নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চক্ষে আমার তৃষ্ণা

না বলা কথা... [বি:দ্র: এই ব্লগটি কাউকে না পড়ার জন্য অনুরোধ করিছ। এটি একান্তই ব্যক্তিগত ব্লগ। ধন্যবাদ। ]

পপকর্ণ

স্বার্থপর মানুষ

পপকর্ণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানসিক প্রশান্তির খোঁজে

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:১৩

২১ ডিসেম্বর ২০১৪ রবিবার রাত্র ১০:১২ ৩৫ প্লামরোজ বুলেভার্ড টরন্টো



প্রিয় মৃন্ময়ী,



মানসিক প্রশান্তি চাই একটু। নানা কারণে মনটা ভীষণ খারাপ। এবং সবচেয়ে বড় কারণ হলো অর্থ উপার্জন না করা। গত প্রায় চারমাস আমি এমারাল্ড লিগ্যাল প্রোফেশনাল কর্পোরেশনে ভলান্টিয়ারিং করছি। আমার ধারণা ছিলো অন্তত তিন মাস পর আমাকে পে করবে। কিন্তু তেমন কোনো লক্ষণ দেখছি না। উপায়ন্তর না পেয়ে গত এক মাসেই তিনবার রেমুনারেশনের ব্যাপারটি তুললাম। কিন্তু ইতিবাচক রেসপন্স পেলাম না রাজ্জাক ভাইর কাছ থেকে। তিনি শুধু বলছেন তার প্লান আছে ভবিষ্যতে আমাকে পেমেন্ট দেয়ার। এমনকি তিনি আমার কাছ থেকে সিন নাম্বারও নিয়েছেন। কিন্তু সেই শুভক্ষণটা কবে আসবে কে জানে! আমি মাত্র ৪০০/৫০০ ডলারের সাপোর্ট চেয়েছিলাম। তাও তিনি দিতে অক্ষম। বরং তিনি আমাকে টিম হর্টনে পার্টটাইম কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন।



২.

গতকাল আমাদের বাসায় শাপলা আন্টিদের দাওয়াত ছিলো। সামিরা, ইনকা, মিজান আঙ্কেল, অনুরাগ আর অরুনিম--- সবাই এসেছিলো। সামিরা আর ইনকার সাথে আমার পরিচয় হয় কানাডা আসার পর। ইনকার নাম আমি কখনোই শুনিনি। তবে সামিরার নাম বাংলাদেশে থাকাকালীন সময় শুনেছিলাম। গতকালই প্রথম ওদের সাথে অনেকক্ষণ কথা হয়। আমার আর সনমের প্রেমের বিস্তারিত ইতিহাস ওরা শুনলো। দুজনেই বেশ মজা পেয়েছে সব কিছু শুনে। আমাকে আবার সমবেদনাও জানালো!



গতকাল আরো একটি ব্যাপার নতুন জানলাম। সামিরার সম্পর্ক ভেঙে গেছে। ছেলেটি নাকি বেশি কনজারভেটিভ। ওর পোশাক নিয়ে সব সময় প্রশ্ন তোলে। সামিরা এসব পছন্দ করে না। অবশ্য আমি জানতাম সামিরা বাংলাদেশে ফিরে গিয়ে ছেলেটিকে বিয়ে করবে।



৩.

আগামি ২৫ ডিসেম্বর ক্রিসমাস ডে। ইউনির্ভার্সিটি ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। তবে গত ১১ ডিসেম্বর ক্রিসমাস পার্টি ছিলো। আর ওইদিনই প্রচুর বরফ পরেছিলো। কানাডা আসার পর আমার প্রথম ক্রিসমাস পার্টি। ড্রেস নিয়ে খুব শঙ্কিত ছিলাম। কেননা, বরফ থাকার কারণে পার্টি ড্রেস পরে যাবার উপায় ছিলো না। তাছাড়া আমার তো ব্যক্তিগত গাড়ি নেই। পরে তনুকার পরামর্শানুযায়ী শুধু শার্ট, জিন্স আর বুট পরে গিয়েছিলাম।



ভালোই কেটেছিলো সময় সেখানে। অবাক করে দিয়ে বন্ধু অরি জন্মদিন উপলক্ষ্যে আমাকে ওয়ালেট গিফট করলো! আমি ভীষণ খুশি হয়েছিলাম। আমার জন্য নি:সন্দেহে অনন্যসাধারণ প্রাপ্তি। আর হ্যাঁ, অরি চীনের ছেলে। চীনের মানুষজন একটু শর্ট হয়। কিন্তু এই ছেলেটি প্রায় ৬ ফিট লম্বা। এখন পর্যন্ত আমার কাছে ওর মনটাও ভীষণ সফট মনে হয়েছে। আমাকে কাকী বলেছিলো চাইনিজরা কঞ্জুস হয়। কারো পিছনে অর্থ ব্যয় করতে চায় না। তার এই বাণীও ভুল প্রমাণিত হয়েছে ওরির ক্ষেত্রে। ছেলেটিকে আমার এতই পছন্দ হয়েছে যে, অনেক আগেই ওকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম যে, ভবিষ্যতে আমরা একত্রে ল ফার্ম দিবো।



৪.

জাহাঙ্গীর কাকা আমার উপর নানা কারণে ভীষণ বিরক্ত। তিনি আমার বিরুদ্ধে আব্বুর কাছে বেশ কিছু অভিযোগও করেছেন। তিনি একান্তভাবেই চান আমি যেন কোথাও দুইদিন কাজ করি এবং অর্থ উপার্জন করি। সত্যি কথা বলতে সেটা আমি নিজেও চাই। আমার মনটা ভীষণ ছোট হয়ে থাকে তাদের উপর বোঝা হয়ে থাকি বলে। যদিও কাকা-কাকী দুজনই আমাকে প্রত্যশাতীত সহযোগিতা ও সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন।



৫.

নানা কারণে আমি ভীষণ বিরক্ত জীবনের উপর। গত দুইদিন আম্মু আমাকে ক্রমাগত মেসেজ দিয়ে যাচ্ছেন পঞ্চাশ হাজার টাকার জন্য। অথচ আমার কাছে কোনো টাকা নেই। এখন একটি পার্টটাইম চাকরি প্রয়োজন। কিন্তু এখানে পার্টটাইম চাকরি যোগাড় করাও কঠিন যদি যথাযথ রেফারেন্স না থাকে।



৬.

তামান্না অবশেষে টাকা ফেরৎ চাইলো। তবে সে নিজে সরাসরি চায়নি। রায়হান ভাইর মাধ্যমে চেয়েছে। তামান্না সম্ভবত আমার কাছে সর্বমোট ৩৫ হাজার টাকা পাবে। কামালের কাছে বিশ হাজার টাকা পাঠিয়েছি। কামাল সেটা তামান্নার অনুমতি নিয়ে রায়হান ভাইকে দিয়েছে। ওকে আমি আরো মোট ত্রিশ হাজার টাকা দিতে চাই। তাহলে নিজেকে মুক্ত ভাববো। মোহনা বেশ অবাক হয়েছে টাকা চাওয়ায়! ওর ধারণা ছিলো তামান্না কোনোদিন টাকা ফেরৎ নিবে না। অথচ ওকে আমি বারংবারই বলেছি তামান্না টাকা ফেরৎ নিবে। কেননা, ওই টাকাটা দেয়ার মধ্যে ভালোবাসার থেকে বেশি ছিলো উদগ্র শো করার প্রবণতা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.