নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বহুদিন আগে কোন এক বারান্দায় শেষ বিকেলের আলোয় আলোকিত উড়ন্ত খোলা চুলের এক তীক্ষ্ণ হৃদয়হরনকারী দৃষ্টি সম্পন্ন তরুনীকে দেখে ভেবেছিলাম, আমি যাদুকর হব। মানুষ বশীকরণের যাদু শিখে, তাকে বশ করে নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দিব সারাটি জীবন।

কাল্পনিক_ভালোবাসা

একদিন সব হাসির ময়নাতদন্ত হবে, ফরেনসিক রিপোর্টে লেখা থাকবে - সবই মিথ্যে।

কাল্পনিক_ভালোবাসা › বিস্তারিত পোস্টঃ

দাসীর প্রসব করা \'মুনিব\' এবং আমাদের স্বর্ণলতারা।

২৯ শে মে, ২০২২ রাত ১:৩৪

মুসলমান সম্প্রদায় তাদের ধর্ম সংক্রান্ত বিভিন্ন বিধি বিধানের জন্য পালনের জন্য কোরানের পাশাপাশি হাদীসও পড়েন। পৃথিবীর শেষ দিনের লক্ষন হিসাবে হাদীস বইয়ে বিভিন্ন কথা বলা হয়েছে, বিভিন্ন ইংগিত প্রদান করা হয়েছে। সেই সকল ইংগিত সমুহের মধ্যে একটি হচ্ছে পৃথিবীর শেষ সময়ে দাসীরা মনিব প্রসব করবেন।

এই সকল ইংগিতকে অনেকেই অনেকভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। সবচেয়ে ভালো ব্যাখ্যা জানেন মহান সৃষ্টিকর্তা। আমরা হয়ত শুধু ধারনা করতে পারি মাত্র। যারা মুসলিমদের কোরান নিয়ে গবেষনা করেছেন তাঁরা দাবি করেছেন বা তাদের মতে কোরানে অনেক কিছুই রূপক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এর সাথে একই মত প্রকাশ করি। পাশাপাশি আমার মনে হয়, মেটাফোর শুধুমাত্র কোরানে নয় বরং হাদীসেও আছে। যার ফলে এই সকল আয়াত বা ঘটনা সমূহ সরাসরি লাইন টু লাইন ব্যাখ্যা করলে তা বর্তমান সময়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ন নাও হতে পারে বা ভুল হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে দাসীরা মনিব প্রসব করবেন - এই লাইনটি ব্যাখ্যা হিসাবে বলা যায়, পৃথিবীতে এমন একটা সময় আসবে যখন প্রবীনরা নবীনদের জন্য কোন জ্ঞান বা অনুসরন করার মত দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হবে না বা অভিজ্ঞদের কাছ থেকে শেখার মত কোন অভিজ্ঞতা থাকবে না বা শিক্ষকদের কাছ থেকে শেখার কিছু থাকবে না।

সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের আশেপাশে এমন অনেক কিছু দেখতে পাচ্ছি যা অনেকটা দাসীর মুনিব প্রসব করার মত। যারা ধর্ম বিশ্বাস করেন না, তাঁরা হয়ত ধর্ম টানায় বিরক্ত হতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে আমরা আধুনিক শিক্ষিত সমাজের চিন্তা চেতনার প্রসঙ্গ টানতে পারি। আধুনিক সমাজে যে নীতি নৈতিকতার মানদন্ড আছে সেই সকল মানদন্ড অনুসারেও 'দাসীর মুনিব প্রসব করা' গ্রহনযোগ্য নয়। যারা আমাদেরকে পথ দেখাবেন, তাঁরাই এখন পথভ্রষ্টের অভিযোগে দুষ্ট। সবচেয়ে আফসোস হচ্ছে, এই সকল প্রসবকৃত "মুনিবরা" নিজেদের ভুল স্বীকার করার সৎ সাহস বা যোগ্যতা রাখেন না। উপরুন্ত তাঁরা নিজেদের মেধা বা ক্ষমতাকে ব্যবহার করেন তাদের ভুলকে সঠিক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে। কেউ শুধরে দিতে চাইলেও তাঁরা সংশোধিত হতে চান না এবং যারা সংশোধন করে দিতে চাইছে তাদেরকে অপবাদ দেন সমাজের জন্য ক্ষতিকর হিসাবে। চারিদিকে এই ধরনের অন্যায় স্বেচ্ছাচারিতার ছড়াছড়ি।

আমাদের মধ্যে একটা শ্রেণী শুধু নিজেদের নিয়েই ভাবতে পছন্দ করে। তারা মনে করেন, সবাইকে একই চিন্তা অনুসরন করতে হবে অথবা তিনি বা তারা যা ভাবছেন - সেটাই সঠিক। একটা জগে যখন অর্ধেক পানি থাকে, তখন সেই চিত্রটিকে দুইভাবে মানুষ ব্যাখ্যা করে। কেউ বলেন - জগটি অর্ধেক পানিতে পূর্ন আর কেউ বলেন, জগটির অর্ধেক খালি। এই যে দুই ধরনের মত প্রকাশ তার কোনটাই কিন্তু ভুল নয়, দেখার ভিন্নতা ছাড়া দুটোই সত্য। একটা ইতিবাচক আরেকটা নেতিবাচক। সম্প্রতি একটা ভিডিও দেখলাম, সেখানে একজন বলল তিনটি তিন দিয়ে ত্রিশ বানাতে। একজন সমাধান দিলো - {(৩√)×৩)+৩ = (৯×৩)+৩ = ২৭ + ৩ = ৩০।

আরেকজন এত কাহিনী না করে, সমাধান দিলো ৩৩ - ৩ = ৩০।

ধরলাম আপনার কাছে প্রথমটাই সহজ বা বুদ্ধিদীপ্ত। এখন দ্বিতীয় সমাধান যিনি দিয়েছেন তাঁকে যদি আপনি বলেন, ডোডো পাখির মগজ কিংবা লিলিপুটিয়ান মগজ - তাহলে এটা কি গ্রহনযোগ্য হবে?

পৃথিবীর কোন আদালত এই ধরনের একটি বক্তব্যকে গ্রহনযোগ্য বলবে বা বলবে এটাই বাকস্বাধীনতা? যদি বলে, আমি সেই আদালতের সন্ধান চাই। সেই আদালতকে যুক্তি দিয়ে বুঝাতে হবে কেন এটা বাকস্বাধীনতা!

হ্যাঁ, এই ধরনের কথা বলা যায়! কাকে বলা যায় কোথায় বলা যায়, সেটা বুঝতে পারাটাও এক ধরনের নূন্যতম সেন্সের বিষয় যাকে সমাজ কমনসেন্স হিসাবে চিহ্নিত করে। যেমন অনেক সময় আমরা এমন অনেক বিতর্কিত মতামত দেখি যা আমাদের সার্বজনীন স্বাভাবিক আদর্শের সাথে যায় না। ফলে তখন সাধারন মানুষ সেই সকল ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দেখায়। সেই সকল বিকৃত বা অন্ধ মানসিকতার লোকদের অনেক সময় মানুষ নানা ধরনের কটু কথা বলে যা আদতে এক ধরনের ব্যক্তি আক্রমনই কিন্তু সব সময় সুশিলতা চলে না বলেই আমরাও কটু সমালোচনা করি। এটা জীবনেরই অংশ!

কিন্তু আপনার মতের সাথে না মিললে সবাই 'ছাগল', 'পিগমি', 'ডোডো' ইত্যাদি ধারনা পোষন করার মানে হচ্ছে আপনি নিজের অজান্তেই উক্ত প্রাণীতে পরিনত হয়েছেন। যার কারনে মানবিক দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে গেছে। আপনি অবশ্যই দেখতে পান, কিন্তু সেটা মানুষের দৃষ্টিতে নয়! দুঃখজনকভাবে উক্ত প্রানীদের দৃষ্টিতে।

এখন আসুন দেখি, কিভাবে দাসী মুনিব প্রসব করছে।

এই ধরনের অন্যায় আচরন যারা করছেন, তারা কিন্তু অশিক্ষিত মানুষ নয়। তাদের পরিবার আছে, তাঁরা নিজেদেরকে শিক্ষিত দাবী করেন, পৃথিবীর সেরা স্থানে বাস করেন, সেরা সুবিধা পান! তারা শিক্ষক হিসাবে আর্বিভুত হয়েছেন অনেকের সামনে, কিন্তু হায়! কি শিক্ষা তাঁরা দিলেন? হাজার শাস্তির পরেও ব্লগের কমেন্টে কমেন্টে সেই সকল ভুল ও অন্যায় নিয়ে এখনও চলে নির্লজ্জ গর্ব এবং অহংকার! আমি দুর্গন্ধে টিকতে পারি না। আমার লজ্জা লাগে। আমি লজ্জিত অনুভব করি।

কিছু অসুস্থ মানুষ দেখেছি যারা এই ধরনের অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আরো বড় অন্যায় করেছেন। জঘন্যতম উপায়ে আমাদের সকলের স্বাভাবিক জীবন নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন। আমরা তা সমর্থন করি না। আমরা আইন শৃংখলা বাহিনীর সাহায্য পর্যন্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। কিন্তু তাতে কি কোন লাভ হয়েছে? হাজার অনুরোধেও নিজেকে সংশোধনের কোন প্রচেষ্টা নেই বরং চারিদিকে কল্পিত আক্রমনের গল্প!

এইভাবে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসারা মরে যায়!

এবার আসুক স্বর্ণলতার গল্প বলি! আমাদের এই সব মুনিবদের শরীর বেয়ে এক ধরনের স্বর্ণলতারা গজিয়ে উঠছে। যুগে যুগে স্বর্ণলতারা সব সময় মুনিবদের শরীর বেয়েই উঠে। একজন মানুষ যখন সকল বিবেকবুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে আরেকজনকে অন্ধভাবে সমর্থন করে, তখন তারা নিজেদের অজান্তে এক ধরনের স্বর্ণলতায় পরিনত হয়। তারা চিন্তা চেতনা, নীতি নৈতিকতার উর্দ্ধে উঠে চাটুকারিতার শিকড় গেড়ে মনিবের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এই ভাবে এই সকল মুনিবদের অন্যায় ও দুর্গন্ধ ঢেকে দেয়া যায় না। একটা জিনিস আমাদের স্বর্ণলতারা বুঝতে চান না - যত মুনিবদের মাথা পর্যন্ত বেয়ে উঠে যাক না কেন, - স্বর্ণলতারা আজীবন পরগাছাই থাকে। এরা পরজীবি!

মুনিবদেরকে মানুষ মাঝে মাঝে মনে রাখলেও - পরজীবিদের কোন ভবিষ্যত নেই। তাদের কেউ মনে রাখে না।

আমি চাই আমাদের স্বর্ণলতারা ভালো কোন গাছ হতে না পারুক - অন্তত ক্যাকটাস হোক!
পরজীবি স্বর্ণলতা হবার চাইলে কন্টক ময় ক্যাকটাস হওয়াটাও সম্মানের।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মে, ২০২২ রাত ১:৫১

কালো যাদুকর বলেছেন: ভাল পর্যালোচনা। ঐ হাদিসের অন্য ব্যাখ্যা আমি শুনেছি। যাই হোক টু ইউর পয়েন্ট, ব্লগে কেন প্রাত্যিহিক জীবনে এরকম স্বর্নলতাদের সংখ্যাই বেশি ও জয়জয়কার। এদের কে আমি মাঠে, ঘাঠে, অফিসে, পরিবারে, ধর্মস্থানে , ক্লাসে দেখি।

২৯ শে মে, ২০২২ রাত ২:৪৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। দুঃখজনক পরিস্থিতি।

২| ২৯ শে মে, ২০২২ রাত ২:১০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: প্রথম কথা, নিজের পোস্টে আপনি নিজে কি করে লাইক দিতে পারলেন? ইহা কি ক্ষমতার অপব্যবহার নাকি ভুলে ক্লিক পরেছে?
দ্বিতীয় কথা, পোস্টে লাইক দিলাম।
তৃতীয় কথা, এই পোস্ট পড়ে একটা গানের প্রথম লাইনটা মনে পড়ে গেলো।
আমার পাগলা ঘোড়ারে……
কই থাইকা কই লইয়া যাস…??

২৯ শে মে, ২০২২ রাত ২:৫৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রথমঃ না, ক্ষমতার অপ ব্যবহার না। প্রয়োজনীয় বিধায় দিয়েছি
দ্বিতীয়ঃ ধন্যবাদ।
তৃতীয়ঃ সবার দেখার চোখ, ব্যাখ্যা এক হয় না।

২৯ শে মে, ২০২২ রাত ৩:০৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমি ক্ষমতার অপব্যবহার করি না :)

৩| ২৯ শে মে, ২০২২ রাত ২:৩৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

রুপক অর্থে মতের মিল,অমিল একই?

২৯ শে মে, ২০২২ রাত ২:৫৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বুঝি নাই।

৪| ২৯ শে মে, ২০২২ রাত ৩:০৯

অপু তানভীর বলেছেন: যে মানুষ নিজেকে সব সময় সঠিক এবং নির্ভুল মনে করেন সে নিজেকে কিভাবে সংশোধন করে নিবে? নিজেকে সব সময়ই সঠিক এবং নিজের মতের অমিলকে বেঠিক ভাবা মানুষেরা পরিস্কার ভাবেই সঠিক চিন্তা ভাবনা বিশ্লেষণ করতে অক্ষম !

'মুনিব' ও স্বর্ণলতাদের কি বোধদয় আসবে ?
এতোদিনে যেহেতু আসে নি, আমার মনে হয় না যে আর আসবে !

২৯ শে মে, ২০২২ দুপুর ১:২১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: একজন মানুষ সব সময় সঠিক হতে পারেন না। যদি তিনি সঠিক হয়ে থাকে, তাহলে তা যুক্তি সহকারে অন্যকে বুঝাতে হবে। নইলে এই হামবড়া ভাবের কোন মুল্য নেই।

মুনিবদের হয়ত বোধদয় আসে, কিন্তু স্বর্ণলতাদের কোন বোধদয় নেই।

৫| ২৯ শে মে, ২০২২ রাত ৩:৪৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


রুপক কোনো কিছুর ব্যাখ্যায় তারতম্যতা ব্যাক্তির কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে?


*** জেনারেল স্ট্যাটাসে আছি, সেইফ কবে হবো?

২৯ শে মে, ২০২২ দুপুর ১:২২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: রূপক এর ব্যাখ্যা যে যার মত হয়ত করতে পারে। তবে রুপকের সঠিক অর্থ নির্ধারন করা গুরুত্বপূর্ন।

৬| ২৯ শে মে, ২০২২ রাত ৩:৫১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি ক্ষমতার অপব্যবহার করি না
আমারতো মনে হয় মাঝে মাঝে ক্ষমতার উচিত ব্যবহারটুকুও করেন না। B:-/
এবং তাতে অনেক কিছুটা লাইও পায় মনে হয়। =p~

কল্পিত আক্রমনের গল্প এবং স্বর্ণলতার বিষয়ক কোন পদক্ষেপ নেয়ার উপায়ও আপনাদের হাতে নেই।

২৯ শে মে, ২০২২ দুপুর ১:২৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বিনয়কে সবাই দুর্বলতা বলে মনে করে।

৭| ২৯ শে মে, ২০২২ সকাল ৮:২১

শেরজা তপন বলেছেন: বেশ ভাল পর্যালোচনা!
চাবি আপনার হাতে আছে;

আমি ব্লগে শুধুমাত্র গঠনমুলক সমালোচনায় আগ্রহী- শুধু নেতিবাচক মন্তব্য, আযাযিত আক্রমন, ব্লগারদের বিপথে পরিচালনা করার জন্য অবশ্যই শাস্তি আপনাকেই দিতে হবে।

৮| ২৯ শে মে, ২০২২ সকাল ৮:৩৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শিক্ষকগণ সারাজীবনই আমার কাছে সবচাইতে আদর্শবান এবং অনুকরণীয় ও সম্মানিত ব্যক্তি, যারা জাতির বিবেক, বিবেক-স্রষ্টা। কিন্তু, যখন কোনো শিক্ষক নামধারী ব্যক্তিগণ দালালি করেন, অন্ধ সাপোর্ট করেন, অসৎ তথ্য ও বক্তব্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করেন, তখন তাদের জন্য আজন্ম লালিত শ্রদ্ধা মনের মধ্যে ধরে রাখা খুব দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে।

এ দেশের একজন প্রকৃত নাগরিক হিসাবে, অসৎ, দুর্নীতিগ্রস্ত, এসব দালালকে কীভাবে অগ্রাহ্য করতে হয়, তা শিখতে হবে। তাদের কথা ও কাজকে এত গুরুত্ব দিতে বলেছে কে আপনাকে? জাস্ট ইগনোর।

৯| ২৯ শে মে, ২০২২ সকাল ৮:৩৬

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: বিষয় ভালো
লেখনী ভেজালে!

১০| ২৯ শে মে, ২০২২ সকাল ৮:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা,




এভাবেই শ্রদ্ধা আর ভালোবাসারাও মরে যায়..................

১১| ২৯ শে মে, ২০২২ সকাল ৯:৫৫

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: পরজীবি স্বর্নলতা হবার চা্ত কন্টকময় ক্যাকটাস হওয়াটাও সম্মানের। যথার্থ।

১২| ২৯ শে মে, ২০২২ সকাল ১১:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: বেঁচে থাকার জন্য আমাকে আগে জানতে হবে দেশের সংবিধান। কারন দেশ তো কোরআন হাদীসের নিয়মে চলছে না। চলছে সংবিধান অনুযায়ী। যদি আমি দেশের সংবিধান না মেনে কোরআন হাদীসের নিয়মে চলি, তাহলে আমি বাঁধাগ্রস্ত হবো।

এখন আমাদের কি জোর করে কোরআন হাদিসের ইঙ্গিত বুঝতে হবে, এই আধুনিক যুগে এসে? আসলেই কি কোনো ইঙ্গিত আছে? না মনের শান্তির জন্য ধরে নিবো ইঙ্গিত আছে।

২৯ শে মে, ২০২২ দুপুর ১:১৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কোরান হাদীসের নিয়ম মানতে কেউ আপনাকে বলছে না। এই পোস্টে কোরান হাদীসের বাইরের নীতি ও নৈতিকতা নিয়েও কথা হয়েছে। পৃথিবীর কোন সংবিধানে মানুষকে গালাগালি, অন্যায়ভাবে লেখা চুরি করাকে সমর্থন করে?

কোরান হাদীস একটা গ্রন্থ। ফলে যে কেউ যে কোন গ্রন্থ থেকে কোন গল্প বলতে পারে। যাদের মনে করেন মানসিক চুলকানি জনতি কোন কঠিন রোগ নেই বা যারা সত্যিকারভাবে শিখতে আগ্রহী বা যারা নুন্যতম জ্ঞান রাখেন তারা জানেন এখানে কোরান হাদিস কাউকে মানার জন্য বলা হয় নি, বলা হয়েছে একটি উদহারন হিসাবে। মানদন্ডে সঠিক থাকলে যে কোন উদহারন দেয়া যায়।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন হচ্ছে উদহারন দিয়ে কি বুঝানো হয়েছে। এখানে একটা গল্পের মাধ্যমে মাধ্যমে সামাজিক অসংগতি এবং নির্লজ্জতার ব্যাপারে ইংগিত করা হয়েছে।

১৩| ২৯ শে মে, ২০২২ দুপুর ১২:২৬

রানার ব্লগ বলেছেন: ব্যাপারটা এমনো হতে পারে আজ যারা শ্রেনী বৈষম্যের শিকার তারা একদিন সমাজের কুলীনদের ছাপিয়ে যাবে !!! এইরকম কিন্তু একবার বাংলায় হয়েছিলো হাবশি শাসন এই বাংলার মানুষ দেখেছে ।

বাংলায় হাবশী শাসন ৬ বছর(১৪৮৭-১৪৯৩সাল) স্থায়ী ছিল। এ সময়কালে এদেশের ইতিহাস ছিল অন্যায়, অবিচার,ষাড়যন্ত্র,বিদ্রোহ আর হতাশায় পরিপূর্ণ। এ যুগে চার জন হাবশী সুলতানকেই খুন করা হয়। হাবশী নেতা বারবক শাহজাদা প্রথম ক্ষমতায় বসেন। (সুত্র উইকিপিডিয়া)

১৪| ২৯ শে মে, ২০২২ দুপুর ১২:৪৪

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আমার একটা প্রশ্ন ছিল
কেউ ব্যক্তি আক্রমণ করলে রিপোর্ট করার কতক্ষণ পর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়?

১৫| ২৯ শে মে, ২০২২ দুপুর ১২:৪৮

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আর একটা প্রশ্ন আমার পোস্ট টা কে বা কারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ১০ হাজারের বেশি বার পঠিত করেছেন, আমি পোস্ট দিয়ে প্রতিবাদ করেছি। তাদের বিরুদ্ধে কতদিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হবে?

১৬| ২৯ শে মে, ২০২২ দুপুর ১২:৫১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: সমালোচনা বরাবরই ভাল বলে বিবেচিত তবে ব্যক্তি আক্রমণ নয়। নিজেকে ভেংগে গড়ার জন্য সমালোচনা থেকে ভালো কিছু আর নেই ।

তবে আমরা কিছু মানুষ আছি সব সময় ভাবি - " মুই কি হনুরে" । আর তারাই কোন কিছুই পরোয়া করেনা তা সমালোচনা কিংবা উপদেশ যাই হোক না কেন।

আপনার লেখার এ প্রসংগে " রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের - আমার ছেলেবেলা" গল্পের মাধ্যমে পাওয়া ঠাকুর বাড়ীর ভৃত্য (কাজের লোক/দাস) ব্রজেশ্বরের কথা মনে পড়ে গেল।

তার সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের বলা, " তার চলনে বলনে সবসময় এমন মনে হত সে যেন আসলে বিশেষ একজন বা বিশেষ কেউ এবং তাকে ছাড়া সব কিছুই অচল । আর বিশেষ করে স্নানের শেষে ব্রজেশ্বর তার ধুতির কোচাখানি উপর করে ধরে এমন ভাবে নাক সিটকিয়ে পুকুরপাড় থেকে ঘরে আসত যেন - সারা দুনিয়া নোংরা কাঁদায় ভরা এবং এসব বড়ই সযত্নে এড়িয়ে চলতে হবে নতুবা তার কৌলিণ্যে দাগ লেগে যাবে"। (অনেক আগে পড়েছি ,তাই হুবুহু মনে নেই তবে মূল বিষয়টা এরকমই)।

আর আলোচ্য হাদীসের ব্যাখ্যা আপনি যা বলেছেন তা ঠিক আছে । আবার অনেকে এভাবেও ব্যাখ্যা করেন যে " দাসীর মুনীব প্রসব এ অনেকটা রূপকার্থে বলা হয়েছে। আর তার মূল ভাব হলো - এমন একটা সময় আসবে যখন অযোগ্যরা সমাজের ভাল ভাল জায়গায় থাকবে , যোগ্যরা হবে অবহেলিত । ভাল মানুষের কদর কমে যাবে ও কোনঠাসা হয়ে পড়বে চলার পথে ও খারাপের জয়জয়কার হবে সর্বত্র " ।

আর মানুষ এখন ভাই পরজীবি তথা স্বর্নলতারই মূল্যায়ণ বেশী করে । কারন, তা দেখতে সুন্দর ও বাড়ে দ্রুত ।
অপরদিকে ক্যাকটাস কন্টকময় এবং দর্শনদারীতেও তা ভালনা ও তার বৃদ্ধিও কম।

আর তাইতো এ দুয়ের মাঝে যে কোন একটা বেছে নেওয়ার সময় ক্যাকটাসকে বেছে নেওয়ার জন্য জ্ঞানের গভীরতার সাথে মনের দৃঢ়তাও জরুরী, যা এখনকার বেশীরভাগ মানুষের মাঝেই নেই ।

১৭| ২৯ শে মে, ২০২২ দুপুর ১:২৭

রানার ব্লগ বলেছেন: মোহাম্মদ গোফরান @ ফেইসবুকে সামহোয়ার ইন নামে একটা পেইজ আছে ওখানে জানান এ্যাডমিন সরাসরি উত্তর দিবেন

১৮| ২৯ শে মে, ২০২২ দুপুর ২:১২

তানভির জুমার বলেছেন: দাসী মনিব কে জন্ম দেওয়ার আধুনিক লাইন টু লাইন একটা ব্যাখ্যা কি সারোগেসি (গর্ভভাড়া) হতে পারে? কারণ এখানেও তো টাকার বিনিময়ে একজন দরিদ্র মহিলা অন্য একজনের সন্তান তার পেটে ধারন করে। সন্তান প্রসব করার পর তাকে তার পারিশ্রমিক দিয়ে দেওয়া হয়। আর নিশ্চই কোন ধনী মহিলা টাকার জন্য অন্যের সন্তান নিজের পেটে ধারন করবে না।

১৯| ২৯ শে মে, ২০২২ দুপুর ২:৫৭

গেঁয়ো ভূত বলেছেন:


আপনার মেসেজ অতি পরিষ্কার এবং তাৎপর্য্যপূর্ণ। জ্ঞাতি ভাইদের প্রতি এরকম অবজ্ঞা পোষণ এক ধরণের হীনমন্যতা। আসলে এরা অন্যকে ছোট করে নিজেকে বড় প্রমান করতে গিয়ে নিজের অজান্তেই কিভাবে যে নিজেকে ছোট করে ফেলে তা বুঝতেই পারেনা।

নিরন্তর শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

২০| ২৯ শে মে, ২০২২ বিকাল ৩:৫৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কেন ব্লগের ক্ষেত্রেও শেষের লাইনটা সত্য হচ্ছেনা সেটাই দুঃখের কথা।+++

২১| ২৯ শে মে, ২০২২ বিকাল ৪:২৯

ছাকিব নাজমুছ বলেছেন: “সবচেয়ে ভালো ব্যাখ্যা জানেন মহান সৃষ্টিকর্তা”

এই বিশ্বাস টুকু অন্তরে সঠিক ভাবে ধারণ করতে পারাটাই আসল কাজ ।

২২| ২৯ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১২

নতুন বলেছেন: মানুষের দাম্ভিকতা তার তার র্নিবুদ্ধিতার প্রকাশ মাত্র।

এই জীবনে যত বড় জ্ঞানী মানুষের সাথে পরিচিত হয়েছে তাদের বিনয়ে মুগ্ধ হয়েছি।

২৩| ২৯ শে মে, ২০২২ রাত ৮:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের একটা স্ট্যাটাস হয়ে দাঁড়িয়েছে ভীষণ রাফ টাফ ভাবে কমেন্ট করা। আমরা ব্লগিং মিথস্ক্রিয়ার নামে হামেশাই মুখে আনার অযোগ্য কিছু শব্দে অন্যদেরকে আক্রমণ করছি। হয়তো সাময়িক মজা পাওয়ার জন্য করছি কিন্তু একটু গভীর ভাবে দেখলে বিষয়টা নিঃসন্দেহে দুঃখজনক, সুস্থ ব্লগিংয়ের পরিপন্থী। চ্যাটিং এর নামে একএকজন পাঁচ/ ছয়টি করে কমেন্ট করে অসাংবিধানিক কথায় আক্রমণ করে কোন একটি পোস্টকে হিট করে আলোচিত ব্লগে জায়গা করিয়ে এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ জিইয়ে রাখা অতিসম্প্রতি আমাদের একটা স্বভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা ধরেই নিয়েছিলাম মডারেটর এখন শীতঘুমে আছে। যাই হোক সামগ্রিকভাবে এহেন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশকে নির্মূল করতে পোস্টটির দরকার ছিল।

২৪| ২৯ শে মে, ২০২২ রাত ১১:০৯

জ্যাকেল বলেছেন: তানভির জুমার বলেছেন: দাসী মনিব কে জন্ম দেওয়ার আধুনিক লাইন টু লাইন একটা ব্যাখ্যা কি সারোগেসি (গর্ভভাড়া) হতে পারে?

ভাইসাহেব, আপনার উপস্থাপিত ব্যাখ্যা লিটারাল। খুব সম্ভবত এটাই ঐ হাদীসের ব্যাখ্যা। তবে মেটাফোরভিত্তিক কা_ভা'র দেওয়া ব্যাখা আমার কাছে যুৎসই মনে হয়েছে। এখন বুড়ো/প্রবীণ লোকেরা পাসপোর্ট অফিসে কিংবা নানান দরকারি জায়গায়, সেলফোনে/কম্পিউটারে তরুণদের থেকে জ্ঞান নেয়।

তবে আসল কথা হইল- খিটখিটে মশায়'র কোন শিক্ষে হবি নে।

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
চ্যাটিং এর নামে একএকজন পাঁচ/ ছয়টি করে কমেন্ট করে অসাংবিধানিক কথায় আক্রমণ করে কোন একটি পোস্টকে হিট করে আলোচিত ব্লগে জায়গা করিয়ে এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ জিইয়ে রাখা অতিসম্প্রতি আমাদের একটা স্বভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই জিনিসটা বন্ধ করতে পারলে বেশ হইত। সিন্ডিকেটবাজি করে করে কিছু লোক আলোচিত পাতা যেন নিজেদের দখলে নিয়ে ফেলছে। ব্লগ টিমকে আমি অনুরোধ করছি এই ব্যাপারখানা দেখার জন্য।

২৫| ৩০ শে মে, ২০২২ বিকাল ৩:১৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: লেখক বলেছেন: বিনয়কে সবাই দুর্বলতা বলে মনে করে।
এইটা চরম সত্য কথা বলেছেন।

২৬| ৩১ শে মে, ২০২২ সকাল ৮:৪২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমার মনে হয় ঐ হাদিসের সাথে “গোবরে পদ্মফুল” এর সাথেই বেশি মানান সই হয়।

২৭| ০১ লা জুন, ২০২২ সকাল ৯:২৩

সোহানী বলেছেন: মানুষ কোনভাবেই তার ভীতরের আমিত্বকে বদলাতে পারে না। হয়তো কিছুদিন সূপ্ত থাকে তারপর আবার তা আগের জায়গায় ফিরে আসে। আর আমিত্ব কিন্তু একদিনে তৈরী হয় না। পরিবার পরিজন বন্ধু-বান্ধব প্রতিবেশী সব কিছু মিলে এর সেইপে আসে। তাই যতই জেলে ঢুকানো হোক জরিমানা করা হোক সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না সহজে।

আমার ধারনা এর মাঝে অনেকেই পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডারে ভুগছে। ওদের দরকার সঠিক ট্রিটমেন্ট।

ভালো থাকুন।

২৮| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:১১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বাক স্বাধীনতা, ডার্ক হিউমার আর মেটাফোরের নামে যারা নোংরা অশালীন শব্দ ব্যবহার করে - তাতে করে; কারো কারো ডিএনএ সার্টিফিকেট তৈরি হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.