নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দৈনিক মজিদকন্ঠ

চেত্নায় জাইঙ্গা উঠ বাঙ্গালী পশ্চিমবঙ্গ আমাদের।

দৈনিক মজিদকন্ঠ

চেত্নায় জাইঙ্গা উঠ বাঙ্গালী পশ্চিম বঙ্গ আমাদের

দৈনিক মজিদকন্ঠ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আর নয় ভ্রুন হত্যা।একটি ভ্রুনই হতে পারে আপনার বৃদ্ধ বয়সের লাঠি

০৭ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:২৭

(সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরনঃ-এখানে একটা ছবি এবং একটি ঘটনা উল্লেখ করা আছে যা দুর্বলচিত্তের পাঠকরা না দেখলেই ভাল হয়,বিশেষ করে যাদের হার্টের রোগ আছে।এর পরও যদি পাঠক এই লেখাটা পড়তে উদ্যত হয় তবে তিনি তার নিজ দ্বায়িত্বে পড়তে পারেন।এর জন্য সামহোয়্যার ইন ব্লগ কতৃপক্ষ এবং লেখক কোন ভাবেই দায়ী থাকবেনা।)

যুগে যত ডিজিটাল হচ্ছে মানুষ ও হচ্ছে ডিজিটাল!

নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশাও বাড়ছে তত।ভূয়া প্রেমের জালে ফেঁসে হয়ে অবৈধ যৌনাচারে লিপ্ত হচ্ছে পুরুষ নারী ,ফলে নারীর গর্ভে পয়দা হচ্ছে অবৈধ সন্তান!নারী ঘুরে বেড়ায় পেটে পিতৃপরিচয়হীন অবৈধ বাচ্চা নিয়ে।কিভাবে সমাজে মুখ দেখাবে তারা মগ্ন হয়ে পরে সেই চিন্তায়।এক সময় লিপ্ত হয় ভ্রুন হত্যার মত পৈশাচিক কাজে!

একটা ভ্রুনকে যে কিভাবে হত্যা হয় তা জানালে পাঠকদের হৃদয় দুঃখে ঘৃণায় ভরে উঠবে ভ্রুন হত্যাকারী ডাক্তার এবং ঐ অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনকারী নারী পুরুষের উপর!

ভ্রুন যে শুধু অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনকারী নারীই হত্যা করে তা নয় বৈবাহিক সম্পর্কে লিপ্ত অর্থাত্‍ দম্পতিরাও হত্যা করে।হয়তবা তিনি যেসময় বাচ্চা নিতে প্রস্তুত নও সেই সময় স্বামী স্ত্রীর অসাবধনতার ফলে সময় ছাড়াই গর্ভ হয়ে যায়।ফলে তারাও লিপ্ত হয় ভ্রুন হত্যায়।

একটি ভ্রুন যেভাবে হত্যা করা হয়ঃ-

আমার পরিচিত এক ডাক্তার বন্ধু যেভাবে বর্ণনা দিয়েছে পাঠকদের সামনে ঠিক সেইভাবেই তুলে ধরলাম।

প্রথমে ঐ অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনকারী অথবা নারীকে অচেতন করা হয়,এরপর তার গর্ভ থেকে একটা উপায় অবলম্বন করে(উপায়টা লিখতে অসস্তিবোধ করছি।)বাচ্চাটার মাথা বের করা হয় এরপর বাচ্চাটার ঘাড়ের রগ ধারালো কাঁচি দিয়ে কেঁটে দেয়া হয়!(কি নির্মম!)।ঐ বাচ্চাটাকে পুরোপুরি গর্ভ থেকে বের করতে নিষ্পাপ শিশুটির হাত পা কাঁটা হয় ঠিক যেভাবে আমরা মুরগীর বাচ্চার পা কাঁটি!(কি নির্মম!)

এরপর ঐ নিষ্পাপ শিশুটির খন্ডিত দেহ ফেলে দেয়া হয় কোন ডাস্টবিনে এবং ঐ মৃত শিশুর দেহটি তৈরী হয় শেয়াল কুকুরের খাবার হিসেবে!ছিঃছিঃছিঃ কত নির্মম কাজ মানুষ করতে পারে!

একটা জিনিস জানলে আশ্চর্য না হয়ে পারবেননা,এই রকম ভ্রুন আবার খাদ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হয় চীনে!

চীনের কিছু মানুষ শিশুদেরকে খেয়ে ফেলে। কেন জানেন? নিজেদের যৌন শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য।মৃত শিশু ও নির্দিষ্ট সময়ের আগেই গর্ভপাত ঘটানো অপূর্ণাঙ্গ ভ্রুন বা ফিটাসের স্যুপ তৈরি করা হচ্ছে মানুষের খাওয়ার জন্য!

ফিটাস স্যুপ

সেখানকার পুরুষরা তাদের শারীরিক স্বাস্থ্য ও যৌন শক্তি বৃদ্ধির জন্য ভেষজ শিশু স্যুপ (herbal baby soup) খেয়ে থাকে!একজন মহিলা একটি ছুরি দিয়ে ছেলে শিশু ভ্রূণ কেটে কুচি কুচি করছেন ও সেটি দিয়ে স্যুপ তৈরি করছেন। আর আশেপাশে মানুষকে এই বলে আশ্বস্ত করছেন যে, ভয় পাওয়ার কিছু নেই, এটি “প্রাণীর মাংস”।

;

একটি ঘটনা না বল্লেই নয়, চীনের এক দম্পতির ইতোমধ্যেই একটি কন্যাসন্তান ছিল। মহিলাটি সন্তান-সম্ভবা ছিলেন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারলেন তার দ্বিতীয় সন্তানটিও মেয়ে হতে যাচ্ছে। ততদিনে তার গর্ভস্থ সন্তানের বয়স ৫ মাস। তিনি ও তার স্বামী গর্ভপাত করানোর সিদ্ধান্ত নেন। স্বাভাবিকভাবে কোন শিশু যদি ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই মারা যায় তবে তাতে ২০০০ ইউয়ান খরচ হয়, সেখানে গর্ভপাত করাতে খরচ হয় মাত্র কয়েকশো ইউয়ান। তবে যারা মৃত শিশু বিক্রি করতে চান না, তারা প্লাসেন্টা বা অমরা বিক্রি করতে পারেন ইচ্ছা করলে।

পরে তিনি সেটাকে ভ্রুন দিয়ে স্যুপ বানানোর কারখানায় বিক্রি করে দিলেন।

অনেক চীনাদের কাছে মানব ভ্রূণ ভক্ষণ করা নাকি এক ধরণের শিল্প!

কত নির্মম নিষ্ঠুর তারা!

চাইলেই কি মা বাবা হওয়া যায়?

অনেকে আছেন যারা সৃষ্টিকর্তার কাছে একটা বাচ্চার জন্য চীর জীবন মাথা ঠুকলেও একটা বাচ্চা পাননা,আবার অনেকে হত্যা করে ফেলে তার স্বাদ আহ্লাদের সন্তানটিকে!

যার ভ্রুন খুনি তারা একবার ও চিন্তা করেন না,তারাও একসময় তার গর্ভে থাকা ঐ ভ্রুনটির মত ছিল তখন যদি তার পিতা মাতা তাকেও হত্যা করে ফেলত ভ্রুন খুনি ডাক্তার নামক কসাইয়ের মাধ্যমে?

ভ্রুন হত্যা বন্ধ করতে হলে আগে বন্ধ করতে হবে অবৈধ যৌনকর্ম।অতঃপর দম্পতিদের বাচ্চা নেয়ার ব্যাপারে হতে হবে সচেতন অর্থাত্‍ বাচ্চাটি কখন নিবে তা আগে ভালভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।ভ্রুন হত্যাও খুনের শামিল তাই সরকারকে ভ্রুন হত্যার বিষয়ে কড়া আইন প্রয়োগ করতে হবে।

আসুন আমরা ভ্রুন হত্যা বন্ধ করি এবং সকলকে বুঝিয়ে বলি"একটি ভ্রুন আগামীর ভবিষ্যত্‍,তাদের কে পৃথিবীর সুন্দর আলোটুকু দেখতে দিন।তাদেরকে হত্যা করা বন্ধ করে দিন।হতে পারে, আপনার বৃদ্ধ বয়সে সেই হবে আপনার হাতের লাঠি"।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৫৫

রাহাত লতিফ তৌসিফ বলেছেন: ///তার গর্ভ থেকে একটা উপায় অবলম্বন করে(উপায়টা লিখতে অসস্তিবোধ করছি।)বাচ্চাটার মাথা বের করা হয় এরপর বাচ্চাটার ঘাড়ের রগ ধারালো কাঁচি দিয়ে কেঁটে দেয়া হয়!////-----

ওই ভাই এমনে কথা বলেন কেন? গায়ের লোম শিউরে ওঠে।
:-& :-&

০৮ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:২৩

দৈনিক মজিদকন্ঠ বলেছেন: আগেই বলেছি দুর্বলচিত্তের পাঠক যেন না পড়ে

২| ০৭ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৫৬

দৈনিক মজিদকন্ঠ বলেছেন: ভাইয়া আমি আগেই বলেছি দুর্বলচিত্তের পাঠকরা যেন না পড়ে

৩| ০৭ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৪৬

জহিরুল লাইভ বলেছেন: ভাই, দিন দিন মানুষের ভেতর থেকে নৈতিকতা উবে যাচ্ছে তাই এগুলো হচ্ছে! আমিও উল্লেখিত চিনের ঘটনা পড়েছিলাম খুব খারাপ লেগেছিল। আপনাকে ধন্যবাদ।

০৮ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৩০

দৈনিক মজিদকন্ঠ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ

৪| ০৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:২১

দৈনিক মজিদকন্ঠ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

৫| ০৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৩৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ব্যাপারটি এত জঘন্য!! এই নিয়ে আসলে কিছু বলার রুচিই পাচ্ছি না। যারা এই ব্যাপারগুলোর সাথে জড়িত, আমি তাদের কঠিন শাস্তি চাই।

০৮ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৩২

দৈনিক মজিদকন্ঠ বলেছেন: সহমত।

৬| ০৭ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:২০

সময়ের ডানায় বলেছেন: এই জঘন্য রীতিটা সমাজে প্রতিনিয়ত ঘটছে।
ভ্রন হত্যার নিরুৎসাহিত করতে হবে এবং সরকারের এর বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করতে হবে।

ধন্যবাদ বিষয়টি উপস্থাপন করার জন্য।

০৮ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৩৫

দৈনিক মজিদকন্ঠ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও

৭| ০৭ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৪

শ্লোগান০০৭ বলেছেন: পোস্ট এবং পোস্টে শালিনতা বজায় রেখে লেখার জন্যে আপনাকে সালাম জানাই

৮| ০৭ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:০৬

জাফরুল মবীন বলেছেন: “ভ্রুন হত্যা বন্ধ করতে হলে আগে বন্ধ করতে হবে অবৈধ যৌনকর্ম।অতঃপর দম্পতিদের বাচ্চা নেয়ার ব্যাপারে হতে হবে সচেতন অর্থাত্‍ বাচ্চাটি কখন নিবে তা আগে ভালভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।ভ্রুন হত্যাও খুনের শামিল তাই সরকারকে ভ্রুন হত্যার বিষয়ে কড়া আইন প্রয়োগ করতে হবে”-১০০% সমর্থন জ্ঞাপন করছি।

৯| ০৭ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৮

ডি মুন বলেছেন: মানুষ কি নির্মম !!!!! লজ্জা !!!

০৮ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৩৪

দৈনিক মজিদকন্ঠ বলেছেন: হু!

১০| ০৭ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৩

(একজন নিশাদ) বলেছেন: আইন প্রয়োগ প্রয়োজন

১১| ০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:১৭

শাশ্বত স্বপন বলেছেন:

আমি এ অংশটির তথ্য সূত্র চাই।

একটি ঘটনা না বল্লেই নয়, চীনের এক দম্পতির ইতোমধ্যেই একটি কন্যাসন্তান ছিল। মহিলাটি সন্তান-সম্ভবা ছিলেন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারলেন তার দ্বিতীয় সন্তানটিও মেয়ে হতে যাচ্ছে। ততদিনে তার গর্ভস্থ সন্তানের বয়স ৫ মাস। তিনি ও তার স্বামী গর্ভপাত করানোর সিদ্ধান্ত নেন। স্বাভাবিকভাবে কোন শিশু যদি ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই মারা যায় তবে তাতে ২০০০ ইউয়ান খরচ হয়, সেখানে গর্ভপাত করাতে খরচ হয় মাত্র কয়েকশো ইউয়ান। তবে যারা মৃত শিশু বিক্রি করতে চান না, তারা প্লাসেন্টা বা অমরা বিক্রি করতে পারেন ইচ্ছা করলে।
পরে তিনি সেটাকে ভ্রুন দিয়ে স্যুপ বানানোর কারখানায় বিক্রি করে দিলেন।
অনেক চীনাদের কাছে মানব ভ্রূণ ভক্ষণ করা নাকি এক ধরণের শিল্প!

০৮ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:২৯

দৈনিক মজিদকন্ঠ বলেছেন: বস গুগলে সার্চ মারেন "ভ্রুনের স্যুপ"

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.