নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বহুদিন আগে কোন এক বারান্দায় শেষ বিকেলের আলোয় আলোকিত উড়ন্ত খোলা চুলের এক তীক্ষ্ণ হৃদয়হরনকারী দৃষ্টি সম্পন্ন তরুনীকে দেখে ভেবেছিলাম, আমি যাদুকর হব। মানুষ বশীকরণের যাদু শিখে, তাকে বশ করে নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দিব সারাটি জীবন।

কাল্পনিক_ভালোবাসা

একদিন সব হাসির ময়নাতদন্ত হবে, ফরেনসিক রিপোর্টে লেখা থাকবে - সবই মিথ্যে।

কাল্পনিক_ভালোবাসা › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি ইন্টারভিউ ও আমাদের তথাকথিত বাকস্বাধীনতা।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩০

মোঃ মাইদুল সরকার ভাই একটি পোস্ট দিয়েছেন, পোস্টের শিরোনাম হচ্ছে,ব্লগ নিয়ে বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন- ব্লগিং: বাংলাদেশে একসময়কার জনপ্রিয় ব্লগিং যেভাবে হারিয়ে গেল এই পোস্টটি মুলত বিবিসিতে প্রচারিত খবরের উপর ভিত্তি করে লেখা। পোস্টে ব্লগ সম্পর্কে বিভিন্ন কথা বলা হয়েছে যেমন, কেন ব্লগার কমে গেলো, সামাজিকভাবে ব্লগারদের কি সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছিলো ইত্যাদি। বিবিসির প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ব্লগাররা নাকি দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। কথাটা যদি বলা হতো, নিরাপত্তাহীনতার কারনে অনেক ব্লগার বিশেষ করে যারা প্রচলিত ধারার বিপরীতে লিখেন, তাঁরা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, তাহলে কথাটা যৌক্তিক হতো। আমি ব্লগারদের জেনারালাইসড করার বিপক্ষে। কারন ব্লগারদের জেনারালাইসড করার কারনেই ব্লগারদের প্রতি বিরুপ মনোভাব সৃষ্টি হয়েছিলো, স্বাধীন মত প্রকাশ ও লেখালেখির সৃজনশীল ধারাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিলো। আমি চিরকাল তথাকথিত সুশীল মিডিয়ার বিপক্ষে চিরকাল অবস্থান করেছি, এটা আমার একান্তই ব্যক্তিগত অবস্থান। ফলে বিভিন্ন চ্যানেলে এখন আর আগের মত ডাকে না (ভাত নাই) । যদি একটা সময় প্রচুর আমন্ত্রন পেতাম।

যাইহোক, বিবিসি নিয়ে আমার একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি। ফেসবুকে অনেক বন্ধুই বিষয়টা সম্পর্কে জানেন। ব্লগে হয়ত তেমন কেউ জানেন না। ২০১৫ সালে ইসটেল ডোয়েল নামের বিবিসির একজন সিনিয়র সাংবাদিক বাংলাদেশের ব্লগ, ব্লগার এবং বাকস্বাধীনতার বিষয় নিয়ে প্রতিবেদন করতে বাংলাদেশে আসলেন। তিনি বাংলাদেশে আসার বেশ কয়েকদিন আগে আমার সাথে স্কাইপে যোগাযোগ করে একটি নির্দিষ্ট দিন তারিখ ঠিক করলেন। নির্দিষ্ট দিনে তিনি বিবিসি নিউজের স্থানীয় প্রতিনিধি সহ একটি শুটিং টিম নিয়ে আমার অফিসে হাজির। স্বাভাবিক কুশলাদি বিনিময়ের পর তিনি বাংলাদেশের ব্লগ, ব্লগার এবং মত প্রকাশের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলেন।

আলোচনায় একটা পর্যায়ে তিনি আমার একটি বক্তব্যকে কোট করে এর ব্যাখ্যা জানতে চাইলেন। আমার বক্তব্যটি ছিলো - নানা প্রতিবন্ধকতা স্বত্তেও বাংলাদেশে ব্লগ চর্চা অব্যহত আছে। শুধুমাত্র ব্লগিং করার জন্য কেউ কোন প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছেন বলে আমার জানা নেই এমন কি যারা রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় ক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্নমত প্রকাশ করেন তারাও কোন সরাসরি হুমকির মুখে আছেন বলে মনে হয় না। তবে মত প্রকাশের ক্ষেত্রে যারা চুড়ান্ত উগ্রপন্থী, যারা প্রচলিত জীবন ব্যবস্থা, দেশের সমাজ ব্যবস্থা, সংস্কৃতি ইত্যাদিকে তোয়াক্কা না করে বাকস্বাধীনতার নামে হেট স্পীচ দিয়েছেন তারাই মুলত আরেক শ্রেনী উগ্রপন্থী দ্বারা হুমকির শিকার হয়েছেন। এই দুই শ্রেনীয় উগ্রপন্থীদের কারনে সাধারন ব্লগাররা ক্ষতিগ্রস্থ এবং স্বাভাবিক আলোচনার জায়গাটিও স্থিমিত।

ইসটেল ডোয়েল আমার উপরের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বললেন - আপনি কি এই বক্তব্যটি দ্বারা 'ব্লগারদের' উপর হামলাকে যৌক্তিক করে তুলছেন না? ইসলামিস্টরা কি এটার সুযোগ নিবে না?

আমি ভদ্রমহিলার উদ্দেশ্য নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্ত ছিলাম। এই প্রশ্নের পর আমি তার মোটিভ স্পষ্টভাবেই বুঝতে পারলাম। আমি বললাম, দুঃখিত ডোয়েল, আপনি আমি ব্লগারদের জেনারালাইসড করতে পারি না। ফলে আমরা যে কোন ইস্যুতেই বলতে পারি না ব্লগারস'। আমরা যেটা বলতে পারি তা হচ্ছে - কিছু ব্লগার তাদের স্বাধীন মত প্রকাশে কিছু উগ্রপন্থীদের দ্বারা হুমকি বা বাঁধা প্রাপ্ত হয়েছেন। আমরা যে কোন ধরনের উগ্রবাদিতাকে সমর্থন করি না। উগ্রবাদে ভালো কিছু নেই। উগ্রবাদ শুধু মাত্র ধ্বংস করে। তাই আমরা সামগ্রিক ঘটনার নিন্দা জানাই। একই কথা তথাকথিত 'ইসলামিস্ট' অর্থাৎ যারা কট্টরপন্থি বা জঙ্গীবাদ সমর্থনকারী তাদের জন্যও প্রযোজ্য। আমাদের মনে রাখতে হবে, কোন যুক্তিতেই জঙ্গিবাদ বৈধতা লাভ করতে পারে না, মানুষ হত্যা জায়েজ হয়ে পারে না, হোক সেটা ধর্ম বা রাজনৈতিক কারনে। যিনি ধর্মের নামে, কট্টরপন্থার অনুসরনকারী হিসাবে যে কোন প্রেক্ষাপট থেকে মানুষ হত্যাকে জায়েজ ভাবেন, তিনিও একজন জঙ্গি অর্থাৎ সন্ত্রাসী। তিনি কোন ধর্মের বরপুত্র কিংবা আদর্শ নন। শ্রেফ একজন অপরাধী। তবে, ইসলামিস্ট বলতে যদি আপনি সাধারন মুসলিমদের বুঝিয়ে থাকেন, তাহলে আমি ব্যক্তিগতভাবে ধরে নিবো আপনার ইংরেজীতে দুর্বলতা আছে।

আমার কথা শুনে ব্রিটিশ ভদ্রমহিলার চেহারা লাল হয়ে উঠল। ঠিক সেই মুহুর্তেই আমার অফিসের সহকারীরা স্ন্যাক্স আর কফি পরিবেশন করা শুরু করলেন। আমি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য উচ্চস্বরে হেসে বললাম, জোকস এপার্ট ডোয়েল ! লেটস হ্যাভ সাম টি।

বিবিসির পুরো টিম হতাশ। ডোয়েল তারচেয়েও বেশি হতাশ। প্রোগ্রাম ডিরেক্টর একবার আমার দিকে তাকাচ্ছেন আর একবার ইসটেলের দিকে তাকাচ্ছেন। ভদ্রমহিলা ফিসফিস করে টিমকে বললেন, নাহ! আমি একে দিয়ে আশানুরূপ বক্তব্য পাচ্ছি না। ও কিছুই বলতে চাইছে না।

বিবিসির যে বাংলাদেশী প্রতিনিধি ছিলো, (খুব সম্ভবত সালমান নাম ছিলো) তিনি বললেন আপনার কথা শুনে তো বাকস্বাধীনতার কোন সমস্যা টের পাওয়া যাচ্ছে না। আপনি তো খুব সেফ খেলছেন। উনি একটু স্ট্রং বক্তব্য চাচ্ছে।

আমি বললাম, নতুন জিনিস শেখা হলো। জানলাম যে, বাকস্বাধীনতা মানেই ধর্মের সাথে সহবাস! সেটা জোর হোক কিংবা আপোষে।
বাংলাদেশী প্রতিনিধি বিব্রত হয়ে বললেন, আরে নারে ভাই! উনি জানতে চাচ্ছেন বাংলাদেশে মত প্রকাশ নিরাপদ কি না?

আমি বললাম, এক কথায় এটার জবাব দিতে গেলে বলতে হবে না! অন্যের মতকে শ্রদ্ধা করার সংস্কৃতি বাংলাদেশে এখনও তেমনভাবে গড়ে উঠে নি। এর পেছনে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা, সামাজিক মুল্যবোধ, রাজনৈতিক প্রভাবের দায় আছে। কোনটা হেইট স্পীচ আর ফ্রিডম অব স্পীচ সেটার পার্থক্য আমরা এখনও শিখিনি ফলে শিক্ষিত অশিক্ষিত দুই শ্রেনীর মানুষই অনেক সময় উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে হেইটস্পীচকে তাদের ফ্রিডম অব স্পীচ বলে চালিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা করে। অবশ্য যেখানে উন্নত বিশ্বের মানবতা এবং বাকস্বাধীনতার বাটখারা হিসাবে পরিচিত জাতির কিছু নাগরিক আমার মতকে স্বতস্ফূর্ত ভাবে মেনে নিতে অস্বস্তি বোধ করছে, ভাবছে আমি 'সেফ' খেলছি
সেখানে বাংলাদেশ তো শ্রেফ তৃতীয় বিশ্বের একটি সামান্য দেশ মাত্র।

চারিদিকে শুনশান নিরবতা। রুমের ভেতর সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। আমি বিবিসির বাংলাদেশী প্রতিনিধির দিকে তাকিয়ে নির্বিকারভাবে বললাম, একটু সহজভাবে বলি। ব্রিটিশরা এই দেশে যে অত্যাচার করেছে, এই মর্মে আমি যদি এই সব ব্রিটিশদের চৌদগুষ্টি তুলে গালমন্দ করি, সেটা কি হেট স্পীচ না ফ্রিডম অব স্পীচ? যদি হেট স্পীচ হয় আমি দিবো না। আর যদি ফ্রিডম অব স্পীচ হয়, আমি এক্ষুনি দিবো।

বাংলাদেশী প্রতিনিধি আর কিছু বললেন না। ডোয়েলের দিকে তাকালেন। বেচারীর চোখে মুখে কেমন একটা হতাশার ভাব। তাড়াহুড়া করে আমাকে বললেন, লাস্ট প্রশ্ন। যে সকল ব্লগাররা ধর্ম বিশ্বাস করেন না, যারা নাস্তিক ব্লগার তাদের ব্যাপারে আপনার কি ধারনা?
আমি জিজ্ঞেস করলাম, আমার কি ধারনা মানে?

পাশ থেকে প্রোগ্রাম সহকারী কিছুটা বিরক্ত হয়ে বললেন, তাদের অধিকার সম্পর্কে, তারা যে হুমকিতে আছে, সেই সম্পর্কে আপনি কি ভাবছেন?

আমি বললাম, দেখুন, কে আস্তিক বা না নাস্তিক হবে এটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কারন ধর্ম একটি ব্যক্তিগত বিষয়। আমাদের দেশে নানা ধর্মের লোক যুগযুগ ধরে মিলে মিশে বাস করে আসছে। এই দেশে হাজারো মানুষ আছে যারা ধর্মে বিশ্বাস করে না। এদের নিয়ে সমাজের মাথা ব্যাথা শুধু মাত্র ঘৃণা প্রকাশ করা পর্যন্ত। ব্যস আর কিছু না। শুধু ধর্ম বিশ্বাস না করার কারনে মেরে ফেলা হবে - এই ভয়ংকর চর্চা থেকে আমরা এখনও কিছুটা দুরে আছি। তবে ধর্মকে যারা হাতিয়ার বানাতে চায়, তাদের যদি নিয়ন্ত্রন না করা যায় তাহলে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ একটি কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি পড়বে। পাশাপাশি, যারা শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট ধর্মকে সংখ্যাগুরুর কারনে অশ্লীল ভাষায় আক্রমন করেছে, কারো বিশ্বাসের স্থানকে বাকস্বাধীনতার দোহাই দিয়ে অযৌক্তিকভাবে অশ্লীল আক্রমন করেছে তারা আরেক শ্রেনীর উগ্রপন্থি দ্বারা হুমকির মুখে আছে এটা শতভাগ নিশ্চিত। এই দুই ধরনের উগ্রবাদিদের সাথে সাধারন মানুষের কোন সম্পৃক্ততা নেই।

হ্যাঁ এটাও সত্য যে, মাঝে মাঝে সাময়িক উত্তেজনায় এবং কিছু উগ্রবাদীদের প্ররোচনায় সংখ্যাগুরু দ্বারা সংখ্যালুঘুদের উপর হামলা হয়। কিন্তু এটা যতটা না ধর্মীয় প্রয়োজনে হয়, তারচেয়ে বেশি রাজনৈতিক প্রয়োজনে। এই হাতিয়ারের অন্যায় বলি হচ্ছে তথা কথিত নাস্তিকরা।

যাইহোক, আরো কিছুক্ষন প্রাণবন্ত আড্ডা ও আলাপের পর আমার ইন্টারভিউ শেষ হয়। বলাবাহুল্য, আমার ইন্টারভিউটি প্রকাশিত হয় নি। ইউটিউবে এই ডকুমেন্টারীর একটা ভিডিও আছে। মৃদ্যু হেসে সেদিন বুহলাম, ব্লগ কর্তৃপক্ষকে চুড়ান্ত অশ্লীল গালি, হেট স্পীচ এইগুলো আসলে বাকস্বাধীনতার জন্য আন্দোলন নয় বরং নিজের ভবিষ্যতের জন্য একটি ইনভেস্টমেন্ট।

মন্তব্য ৪৫ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৪৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার অভিজ্ঞতার কথা পড়লাম, মিডিয়াগুলো আসলের সাথে কিছু 'গরম' মসলা চায়, যাতে লোকজন পড়েন।

মাইদুল সরকার অনেকদিন আছেন ব্লগে, ব্লগিং'এ ভাটার ব্যাপারে উনার পোষ্টে উনার নিজস্ব কোন পর্যবেক্ষণ নেই; এবং বিবিসি যা লিখেছে, সেটার উপরও উনার নিজস্ব কোন মতামত নেই।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এটা যে কোন পত্রিকার একটি আদর্শ। তবে বিখ্যাত সংবাদ মাধ্যমগুলোর আরো বেশি উদারপন্থি হওয়া প্রয়োজন।

২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩

জুন বলেছেন: প্রানবন্ত আড্ডা :-*

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা। ইয়ে মানে আর কি! জুন আপু আশা করি আপনি ভালো আছেন।

৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৫

নতুন বলেছেন: সাংঘাতিকরা গরম খবর চায়, যেই খবর বাজারে খাবে সেটা তাদের ভালো লাগবে। উচিত কথায় বেজার হবে সেটাই সাভাবিক।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: জী ভাই, এটাই কঠিন বাস্তবতা।

৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৮

অধীতি বলেছেন: আহা।বেচারী শীতের দিনে এসে চা চাইছিলো আপনি কিনা আইসক্রিম দিলেন।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: :( সবাই আমাকে খারাপ ভাবছে।

৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মিডিয়াই বলি আর ব্যক্তিই বলি,প্রত্যেকেরই একটা উদ্দেশ্য থাকে।সে চায় তার উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হুমম। সত্য কথা।

৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিবিসির মত একটা গণমাধ্যম সংস্থার প্রতিনিধিও যদি আগে থাকতেই এজেনডা ঠিক করে তারপর সাক্ষাতকারে পছন্দ মত বক্তব্য আশা করে তাহলে তো বিপদের কথা। কারণ বিবিসির উপর বাংলাদেশের মানুষের দীর্ঘদিনের একটা আস্থা এখনও কিছুটা আছে (যদিও ইরাক যুদ্ধের সময় এদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল)। আপনি সাদা চামড়া দেখেও অন্য অনেক সুবিধাবাদী বাঙ্গালীর মত যে ওদের কাছে নিজের বিবেককে বিক্রি করেননি এজন্য আপনাকে অনেকগুলি ধন্যবাদ।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহা পছন্দের মতামত পেলে আজকে আমরা কা_ভা কে দেখতাম। একজন ইয়াং লিডার হিসেবে ব্রিটেনের রানীর হাতে থেকে পুরস্কার নিচ্ছেন।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা হা। আপা আবেগে চোখে পানি চলে আসলো!!

৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




কাল্পনিক_ভালোবাসা ভাই,
বাংলাদেশী নাগরিক যারা প্রবাসে থাকেন এবং যারা প্রবাসে থিতু হয়েছেন তাদের বড় একটি অংশ দেশে এসে প্রবাসে ফিরে যাওয়ার সময় ঢাকা থেকে জাস্ট প্লেনে চড়েই দেশের বদনাম শুরু করে দেন। এছাড়া দেশের মানুষ সারা জীবন নিজ দেশের বদনাম করছেন। পত্রিকাদের একমাত্র কাজ দেশের বদনাম করা। এতো কিছুর পর প্রবাসী নিউজগুলো বাংলাদেশ থেকে বদনামই জানতে চান, কখনো কোনো সুনাম নয়। আপনি আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করবেন আমাদের পাশের দেশ ভারতের কোনো দৈনিকে বাংলাদেমের খবর ছাপা অর্থ হচ্ছে নিশ্চয় কোনো খারাপ খবর তথা:- ধর্ষণ, এসিড, খুন, ডাকাতি, বন্যা ইত্যাদি।

বিবিসি আপনার কাছে দেশের - সমাজের - মানুষের বদনাম আশা করছিলেন - তারা হতাশ হয়েছেন জেনে ভালো লাগছে। শুভ কামনা রইলো।


২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভাইয়া, দেশের বদনাম আমি বিদেশীদের সামনে করতে চাই না। এটা আমার পছন্দ না। তবে আমি নিজেদের সমালোচনা করার পক্ষে। আবার যেকল প্রবাসী বাংলাদেশে এসে রাস্তায় চিপসের প্যাকেট, থুতু ফেলে আবার ওভার ব্রিজের বদলে নিচে দিয়ে রাস্তা পার হয়ে প্লেনে উঠে দেশের বদনাম করে - এরা আসলে প্রকৃত রেফিউজি, অনেক ক্ষেত্রে জন্ম পরিচয়হীন। আমি এদেরকে রাজাকারদের মত না হলেও প্রায় কাছাকাছি ঘৃণা করি।

৯| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৭

জাহিদ হাসান বলেছেন: আমি ব্লগ ছেড়েছি চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরের দিকে। বলতে গেলে চিরতরে অবসর নিয়েছি।
সামান্য কিছু কারণে আমাকে ব্লগে সেফ থেকে জেনারেল করে রাখা হয়েছে। এটা যেমন একটা কারণ ছিল, তেমনি পুরনো পরিচয় ছেড়ে নতুন পরিচয়ে বাঁচার ইচ্ছাও ছিলো। ব্লগে আমি খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলাম। ব্লগ থেকে অবসর নিয়ে এখনও মাঝে-মাঝে সেদিনগুলোর কথা মনে করি।

মাঝে মাঝে ব্লগে পাঠক হিসেবে আসি, কারণ চাঁদগাজীর লেখা রাজনৈতিক বিশ্লেষণ ভালো লাগে। পাঠক হিসেবেই মন্তব্য করি, ব্লগার হিসেবে নয়। ফেসবুকে এখন ভিন্ন স্বাদের কবিতা লিখছি। যারা চান তারা আমার ফেসবুক আইডি ফলো করতে পারেন।

ফেসবুকে আমার পোস্ট করা সাম্প্রতিক কবিতা-

ভিভা লা মেক্সিকো,আমার অপেক্ষায় থেকো,একদিন আসবোই।
হাজারও সমস্যা সরিয়ে দিয়ে,নিন্দুকের হাসিকে অবজ্ঞা করে।
তোমাকে আমি ভালোবাসবোই।

ভিভা লা মেক্সিকো,অপেক্ষায় থেকো, রৌদ্রস্নাত সমুদ্রতটে-
অচেনা রমনীর সাথে বিজয়ীর হাসি হেসে ভাগ করে নেবো টাকিলা !
ভিভা লা মেক্সিকো, ভিভা লা -


জাহিদ হাসান শিশির

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কবিতা ভালো লাগে নি, দুঃখিত।

১০| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: খুব ভাল লাগলো লেখাটা পড়ে। ফ্রিডম অফ স্পীচ এবং হেট স্পীচ এর মাঝে যে ফারাক , ধার্মিক এবং উগ্র মৌলবাদের মধ্যকার ফারাকটাও তাই। হেট স্পীচ এবং উগ্র মৌলবাদ যদিও ভিন্ন দুই ধারা কিন্ত একই চিন্তাধারার।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ পড়ার জন্য। যে কোন ধরনের উগ্র আচরন সমাজে অশান্তি আনে।

১১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৩

সোহানী বলেছেন: সত্যটা প্রথম মন্তব্যকারী চাঁদগাজী ভাই থেকে শুরু করে সবাই আসল সত্যটাই তুলে ধরেছেন। তবে মনিরার মতো আপনার জন্য আফসোস থাকলো। আহারে, না পারলেন রাণীর হাত থেকে ইয়ং লিডারের পুরস্কার নিতে কিংবা না পারলেন দলীয় বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে বিশেষ পুরস্কার নিতে :P

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা। এখন আপনারাই কিছু একটা ব্যবস্থা করেন প্লীজ।

১২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ধর্ম যার যার ব্যক্তিগত বিষয়। কে আস্তিক কে নাস্তিক এইটা নিয়ে সময় নষ্ট করার দরকার নাই। সব ধর্মের লোক মিলে মিশে ভালোই আছি আমরা।

১৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: একটি চমৎকার তথ্য শেয়ার করেছেন,ঈজন্য ধন্যবাদ।
একেবারে শেষের কথাটা, "নিজের ভবিষ্যতের জন্য একটি ইনভেস্টমেন্ট" - ওটাই এসব অপপ্রচারের একটা বড় কারণ।

১৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট দিয়ে ভালো করেছেন।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ইয়োলো জার্নালিজম বর্তমান সময়ে জার্নালিজমের সাফল্যের একটি অন্যতম পন্থা। প্রকৃত সত্যকে নয়, মিথ্যাকে সুন্দর মোড়কে উপস্থাপন করা বর্তমান সময়ের একটা ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিবিসির ক্ষেত্রে আপনার অভিজ্ঞতাটা ভালো লেগেছে। ।
শুভকামনা জানবেন।

১৬| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১০

রাকু হাসান বলেছেন:

ব্যক্তিগতভাবে যত সুনামধন্য পত্রিকায় হোক না কেন.. তাদের নির্দিষ্ট এজেন্ডা নিয়েই প্রচার করে।
এসবে অন্ধ বিশ্বাস করতে রাজি নই। এই কাজটিই বারবার করে দেখাচ্ছে আল জাজিরা।আপনার বুদ্ধিমত্তার
প্রশংসা করব। ওরা একটি হট কেক চাচ্ছিলো।আপনার লজিকে একমত। বাক স্বাধীনতার নামে উগ্রবাদীরা
এই সুযোগ নিচ্ছে,এবং আরও নিতে থাকবে বলেই মনে হয়।এসবের আড়ালে প্রকৃত বাকস্বাধীনতা মার
খাচ্ছে বারবার।এসবের অজুহাত দিয়েই বাকস্বাধীনতার কফিনে কি আমরা পেরেক ঢুকাচ্ছি না? আয়নায়
আমাদের বাকস্বাধীনতার গ্রাফটাতে চোখ রাখলে শান্তি পান? উগ্র বাকস্বাধীনতার পাশ কেটে প্রকৃত
বাক স্বাধীনতার চর্চায় সুযোগ আমাদের ক' জন দিচ্ছে? নাকি উগ্রপন্থার সাথে সুস্থ পন্থাও দমন হচ্ছে!!
যখন সেটার পাথর্ক্য রাষ্ট্র করতে পারবে না তখন বাকস্বাধীনতা নামক সোনার হরিণ যাদুঘরেই শোভা পায়।

১৭| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ২:৫৮

কালো যাদুকর বলেছেন: আপনার পোস্টটি আগ্রহ সহকারে পড়লাম। এবং আপনার সাথে একমত হলাম। বিবিসির বা "ড্রাইভ বাই মিডিয়ার" কাছ থেকে এর থেকে আর কি আশা করা যায়।

বাংলাদেশে কোন এক সেতু নিজের অর্থে হয়েছে। এই সব মিডিয়াতে হেডিং হয় - সেতু টিকবেতো?
হ্য়ত বাংলাদেশ দল কোন গেমে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। হেডিং হয় - ৪৯ বছরে মাত্র প্রথমবার বাংলাদেশ জিতেছে।

ইত্যাদি
ইত্যাদি ।

আপনি নিশ্চয়ই আমার পয়েন্ট বুঝতে পারছেন।

১৮| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৪৬

মলাসইলমুইনা বলেছেন: জাদিদ সাহেব,
আপনার অভিজ্ঞতার কথা জানা হলো । চাঁদগাজী সাহেবের মন্তব্যের সাথে খুব বেশি দ্বিমত করা যায় না সবাই সবার নিজের নিজের আঙ্গিক থেকেই যে কোনো ঘটনা দেখে আর ব্যাখ্যা করতে চায়।ওই যে বিখ্যাত সিনেমা "রশোমন" -এ আকিরা কুরাশাওয়া (Akira Kurosawa ) যেমন ব্যাপারটা দেখিয়ে ছিলেন একই ঘটনার বিভিন্ন আঙ্গিক। কিন্তু আপনার মূল যে কোটটা নিয়ে আলোচনা "নানা প্রতিবন্ধকতা স্বত্তেও বাংলাদেশে ব্লগ চর্চা অব্যহত আছে। শুধুমাত্র ব্লগিং করার জন্য কেউ কোন প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছেন বলে আমার জানা নেই এমন কি যারা রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় ক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্নমত প্রকাশ করেন তারাও কোন সরাসরি হুমকির মুখে আছেন বলে মনে হয় না" সেটা সম্পর্কে আমার নিজের ভেতরেই কিছু প্রশ্ন আছে সব সময়। আমি জানিনা ২০১৫ সালে আপনার ইন্টারভিউয়ের সময় এই কথাগুলো সাধাৰণ ভাবে কতটা সত্যি ছিল। কিন্তু এই কথাগুলো কি সাধারণভাবে এখনো সত্যি? স্কুলের ছেলে মেয়েদের পরিবহন ধর্মঘটের কথা আর তা দমনে কর্তৃপক্ষের বর্বরতার কথা নিশ্চই সবার মনে আছে।তখন শিরোনাম হওয়া সেই ফটোগ্রাফার মানুষটার নাম ভুলে গেলাম। আন্তর্জাতিক পরিচয়ের কাৰণে উনি মুক্তি পেলেও অনেকের ভাগ্য কিন্তু এতো সুপ্রসন্ন হয়নি। আমি জানি কিছু মানুষের কথা। যারা নন প্রফিট অরগানাইজেশনের কাজের সাথেই জড়িত।বিশেষ করে হেলথ রিলেটেড কাজে । করোনার মাঝামাঝি সময় মানে ছয় সাত মাস আগে এগুলোর মিস ম্যানেজমেন্ট নিয়ে ফেসবুকে কিছু লিখে সাতমাস ধরে কিন্তু 'শ্রী ৪২০' সিনেমা দেখছে !'ভিন্নমত' বলতে কিছু কি আর আমাদের মেইন স্ট্রিম নিউজ পেপার আর অন্যান্য অনলাইন মিডিয়ায় বা তার বাইরে রাজনৈতিক পরিসরে সত্যি আছে এখনো? যাহোক,এগুলো আপনার কাছে প্রশ্ন না।দেশ ভাবনার সাথে সাথে এই ভাবনাগুলো সব সময়ই মনে হয়। আপনার লেখাটা পড়েও মনে হলো ।

১৯| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এ ধরণের পোস্ট বা লিখা ব্লগের জন্য খুবই উপকারী। কারণ আমরা ব্লগাররা যখন এ বিষয়ে জানবো তখন সহজেই এ ধরণের কোন প্রশ্নে আমাদের অবস্থান পরিস্কার হয়ে যাবে।

আপনি সত্যের সাথে আপোস করেননি বলেই হয়তো তারা আর এটা প্রচার করেনি।

বিবিসি যে ধোয়া তুলসী পাতা নয় সেটা প্রমাণ হলো।


আপনার সাহসীকতা ও আন্তরীকতার জন্য ধন্যবাদ।

আমি শুধু আমার পোস্টে বিবিসি ব্লগ কি বলেছে সেটা ব্লগারদের সাথে শেয়ার করেছি যাতে অনেকে জানতে পারে।

৥ চাদগাজী- আমরা যেহেতু এখানে ব্লগিং করি আমাদে অবশ্যই কিছু দায় রয়েছে।

ব্লগ নিয়ে অনেকেই সুন্দর সুন্দর পোস্ট দিয়েছেন। নিচে আমারসহ কয়েকজনের লিংক দিলাম আপনে পড়ে দেখতে পারেন। অহেতুক অপরকে ভুল ধারনায় ফেলে বিব্রত করবেন না।
প্রসঙ্গ যখন বিষয় ভিত্তিক ব্লগ

ব্লগ নিয়ে জরিপে অংশ নিয়ে সাহায্য করুন

এছাড়াও আরকিওপটেরিক্স, সামুপাগলা০০৭সহ অনেকেই অনেক সুন্দর উপদেশ, পরামর্শ দিয়ে পোস্ট দিয়েছেন।

২০| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: তবে, ইসলামিস্ট বলতে যদি আপনি সাধারন মুসলিমদের বুঝিয়ে থাকেন, তাহলে আমি ব্যক্তিগতভাবে ধরে নিবো আপনার ইংরেজীতে দুর্বলতা আছে। মাইন্ড ব্লোয়িং! আমি নিশ্চিত, ওই ইংরেজ মহিলা বাপের জন্মেও এমন ডায়লগ শোনে নাই। সম্ভবতঃ ফিরে এসে সে ইংরেজি ভাষা শিক্ষা সংক্রান্ত কোন কোর্স করছে!! =p~

আমাদের এই ব্লগেও অনেক বিখ্যাত-অখ্যাত ব্লগার হর-হামেশাই বিভিন্ন বিষয়ে 'জেনারালাইজড' মন্তব্য করে থাকেন। আমি আগে আমার এক পোষ্টেও বলেছিলাম, এটা বুদ্ধি-প্রতিবন্ধিতার একটা নমুনা মাত্র যা কিনা ব্লগারদের মতো একটা প্রাগ্রসর গোষ্ঠির কোন সদস্যের কাছ থেকেই আশা করা যায় না।

সর্বোপরি আপনার চিন্তাধারার সাথে আমার চিন্তাধারার আশ্চর্যজনক মিল দেখতে পেলাম। :)

হেইট স্পীচ আর ফ্রিডম অফ স্পীচ এর মধ্যে পার্থক্য অনেকে যেমন বোঝে না; তেমনি অনেকে আবার বুঝেও না বোঝার ভান করে। দ্বিতীয় শ্রেণীর মানুষগুলো বিপদজনক!!!

২১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৯

আমিন রবিন বলেছেন: আপনার বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকার সবার মত আমারও ভালো লেগেছে। কিন্তু আমি অন্য বিষয়ে বলতে চাই।
আপনি কি সত্যিই বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশে ব্লগিং এখনও দশ বছর আগের মতই আছে? গত ২/৩ বছরে ব্লগের পোস্টগুলো কি আপনার কাছে যথেষ্ট মানসম্মত মনে হচ্ছে? অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া, বিশেষ করে বাংলা কোরা থেকে যেভাবে হুবহু কপি-পেস্ট করে নিজের নামে পোস্ট চালিয়ে দেয়া হচ্ছে এবং সেটাকে অন্যরা না বুঝেই যেভাবে প্রসংসায় ভাসিয়ে দিচ্ছে; তাতেতো আমার মনে হয়না ব্লগিং এর মান খারাপ ছাড়া ভালো কিছু হচ্ছে!
এসব নিয়ে একটা পূর্ণাঙ্গ পোস্ট দেব ভাবছিলাম। তার আগেই মাইদুল ভাই এবং আপনার পোস্ট চলে এল।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। আমি দুঃখিত দেরীতে জবাব দেয়ার জন্য।

আমি অবশ্যই মনে করি না ব্লগিং ১০ বছর আগের মত আছে। প্রযুক্তি, সময়, প্রজন্মের রুচিবোধ, শিক্ষা, সামাজিক সংস্কৃতি ইত্যাদি অনেক কিছু যেমন পরিবর্তন হয়েছে ব্লগিংও ঠিক একই ধারায় পরিবর্তন হয়েছে। ব্লগে লিখতে মানুষ ভয় পায় - প্রধান কারন রাজনৈতিক বা ধর্মীয় নয়, প্রধান কারন হচ্ছে পড়াশোনার দৈন্যতা এবং আমাদের পড়ার অভ্যাস হারিয়ে যাওয়া।

আপনি দশ বছর আগে নিউমার্কেটে কয়টা গল্পের বইয়ের দোকান দেখতেন আর এখন কয়টা দেখেন? পার্থক্য মুলত এখানেই। সমস্যা হচ্ছে আমরা সবাই ব্যস্ত। সবাই এখন লাভ ক্ষতির চর্চা করে। ফলে বুদ্ধিবৃত্তিক সৃজনশীল চর্চাও এখন প্রশ্নবিদ্ধ। মানুষ চায় সহজ জনপ্রিয়তা। ফলে সমাজের একটা বড় অংশ এই দিকে ধাবিত হচ্ছে।

পাশাপাশি, ব্লগ সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য ও ধারনা ইত্যাদি ব্লগ চর্চাকে পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কপি পেষ্ট পোষ্ট বন্ধ তখনই হবে, যখন মানুষ পড়বে। এই ব্লগেই প্রচুর লেখা আছে, যা পুর্বের লেখা থেকে কপি করে অন্য সাইট নিয়েছে। নতুন ব্লগাররা আবার সেই সাইট থেকে কপি করে ব্লগে দিচ্ছে।!!

আপনার পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।

২২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১৬

মেরুভাল্লুক বলেছেন: আমি যখন এই ব্লগটা পড়ছি তখন ব্লগে ১২৮ জন ভিজিটর এবং ১৪ জন ব্লগার। এর মধ্যে ৯৬ জন মোবাইল থেকে ব্লগ ভিজিট করছেন। এখন যুগ পাল্টেছে, ব্লগিং এর যখন স্বর্ন যুগ ছিল তখন এন্ড্রয়েড মোবাইল এতটা এভেইলেবল ছিল না। মানুষ ইন্টারনেট ব্যাবহারের জন্য ল্যাপটপ অথবা ডেক্সটপের উপরে নির্ভর করতো। এখন যুগ পাল্টেছে। যুগের সাথে ব্লগিং সিস্টেম যদি না পালটায় তাহলে আস্তে আস্তে ব্লগ হারিয়ে যাবে। ব্লগ মোবাইল বান্ধব করা উচিত

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হ্যাঁ, আমরা আশা করছি, সামনে এই খরা অবশ্যই কেটে উঠবে।

২৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০১

ঈশ্বরকণা বলেছেন: আজকের প্রথম পাতার এই লেখাটা একটু কষ্ট করে দেখবেন । লেখা সম্পর্কে আপনার মতামতটাও জানালে খুশি হবো ।
ভাস্কর্য বনাম মূর্তি লিখেছেন অদ্বিত, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৬

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এই লেখা সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো, যিনি পোস্টটি লিখেছেন তিনি কোন কারনে প্রচন্ড হতাশায় ভুগছেন। দ্যাটস ইট। উনি যা লিখেছেন, সেটা যে গরুর গোবর হবারও যোগ্য নয়, তা দ্বিতীয়বার পড়লেই বুঝা যাবে।

২৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৮

জিকোব্লগ বলেছেন: আপনি কি ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী নাকি অবিশ্বাসী ?

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার আগ্রহের জন্য। কে ধর্মে বিশ্বাস করে বা কে ধর্মে বিশ্বাস করে না - এটা তো যার যার ব্যক্তিগত বিষয়। আপনি আমার ব্যক্তিগত বিষয় জেনে কি করবেন?

২৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৭

জিকোব্লগ বলেছেন: কারণ আপনার উপরোক্ত ব্যক্তিগত বিষয় ব্লগে প্রভাব ফেলবে।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: না। ব্যক্তিগত মনোভাব মুক্ত হয়ে কাজ করার ক্ষমতা আছে বলেই আমি ব্লগ টিমে কাজ করছি। আমার মতের বিরুদ্ধে বা আমার দর্শনের সাথে যায় না এমন অনেক কিছুই এখানে প্রকাশিত হয়। আমি সেটা পড়ি এবং লেখার প্রেক্ষাপট থেকে সেটার মুল্যায়নও করি।

আমার একটি দুর্বলতা আছে। তা হচ্ছে জামাত শিবির এবং ধর্ম ব্যবসায়ী ও কাঠমোল্লাদের পছন্দ করি না। আমি এদের ঘৃণা করি। যদি কোন ব্লগার সম্পর্কে জানতে পারি তিনি জামাত শিবিরের সমর্থক, তার ব্যাপারে আমার কঠোর মনোভাব থাকে এবং সুযোগ পেলেই আমি তাকে ব্যান করে দেই। পাশাপাশি,যারা ধর্ম বিরোধীতার নামে ধর্ম নিয়ে ঘৃণা ছড়ায় তাদেরকেও দেখতে পারি না। সুযোগ পেলেই তাদেরকেও আমি ব্যান করি।

আমি যতদিন মডারেশনের দায়িত্বে থাকব, জামাত শিবির এবং রাজাকার জাতীয় কোন প্রানীর সাথে আপোষ হবে না। এতে যদি কারো না পোষায়, সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার। কেউ যদি আপত্তি তোলেন- সেটা আই ডোন্ট কেয়ার।

এবং আমি ভালো করে জানি কোন পোস্ট মুছতে হয়, কোন মন্তব্য মুছতে হয়।
আমি এটাও জানি, আপনি কেন আমাকে এই প্রশ্ন করেছেন।

২৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩৯

জিকোব্লগ বলেছেন:



খুবই ভালো সিদ্ধান্ত। আপনি একটি পোস্ট দিয়ে মুছে ফেলেছেন।
সরাসরি জীবনের হুমকিদাতা যেকোন আইডির তথ্য আপনি আইন
শৃংখলা বাহিনীর কাছে অবশ্যই দিতে পারেন। গুড। যেসব আইডি
রসূল (সাঃ) এর অবমাননা করে, বঙ্গবন্ধুর অবমাননা করে, মাননীয়
প্রধানমন্ত্রীর অবমাননা করে, সেসব আইডির তথ্যও আইন শৃংখলা
বাহিনীকে দেওয়া উচিত। এইসব আইডি-ই বিশৃঙ্খলার মূলে থাকে।

২৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৩:৫৩

সোহানী বলেছেন: হবে হবে, একটা পুরুষ্কার আপনার অবশ্যই পাওনা....। সেইটা হলো আমাগো উৎপাত সহ্য করার জন্য বিশেষ "ধৈর্য্য" পুরস্কার! :P

বাই দা ওয়ে, সামহোয়ারের ব্যানারে লেখা ১২তম ব্লগ দিবস। সত্যিই কি ১২তম নাকি আরো বেশী?

২৮| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১২

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: সুন্দর আর্টিকেল লিখেছেন।

২৯| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৫

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ভালো লাগলো ! মিডিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং কিভাবে হয় , মিডিয়াকে কতটুকু বিশ্বাস করা যায় আপনার এই পোস্টে ভাবনার খোরাক যোগাবে !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.