![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বার্থপর মানুষ
৪ ডিসেম্বর ২০১৩ বুধবার বিকেল ৪:১৪ এয়ারটেল অফিস পিঙ্কসিটি গুলশান-২, ঢাকা
প্রিয় মৃন্ময়ী,
জন্মদিন যেমন আনন্দের, তেমন বেদনার। আনন্দের এজন্য যে, দিনটিতে সাধারণত সবাই শুভেচ্ছা জানায়; বন্ধুরা ছোটোখাটো পার্টির আয়োজন করে; কেউ-কেউ চমকে দেয় বিভিন্নভাবে। সবচেয়ে বড় কথা এই দিনটিতে বর্ণিল এই ধরণীতে আমার আগমণ ঘটেছিল বলেই সুন্দর জীবনটাকে উপভোগ করতে পারছি।
অন্যদিকে বেদনার এই জন্য যে, জন্মদিন স্মরণ করিয়ে দেয় যে, ক্রমশ আমার বয়স বাড়ছে (মূলত কমছে); মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি; অনেক কিছুই করা হয়ে ওঠেনি ইত্যাদি ইত্যাদি!
গতকাল ৩ ডিসেম্বর ২০১৩ আমার ২৬তম জন্মদিন ছিল। ফেসবুকে জন্মদিনের রিমাইন্ডার থাকায় সবাই-ই জন্মদিন জানতে পারে খুব সহজে; উইশ করাটা গতানুগতিক হয়ে যায়। তাই এবার আমি চেয়েছিলাম আমার বার্থডে অ্যাপ্লিকেশন রিমুভ করে দিবো যাতে আমার জন্মদিন কারো কাছে শো না করে। তারপর দেখব সত্যিকারার্থেই কতজন আমার জন্মদিন স্মরণ রাখে! যাই হোক, দুর্ভাগ্যজনক হল অনেক চেষ্টা করেও অ্যাপ্লিকেশন থেকে নিজের জন্মদিন সরাতে পারলাম না। যার কারণে ঠিকই রাত্র ১২টার সময় সবার ফেসবুক পেজে আমার বার্ডডে নোটিফিকেশন দেখালো।
যাই হোক, তারপরও কিছু মানুষ ফেসবুকের বাইরে থেকেও আমার জন্মদিন স্মরণ রেখেছে; আমাকে অনেকে চমকেও দিয়েছে। সর্বপ্রথম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালো মিম; ২ ডিসেম্বর দুপুরে ক্যাডেট থেকে ফোন দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালো; একই সাথে এও বলল যে, ৩ ডিসেম্বর ফোন দেয়ার সুযোগ নেই বিধায় আগেই জানায়েছে। আমার জন্মদিন মিমের মনে আছে, এটাই আমার মনটিকে ভীষণ ভালোলাগায় ভরিয়ে দেয়। আমার কাছে একদম অপ্রত্যাশিত ছিল।
তারপর ওইদিন সন্ধ্যায়ই ৬টার দিকে বন্ধু জহির মোবাইলে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালো। একই সাথে জানালো, ১২টার আগেই সে ঘুমিয়ে পড়তে পারে। তাই অগ্রিম জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
রাত্র সাড়ে এগারোটার দিকে ফোন দিয়ে ক্ষুদেবার্তা দিয়ে শুভেচ্ছা জানালো বন্ধু কামাল। আমি বেশ অভিভূত যে, অনেকেই মনে রেখেছে আমার জন্মদিন। তারপর রাত্র ১২টার সময় ফোন দিলো বন্ধু ঝিলু। আমি খুবই অবাক হয়েছি! একদমই অপ্রত্যাশিত ছিল! তারপর ফোন দিলো ফারিয়া, ইমরান, বসু এবং রাত্র দেড়টার দিকে নিয়াজ। বেশ ভালো লাগল ওদের ফোন পেয়ে। ফারিয়া বেশ চমৎকার করে গান গেয়ে উইশ করল আমাকে।
মোহনা ঠিক রাত্র ১২টায় উইশ করল। খুবই আনন্দবোধ হচ্ছিল। কেননা, আমি ভাবছিলাম মোহনা হয়ত আমাকে উইশ করবে না।
প্রথম মিম ফোনে উইশ করল ২ তারিখ। তারপর ৬টার দিকে জহির। তারপর সাড়ে এগারোটার দিকে কামাল। তারপর প্রথম ফোন ঝিলুর। পরে ইমরানের। ফারিয়ার। পরে মোহনাকে আমি ফোন দেই। কিছুক্ষণ কথা হয়। ফেসবুকে প্রায় আড়াইশর উপর উইশ।
যিশু ভাইয়াও দুপুরবেলা ফোন দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানায়। আম্মুও ফোন দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়। আম্মুর ফোন পেয়ে বেশ অবাক হয়েছি; যথেষ্ট খুশিও হয়েছি।
সারাদিন অফিসেই কাটিয়ে দেই। সন্ধ্যায় বাসায় চলে যাই। ফ্রেশ হয়ে ধানমন্ডি যাই ৯টার দিকে। সেখানে মনির আর ফারিয়া অপেক্ষা করছিল জন্মদিনের কেক নিয়ে। ফারিয়া আমাকে একটি ক্যাটস আই শার্ট গিফট করে। পরে শাওন এসে আমাদের সাথে যোগ দেয়। কেক কাটি; অনেক ছবি তুলি, মজা করে সময়টুকু পার করে দেই।
একটি বিষয় খটকা লাগল। নাদিমের সাথে বেশ কয়েকবার ফোনে কথা হয়েছে। অথচ একবারের জন্যও সে আমাকে জন্মদিনের উইশ করেনি!
©somewhere in net ltd.