নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন সব হাসির ময়নাতদন্ত হবে, ফরেনসিক রিপোর্টে লেখা থাকবে - সবই মিথ্যে।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারের জন্য ১৯৭৩ সালে একটি আইন তৈরি করা হয়। এই আইনটিকে ২০০৯ সালে কিছুটা সংশোধন করে এর আওতায় ২০১০ সালের ২৫শে মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত করা হয় এবং প্রথম রায় হিসেবে ২০১৩ সালের ২১শে জানুয়ারি আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এর পরবর্তীতে, কবি মেহেরুন্নেসাকে হত্যা, মিরপুরের আলুব্দি গ্রামে ৩৪৪ জন মানুষ হত্যা করার অভিযোগে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের নেতা কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়। রায় শেষে দেখা যায় কুখ্যাত এই রাজাকার মুখে হাসি আর আঙুলে ভি চিহ্ন দেখাচ্ছেন।এতো গুলো হত্যা, ধর্ষণ, সর্বোপরী গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডকে বাংলাদেশের সাধারন মানুষ কোনভাবেই মেনে নিতে পারেনি। এই রায়ের দিন জামাত শিবির হরতালের ডাক দেয়। কিন্তু সাধারন মানুষ সবকিছু উপেক্ষা করে শাহবাগে এসে জড়ো হয়। সুত্রপাত হয় এক ঐতিহাসিক আন্দোলনের।
আনন্দের বিষয় সামহোয়্যারইন ব্লগের ব্লগাররা মানবতাবিরোধী অপরাধের দাবিতে অনেক আগে থেকেই সোচ্চার ছিলো, পিটিশনও সাইন করা হয়েছিলো আমাদের ব্লগারদের তরফ থেকে এবং এই আন্দোলনের শুরু থেকে নিঃস্বার্থভাবে, অকাতরে আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলো সামহোয়্যারইন ব্লগের ব্লগাররাই।
৫ তারিখ দুপুর পর্যন্ত ইমরান এইচ সরকারকে অনেকেই চিনত না। আমাদের সহ ব্লগার ছিলেন, মাহমুদুল হক মুন্সী বাঁধন ভাই। উনার শেয়ার করা ইভেন্ট আর ব্লগ পোস্ট দেখে শাহবাগ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। তখন বাজে প্রায় দুপুর ২ টা। তাঁর সাথে আগে কখনও দেখা তো দূরে থাক কথাও হয় নি।
উনাকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, ভাই হরতাল চলছে, পুলিশ আবার কোন সমস্যা করবে না তো এই সব সমাবেশে।
তিনি উত্তেজিত হয়ে জবাব দিলেন, সমস্যা করলে করবে, যে ভয় পাবে সে ঘরে থাক, আপনি আসতেছেন?
বললাম জী, আসতেছি।
আস্তে আস্তে মানুষ এসে জড়ো হচ্ছে!
দল মত নির্বিশেষে সবাই তখন পাশাপাশি এসে দাঁড়িয়েছে। সাধারন মানুষ ব্যানারের মারপ্যাঁচ বুঝে না।
আমি আরো কয়েকজন সহ ব্লগারের সাথে যোগাযোগ করে শাহবাগে গেলাম। দেখলাম, অনেকেই এসে উপস্থিত। মিডিয়ার কর্মীরা আসছে। তখনও ইমরান এইচ সরকারকে চিনতাম না। প্রথম দেখলাম তাঁকে জাদুঘরের সামনে। বেশ চিন্তিত মুখে দাঁড়িয়ে আছেন। অনেকেই সেখানে পোস্টার বানাচ্ছিলো। আমাদের কয়েকজনকে অনুরোধ করলে পোস্টার বানানোর কাজে সাহায্য করতে।
চলছে পোষ্টার তৈরীর কাজ! সাধারন মানুষই বানাচ্ছে পোষ্টার! সাধারন মানুষই সকল ক্ষমতার উৎস!
তারপর মিছিল! স্লোগান!
ফাঁসি, ফাঁসি, ফাঁসি চাই! রাজাকারের ফাঁসি চাই!
ক তে কাদের মোল্লা, তুই রাজাকার! তুই রাজাকার!
অতঃপর শাহবাগ রাজপথ জনতার!
প্রথম যে ছাত্র সংঘটনগুলো এখানে এসে জড়ো হয়েছিলো্ তাঁরা কেউই কোন রাজনৈতিক ব্যানার বা স্লোগান দেন নি, শুধুই রাজাকারের বিচার চাই এই ব্যানার নিয়ে অংশগ্রহন করেছিলেন।
তারপর তো ইতিহাস। সাধারন মানুষের স্লোগানের গর্জনে সেদিন লজ্জা পেয়েছিল সমুদ্র! মানুষের গর্জনে ভেসে আসছিল-
তুমি কে আমি কে,
চাকমা মারমা বাঙ্গালী,
তোমার আমার ঠিকানা,
পদ্মা মেঘনা যমুনা।
তোমার দেশ আমার দেশ,
বাংলাদেশ, বাংলাদেশ।
আমাদের ধমনীতে শহীদের রক্ত
এই রক্ত কোনদিনো বৃথা যেতে পারে না।
দিয়েছি তো রক্ত, আরো দিব রক্ত
রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়!
আপোষ না সংগ্রাম? সংগ্রাম সংগ্রাম
চলছেই চলবে, জনতা সংগ্রাম।
একশ্যন একশ্যন, ডাইরেক্ট একশন
রাজাকারের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট একশন।
জ্বালোরে জ্বালো!
জ্বালো জ্বালো, জ্বালোরে জ্বালো!
জয় বাংলা! জয় জনতা।
জয় জাগরন! জয় আন্দোলন।
--------------------------------------------------------------------
কঠিন বাস্তবতার কিছু কথা!
শাহবাগ নিয়ে এখন আর কোন অনুভূতি কাজ করে না। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, লাখো মানুষের সৎ আবেগ সেখানে সঠিক মর্যাদা পায় নি, আমাদের যে প্রাপ্তির কথা ছিল তা পূর্ন হয় নি। এত বড় গণজাগরণ অনুপাতে শাহবাগের প্রাপ্তি এক হিসেবে খুবই সামান্য। শাহবাগের রেশ নিয়ে ভবিষ্যতে মুভমেন্ট করার মত কোন তেমন শক্ত ভিত্তিও আর নেই। সাধারন মানুষ আরো একবার দেখলো কিভাবে সোনার ডিমের লোভে কৃষক শেষ পর্যন্ত হাঁসটাকেই মেরে ফেলে।
সাধারন মানুষ রাজাকারের বিচার চায়। তারা রাজাকারদের দলীয়করন চায় না। রাজাকারদের একটাই পরিচয়- তারা রাজাকার। কিন্তু এই দেশে রাজাকাররাই রাজনৈতিক খেলার অংশ! ক্ষমতার অংশ হলে রাজাকার পরিচয় হারিয়ে যায় কিংবা ক্ষমতার জন্য রাজাকার তোষনও কম হয় না।
আর তাই দিনশেষে 'রাজাকারের বিচাই চাই' একটি প্রহশনের দাবি ছাড়া আর কিছুই নয়। এই দেশের ক্ষমতাসীনরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সার্বজনীন করতে পারেন নি, গত বেয়াল্লিশ বছর এটাকে তারা রাজনৈতিকরন করে ভোট ব্যবসাই করে যাচ্ছেন।
আমি স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। আমি স্বপ্ন দেখি আর এক মহাজাগরনের। যে জাগরনে আমাদের তরুনরা দলমত নির্বিশেষে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে যে কারো অন্যায় দাদাগিরি, সকল দলের দূর্নীতিবাজ ও অযোগ্য নেতৃত্বকে দূর করে দেশকে আলোর পথে নিয়ে যাবে, জাতি হিসেবে কারো উপর নির্ভরশীল নয় বরং মাথা উঁচু করেই দাঁড়াতেই সাহায্য করবে। আর যারা এই কাজে বাধা হয়ে দাঁড়াবে, তারাই হবে নব্য রাজাকার! আর তাদের বিচার তখন নতুন প্রজন্মই করবে। শাহবাগ দেখিয়েছে কিভাবে গনমানুষ চাইলে একত্রিত হতে পারে, দাবি আদায় করতে পারে। শাহবাগ জেগে থাকে, শাহবাগ ঘুমায় না।
বিঃদ্রঃ পোস্টে তথ্য সংযুক্তির জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে উইকিপিডিয়ার সাহায্য নেয়া হয়েছে।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সঠিক বলেছেন। আপনার সাথে সহমত।
২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৫৯
আবু তালেব শেখ বলেছেন: এই আন্দোলনের ভালো ফল রাজাকারের ফাঁসি হয়েছে।
সাথে ধর্ম ভিত্তিক হেফাজতের জন্ম হয়েছে যেটা মোটেও সুখকর হয়নি
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:১৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এই আন্দোলনের জন্য পরোক্ষভাবে জন্ম নিয়েছে এই হেফাজতে ইসলাম। নামটার মধ্যেই দুই নাম্বারী আছে। সর্যি। এটাই আমার মূল্যায়ন।
৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৫৯
ক্লে ডল বলেছেন: আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, লাখো মানুষের সৎ আবেগ সেখানে সঠিক মর্যাদা পায় নি
আমিও তাই মনে করি।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সেটা পরের দিকের ঘটনা। প্রথম দিকে সবই ঠিক ছিলো।
৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৫৯
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: খুব ভাল লাগলো ভাইয়া
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:১৫
কালীদাস বলেছেন: এই পোস্টটা দরকার ছিল, তবে প্রথম পাতায় রাখা সেফ কিনা খোদা জানে বুঝেনই তো বাংলাদেশ!
পোস্টের বক্তব্য খুবই সত্যি, যদিও সব ব্যাপারে আমি একমত না। এই ইমরান সরকার এবং ছাত্রলীগাররা সিম্পলি আন্দোলনের চেহারা এবং লক্ষ্যই পরবর্তীতে সুক্ষ্ণভাবে বদলে নিয়েছে। শুরুর দিকে স্টার্টাররা ইমরানকে নিঃসংকোচেই সাপোর্ট করত এটলিস্ট একটা সাংগঠনিক চেহারায় আন্দোলনটাকে রাখার জন্য, অনর্থক মিথ্যা কাদা ছোরাছুরি যেন কেউ না করে, সে রাস্তা বন্ধ রাখার জন্য। ছাত্রলীগাররা সরাসরি আন্দোলনে হামলা চালাতে পারেনি চিন্তার অধিক জনতা একাত্মতা পোষণ করায়। কিন্তু নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেন না যায় সেজন্য পুরা টাইম ঘেরাওয়ের ভেতর রাখত। মারধরের ঘটনা কম হয়নি। আরেক পার্টি বিরানি আন্দোলনের নাম দিয়ে ব্লগার মানেই নাস্তিক উপাধি দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে ব্লগিং সম্পর্কে সম্পুর্ণ ভুল ধারণা দিয়ে গেছে লম্বা সময়ের জন্য।
ফিনিশিং এর লাইন কয়টা নিয়ে কয়েকজন হুমড়ি খেয়ে পড়তে পারে অন্যদিকে পোস্টের মোটিভেশন ডাইভার্ট করতে। একটু এলার্ট থাকবেন প্লিজ।
এমুহুর্তে ব্যাস্ত খুব, পরে আবার ডিটেইলস কমেন্ট করতে পারি এবং কমেন্ট ফলো করার ইচ্ছা থাকল। ওয়ার্কিং ডে তে ব্লগে ঢোকা খুবই কঠিন আমার জন্য
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কালীদাস। আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগছে। আপনি অন্তত জানেন, এই পোস্ট মোটিভেশন ভাইভার্ট করার চেষ্টা হলে যার যার উপযুক্ত পাওনা তাকে হাতে কলমে বুঝিয়ে দেয়া হবে।
এই পোস্টটি আসলে সাধারন মানুষের প্রেক্ষাপট থেকে দেয়া, একজন সাক্ষী হিসেবে দেয়া। আমার মনে আছে এয়ারটেল পর্যন্ত ব্লগার হবার জন্য অফার দিয়েছিলো। ব্লগার নিয়ে যারা ব্যবসা করেছে, তারা কোনদিনই ব্লগার ছিলো না। ছাত্রলীগ এই আন্দোলনের জন্য একটি অভিশাপ ছিলো, ভাইরাস ছিলো। এই ভাইরাসে ধ্বংস হয়েছে সব কিছু।
ইমরান এইচ সরকার নেতৃত্ব নিয়ে বেশি মাথা না ঘামালে, তিনিই বিতর্কহীন থাকতেন। বিএসএমইউ মিলনায়তনে নেয়া সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে কিছু কিছু ছিলো ভুল, যার প্রমান পরে পাওয়া গেছে। ধর্মভিত্তিক সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা সম্ভব ছিলো না, প্রজ্ঞার অভাব ছিলো, সঠিক দিক নির্দেশনার অভাব ছিলো। আরো অনেক বিস্তারিত ব্যাপার আছে, আপনিও হয়ত জানেন, আমিও হয়ত জানি।
আপনাকে আবারও এই পোস্টে প্রত্যাশা করছি ভাইয়া।
৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: যেন কোন দেশ বা জাতীর যুদ্ধাপরাধ হচ্ছে মানবতাবিরোধী অপরাধ। বাংলাদেশ এগিয়ে যাক এই কামনা।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ। যদিও মন্তব্যটি ঠিক পুরো বুঝি নি।
৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমি একদিন প্রথমদিকে গিয়েছিলাম কৌতুহল বশত: অনেগুলো ছবিও তুলেছিলাম-ঝকঝকে ফটোগুলো এখনো আছে পিসিতে
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কিছু ছবি থাকলে শেয়ার করুন আমার সাথে।
৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: সেই সময় গুলোর কথা মনেও পড়লে আজও অস্থির হয়ে পড়ি।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আশা করি, ঐ সময়ে আপনার ছবি সহ একটি ছবি ব্লগ দেখতে পাবো
৯| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৩২
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনি, ঐতিহাসিক শাহবাগ আন্দোলনের শুরুর কিছু ছবি দিয়েছেন; আমি শেষের একটা ছবি দিলাম
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা হা হা হা হা হা হা হা পলাশ ভাই। আপনি মিয়া বদ! হা হা হা হা
১০| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১
বাংলার হাসান বলেছেন: বহুদিন পর ব্লগে ঢুকলাম, অবশ্য ফেসবুকে আপনি পোষ্টটা শেয়ার না করলে হয়তো আসা হতো না।
শাহবাগ নিয়ে আমার ফেসবুকের ছোট্ট স্ট্যাটাসটাই মন্তব্য হিসেবে দিলাম।
তবে শাহবাগ লক্ষ মানুষের সৎ আবেগ ব্যর্থ হবার পিছনে আপনারাও অনেকটা দায়ী বলে আমি মনে করি।
অনলাইনে হাতেখড়ি ইয়াহু চ্যাটরূম দিয়ে, তারপর ধীরে ধীরে এই জগতের বিস্তৃত জগতে পরিচিত হই কত শত শত কিছুর সাথে। এই দীর্ঘ অনলাইন ভূবনে প্রথম বাজে ভাষা ব্যবহার করি ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৩।
কাদের মোল্লার ভি চিহৃ দেয়া হাসি মুখের ছবিটা দেখে সেদিন প্রথম বাজে ভাষা ব্যবহার করে সামু ব্লগে পোষ্ট করি।
তারপর বাকীটা ইতিহাস।
চোখের সামনে একটি সফল বিপ্লবের মৃত্যু দেখেছি। দেখেছি মুখোশের আড়ালে থাকা অসংখ্য লোভী স্বার্থপর আর মানুষের আবেগ নিয়ে খেলা করা সাদাসিদা বেশ ধরে থাকা বহু চেতনার ফড়িয়াকে।
আজ এক সময়ের বহু সহযাত্রী নিজের শাহবাগে যাওয়ার সময়টাকে ভুলে যেতে চায়। আমি হাজার বছর পরও বলব শাহবাগে আমরা ব্যর্থ হয়েছি, ব্যর্থ হয়েছে একটি সফল সিভিল বিপ্লব হবার সব পথ। শাহবাগের ব্যর্থতা এদেশকে কমপক্ষে ৫০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে। সফল হয়েছে বাম নামের এদশের সওদাগররা। সফল হয়েছে আওয়ামী লীগ নামক রাজনৈতিক দলটি। তারা উচ্চ মূল্য দিয়ে একটি সফল সিভিল বিপ্লবকে কিনে নিয়ে তা হাস্যরসের খোরাক করতে পেরেছ।
এত কিছুর পরেও শাহবাগী গালি খেয়েও বলতে লজ্জা পাই না, আমিও ছিলাম শাহবাগে।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনি একজন স্বক্রিয় কর্মী ছিলেন শাহবাগে, আপনার মত নিবেদিত প্রাণ কর্মীকে শাহবাগ কাজে লাগাতে পারে নাই, এটা শাহবাগের নেতাদের ব্যর্থতা। আপনার সহব্লগার হিসেবে আমি গর্বিত।
১১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫
আটলান্টিক বলেছেন: সাধারন মানুষ ব্যানারের মারপ্যাঁচ বুঝে না
কথা সত্য।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:২৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হ্যা। সাধারন মানুষ বুঝে অন্যায়ের প্রতিবাদ।
১২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০৮
সামিয়া বলেছেন: শুরু থেকে আমিও ছিলাম তখন ডিইউতে সপ্তাহে তিন দিন ক্লাস করতে হত, অনেক কিছুই স্বচক্ষে দেখেছি যা একদমই আন্দলনের সাথে যায় না যেগুলো সেন্সেটিভ এছাড়া অনেককে আন্দলনের নামে সাধারণদের সাথে বেশ উগ্র আচরণও করতে দেখেছি।
ছবি তো ভালোই তোলেন।।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৩৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। সেটা তো অবশ্যই। সবাই সেখানে আন্দোলনের জন্যও আসে নি। অনেকেই এসেছে পিকনিক করার জন্য।
আপনাদের মত ছবি আর কোথায় তুলতে পারি?
১৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩
একজন আরমান বলেছেন: আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, লাখো মানুষের সৎ আবেগ সেখানে সঠিক মর্যাদা পায় নি
সহমত।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আরমান মন্তব্যের জন্য। তোমরা সেই সময় অনেক কষ্ট করেছিলে।
১৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:২২
নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: এইটা ততক্ষন পর্যন্ত আন্দোলন ছিল যতক্ষন অরাজনৈতিক ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা শাহবাগে জড়ো হয়েছিল।জুতা মেরে নামিয়ে দেয়া হয়েছিল সরকারী দলের মন্ত্রীকে স্টেজ থেকে। এর পরেই যখন ছাত্রলীগের ছাত্রছায়ায় ইম্রান ও নাসিরুদ্দিন বাচ্চুরা হাইজ্যক করে এই আন্দোলনকে তখন সেটা পরিনত হয়েছিল একটা গেট টুগেদার পার্টিতে।। পুলিশি প্রহরায় সরকারী বিরিয়ানি খেয়ে আড্ডা, শ্লোগান, গান বাজনা করা এই পার্টিতে যোগদানকারীদের নামকরন করা হয়েছিল " শাহবাগী" হিসেবে।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন। আফসোসের বিষয় হলো, তৎকালীন বিরোধী দলের মুখপাত্র প্রয়াত ব্রিগেডিয়ার হান্নান শাহ (অবঃ) সাহেব বলেছিলেন, শাহবাগে জড়ো হয়েছে সব আওয়ামীলীগের পোলাপাইন, পরবর্তীতে সেই দলের নেতা কর্তৃক সার্টিফিকেট প্রদান যে ব্লগার মাত্রই নাস্তিক ইত্যাদি কারনে সরকারী দল সাহস পেয়েছে এক তরফাভাবে মাঠ দখল করার। যদি সেই সময়ের প্রেক্ষাপট থেকে বলি, তাহলে এতটা মেধা শূন্য, শুধু ক্ষমতা লিপ্সু বিরোধীদল কমই দেখা গেছে।
প্রথম কিছুদিন সেখানে সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের যেমন কোন ভাত ছিলো না, তেমনি নিজেদের ভাত নিজেরা নষ্ট করেছে তৎকালীন বিরোধী দল। এই অপমূল্যায়নের কারনে তারা ইতিহাসের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। তেমনি একটি গণ আন্দোলনকে সরকারীভাবে কুক্ষিগত করা অপতৎপরতাকেও এই দেশের ইতিহাস মনে রাখবে।
কারন, আমরা এখনও বেঁচে আছি। আমরা তখনও অন্ধ ছিলাম না, এখনও অন্ধ নই।
১৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:০৮
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: হুম পৃথিবীর সবাই স্বার্থবাজ।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:১০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমাদের দেশে রাজনৈতিক ধান্দাবাজ।
১৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৫২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: রাজাকারদের একটাই পরিচয়- তারা রাজাকার। কিন্তু এই দেশে রাজাকাররাই রাজনৈতিক খেলার অংশ! ক্ষমতার অংশ হলে রাজাকার পরিচয় হারিয়ে যায় কিংবা ক্ষমতার জন্য রাজাকার তোষনও কম হয় না। অসাধারণ বলেছেন।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:১০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন ভাই।
১৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
শাহবাগ ছিল একটি বুদবুদ, দীর্ঘমেয়াদী ভাবনার কথা ওখানে বলা হয়নি; শুধু সমসাময়িক একটা বিষয়ের উপর আলোকপাত করাতে, উহা সাময়িক একটা অনিভুতি ছিল।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বুদবুদ ছিলো না, বুদবুদে পরিনত করে দেয়া হয়েছিলো।
১৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৫
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমার সৌভাগ্য হয়েছিল শাহবাগের এই গণজাগরণে ব্যক্তিগতভাবে শামিল হওয়ার। আমার লেখা একটি উপন্যাস তখন বইমেলায় বিক্রি হচ্ছিল। সেই কারণে পুরো ফেব্রুয়ারি মাসটাই আমি ঢাকায় ছিলাম। প্রায় প্রতিদিনই বইমেলায় যাওয়ার আগে আমি শাহবাগে দুই তিন ঘণ্টা করে থাকতাম। 'রাজাকারের ফাঁসি চাই' লেখা ফেটি মাথায় বেঁধে আমিও অন্যান্যদের সাথে অনেক শ্লোগান দিয়েছি। কী দিন ছিল সেসব! ওই ফেটি আজও সযত্নে রাখা আছে আমার আলমীরায়।
এমন একটি গন অভ্যুত্থানের এই পরিণতি হবে, কখনো ভাবিনি। সত্যিই কষ্ট হয়।
১৯| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৫
মানিজার বলেছেন: শাহবাগ আন্দোলন ছিল আবেগের বিস্ফোরণ । সেখানে অসৎমানুষেরা লিডিং কেড়ে নিয়ে একটা ইনটেনশনে নিয়ে গেছে । উচিত কথা বললে রাজাকার শুধু গুআ সাকা না । সেসময়ের বেশিরভাগ অসৎ রাজাকারদের চিহ্ণিত করার কাজটাই ঠিকমত হয়নি । যাও হয়েছে আওয়ামীলীগ করাতেই পার পেয়ে যাচ্ছে । সবমিলিয়ে তাই শাহবাগ আন্দোলন সৎ ছিল না । প্রতিহিংসার চর্চা, ঘৃণার চাষ করে জাতি এগুতে পারাটা অযৌক্তিক ।তাই আমাদের কাছে অমিমাংসিত কিছু জিনিস বাকি আছে । জামাতকে নিষিদ্দ করা এর মধ্যে একটি । অথবা তাদেরকে গ্রহণ করা । এইভাবে চলতে থাকলে সমৃদ্ধি লাভ হবে না ।
গ্রহণ করতে না পারলে এদের পাকিস্তানে পাঠায় দিতে হবে অথবা গণকবর দিতে হবে ।
২০| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:২৬
সোহানী বলেছেন: সন্মানীত কাভা ভাই, এ পোস্টটার অপেক্ষায় আমি ছিলাম দীর্ঘ এ ক'টি বছর। আপনারা কেউই মুখ খুলছিলেন না এ পর্যন্ত যারা এর সূচনা করেছিলেন। আমি অনেকবারেই চেয়েছিলাম পোস্টটা দিতে কিন্তু ব্যাক্তিগতভাবে যেহেতু আমার সাথে আপনাদের যোগাযোগ নেই তারউপর দেশে যে পোস্টে চাকরী করতাম সেখান থেকে ডাইরেক্টলি কিছু করা অসম্ভব, তাই আশা করেছিলাম আপনারা কেউ নিশ্চয়ই মুখ খুলবেন। কিন্তু আপনারা কেউই কিছু বললেন না দীর্ঘ সময়। হাঁ আমি ও ছিলাম, আপনার সে জনতার মাঝে বেশ ক'বার আমি গেছিলাম কিন্তু সরাসরি কিছু করা সম্ভব ছিল না। আমি জানি কিভাবে মি:সরকার ও তার দলবল হাইজ্যাক করেছে চমৎকার একটা সূচনাকে। আবার আসবো আমার তোলা ছবি নিয়ে।.......... এবং ধন্যবাদ একটু হলে ও বলেছেন, এ নিয়ে আরো বিস্তারিত লিখা চাই। আমি জানি ছবিগুলো সূচনা মাত্র, সত্যিকারের ইতিহাস সবার জানা দরকার।
ভালো থাকেন সবসময়।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:১৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপু বুকের ভেতর অনেক কিছু লুকিয়ে আছে, অনেক মান অভিমান আছে। সব কিছুর আড়ালে ঢাকা পড়ে গেছে। তবে এখনও যখন শাহবাগে যাই, তখন মাঝে মাঝে মনে পড়ে, কেন সেই আন্দোলন হয়েছিলো, কি তার প্রেক্ষাপট ছিলো। চোখের সামনে সব কিছু দেখেছি। লেখা হয় নি, ভেবেছি, অন্যরাই লিখুক, আমরা দেখি, জানি, শুনি। আমি অনেককে আমন্ত্রন জানিয়েছি। দেখা যাক তাঁরা আসেন কি না।
আপু ছবিগুলোই দলিল। আপনার ছবির অপেক্ষায় রইলাম।
২১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০৭
জুন বলেছেন: আমাদের দেশের ইতিহাসে একদিন অত্যন্ত মর্যদার সাথে ঠিকই লেখা থাকবে এই শাহবাগ আন্দোলনের কথা কাল্পনিক।
সেই সাথে ছবিগুলোও ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে থাকবে বলেই আমি মনে করি।
+
২২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪১
আরইউ বলেছেন: এই পোস্ট বা এ ধরণের পোস্ট কেনো দেয়া উচিত নয় এবং কেন অনুৎসাহিত করা উচিত ব্যাখ্যা করছি।
১. তথ্য ভিত্তিক পোস্টে কোন আপত্তি নেই। কিন্তু
২. ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপত্তি আছে। ছবিগুলো আপনি তুলেছেন - আপনার সম্পত্তি। কিন্তু, ছবিগুলোতে যাদের দেখা যাচ্ছে তারা কিন্তু আপনাকে তাদের ছবি ব্যবহারের অনুমতি দেননি। ফেয়ার ইউজ পলিসি-এর কথা বললে যেহেতু আপনার লেখার সাথে অর্থাৎ এই ফিচারের সাথে ছবিগুলো প্রাসংগিক, সেহেতু আইনত আপনি নিরাপদ বলে আমার মনে হয়। কিন্তু, যদি কোনো ব্যক্তি [বর্তমান অবস্থা ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিষয়টির স্পর্শকাতরতার কারণে] তাকে আনআইডেন্টিফায়েড রাখতে চান, তাহলে কিন্তু ঐ ব্যক্তির প্রাইভেসি আপনার ছবিগুলোর কারণে নষ্ট হলো!
৩. ধরুন, একটা উদাহরণ হিসেবে, আরইউ শাহাবাগ আন্দোলনে ছিল। আপনার পোস্টে তার ছবি আছে। কিন্তু আরইউ বিভিন্ন কারণে বর্তমানে কাউকে জানাতে চায় না যে সে কখনো শাহাবাগ আন্দোলনের কাছাকাছি ছিল। এখন বলুন আপনার এই পোস্টের কারণে যদি "ক" "খ" "গ" কেউ আরইউ কে বলে আরইউ শাহাবাগ আন্দোলনে ছিলো এবং তার প্রমান ব্লগে আছে, তাহলে বেচারা আরইউ কোথায় যাবে!!
আপনি যেহেতু ব্লগে একটা দায়িত্বশীল অবস্থানে আছেন তাই আমার মন্তব্যটা ভেবে দেখার জন্য বলবো।
ভালো থাকুন কাল্পনিক!
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:০৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্য এবং সর্তকতার বিষয়ে। শাহবাগ কোন ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান বা আয়োজন ছিলো না, এখানে কোন নির্দিষ্ট মতের মানুষকেও আমন্ত্রন জানানো হয় নি, এখানে সাধারন মানুষ উপস্থিত ছিলো। ফলে একটি পাবলিক অনুষ্ঠানের ছবি প্রকাশে কারো অনুমুতির প্রয়োজন আছে বলে আমার জানা নেই। এমন যদি হতো, এখানে উপস্থিত কোন এক নির্দিষ্ট ব্যক্তির ছবি নিয়ে আমি আলাদাভাবে পোস্ট দিতাম, তাহলে তাঁর অনুমুতি নেয়ার ব্যাপারটি আসতো।
আপনি নিশ্চয় জানেন, এই ছবিগুলো একটি ঐতিহাসিক ঘটনার। এই ছবিগুলো কিছু প্রতিবাদী মানুষের যারা সেখানে উপস্থিত হয়ে ন্যায় বিচারের দাবি জানাচ্ছিলো। এখানে প্রকাশিত ছবিগুলোর অধিকাংশই দূর থেকে তোলা এবং যাদের চেহারা এখানে কিছুটা হলেও বুঝা যাচ্ছে তাদের অধিকাংশের সাথেই আমার ব্যক্তিগত পরিচয় আছে। শাহবাগ ইস্যুতে তাদের অবস্থান চিরকালই প্রকাশ্য। তাদের কাছ থেকে অনুমুতি চাওয়ার বিষয়টি হাস্যকর হিসেবে চিহ্নিত হবে।
তবে এখানে কোন ছবিতে যদি আপনি উপস্থিত থাকেন, যদি আপনার কোন ব্যক্তিগত তথ্য এখানে প্রকাশিত হয়, তাহলে অনুগ্রহ করে আমার সাথে ফিডব্যাকে সুনির্দিষ্ট ছবিটি উল্লেখ্য করে যোগাযোগ করবেন, আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।
২৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৪০
ধ্রুবক আলো বলেছেন: চাঁদগাজী ভাইয়ের সাথে একমত।
গণ জাগরণ মঞ্চটা একসময় স্বার্থ উদ্ধার মঞ্চে পরিণত হয়েছে। যার সবচেয়ে বড় সুফল ভোগ করেছে সরকারি দল।
২৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:৫৬
কালীদাস বলেছেন: বিকাল চারটার পর আর কোন রিপ্লাই নেই, এরই মধ্যে গুম হয়ে গেলেন নাকি?
কমেন্টগুলো পড়লাম। নিক ধরে কাউকে কিছু বলব না, ইন জেনারেল কিছু কথা বলব। আজকে রিপোর্ট বা বাপমা তুলে গালিগালাজ করার মত ধৈর্য্য, উৎসাহ কোনটাই নেই। অলরেডি একজন সুশীল খোলস দিয়ে ঢেকেঢুকে হাজিরা দিয়ে গেছে মনে হচ্ছে
ধর্মভিত্তিক রাজনীতির ঠিক বিপক্ষে আমি না যতক্ষণ না জামাতকে কেউ সাপোর্ট করছে। ডেভেলপড দেশগুলোতেও চরম ডানপন্হী দল আছে অনেক, যাদের প্রধান বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে ধর্মের কড়া অনুসরণ। কথা হল, যে দলের জন্ম জেনোসাইডের দোসরদের রক্তমাখা হাতে, তাদের তো মানুষ হিসাবেই ধরি না, রাজনীতি করার অনুমতি আবার কিসের? বাঁধন এই লেখাটা পড়ে ব্লগে কমেন্ট করতে আসলে খুশি হতাম, ছেলেটা গোলাম আজম শুয়রটার কফিনে জুতা ছুড়ে মেরেছিল।
হেফাজত নিয়ে কথা বলতে গেলে হাসি পায়। এরা পলিটিক্স দুরের কথা, বাংলাদেশের গভর্নমেন্ট কিভাবে ফরম হয়, পার্লামেন্টে সিট ম্যানেজমেন্ট কিরুপ বা ইলেকশনের প্রসেডিওর কি সেটাও বুঝে কিনা সন্দেহ। তৎকালীন অপজিশন পার্টি এদেরকে এরকম হাস্যকরভাবে ব্যবহার করার পরও এদের সেটা ধরতে পারার ঘিলু পর্যন্ত ছিল না। সেকেন্ড টপ লিডার লোকটার নাম মনে আসছে না এখন, পুলিশ স্টেশনে বসে সিম্পলি কাঁদছিলেন ভদ্রলোক খেলাটা ধরতে পারার পর। নিরীহ কিছু মাদ্রাসার ছাত্রকে অহেতুক পুলিশের মার খেতে হয়েছে টপ লিডারদের বোকামির জন্য, এরা এমনকি ঘরের বাইরে পর্যন্ত কোনদিন একা কোথাও যেত না সম্ভবত। ডাবল স্ট্যান্ডার্ডের কথা বললে (নারী নেতৃত্ব) আবার মারামারি লাগবে, অফ গেলাম ঐদিকে। যাদের খেলার ঘুঁটি হয়েছে হেফাজতীরা, তারা পরেরদিন একটা টু সাউন্ডও করেনি।
শাহবাগের আন্দোলন ছোট থাকতে থাকতেই ছাত্রলীগারদের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়া হয়। শাহবাগের স্টার্টিং ইস্যুটা মোটেও ছোট ছিল না, প্রত্যেক দেশপ্রেমিক বাংলাদেশির বুকে আঘাত লেগেছিল যখন পেপারে কাদের কেপির ভি সাইন দেখানোর ছবি এসেছিল। সারা দেশের মানুষের গালে চড় মারাটাই কাল হয়েছিল হারামীটার। ৫ তারিখের গণসমাবেশ অনেকেরই ভয় ধরিয়ে দেয় যে এই ক্রাউড মিশরেরটার চেয়ে অনেক ভয়ংকর হতে পারত। কারণ বাংলাদেশিরা জাতিগতভাবে চরম আবেগী এবং হুজুগে, ঐ মুহুর্তের ঐ ইস্যুটার লেজ ধরে আরও অনেক ইস্যুতে অনেক বড় বড় রাঘব বোয়ালের সর্বনাশ হতে একমাসও লাগত না ঠিকমত জনতা জিনিষটা চালালে। এইসব ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র শিবির ভেসে কোথায় চলে যেত কারও ধারণাও নেই। সেজন্যই কন্ট্রোল আনাটা জরুরী ছিল কারও কারও জন্য (সবাই জানে কাদের জন্য)। কন্ট্রোল করার জন্য কোন মূল্য দিতে হয়নি বললেই চলে, বেজন্মাটাকে লটকিয়ে দেয়ার পরই বেশিরভাগ পাবলিক খুশি হয়ে গিয়েছিল।
ভবিষ্যতেও যদি কেউ ফাকিস্তানের জন্য বুকভরা ভালবাসার ডালি নিয়ে তাদের জন্য বলছি: আমি ফাকিস্তান এবং তাদের ফেলে যাওয়া কীটদের প্রতি এই ঘৃণা নিয়েই চলব যতক্ষণ ফাকিস্তান এবং ফাকিস্তানি গেলমানরা মাফ না চাচ্ছে কৃতকর্মের জন্য। কেউ যদি জার্মানির রেফারেন্স টানে তাহলে বলব, জার্মান এবং ইটালিয়ানরা এখনও লজ্জিত তাদের পূর্বপুরুষদের আচরণের জন্য, হিটলার আর মুসোলিনির নামগুলো পারলে মুছে ফেলে সব জায়গা থেকে। পোল্যান্ডের সাথে সম্পর্ক ভাল করার জন্য, বিধ্বস্ত দেশটাকে গড়ে তোলার জন্য এখনও জার্মানদের চেষ্টার কমতি নেই এবং শুধু এই কাজের জন্য আলাদা ডিপার্টমেন্টই আছে জার্মানদের। তাহলে কাদের কেপিকে ফাঁসিতে লটকালে ফাকিস্তানের এখনও লাগার কারণ কি? আরেকটা স্বাধীন দেশে কি হচ্ছে সেটা নিয়ে এখনও নাক গলাতে আসে কেন?
গুডবাই
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার এই মন্তব্যটিকে পোস্টে তুলে দিতে পারলে সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত সম্মান হতো। আপাতত ব্যস্ত আছি। আশা করি এই পোস্টে আপনি চোখ রাখবেন।
২৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:৪৯
রোকসানা লেইস বলেছেন: ভালোলাগল আপনার শাহবাগ নিয়ে সেই সময়ের ছবি এবং ঘটনাগুলো আবার দেখে।
২৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:১৬
অন্তরন্তর বলেছেন: কাভা চমৎকার পোস্ট। শাহবাগ মিথ্যে হয়নি, শাহবাগের জন্যই কাদেইরা **জের ফাসি হয়েছে। তারপর আরও অনেকের ফাসি হয়েছে একমাত্র এই শাহবাগ আন্দোলনটির জন্য। পরে শাহবাগ কি হয়েছে সেটা জানার দরকার নাই। আমাদের একটাই দাবি ছিল জামাতি জা***র ফাসির জন্য, এবং সেটা সম্ভব হয়েছে শাহবাগের জন্য। আমি মনে করি কাদের জার** ফাসির পর শাহবাগ বন্ধ হবার দরকার ছিল। পরে আবার দরকার পরলে আবার গনজমায়েত হতে পারত রাজাকার ইস্যু নিয়ে। শাহবাগ আন্দোলন ছিল শুধু রাজাকারদের ফাসির জন্য। আর কিছু করাই বা আশা করাই উচিত হয়নি। আপনার পোস্টে কোন জামাতি জা**দের তেনা পেঁচানো দয়া করে এলাউ করবেন না। শুভ কামনা।
২৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৩৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা ,
একটি দলিল ।
শাহবাগ নিয়ে আপনার অনুভূতি কাজ করেনা, বলেছেন । করে এবং করবে আগামীতেও নইলে এতোদিন পরে এরকম পোস্ট দিতেন না ।
আমার করে এবং করবেও । কারন আমি স্বাধীনতার আকাঙ্খা দেখেছি প্রতিটি মানুষের চোখেমুখে সেই সত্তর- একাত্তরে ।
আমিও বেশ কয়েকবার শাহবাগে গিয়েছি নিজের বোধ থেকে । নিজের চেতনার গভীরতম অনুভব থেকে । শুধু দেখতে কারা এই তরুন যারা স্বাধীনতা আন্দোলনের সেই তুমুল দিনগুলো দেখেনি অথচ কি নিঃসীম গভীরতায় তাকে চাইছে ভালোবেসে । আবেগে , শ্রদ্ধায় মাথা নত করেছি তাদের কাছে । একাত্ম হয়েছি তাদের চাওয়ার সাথে , যে চাওয়া ছিলো রাষ্ট্রেরই প্রথম কর্তব্য । আমার তো মনে হয় , ঐদিনে একটিই রাষ্ট্র ছিলো মানুষের - শাহবাগ ! আমার মতো লাখো মানুষের এই রকম অনুভূতিই কাজ করে ।
শাহবাগের প্রাপ্তি মোটেও নগন্য নয় । শাহবাগের যা প্রাপ্তি তা ব্লগার অন্তরন্তর নিজের ভেতর থেকেই বলেছেন । ওটুকুই শাহবাগের , আমাদের অর্জন । দেশপ্রেম বলতে কারো ভেতরে যদি সামান্যতম কিছু বোধ কাজ করে তবে শাহবাগ তাদেরই প্রতিনিধি ।
ুশাহবাগের এই বিমূর্ত বোধের সাথে যাদের পরিচয় নেই তারাই শাহবাগ নিয়ে কূটতর্কে মাতেন । বুঝতে হবে এদের কোনও দ্বিতীয় - তৃতীয় এজেন্ডা আছে যা রাজাকার , আল-বদর, আল-শামশ এর প্রতি অন্ধভক্তি থেকে উৎসারিত ।
শাহবাগের জন্ম হয়েছিলো রাজাকারদের ফাঁসির দাবীতে , সে দাবী ৯৯% ই পূর্ণতা পেয়েছে নইলে আন্দোলনের কারনে যাদের যাদের ফাঁসি হয়েছে তারা এখন দু'আঙুলই শুধু তুলতোনা , কোনও বিশেষ জায়গায় ঢুকিয়েও দিতো । এতে যাদের কিছু যায় আসেনা, শাহবাগ নিয়ে গাত্রদাহ তাদেরই ।
সোজা প্রিয়তে ।
৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:০২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রিয় আহমেদ জী এস ভাই!! কেমন আছেন? অনেক দিন কথা হয় না!!
২৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৯
নাইম রাজ বলেছেন: একটি সময় নতুন করে আবারো শাহাবাগের আন্দোলন শুরু হবে তখন আবার নতুন শাহাবাগি আন্দোলনকারী থাকবে নতুন
করে রাজাকারদের লিস্ট খসরা চূরান্ত হবে । তখন যদি সঠিক ভাবে বিচার কার্যকর হয় রাজাকারদের। এ সরকারের আমলে
সেটা সম্ভব না। ৬৫ হাজার গ্রামের ১৩০ হাজার জন রাজাকার ছিল তার মধ্যে মনে হয় না ৩০ জনেরও বিচার হয়েছে তাহলে
বাকি ১২৯ হাজার ৯৭০জন রাজাকার কোথায় ?
২৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:১৭
আশা প্রত্যাশা বলেছেন: ভাই আমার রুমমেট এবং বন্ধুরাও যাইতো এবং ওখান থেকে ফেরার পথে প্রত্যেকে ৩০০ টাকা করে এবং এক প্যাকেট বিরিয়ানী নিয়ে আসতো। জানিনা সেগুলো কোথা থেকে আসতো? পরে আমরা অনেকেই সেই টাকা থেকে অন্য কিছু কিনে খেতাম এবং বিরিয়ানীও খেতাম।
৩০| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:১৮
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: সবকিছুই আমাদের আবেগি মনকে কাজে লাগিয়ে ফায়দা হাসিলের ধান্ধা।
সুপরিকল্পিত কিছু প্লান থাকে যেগুলো আমাদের বোধশক্তিতে ধরা পরে না। যেটাকে সহজে বলা যায়, জনগণের সমর্থন আদায় করে জনগণকে পিষ্ট করা
৩১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:২৪
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: তবে ভাউ, আমরা সার্থক, সফল। রাজাকাররা আজ ভূপৃষ্ঠের গহ্বরে। নতুবা ওরা আজ আরো শক্তিশালী হয়ে উঠতো। শালার জামাত শিবির আজ কাদামাটিতে হাবুডুবু খাচ্ছে। অদের চিরন্তন ধ্বংস কামনায় এই বাংলা সজাগ থাকবে ইনশাআল্লাহ।
৩২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:২৯
তারেক ফাহিম বলেছেন: শাহবাগের আন্দোলনের পর ব্লগারদের সাধারণ মানুষ বেশি খারাফ ভাবা শুরু করল।
যার গ্লানি আজও ব্লগারগণ টের পাচ্ছে।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:০৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রিয় তারেক, অনুগ্রহ করে বানান বা টাইপো নিয়ে একটু সর্তক থাকুন। বিষয়টি দৃষ্টিকটু।
শাহবাগকে রাজনীতি করন করা হয়েছে, বলীর পাঠা বানানো হয়েছে সাধারন ব্লগারদের। তবে সেটা ছিলো সাময়িক, সাধারন মানুষ এখন ধীরে ধীরে ব্লগারদের সম্পর্কে জানতে পারছেন, দুর হয়ে যাচ্ছে ভুল ধারনা।
৩৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৪৭
অাব্দুল্লাহ অাল কাফি বলেছেন: তরুনরা আন্দলনে নামলে টিয়ারগ্যাস টিয়ারশেল মেরে চোখ কানা করে দেয়া হচ্ছে।পুলিশের লাঠিয়াল বাহিনী মেরে ছাত্রদের হাত পা খোড়া করে দিচ্ছে।
আজকের তরুনরা চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনশনে ব্যস্ত।
সরকার নির্বিকার।
কাণ্ডারি,বৈঠা বিহীন তরী কিরুপে স্রোতের ববিপরীতে সমুদ্র পার হবে?
চিন্তার বিষয়!!!!!
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:০৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এটা অবশ্যই দুঃখজনক, তবে আমার পোস্টের সাথে আপনার কমেন্টের কোন মিল খুঁজে পেলাম না। এই পোস্টের বিষয়বস্তুর সাথে মিল রেখে যদি কোন মন্তব্য করতেন, আমি সেটার জন্য অপেক্ষা করছি।
৩৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:২১
মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: শাহবাগ আন্দোলন যখন শুরু হয় তখন ভেবেছিলাম সাধারণ জনতা এবার বোধহয় একটা প্লাটফর্ম পেল তাদের দাবী আদায়ের, কথা প্রকাশ করার। কারণ এই জনসম্মেলনে কোন রাজনৈতিক সংগঠন, আইন বাহিনী কেওই বাধা দিচ্ছিল না। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবেই আসছিল। কিন্তু পরে কিভাবে কিভাবে ম্যানিপুলেশনের মাধ্যমে এই নিরীহ আন্দোলন বিরিয়ানী পার্টি ট্যাগ খেল, তারপর ব্লগাররা নাস্তিক হয়ে গেল। আকাশ থেকে হেফাজতে ইসলাম নামল.... কি আর বলব!
৩৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫০
পুলক ঢালী বলেছেন: কাভা ভাই আপনার পোষ্টটাও একটা ঐতিহাসিক দলিল হয়ে থাকবে।
আমি গিয়েছিলাম মেয়েকে সাথে নিয়ে, আমার মনে হয়েছে আমার চেয়েও নুতন প্রজন্ম হিসেবে মেয়ের এই আন্দোলনের চাক্ষুস স্বাক্ষী হওয়া উচিৎ।
অনেকদূর থেকে আমাদের হাটতে হচ্ছিলো, একটা সিএনজি দেখে বললাম, 'ভাই আমাদের একটু শাহবাগের দিকে এগিয়ে দেবেন ?' বলল, 'সোজা বেশীদুর যাওয়া যাবেনা আপনাদের একটু ঘুরিয়ে কাছাকাছি নিয়ে নামিয়ে দেবো।' বললাম, আপনাকে কত দিতে হবে (ঢাকার সিএনজি বলে কথা!) ?' বললো, 'শাহবাগ যাবেন তো? ভাড়া লাগবেনা।' আমি হৃদয়ে এমন একটা আবেগ অনুভব করলাম যে, চোখ ফেটে জল বেরিয়ে আসার যোগাড়, কোনমতে বললাম, 'ভাই আপনাকে ধন্যবাদ।'
উপরের ঘটনাটাই সাধারন মানুষের নিঃস্বার্থ সম্পৃক্ততার স্বাক্ষ্য বহন করে।
সাধারন মানুষের এই আবেগটাকে আপনার ভাষায় মেধাহীন রাজনৈতিক নেতৃত্ব কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে।
'বিএনপি, রাজাকারদের পৃষ্ঠপোষক দল, তারা এই আন্দোলনকে সমর্থন জানাতে পারেনা। আওয়ামীলীগ এটাকে দখল করার চেষ্টা না করে আদালতকে বলতে পারতো, 'আপনাদের রায় জনতার আদালতে গৃহীত হয়নি আপনারা রায় পুনর্বিবেচনা করুন' তাহলে এই জনতাকে আওয়ামীলীগ আরো কাছে পেতো। এই কাজ না করে বরং ব্লগারদের চরিত্র হননে তাল মিলিয়েছে । অমুক খুন হয়েছে? ও তো ব্লগার! অর্থাৎ ব্লগার খুন করাটা যেন জায়েজ। আর কি কি হয়েছে বিজ্ঞ ব্লগাররা আমার চেয়ে অনেক অনেক বেশী জানেন।
চাঁদগাজী ভাইকে বলবো বুদবুদ থেকেই আগ্নেয়গিরির লাভা উদগীরন হতে পারে।
নব্বইয়ের আন্দোলনে ছাত্ররাই মূখ্য ছিলো এরশাদের পতনের পর ছাত্ররাই শূন্যতা পূরনের জন্য রাজনৈতিক নেতৃত্বকে ক্ষমতায় আনে।
আমার মনে হয়েছে শাহবাগে কারো প্ররোচনায় নয় স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়েই লক্ষ মানুষ এসেছিলো কিন্তু তাদের নেতৃত্ব দেওয়ার মত কেউ ছিলোনা, তাই' ক্ষমতাসীনদের আন্দোলনটিকে দখল করতে সুবিধা হয়েছে।
৩৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৫৩
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
শাহবাগ আন্দোলন প্রথম ১২-১৪ দিন আমার কাছে বিশাল মনে হয়।
১৯৭১ এর পর দেশবাসীদের এতবড় জাগরণ মনেহয় আর দেখা যায়নি।
প্রধান বিরোধী দল ও এরশাদের দল ২৫ দিন বাকরুদ্ধ ছিল। জামাট-শিবির গর্থে লুকাইছিল।
অনেক ছাগুসমর্থক ফেবু-ব্লগে বিরামহীন প্রচারণা চালাচ্ছিল যে এই কাদেরমোল্লা সেই কশাই কাদের না।
কিন্তু তা মিথ্যা প্রমানিত হয় যখন পাকিস্তান পার্লামেন্টে শোক প্রস্তাব আনা হয় "পাকিস্তান রক্ষায় এক বড় সৈনিক শহীদ"।
পৃথিবীর অনেক দেশে জাবতজীবন কারাদণ্ড সর্বচ্চ শাস্তি।
এত বড় দন্ড পেয়েও সে খুসিতে V চিহ্ন দেখিয়েছিল।
অর্থাৎ অপরাধের মাত্রা এত ভয়াবহ যে সর্বচ্চ শাস্তিও তার অপরাধের তুলনায় মামুলি।
৩৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: শাহবাগে আমরা যে দাবী নিয়ে গিয়েছিলাম, তা পূরণ হয়েছে। শাহবাগ নিয়ে আমার মনের ভেতর যে অনুভূতি ছিলো, এখনও তা আছে। মরে যায় নি। শাহবাগ থেকে কেউ কোনো মুনাফা পায় নি, রাজনৈতিক সুবিধা পায় নি, বরং শাহবাগের অছিলায় কিছু মানুষকে চিহ্নিত করে হত্যা করা হয়েছে। শাহবাগে যারা এসেছিলো, তারা সবাই সাধারণ মানুষ। কিন্তু প্রতিপক্ষ ছিলো সংগঠিত এবং ভয়াবহ। তাই অনেক অপপ্রচারের জবাব ঠিকমত দিতে পারি নি আমরা। শাহবাগ ইতিহাসের গবেষণাগারে একটা কার্যকরী লিটমাস পেপার হিসেবে থাকবে। শাহবাগ দিয়ে মানুষ চেনা যায়, চিনেছি, চিনছি।
৩৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:০১
দিবা রুমি বলেছেন: আসলে সে দিনগুলো ছিল।চিরস্বরণীয়।
কখনো এ স্মৃতি ভুলা যাবে না।
৩৯| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৪০
পরম কাঁইজি বলেছেন: ধন্যবাদ ছবিগুলা একটু জাপ্সা তার পরেও ভাল লাগল । সহযোদ্ধা সাথে নিজের ছবি । আরেক বার ধন্যবাদ
৪০| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:২৯
সনেট কবি বলেছেন: শাহাবাগে আপনারা যাদের বিরুদ্ধে শ্লোগান তুলে ছিলেন তারা এদেশের ক্ষমতার অংশিদার ছিল। এরপর কায়দা করে প্রচার করা হলো এটা আসলে নাস্তিকদের একটা আন্দোলন। শাহাবাগের উত্থান মানে নাস্তিকতার উত্থান এটাই আস্তিকদের মাথায় দিয়ে দেওয়া হলো। ফলে জনগণ তাদেরকে বাঁকা চোখে দেখা শুরু করলো। রাজাকার ছেড়ে জনগণ ধর্ম বাঁচাতে তখন মরিয়া। আজ আপনি লিখেছেন। এভাবে যারা জানে তারা লিখতে থাকলে শাহাবাগের প্রকৃত চেহারা পরিস্ফুট হবে।
৪১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৫
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ভাই আমার সমস্যাটা ঠিক করলেন না কেন?
৪২| ২৫ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:০৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মানবতার দাবী নিয়ে প্রিয় ব্লগারের দুয়ারে এলাম।
কালকে ইফতারির আগে পোষ্টটা করেছিলাম! দ্রত্ই প্রথম পেইজ পেরিয়ে যাওয়ায় মনে হয় কম নজর পেয়েছে!
অথৈর জন্য মানবিকতার দাবীতে যাদের কাছে অধিকার আছে মনে করছি-
তাদের নজরে আনতে তাদের বাড়ী বাড়ী ঘুরছি! আশা করি মনে কষ্ট বা বিরক্তি নেবেন না!
আপনার কাছে বিশেষ আব্দার- মানবিকতার দিকে চেয়ে পোষ্টটি নজরে আনার ব্যবস্থা করুন। প্লিজ!
অথৈ আজ থৈ হারিয়ে মৃত্যুর পাঞ্জায়- ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু অথৈ বাঁচতে চায়!
৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:০১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রিয় বিদ্রোহী ভাই, এই বিষয়টি নিয়ে কি করা যায়, এই বিষয়ে ভাবছি। একটু অপেক্ষা করুন প্লীজ।
৪৩| ২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:৫৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
আবারো অনুরোধ, "জোকস" নিকটা একটু কষ্ট করে দেখবেন, ধন্যবাদ।
৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:২১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রিয় চাঁদগাজী ভাই, আশা করি ভালো আছেন। আপনি কোন বিষয়ে অনুরোধ করলে, আমি সেটা অবশ্যই বিবেচনায় আনি। তবে দুঃখজনকভাবে যে ব্লগারের ব্যাপারে আপনি বলেছেন, তিনি গত এক বছরে প্রথম পাতায় লেখা প্রকাশের ক্ষেত্রে তেমন কোন পোস্টই দেননি। যা দিয়েছেন, সেইগুলোকে কোন নির্দিষ্ট পর্যায়ে ফেলা খুবই কঠিন। আমি বিষয়টা মাথা রাখছি, আপনার মাধ্যমে উনার প্রতি অনুরোধ হইল তিনি যেন প্রথম পাতায় প্রকাশযোগ্য নূন্যতম মানসম্মত কিছু পোস্ট প্রকাশ করেন।
৪৪| ২৯ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫৪
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: মোজাদ্দিদ ভাই, আমার নিকটা কি ব্লগার_প্রান্ত করে দেয়া যায়। সবাই ভাবে আমার নাম প্রান্তর। ধন্যবাদ।
৪৫| ৩১ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩০
চাঁদগাজী বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৪৬| ১৯ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:০৮
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ভাই আমার সমস্যাটা ঠিক করলেন না কেন? দয়াকরে বলবেন কি?
৪৭| ২১ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৩১
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ জানবেন।
৪৮| ২১ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯
ন্যায়দন্ড বলেছেন: অনেক দিন হলো ব্লগে রেজিষ্ট্রেশন করেছি, কিন্তু এখনো প্রথমপাতায় আমার লেখা আসে না।
যতদূর জানতে পেরেছি আপনি এসব ব্যাপারে হেলপ করেন।
আমাকেও হেলপ করেন।
প্রথমপাতায় লেখার অনুমোদনের ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করছি।
৪৯| ১২ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:০৫
মেহেদী হাসান মানিক বলেছেন: শাহবাগের শুরু এবং শেষ পরিণতি নিয়ে ক্যাচাল হতে পারে কিন্তু লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। এইটাই সফলতা।
৫০| ১২ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:০৭
মেহেদী হাসান মানিক বলেছেন: আফসোসের বিষয় হল এই মঞ্চ জনগণের মঞ্চ হতে পারত। সকল অন্যায়ের প্রতিবাদের মঞ্চ হতে পারত কিন্তু হয়নি
৫১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:০৫
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: পুরোই নস্টালজিক হয়ে গেলাম। তখন ছিলাম স্টক হোমে। সারগেলসতোরীতে আমরাও ছিলাম। সময়টা ছিলো একটা দ্রোহের.....................
৫২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৫
আমি সাজিদ বলেছেন: ভালো লেখা। শাহবাগ মুভমেন্টের পটপরিবর্তন আমাকেও হতাশ করেছে। এমন গণজাগরণ আমাদের দেশে আগামী বিশ বছরেও হবে বলে মনে হয় না! জানি না!
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৪৬
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: যুদ্ধের সময় যারা বাংলাদেশের পক্ষে ছিলনা তারা নিশ্চয় দেশের শত্রু।এই সব শত্রুরা কি করে দেশের সম্মানিত পদে ছিল এত বছর ধরে ( এখনও হয়তো কেউ কেউ আছে)সেটাই ভেবে পাইনা।রাজনৈতিক উদ্দ্যেশ্য হাছিল করার জন্য সব দলই হয়তো এই সব যুদ্ধাপরাধীদের ব্যবহার করেছে।
গনমানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক হোক।দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে জাগ্রত হতে হবে।