![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মোঃ জুয়েল মৃধা (ইউনুছ)। একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলে অধ্যক্ষ পদে কাজ করছি। অধ্যক্ষ, পারফেক্ট চাইল্ড একাডেমী, পূবাইল,মাজুখান,গাজীপুর। সত্য কথা বলতে চাই। সত্য নিয়েই লড়তে চাই।
বাংলাদেশে দুমাসের বেশি সময় ধরে নিখোঁজ বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদের সাথে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে গিয়ে বিএনপির এক নেতা – অফিস সচিব আব্দুল লতিফ জনি দেখা করেছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো – প্রায় দুঘণ্টা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মেঘালয় পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
পুলিশেরই কয়েকটি অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে গোয়েন্দাদের তিনি জানিয়েছেন যে তাঁকে কোনও একটা জায়গায় ঘুপচি ঘরে রাখা হয়েছিল প্রায় দুমাস।
তারপর বেশ কয়েকবার গাড়ী বদল করে শিলংয়ে নিয়ে আসা হয়।
গোয়েন্দাদের জেরা আর মি. আহমেদ নিজে আত্মীয়দের যা বলেছেন – তার মধ্যে বেশ মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে।
এর আগে মি. আহমেদের দুজন আত্মীয় দুপুরবেলা তাঁর সঙ্গে দেখা করে খাবার আর পোশাক দিয়ে এসেছেন।
তার সাথে কথাবার্তাও হয়েছে।
মি. আহমেদকে উদ্ধৃত করে ওই আত্মীয়রা জানান যে ৬২ দিন তিনি বন্দী অবস্থায় কাটিয়েছেন।
কোথায় ছিলেন, সেটা বলতে পারেন নি।
তার পরে চোখ বেঁধে বেশ কয়েকবার গাড়ী বদল করে নিয়ে আসা হয় যে জায়গাটাতে, সেটা মি. আহমেদ নিজেই খোঁজ করে জানতে পারেন যে শিলংএর গল্ফ লিংক এলাকা।
পুলিশ যদিও এতদিন দাবী করে আসছিল তারা স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে মি. আহমেদকে হেফাজতে নেয়।
তবে সালাউদ্দিন আহমেদ এদিন আত্মীয়দের জানিয়েছেন যে তিনি নিজেই পুলিশের কাছে গিয়েছিলেন।
আর হাসপাতালের চিকিৎসকেরা বলছেন তিনি মোটের ওপর সুস্থই আছেন।
তবে কিডনি আর চর্মরোগের একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে।
তার চিকিৎসা চলছে।
http://www.bbc.co.uk/bengali/news/2015/05/150515_sp_salauddin_update
২| ১৫ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৩১
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশের মানুষ মারা গেছে সালাহ উদ্দিনের অবরোধ ও হরতাল ঘোষনায়, তাকে ছেড়ে দেবে না আইন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৩:২১
ফাহাদ ইবনে মুরতাযা বলেছেন: ১০টি পয়েন্ট যা মিডিয়া উপক্ষা করছে:
১.
সালাহ উদ্দিন নিখোঁজের দুইদিন আগে ৮ মার্চ তার দুইজন ড্রাইভার ও একজন ব্যক্তিগত সহকারির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের উঠিয়ে নেয়। এ তিনজন দুইদান র্যাব হেফাজতেই ছিলেন। ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্য এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য বাদ দিলেও আদালতে পুলিশের জমা দেয়া কাগজপত্রেই দেখা যাচ্ছে এদের উঠিয়ে নেয়া সাথে র্যাব জড়িত।
২.
প্রত্যক্ষদর্শীদের দেয়া বর্ণনা মতে, একইদিন (৮ মার্চ) সকালে সালাহ উদ্দিনকে খুঁজতে গুলশান-১ এর ১৩৬ নম্বর সড়কের একটি বাড়িতে র্যাব অভিযান চালায়। ধারণা করা যায়, এর আগে আটক তিন কর্মচারির দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই সেখানে অভিযান চালানো হয়। র্যাবের কর্মকর্তারা ওই বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি করেন যেখানে কয়েকদিন আগেও সালাহ উদ্দিন অবস্থান করছিলেন। তবে ওই সময় ফ্ল্যাটে ৭০ বছর বয়স্ক একজন বাবুর্চি ছাড়া আর কাউকে পাওয়া যায়নি। বৃদ্ধ বাবুর্চিকেও র্যাব আটক করে নিয়ে যায়।
৩.
গুলশানের ওই ভবনটির মালিক ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের পরিচালক শহীদুল আলমের। শহীদুল একই ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমের ভাই।
৪.
ব্যাংকের ব্যাপারটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ গুলশানের ১৩৬ নম্বর সড়কের কাছাকাছি যে ভবনে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় অবস্থিত সেটির মালিক হচ্ছেন সালাহ উদ্দিন আহমেদ। একই দিন (৮ মার্চ) সকালে ব্যাংক ভবনেও সালাহ উদ্দিনের খোঁজে র্যাব অভিযান চালায়। তাদের ধারণা ছিল ভবনের ৭ম তলায় তিনি লুকিয়ে ছিলেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সেখানে ছিলেন না।
৫.
অভিযান চালিয়ে চলে যাওয়ার পরে একইদিন আবারও ব্যাংকে গিয়ে র্যাবের এক কর্মকর্তা সেখানকার সিসিটিভির ফুটেজগুলো নিয়ে আসেন। তবে এটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি যে, সালাহ উদ্দিনের অবস্থানের প্রমাণ খুঁজতে, নাকি নিজেদের অভিযানের প্রমাণ মুছে ফেলতে ফুটেজ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
৬.
অভিযান চলার সময় সালাহ উদ্দিন উত্তরায় একটি ফ্ল্যাটে অবস্থান করছিলেন যেটির মালিক ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিব হাসনাত। অর্থাৎ, ব্যাংকটির ডিরেক্টর শহীদুল ইসলামের গুলশানের বাসা থেকে উপব্যবস্থাপনা পরিচালকের উত্তরার বাসায় স্থানান্তরিত হয়েছিলেন তিনি।
৭.
১০ মার্চ রাতে উত্তরা যে ফ্ল্যাটে সালাহ উদ্দিন ছিলেন সেখানে কিছু লোকের আগমন ঘটে। বিভিন্ন পত্রিকা এবং অন্যান্য গণমাধ্যমকে দেয়া একাধিক সাক্ষাৎকারে (ওইসব সাক্ষাৎকারের ভিডিও এবং অডিও রেকর্ড রয়েছে) ওই ভবনের তত্ত্বাবধায়ক বলেন, আগন্তুকরা নিজেদেরকে ডিবির (ডিটেক্টিভ ব্রাঞ্চ) কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বাড়িতে ঢুকে সালাহ উদ্দিনের চোখ বেধে নিয়ে বের হয়ে যায়।
৮.
স্থানীয় বাসিন্দা এবং অন্যান্য ভবনের দারোয়ানরাও নিশ্চিত করেন যে, ওই রাতে সে বাড়ির সামনে এবং রাস্তায় আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা এবং তাদের একাধিক গাড়ি অবস্থান নিয়েছিল।
৯.
স্থানীয় ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের নিরাপত্তা কর্মকর্তারাও জানিয়েছেন, ১০ মার্চ রাতে র্যাবের লোকজন ১৩/বি নম্বর সড়কের অবস্থান কোথায় তা তাদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন। সালাহ উদ্দিনের অবস্থান করা বাড়িটি এই সড়কেই অবস্থিত।
১০.
সালাহ উদ্দিনকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, পরিচালক শহীদুল ইসলাম এবং উপব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিব হাসনাত দেশ ত্যাগ করেন।
সূত্রঃ নিউ এজ।