নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সমসাময়িক একটি উদাহরণ:
প্রগতিশীল ও আধুনিক একটি প্রতিষ্ঠানের corporate culture কখনোই এরকম হতে পারে না বা হওয়াটা কাম্য নয় কিন্তু তারপরও অকল্পনীয় সব ঘটনা সেখানে ঘটে যায়। বাইরের মানুষ সচরাচর এসব জানেনা বা তাদের এসব জানার সুযোগও হয়ে ওঠে না। এই যেমন একটা ডিপার্টমেন্টের (ISO Certified) ফ্লোরে দু তিনটের মত কনফারেন্স রুম আছে। ধরা যাক ঐ ফ্লোরে কর্মরত দুজন অফিসারের জন্মদিন কাকতালীয়ভাবে একই দিনে পড়ে গেছে। তারা ওপেন ফ্লোরে ঘটা করে সহকর্মীদের সবাইকে নিয়ে কেক কাটলো, তারপর তা নিজেরাও খেয়ে নিলো (আমার জন্মদিনের কেক আমি খাব, যেমন খুশি তেমন খাব)। আর বহিরাগত অতিথি, যারা ঐ ডিপার্টমেন্টে কোন একটা কাজে এসেছিলেন তারা বসে বসে ওনাদের সকলের কেক খাওয়া দেখলেন। শুধু দেখেই গেলেন। খেতে পেলেন না কিছুই। তাদেরকে খেতে দেয়া হলো না। আসলে তারা যে জন্মদিনের কেক হওয়ার যোগ্য এ বিষয়টাই ঐ ডিপার্টমেন্টের ফ্লোরের কারো মস্তিষ্কে নেই। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে ঐ ফ্লোরে দু-তিনটে কনফারেন্স রুম আছে সুতরাং কারো সাথে জন্মদিনের কেক শেয়ার করার ইচ্ছে না থাকলে ঐ কনফারেন্স রুমেই কেক কাটা যেত তাই না? সমস্যাটি কি পারিবারিক নাকি প্রাতিষ্ঠানিক? পারিবারিক শিক্ষা মানুষের নাই থাকতে পারে কিন্তু ঐ পারিবারিক শিক্ষার অভাবের প্রতিচ্ছবি সম্মিলিপিভাবে কেন সবাই একটা প্রতিষ্ঠানের কর্পোরেট কালচার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করবে?
যা আমাদের আশা (নাকি দুরাশা):
প্রতিদিনকার কাজকর্মে একটা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন রকমের সমস্যা হতে পারে। তবে তা প্রতিষ্ঠানের যে পর্যায়েই হোক না কেন, সে সমস্যার সমাধানের ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রাখে। সেরকম ক্ষমতা রাখা উচিত। নইলে delegation of authority, empowerment, succession এসব কথাবার্তা গালভরা বুলি হিসেবেই আমাদের পেশাগত জীবনে থেকে যায়।
আসলে,
অপদার্থ, মূর্খ আর আগাছা পরগাছায় যখন প্রতিষ্ঠানের উচ্চপর্যায়ের ব্যবস্থাপনা দূষিত হয়ে যায় তখন, যখন,
/যুক্তিযুক্ত চিন্তা-ভাবনা,
/উদ্ভাবনী কিছু করার প্রয়াস
/অথবা মাঠ পর্যায়েই দ্রুত ও সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার মতো উদ্যোগ এসব কিছু ছাপিয়ে জায়গা করে নেয়,
/Gossip করা,
/গীবত করা, অন্য কাউকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে
/সরাসরি নিজে খারাপ কাজ বা খারাপ কোনো কথা না বলে সেটাই অন্য কাউকে দিয়ে বলানো। মানে বন্দুক অন্যের ঘাড়ে রেখে ফোটানো।
/কেউ ভুলভাল করলে তাকে সাহায্য সহায়তা না করে বরং সে ভুলকে অহেতুক ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের গোচরিভূত করা। শেষ পর্যন্ত এভাবেই সহকর্মীকে ডুবিয়ে নিজে কর্তৃপক্ষের কাছে মহান বনে যাওয়া।
কর্রপোরেট কালচার-২
২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:৪৭
মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: প্রতিষ্ঠান সম্ভাব্য ব্যাবসায়িক ক্ষতির সম্মুখিন হতে পারে এরকম আশংকা প্রকাশ করে স্থায়ীভাবে বেতন দিল কমিয়ে। চাকরী খেয়ে নিলে তো তা একবারের খাওয়া হতো। তার উপর রিটায়ারমেন্ট বেনিফিটের টাকাও দিতে হতো। এখন বেতন কমিয়ে দিয়ে পে রোলের মাঝের অবস্হানে থাকা কর্মীদের টাকা প্রতি মাসেই চুরি করছে। ইনফ্লেশন অ্যাডজাস্ট করার জন্য কোথায় স্যালারি রিভাইস করবে, তা নয়। উল্টো সহকর্মীদের হকের টাকা, রিজিকের টাকা মেরে দিল। এটার একটা নামকরন করা যায়। কোভিড১৯ স্যালারী স্ক্যাম।
কি বুঝলেন? ঠিকই ধরেছেন। শুধু প্রগতিশীল চোর নয়, স্মার্ট এবং বেহায়া কিসিমের চোরও বটে।
২| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:০৯
বিজন রয় বলেছেন: ঠিক বলেছেন। প্রগতিশীল আর কার্পোরেট কালচার এক নয়।
জন্মদিনের কেক কাটা ও খাওয়ার উদাহরণ দিলেন সেটা সহ নিচের দিকে বলা সব কথাগুলো বাস্তব ও আমাদের নিন্মমানের সমাজের প্রতিচ্ছবি বা কালচার।
আমামদের সমাজে সবখানে অযোগ্যরা উপরে আছে। সেজন্য সমাজটা রসাতলে।
২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২২
মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: প্রতিবাদ না করায় এই সকল আগাছা পরগাছার জোর বেড়েছে ব্যাপক হারে। আর যাদের বটবৃক্ষ হওয়ার কথা ছিল তারা এখন রূপান্তরিত হয়েছে বনসাইয়ে।
৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৩
নতুন বলেছেন: শুধুই সাটিফিকেট থাকলেই জ্ঞান হয়ে যায় না।
আপনার উদাহরন কর্পরেট কালচারের সমস্যা না। বরং এই সব বিষয়গুলি কম্পানীর ইমেজ বাড়াতে ব্যবহার করে বড় কম্পানি গুলি।
আমরা বাঙ্গালীরা তো অনেক অতিথী পরায়ন, কবে থেকে এমন হচ্ছি আমরা যে আমি খাচ্চি আর পাশের চেয়ারের মানুষটিকে খেতে অনুরোধ করছিনা।
৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: কর্পোরেট দুনিয়াটা বড় নিষ্ঠুর।
সব কিছু মেকি। ওদের হাসিটাও মেকি।
২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৭
মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: এ জন্য যুদ্ধ করাটা জরুরী। নইলে এই সব কর্পোরেট মাফিয়ারা ফাকা মাঠে গোল দিয়েই যাবে।
প্রতিটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা-কর্মচারী ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন গঠন করা উচিত। যারা টপ ম্যানেজমেন্ট আর মালিকপক্ষের সাথে দরকষাকষি করে নিজের স্বার্থ রক্ষা করবে। কিন্তু এই মিড লেভেলের সুটেড বুটেড মানুষগুলো একেবারেই মেরুদন্ডহীন। ওর চেয়ে বরং প্রতিষ্ঠানের সাব-স্টাফরা (ড্রাইভার, পিয়ন, কম্পিউটার অপারেটর, ক্লিনার, মেসেন্জার....।) অনেক সাহসী, সাহস করে দিব্যি ইউনিয়ন ফর্ম করে ফেলে।
৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০২
শায়মা বলেছেন: আমিও এমন দেখেছি ব্যাংকের লোকজন কাজ থামিয়ে কেক খাচ্ছেন আর লোকজন সব হা করে তাকিয়ে আছেন কখন তাদের দয়া হবে তাই ভেবে।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:৪৩
কামাল১৮ বলেছেন: সুন্দর নাম দিয়েছেন,প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান।তার অর্থ যে প্রতিষ্ঠান ক্রমে ক্রমে উন্নতি লাভ করে।তা হলেতো প্রগতিশীল চোর হতে পারে।সে ক্রমে ক্রমে উন্নতি লাভকরে ডাকাত হতে পারে। প্রতিক্রিয়াশীল প্রতিষ্ঠান কোলগুলো?