নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি তো মানুষ। আর কি কোন পরিচয় থাকে নাকি?

নেফার সেটি

আকাশের অসীম প্রান্তরে তাকিয়ে থাকো। কখনো নিরাশ হয়ে যেও না। হয়তো একটা বাজপাখিও উড়ে আসতে পারে......

নেফার সেটি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বজরঙ্গী ভাইজান সিনেমা এবং ভারতের একটি উগ্রবাদী সংগঠন বজরং!!!!

২৮ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ২:২৯

ভারতের চরম উগ্রবাদী হিন্দুদের একটা সংগঠন আছে। সংগঠনটির নাম বজরং । এই সংগঠনটির সদস্যদের বলা হয় বজরঙ্গী। এরা হনুমানকে অনেক বেশি সম্মান দেয় দেবতা হিসেবে। সিনেমাটিতেও দেখা যায় সালমান খান হনুমানকে দেখলেই নমস্কার বা প্রণাম করে। অর্থাৎ এখানে তিনি বজরঙ্গী।

এবার দেখি বজরঙ্গীদের উগ্রতার একটা নমুনা:

ঘটনার সূত্রপাত ২০০২ এর ২৭ ফেব্রুয়ারি-- গুজরাটের গোধরায় SABARMATI EXPRESS নামে একটি ট্রেনে হামলায় ভারতের ৫৯ জন মারা যায়। এরা অযোধ্যা থেকে ধর্মীয় কাজ করে আসছিল, এবং হিন্দু ছিল।

সেই জলন্ত ট্রেণের ছবি।

এই ঘটনার ফলে কোন প্রমাণ ছাড়াই দোষ দেওয়া হয় ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের উপর। সংঘটিত হয় আহমেদাবাদে নারোদা পাতিয়া গণহত্যা। বজরঙ্গীরা সেইদিন নৃশংস হামলা চালিয়ে হত্যা করে সংখ্যালঘু মুসলিমদের।

এবার দেখে নেই সেই গণহত্যার কিছু ছবি:


ঐ হামলায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া একজন বজরঙ্গী হলো বাবু প্যাটেল। যাকে সেই সময় ডাকা হতো বজরঙ্গী ভাই। ২০০৭ সালে তেহেলকা ম্যাগাজিনের এক সাংবাদিক তার সাক্ষাৎকার গোপন ক্যামেরায় রেকর্ড করে প্রকাশ করে দেয়।

সাক্ষাৎকারটির লিংক: বজরঙ্গী ভাই বাবু প্যাটেলের সাক্ষাৎকার

সাক্ষাৎকারের কিছু অনুবাদ নিম্নরূপ:
"কেটে টুকরা করা, পুড়িয়ে দেয়া, আগুন ধরানো অনেক কিছুই করা হল, অনেক কিছুই। আসলে আমরা মুসলমানদের আগুনে পুড়াতেই বেশি পছন্দ করি, কারণ এই জারজরা তাদের দেহ মৃত্যুর পর চিতায় পুড়াতে চায় না।

আমার শুধু একটি ইচ্ছা,......শুধু একটি শেষ ইচ্ছা...... আমাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হোক,.......আমাকে ফাঁসিতে ঝুলানো হলেও তা গ্রাহ্য করব না.........তবে আমাকে ফাঁসিতে দেওয়ার আগে মাত্র দুইদিন সময় দেয়া হোক, আমি জুহাপুরায় (মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা) চলে যাব। সেখানে ৭-৮ লক্ষ লোক বাস করে। আমি তাদের শেষ করব........কমকরে হলেও তো সেখানে আমার ২৫-৫০ হাজার মুসলমানকে হত্যা করা উচিত।"

"গণহত্যার পর থানায় মামলার নথিতে লেখা হয়, এক গর্ভবতী মুসলিম মহিলার পেট চিরে আমি ৯ মাসের ভ্রম্ননকে বের করেছি, নিক্ষেপ করেছি আগুনে। আসলে আমি তাদেরকে দেখিয়েছি, দেখ! আমাদের বিরোধীতার শাস্তি কি। একজনকেও ছাড়া যাবে না। এমনি তোদের ভূমিষ্ট হতেও দেয়া যাবে না। আমি বলেছি, যদি মহিলাও হয়....., যদি শিশু হয় তবু তাদের কেটে ফেল.....চিড়ে ফেল..........টুকরো করে ফেল......আগুনে পুড়াও সকল মুসলমানদের।

আমাদের অনেকে তাদের ঘরবাড়ি লুট করতে অযথা সময় নষ্ট করছিল। আমি বলেছি, অযথা এ কাজ না করে তাদের কাউকে বাঁচতে দিও না, এরপর সবই তো আমাদের। আমরা দল বেধে বেধে মুসলমানদের ঘরে ঘরে ঘুরছিলাম। প্রত্যেকেই মুসলমান মারছিল অতি উন্মাদনার সাথে।

"আমরা এসআরপি (স্টেট রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স) ক্যাম্পের পাশেই এই গণহত্যা চালাই। (আসলেএকসাথেই করা হয় সে গণহত্যা) তবে পুলিশরা মাত্র একজন মুসলমানকে সেভ করেছিল। সে ছিল তাদের উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা।"

"মুসলমান মারতে এত্ত মজা লাগে না....সাহেব, আসলে তাদের মারার পর আমার নিজেকে রানা প্রতাপ বা মহেন্দ্র প্রতাপের মত (মুসলিম নিধনকারী রাজা) মত মনে হয়েছে। এতদিন শুধু তাদের নাম শুনেছি, কিন্তু সেই দিন আমি তাই করলাম.... যা তারা আমার জন্য করেছিল।"


বাবু প্যাটেলের ছবি:


এটাই বজরঙ্গীদের তৈরি একটা নির্মম ইতিহাস। সেপ্টেম্বর ২০০৮ সালে কংগ্রেসে মনিশ তিওয়ারী বজরং দলকে নিষিদ্ধ করার দাবী উত্থাপন করেছিলেন। মাসিক পত্রিকা কম্যুনালিজম্ কম্ব্যাট আগস্ট ২০০৮ সালে বজরং দলের তাৎক্ষণিক নিষেধাজ্ঞার দাবি তোলে। রাজ্যসভা সাংসদ রাম বিলাস পাসোয়ান থেকে শুরু করে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী (১৯৯৪-১৯৯৬) ও একই সাথে ভারতের ১১ তম প্রধানমন্ত্রী ডেভে গৌড়া ও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী বজরং দলের পাশাপাশি শ্রী রাম সেনার উপরও নিষেধাজ্ঞার দাবি তোলেন।
বুঝতে পারছি না এতো বছর পরে সালমান খানকে সেই বজরঙ্গীদের প্রতিনিধি করে এতো আবেগঘন সিনেমা তৈরি করা হলো, আর মাানুষইবা সিনেমাটা দেখে এতো আবেগ কেন ঝরাচ্ছে! এটা শুধুই একটা সিনেমা বাস্তব উল্টো কথা বলে।

যদি সিনেমাটা মহৎ উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে তবে উগ্রবাদী বজরঙ্গীদের এই সিনেমাটা থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। তাদের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হওয়া উচিত। আর একটা সিনেমা দেখে কান্নাকাটি না করে আমাদের হিন্দু-মুসলিম উভয়ের উচিত মৌলবাদীতা পরিহার করা উচিত। শুধু সিনেমা দেখে লাফাইয়া কাঁদলে চলবে না

বি:দ্র: ★ এই পোস্টটিকে যেন হিন্দু ধর্মবিদ্বেষ হিসেবে ধরা না হয়। কারণ মৌলবাদীতা সব ধর্মেই আছে। কিছুদিন আগের রামুতে হামলা, মালোপাড়ায় হামলা এগুলোও কিন্তু এমনই উগ্রবাদীতার প্রকাশ।
পোস্টের শিরোনামে সাম্প্রদায়িকতা প্রকাশ পাওয়ায় এডিট করা হলো :)

তথ্য সূত্র:
লিংক ১
লিংক ২
লিংক ৩

মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ২:৩৯

মো: আকরাম খান বলেছেন: বিলকুল হাচা কতা কইচেন ।

২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:১৪

রক্তাক্ত-আমি বলেছেন: উগ্রতার চাদরে শান্তির বাণী...

৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৬:০১

জাহাজ ব্যাপারী বলেছেন: ...... তার পরেও আমরা মোদী পাঞ্জাবী পরে সুখ অনুভব করি, বিগ বাজেটের বজরঙ্গী ভাইজান দেখে গর্বিত হই, বাঙ্গালীয়ানার দোহাই দিয়ে দিল্লীর পদসেবা করার আয়োজন করি আর ওদের স্বার্থ হাসিলের জন্য ইন্ডিয়ান বলাৎকারের জন্য আমরা উন্মুখ হয়ে থাকি।
ভাবি, কতবার কেটে টুকরা করলে, পুড়িয়ে দিলে, আগুন ধরিয়ে দিলে, পেট চিরে ভ্রণকে বের করে আগুনে নিক্ষেপ করলে অন্তর্জাত গোলামী আর দাসত্ব থেকে আমাদের মুক্তি হবে!

৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:১১

দ্বীন মুহাম্মদ সুমন বলেছেন: এটাকে বলে কিসের মধ্যে কি পানতা ভাতে ঘি ... ধরা যাক, কথার কথা আপনার নাম "সাব্বির" ... এখন আমি যদি আমার নাম পালটে নিজের নাম আপনার নামে বদল করে "সাব্বির" রেখে সন্ত্রাসী কর্ম-কাণ্ড শুরু করি ... তার মানে কি সবাই তখন ধরে নেবে "সাব্বির" নাম থাকা মানেই সন্ত্রাসী? ... মনে রাখতে হবে সন্ত্রাসীদের কোন ধর্ম বা নাম হয় না ... তারা আপনার আমার আমাদের সবার শত্রু ... তারা শুধুই সমাজ, নাম বা ধর্মকে কলুষিত করে ...

আরেকটি উদাহরণ দিয়ে শেষ করি, ওসামা বিন লাদেন একজন ঘৃণ্য ব্যক্তি ... কিনতু এই লোকটি নিজেকে মুসলমান দাবী করে ... আপনি কি সত্যি তাকে মুসলিম বলবেন? ... ইসলামের কোন জায়গায় বলা হয়েছে ভিন্ন ধর্মের মানুষ ধরে ধরে খুন কর ? ... বরং তার কারণেই মানুষ মনে করে ইসলাম জঙ্গী ধর্ম ... অথচ ইসলাম মানেই শান্তি ...

তাই এই সব উলটা পালটা মন মানসিকতা ত্যাগ করুন ... সব কিছুর মাঝে নেগেটিভ জিনিস কেন খুঁজতে যান ?

২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:০৯

নেফার সেটি বলেছেন: আপনার তো চোখে অবশ্যই সমস্যা নাই। এখানে উল্টাপাল্টা কিসের মানসিকতা কোথায় দেখলেন? এখানে বলা হয়েছে সব ধর্মের মানুষের মধ্যেই মৌলবাদীতা আছে। সেটা পরিহার করতে বলা হয়েছে। আর বজরঙ্গী কি তার ডেফিনেশন দিয়েই দেওয়া হয়েছে। তাহলে পান্তাভাতে ঘি কেমনে দেখলেন! মানে কমেস্ট যাইহোক কিছু একটা করতেই হবে!

৫| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৩৭

দ্বীন মুহাম্মদ সুমন বলেছেন: আপনার নামে যদি একটা সন্ত্রাসী গ্রুপ খুলে বসি ... তবে কি ধরে নেব আপনার নামের লোকেরা সব সন্ত্রাসী হয় ?? আমার এই সহজ প্রশ্নের উত্তর দেন ... আর হা কমেন্ট যাই হোক কিছু একটা করতেই হবে তা নয় ... বরং আপনার পোস্ট পড়েই মনে হচ্ছে পোস্ট যাই হোক কিছু একটা করতেই হবে ... ত্যানা প্যাচাইতে হবে ... আজব কমনসেন্স আপনার ...

২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৪৬

নেফার সেটি বলেছেন: পৃথিবীতে একটা নামের মানুষ কি একটাই থাকে যে একটা খারাপ মানুষের নামে সংগঠন খুললে সেটা ঐ নামের সব মানুষের দোষ! পৃথিবীতে বজরং নামে কয়টা উগ্রবাদী সংগঠন আছে যে এক বজরঙ্গীদদের দোষ অন্য বজরঙ্গীদের দেওয়া হচ্ছে! আর এখানে উল্টাপাল্টা মানসিকতা কোথায় দেখলেন? বজরং এর নামের সাথে জড়িত ইতিহাসটা কি মিথ্যা? না এখানে কোন ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে? মানুষের কমনসেন্স নিয়ে প্রশ্ন তোলার আগে নিজের কমনসেন্সটা পরীক্ষা করে নিয়েন।

৬| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:১৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: কী ভয়ংকর! গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো। সিনেমার ব্যাপারে কিছু বলতে পারছি না, যেহেতু দেখিনি।

৭| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৬

কাল্পনিক চরিত্র বলেছেন: ব্লগ দিয়ে ইন্টারনেট চালালে যে অবস্থা হয়, ব্লগার সাহেবের সেই অবস্থা হয়েছে! মনের মধ্যে মৌলবাদ লুকিয়ে থাকলে যা হয় আর কি! আচ্ছা ভাইয়া, ইন্ডিয়ায় বজরং নামের এক দল আছে মানলাম! কিন্তু বজরং মানে কি? এটা আপনি জানেন, নাকি জানার চেষ্টা করেছেন? সনাতন ধর্মে 'রাম' নামের একজন অবতার আছে জানেন? রামের সাথে ছিল তার পরম ভক্ত 'হনুমান'। এই হনুমানের ছোটবেলার নাম ছিল মারুতি আর বজরং। বজরং নামের কারণ ছিল তিনি ছোটবেলায় অনেক শক্তিশালী ছিলেন। এবার আসুন ইন্টারনেট কি বলে - "Bajrang" is a Hindi word which means 'one with a strong frame or a strongly built body.' The word is also commonly associated with Hindu God Hanuman who is called 'Bajrang Bali' too.

এবারর চলুন মুভিতে যাই, মুভিতে বেশ কয়েকবার হনুমানকে দেখানো হয়। তার পূজার উৎসবও দেখানো হয়! সালমানের গলায় হনুমানের একটা পেন্ডেন্টও থাকে। ইভেন ব্যাকগ্রাউন্ড এ একটু পর পর বাজতে থাকে ' জয় জয় বজরংগবলী, তোড় দো দুশমনকি খুলি।"

ইন্টারনেট কিংবা মুভিটা যদি একটু ভালকরে দেখতেন পোস্ট দেয়ার আগে, তাহলে এমন পাতলা পায়খানা হয়তো প্রসব করতেন না! বজরং নাম দিয়ে কোন মৌলবাদি/সন্ত্রাসী সংগঠন খোলা বজরং নামের পবিত্রতা নষ্ট হবে না, যেমন হবে না/ হচ্ছে না ইসলামিক স্টেট (IS) খোলার জন্য ইসলাম ধর্মের।

পোস্ট রিপোর্টেড, পর্যবেক্ষণ!

২৮ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৫৬

নেফার সেটি বলেছেন: পোস্ট পছন্দ না হলে রিপোর্ট করবেন, সেটা আপনার বিষয়। আর খারাপ কিছু থাকলে সামু কতৃপক্ষ পোস্ট সরিয়ে দেবে সেটা তাদের বিষয় এটা নিয়ে ভাবছি নাহ।

২৮ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:২৭

নেফার সেটি বলেছেন: ইসলামিক স্টেট খোলার জন্য ইসলাম ধর্মের ক্ষতি নাা হলেও কিন্তু কিছুদিন পরেই এই ধর্মের অনুসারীগুলোর ঠিকই ক্ষতি হবে। কারণ কয়দিন পরে আইএস বন্ধ করার জন্য আমেরিকা কিিন্তু ঐ সমস্ত মুসলিম দেশেই হামলা করবে এবং মারাও পড়বে মুসলিমরা। তাহলে কি ক্ষতিটা কি ইসলাম ধর্মের হচ্ছে নাহ? এখানে তো আমি বজরং নামের পবিত্রতা দেখায় নি দেখিয়েছি বজরং এর সাথে জড়িত ইতিহাসটাকে। তো বজরং পবিত্র নাম বলে কি ইতিহাসটাকে আর উচ্চারণ করা যাবে না। আর বললেন এখানে পায়খানা করেছি, এখানে তো একটা তথ্যও ভুল দেওয়া হয় নি যেটাকে আপনি পায়খানা বলছেন। হ্যা, হনুমানকে হিন্দুদের দেবতা মানা হয়। কিন্তু হনুমানের পূজাটা স্পেশালি তো বজরঙ্গীরাই করে। বাংলাদেশে কয়টা মন্দিরে আপনি হনুমানকে পূজা করতে দেখেছেন একটু জানাবেন?

৮| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভারতীয় মৌলবাদ বিশ্বে এক সময় বড় সমস্য হয়ে দেখা দেবে!

তারা হিন্দস্তানকে হিন্দু স্থান বানানোর স্বপ্নে মশগুল! হিন্দ এর মাঝে হিন্দুত্বকে গুলিযে তারা চরম উগ্রতায় মানবীয় মৌলিক, মানবিক বিধি বিধান সব ভূলে গেছে! তা ভয়াবহ!
ব্রিটিশ পরবর্তী মুসলমানরা খানিকটা দুর্বল আর একতাহীন বলেই তাদের বাড়ও বেড়েছে বটে! এখন তাদের মত মানসিকতার ছিটেফোটাও যদি মুসলমানরা দেখাতে যায় কি হবে? গণহত্যা, যুদ্ধ ধ্বংস! যা অনাকাংখিত!

তাই আপনার আহবানই সত্য হোক
বজরঙ্গীদের ----তাদের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হওয়া উচিত। আর -- হিন্দু-মুসলিম উভয়ের উচিত মৌলবাদীতা পরিহার করা উচিত।
+++

৯| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৯

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: শুধু বজরঙ্গীরাই কি হনুমানকে দেবতা হিসেবে সম্মান দেয়? অন্য হিন্দুরা দেয়না? গধরার ঘটনার পর গুজরাটের হত্যাকান্ডে কি কেবল বজরং দলের লোকেরাই ছিলো? সিনেমার সাথে একটা উগ্রবাদী সঙ্গগঠনকে মিলাইয়া লাভ নাই। তাইলে আইএস, আল শাবাব, আল কায়েদা, লস্কর ই তাইয়েবা সব এক দৃস্টিতে দেখা হইয়া যায়। উগ্রবাদীদের কাছে কি নাম নিলো ওইটা ব্যাপার না, ওই নামের সাথে সম্পর্কিত আদর্শও ব্যাপার না। তারা তাদের ঘৃনা আর চরমপন্থা অবলবনের পথ হিসেবে দল গঠন করে শক্তিশালী হইতে।

পোস্টের উদ্দেশ্য ঘৃনা ছড়ানো হোক বা না হোক, ওইদিকেই গেছে।

২৮ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:১৪

নেফার সেটি বলেছেন: শুধুমাত্র বজরঙ্গীরাই হনুমানকে সম্মান দেয় না আরো হিন্দুরাও দেয় এবং পূজাও করে। কিন্তু বজরঙ্গীরা কি আলাদাভাবে হনুমানকে বেশি সম্মান দেয়, এটা তো নিশ্চয় অস্বীকার করতে পারবেন না। উপরে এটাও বলেছি যে বজরঙ্গীরা বাবু প্যাটেলকেও বজরঙ্গী ভাই বলে ডাকতো। আমি তো শুধু দেখিয়েছি বজরঙ্গী নামের সাথে জড়িত একটা ইতিহাস। সেখানে একটা ধর্মের প্রতি ঘৃণা, সাম্প্রদায়িকতা এগুলো আসে কেমনে! আমি কি সিনেমাটা দেখতে নিষেধ করেছি? উল্টো আরো সিনেমাটা থেকে শিক্ষা নিয়ে মৌলবাদীতা পরিহার করার কথা বলেছি। যদি ঘৃণা ছড়ানোই উদ্দেশ্য হতো তবে রামুর কথা বলতাম নাহ। ভারতে কিন্তু উগ্রবাদী বজরঙ্গীরা এখনো আছে। সেজন্য বলেছি উগ্রবাদীতা পরিহার করে তাদের অনুতপ্ত হওয়া উচিত। আমি কি এখানে কোন ঘটনা বিন্দুমাত্র বানিয়ে লিখছি।

একটা জিনিস দেখছি, আমি যতই অসম্প্রদায়িক হই, যতই হিন্দুদের উপর হামলার প্রতিবাদ করি, যতই নিজ ধর্ম ইসলামের মানুষগুলোর সমালোচনা করি, কিন্তু কোন একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে যদি হিন্দু ধর্মের কিছু লোকের উগ্রবাদীতাকে একটু তুলে ফেলি তখনই আমাকে ট্যাগ দেওয়া হবে সাম্প্রদায়িক হিসেবে।"

ঘৃণা ছড়ানোর উদ্দেশ্য থাকলে এক জায়গায় না এক জায়গায় ঠিকই বলতাম সিনেমাটা দেইখেন না। হয়তো বোঝাতে পারি না।

১০| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:২১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আরেকটা পোষ্টে দেখলাম...

বাস্তবতায় বাজ্রাঙ্গি ভাই জান -----সালমান খানকে বলি, যত যাই কর বাবা, হিন্দুদের মন জয় করতে পারবা না! হিন্দুদের মন জয় করতে হলে সেক্যুলার হওয়াই যথেস্ট নয়, তোমাকে তোমার নাম পরিবর্তন করে খাটি হিন্দু হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে হবে। মুসলমানের ছিটেফোটাও যদি তোমার মধ্যে দেখা যায়, তাহলে তোমাকেও ওরা ছাড়বে না! ..


১১| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:০৯

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: এই পোস্টেও কিছু ব্লগার রিপোর্ট করছে, বামপন্থী চিন্তাভাবনা এদের মাথা ধুয়ে ওয়াশ করে ছিরে ছ্যাবলা বানিয়ে ফেলছে।

১২| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:১৫

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: তোলপাড় করা বজরঙ্গী ভাইজান এর বজরঙ্গীটা কি???

বজরঙ্গী হইলো বজরং দল কি কি তান্ডব চালাইছে এইগুলা?? খুব খারাপ কিছিমের কিছু, তাইনা?

পোস্টের শিরোনাম পড়লে কিন্তু তাই মনে হয়। একটু চুলকানীমুলক শিরোনাম। বজরঙ্গীটা আসলে কি এইটা দাঙ্গা খুনখারাবী এইসব দিয়া বুঝাইতে চাইতেছেন কেন? আসলেই বজরঙ্গী কি ওইটা বলা যাইতোনা? বজরঙ্গী মানে আপনে যা তুইলা ধরছেন এইসব তো না। নাকি এইটাই আসলে বজরঙ্গী?

২৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৩৫

নেফার সেটি বলেছেন: তাহলে সমস্যা শিরোনামে। মানে লাউয়ের জায়গায় কদু লিখতে হবে এইটাই।

আচ্ছা বজরং রাজনৈতিক সংগঠনটার সদস্য কারা? তো আমি কি বজরঙ্গীর ডেফিনেশন দিতে গিয়ে ওর সদস্যদের কর্মকান্ডের কথা বলতে পারবো না! তাহলে বজরঙ্গীটাকে কি দিয়ে বোঝাবো? আমি তো বলেছি বজরঙ্গীদের কাছে হনুমান অনেক বেশি সম্মানের দেবতা। আচ্ছা যারা বজরং এর সদস্য তারা তো সবাই হনুমানের পূজাই করে, তবে পোস্টে আমি কিভাবে বোঝাবো?

আচ্ছা, হনুমান সব হিন্দুদেরই দেবতা এটা জানি। কিন্তু আপনি বাংলাদেশের কয়টা মন্দিরে হনুমানের পূজা দেখেছেন? অর্থাৎ একেক গ্রুপের কাছে একেক রকমের দেবতার সম্মান বেশি। তো যারা বজরং সংগঠনের সদস্য তাদের কাছে হনুমান। এবং এদেরকেই তো ভারতে বজরঙ্গী বলা হয়। তবে কি সিনেমার বজরঙ্গী শব্দটা অন্য জায়গা থেকে আমদানি হয়েছে? বজরঙ্গী হয়ে যে গণহত্যা করেছে সেটা কোন বিষয় না। সেটা লিখলেই চুলকানি!

এখনো বুঝতে পারলাম না পোস্টের ভুলটা কোথায়? আমি কি কোথাও বলেছি সিনেমাটা দেখা ভুল? একই কথা তো আপনারা বারবার বলছেন। নাকি গণহত্যার কথাটা মিথ্যা লিখলাম! আমি কি বলি নি বজরঙ্গীদের সিনেমাটা থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত?

অর্থাৎ ভিতরে যতই বোল্ড করে লিখি ঐ লাইনগুলোর কোন দাম নেই। পোস্টের সব নির্ভর করবে শিরোনাম কেমনে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে তবে শুধু শিরোনাম লিখেই পোস্ট দেব। ভিতরে কিছু লিখবো না। কারণ মানুষ শিরোনাম পড়েই মূলভাব বুঝতে পারে।

আর কিছু বলার নাই। সাধারণ পোস্টকে যেভাবে প্যাচানো হয় এই সামুতে! কেন যে শখ করে সামুতে আইলাম।

২৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৫১

নেফার সেটি বলেছেন: এবার কি শিরোনাম ঠিক আছে নাকি এখনো পরিবর্তন করতে হবে?

১৩| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:২২

নতুন বলেছেন: ভাই এখন যদি ভারতের কেউ ISIS এর ভিডিও আর মানুষ হত্যার ছবি দেখিয়ে বলে যে ইসলাম এই রকমের আপনি মেনে নেবেন??

যদি আপনি মেনে নেন তবে আপনার এই যুক্তি ঠিক আছে।

সব ধমই শান্তি চায়...কিন্তু তার অনুসারীরাই হত্যায় মেতে উঠে শান্তি প্রতিস্ঠার জন্য।

দোষ ঐ সব ধমান্ধ অনুসারীর...ধমের না।

২৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৩৮

নেফার সেটি বলেছেন: এখানে ধর্মের দোষটা কোথায় দিলাম? রামু আর মালোপাড়ার কথা বলি নি? ধর্মান্ধ আর মৌলবাদী তো একই কথা।

১৪| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৪৪

নেফার সেটি বলেছেন: আচ্ছা শিরোনাম চেঞ্জ করে দিচ্ছি। দেখি এরপরও কারো চুলকানি থাকে কিনা!

১৫| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ২:০৬

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: মানুষ সেটাই শিরোনামে দেয়, যেটা সে হাইলাইট করতে চায়। এইখানে সিনেমার বজরঙ্গী ভাই কিংবা হিন্দুদের বজরং বলীর সম্পর্কে বলার জন্য এই পোস্ট ছিলোনা। এটা সাম্প্রদায়িকতার একটা বিশেষ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেটাকে তুলে ধরেই পোস্ট। শিরোনামও সেভাবেই দেয়া উচিত ছিলো।

২৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ২:১৩

নেফার সেটি বলেছেন: এবার তো ঠিক আছে।।।

১৬| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৬:৫১

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: এই পোস্টেও কিছু ব্লগার রিপোর্ট করছে, বামপন্থী চিন্তাভাবনা এদের মাথা ধুয়ে ওয়াশ করে ছিরে ছ্যাবলা বানিয়ে ফেলছে
লেখক কইল কি আর পাবলিক বুঝলডা কি?
উগ্রবাদ আর মতান্ধতা কোথায় সেটা বোঝা গেলো
বি:দ্র: ★ এই পোস্টটিকে যেন হিন্দু ধর্মবিদ্বেষ হিসেবে ধরা না হয়। কারণ মৌলবাদীতা সব ধর্মেই আছে। কিছুদিন আগের রামুতে হামলা, মালোপাড়ায় হামলা এগুলোও কিন্তু এমনই উগ্রবাদীতার প্রকাশ।
আপনার এই ব্যাখ্যাই কাল হলো

১৭| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৬:৫২

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: বজরঙ্গী ভাই বাবু প্যাটেলের সাক্ষাৎকাটি সবাই ভুলেই গেলো (নাকি চেপে গেলো?)

১৮| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৪৫

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: যদি সিনেমাটা মহৎ উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে তবে উগ্রবাদী বজরঙ্গীদের এই সিনেমাটা থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। তাদের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হওয়া উচিত। আর একটা সিনেমা দেখে কান্নাকাটি না করে আমাদের হিন্দু-মুসলিম উভয়ের উচিত মৌলবাদীতা পরিহার করা উচিত।

সহমত!

১৯| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৫৪

আমিনুর রহমান বলেছেন:



পোষ্টে +

ছবিটা তৈরির পিছনে যদি বজরঙ্গীদের নিয়েই হয় এবং সেটা যদি সৎ কোন উদ্দেশ্য নিয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই গ্রেট কাজ।

২০| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:১১

দ্বীন মুহাম্মদ সুমন বলেছেন: মাথায় ব্রেইনের বদলে আলু ভর্তা থাকলে যা হয় আর কি :D ... হ্যাপি ব্লগিং ম্যান :-B ...

২৯ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:২৭

নেফার সেটি বলেছেন: ব্রেনে আলু ভর্তা থাকা মানুষগুলো শুধু পোস্টে রিপোর্টই মারে তাদের রিপোর্টে আর কাজ হয় না :v

২১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:৪৭

দ্বীন মুহাম্মদ সুমন বলেছেন: =p~

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.