নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সঠিক দেশপ্রেম

simple living, high thinking

এম দাস

মত প্রকাশের স্বাধীনতা

এম দাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনীতি এখন ব্যবসায়ীদের পকেটে। তবুও আশার আলো দেখি

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০৬

স্বরুপ দাস : জ্ঞানচর্চা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে সে সমাজ থেকে মূল্যবোধ উঠে যায়। সর্বত্র মূল্যবোধের অবক্ষয় দেখে এখন শংকা জাগে- তবে কি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ আমরা হারিয়ে ফেলছি? অনেক আগেই মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটেছে রাজনীতিতে। প্রশাসন ব্যবস্থার সর্বত্র দুর্নীতি প্রবল প্রতাপে জায়গা করে নিচ্ছে। পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কের গাঁথুনি ভেঙে পড়ছে। প্রায়োগিক ক্ষেত্রে আমাদের রাজনীতি থেকে গণতান্ত্রিক ধারা অপসৃত হয়ে এখন কর্তৃত্ববাদ জায়গা করে নিচ্ছে। কালো টাকা ও পেশিশক্তি এখন প্রকাশ্যে দাপট দেখাতে পারছে।

রাজনীতিককে এখন দাপুটে ব্যবসায়ী-আমলাদের অঙ্গুলি নির্দেশে চলতে হচ্ছে। জ্ঞানচর্চার চেয়ে বাগাড়ম্বর সর্বত্র নিজ অবস্থা পাকা করে নিচ্ছে। এসবের মধ্যেও মাঝে মধ্যে আশার আলো দেখতে পাই। এখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখি।
রাজনীতি নষ্ট হয়ে না গেলে দর্শনার গন উন্নয়ন গ্রন্থাগারের পরিচালক আবু সুফিয়ানকে সন্তানের দুধের টাকা থেকে পত্রিকার বিল মেটাতে হয়।
পাঠাগারে 10 টি দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকা আসে। মাসে প্রায় 3/4 হাজার টাকার পত্রিকা কিনতে হয়। অথচ সাহায্য করার নেই কোন রাজনীতিবিদ। অথচ রাজনীতির মঞ্চে আমরা বড় বড় বুলি ছড়াই।

জ্ঞানভিত্তিক সমাজের আকাঙ্ক্ষা তখনই তীব্র হয়, যখন দেখি আমাদের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রকরা অবকাঠামোকে উপেক্ষা এবং উপরিকাঠামোকে চকচকে করে চোখ ধাঁধিয়ে দিতে চান। দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো মজবুত হচ্ছে। আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হচ্ছি। উচ্চ আয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছি। এসবই ভালো কথা। কিন্তু পাশাপাশি সামাজিক-রাজনৈতিক জীবনে যখন নানামুখী অবক্ষয় ঘটতে থাকে, তখন এ অর্থনৈতিক উন্নয়ন কি জাতিকে স্বস্তি দেবে! গত প্রায় এক দশকে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালনার জায়গাটিকে ভঙ্গুর করে ফেলা হয়েছে। শিক্ষাব্রতীদের বদলে স্কুল-কলেজ পরিচালনার কাঠামোয় রাজনীতিকরণ সম্পন্ন করা হয়েছে। রাজনীতিক আর আমলাদের হাতে ক্ষমতা চলে যাওয়ার পর শিক্ষক নিয়োগে রাজনৈতিক প্রভাব আর অর্থের খেলা যুক্ত হয়েছে। এ অবস্থাটি যে কী ভয়ংকরভাবে শিক্ষার অবকাঠামো ভেঙে ফেলছে তা ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন।

শিক্ষার গন্তব্য এখনও দূরতিক্রম্য। প্রাথমিক শিক্ষা কমিটির মিটিং এ শিক্ষার উন্নয়ন ব্যতি রেখে আনুষাঙ্গিক বিষয়ে কথা বেশি হয়। শিক্ষা কমিটির সদস্যরা যে স্কুলের সাথে জড়িত সেসব স্কুলে হয় না পড়াশুনা। এই হচ্ছে আমাদের রাজনীতি। তবুও আমরা আশায় বুক বেধে থাকি নতুন নেতৃত্বের দিকে। হয়ত একদিন এই দেশ হবে উন্নত। রাজনীতিবিদরা শিক্ষাকে মূল্যায়ন করবে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৩৬

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
আশার আলো আমিও দেখি। দেখাই।
কিন্তু পায়ের নিচে মাটি সরে যাচ্ছে ...

মন্তব্যে আর কিছু লিখতে ইচ্ছে করছে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.