মোজাঃ এ লাভ স্টোরি দ্যাট এন্ড বিফর স্টার্ট।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৯

মোজাঃ এ লাভ স্টোরি দ্যাট এন্ড বিফর স্টার্ট।

রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছি। আমার কিছু দূরে বা পাশে দাঁড়িয়ে এক সুন্দরী। অতিব সুন্দরী। আমার মত দুস্থ চেহারার দুস্থ লোককে পাত্তা দিবেনা এমন সুন্দরী। সুন্দরীকে দেখে একটু ভাবসাব নিয়ে দাড়ালাম। পকেট থেকে সানগ্লাস বের করে চোখে দিলাম। এরপর আবার মনেহলো এই সন্ধ্যায় তো আর রোদ নেই, তাই উল্টা ক্ষ্যাত ভাববে মেয়েটা। তাই সানগ্লাসটা আবার পকেটে রেখে দিলাম। সুন্দরী এটা বুঝতে পেরে গেছে হয়তো যে, আমি এগুলা তার জন্য করছি। মিটিমিটি হাসছে। লজ্জা পাওয়ার মত অবস্থা। আমি মাঝে মাঝেই চোখ কাত করে তাকাচ্ছি, সেও অবশ্য মাঝে মাঝে তাকাচ্ছে। চোখে চোখ পড়লে আমিও চোখ সরিয়ে নিচ্ছি, সেও চোখ সরিয়ে নিচ্ছে। এমন একটা ভান যেনো তার দিকে তাকানোর আমার টাইমই নাই। ভালই জমে উঠেছিল ভাবসাব। এর মধ্যেই পাশের ফুটপাতে মুজা বিক্রেতা হটাৎ বলে উঠলো, স্যার বাচ্চার লেইগ্যা মুজা লইয়া যান, একদম সস্তা।

দিল প্রেসটিজ পাঞ্চার করে। একেতো বলে স্যার বাচ্চার জন্য মোজা নিয়ে যান, দ্বিতীয়ত বলে একদম সস্তা। আমারে বিবাহিত পুরুষ বানায় দিল, সাথে সাথে সস্তা জিনিস খোজার পাবলিক বানায় দিল। যা ভাবসাব নিছিলাম সব শেষ। এবার আমি তাকে বলেই উঠলাম, "ঐ মিয়া আমারে সস্তা জিনিস কেনার পাবলিক মনেহয়? আর বাচ্চার বাপ মনেহয় আমারে দেখলে? এখনো বিয়েই করিনাই আর আপনি আমারে বাচ্চার বাপ বানায় দিলেন? আর বিয়ে কিসের একটা প্রেমিকাই নাই আমার এখনো।" এই কথাটা একটু জোড়ে বললাম। যাতেকরে ঐ মেয়েটি শুনতে পারে।

আমি আবার ভাবসাব নিয়ে দাড়ালাম। এবার একটু ইতস্ততায় ভুগছি। মেয়েটার দিকে চোখ কাত করে আবার তাকালাম। আগের চেয়ে বেশী বেশী তাকালাম। সেও তাকাচ্ছে মাঝে মাঝে দুই একবার। কিন্তু এবার তাকানোর ভাবে মনে হচ্ছে সে গভীর সন্দেহ নিয়ে তাকাচ্ছে। মানুষ চোরদের দিকে যেভাবে তাকায়, সেভাবে তাকাচ্ছে। বুঝতে পারছিনা আসলেই সন্দেহ নিয়ে তাকাচ্ছে নাকি আমার মনের ক্ষুতক্ষুতি।


অরিজিনাল লেখাঃ Click This Link

৬ টি +০/-০