থাকলে আমি চোখ খুলতে পারি না। এর কিছুদিন পর আমার এক অসুখ হলো কিন্তু সেই অসুখকে আমার মা, দাদী,আরো অনেকেই জ্বীনের বাতাস হিসেবে ঘোষণা দিলো যা তিন মাস আমাকে সাফার করিয়েছে।
এবার তোমার পোস্ট নিয়ে বলি। কাল রাতেই দেখেছি পোস্ট। ভয়ে পড়ি নাই।
তোমার ব্যাখ্যা গুলো আমি সাপোর্ট করি। ঐ যে বললা না উপযুক্ত পরিবেশে অনেক বৈজ্ঞানিক যুক্তিও হার মানে। মৃত্যু, মৃত্যুভয়, কর্পূরের গন্ধ, মিহি সুরের কেঁদে ওঠা, কোরান শরীফ পাঠ, মধ্যরাত ইত্যাদি ইত্যাদি সাথে হাস্নাহেনা ফুলের গন্ধ সব মিলিয়ে ব্যাখার আগ পর্যন্ত অশরীরি ফিলিংস হওয়া, সেসবে গ্রামের মুসুলী বা সাধারণদের সাথে বিশ্বাস ফকির নানাকে নিয়ে প্রভাবিত করতে পারে।
তোমার এই সিরিজ আমি রাতে পড়বো না। স্বপ্নে এসব আমি নির্ঘাত দেখে ফেলবো। আর কিছু পড়লে সাথে সাথে সেসব আমি ভিজুয়ালাইজ করে ফেলি।সমস্যা এখানেই। আমি এখন স্বপ্ন দেখা প্রচণ্ড ভয় পাই।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার চমৎকার মন্তব্যটা আমি নিজের ব্যক্তিগত প্রিয়তে রাখলাম। তবে আপনার এই স্বপ্ন দেখার বিষয়টা নিয়ে আমি ভাবছি। এই নিয়ে পরে আলাপ হবে। ঘুমাবার আগে ব্রেন শান্ত করুন। সুন্দর হালকা গান শুনুন। যা আপনার মনকে রিলাক্স করে তা করার চেষ্টা করুন। বোধ করি সমস্যাটির সমাধান হবে।
দীর্ঘদিন আপনার মন্তব্য পেলাম আপু! আপনাকে ব্লগে নিয়মিত দেখে ভালো লাগছে। শুভেচ্ছা জানবেন।
২১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ব্যাখ্যা দিয়ে বাঁচালেন...
বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলাম
ভূত-প্রেত বিশ্বাস করি কখনও। আড্ডাশেষে রাত ১/২টায় বাড়ি ফিরেছি সেই ৯ম/১০ম শ্রেণী থাকা অবস্থায়। কিন্তু আজকাল কেন যেন রাতের ভ্রমণে ভয় পাই! শহরে নয়। গ্রামে।
ভালো সিরিজ শুরু হয়েছে। এটা চলতে থাকলে অনেকেরই উপকার হবে।
কাল্পনিক_ভালোবাসা ভাইয়া...! কেমন আছেন?
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রিয় মইনুল ভাই! সত্যি বলতে আমি ভুত ভয় পাই না, মানুষ ভয় পাই। তাও আবার শহরে! ইচ্ছে আছে এই সিরিজে ব্লগারদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাও সংযুক্ত করব। বিসমিল্লাহ আপনাকে দিয়েই করার ইচ্ছে।
আশা করি দ্রুত দেখা হবে। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।
২২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
দীর্ঘদিন পর আপনার ব্লগে আসছি কথাটা আংশিক সত্য। তবে অনিয়মিত ছিলাম এই দোষ স্বীকার করছি। এইজন্য আমার জরিমানা হওয়া উচিত অবশ্যই। তবে পুরান দিন স্মৃতি হাতড়ানোর জন্যই ভাল কিন্তু আসলে জীবন মানে সব কিছু নতুন ভাবে শুরু করা। এতেই প্রকৃত সার্থকতা। আর কা_ভা এন্ড কা_অ এরা হইলো দুইটা অনুর মতো। ক্রিয়া-বিক্রিয়া চলবেই। এইটাই স্বাভাবিক।
ভাল থাকবেন ভাই সব সময়।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হ্যাঁ, ঠিক বলেছেন। সব কিছু নতুন করে শুরু হলে মন্দ হয় না। জীবনটা ক্ষুদ্র, সময় স্বল্প অথচ করার আছে অনেক কিছু! প্রতিদিন সকালে খুশি হই আর বিকেলে ফেলি দীর্ঘশ্বাস!
কাভা এন্ড কাআ এর ব্যাখ্যা ভালো দিয়েছেন। সামনে নতুন একটা সিরিজ করছি ব্লগারদের ভৌতিক বা আধিভৌতিক অভিজ্ঞতা। আশা করি সাথে থাকবেন।
২৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৯
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অফটপিক -- ব্লগে অনিয়মিত থাকলেও ব্লগের পেইজটা ব্রাউজ্রে ওপেন থাকতো। অফলাইনে কিছু কিছু লেখা পড়েছিও। নতুন নতুন কিছু নিক দেখছি তাদের স্বতঃস্ফূর্ত পদচারনা ভালো লাগছে। যাদের সাথে ব্লগিং করতাম আগে, তাদের অনেকেই এখন অনিয়মিত। আর এখন কয়েক মাস নিয়মিত থাকবো আশা করছি।
স্বপ্ন বিষয়ক তোমার পোস্ট আশা করছি দ্রুত। আমি স্বপ্ন দেখতে দেখতে সত্যিই এখন ক্লান্ত ফিল করছি।
আর এই সিরিজের পোস্ট দিলে দিনের বেলায় দিবা যে সময় আমি থাকি। সন্ধ্যার পর ব্লগিং কম করা হয় । মোবাইল দিয়ে ব্লগিং ঝামেলা লাগে।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা হা! মোবাইল দিয়ে ব্লগিং এর ঝামেলা আশা করি দ্রুত মিটে যাবে আপু। আর স্বপ্ন নিয়ে পোস্ট আপাতত দিচ্ছি না। কারন বিষয়টা অনেক জটিল এবং এই বিষয়ে আমার ব্যক্তিগত পড়াশোনা খুব একটা মান সম্মত হয় নি বলেই বিশ্বাস। তবে আপনার বিষয়টির জন্য আপনি অবশ্যই বিশেষজ্ঞ কারো সাহায্য নিন। শুধু এই টুকু বলতে পারি অবচেতন ভাবেও যদি আপনার মন বিক্ষিপ্ত থাকে তাহলে ঐ সমস্যাগুলো হতে পারে।
আর আমাদের দেশে মনে রাইখেন সবাই সাইকোলজিস্ট! বিশেষ করে তো ব্লগে আর ফেসবুকে এর অভাব নাই। তাই সরকার একটা সিস্টেম করছে। বলছে যারা মিনিমান ছয় বছর সাধারণ চিকিৎসাশাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা করার পর সাইকোলজি নিয়ে আরো গভীরে গিয়েছেন অথবা যারা কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তারাই সাইকোলজিস্ট হিসেবে নিবন্ধন করতে পারবেন।
যদি কখন সাহায্য নেন, নিবন্ধিত কারো সাহায্য নেয়াই ভালো। :
২৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৪
নেক্সাস বলেছেন: ভূত প্রেত আছে কিনা জানিনা। তবে শয়তান ও জ্বীন পবিত্র কুরআনে স্বীকৃত। আল্লাহ বলেন , " আমি জ্বীন ও ইনসান কে আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি। মানুষষের মাঝে যেমন শিষ্ট ও দুষ্ট আছে তেমনি জ্বীন জাতের মাঝেও শিষ্ট ও দুষ্ট আছে। দুষ্ট জ্বীনরা মানব জাতির ক্ষতি সাধন করতে চায়। এই জন্যই পবিত্র কুআানে শেষ সুরা। সুরা আন নাস-এ দুষ্ট ও অনিষ্ট কারী মানুষ ও জ্বীনের হাত থেকে পরিত্রানের জন্য দোয়ার কথা বলা হয়েছে।
যাই হোক ১৯৯৬ সালে নির্বাচনকালীন সময়ে গভির রাতে আমার জ্বীন বা জ্বীন জাতীয় কিছু দেখার সৌভাগ্য বা ভয়ানক ভাগ্য হয়েছিল হতে পারে জ্বীন, বা অন্যকিছু বা আমার মনের কোন অস্বাভাবিক আচরণ। তবে আমি কিছু একটা দেখেছি।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার ব্যাপার। এই সিরিজের সামনের পোস্টগুলো হবে ব্লগারদের আধিভৌতিক অভিজ্ঞতা নিয়ে। আপনারা বলবেন, আমি তা নিজের মত করে লিখব। এই নিয়ে একটা সিরিজ হবে।
আশা করি সাথেই থাকবেন।
২৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অবশ্যই থাকুম
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ
২৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫
সাহসী সন্তান বলেছেন: গল্পটা পড়ছিলাম আর মনে মনে ভুত এফ. এম এর কথা চিন্তা করছিলাম! তবে ঘটনার শেষের ব্যাখ্যাটা অনেক সুন্দর হয়েছে। এমন একটা সময় ছিল, যখন এগুলো কে আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করতাম। ছোট থাকতে রাতে শোয়ার পর যখন ঘরের চালে হঠাৎ এমন শব্দ হতো তখন আম্মুকে জড়িয়ে ধরতাম! আম্মুও পরম স্নেহে বুকে জড়িয়ে বলতো- 'ও কিছু নয়। হয়তো কোন পাখি, বাদুড় বা চামচিকা চালের উপর পড়েছে!'
তবে এখনও মনে হয়, আম্মু যেটা বলতো সেটাই সঠিক। তাই ভয় কাটানোর জন্য বলুক বা অভয় দেওয়ার জন্য বলুক!
আপনার ভুতুড়ে সিরিজ চলতে থাকুক। সাথেই আছি! ভাল থাকবেন এবং শুভ কামনা জানবেন!
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভুত এফএমের প্রায় ৮০ ভাগ গল্প বানোয়াট। তাদের অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে প্রিয় ব্লগার একটি পংক্তি লিখেছেন-
" বিশ্বাস করেন রাসেল ভাই,
মুততে গিয়া দেখি নুনু নাই। "
এটা উৎসর্গ করা হয়েছিল ভুতএফএমকে। আমি যে ঘটনাটা শেয়ার করলাম আপনাদের সাথে, তাকে চাইলে রহস্যময় করে তোলা যায় আবার চাইলে খুব সাধারন ভাবে দেখা যায়। আমি দুইটার সংমিশ্রনেই দেখতে এবং দেখাতে চেয়েছি। আমাকে একজন জিজ্ঞেস করল আপনি কি জীনে বিশ্বাস করেন কিনা? আমি বলেছি, হ্যাঁ করি। তবে এটাও বিশ্বাস করি বাংলাদেশে কোন জীন নাই।
এর পরের সিরিজে ব্লগার জীবনের অতিপ্রাকৃত ঘটনা নিয়ে লেখা হবে। আশা করি সাথেই থাকবেন।
২৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০১
মশিকুর বলেছেন:
ভুত দেখার জন্য ভৌতিক পরিবেশ কম্পলসারি
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ১০০ তে ১০০!!
২৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৯
আবু শাকিল বলেছেন: টানটান উত্তেজনা নিয়ে লেখা পড়লাম।পড়ার সময় ই ভেবেছি ভূত টূত নিয়ে কমেন্টস করব।পড়া শেষে দেখি নিজেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন
অল্পজ্ঞানে যতদূর জানি -পৃথিবী র প্রতিটা ঘটনার পিছনে কারন রয়েছে।
ভূত টূতে আমার ভয় কম।তবে আমার জীবনের সাথেও রহস্যময় কিছু আচরন ঘটেছে।তবে সেগুলির পিছনে কারন দাড় করিয়ে ক্ষ্যান্ত দিছি।
যাদের লেখনি শক্তি চরম।তাদের জন্য ভূত প্রেত ভাল উপাদান।
রহস্য গল্প চলুক।সাথেই আছি।
ধন্যবাদ জাদিদ ভাই। ভাল থাকার দোয়া রইল।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্য শাকিল ভাই! ঘটনার পিছনে ঘটনা না জানলে তো রহস্য থাকবেই।
২৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অামি এইসব ভূত-প্রেত বিশ্বাস করিনা । তবে শুক্রবার রাতে ভূত এফএম শুনার পর একা ঘরের বাইরে যেতে পারিনা । ডর করে!
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ব্যাপার না, আমি যেদিন থেকে আয়নায় নিজেকে দেখা শুরু করেছি, সেদিন থেকে আর ভুত ভয় পাই না। আপনিও বেশি ভয় পাইলে এই তত্ব অনুসরন করতে পারেন। আশা করি ভয় কেটে যাবে।
৩০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কিছু ব্যাপার আসলেই ব্যাখ্যার অতীত। শত যুক্তি দিয়েও সেগুলো ব্যাখ্যা করা যায় না। কোন একটা পোস্টে এমন কিছু অভিজ্ঞতার কথা লিখেছিলাম এই ধরনের লেখার অন্যরকম আকর্ষণ আছে। সিরিজ চলুক, সাথে আছি ভাইজান।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হ্যাঁ, আমিও পড়েছিলাম। আমার ইচ্ছে আছে সিরিজের অন্যান্য পর্বে ব্লগারদের ব্যক্তিগত জীবনের এমন কিছু ঘটনা পোস্টের মাধ্যমে তুলে ধরব!
৩১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৯
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনি লেখায় ভাবের সরাসরি ও পরিপূর্ণ প্রকাশ ঘটাতে পারেন ।
পোষ্টে ভাল লাগা রইল ।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাহমুদ০০৭ ভাই! শুভেচ্ছা জানবেন।
৩২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৮
গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনার ব্যাখ্যার সব অংশ মনঃপুত হয়নি। আফটার অল হ্যালুসিনেশন ছাড়া কিছু মনে হচ্ছে না। বিশেষত তিনজন অপরিচিত ব্যক্তি ও নামাজের সময় পেছনের কারো উপস্থিতি
আমি এটাকে এভাবে দেখিঃ
ফকির নানার ব্যাপারে বেশ আগেই আপনি একটি ধারণা রেখে ফেলেছেন। আর টিনের চালে বেশ বড় করে শব্দ হওয়াটা নিঃসন্দেহে (স্বল্প মাত্রার) হ্যালুসিনেশনের জন্য বেশ উপাদেয়। আর সেকারণেই আপনি অন্যান্য ব্যাক্তির উপস্থিতি টের পেয়েছেন।
(এ ব্যাখ্যাও মনোপুত হবে না। আমি জানি। )
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। হ্যাঁ, আমি তো নিজেই স্বীকার করেছি, হ্যালুসিনেশন হতে পারে। অনেক সময় ম্যাস হ্যালুসিনেশও হয়। আমার ক্ষেত্রেও এর ব্যাতিক্রম হয়েছে বলে মনে হয় না। তবে আমার মনে হয় অনেক সময় প্রকৃতি কিছু অদ্ভুত ঘটনা পর পর ক্রমান্বয়ে ঘটিয়ে ফেলে। আর এই ঘটিয়ে ফেলা থেকেই শুরু হয় আমাদের সকল বিপত্তি। ঘটনা ঘটেছে বাস্তবে কিন্তু আমরা মানতে পারছি না অস্বাভাবিকত্বের কারনে। গ্রামে প্রতিবছর বেড়াতে যাওয়া হয়। ফলে টিনের চালে মাঝে মাঝে আসেপাশের গাছ থেকে ডাল পালা পড়ে এমন শব্দ হয়। অনেক সময় বাতাসেও পড়ে অনেক সময় পাখি টাখি এসে বসলেও পড়ে। এটা অন্য সময় অস্বাভাবিক লাগতো না। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে এই বিষয়গুলো ঘটে যাওয়াতে সব কিছু এলোমেলো লাগছে।
এই ধরনের ব্যাখ্যার সবচেয়ে জটিল অংশ হচ্ছে ধর্মে এই জাতীয় কিছু ব্যাপারে বাধ্যবাধ্যকতার ব্যাপার। ধর্ম একটা বিশ্বাস ভিত্তিক সিস্টেম। ফলে আপনি একটা সিস্টেমের অর্ধেক বিশ্বাস করবেন আর বাকিটা বিশ্বাস করবেন না তা ঠিক গ্রহনযোগ্য হয় না। একই ভাবে ধর্মের দোষগুন বিচারের ক্ষেত্রেও মনে হয় আমরা যদি কোন সিস্টেমের অর্ধেক মানি আর অর্ধেক না মানি তার দায় ভার কোনভাবেই পুরো সিস্টেমের উপর বর্তায় না। দিন শেষে আমাদের জন্য কি থাকে? আমাদের জন্য থাকে এক রাশ রহস্য মিশ্রিত পরিস্থিতি।
৩৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভুত প্রেত নাই মানে!
অবশ্যই আছে! খালি চোখে না দেখলেই নাই; এইটা কুন থিওরি হইল! আগেতো আমরা ব্যাটেরিয়া জীবানু এইসবও দেখতাম না বুঝতাম না।
দেইখেন- একসময় জ্বিনভুত দেখার মেশিনও বাইরাইব
আমার তাদের কন্ঠ শোনার অভিজ্ঞতা হয়েছে দুইবার্
আমার এক বন্ধু যে গায়ে থাকে। লেখাপড়া খুব াল্প পর্যণ্ত করে ছেড়ে দিয়েছে। গায়েই কাজ করে। বেড়াতে গিয়ে বেশ ক-দিন ছিলাম। তো একদিন তখন তার ছোটবোনের বায়না মেটাতে হাতে মেহেদীর ।াল্পনা করে দিচ্ছি। হঠাৎ সে ঘরে ঢুকল। মূখ থমথমে। আমাদের পাশ কাটিয়ে চলেও গেল। আমি ডাকতে গেলে ওর বোন মানা করল।
ভাবলাম কিরে বাবা মেহেদি দিতে স্বভাবতই বেশ কাছাকাছি বসতে হয়্ তাতে আবারা মাইন্ড খাইল নাকি?
নিশি আশ্বস্থ করল এসব কিছূ না। ভাইয়াকে জ্বিনে ভর করেছে।
আমি বিশ্বাস করিনা বলে কাছে যেতে চাইলে ওর মা সহ সবাই অনুরোধ করে আটকাল। তারপর তাদের ক্রিয়াকম দেখতে থাকলাম।
দ্রুত খালা অজু করে এলেন। নামােজর পাটি জায়নামাজ সব এনে বিছিয়ে আগর ধরিয়ে তারপর বাতি নিভিয়ে দিলেন। খাটে সবার সাতে অন্ধকারে বসে আছি। যতটা সম্ভব চোখকে বেড়ালের চোখ বানানোর কসরত করে যাচ্ছিলাম।
কিন্তু ঘুটঘুটে অন্ধকার ছাড়া কিসস্সু নেই।
খানিক পর প্রচন্ড জোরে কিছূ আছরে পড়ার শব্দ। ২ আড়াই মনি বস্তা বেশ উচু থেকে ফেললে যেমন শব্দ হয় তেমন। সাথে খালা আর্ত চিৎকার- দোহাই ওরে মাইরেন না। দোহাই আল্লাহ রাসুলের ..
কিছুক্ষন থেমে থাকল সব। তারপর মৃদু গোঙ্গানী। তারপর জিকিরের আগে যেমন একটা নি:শ্বাসের আওয়াজ হয় তেমনি স্বর বাড়তে বাড়তে অতি উচুতে গেল। তার সাতে হিন্দি উর্দু কাওয়ালী! অদ্বুত সুন্দর সুরেলা মিষ্টি কন্ঠ। যা ওর কোনভাবেই নয়।
গাইছে গাইছে.. আবার থেমে তীক্ষ্ণ মেয়েলি কন্ঠে তাকে নিয়ে যেতে আব্দর করছে। আর খালা তাকে ফিরিয়ে রাখতে দোহাই দিয়েই যাচ্ছে। আবার শলিরের কোন অংশ খোলা মাটিতে লাগলেই দুম দুম আছারি পিছারি (এটা পরে শুনেছি অন্ধকারেতো আর দেখিনি)
বেশ কিছূক্ষন পর স্বাভাবিক হতেই গায়ের লোকজন নানা সমস্যা নিয়ে পানিপড়া, তাবিজ নিতে লাগল। আমি কৌতুহল দমাতে না পেরে আমার হারিয়ে যাওয়া ছোট ভাইটার কথা জানতে চাইলাম।
বেশ কিছুক্ষন দম দিয়ে পরে জানাল তার সীমানার মর্ধে কোথাও নেই। সময় লাগবে জানতে।
তারকিছূক্ষন পর চলে গেল। সবাই আবার বাতি জ্বালীয়ে দিল।
বন্ধুটি দেখি নির্জিবের মতো পড়ে আছে। যেন গভির ঘুমে। আর চোখে যেন কে কাজল পড়িয়ে দিয়েছে। স্নিগ্ধ এক কমনীয় রুপ। আর গা থেকে অদ্ভুত সুগন্ধ আসছিল। যা আতরও নয়, গোলাপেরও নয়।
আর কোন কিছূর বিনিময়েই টাকা বা কিছূই নেয়না।
পরে জানলাম আছর করার পর সাত থেকে দশদিন খুব নামাজ পরবে। অথচ এমনিতে নামাজ পড়ে না। নিয়মিত সব কাজ করবে। তারপর আবার সেই এলোমেলো যেই কে সেই।
নেন। এইবার এটার ব্যাখ্যা বাইর করেন। আমি গেলাম।
লেখায় অনেক ++++++++++++++ আমার না আপনেরটায়
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এটার ব্যাখ্যায় আরেকদিন ফিরে আসব। এটার ব্যাখ্যা অবশ্যই আছে। বিজ্ঞানের প্রেক্ষাপট থেকেই ব্যাখ্যা আছে।
তবে বিস্তারিত আপনার কাছ থেকে আরো একদিন শুনব। এখন আপাতত ব্যাখ্যা হইল -জীন অবশ্যই আছে, তবে বাংলাদেশে জীন নাই।
৩৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩০
ক্লান্ত তীর্থ বলেছেন: পৃথিবীর এমন কিছুই নেই যেগুলো ব্যাখ্যার অতীত। সবকিছুরই উপযুক্ত ব্যাখ্যা আছে। আধুনিক বিজ্ঞান স্বীকার করেছে যে, ভরহীন কোনকিছুর অস্তিত্ব থাকা অস্বাভাবিক না। আবার পদার্থবিজ্ঞানে শক্তি বলতে যা বোঝায় সেটারও নিজস্বতা থাকতে পারে।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সহমত। আমি তো সেটাই বললাম, অনেক সময় জ্ঞানের স্বল্পতার কারনে আমরা অনেক কিছুই ভুল ব্যাখ্যা করি। ধন্যবাদ তীর্থ। অনেক দিন পর তোমাকে আমার ব্লগে পেলাম।
৩৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩০
আহমেদ জী এস বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা ,
ব্যাখ্যা ট্যাখ্যার কাজ নেই , পড়তে ভালো লেগেছে নিজস্ব ব্যাখ্যা সহ, ব্যাস ।
আর এই লাইন দু'টির আপনি কি এই সকল ব্যাখ্যা ১০০ভাগ বিশ্বাস করেন?
না, দুঃখিত। শতভাগ ব্যাখ্যা বিশ্বাস করে আমার দুর্লভ কিছু অতিপ্রাকৃতিক অভিজ্ঞতার ঝুলি নষ্ট করতে চাই। শেষ কি এমনি হবে ?
নাকি একটি " না " বসবে শেষে - শতভাগ ব্যাখ্যা বিশ্বাস করে আমার দুর্লভ কিছু অতিপ্রাকৃতিক অভিজ্ঞতার ঝুলি নষ্ট করতে চাই না ?
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: যাক! সব কিছু তাহলে ঠিকই আছে। হাহা! তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষন শক্তি দেখে আশ্বস্ত হলাম।
যাইহোক, আপনাকে ধন্যবাদ বিষয়টি জানানোর জন্য। সংশোধন করে দিয়েছি। শেষে একটি না হবে।
৩৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৩
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ভৌতিক কিছু পড়লেও আমার কেন জানি ভয়ের বদলে মজা লাগে। আমি সাহসী না তেমন কিন্তু এই ধরনের কোন কিছুতে বিশ্বাস কম দেখেই ভয়ের অনুভুতিটাও হয়তো কম কাজ করে। ছোটবেলায় একটু অন্যরকম ছিলাম। তখন অল্পস্বল্প ভয় কাজ করতো। ভয়ের অনুভুতি কাজ করতে অবশ্য তেমন কোন কারন লাগে না।
একটা ঘটনা বলি। আমি আমার জীবনে এরচেয়ে ভীতিকর কিছুর মধ্যে দিয়ে যাই নাই। অনেক অনেক বছর আগে, আমি তখন ক্লাস সেভেনে উঠছি। বেশ কিছুদিন হাসপাতালে থাকবার পর আমার বাবা মারা যায় কোন এক শুক্রবার মধ্য রাতে। একদম ভোরে লাশ বাসায় নিয়ে আসে। আমি আর আমার ভাই অখন বাসায় একাই ছিলাম। এতো ভোরেই চাচা চাচীকে আসতে দেখেই সেই অল্প বয়সের বুদ্ধিতেই বুঝে যাই আব্বু আর নাই। আমার ভাই দরজা খোলে, আমি ছিলাম মশারীর ভেতর। আমার চাচী কাঁদতে কাঁদতে শোবার ঘরে আসে। আমি তাড়াহুড়ায় বিছানা থেকে নামবার সময় খেয়াল করি আমার হাফপ্যান্টের জিপার খোলা। বিছানা থেকে নামতে না নামতেই চাচী আমাকে জড়িয়ে ধরে। আমি ঠিক ঠিক বুঝে যাই কি হয়েছে। তবে ঠিক সেই মুহুর্তে আমার মাথায় কাজ করছিলো আমার জীপার আটকাতে হবে। নির্মন বাস্তবতার সামনে দাড়ানর পরেও আমার কান্না আসে নাই। তবে আমি চাচীকে জড়ানো অবস্থায় কান্নার ভান করলাম। আমার মাথায় কাজ করছিলো আমাকে যদি কেউ কাঁদতে না দেখে তবে কি ভাববে মানুষ। কিন্তু এক ফোঁটা পানি আনতে পারি নাই চোখে।
এর কিছুক্ষন পরেই পাশের রুমের খাটের চাদর আর তোষক সরিয়ে আব্বুর লাশ রেখে চলে যায় হাসপাআলের লোকেরা। আম্মুও এম্বুলেন্সে সাথে আসছিলো। পাশের বাসায় নিয়ে যায় আম্মুকে। সবাই আম্মুকে সামলাতে ওই বাসায় চলে যায়, আমার ভাইও। পুরা বাসায় আমি একা, আর আব্বুর লাশ। আমার হঠাৎ করে মনে হলো আব্বুকে একটূ ধরে দেখি শেষবারের মত। মাথায় কয়টা চুল ছিড়ে নিজের কাছে রেখে দেবার চিন্তাও মাথায় আসে। আমি কাফনের কাপড় সসিয়ে মুখ দেখি। এরপর পায়ের দিকটা তুলে পা স্পর্শ করি এবং ভীষন চমকে যাই। জীবনে প্রথমবারের মত জানতে পারি মৃত মানুষের শরীর হয় হিম শীতল। তীব্র এক ভয়ের অনুভুতিতে আচ্ছন্ন হই। বাসা থেকে দৌড়ে বের হয়ে যাই। মাথায় কয়টা চুল ছিড়ে স্মৃতি হিসেবে রেখে দেয়াও হয়নাই।
ভয় পেতে কোন কারন ল্লাগেনা। দুর্বল মুহুর্তে মানুষ অনেক কিছুর আশংকা করে এবং সেটার ধারে কাছে হওয়া অনেক কিছুকেই সত্যি বলে ধরে নেয়। সব মানুষের ক্ষেত্রেই এটা কমবেশি সত্যি।
আমি বেশ কয় মাস কোমায় ছিলাম। কোমা থেকে ফিরে আসবার বেশ অনেকদিন জেগে থাকতেই আজগুবি জিনিস দেখতাম। আসেপাশে মানুষ থাকা অবস্থাতেও দেখতাম। তবে আমি জানতাম এসব ভুল দেখছি। ভয় কাজ করতোনা। তবে কিছু না দেখেও সেই শীতল স্পর্শের অনুভুতির পর পর যে ভয়ের অনুভুতির মধ্যে দিয়ে গেছি, মনে হয় না আজীবন এরচেয়ে ভীতিকর অনুভুতি আর কিছুর অভিজ্ঞতা হবে।
সিরিজ চলুক। শুভকামনা রইলো।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় শতদ্রু ভাই। আপনার মন্তব্যটি বেশ গভীর এবং এর মাঝে জীবনের একটি চরম দর্শন লুকিয়ে আছে। মানুষ যতক্ষন জীবিত থাকে ততক্ষন সে কেবল মাত্র কোন সম্পর্কের সাথে জড়িত থাকে, যখন মারা যায়, অন্য পৃথিবীতে চলে যায়, এই পৃথিবীর কারো সাথে তাঁর আর কোন সম্পর্ক থাকে না। ফলে বাবা হোক আর মা, তিনি শুধু মাত্র জীবিত আমাদের কাছে মৃতদেহ। আমরা মৃতদেহ দেখে ভয় পাই। কেননা আমরা জানি না, মৃতরা কেমন থাকেন, কি করেন, মানুষ যা জানে না, সে সেটাকেই ভয় পায়!
আপনার কাছে আমি ফিরে আসব। এই সিরিজের পরবর্তীতে কিছু পোস্টে ব্লগারদের সাথে ঘটে যাওয়া বেশ কিছু অতিপ্রাকৃত অভিজ্ঞতার গল্প তুলে ধরা হবে। আশা করি সাথেই থাকবেন।
৩৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৮
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: ভয় ভাঙ্গাইয়া দিলেন
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধুর! তাইলে তো আর লাভ হইল না!!
৩৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৪
নৈশ শিকারী বলেছেন: আমিও এমন আশ্চর্য কিছু অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলাম, যার ব্যাখ্যা আমি আজও পাইনাই আর কখনও পাব কিনা তাও জানিনা।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: গ্রেট! আমি তো মনে মনে আপনাকেই খুঁজছিলাম। দ্রুত শুনব আপনার কথা। সামনের সিরিজের কোন একটা পর্বে।
৩৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৫
রনন বলেছেন: ভূতের গল্প পছন্দ করেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই দূর্লভ একটি ব্যাপার। কাউকে যদি আপনি ভূতের গল্প শুনাতে চান, হোক সে শিশু কিংবা বৃদ্ধ, সবার কাছেই আপনি বেশ অভূতপূর্ব সাড়া পাবেন। এর সাথে বিশ্বাস অবিশ্বাসের কোন ব্যাপার নেই।
ঠিক যেমনটা আপনি বলেছেন। আমার ধারনা বিশ্বাস-অবিশ্বাসের চেয়ে ভয়জনিত আকর্ষণ থেকে মানুষ এগুলোকে (ভূতের গল্প) গ্রহণ করে। তবে আমার মনে হয় ইহজাগতিক সবকিছু ব্যাখা মেনে ঘটে না বা তার কোনো ব্যাখ্যা হয়তো কোনো কোনো ক্ষেত্রে থাকে না। ব্যক্তিগতভাবে আমি কিছু কিছু বিষয়ে বিজ্ঞানের যুক্তি/ব্যাখ্যার চেয়ে রহস্যময়তাকেই প্রশ্রয় দেই; ভৌতিক বিষয়গুলোতে আমি তেমনটাই ভেবে থাকি অর্থাত এর রহস্যময়তা আমাকে বরং আকৃষ্ট করে।
এমনকিছু ভৌতিক ঘটনা জানার অভিজ্ঞতা হয়েছে। কিছু ঘটনা শুনেছি মা, মামা, নানা’র মুখে যেগুলো তাদের কাছে ভৌতিক ঘটনা মনে হয়েছে। এবং বিশ্বাস-অবিশ্বাসকে পাশ কাটিয়ে ভয়টিই দখল করে নিয়েছে সাময়িক। তবে একটি কথা ভয় আসলে এমন এক জিনিষ যা কারো মধ্যে সংক্রমিত হলে সে মুহূর্তে ভয় পরিবেশকে তার চাইতে বেশি ভৌতিক করে দেয়।
যাই হোক না কেন, আপনার ভৌতিক অভিজ্ঞতার উপস্থাপনা বেশ সুন্দর লেগেছে। সিরিজে হয়তো চোখ থাকবে। আপনার জন্য শুভ কামনা সব সময়। সুন্দর থাকুন।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার বলেছেন। কষ্ট করে পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন। আশা করি এই সিরিজের বিভিন্ন পোস্টে আপনার সাথে দেখা হবে। আপনার অভিজ্ঞতাও শুনতে চাই, জানতে চাই। গভীর রাত ভৌতিক গল্প শোনার শ্রেষ্ঠ সময়।
৪০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৫
নিঃসঙ্গ গ্রহচারি বলেছেন: কিছু কিছু ব্যাপার বোধহ্য় ব্যাখ্যাহীন থাকায় ভালো
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হ্যাঁ, তা অবশ্য মন্দ বলেন নি! রহস্যময় থাকাই ভালো।
৪১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৭
নীলসাধু বলেছেন: যা দেখি যা ঘটে তাই সব নয়। এর বাইরেও ব্যাখ্যাতীত কত কিছু রয়েছে। সে সব আমিও জানি তুমিও জানো। ভাল লাগল পোষ্ট পড়ে। আমার নিজের কিছু অভিজ্ঞতা আছে। এই লেখাটি পড়তে পড়তে ভাবছিলাম আমিও লিখে ফেলবো
শুভেচ্ছা ভালবাসা জেনো সুপ্রিয় কাল্পনিক ভালোবাসা।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নীল দা! এই সিরিজের পরের পর্বগুলোতে ব্লগারদের নিজস্ব অতিপ্রাকৃতিক অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা হবে। তখন আপনার কাছ থেকে অবশ্যই তা জেনে নিব। আশা করি, বেশ সবাই বেশ উপভোগ করবে।
৪২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০১
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আপনার ব্যাখ্যা সত্যিও হতে পারে আবার নাও হতে পারে । আমি এক্সট্রাটেরেসটোরিয়াল এ বিশ্বাস করি আর আপনার নানা যেহেতু সূফী ছিলেন তার সাথে এক্সট্রাটেরেসটোরিয়াল এর সাথে কানেকশন থাকাটাই স্বাভাবিক । সূফীরা ভীষণ স্পিরিচুয়াল হয়ে থাকেন - কাজেই এরকম ঘটনা খুবই স্বাভাবিক তাদের জন্য ।
অনেক সুন্দর বর্ণনা করেছেন । ভালো লেগেছে গল্প । পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।
৪৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৬
ডানাভাঙ্গা চিল বলেছেন: সিরিয়াস ভয় পেয়ে গেলাম , এই পোষ্ট পড়ার আগেই ভাবা দরকার ছিল
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সেটাই ! কি আর করা। এখন বুকে থু থু দেন। ভয় কাটাবার এটাই প্রচলিত নিয়ম।
৪৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৯
আমি মিন্টু বলেছেন:
যারা ভয় না পাইছেন তারা এগুলো দেখে কিছু ভয় সঞ্চয় করে নিন ।
যারা ভয় না পাইছেন তারা এগুলো দেখে কিছু ভয় সঞ্চয় করে নিন ।
যারা ভয় না পাইছেন তারা এগুলো দেখে কিছু ভয় সঞ্চয় করে নিন ।
যারা ভয় না পাইছেন তারা এগুলো দেখে কিছু ভয় সঞ্চয় করে নিন ।
আর দিতে পারলাম না নেটের এমবি শেষ ।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার। আপনাকে দেখার অনেক ইচ্ছে ছিল। ভালো লাগল।
শুভেচ্ছা জানবেন প্রিয় মিন্টু সাহেব।
৪৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০১
কেএসরথি বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। কমেন্টে আরো অনেক গল্প পেলাম।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
৪৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৯
অতঃপর হৃদয় বলেছেন: ভূতের ভয় আমার মাজে কাজ করে না তবে হ্যা কিছুটা বিশ্বাস করি। সবাই যেহেতু ভুত এর নাম নেয় সেহেতু একেবারে অবিশ্বাস করা সোভা পায় না। যুক্তি দিয়ে আকাশে গাড়িও চালানো যায়। তবে আপনার যুক্তি পরিপুর্ন হয়েছে।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ হৃদয়! আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগছে! শুভেচ্ছা জানবেন।
৪৭| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০২
কাবিল বলেছেন: সুন্দর একটি পোস্ট। এই ধরনের পোস্ট আমার খুবই পছন্দ। ছোট কালে একটু আধটু ভয় পেলেও এখন আর ভয় পায় না। ভুতের গল্প শুনতাম। ভূতরা নাকি মানুষকে হিচকি ভিচকি দেখিয়ে ভয় দেয় কিন্তু মানুষকে টাচ করতে পারে না, সাহস করে কাছে গেলে ভূতরা দৌড় দেয়। এই সুত্র কাজে লাগিয়ে আমার অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। তাই আমি ভুত বিশ্বাস করি না। আমি রাতের অন্ধকারে গ্রামে অনেক জায়গায় ঘুরে বেরিয়েছি, বলতে গেলে অনেকে আমাকে দেখে ভয় পেয়েছে এবং আমি ইচ্ছা করেও অনেককে ভয় দেখিয়েছি, এখনও বিশ্বাস করে ভূত দেখেছিল। এখন রাতে বেড়ানোর সময় শুধু ভয় পায় সাপ আর কিছু মানুষকে।
আপনার ব্যাখ্যা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট।
তবে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক বিসয়ও অস্বাভাবিক মনে হয় এটা মানি।
লোকমুখে শোনা কথা, একজন খুব সাহসী ছিলেন। সে রাতে কোন রকম ভয় পায়না, ভুতও বিশ্বাস করে না। তো একদিন কিছু মানুষ তার সাহসী পরীক্ষা করার জন্য বাজি ধরল। কাজটা হবে স্থানীয় হসপিটালের পাশেই লাশ কাটা ঘর। সেই ঘরে একটা বস্তু রাখা হবে এবং সে রাতের অন্ধকারে সেই লাশকাটা ঘর থেকে বস্তুটা নিয়ে আস্তে হবে। রাজি হল। রাতের অন্ধকারে লাশকাটা ঘরে গেল। সবাই দূরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে, কিছুক্ষনের মধ্যেই চিৎকারের আওয়াজ আসল। সবাই ছুটে গেল এবং দেখল মরে পড়ে আছে। পরে পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেল তার গায়ে একটা চাদর ছিল, সেই চাদরের এক কোনা দরজার পেরেকের সাথে আটকে আছে। বুঝতে আর বাকি রইলনা।
জানার জন্য বলছি,
বাংলাদেশে জীন নেই তারমানে বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর সর্বত্রে জীন আছে এর একটা ব্যাখ্যা জানতে ইচ্ছা করছে।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কাবিল ভাই! হ্যাঁ, মানুষ পরিস্থিতির কারনেই ভয় পায়। এটা তাঁর স্বভাবজাত ব্যাপার।
আর দ্বিতীয় অংশে যে প্রশ্ন করেছেন, তার প্রথম জবাব হলো - হাহাহাহাহাহাহাহ।
এটা একটা রিডল! একটা স্যাটায়ার! আমাদের দেশের মানুষ শিক্ষার অভাবে যেভাবে অকাতরে জীন ভুত নামাইয়া আনে, তাতে যদি সত্যি তারা থাকতেন, এই দেশে কোন গরীব দুঃখি, একে অপরের শত্রু ইত্যাদি থাকত না। সব কামই জীন ভুত করা কইরা ফেলত! যেহেতু এই দেশে এখনও অনেক গরীব দুঃখি আছে, মানুষের সাথে মানুষ হিংসা শত্রুতামি আছে, রাজনৈতিক হানাহানি আছে, মানুষ গুম হয়ে যাচ্ছে সেই হিসাবে বলা যায় বাংলাদেশে জীনরা ব্যর্থ জীন অথবা এই দেশে তাদের কোন অস্থিত্ব নেই।
৪৮| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি এসবে মোটেও বিশ্বাস করি না। কিন্তু তাই বলে কেউ যদি আমাকে বলে যে শুনশান নীরবতাময় একটা পোড়োবাড়ি অথবা শ্মশান, বা কবরস্থানে একলা রাত কাটাতে হবে, তাহলে কিন্তু আমি ভয় না পেয়ে ছাড়ছি না! আমার পূর্ব পূর্ব পূর্ব পুরুষেরা, যারা যুক্তি-বিদ্যা-বিজ্ঞানহীন ছিলো এবং তার ফলে প্রচুর স্বাভাবিক ঘটনাকে ভৌতিক মিথ বানিয়ে ফেলেছে, সেই ভয়ের কিছু অংশ তো আমার মন উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছে! তাই ভয়কে সবসময় জয় না করে, জয়কে ভয় করা শ্রেয় কিছু কিছু ক্ষেত্রে
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার বলেছেন। বিশ্বাস অবিশ্বাস আসলে একটি আপেক্ষিক ব্যাপার। আমি সম্পূর্ন স্বাভাবিক পরিস্থিতে যদি এমন কিছু কখনও দেখি তাহলে বিশ্বাস করব। যতদিন অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে আমি এই সব দেখব, ততদিন আমারও বিশ্বাস থাকবে না।
৪৯| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৩
গোধুলী রঙ বলেছেন: অনেক সুন্দর লেখা, ব্যখ্যাহীন ঘটনা অভিজ্ঞতার ঝুলিকে সমৃদ্ধ করে আর তা মাঝে মাঝে নিজেকে নিজের মাঝে ব্যস্ত রাখতে সহায়ক।
আমি অবশ্য এমন ঘটনার সম্মুখীন কখনো হইনি, গ্রামে আমার কিছু বন্ধু বান্ধব বলতো রাতের বেলা জিনেরা মসজিদে নামাজ পড়তে আসে। আমি রোজার সময়ে রাতে না ঘুমিয়ে কখনো একা কখনো বাড়ীর কাজের ছেলেকে সাথে নিয়ে কতদিন যে মসজিদের পাশে ঘুর ঘুর করেছি, দেখি নাই কিছুই। অভিজ্ঞতায় না আসলেও বিশ্বাসী হিসেবে বিশ্বাস করতে বাধ্য।
কলেজ হোস্টেলে এক রুমে চারজন থাকতাম, রাত ১২টার পর লাইট বন্ধ। এর পর শুরু হতো ভুতের গল্প, একজন রুমমেট ছিলো চরম ভীতু। গল্প শোনার পর গভীর রাতে বাথ্রুমে যাবার জন্য তার সাথে একজনকে যেতেই হতো।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। আসলে ভুতের গল্প একটি দারুন 'টাইম পাস'
৫০| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০১
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার অভিজ্ঞতা। মাঝে মাঝে কোন কিছু, যুক্তির আড়ালেই থেকে যায়। +
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন ভাই! মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৫১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৬
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: গল্প লিখে ফেলেছি| নয় পৃষ্ঠা হয়েছে! অথচ মনে হচ্ছে আপনার অভিজ্ঞতার ছিটেফোটাও তুলতে পারিনি!
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ওয়াও! পোস্ট কখন হবে?
৫২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫১
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
আমাদের মস্তিস্কের ইলেকট্রনিক স্টিমুলেশন/সেন্সোরি মটর সিগন্যালের দ্বন্দ্ব থেকে নানান ভিশনের জন্ম হতেই পারে। অস্বাভাবিক কিছু নয়। আপনার লেখায় সে স্বভাবজাত ট্রিগারে কথাটি যৌক্তিকভাবে উল্লেখ করেছেন। ভূত/অশরীরি কিছুর সাথে প্রোটন-ইলেকট্রনের সম্পর্কগত ব্যাখ্যাও আছে যেটাকে আবার অনেকে নেগেটিভ-পজেটিভ আয়ন বলে থাকেন। আমি কিন্তু ব্যাপারটাকে সায়েন্টিফেক্যালি স্নায়বিক কন্ডিশনই বলবো। যদিও কোয়ান্টাম মেকানিক্স বা তাত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের বিভাব মেলাতে থাকলে ইন্টারেস্টিং লাইন ড্র করা যায়। যা সাধারণ মানুষের মাথায় ঢুকানো মুশকিল ! হাহ হাহ
ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে একে স্পিরিটে অনুধাবন করতে হয়। এমনকি আমাদের মহাজাগতিক ডায়ামেনশনও সে সূত্রে ইঙ্গিত করে। এখন যেটাকে আমরা মেন্টাল এ্যনটিটি বলে ভাবছি, আগামী ১০০-১৫০ বছরের মধ্যে হয়তো তার গাণিতিক একটা কাঠামোও(legit explanation) আসবে। ড. ফেনিকের লেখা চমৎকার একটি বই আছে “আর্ট অব ডায়িং”। পড়ে দেখতে পারেন।
খুব ব্যস্ত আছি। যেতে হচ্ছে। আপনরা আগামী লেখায় ‘ডর’ নিয়ে আরও কথা বলবো। ইনশাল্লাহ।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: মন্তব্যের প্রথম অংশ পড়ে কিছুটা ভেবাচেকা খেয়ে গিয়েছিলাম! হাহা! যাক পরে সিস্টেমে চলে আসছি। দীর্ঘদিন পর ব্লগে আপনাকে পেলাম। আশা করি ভালো আছেন। খুব খুশি হবো যদি আমাকে বইটার লিংক দিতে পারেন। আমি পড়তাম।
ইনশাল্লাহ! সামনে আরো একটি পর্ব নিয়ে হাজির হবো! শুভেচ্ছা জানবেন!
৫৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২৯
শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: মস্তিস্কের ইলেকট্রনিক স্টিমুলেশন জনিত সমস্যা আর কি
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হতে পারে! অনেক কিছুই তো জানি না। না জানা থেকেই তো রহস্যের সুত্রপাত! জেনে ফেললে আর কোন রহস্য নেই।
৫৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৫
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
কাল্পনিক_ভালোবাসা,
লাইভ লিংক খুঁজে দেখলুম। পেলাম না (বইয়ের প্রতি আপনার আগ্রহ জেনে অনেক ভালো লাগলো। বই পড়ুয়াদের সংখ্যা যেভাবে কমে আসছে, অনলাইন-ফেসবুক-ব্লগে লেখালেখির মান দেখে তা ঠাওর করা যায়।)
হুম। ভালো আছি। তা আপনি দীর্ঘদিন পর পর পোস্ট করলে দীর্ঘদিন পর পরই তো পাবেন, তাই না
অন্যকোথাও লেখালেখি করেন কি ? শুভ কামনা রইলো।
৫৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৮
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আপনার ব্যাখ্যার সবগুলো ঠিক মনে হল। আমগাছের ডাল পড়লে অবশ্যই ডালটাও থাকতো। খুব সম্ভবত ঢিল দিয়েছিল কেউ আম গাছে। ঐ সময়টার জন্য এটাকে ভৌতিক কিছু মনে হয়েছে।
এছাড়া বাকী ব্যাপারগুলোও হ্যালুসিনেশন ও মৃত্যুর কারণে মন দুর্বল হয়ে থাকায় মনে হয়েছে। শতভাগ সঠিক ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব না। কারণ কিছু কিছু ঘটনা অব্যাখ্যেয়ই থাকে।
তবে আমারও এই একটা অনুভূতি সবসময়ই হয়। অন্ধকার হলেই মনে হয় - আমার সাথে জায়গাটায় অন্য কেউ একজন আছে। যদিও এইটার ব্যাখ্যা আমি এখনও পাইনি।
৫৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৯
সায়েম মুন বলেছেন: ভৌতিক পরিস্থিতিতে মানুষের শরীর ও মন প্রস্তুত হয়ে যায় কিছু আধিভৌতিক ঘটনা/ঘটনাপ্রবাহ গ্রহণ করার জন্য। সে যাই হোক, আমার মা জ্বীন ধরা মানুষ (তার ব্যাখ্যা মতে)। ছোটকালে বাড়ীর টিনের চালে ধুপধাপ ঢিলের আওয়াজ শুনতাম (বিশেষ করে পীঠা বানানোর সময়)। মাঝে মাঝে মায়ের শরীরে আঘাতের চিহ্নও দেখতাম। শৈশবের সেই ঘটনাগুলো ভয়ংকরও বটে। এখনও মা বেচেঁ আছে। সেই জ্বীন এখনও মাঝেমাঝে আসে। একেক সময় একেক চেহারা নিয়ে। এসব ঘটনা ঘটে তার ঘুমঘোর অবস্থায়। তবে এ পর্যন্ত তেমন কোন ক্ষতি করেনি। যাই হোক আমরা বড় হওয়ার পর ভয়টয় সব কেটে গেছে। জ্বীন মাঝে সাঝে আসলে মা দোয়া দরুদ পড়ে তাড়ায়।
হ্যালুসিনেশন বলে যে জিনিসটা আছে তা দিয়ে সব কিছু ব্যাখ্যা করা যায় না বোধয়। আপনার ঘটনার আর ব্যাখ্যায় গেলাম না। লেখাটা ভাল হয়েছে। ভাল থাকবেন কাভা।
৫৭| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৬
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: জিন তো আছেই , তবু আপনার ব্যাখা অন্তত এই ঘটনার বেলায় সঠিক হতেও পারে।শুভেচ্ছা রইলো।
৫৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩০
নীল কপোট্রন বলেছেন: এই রাতে ভৌতিক ঘটনা শুনে ভয় ভয় লাগছে। তবে ব্যাখা শোনার পর ভয়টুকু অনেকাংশেই কমে গিয়েছে। বেশ ভালো লাগলো। চলুক। অপেক্ষায় রইলাম।
৫৯| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩১
নীল কপোট্রন বলেছেন: এই রাতে ভৌতিক ঘটনা শুনে ভয় ভয় লাগছে। তবে ব্যাখা শোনার পর ভয়টুকু অনেকাংশেই কমে গিয়েছে। বেশ ভালো লাগলো। চলুক। অপেক্ষায় রইলাম।
৬০| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৭
টুকিঝা বলেছেন: অন্যজন ভ্য় পাচ্ছে, সেটা পড়তে একটা ভয় ভয় আনন্দ হয়, নিজের ক্ষেত্রে যখন এরকম কিছু হয় তখন ভয় ছাড়া অন্য কিছু লাগেনা আর! যুক্তি, বিদ্যা, বিজ্ঞান সব গায়েব হয়ে যায়!
৬১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৯
এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: ভালো লাগলো। কাল্পনিক ভালোবাসা ভাইয়া;
ভুতে বিশ্বাস না থাকলেও জ্বীনকে অস্বীকার করতে পারিনা।
তবে আপনার লেখাটা পড়ে নিজের জীবনের একটি আধিভৌতিক ঘটনা মনে পড়ে গেল, সামুতে শেয়ার করার আশা রাখছি।
আপনার ভৌতিক-আধিভৌতিক গল্পের পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
৬২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫১
মৈত্রী বলেছেন: অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য: সামুতে অন্যকোন ব্লগারকে ব্লক কিংবা কমেন্ট ব্যান করব কিভাবে??
এক ছাগুর বাচ্চা স্প্যামার খুব জালাচ্ছে...
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সর্যি দেরি তে জবাব দেয়ার জন্য। আপনি কমেন্ট মডারেশনে গিয়ে কারো ইউজার নাম দিয়ে তাকে ব্লক করতে পারেন।
৬৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৯
আরব বেদুঈন বলেছেন: আমার লাইফে বাপু ভূত টূতের খপ্পরে পড়িও নি পড়তেও চাই না।তবে মুসলিম হিসেবে অবশ্যই জ্বীন বিশ্বাস করি।
৬৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৩৫
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: দ্রুতই পর্ব ২ চাই.............
৬৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৪
হানিফঢাকা বলেছেন: ভাইজান, আমার লাইফে এই রকম অভিজ্ঞতা আছে। একবার না অনেকবার। আমি বিশ্বাস করতে চাইনা, কিন্তু কোন যুক্তিও খুজে পাইনা। আমি এবং আমার বড় ভাইয়েরা মিলে অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু কোন যৌক্তিক সিদ্ধান্তে পৌছাতে পারিনাই। আফটার অল নিজের বার বার একি অভিজ্ঞতা কিভাবে অবিশ্বাস করি? ভুলেই গিয়েছিলাম, আপনার লেখা পড়ে মনে পড়ল।
৬৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এই পোস্টের দ্বিতীয় পর্বের খবর কি ?
৬৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪৫
তার আর পর নেই… বলেছেন: ব্যাখ্যা গুলো খুব ভালো লাগছে।
এইসব দুর্বল মুহূর্তগুলোতে অতিপ্রাকৃত ব্যাপার গুলোই মাথায় প্রথম আসে।
এই পোস্টের দ্বিতীয় পর্ব কি আসবে?
৬৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৪৩
আটলান্টিক বলেছেন: ভৌতিক গল্প প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে সামু থেকে
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনি কিন্তু বেশ ভালো চালিয়ে যাচ্ছেন।
৬৯| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৪১
সিগন্যাস বলেছেন: প্রিয় কাভা ভাই,আমি যে কবে আপনার মতো ভৌতিক গল্প লিখতে পারবো
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৪
আরজু পনি বলেছেন: