নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বহুদিন আগে কোন এক বারান্দায় শেষ বিকেলের আলোয় আলোকিত উড়ন্ত খোলা চুলের এক তীক্ষ্ণ হৃদয়হরনকারী দৃষ্টি সম্পন্ন তরুনীকে দেখে ভেবেছিলাম, আমি যাদুকর হব। মানুষ বশীকরণের যাদু শিখে, তাকে বশ করে নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দিব সারাটি জীবন।

কাল্পনিক_ভালোবাসা

একদিন সব হাসির ময়নাতদন্ত হবে, ফরেনসিক রিপোর্টে লেখা থাকবে - সবই মিথ্যে।

কাল্পনিক_ভালোবাসা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঙালির আতিথিয়েতার গল্প।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯

বিভিন্ন সময়ে ব্যক্তিগত কাজে বা চাকরীসুত্রে আমাকে প্রচুর ভ্রমণ করতে হয়েছে। আমি এই কাজটি আনন্দ নিয়ে করতাম, ভ্রমণ করতে আমার খুব একটা খারাপ লাগে না। এই চলার পথে আমার অনেক মজার অভিজ্ঞতা হয়েছে, অনেক অঞ্চলের মানুষের সাথে মিশেছি, ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি, রীতি রেওয়াজ, আতিথিয়েতা দেখেছি। অধিকাংশই আমার কাছে খুব উপভোগ্য ছিলো। এর মধ্যে সবচেয়ে দাগ কেটেছে মানুষের আতিথিয়েতা। আমাদের বাঙালিদের আতিথেয়তার গল্প নতুন করে বলার কিছু নেই, বিরুপ পরিস্থিতিতেও আমি এমন সব আতিথিয়েতার মুখোমুখি হয়েছিলাম, যা বুঝি শুধুমাত্র বাংলাদেশেই সম্ভব।

বছর কয়েক আগের এক শৈত্যপ্রবাহের রাতে আমি কয়েকজন পাগলের খপ্পরে পড়েছিলাম। তারা বলল, এখন যৌবন যার উত্তরবঙ্গে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়। ফলে যৌবনগ্রস্থের প্রমাণ স্বরুপ আমার নিজেকে সে যাত্রায় সপে দিতে হয়েছিল। সন্ধ্যা ৭টার দিকে রওনা হয়ে যখন যমুনা সেতু পার হচ্ছি, তখন ঘড়িতে রাত প্রায় ১১টা। সিরাজগঞ্জ বাইপাস ফেলে সামনে এগিয়ে যেতেই পড়লাম কুয়াশার খপ্পরে। কুয়াশার রসবোধে বেশ মুগ্ধ হলাম। যেখানেই পথ কিছুটা বাঁক খেয়েছে সেখানেই কুয়াশা ঘন হয়ে যাচ্ছে আর যেখানে কিছুটা মোটামুটি সোজা যেখানে হালকা পেঁজা মেঘের মত। আমরা চেষ্টা করছিলাম কোন যাত্রীবাহী বাস খুঁজে পেতে কিন্তু কপাল খারাপ সামনে কোন বাসও পেলাম না। অগত্যা গতি কমিয়ে পিছন থেকে আসা কোন যাত্রীবাহী বাসের জন্যই আমরা অপেক্ষা করছিলাম।

নির্জন রাত, মাঝে মাঝে বিপরীত দিক থেকে আসা দুই একটি বাস ট্রাকের তীব্র হর্ণ দিয়ে পাশ কাটিয়ে চলে যাওয়া, মুখোমুখি সংঘর্ষের ভয়ে কিছুটা ধীর গতি সব মিলিয়ে অদ্ভুত রোমাঞ্চকর এক পরিবেশ। আপনি যদি সিগারেট খোর হয়ে থাকেন, তাহলে এমন পরিবেশে সিগারেট না খাওয়াটা আপনার জন্য রীতিমত অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। আমরা কোন অপরাধ করতে চাই নি। তাই গাড়ির জানালার কাঁচ নামিয়ে সিগারেট ধরাতে গেলাম। কিন্তু জানালার কাঁচ নামাতেই ঠান্ডা বাতাস এমন নিষ্ঠুরভাবে মুখে আঘাত করল যে, মনে হলো মোহাম্মদ আলির হাতে একটা ঘুষি খেলাম। অগত্যা, চলন্ত অবস্থায় গাড়িতে সিগারেট খাওয়ার পরিকল্পনা বাদ দিলাম। বেশ কিছুদুর যাবার পর রাস্তার সাইডে একটা ছোট দোকান চোখে পড়ল। যদিও দোকান বন্ধ কিন্তু সামনে কম পাওয়ারের বাতি টিমটিম করে জ্বলছিলো। আমরা দোকানের সামনের ফাঁকা জায়গায় গাড়ি পার্ক করলাম। গাড়ি থেকে বের হতেই শীতের প্রকোপ টের পেলাম। আমাদের মধ্যে একজন হালকা হতে একটু সাইডে গেলো। আমি সিগারেট ধরিয়ে যখনমাত্র প্রাণভরে টান দিতে যাবো তখনই দোকানের ভেতর থেকে পরিচিত আঞ্চলিক টানের ঘুম জড়ানো একটা বিরক্ত কন্ঠস্বর কানে ভেসে এলো।
কেগারে? এত রাইতে ইয়ান্দি কেগা হাডের?

আমি হাসতে হাসতে আমার বন্ধুদের বললাম, বুঝলেন, পৃথিবীর যেখানে অক্সিজেনও নাই, সেখানে একজন হলেও নোয়াখাইল্লা আছে। হাসতে হাসতে আমি বললাম, কাগু অ্যাঁইও না।
তিনি বললেন, আন্নে কেগা?
আমি বললাম, অ্যাঁই আন্নের দেশী, খোয়া হড়ি এক্কেরে ছাই গ্যাছে। এক্কেরে কিচ্ছু দেন যায়ের না। এরলাই এক্কানা খাড়াইছি ইয়ানদি।

তারপর বেশ কিছুক্ষন সাড়াশব্দ নেই। আমাদের গন্তব্য ছিলো নওগাঁ। সত্যি বলতে কুয়াশার মধ্যে গাড়ি চালানো বেশ পরিশ্রমের ব্যাপার। আমাদের সবারই কম বেশি ক্ষুধা পেয়েছিলো। তাই আমরা দোকানের সামনেই সিগারেট খেতে খেতে গরমভাত আর মুরগীর ঝাল ঝাল মাংস পেলে কে কয় প্লেট খেতে পারত তা নিয়ে বাহাস চলছে। হঠাৎ দোকানের পাশে ছোট একটা দরজা দিয়ে ছোটখাটো একটা মানুষ মাফলার দিয়ে কান পেচিয়ে, হাতে টর্চলাইট বের হয়ে আসলেন। বললেন, ইয়ানে তো কোন হোডেল মোডেল নাই। এত রাইতের বেলা আন্নেরা কিচ্ছু হাইতেনওন।

আমার বন্ধু সাব্বির হাসতে হাসতে জিজ্ঞেস করল, কথা শুইনা তো বুঝন যায় আপনে নোয়াখাইল্লা কিন্তু এই অঞ্চলে আপনে কেমনে আইলেন?
হাতের চাদরটা ভালো করে শরীরে জড়িয়ে নিতে নিতে আমাদেরকে কিছুটা ভালো করে দেখলেন। তারপর কিছুটা শুদ্ধভাষায় বললেন, আমি ব্যবসা করি। ব্যবসার সন্ধানে ইদিক আসি আটকি গেছি। ইয়ানে বিয়া করি হালাইছি।
আমি কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, কিসের ব্যবসা করেন?
লোকটা হাতে হাত ঘষতে ঘষতে বলল, ডিমের ব্যবসার করি। ইয়ানতুন ডিম লই আড়তে পাডাইডি।

যাইহোক, এই লোকের সাথে আমাদের গল্প বেশ জমে উঠল। হঠাৎ লক্ষ্য করলাম, কুয়াশায় আমাদের সবারই মাথা আর পোষাক প্রায় ভিজে গেছে। তিনি হঠাৎ কাচুমাচু করে বললেন, আন্নেরা মনে হয় হোডেল টোগানের। এইক্কা টাইমে তো আন্নেরা কোন হোডেল হাইতেন ন। অ্যাঁর বাড়িত চলেন, হিয়ানে যাই ছা খাই লন। খোয়া কমি লোক, হেরপারদি যাইয়েনগৈ। আন্নে অ্যাঁর দেশি মানুষ।

'আন্নে অ্যাঁর দেশি মানুষ' শুনে আমার বন্ধুরা সবাই আমার পিঠ চাপড়ে একেবারে হই হই করে উঠল। গাড়িটাকে রাস্তা থেকে আরো কিছুটা ভিতরে সাইড করে আমরা তাঁর সাথে রওনা দিলাম। অন্ধকার এবং কুশায়ার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। পরিবেশটা যে খুবই রোমাঞ্চকর তা আমরা বন্ধুরা এক বাক্যে স্বীকার করে নিলো। রাস্তা থেকে অল্প কিছু দূরেই আমার দেশী ভাইয়ের বাড়ি। যখন উনার বাড়িতে পৌছলাম, রাতের তখন প্রায় একটা বাজে। সত্যি বলতে ঠিক ঐ মুহুর্তেই আমাদের সবার মধ্যেই একটা অপরাধবোধ বা নূন্যতম সৌজন্যবোধ সৃষ্টি হলো। রোমাঞ্চের গন্ধে আমরা স্বাভাবিক আচরন ভুলে গেছি। এতরাতে কারো বাসায় যাওয়া কতটা যে অনুচিত তা শহরের বাসিন্দাদের প্রেক্ষাপট থেকে চিন্তা করে লজ্জিত হলাম। আরো লজ্জিত হলাম উনার নামটাই এতক্ষন জিজ্ঞেস করা হয় নি। আমরা যতবারই উনাকে বলি যে থাক, এত রাতে আর বাড়ির মানুষকে কষ্ট দেয়ার প্রয়োজন নাই, আমরা রওনা দিতে চাই। কিন্তু তাঁর আন্তরিক অনুরোধ এবং মাঝরাত্রিতে চা খাবার লোভ আমাদের থামিয়ে দিলো।

এই পর্যায়ে এসে উনার নাম জিজ্ঞেস করলাম। উনার নাম নুরুল হক, ডাক নাম নুরু। তিনি আমাদেরকে তাঁর বাড়ির সামনের একটা ছোট ছাউনির মত ঘরে বসতে বললেন। বাড়ির ভেতরে কোথাও নারী কন্ঠের আওয়াজ শুনতে পেলাম। আমরা প্রায় অন্ধকারে বসে আছি। বাড়ির বাইরের জ্বালানো বাতির আলো ঘরে এসে পড়ছে। বেশ কিছুক্ষন পরে নুরু ভাই একটা ব্যাটারী লাইট আমাদের রুমে দিয়ে বসতে বলে তাড়াহুড়া করে আবার চলে গেলেন। আমরা লাইট নিভিয়ে দিলাম। কুয়াশা মাখা অন্ধকার পরিবেশটাই ভালো লাগছে। কোথায় যেন পাতা পুড়ছে, কুয়াশার সাথে সাথে পাতার পোড়ার গন্ধ এক অদ্ভুত ভালোলাগা তৈরী করল।

প্রায় ঘন্টাখানেক পার করে ফেললাম। আমরা একটা মোহচ্ছন্ন পরিবেশে আছি। ভালো লাগছে। নওগাঁতে যার বাসায় যাবো, সে আমাদের বর্তমান অবস্থার কথা শুনে সে মহা বিরক্ত হয়ে বলল, শালার পোলারা!! বুইড়া হইছস! আর কত পাকনামি করবি? কার না কার বাড়িতে গেসছ ব্যাটা!!! পরে পাবলিক ডাকাত মাকাত কইয়া মাইর দিলে বাঁচানোর কেউ থাকবো না। এক্ষুনি রওনা দে।

সত্যি বলতে সাময়িক উত্তেজনায় আমরা এই ব্যাপারটা মাথায়ই আনি নাই। কিন্তু এই সম্ভবনার কথা মাথায় আসার পর সবাই কিছুটা অস্বস্তিতে পড়লো। সাব্বির বললো, বাদ দে! চা খাওন লাগবো না। এক চা বানাইতে যদি এক ঘন্টা সময় লাগে, তাইলে ঘটনা খারাপ।
হঠাৎ আমাদের ৪ জনের মধ্যে একটা দ্বিধা দেখা দিলো। আমার কিছুটা মেজাজ খারাপ হলো। এতক্ষন অপেক্ষা না করে যদি সামনে এগিয়ে যেতাম তাহলে ভাত না হোক এককাপ চা অন্তত খেতে পারতাম। এই সব ভাবতে ভাবতে আমরা যখন চলে যাবার জন্য উঠে দাঁড়ালাম, তখনই দেখলাম নুরু ভাই হাতে কি নিয়ে যেন উঠানের ঐ মাথা থেকে দৌড়াতে দৌড়াতে আসছেন। কাছে এসে তিনি বললেন,
ভাইছা! এক্কানা দেরী হই গেছে। হোলার আম্মা মোরগ ছিলতে দেরীগরি হালাইছে।
আমরা ৪জনই প্রবল বিস্ময়ে প্রায় এক সাথে জিজ্ঞেস করলাম, মোরগ মানে?
-আন্নেরা অ্যাঁর দোয়ানের সামনে খাঁড়াই হোডেলের টোগাইতেছিলেন না? ইয়ানে তো কোন হোডেল মোডেল নাই। আন্নেরা অ্যাঁর দেশী মানুষ। হেইল্লাই অ্যাঁই দুগা ডাইল ভাত রাইঞ্ছি আন্নেগো লাই।

অপ্রত্যাশিত এই আতিথিয়েতায় আমরা হতভম্ব হয়ে গেলাম। যেখানে আমরা খারাপ কিছু চিন্তা করছিলাম, সেখানে এমন আন্তরিকতা আমাদেরকে ভীষন লজ্জা দিলো। যে নারী কন্ঠ আমরা শুনেছিলাম, সেটা আর কেউ নয় তার স্ত্রী, পাতা পোড়াবার গন্ধ যা পেয়েছিলাম সেটা তাদের রান্না ঘর থেকে আসাই গন্ধ ছিলো। উঠানে পায়ের শব্দ পেয়ে দেখি নুরু ভাইয়ের ছোট ছেলেটা নাক টানতে টানতে একটা পরিষ্কার গামছা সাবান নিয়ে আসছে। নুরু ভাই হাতের জগ থেকে গরম পানি দিলেন হাত ধোয়ার জন্য। আমি জগ থেকে পানি নিয়ে হাত ধুচ্ছি আর পাশে নুরু ভাইয়ের ছোট ছেলেটা দাঁড়িয়ে আছে। তার কৌতুহলি চাহুনীতে পারিবারিক আন্তরিকতার ছাপ। আমার চোখে পানি চলে আসলো। আমি ভীষন দুর্বল একজন মানুষ। আমার প্রতি অন্য মানুষের সামান্যতম ভালোবাসা, আন্তরিকতা আমাকে প্রচন্ড স্পর্শ করে। আমি আবেগ তাড়িত হয়ে পড়ি। এখানেও তার ব্যতিক্রম হলো না। মুখে পানি দেয়ার ছলে চোখের পানি মুছলাম।

ঘরে ফিরে দেখি মেঝেতে খাবার সাজানো। আইটেম দেখে চক্ষু চড়ক গাছ। গরম ধোঁয়া উঠা ভাত। আলু দিয়ে দেশী মুরগীর ঝোল, ডিম সিদ্ধ সাথে কাঁচা মরিচ আর লবন। বাচ্চাটাকে সাথে খাওয়ার জন্য অনুরোধ করলাম, প্রথমে না করলেও পরে বাবার চোখের অনুমুতি পেয়ে বসল। শীতের রাতে গরম ধোঁয়া উঠা ভাত, ঝাল ঝাল করে মুরগীর মাংশের ঝোল দিয়ে যে কি পরিমান ভাত খেয়েছিলাম আমার সত্যি তা জানা নেই। গলা পর্যন্ত খাওয়ার পর দেখলাম সকলেই কম বেশি ঘামছি।

খাওয়া শেষ হবার পর ভাবী বারান্দার আড়াল থেকে বললেন, হামাকের গরীবের বাড়িত আসিছেন। সোবগুলি কি খায়াছেন কবার পারি না।

ভাবীকে কৃতজ্ঞতা জানালাম, আমাদের অন্তরের গভীর থেকে ধন্যবাদ জানালাম এই অভাবনীয় আতিথিয়েতার জন্য। তাদের সুখী আর তৃপ্তি চেহারা দেখে এই দম্পত্তিকে আমার বড় হিংসা হলো। আসার সময় নুরু ভাইকে জড়িয়ে ধরলাম। তাঁকে বাচ্চাটাকে খেলনা কিনে দেয়ার জন্য কিছু টাকা দিলাম। তিনি কোনভাবেই নিতে চাইলেন না। অনেক অনুরোধ করে শেষমেষ রাজি করালাম।

যখন গাড়ি স্টার্ট দিলাম তখন ঘড়িতে প্রায় পৌনে তিনটা। পথের এই অংশটায় কুয়াশা এখন প্রায় কেটে গেছে। আমি জোরে গাড়ি টান দিলাম। জানালার ফাঁক দিয়ে আসা বাতাসের শো শো শব্দ গাড়ির ভেতরের জমাট বাঁধা নিরবতাকে আরো তীক্ষ্ণ করছে। আমার হঠাৎ শহরের কথা মনে পড়ল। এই শহর রাত দুপুরে কোন অপরিচিত ব্যক্তিকে বাসায় আনার অনুমুতি দেয় না। বাসায় যদি আসেও সেখানে আন্তরিক আতিথিয়েতা পাবার নিশ্চয়তা প্রদান করে না। এখানে সবাই যান্ত্রিক, অনুভুতি শূন্য। এই শহরে নিশ্চয় অনেক আন্তরিক মানুষ আছে, কোমল হৃদয়ের মানুষ আছে যারা হয়ত শহরের ইট, কাঠ আর কংকৃটের মাঝে চাপা পড়ে আছেন। আমি জানি, একদিন তারা জেগে উঠবেন আর এই শহরে শুরু হবে মানুষের বসবাস। ততদিন পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তাটি দীর্ঘ, পেঁচানো অন্ধকার আর কুয়াশাচ্ছন্ন।

মন্তব্য ৮৫ টি রেটিং +২৪/-০

মন্তব্য (৮৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪২

আলী আজম গওহর বলেছেন: পড়ে ভালো লাগল, ধন্যবাদ কাল্পনিক ভালোবাসা ভাই।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। :)

২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫২

কানিজ রিনা বলেছেন: অদ্ভুত আতিথীয়তা, খুব ভাললাগল অসংখ্য
ধন্যবাদ।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০২

আহা রুবন বলেছেন: জীবন এ-রকমই! খুব ভাল লাগল।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এমন আন্তরিক আতিথেয়তা গ্রামে গঞ্জে এখনো আছে বলে আমার গ্রামে যেতে মন চায়। কাজে অকাজে মাঝে মধ্যে যাইও।

আপনার এই লেখাটি গ্রাম বাংলার চিরকালীন ঐতিহ্য চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। ধন্যবাদ ভাই কাল্পনিক ভালোবাসা।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আবু হেনা ভাই!! আপনি সঠিক বলেছেন, আমাদের গ্রামে গঞ্জে এখনও সেই আন্তরিকতার ছাপ আছে। শুধু আমাদের শহরেই নাই।

৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০০

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
আগে শহরের লোকজনের বাসায় মেহমান আসলে খুব খুশি হত আর
এখন মুখ বেজার করে কেন? ;) ;)

গ্রামের লোকজন এখনও আন্তরিকতার সাথে তাদের মেহমানকে মেহমানদারী করে।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সহমত। ধন্যবাদ ভাইয়া, মন্তব্যের জন্য।

৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৩১

কালীদাস বলেছেন: চমৎকার ট্রাভেলগ :) কিন্তু লেখাটা পড়ে আমার যে ব্যাপক খিদা লেগে গেল; সেটার সমাধান দেবে কে? :((

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভাইয়া, আমারও লিখতে গিয়ে পুরানো স্মৃতি মনে করে একই আইটেম আবারও খেতে ইচ্ছা করতেছিলো।

৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভ্রমণে কাটুক ভ্রম...

খাইছে! এইডা আমি কী কইলাম! :-B পছন্দ হইছে। B-) পরে ইউজ করুম নে কোথাও। কাউরে দিবা না। #:-S

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এই ডায়লগটা আমি সেদিন আপনাকে বলছিলাম ;) দিমু না আমি এটা আপনেরে।

৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমি জগ থেকে পানি নিয়ে হাত ধুচ্ছি আর পাশে নুরু ভাইয়ের ছোট ছেলেটা দাঁড়িয়ে আছে। তার কৌতুহলি চাহুনীতে পারিবারিক আন্তরিকতার ছাপ। আমার চোখে পানি চলে আসলো। আমি ভীষন দুর্বল একজন মানুষ। আমার প্রতি অন্য মানুষের সামান্যতম ভালোবাসা, আন্তরিকতা আমাকে প্রচন্ড স্পর্শ করে। আমি আবেগ তাড়িত হয়ে পড়ি। এখানেও তার ব্যতিক্রম হলো না। মুখে পানি দেয়ার ছলে চোখের পানি মুছলাম।

হঠাৎ শহরের কথা মনে পড়ল। এই শহর রাত দুপুরে কোন অপরিচিত ব্যক্তিকে বাসায় আনার অনুমুতি দেয় না। বাসায় যদি আসেও সেখানে আন্তরিক আতিথিয়েতা পাবার নিশ্চয়তা প্রদান করে না। এখানে সবাই যান্ত্রিক, অনুভুতি শূন্য। এই শহরে নিশ্চয় অনেক আন্তরিক মানুষ আছে, কোমল হৃদয়ের মানুষ আছে যারা হয়ত শহরের ইট, কাঠ আর কংকৃটের মাঝে চাপা পড়ে আছেন। আমি জানি, একদিন তারা জেগে উঠবেন আর এই শহরে শুরু হবে মানুষের বসবাস। ততদিন পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তাটি দীর্ঘ, পেঁচানো অন্ধকার আর কুয়াশাচ্ছন্ন।

দারুন দুই সত্যের ব্যবধান কত তীব্র!!! অথচ আমরা অন্তর ছেড়ে যািন্ত্রকতােকই কতইনা ভালবাসছি!!!!!!!!!!!!!!

+++++++++++++++

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হ্যাঁ ভাই! এই ফারাকটা গ্রামে গেলে বড় তীব্র হয়ে চোখে ধরা পড়ে!! তখন লজ্জা লাগে।

৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২১

সামিয়া বলেছেন: আপনার জীবনে এত সুন্দর একটি মধুময় স্মৃতি আছে। আপনি ঈর্ষা করার মত ভাগ্যবান মানুষ,
জীবন অনেক সুন্দর।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা হা! ভালো বলেছেন। আমার কিছু কিছু অভিজ্ঞতা আছে, কিছু চমৎকার মানুষকে আমি দেখছি। আমি হয়ত আসলেই ভাগ্যবান!

১০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৯

পুলহ বলেছেন: লেখায় হিউমার, আবেগ , প্রকৃতি-বর্ণনা সবই সংক্ষিপ্ত হলেও খুব সুন্দরভাবে ছিলো।
ভালো লাগলো পড়ে।
শুভকামনা জানবেন লেখক!

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: পুলহ ভাই, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্য। শুভেচ্ছা জানবেন।

১১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: আঞ্চলিক ভাষা গুলো যদি ব্রাকেটের মধ্যে রেখে শুদ্ধ ভাষায় তর্জমা করে দিতেন, তাহলে খুব ভাল হতো! আমি নোয়াখালির ভাষাটা খুব কম বুঝি!

আপনার স্মৃতিচারণ ভাল লাগলো! আসলেই গ্রামের মানুষ গুলোর সরলতা আমাদের মত শহুরে মানুষ গুলোকে সব সময়ই মুগ্ধ করে!

শুভ কামনা জানবেন!

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কেগারে? এত রাইতে ইয়ান্দি কেগা হাডের?
(কে রে? এত রাতে এখান দিয়ে কে হাঁটছে)
....................................................
হাসতে হাসতে আমি বললাম, কাগু অ্যাঁইও না।
(হাসতে হাসতে আমি বললাম, কাকা আমি।)
....................................................
তিনি বললেন, আন্নে কেগা?
(তিনি বললেন, আপনে কে?)
....................................................
আমি বললাম, অ্যাঁই আন্নের দেশী, খোয়া হড়ি এক্কেরে ছাই গ্যাছে। এক্কেরে কিচ্ছু দেন যায়ের না। এরলাই এক্কানা খাড়াইছি ইয়ানদি।
(আমি বললাম, আমি আপনার দেশী, চারিদিকে প্রচন্ড কুয়াশা পড়েছে। একেবারে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। এইজন্য এখানে কিছুক্ষনের জন্য দাঁড়িয়েছি।)
....................................................
বললেন, ইয়ানে তো কোন হোডেল মোডেল নাই। এত রাইতের বেলা আন্নেরা কিচ্ছু হাইতেনওন।
(বললেন, এখানে তো কোন হোটেল টোটেল নাই। এত রাতের আপনারা কিচ্ছু পাবেনও না)

তিনি হঠাৎ কাচুমাচু করে বললেন, আন্নেরা মনে হয় হোডেল টোগানের। এইক্কা টাইমে তো আন্নেরা কোন হোডেল হাইতেন ন। অ্যাঁর বাড়িত চলেন, হিয়ানে যাই ছা খাই লন। খোয়া কমি লোক, হেরপারদি যাইয়েনগৈ। আন্নে অ্যাঁর দেশি মানুষ।
(তিনি হঠাৎ কাচুমাচু করে বললেন, আপনারা মনে হয় হোটেল খুঁজছেন। এই সময়ে তো আপনারা কোন হোটেল পাবেন না। আমার বাড়িতে চলেন। সেখানে গিয়ে চা খেয়ে নেন। কুয়াশা কমে যাক, তারপর যাবেন। আপনি আমার দেশী মানুষ।)

আশা করি এবার বুঝতে আর সমস্যা হবে না। :) :)

১২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২১

শ্রাবণধারা বলেছেন: লেখাটা পড়ে মন ভরে গেল কাভা ভাই । আমি উত্তরবঙ্গের মানুষ । এমন ঘটনাগুলো আমার অনেক পরিচিত । সত্যি বলতে কি উত্তরবঙ্গের মানুষের ঘরে দুচারটা হাস মুরগী ছাড়া আর তেমন কিছুই নেই যে, যেটা দিয়ে তারা অতিথি আপ্যায়ন করবে । তাই বাসায় অতিথি এলেই দিনে হোক রাতে হোক তারা একটা মুরগী ধরে জবাই দেয় ।

আপনার ঘটনাটা পড়ে মনে পড়লো কলেজে পড়ার সময় রাত বিরাতে কত মানুষ কে জ্বালিয়েছি, কত এমন আতিথেয়তা পেয়েছি । এখন সময় হয়েছে সেই মানুষগুলোর জন্য কিছু করার, কিন্তু কিছুই করতে পারিনি তাদের জন্য ।

শুভাকামনা রইলো ।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হ্যাঁ ভাই। আমি আমার এই জীবনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যতবারই গিয়েছে, খুব অবস্থাসম্পন্ন মানুষদের চাইতে অবস্থাসম্পন্ন নয় এমন মানুষদের আন্তরিকতা, অতিথিকে আপ্যায়নের যে স্বদিচ্ছা তা খুব চোখে পড়েছে। আসলে মানুষগুলোর চাহিদা কম তো, তাই তাদের জীবনে জটিলতাও কম। এই শহরে এসে আমাদের চাহিদা যেমন বেড়েছে তেমনি বেড়েছে আমাদের জটিলতাও।

যেমন ঘুর্ণিঝড় আইলার বেশ অনেকদিন পর এলাকার পরিস্থিতি দেখার জন্য আমি সাতক্ষীরার বেশ প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়েছিলাম। সেখানেও আমি আতিথিয়েতা পেয়েছিলাম। এত বিপদের মধ্যে থেকেও এই আতিথিয়েতা অভাবনীয়।

১৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৪

আলোরিকা বলেছেন: স্মৃতিচারণ পড়ে আমারও চোখে পানি চলে এলো । আধুনিক মানুষ , শহুরে মানুষের তকমা লাগিয়ে আমরা কখন নামানুষ হয়ে গেছি নিজেও জানি না । ভাল থাকুন । ভ্রমণে ভ্রম দূর হোক ;)

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার মন্তব্যের শেষ অংশের ব্যাপারে হাসান ভাইয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

আপনারা নিয়মিত আমার সুখ দুঃখের স্মৃতিচারনে সাথী হচ্ছেন, এটা অনেক আনন্দের এবং অনুপ্রেরণার। শুভেচ্ছা জানবেন আলোরিকা।

১৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৮

কাবিল বলেছেন: এমন আন্তরিক আতিথেয়তা গ্রামে গঞ্জে এখনো আছে।
তারা নিজেরা না খেয়ে আতিথেয়তা করার মধ্যে এক ধনের শান্তি খুজে পাই।
মানুষের সামান্যতম ভালোবাসা, আন্তরিকতা আপনাকে যেমন প্রচন্ড স্পর্শ করে।
ঠিক তেমনি আমাকেও স্পর্শ করল আপনার অভিজ্ঞতার ঝুলি পড়তে পড়তে।
ভাল লাগল।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: গ্রামের মানুষদের মধ্যে আন্তরিকতা সত্যি মুগদ্ধ করে। লেখাটি পড়ে অনেক ভাল লাগল

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: à¦

১৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: মূলত অনেক টাকার মালিক না হবার কারণে শহরে বসবাস করতে পারিনা, এরমধ্যে গ্রাম যে সে বাব-দাদার বসবাস এখানে সবাই মিলে মিশে আছি বেশ। আপনার পোষ্ট পড়ে একটু গর্ববোধ জাগল। গ্রাম-ই সুন্দর করে বসবাসের যায়গা কমছে কম হৃদয়তা আছে।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: গ্রামে থাকার জন্য দরিদ্র হতে হয় এই প্রথম জানলাম আর অনেক টাকা হলেই যে শহরে থাকা যায় সেটাও প্রথম। আমার তো মনে হয় উল্টা। গ্রামের মানুষদের চাহিদা কম, সেটার প্রভাব তাদের মনে পড়ে। তারা জানেন, গ্রামে অনেক কিছু সম্ভব যা শহরে সম্ভব না। ফলে সেখানে এখনও হৃদয়ের উষ্ণতা আছে। তাদের কাছে গিয়ে তাই মাঝে মাঝে আমরা অনুপ্রেরণা নিয়ে আসি।

১৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: পথ চলতে এমন আতিঠেয়তা আমিও জীবনে অনেক পেয়েছি, আপনার মতো লেখনির হাত নাই বলে লিখা হয়না, তবে আপনার গল্পটা পড়ে ভাবছি কিছুটা হলেও লিখব। সত্যিই ওদের আতিথেয়তায় মুগ্ধ হলাম, তবে আমি হলে আরো দুয়েকবার ওদের খোজ খবর নিতাম, আপনারা কি নিয়েছিলেন? এমন ভালোমানুষদের মাঝে মাঝে দেখলেও চোখ পবিত্র হয়.........ভালোলাগা অ-সী-ম।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কামাল ভাই!! কি যে বলেন!! মানুষের আন্তরিকতার গল্প বলতে লেখার হাত লাগে না ভাই। আপনি অল্প কথায় যা লিখেন, ছবিতে যা দেখান, সেটা আমার ১০ লাইন লেখার সমতুল্য। ফেরার পথে উনার দোকান খুজে পেতে বহু কষ্ট হইছিলো। উনার সাথে ২০১১/১২ পর্যন্ত যোগাযোগ ছিলো। লাস্ট যখন কথা হয়, তখন বলেছিলেন, নোয়াখালিতে ফিরে যাবেন। ভাগ্যক্রমে উনার গ্রামের বাড়ি আমার গ্রামের বাড়ির পাশেই। ভাবছি সামনে উনার সাথে একদিন দেখা করতে যাবো।

১৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আর হ্যাঁ নোয়াখাইল্লা ভাষা পড়ে আমি সত্যিই চমৎকৃত :)

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

১৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৫

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: একজন দয়ালু সাধারন মানুষের স্নেহকে, আতিথেয়তাকে এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করে অচেনা ভাল মানুষটিকে সম্মানিত করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।আর আমি নিজেও গর্ভবোধ করছি এই কারন যে আমি ঐ অঞ্চলের ( নোয়াখাইল্লা ) ভাল থাকুন সারাক্ষন , সারাবেলা ।





১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, লেখাটি পড়ার জন্য।

২০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪২

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা ,




অনবদ্য ...................................
আপনাদের কথোপকথনে আঞ্চলিকতার মিষ্টি ধোঁয়া ওঠা আর ওতে মেশানো যে আন্তরিকতার দেখা মিললো , এই এতোক্ষন ধরে তাই-ই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখলুম । বারে বার । অদ্ভুত লেগেছে । মোহাবিষ্ট করে রাখলেন আমায় এই এতোক্ষন ।
হামাকের গরীবের বাড়িত আসিছেন। সোবগুলি কি খায়াছেন কবার পারি না। এই একটি লাইন বুকের মধ্যে গেঁথে রইলো । একদল অপরিচিত, অনাত্মীয় মানুষের জন্যে আর এক ততোধিক অপরিচিতার এই কথাটুকু যেন পৃথিবীর সমস্ত আত্মীয়তাকে ছাপিয়ে গেছে ।

আবারও বলি, পড়তে পড়তে ভালোলাগার শিহরনে কাঁটা দিয়ে উঠেছে আমার সমস্ত শরীর ............................

২২ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনিচ্ছাকৃতভাবে দেরীতে জবাব দেয়ার জন্য প্রথমেই দুঃখ প্রকাশ করছি জী এস ভাই। আপনার মন্তব্য যে কোন ব্লগারকে আনন্দ দেয়। আপনি লেখার সবচেয়ে গভীর অংশগুলো খুব সহজেই ধরতে পারেন, আলোড়িত হতে পারেন। যখন কোন পাঠক তা করতে পারেন, লেখক নিদারুন আনন্দ পায়।

আর এই মানুষগুলোর কারনেই আমরা এখনও টিকে আছি। আমাদের দেশটা এখনও টিকে আছে।

২১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১১

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ঢাকাতে বাড়ি করতে পারিনাই বলে প্রেমিকা বিয়ে করেনি, যাকে হৃদয়ে লালন করেছিলাম ১৩ বছর। সে এক নিমিষে বদলে গেল দাবী একটাই ঢাকাতে থাকার ব্যবস্থা করতে পারনি তুমি তোমার পথ দেখ। এর পর থেকে শহরকে আর ভাল লাগে না।
প্রবাসে থাকি , ছুটিতে আসি ৯ মাসে ১ বার ৩ মাস থেকে যাই গ্রামে। ইট সুরকির মানুষগুলোকে দেখিত গেয়োদের সাথে কি আচরণ করে। মলা মাছের স্বাদের বেলায় গ্রাম আমার গ্রাম । পরে গ্রামের কথা কয়জনে মনে রাখে ভাই। যে কৃষকের টাকায় ডা: সাহেব উপাধী পেলেন সে ছুরি ধরেন সহজ সরল মানুষটির বুকে। রাগ করবেন না একচেটিয়ে দোষারোপের জন্য । ভাল থাকবেন আপনার মতো করে কয়জন দেখে অবহেলিত মানুষগুলোকে!

২২ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার কথা শুনে খারাপ লাগল সুজন ভাই। যিনি আপনাকে আপনার অবস্থানের কারনে অবহেলা করেছে, তিনিও নিশ্চয় তার অবস্থানের জন্যই অন্যদের কাছে অবহেলিত হচ্ছেন। এটাই নিয়ম। আসলে গ্রাম এবং শহরের মানুষ একই। কিন্তু শহরের কঠিন বাস্তবতা, বেঁচে থাকার লড়াই এখানে মানুষকে অনেক বেশি বর্বর আর নিষ্ঠুর করেছে।

শুভেচ্ছা জানবেন।

২২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
প্রাণবন্ত লেখা। উত্তরের উতলা হাওয়ার আমেজ নিতে এই শীতে শৈলজ তল পঞ্চগড় ঘুরে আসুন। আশাকরি যৌবতী হিমেল হাওয়ায় প্রাণবায়ুতে নব বল পাবেন। একবার গিয়েছিলাম কোন এক জানুয়ারিতে!


এখনো সে কথা মনে করে কাঁপছি!

২২ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আমার ব্লগে আসার জন্য। শুভেচ্ছা জানবেন।

২৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৪

উল্টা দূরবীন বলেছেন: শহরে অন্তরিকতা বলতে কিছু নেই। গ্রামের সরল মানুষদের অল্প ভালো ব্যাবহারে আমরা আপ্লুত হয়ে যাই। আর এমন আন্তরিকতাও এখন খুব একটা দেখা যায়না মানুষের মাঝে। চমৎকার উপস্থাপনা।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনাকে বহুদিন পর ব্লগে দেখলাম।

২৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:২৫

কালীদাস বলেছেন: সারা দেশের অনেকগুলো জেলাতে যাওয়া হলেও উত্তরাঞ্চলে আজও যাওয়া হয়নি আমার। দুঃখজনক।

অফটপিকে বলছি: স্যরি, আপনার পোস্টে অফটপিকে কমেন্ট করার জন্য। গতরাতে প্রায় ২ ঘন্টা চেষ্টা করেও লগডইন হতে পারিনি। ফিডব্যাকে মেইল করেছিলাম আমার সমস্যাটার স্ক্রিনশটসহ। আজকেও অনেকবার চেষ্টা করার পরও কোনও ভাবেই লগডইন হতে পারিনি; এমনকি পাসওয়ার্ড চেন্জ করেও না। পাসওয়ার্ড চেন্জ করার পর নতুন পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করলাম, আবার ফাঁকা দেখায়। এখন টর দিয়ে লগডইন হতে পেরেছি। একটু দেখবেন কি আমার সমস্যাটা?
শুভরাত্রি।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ঘুরে আসেন, জীবন সেখানে অনেকটা সরল রেখার মতই সরল।

অটঃ কোন সমস্যা নেই ভাইয়া। সর‍্যি দেরী করে রিপ্লাই দিলাম। আপনাকে ইমেইলে জবাব দেয়া হয়েছে। আপনি যদি কোন সমস্যার পড়েন, প্লীজ ব্লগ টিমকে দ্রুত মেইল করবেন। কোন দ্বিধা করবেন না।

২৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৭

নেক্সাস বলেছেন: যখন গাড়ি স্টার্ট দিলাম তখন ঘড়িতে প্রায় পৌনে তিনটা। পথের এই অংশটায় কুয়াশা এখন প্রায় কেটে গেছে। আমি জোরে গাড়ি টান দিলাম। জানালার ফাঁক দিয়ে আসা বাতাসের শো শো শব্দ গাড়ির ভেতরের জমাট বাঁধা নিরবতাকে আরো তীক্ষ্ণ করছে। আমার হঠাৎ শহরের কথা মনে পড়ল। এই শহর রাত দুপুরে কোন অপরিচিত ব্যক্তিকে বাসায় আনার অনুমুতি দেয় না। বাসায় যদি আসেও সেখানে আন্তরিক আতিথিয়েতা পাবার নিশ্চয়তা প্রদান করে না। এখানে সবাই যান্ত্রিক, অনুভুতি শূন্য। এই শহরে নিশ্চয় অনেক আন্তরিক মানুষ আছে, কোমল হৃদয়ের মানুষ আছে যারা হয়ত শহরের ইট, কাঠ আর কংকৃটের মাঝে চাপা পড়ে আছেন। আমি জানি, একদিন তারা জেগে উঠবেন আর এই শহরে শুরু হবে মানুষের বসবাস। ততদিন পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তাটি দীর্ঘ, পেঁচানো অন্ধকার আর কুয়াশাচ্ছন্ন।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ নেক্সাস ভাই।

২৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪০

আখেনাটেন বলেছেন: গ্রামের এই সরল-সাধারণ আচরণ এখনও একটি সাধারণ ঘটনা। তবে ফেসবুকিয় যুগে আর কত দিন তা থাকে সেটা ভাবনার। আন্তরিকতাহীন শহুরে সভ্যতার বাইরের ঐ জগতটা মায়া জাগানীয়া। ভালো লিখেছেন। অার হ্যাঁ, নওগাঁর প্রায় প্রতিটি মাদ্রাসার সুপার একসময় নোয়াখালী অঞ্চলের লোক । অসাধারণ লেগেছে লেখা।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমার তো ধারনা নোয়াখাইল্লারা হুজুর রপ্তানি করে। দেশের অধিকাংশ মসজিদ মাদ্রাসায় হুজুর নোয়াখালীর!!

২৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ফেসবুকে পড়েছিলাম । আপনার অন্যসব ভাল লেখার মত এই লেখাটি পড়ে ও মন আদ্র হয়ে গেল ।
শুভেচ্ছা রইল ।/

২২ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ মাহমুদ ভাই!! আপনাকে ব্লগে দেখলে ভালো লাগে।

২৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৯

কানিজ ফাতেমা বলেছেন: ঘটনাটি পড়তে এবং এমন আতিথেয়তা পেতে ভাল লাগেলও শহুরে ঝুঁকিময় জীবনের মধ্যে থেকে আমরা এমনতর সরলতা আর কতটুকু ধরে রাখতে পারি অথবা ধরে রাখা যায় ?

২২ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এই শহর আমাদেরকে এত আন্তরিক হতে শেখায় না।

২৯| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এই আমাদের প্রাণের বাংলা, সোনার বাংলা, খাঁটি বাংলা---

প্রাণে ভরা, ভালবাসা আর আতিথেয়তার স্বর্ণ মন্দির :)

++++++++++++++++

২২ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ ভৃগু ভাই! ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৩০| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৪

প্রামানিক বলেছেন: গ্রামের মানুষদের মধ্যে আতিথেয়তার জবাব নাই, গরীব হলেও যথেষ্ট চেষ্টা করে। লেখাটি পড়ে অনেক ভাল লাগল।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই!!

৩১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৩

বিজন রয় বলেছেন: আপনি কি মনে করেন আমরা বাঙালি আছি?

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এখনও আছি, তবে বাঙালি এখন সংখ্যালঘু।

৩২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:১৬

সংক্ষিপ্ত যোগাযোগ বলেছেন: চমৎকার গল্প!
একটু সহযোগিতা চাই......
সামুতে প্রথম পাতায় লিখার সুযোগ চাই।
সহযোগিতা করুন প্লিজ।

৩৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০৮

মুফতী সিরাজী বলেছেন: বসের লগে আমার মেলা দিন ধরে দেখা নাই :(( হঠাৎ মনডা ত্রিংব্রিং কইরা উঠল। আগের আইডি অকারণে বাতিল হওয়ায় নতুন আইডিতে মোড় নিলাম, এই ফাকে কাল্পনিক ভালোবাসা বসের লগে সাক্ষাতটাও হয়ে গেল। জয় হোক ভালোবাসার

৩৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৬

কল্পদ্রুম বলেছেন: স্মৃতিচারণ ভালো লাগলো।

৩৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫০

সুরঞ্জনা বলেছেন: এখনো মানবতা হারিয়ে যায়নি। অনেকবার এমন অপ্রত্যাশিত ভালবাসা পেয়ে অভিভুত হয়েছি।
এরা অনেক বড় লোক। কারন এদের মানুষকে ভালবাসার মত মন আছে। যা বেশীরপভাগ ধনবানদের নেই।

খুব ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে।

৩৬| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২১

নীল-দর্পণ বলেছেন: খুব-ই ভাল লাগল :)

৩৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৩৩

সংক্ষিপ্ত যোগাযোগ বলেছেন: এখনো সেই...

৩৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫০

গোফরান চ.বি বলেছেন: ব্রো আমার পোস্টে এসে এক ছেছড়া মাল্টি নোংরা গালাগালি করছে। ও সামুর কূখ্যাত কোন ব্লগারের মাল্টি।এবং খুব সম্ভব এক এক হিট সিকার নারী ব্লগারের চামচা।

আপনার সহযোগিতা চাই।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনি ব্লগ জনিত যে কোন সমস্যায় ফিডব্যাকে মেইল করুন। এটা আমার ব্যক্তিগত ব্লগ।

৩৯| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৩

রানা আমান বলেছেন: অসাধারন একটি ট্রাভেলগ । আপনি খুবই ভালো লেখেন । আমার অভিবাদন জানবেন ।

৪০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৫

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: মনে হলো নিজের চোখে দেখলাম ঘটনাগুলো। অসাধারণ লাগলো।

৪১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৯

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: ক্যামন আছেন ভ্রাতা ? এমন আন্তরিকতা নোয়াখাইল্যাদের প্যাটেন্ট করা

৪২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৫৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




ইংরেজী নব বর্ষে রইল লিলি ফুলের শুভেচ্ছা।
নতুন বছরে জীবন সুন্দর ও সাফল্যময়
হোক এ কামনাই করি ।

৪৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪৪

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: ভালোলাগা রেখেগেলাম।

শুভেচ্ছা জানবেন।

৪৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



গ্রাম বাংলার সাধারণ মানুষ সামর্থ অনুসারে, বা সামর্থের চেয়েও বেশী আথিয়েতা দেখান, সুন্দর অভিজ্ঞতা। আপনার নওগাঁ'র বন্ধু আপনাদের মনে যে, ভয়ের সন্চার করেছিল, তা মোটামুটি স্হান ও কালের প্রভাব, ঐ এলাকাগুলো ভয়ানক সমস্যার মাঝ দিয়ে যাচ্ছে; নওগাঁ'র বন্ধুর কথা আপনাদের উপর কাজ করেছে, আপনারাও দ্বিধামুক্ত হতে পারেননি।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৪১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হ্যাঁ। সেটাই। আমরা শুধু দরিদ্র মানুষকেই অপরাধী ভাবতে পারি। এই সংকীর্ণতা থেকে বের হতে পারি নি।

আশা করি আপনি সুস্থ এবং ভালো আছেন?

৪৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৫২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এটা কি কাল্পনিক?

৪৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২০

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: আন্নেরা অ্যাঁর দোয়ানের সামনে খাঁড়াই হোডেলের টোগাইতেছিলেন না? ইয়ানে তো কোন হোডেল মোডেল নাই। আন্নেরা অ্যাঁর দেশী মানুষ। হেইল্লাই অ্যাঁই দুগা ডাইল ভাত রাইঞ্ছি আন্নেগো লাই।

অনেক অনেক ভালোলেগেছে।

৪৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তারা বলল, এখন যৌবন যার উত্তরবঙ্গে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।


আজকে রাজশাহীতে যে ঠাণ্ডা পড়েছে, তাতে আপনার এই প্যারোডির যথার্থতা হাড়ে হাড়ে ঠোকাঠুকির মাধ্যমে উপলব্ধি করছি।

৪৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩১

শামীম সরদার নিশু বলেছেন: সুন্দর একটি পোস্ট খুব ভালো লাগল।

৪৯| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:১৭

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: সামুতে কোন পোস্ট সাধারণত দ্বিতীয়বার পড়ি না। কিন্তু এটা আমার দ্বিতীয়বারের মত পড়া হলো। খুব ভালো লাগলো কেন জানি।

৫০| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:২০

এম আর তালুকদার বলেছেন: একদিন তারা জেগে উঠবেন আর এই শহরে শুরু হবে মানুষের বসবাস। ততদিন পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তাটি দীর্ঘ, পেঁচানো অন্ধকার আর কুয়াশাচ্ছন্ন। এই কথাটুকু খুবই ভাল লাগছে, হারিয়ে গিয়েছিলাম লেখাটির ভিতরে। ধন্যবাদ।

৫১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আহা কি সুন্দর কইরা বর্ণনা করছে, মন ভইরা গেল।

সুন্দর ঘটনা আগে না পইড়া মনে হয় ভুল হইছে।

ভাল থাইকেন।

৫২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:১৫

সোহানী বলেছেন: আমার সোনার বাংলা, এই কারনেই তোমাকে এতো ভালোবাসি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.