![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বার্থপর মানুষ
২ নভেম্বর ২০১৪ রবিবার বিকেল ৪:৫১ ৩৫ প্লামরোজ টরন্টো কানাডা
কানাডা আসার পর আমার লেখার পরিমাণ কমে গেছে। একদম বন্ধ হবার উপক্রম! এর কারণ এই না যে, লেখার মতো কোনো কিছু ঘটেনি; কারণটা হলো আলসেমি! সময়ের অভাব বললে সেটা মিথ্যে বলা হবে কারণ সব কিছুর পরও সময় বের করা কঠিন কিছু না। লেখার মত অনেক কিছু ঘটে গেছে। যেমন- মামুন মামার সাথে প্রথম সিএন টাওয়ারে ওঠা (মামুন মামা হলেন পারভিন কাকীর কাজিন), সপরিবারে বিখ্যাত ও বহুল আকাঙ্ক্ষিত নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখতে যাওয়া (যদিও জাহাঙ্গীর কাকা কাজের জন্য যেতে পারেননি), কানাডায় আসার পর প্রথম স্নোয়িং হওয়া (যদিও ঘুমিয়ে থাকার কারণে লাইভ দেখার সৌভাগ্য হয়নি), মোহনার সাথে গত পরশুদিনকার আবেগময় স্মৃতিচারণ, ফারিয়ার বিয়ে, কিংবা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নানা ঘটনা-- সেটা চেম্বার বা ইউনিভার্সিটি সংশ্লিষ্টই হোক, অথবা বাংলাদেশের নানা রাজনৈতিক-সামাজিক ঘটনাই হোক!
এত ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও লিখতে বসা হয়নি! কিন্তু আজ লিখতে বসেছি। কারণ, মনটা ভীষণভাবে বিষাদাক্রান্ত! মানসিক অবস্থা অনেকটা কিংকর্তব্যবিমূঢ়!
সকালে ঘুম ভেঙেছে অনেক আগেই, সম্ভবত সাতটার দিকে। তারপরও ঘুমিয়ে ছিলাম, বিছানা ছাড়িনি। মাথার মধ্যে ছিলো যে, দুপুর ১২টায় চেম্বারে যেতে হবে। এর মধ্যেই জাহাঙ্গীর কাকার ফোন। তিনি খুব ঠান্ডা মাথায় বললেন, তোর বাবার সাথে টিউশন ফিস নিয়ে কথা বল। আমি দুই মাসের মধ্যে বাড়ি বিক্রি করে দিবো। তুই বাইরে অ্যাকমোডেশন দেখ!
আমার মাথায় বাজ পড়ল! কী শুনলাম আমি! হঠাৎ করেই আবিষ্কার করলাম কাকা-কাকী ছাড়া আমি তো একদম অসহায়! কিছুই ভাবতে পারছি না!
ধুর! লিখতে ভালো লাগছে না!
©somewhere in net ltd.