![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রকাশিত গ্রন্থঃ অসুখগুলো প্রাপ্তবয়স্ক, শাদা পরচুল অন্ধকার, মৌনমুখর বেলায়, শাহবাগের সাথে সংহতি
অনুবাদ ও ভূমিকা : রেজওয়ান তানিম
ফারাহ সারাফা সাম্প্রতিক সময়ের একজন সমাজ ও রাজনীতিসচেতন কবি। নাগরিকত্বের দিক থেকে তিনি মূলত একজন আমেরিকান হলেও বৈচিত্র্যপূর্ণ পারিবারিক ইতিহাসের জন্য তাকে একজন বিশ্বনাগরিক বলে অভিহিত করা যায় সহজে। তার পিতা একজন ইরাকি খ্রিস্টান এবং মা একজন ফিলিস্তিনি মহিলা। তার বাবা-মা সংসার শুরু করেন মিশরে এবং জন্ম ও বেড়ে ওঠা আমেরিকায়। তার সাহিত্যকর্মের উপর যুদ্ধ ও আরববিশ্বের ঝঞ্ছাবিক্ষুব্ধ সময়ের বাস্তবতার দেখা মেলে। ফিলিস্তিন ইসরাইল যুদ্ধ, আমেরিকা ইরাক যুদ্ধ এসব তার সাহিত্যকে দিয়েছে আলাদা মাত্রা। তার লেখায় যুদ্ধের প্রভাব বিষয়ে তিনি বলেছেন, “যুদ্ধ আমাকে আর সবকিছুর চেয়ে বেশি আকৃষ্ট করেছে এবং কবিতা আমার যুদ্ধোত্তর অনুভূতির প্রাথমিক প্রকাশ।”
হুপউড সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত এই কবির কবিতায় যুদ্ধের ভয়াবহতা এবং আশাভঙ্গের বেদনা প্রবলভাবেই প্রকাশ পেয়েছে। নিজের মাতৃভূমিকে না দেখতে পাবার বেদনাও লক্ষণীয়। মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান নেতৃত্বের আপোষ-আলোচনার নিরীহ পথের চেয়ে প্রতিবাদী ও দৃঢ় চেতনার সংগ্রামের প্রতি তিনি তার আস্থা ব্যক্ত করেছেন। মাতৃভূমি ফিলিস্তিনের বর্তমান নেতৃত্বকে লোভী, বাজিকর ও পাচারকারীদের সহযোগী হিসেবে প্রত্যাখ্যান করে হামাসের দৃঢ় অবস্থান, যা কিনা ‘পিতামহের পথ ও সংস্কৃতি’ হিসেবে চিত্রায়িত করতে চেয়েছেন। এছাড়াও ইরাক আমেরিকা যুদ্ধে পরাজিত সাদ্দাম হোসেনের প্রতিও তার সহমর্মিতার প্রকাশ ঘটেছে লেখাগুলোতে। তিনি চান ইরাকে আবার অসাম্প্রদায়িক বাথ পার্টি দৃশ্যমান হোক রাজনীতির পটভূমিতে।
আরব অঞ্চলের কিংবা আরবি সাহিত্যে যুদ্ধ ও পাশ্চাত্য বিরোধিতা সঙ্গত কারণেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে প্রবল আকার ধারণ করেছে। মাহমুদ দারবিশ, আদোনিস, নাজিম হিকমতের লেখা থেকে আমরা সেসব নিয়ে অনেকটাই অবগত। তবে ফারাহ সারাফার কবিতা কিছুটা বৈচিত্র্যপূর্ণ এই কারণে যে ফারাহ মধ্যপ্রাচ্যের বংশোদ্ভূত হলেও তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা মধ্যপ্রাচ্যের সকল সমস্যায় আরব দেশগুলোর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ হুমকি আমেরিকায়। আমেরিকার বকধার্মিকতা তিনি কাছ থেকে দেখেছেন বসবাস ও বেড়ে ওঠার সূত্রে। তাই তার কবিতা পাঠে আমরা পাই, আরববিশ্বের সাম্প্রতিক যুদ্ধপরিস্থিতির বিষয়ে নিবিষ্ট পর্যবেক্ষকের মতামত।
পাঠকেরা আরববিশ্বের ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক যুদ্ধপ্রসঙ্গ নিয়ে আমেরিকার নতুন প্রজন্মের ভাবনাও জানতে পারবেন এই কবিতাগুলো পাঠান্তে। ফারাহ সারাফা মূলত ইংরেজি ভাষায় লেখালেখি করে থাকেন। এই কবিতাগুলো তা থেকেই তর্জমা করা।
ইরাকি বাবা, ফিলিস্তিনের মা
বাগদাদে একটি বাসে মর্টার বর্ষণ, ১৫ জনের মৃত্যু
যুদ্ধের বৈরিতাই আজ প্রতিফলিত এ গৃহযুদ্ধে
আমেরিকা হামলে পড়েছে ইরাকি জনজীবনে
দীর্ঘ দুই বছর আগে।
কী করে এমনটা হল
কীভাবে এমন হতে পারে
আমি কখনও দেখতে পাব না
আমার প্রপিতামহের উর্বর জমিন?
আমার সংগ্রাম, আমার দীপ্ত উদ্দীপনা
বিভাজন ও অনৈক্য রোগের উপশম কল্পে
আমার এই দুর্ভাগা দেশ এবং ফিলিস্তিন
ভুক্তভোগী আজ অগণন যন্ত্রণার।
দখলদারদের পশ্চিমতীর ছেড়ে যেতে এবং
পূর্ব জেরুজালেমে ফিরিয়ে যেতে অনুরোধ করেছে, হামাস।
যেখানে দখলকারী বসত গড়েছে, ১৯৪৯ এ
নির্মাণ করেছে চেকপয়েন্ট এবং একটি বাঁধার প্রাচীর।
কী করে এমনটা হল
কীভাবে এমন হতে পারে
আমি কখনই দেখতে পাব না
আমার প্রপিতামহীর পুণ্য ভূমি?
আমি কাঁদি, আমি গোঙাই, বিরত
থাকি দেহমনের আনন্দ থেকে
নিঃশেষ শূন্যতায় আমি আটকে আছি
জীবনবঞ্চিত ইরাকের মাটিতে।
জলপাই
যদি জলপাই বৃক্ষটি পেত কথা বলার স্বাধীনতা
তবে হয়তো তারা এভাবে বলত
তোমার পিতা,
উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া স্বপ্নটুকু
ফেলে আসতে বাধ্য হন সরীসৃপ খোলসের মতন.
এরপর.. শুধু কাঁদেন।
উষর জলপাই ক্ষেতে হাঁটতে হাঁটতে
তিনি আশার আবাদ করেন, ভাবেন, ওদের শিকড় প্রোথিত হবে
জীবন্ত হবে আরও একবার, যেমন তারা ছিল
একদিন তাদের পূর্বপুরুষদের মতোই ফলবতী।
ফিলিস্তিনের গভীর কালো মাটির গন্ধ যেন
তরল সাদা পনির মাখানো আধপোড়া পিটা রুটি।
তিনি স্বপ্ন আঁকেন
তার সন্তানের চোখজোড়া জলপাই’র মতো সবুজ
চকচকে, ঝিলিক মারছে
যেন পান্না,
কিন্তু সে স্বপ্ন, গাছের শাখা নাড়াবার একটি শূন্য হাতের চেষ্টা–
যে শাখার জলপাই ফুলগুলো পলাতক, যা থেকে ফললাভ
লোভের কারুকার্যে ঘেরা।
তাদের বাজিকর ও পাচারকারীদের কপট কাতর কণ্ঠে
বিশ্বস্ত পরিবারগুলোকে ছুড়ে ফেলেছে অনুনয়ের পথে
তারা হাঁচি দেয়
নিষ্কৃতি পেতে, ফুসফুসের গভীরে জমা ধূমায়িত ক্রোধ
সঙ্কুচিত কালো ও ভীত কণ্ঠ; পূর্ব পুরুষের মাহাত্ম্যগীতি
না গাইবার বিচ্যুতিতে পতিত তিমির ঢাকা লক্ষ্য।
আমার পিতামহের হৃদয় নিংড়ে উৎসারিত এই জীবন
যেখানে তিনি বৃক্ষশাখা থেকে ছাই ঝেড়ে ফেলেন
যে ছাইয়েরা উড়ে যায় দৃষ্টির সামনে থেকে
খোলা চোখে, অগ্নিদৃষ্টি হেনে আসমান দিকে
তিনি দীর্ঘশ্বাস নেন, সুবাসিত দীর্ঘশ্বাস।
যে ছাইয়েরা সমাহিত ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া কবরের নিচে
সেখান থেকেই বেড়ে উঠবে এ সংস্কৃতির ওঙ্কার!
শিরোনামহীন
তার গাড়ির সামনের কাচে ছোপ ছোপ রক্ত,
মায়ের আর্তচিৎকার
অগ্নিশিখায় এক আমেরিকানের ঘৃতাহুতি
বিস্ফোরিত ভূমিগর্ভ
ইরাকের জমিন অগ্নিশিখায় পুড়ে শুষ্ক হয়ে আসে
(মরুভূমি দ্বারা নয়)
ইরাকের মাটি মুখ গুজে সহ্য করে
সাদ্দাম হোসেনের অপমান.
মার্কিন বাহিনীর ৫০ সৈন্যদল ও ১৫০০ যুদ্ধবিমান
ঝাঁপিয়ে পড়েছে মৌমাছি ঝাঁকের উপর
যাদের মধুভাণ্ডারের চাক
রুদ্ধ করেছে বুশের দানবীয়
অগ্নিশ্বাস, সুমিষ্ট তরল শুকিয়ে
গোঁজানো খামিরের শক্ত আবরণে পরিণত করেছে
গোঁড়া মক্ষিকার মুখগহ্বরের আগুন।
আমি সেই উষর ভূমির আর্দ্রতা ফেরাতে সাহায্য চেয়ে কাঁদি,
ক্রোধের বিষফোড়াকে লালন করি
একমানুষের ক্রোধ, ভীতি ও শহীদি প্রেরণা রূপে ছড়ায়
মরিয়া হয়ে ওঠা একটি জনসমষ্টিতে।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২১
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
স্বাগত জানাই আপনাকে আমার ব্লগে
২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৫
শাহ আজিজ বলেছেন: অনুবাদে নিজস্ব ধ্যান ধারনা এক আলাদা গতি লাভ করে। কারন তুমি এমন এক জায়গায় আছ যেখানে সীমিতসময় মাতৃভাষা ব্যাবহার করতে পার। অনুবাদের পর তোমার অনুভুতি ফারাহ , ফিলিস্তিন ও ইরাকের ব্যাপারে আরও আন্তরিক হবে। তোমার একান্ত অনুভুতিতে ওরা স্থান করে নেবে। অনুবাদে তোমার হাত চলছে, চলুক এবং আশা করছি ২/৩ বছরে তোমার লেখায় চমৎকার বিষয় অন্তর্ভুক্ত হবে।
ভাল লাগছে।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৯
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আজিজ ভাই
শুভকামনা জানবেন
৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৭
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: জীবন থেকে নেয়া কবিতা ... প্রেক্ষাপট আর ওনার জন্ম পরিচয়ের বৈচিত্র্য সম্ভবত আরো বেশী প্রাণবন্ত করে তুলতে সাহায্য করেছে।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৬
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ অভি।
কবিতা সবসময়ই জীবন থেকে নেয়া।
সবাই কঠিন কঠিন কবিতা লিখতে পারে কিন্তু সবাই জীবন ঘনিষ্ঠ হতে পারে না।
আর তাই সব কবিতা কালজয়ী হয় না
৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৪
সায়েম মুন বলেছেন: ফারাহ সারাফাকে প্রথম চিনলাম।
ভাল লেগেছে কবিতাগুলো।
আশা রাখি ভাল আছেন। শুভকামনা অনেক।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৫
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: অনুবাদের পেছনের কথা কিছুটা বলা যাক।
কবিতা অনুবাদ বিষয়ে আমার আগ্রহ ছিল অনেক দিনের, তাই অনুবাদ উপযোগী অথচ বাংলায় অপঠিত কবিতা খুঁজছিলাম বেশ কিছুদিন ধরেই। আমার ইচ্ছে ছিল আরব অঞ্চলের কোন কবির কবিতা অনুবাদের, কেননা এই তর্জমা প্রচেষ্টা যখন শুরু হয়েছিল তখন ছিল আরব বসন্তের উত্তাল সময়। পরিবর্তনের হাওয়া লেগে উষ্ণ মরুতে এমন ঝড়ের সৃষ্টি যা ত্রিশ চল্লিশ বছরের রাজকীয় শাসনকে ধুলায় লুটিয়ে দিল। এমন সময় চোখে পরে যায় ফারাহ সারাফা’র কবিতা যিনি আরব বংশোদ্ভূত হলেও জীবন যাত্রায় ঠিক আরবীয় ঘরানার নন। পরে ভেবে দেখি, জীবনযাত্রায় পশ্চিমা আধুনিক রীতির অনুসারী অথচ শেকড় আরবে এমন একজন কবি তার নিজের পিতৃ ও মাতৃভূমিকে কেমন করে দেখছে সেটা তুলে আনা যায় কিনা বাংলাতে। এই চিন্তা থেকেই তাকে পরিচিত করবার চেষ্টা বাংলা ভাষায়। এই কবিতাগুলো অনুবাদ করেছি ২০১৩ সালে। বিডি নিউজে প্রথম ছাপা হয়েছিল।
৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৮
রেজওয়ানুল ইসলাম পাপ্পু বলেছেন: ইংরেজী অংশটুকু দিলে ভালো হতো। তাহলে বুঝতে পারতাম ভালোবাভে। কবিকে জানলাম, কবিতার বিষয় আমদের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার পটভমির মতো্ আপনি এগিয়ে যান এই কামনা করি।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩২
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ইংরেজি অংশ নেট এ সার্চ দিলেই পাওয়া যায়। আর সাধারণত বই ছাড়া মূল কবিতা দেয়া হয় না, অনুবাদের সাথে।
যাই হোক, আপনি যখন পড়তে চাইলেন, তখন এই লিঙ্কে গিয়ে খুঁজে পাবেন ওনার বেশ কিছু কবিতা।
http://voiceseducation.org/content/farrah-sarafa
৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৭
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: ইরাকের প্রতি, ইরাকের মানুষের প্রতি সম্রাজবাদী যুদ্ধবাজ আমেরিকার যে লোভাতুর থাবা মেলেছিল তার অসাধারণ বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এই কবিতায়। লেখক ও তার সাহিত্যকর্মের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৭
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: গোটা পৃথিবী আজকে আমেরিকা ও তার সাথে সংযুক্ত ষড়যন্ত্রকারীদের কারসাজির ভুক্তভোগী।
এ থেকে মুক্তি মিলবে না সহজে।
৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪১
সুমন কর বলেছেন: অনুবাদ সাবলীল হয়েছে। কিন্তু লেখা কঠিন লাগল।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। +।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪১
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: শেষ কবিতাটির কয়েকটি লাইন বেশ ঝামেলার। এর বাদে বাকি গুলো তো সহজপাঠ্য লাগল আমার কাছে
শুভকামনা রইল
৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৭
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: জলপাই ভাল লেগেছে| বাকিদুটো খুব খুব সাধারণ|
অনুবাদ কষ্টকর| করছেন যেহুতু তাই আগামীতে আরো পাব আশা করছি
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৩
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: অনুবাদ খুবই ঝামেলাপূর্ণ কাজ। এই তিনটি কবিতা তেমন আহামরি মানের না হলেও মূলানুগ করতে আমার প্রায় দুমাস শ্রম দিতে হয়েছে। অই সময়ে আমি অন্তত চারটে কবিতা লিখতে পারতাম।
হা হা হা
তাই অনুবাদ আপাতত করার সম্ভাবনা নেই
৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৮
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
তানিম,
লেখাটি অন্যকোথাও পড়েছিলাম মনে হচ্ছে! এর আগেও পাবলিশ করা হয়েছে কি ?
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৬
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: আপনিই প্রথম জানতে চাইলেন অর্থাৎ লেখাটি আগেও পড়েছেন হয়ত। ধন্যবাদ আপনাকে
এর আগে বিডি নিউজ এ অনলাইনে এবং শব্দতরী লিটল ম্যাগে ছাপা হয়েছিল। ২০১৩ তে যতদূর মনে পড়ে
১০| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অনুবাদ ভাল হয়েছে । বাস্তবতাই যেন কবিতার রূপ নিয়েছে । মানুষের জীবন একটা কবিতা বই কিছু নয় ।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩২
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: মানুষের জীবন একটা কবিতা বই কিছু নয়
কথা সত্য, মাঝে মাঝে মনে হয় কবিতার চেয়েও বিচিত্র
১১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৩
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
তানিম,
সহস্র লেখকের ভিড়ে হয়ত লেখকের নাম মনে রাখতে কষ্ট হয়। কিন্তু লেখার ভাললাগা ঠিকই স্মৃতিতে থেকে যায়, যদি সেটা পড়ার মত পড়া হয়... এখন পড়লুম আবার সাথে সাথেই ভুলে গেলুম। এই হচ্ছে আমাদের অধিকাংশ পাঠকের বর্তমান অবস্থা।
এখন সাহিত্য কেবল সাহিত্যনির্মাতারা পড়ে। সাধারণ পাঠক ভিজ্যুয়াল-মুখি হয়ে গেছে। ব্যাপারটা দু:খজনক হলেও সত্য।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৩
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ভীষণ সত্য একটা কথা বলেছেন।
ভালো লেখা চোখে লেগেই থাকে। আর যারা সত্যিকারের পাঠক তারা ভালো লেখা খুঁজে খুঁজেই পরেন।
এখন সাধারণ পাঠক ভিজ্যুয়াল-মুখি সত্য তবে বইয়ের পাঠক আছে। হয়ত কম, তবুও আছে
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ, আমার লেখাটি পাঠ করবার জন্যে। অনুবাদ বলুন আর মৌলিক লেখা বলুন, নিজের পছন্দ না হওয়া পর্যন্ত আমি কোথাও লেখা দেই না, লিখিও না। দিস্তা দিস্তা লিখে কি লাভ, কেউ মনে না রাখলে ?
১২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:১৫
মহান অতন্দ্র বলেছেন: হুপউড সাহিত্য পুরস্কারটা কি? জানি না। দুনিয়ার পুরোটায় অজানায় ভরা। যত পড়ছি ততই নিজের অজ্ঞতা আবিস্কার করছি। ভাল লেগেছে তানিম।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৮
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: তুমি তো দেখি ভালো দুষ্ট আছ। মজা করেই বললে। আমি নিজেও জানি না ঠিক এইটা কি জাতীয় পুরষ্কার।
তবে আমেরিকার অভ্যন্তরীণ পুরষ্কার যতদূর জানি।
ভালো থাকা হোক।
১৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনুবাদ ভালো হৈছে তানিম। বিশেষ করে দ্বিতীয়টা
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৯
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান ভাই, শুভকামনা রইল।
১৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৩
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অনুবাদ ভীষণ শ্রমসাধ্য ব্যাপার। জলপাই কবিতার অনুবাদটা ভালো লাগছে
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪০
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ঠিক বলেছেন। অনুবাদ মূলানুগ করা খুবই কঠিন। এর পরে আর করিনি অনুবাদ। আগামীতে করব কিনা জানি না।
ধন্যবাদ আপনাকে।
১৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৬
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
দ্বিতীয় বা তৃতীয় বংশোদ্ভূত প্রজন্মের ভাবনার খানিক ধারণা পাওয়া গেল ৷ যদিও আশার প্রদীপ ক্ষণে ক্ষণে উস্কে উঠে ৷
ভাল লাগল ৷ধন্যবাদ ৷
২৪ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১০
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: আশাবাদী হবার মত কিছু অবশ্য আমি দেখছি না। মার্কিন মুলুকে বসে অনেক কথাই বলা যায়। ওটা আবার গনতন্ত্রের সবক দাতাদের দেশ কিনা।
যাই হোক, ভালো থাকবেন। বহুদিন ব্লগে আশা হয়নি, কমেন্ট দিতে একটু দেরি হল
১৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৯
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: একজন অচেনা কবি ও তার কবিতা সম্পর্কে জানলাম, অনেক ধন্যবাদ। ও শুভেচ্ছা।
২৪ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১১
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা তনিমা
ভাল থাকবেন
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: মাতৃ ভূমি এবং পিতৃ ভূমি উভয়ের প্রতি এক অবিছিন্ন বন্ধনের দেখা মেলে কবির লেখায়
খেদ আক্ষেপ ...
কী করে এমনটা হল
কীভাবে এমন হতে পারে
আমি কখনই দেখতে পাব না
আমার প্রপিতামহীর পুণ্য ভূমি?
আবার এখানে দেখতে পাই নিজের ভূমির উপর আক্রমনের কঠিন সত্য আমেরিকার কপটতা
মার্কিন বাহিনীর ৫০ সৈন্যদল ও ১৫০০ যুদ্ধবিমান
ঝাঁপিয়ে পড়েছে মৌমাছি ঝাঁকের উপর
যাদের মধুভাণ্ডারের চাক
রুদ্ধ করেছে বুশের দানবীয়
অগ্নিশ্বাস, সুমিষ্ট তরল শুকিয়ে
গোঁজানো খামিরের শক্ত আবরণে পরিণত করেছে
গোঁড়া মক্ষিকার মুখগহ্বরের আগুন।
ধন্যবাদ লেখক কে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য
অনুবাদ ও ভাল হয়েছে ।
শুভ কামনা