নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সজীব বিশ্বাস বকুল

কিছুদিন যাবত নিজের মাঝে বুদ্ধিজীবী সুলভ ভাব ভঙ্গী লক্ষ্য করছি।এবং নিজেকে বুদ্ধিজীবী প্রমানের জন্য জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করছি,ফেইসবুকে লিখছি।কিন্তু উপরন্তু বুঝতে পারছি আমি একটা প্রথম শ্রেনীর বুদ্ধিমান গর্দভ!ফেসবুক প্রোফাইল : https://www.facebook.com/MrStupidx

সজীব বিশ্বাস বকুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

গুলতেকিন খান এবং হুমায়ুন আহমেদ আর আপনার আমার বুদ্ধিজ্ঞানের কমতি!

২৪ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:১৮

আমি টাইটেলে লেখা দুইজনকেই ব্যক্তিগত ভাবে চিনিনা।গুলতেকিন খানকে চিনি হুমায়ুন আহমেদের স্ত্রী হিসেবে। যতটুকু জানি তার সম্বন্ধে সেটাও হু আ এর লেখার মাধ্যমেই। তাছাড়া বিগত বইমেলায় তার কবিতার বই প্রকাশ পায়।বইটা কিনিনি।কিনবো এবার।অনলাইনে তার কবিতা পড়েছি।ভালোও লেগেছে।নিজে লেখালেখি করি। কারা নতুন প্রতিদ্বন্দী হচ্ছেন খবর রাখার চেষ্টা করি। কার বই কয় কপি বিক্রি হচ্ছে তাও জানি।অন্তত অনুমান করতে পারি।নিজের বই মগজছাপ কেমন চলছে বাজারে তাও জানি।আরেক সংস্করণ বের হবে কি না তা জানিনা।লেখাও চলছে।লেখা থামিয়ে বসে থাকাও যায়না।নইলে আবার কেউ বলে ফেলতে পারে।বকুল আলসে।লেখেই না।কিন্তু তাই বলে লেখার নামে যাচ্ছে তাই করাও ঠিক না।

তসলিমা নাসরিনের লেখা পড়েছেন?দেখবেন সবাইরেই তুলোধনা করছেন।তিনিও হুমায়ুন আহমেদের সম্মন্ধেই লিখেছেন এবং যাচ্ছে তাই লিখেছেন।তিনি সরাসরি হুমায়ুন পাঠককে যা তা লিখেছেন।অনেকেই সেটাকে বিশ্বাস করেছে।কিন্তু বেঁচে থাকতে তিনি কই ছিলেন?

হুমায়ুন আহমেদের থেকেই জেনেছি তিনি কিভাবে কাজ করেছেন।শত বাঁধা উপেক্ষা করে কবিতা,গল্প,উপন্যাস,সিনেমা,নাটক করেছেন।তার কাজ থেমে থাকেনি।কারণ তিনি জানতেন সব কুকুরের ঘেউ ঘেউ শুনলে কাজ না করে ঘরে বসে থাকতে হবে।সেটাও তিনি পারবেন কিভাবে সন্তানকে কি খাওয়াবেন?তার তো আদতেই একটা জীবন ছিলো।জনম দুঃখী মানুষটাকেও তো ছবি তুলতে দেখা গেছে হাসি মুখে।তিনি সস্তা নাকি বাজারী লেখক সেটা জানতে আপনার কথা শুনতে হবে কেন?হুমায়ুন নাকি গুলতেকিনকে আন্ডার এস্টিমেট করত!

আচ্ছা হুমায়ুন এবং গুলতেকিনের সম্পর্ক টেকেনি কিন্তু নিউজে লেখা হচ্ছে জনপ্রিয় প্রয়াত লেখক হুমায়ুন আহমেদের প্রথম স্ত্রী গুলতেকিন সাক্ষাতকারে বলেছেন অমুক তমুক!তার ইন্সপিরেশন নাকি তার দাদা।ভালো নতুন গপ্পো জানতে হবে।হুমায়ুন আহমেদকে আমার অসম্ভব মেধাবী বলেই মনে হয়।তবে কি গুলতেকিন হুমায়ুন আহমেদকে গুনেনই না।তার লাশ দেশে আসার পর কিছু ছবি পেয়েছিলাম।নিচে কিছু ছবি দেখুন,




এরকম আরো প্রচুর ছবি আছে।খুবই আবেগের ছবি।গুলতেকিনের সাক্ষাতকার পড়ে এবং তা নিয়ে যা বানিজ্য চলছে তা ভাল লেগেছে।মানুষ এরকমই।বুদ্ধি হাঁটুতে নিয়ে ঘোরে আর মনে করে ব্রেনের মাঝে যা ঝন ঝন করছে তাই মস্তিষ্ক।উতকৃষ্ট মানের জৈব সারও তো হতে পারে।

হুমায়ুন আহমেদ শিখিয়ে ছিলেন উদার হতে।কিন্তু তার ঘরের লোকজনই তো ঠিক হোলো না।তার ছেলে তার মৃত্যুর পরে ইংরেজিতে লিখে পাঠালে তা অনুবাদিত হইয়া পত্রিকায় ছাপা হইত!বাঙালীর ছেলের একি আচরণ!এতক্ষনে বুঝেছেন কি বলেছি?

নাকি এখনো বোঝেন নি।না বুঝলে আমার কিছুই করার নাই গুরু।ছোটোলোকি কমান প্লিজ।পিঠপিছে কথা কম বললেই বকুল নামের এই অপদার্থ তো আর ভুলভাল যুক্তি দিতো না।আপনি যদি কাউকে নিয়ে যা তা লিখে ফেলেন তাহলে তো হবে না।যেমন আমার এই লেখাটার জন্য আমাকে আপনি হেনস্থা করতে পারবেন ঠিক তেমন আপনাকেও ভুলভাল লিখলে হেনস্থা হতে হবে।ইহাই সত্য।

ভালো থাকুন সবাই।ফোঁড়ন কাটাই আমার কাজ।সেটাই করছি।করবো ভবিষ্যতেও।কারণ আমি চাই সবার না হলেও কিছু মানুষের শুভবুদ্ধি হোক।সবাই চোখ বুজলে তো দেশ বিদেশ মহাবিশ্ব কিছু টিকবেনা।বিদায় এবারের মত।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৫২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: গুলতেকিনের নেকামি দিন দিন বেড়েই চলেছে...অথচ আমেরিকায় থাকা সত্ত্বেও তিনি দেখা করতে যাননি মৃত্যুপথযাত্রী হুমায়ুন আহমেদের সাথে...পরে আবার দেশে স্মরণসভায় এসে কান্না করেছেন...

২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১:০৯

সজীব বিশ্বাস বকুল বলেছেন: গুলতেকিন কি করছেন বা কি করবেন সেটা নিয়ে আমার বা আপনার কারোরই ভাবার বিষয় নয় তবুও লিখতে হচ্ছে।কারণ তার হঠাত করেই কিছু লেখার বা প্রকাশ করার আগে ভাবা উচিত একবার।ঘরের কথা বলে বেড়ালে লোকজন শুধু স্পষ্টবাদী মনে করবে তাও নয় আস্ত একটা ভাড়ও তো মনে করতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.