নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি তো মানুষ। আর কি কোন পরিচয় থাকে নাকি?

নেফার সেটি

আকাশের অসীম প্রান্তরে তাকিয়ে থাকো। কখনো নিরাশ হয়ে যেও না। হয়তো একটা বাজপাখিও উড়ে আসতে পারে......

নেফার সেটি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেন পাকিস্তানের সাথে প্রতিটা বিষয়ে রাজনীতি মেশাতে হবে! অনেক বছর তো হল!!!

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১৫


ছবি: শিল্পী হাশেম খান

প্রথমে কিছু কথা বলে নিই। পোস্টটি যখন পড়বেন তখন নিজের মাকে নির্যাতিত নারীগুলোর জায়গায় মন থেকে কল্পনা করুন। ১৩, ১৪ বছরের মেয়েগুলোর স্থানে নিজের আদরের ছোট বোনটিকে কল্পনা করুন। তারপরে ভেবে দেখুন তো নিজের মা কিংবা বোনের ধর্ষকের বংশধরেরা যতই ভালো হোক তাদেরকে ঘৃণা ছাড়া দৃষ্টিতে দেখতে পারবেন কিনা? নিজের মা কিংবা বোনের ধর্ষকের বংশধরেরা খেলা করলে খেলার সময় নিজের মা কিংবা বোনের কথা ভুলতে পারবেন কিনা? পাকিস্তান আনলেই যারা ভারত টেনে আনেন তারা খুব সুন্দরভাবে পোস্টটা এড়িয়ে যেতে পারেন।

"আমি বিস্ময়ে বোবা হয়ে যাই। অসুস্থ দেহ, দুর্বল যুদ্ধ করতে পারলাম না। লালাসিক্ত পশুর শিকার হলাম। ওই রাতে কতজন আমার উপর অত্যাচার করেছিলো বলতে পারবো না, তবে ছ'সাত জনের মতো হবে"
→তারা ব্যানার্জী

"হঠাৎ করে আর্তনাদ করে উঠতেই ধমক খেলাম। 'চোপ খানকী' বোবা হয়ে গেলাম। আমাকে ঐ সম্বোধন করলো কি করে? আমি ভদ্রঘরের মেয়ে, অষ্টম শ্রেণিতে পড়ি। হঠাৎ কেমন যেন শক্ত হয়ে গেলাম.....।সেখান থেকে হাত ও জায়গা বদল হয়ে কখনও একা কখনও আরও মেয়েদের সাথে ঘুরতে লাগলাম।"
→মেহেরজান


"তারপর আমার এ সযত্নে লালিত দেহটাকে নিয়ে সেই উন্মত্ত পশুর তাণ্ডবলীলা ভাবলে এখনও আমার বুক কেঁপে ওঠে। আমাকে কামড়ে, খামচে বন্যপশুর মতো শেষ করেছিল। মনে হয় আমি জ্ঞান হারাবার পর সে আমাকে ছেড়ে গেছে।"
→রীনা

"কিন্তু নরপশুরা আমার কথায় একটুও কর্ণপাত করিল না, তাহারা হিংস্র দানবের মতো আমার শরীরের উপর ঝাঁপাইয়া পড়ে। এইভাবে ৭জন পাকসেনাই আমার শরীর উপর অত্যাচার চালায়।"
→পিয়ারা খাতুুন

''ম্যায় ইস হারামজাদি কওম কী নাসাল বদল দুন গা। ইয়ে মুঝে কীয়া সামঝাতি হ্যায়।"
"ইয়ার, লড়াই কী ফিকার নাহি কারো, উহতো হাম কার লাই গে। আভিতো মুঝে বেংগালি গার্লফ্রেন্ডস কা ফোন নাম্বার দে দো"
→নিয়াজী


"পাঞ্জাবি, বিহারি ও পশ্চিম পাকিস্তানি পুলিশ জিভ চাটতে চাটতে ট্রাকের সম্মুখে এসে মেয়েদের টেনে হেঁচড়ে নামিয়ে দিয়ে তৎক্ষণাৎ দেহের পোশাক পরিচ্ছদ ও কাপড়চোপড় খুলে তাদেরকে সম্পূর্ণভাবে উলঙ্গ করে আমাদের চোখের সামনেই মাটিতে ফেলে কুকুরের মত ধর্ষণ করতো..........। সেই ভয়াল ও ভয়ংকর চিৎকারে কান্নার রোল ভেসে আসত। 'বাঁচাও, আমাদের বাঁচাও, তোমাদের পড়ি, আমাদের বাঁচাও, পানি দাও, এক ফোটা পানি দাও,পানি পানি।"
→এসআই, বিআরপি সুবেদার খলিলুর রহমান


"মেয়েদের হত্যা করে কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাচ্চা ছেলেকে কোলে বসিয়ে বাচ্চাটিকে বেয়োনেট দিয়ে হত্যা করে মেয়েটিকে রেখে দিতো।"
→ আহাদ আলী

"অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে যখন একটু পানি খেতে চাইতাম তখন হানাদার বাহিনী ডাবের খোসায় প্রস্বাব করে আমাদের খেতে দিত।"
→কানন বণিক


"আমি ওদের মানা করতাম, চিৎকার করতাম। সাথে সাথে অচেতন হয়ে পড়ে থাকতাম। ওরা বিরাট বিরাট পুরুষ। একজন একজন করে এক ঘন্টা করে আমাকে অত্যাচার করত। আমি অনেক সময় অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকতাম।"
→রাণী চক্রবর্তী

১৩ বছরের খোদেজা, ১৪ বছরের মমতাজ, করিমন, সালেহা, নুরজাহান, ১৬ বছরের রোকেয়া এরা সবাই অল্প বয়সে নির্মম নিষ্ঠুরতার শিকার হয়েছে।

"বাঙালি রমণীদের ধরে এনে রাস্তায় উলঙ্গ করে ফেলে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে তৎক্ষণাৎ ধারালো ছুরি দিয়ে স্তন ও পাছার মাংস ছলাৎ করে কেটে ফেলে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। কাউকে কুঁচি কুঁচি করে কেটে ফেলেছে। কারো যোনীতে লোহার রড ঢুকিয়ে দিচ্ছে।"
→সাব ইনস্পেক্টর মোহাম্মদ সালেহজ্জামান

"It is not uncommon in history when a battle has been lost because troops were over indulgent in loot and rape."
পাকিস্তানি সৈন্য কর্তৃক ধর্ষণ আর লুটের মাত্রা এমনভাবে ছাড়িয়েছিলো যে নিয়াজী কমান্ডারদের কাছে গোপন চিঠিতে উপরের কথাগুলো লিখতে বাধ্য হয়েছিল।


নিয়াজী যদিও বাঙালীদের প্রচন্ডভাবে দমাতে চেয়েছিল, কিন্তু যুদ্ধ বাদে সৈন্যদের মাঝে ধর্ষণ প্রবণতা এত বেড়ে গিয়েছিলো যে পশ্চিম পাকিস্তানের দুইতিনটি মহিলাও ধর্ষণের শিকার হয়েছিল।

এই নিয়াজীই বাঙালীদের দমনের জন্য গোপন চিঠিতে বলেছিলো, "There must be more killing, more mopping up and more witch hunting."
এখানে উইচ বা ডাইনী বলতে অবশ্যই বাঙালী মেয়েদেরকে বুঝিয়েছিল।

ধর্ষণ করতে করতে পাকিরা এতোটা নির্বোধ হয়ে যায় যে, ঢাকা থেকে পাকিস্তান ফেরার সময় এয়ারপোর্টে জেনারেল টিক্কা খানকে যখন ধর্ষণ আর হত্যা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়, তখন সে উত্তর দেয়, "ধর্ষণের সংখ্যাটা অতিরঞ্জিত করা হচ্ছে। মাত্র তিন হাজার ধর্ষণ হয়েছে, মাত্র তিনহাজার।"

তারা চেয়েছিলো বাঙালী জাতিকে একটা ভিন্ন জাতিতে রূপান্তরিত করতে। কেউ নিশ্চয় তার পিতার সাথে যুদ্ধ করবে না। তাই তারা চেয়েছিলো এদেশের মেয়েদের গর্ভে পাকিস্তানের বীজ বুনে দিতে।
ধর্ষণের সময় কোন বাচবিচার ছিল না। আট বছরের উপরে বয়স হলেই সে ধর্ষণের উপযোগী ছিল।

সুসান ব্রাউনমিলার বলেছেন, "Rape in Bangladesh had hardly been restricted to beauty....girls of eight and grandmothers of seventy-five had been sexually assaulted."

পাকিদের ক্যাম্পগুলো হয়ে উঠেছিলো প্রদর্শন কেন্দ্র। মেয়েদেরকে লাইনে দাড় করানো হত। এরপরে বেছে নিতো সৈন্যরা। জিভ চাটতে চাটতে ঝাপিয়ে পড়তো তাদের উপর।

কমবয়সী বালিকাদের উপর নির্যাতনটা একটু বেশিই হতো। ধারালো দাতে কামড়ে তুলে আনা হত মাংস। কোন কোন বালিকা হয়ে যেত অর্ধমৃত। তখন দুইজন পাকি দুই পা দুইদিকে ধরে সেই মেয়েকে ফেড়ে ফেলতো!!!

কোন কোন মহিলা দিনে আটবারের বেশিও ধর্ষণের স্বীকার হতো। ধর্ষণের ফলে কেউ হয়ে যেত গর্ভবতী। কিন্তু তারপরেও চলতো নির্যাতন। নির্যাতনের ফলে অনেকে জন্ম দিতো মৃত সন্তান।

এভাবে প্রায় চারলক্ষের বেশি মহিলা শিকার হয়েছে পাকি কর্তৃক মিথ্যা ইসলামের বীজ বোনার আন্দোলনের। কিন্তু অনেকে স্বীকার করে নি সামাজিক ভয়ে। ৭১ এর পরে অনেক বীরাঙ্গনা হয়েছে একঘরে। কেউবা পরিবার থেকে ত্যাজ্য!!!

ঢাকা সরকারী পশু হাসপাতালের সুইপার পরদেশী ডোমের বর্ণনা দেয় এভাবে, " দেখলাম একটি রূপসী ষোড়শী যুবতীর উলঙ্গ লাশ, লাশের বক্ষ যোনিপথ ক্ষতবিক্ষত, কোমরের পিছনে মাংস কেটে তুলে নেওয়া হয়েছে, বুকের স্তন থেলতে গেছে..."

চুন্নু ডোম বলে, "তাদের হত্যা করার পূর্বে তাদের স্তন সজোরে ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে, যোনীপথে লোহার রড কিংবা বন্দুকের নল ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে...."

আজ কত সব ফতোয়া! শুনলে হাসি পাই। চুয়াল্লিশ বছর পিছন দিকে না তাকিয়ে এসো আমরা তাদের সাথে মিলে যায়! বাহ...
আমার মায়ের ধর্ষকের সাথে আমি মিলতে পারবো না। সেটা চুয়াল্লিশ বছর হোক আর পঞ্চাশ বছর হোক।
পারবেন কোন বীরাঙ্গনার সন্তানকে বলতে, "চুয়াল্লিশ বছর আগে তোমার মায়ের সাথে কি হয়েছে সেটা ভুলে যাও। আমরা তো ভাই ভাই। চলো তাদের সাথে একটু ভাব করে আসি"
পারবেন বলতে?
আপনাকে পুঁতে ফেলবে বীরাঙ্গনার ঐ সন্তান।


ধর্ষণ করেছে সৈন্যরা আমরা আফ্রিদীকে দোষ দেই কেন!
বাহ, খুব ভাল প্রশ্ন। নিশ্চয় আপনার মায়ের ধর্ষকের বংশধরদের সাথে আপনার মায়ের ধর্ষণের কথা ভুলে আত্মীয়তা করবেন?
ওরা ধর্ষকের বংশধর। সুযোগ পেলেই আমাদের পচাচ্ছে, অপমান করছে, আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাচ্ছে। এখনো পর্যন্ত কৃতকর্মের জন্য ক্ষমাটাও চায় নি।
তাদের সাথে আত্মীয়তা করা আমার দ্বারা সম্ভব না আমি আমার মায়ের কুলাঙ্গার সন্তান হতে পারবো না।

সকল বীরাঙ্গনা আমার মা। সকল বীরাঙ্গনার সন্তান আমি। এই মাটির উপর দাড়িয়ে তাদের উপর চলা নির্যাতনের কথা আমি ভুলতে পারবো না..... ধর্ষকের বংশধরদের বলতে পারবো না ম্যারী মি আফ্রিদী।

তথ্য কৃতজ্ঞতা:
১.বীরাঙ্গনা-১৯৭১, মুনতাসীর মামুন
২. আমি বীরাঙ্গনা বলছি, নীলিমা ইব্রাহীম
৩. বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধঃ দলিলপত্র

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩৭

আমিই মিসির আলী বলেছেন: যুদ্ধটা কি পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ করছিলো নাকি? পেইড হানাদার বাহিনী করছিলো???

এত ভাবা ভাবির কাজ নাই। এত ঘৃনা এই যুগে পুষে রাখার কোন মানে হয় না।

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:১৬

নেফার সেটি বলেছেন: এখনো বড় মানবতাবাদী হয়ে উঠতে পারি নি। তাই ঘৃণা পুষে রাখতে হচ্ছে।

২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:০৭

কলাবাগান১ বলেছেন: "সকল বীরাঙ্গনা আমার মা। সকল বীরাঙ্গনার সন্তান আমি। এই মাটির উপর দাড়িয়ে তাদের উপর চলা নির্যাতনের কথা আমি ভুলতে পারবো না..... ধর্ষকের বংশধরদের বলতে পারবো না ম্যারী মি আফ্রিদী।"

এই সব কথা বললে তো আপনাকে 'চেতনাবাজ' ট্যাগ দেওয়া হবে

তারপর ও এই ব্লগে কিছু পাকিপ্রেমী নারী ব্লগার কে দেখা যায়!!!!!!

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:১৮

নেফার সেটি বলেছেন: একটু ট্যাগ খেলে কিছু হয় না।

৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৪৫

বিজন রয় বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট!!!

স্বাধীনতার এই মাসে পোস্টি স্টিকি করা হোক।

স্টিকি কারা হোক।
স্টিকি কারা হোক।
স্টিকি কারা হোক।

৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫১

ফাহিম আবু বলেছেন: গত ৪০ বছর ধরে যে ইন্ডিয়া মানুষ মারছে ও ফেলানিদের মত মেয়েদের ধর্ষন করে কাটা তারে জুলিয়ে রাখে ! ফারক্কা , তিস্তা ইত্যাদি দ্বারা যে দেশকে মুরুভুমি বানাচ্ছে আপনাদের দাদাবাবুরা ,তখন আপনাদের চেতনা কই থাকে ??

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৩

নেফার সেটি বলেছেন: বাংলা পড়তে পারেন? আপনাকে পোস্ট এড়িয়ে যেতে বলা হয়েছে দেখেছেন?

৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: @আমিই মিসির আলি,

আমার পোস্ট থেকে শত হাত দূরে থাকবেন।

৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩৮

তাসজিদ বলেছেন: আমার মতে স্কুল কলেজ পর্যায়ে সবাই কে ঃআমি বীরাঙ্গনা বলছি বইটি জোর করে হলেও পড়ানো উচিৎ। তাহলে যদি পাকি প্রেম কিছুটা কমে।

৭| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪৮

রাফা বলেছেন: আমি পড়তে পরিনা এমন লেখা ।অল্প একটু পড়লাম ।এটুকুতেই অনুরোধ করছি কর্তৃপক্ষকে স্বাধিনতার মাসে এই পোষ্টটিকে স্টিকি করে রাখুন অনুগ্রহ করে।সবাইকে পড়ার সুযোগ করে দিন।

৮| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:১৯

টারজান০০০০৭ বলেছেন: আমিও পড়তে পারিনা এমন লেখা। এই জঘন্য অপরাধীদের বিচার না করিয়া জামাই আদর করিয়া পাকিস্তানে পাঠাইয়া দেওয়া মস্ত বড় ভুল ছিল। নুরেমবার্গ ট্রাইবুনালের মতন কোন ট্রাইবুনাল গঠন হওয়ার দরকার ছিল।আমি জানি, মুক্তিযোদ্ধারা জাতিসংঘ স্বীকৃত বাহিনী ছিলোনা, কারণ বাংলাদেশ তখনো স্বীকৃতি পায় নাই, পাকি বাহিনী তাই ভারতীয় বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করিয়াছিল। কিন্তু মিত্রবাহিনীও কেন বিচারের ব্যবস্থা করিল না? মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে যদি আত্মসমর্পণ করিত তাহা হইলে এই অপরাধীদের বিচার করা যাইত। তাহাদের বন্দি রাখিয়া পাকিস্তানে আটক বাঙালিদের ফেরতও আনা যাইত।

রাষ্ট্র, রাষ্ট্রীয়ভাবে অন্য রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখুক, তাই বলিয়া এমন জঘন্য নারী নির্যাতনের বিচার হইবে না কেন ? আত্মসমর্পনের পুরো প্রক্রিয়ায় অপরাধীদের বিচার বাদ পড়া খুবই দুঃখজনক। পাকিদের কাছে সম্পদের ন্যায্য হিস্যা দাবি করা হইয়াছে, কিন্তু অপরাধীদের বিচার কি দাবি করা হইয়াছে ? কাহারো জানা থাকিলে বলিবেন !

যে ইয়াহিয়া, টিক্কা, ভুট্টো মদ আর অবৈধ মেয়েমানুষ ছাড়া চলিতে পারিত না, তাহাদের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক ছিল না। তাহারা ইসলামের নামে যে বীজ বুনিতে চাহিয়াছিলেন বলিয়া আপনি উল্লেখ করিতেছেন উহা আসলে অনেক দেশের কাপুরুষ সেনাবাহিনীর যুদ্ধাস্ত্র যাহা দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে, বসনিয়ায়, কাশ্মীরে, বহু রণক্ষেত্রে দেখা গিয়াছে। ইহার সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নাই। ইহা কতিপয় অপরাধীর জাতীয়তাবাদী চেতনা ব্যবহার করিয়া অপকর্ম করার এবং উহার পক্ষে ওকালতি করার অপচেষ্টা।এই পাশবিক কান্ড বহু আগে হইতেই হইয়া আসিতেছে। পাকিরা ধর্ম হইতে দূরে সরিয়াই এই অধর্ম করিয়াছে। ধর্মে বরং ইহার শাস্তি চরম মাত্রারই ! ধর্ম মানিলে এমন গণহত্যা , নির্যাতন কখনই হইত না !
যেখানে মৃতদেহ বিকৃত করাই নিষিদ্ধ, সেখানে জীবিত মানুষকে কিভাবে এমন নৃশংস উপায়ে নির্যাতন, হত্যা ধর্ম অনুমোদিত হইতে পারে ? অনুমোদিত নহে !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.