![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রকাশিত গ্রন্থঃ অসুখগুলো প্রাপ্তবয়স্ক, শাদা পরচুল অন্ধকার, মৌনমুখর বেলায়, শাহবাগের সাথে সংহতি
কবি কিংবা লেখক বিশেষ করে অনেক বয়োজ্যেষ্ঠ ও তারকা পর্যায়ের লেখকদের সাথে আমি কখনোই ছবি তুলি না কিংবা সেটা ফেসবুকে আপলোড করি না। কবি রফিক আজাদের সঙ্গে আমার পরিচয় কবি আবু হাসান শাহরিয়ার ও শামিম হোসেন এর সৌজন্যে। উনাদের পত্রিকার আয়োজিত কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান শেষে রফিক আজাদের সাথে বসে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়েছিলাম। বরাবরের মতই শান্ত, সৌম্য ছিলেন রফিক ভাই। এখন মনে হচ্ছে উনার সাথে একটা দুটো ছবি থাকলে ভালই হত। আমার নিজের জন্যে স্মৃতিচারণের একটা সুযোগ থাকত। জীবনের জলছবিতে কোন রঙ থাকবে না রফিক আজাদের এ হয় ? উনার কথা স্মৃতিতে রয়ে যাবে সারাজীবন। মনে পড়ে যাবে কলমযোদ্ধার কথা-
"এরপর বছর খানেক যেতে না যেতেই দেখি
আবার যুদ্ধের ডাক ! একী অনাচার, অবিচার-
বজ্রগর্জনে হুঙ্কার দেয় সরকারি চাটার দল ।
কবিরা লেখেন কবিতা- ভাত দে হারামজাদা,
সিরাজ শিকদারেরা হারায় ক্রসফায়ারে ।
ছোট্ট শিশুর ক্ষুধার অন্ন জোটে না। গরিবের কম্বল
শোভা পায় চেয়ারম্যানের দামি খাটে। সামান্য খাবার নিয়ে
মা শিশুর কাড়াকাড়ি, মায়ের ঢিলে মৃত্যু হয়
অভুক্ত সন্তানের । দুর্ভিক্ষের কড়াল গ্রাস চারিদিকে;
আমায় নাড়া দেয়। আমার বিবেক জাগ্রত করে ।
সে বলে, আবার এসেছে যুদ্ধ, তবে ভিন্নরূপে। "
কলমযোদ্ধা (মৌনমুখর বেলায় থেকে)
ভালো থাকুন রফিক ভাই। ওপারে, অনন্ত, অসীম নক্ষত্রলোকে!
১৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:২৫
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ঠিক বলেছেন। রফিক ভাইয়ের কবিতাগুলো একে একে শেয়ার করি
ভাত দে হারামজাদা
ভীষণ ক্ষুধার্ত আছিঃ উদরে, শরীরবৃত্ত ব্যেপে
অনুভূত হতে থাকে- প্রতিপলে- সর্বগ্রাসী ক্ষুধা
অনাবৃষ্টি- যেমন চৈত্রের শষ্যক্ষেত্রে- জ্বেলে দ্যায়
প্রভুত দাহন- তেমনি ক্ষুধার জ্বালা, জ্বলে দেহ
দু’বেলা দু’মুঠো পেলে মোটে নেই অন্য কোন দাবী
অনেকে অনেক কিছু চেয়ে নিচ্ছে, সকলেই চায়ঃ
বাড়ি, গাড়ি, টাকা কড়ি- কারো বা খ্যাতির লোভ আছে
আমার সামান্য দাবী পুড়ে যাচ্ছে পেটের প্রান্তর-
ভাত চাই- এই চাওয়া সরাসরি- ঠান্ডা বা গরম
সরু বা দারুণ মোটা রেশনের লাল চাল হ’লে
কোনো ক্ষতি নেই- মাটির শানকি ভর্তি ভাত চাইঃ
দু’বেলা দু’মুঠো পেলে ছেড়ে দেবো অন্য-সব দাবী;
অযৌক্তিক লোভ নেই, এমনকি নেই যৌন ক্ষুধা
চাইনিতোঃ নাভি নিম্নে পরা শাড়ি, শাড়ির মালিক;
যে চায় সে নিয়ে যাক- যাকে ইচ্ছা তাকে দিয়ে দাও
জেনে রাখোঃ আমার ওসবের কোনো প্রয়োজন নেই।
যদি না মেটাতে পারো আমার সামান্য এই দাবী
তোমার সমস্ত রাজ্যে দক্ষযজ্ঞ কাণ্ড ঘ’টে যাবে
ক্ষুধার্তের কাছে নেই ইষ্টানিষ্ট, আইন কানুন-
সম্মুখে যা কিছু পাবো খেয়ে যাবো অবলীলাক্রমেঃ
থাকবে না কিছু বাকি- চলে যাবে হা ভাতের গ্রাসে।
যদি বা দৈবাৎ সম্মুখে তোমাকে ধরো পেয়ে যাই-
রাক্ষুসে ক্ষুধার কাছে উপাদেয় উপাচার হবে।
সর্বপরিবেশগ্রাসী হ’লে সামান্য ভাতের ক্ষুধা
ভয়াবহ পরিণতি নিয়ে আসে নিমন্ত্রণ করে।
দৃশ্য থেকে দ্রষ্টা অব্দি ধারাবাহিকতা খেয়ে ফেলে
অবশেষে যথাক্রমে খাবো : গাছপালা, নদী-নালা
গ্রাম-গঞ্জ, ফুটপাত, নর্দমার জলের প্রপাত
চলাচলকারী পথচারী, নিতম্ব প্রধান নারী
উড্ডীন পতাকাসহ খাদ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীর গাড়ী
আমার ক্ষুধার কাছে কিছুই ফেলনা নয় আজ
ভাত দে হারামজাদা,
তা না হলে মানচিত্র খাবোঃ
২| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩২
শায়মা বলেছেন:
তার কিছু কবিতা থেকেই আবৃত্তি শেখা।
ভালো থাকুন রফিক ভাই। ওপারে, অনন্ত, অসীম নক্ষত্রলোকে!
২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪০
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: কখনো তো শেয়ার করলেন না। শেয়ার করলে শুনতে পেতাম
আর ইদানিং আপনি ব্লগিয় পলিটিক্সে এত জড়াচ্ছেন কেন?
আপনাকে মানায় ? জনপ্রিয়তা নিচে নামার সিঁড়ি আপনি প্রমাণ করছেন।
আপনাকে আমি ভালোবাসি বলেই বলছি। আমাকে দেখুন, আমার লেখা কেউ পড়ে না, আমার বই কেউ কেনে না। তাতে কি ? আমার প্রতি লোকজনের শ্রদ্ধা বেড়েছে আগের চেয়ে। লেখা বেঁচে যখন খাই না, তখন লেখার জন্যে নিজের মান সম্মান নষ্টের মানে হয় না।
২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪২
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: যাই হোক, আপনার জন্যেও রফিক ভাইয়ের কবিতা
যাও, পত্রদূত
যাও পত্রদূত, বোলো তার কানে-কানে মৃদু স্বরে
সলজ্জ ভাষায় এই বার্তা: “কোমল পাথর, তুমি
সুর্যাস্তের লাল আভা জড়িয়ে রয়েছো বরতনু;
প্রকৃতি জানে না নিজে কতোটা সুন্দর বনভূমি।”
যাও, বোলো তার কানে ভ্রমরসদৃশ গুঞ্জরণে,
চোখের প্রশংসা কোরো, বোলো সুঠাম সুন্দর
শরীরের প্রতি বাঁকে তার মরণ লুকিয়ে আছে,
অন্য কেউ নয়, সে আমার আকণ্ঠ তৃষ্ণার জল:
চুলের প্রশংসা কোরো, তার গুরু নিতম্ব ও বুক
সবকিছু খুব ভালো, উপরন্তু, হাসিটি মধুর!
যাও পত্রদূত, বোলো “হে মাধবী, কোমল পাথর,
দাঁড়াও সহাস্য মুখে সুদূর মধুর মফঃস্বলে!
বিনম্র ভাষায় বোলো, “উপস্থিতি খুবই তো উজ্জ্বল,
যুক্তিহীন অন্ধ এক আবেগের মধ্যে, বেড়াজালে,
আবদ্ধ হয়েছো উভয়েই, পরস্পর নুয়ে আছো
একটি নদীর দিকে—বোলো তাকে, “অচ্ছেদ্য বন্ধন
ছিঁড়ে ফেলা সহজ তো নয় মোটে, কোমল পাথর!”
যাও পত্রদূত, বোলো—ভালোবাসা গ্রীষ্মের দুপুর?
নীরব দৃষ্টির ভাষা-বিনিময়—দিগন্ত সুদূর?
৩| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:১৮
এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: আমি ক্ষূদ্র একজন কেরানী মানুষ। আমার অফিসের টেবিলের কাচের নীচে মহান এই কবির “ভাত দে হারামজাদা ” কবিতা রাখার জন্য কিছু মানুষের কথা শুনেছিলাম। অবশেষে কবিতাটি বাসায় যত্ন করে রেখেছি। মাঝে মাঝেই নিরবে পাঠ করি এবং ভাবি কবে আমরা মনের কথা মুখ ফুটে বলতে পারবো। এগুলো নিয়ে কথা বলাও আমাদের সাজেনা এবং আমরা ধন্য হতেও বাদ পরেছি। তাই ধন্যবাদ দিতেও ভয় করে!!
২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪৬
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ভাই স্বাগত আমার ব্লগে।
আপনার পেশা যাই হোক, যত ক্ষুদ্র হোক, কোন কিছুই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ আপনি একজন পাঠক। আর পাঠকই লেখকের দেবতা।
আর ঘরের লোকজন কবিতার পাঠক দেখলে মনে করে এর মস্তিষ্ক বিকৃতির পথে। অতএব তাদের কথা কিছু মনেই রাখবেন না।
আপনার বলতে ইচ্ছে হয় সব অগ্রাহ্য করেই বলবেন, লিখবেন।
আপনার জন্যে
নগর ধ্বংসের আগে
নগর বিধ্বস্ত হ’লে, ভেঙ্গে গেলে শেষতম ঘড়ি
উলঙ্গ ও মৃতদের সুখে শুধু ঈর্ষা করা চলে।
‘জাহাজ, জাহাজ’ – ব’লে আর্তনাদ সকলেই করি -
তবুও জাহাজ কোনো ভাসবে না এই পচা জলে।
সমুদ্র অনেক দূর, নগরের ধারে-কাছে নেই :
চারপাশে অগভীর অস্বচ্ছ মলিন জলরাশি।
রক্ত-পুঁজে মাখামাখি আমাদের ভালবাসাবাসি;
এখন পাবো না আর সুস্থতার আকাঙ্খার খেই।
যেখানে রয়েছো স্থির – মূল্যবান আসবাব, বাড়ি;
কিছুতে প্রশান্তি তুমি এ-জীবনে কখনো পাবে না।
শব্দহীন চ’লে যাবে জীবনের দরকারী গাড়ি -
কেননা, ধ্বংসের আগে সাইরেন কেউ বাজাবে না।
প্রোথিত বৃক্ষের মতো বদ্ধমূল আমার প্রতিভা -
সাধ ছিল বেঁচে থেকে দেখে যাবো জিরাফের গ্রীবা।
৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৩
শায়মা বলেছেন: মান সন্মান কি শুধুই যে যা বলবে তা মেনে নেওয়া!
একেকজন নিজের অশুদ্ধ কাজগুলো শুদ্ধিকরণে নানা বিতর্কের সুচনা করলে সে সব দেখে জেনেও চুপ করে থাকা!
এ তোমার কি হলো ভাইয়া!!!! কি বলো এই সব!
তোমাকেও তো বিদ্রোহী রণক্লান্ত ভেবেছিলাম।
আর ব্লগীয় পলিটিক্স নতুন কিছু কি! সারাজীবনই ছিলো এবং থাকবে তাই বলে পালিয়ে যেতে হবে তোমার মত?
ব্লগীয় পলিটিক্স তুমি দেখোনি? তুমি নিজে বিতর্কে জড়াওনি। আমার বেশ মনে আছে তোমার গল্প সংকলনের সব কাহানিয়াই। ২০১১ এর বর্ষ শেষের সব ঘটনাই। আমার একটা বিশেষ গুন বা দোষ যাই বলো আমি কিছুই ভুলি না । বলতে গেলে স্মৃতি শক্তি ১০০ তে ১০০০।
আমার জনপ্রিয়তা নিয়ে আমি কখনও ভাবিনি কিন্তু তোমাদের কথা শুনলে মনে হয় ইহার জন্যই আমার বাঁচিয়া থাকা। তবে একটা প্রশ্ন করেছো আমাকে ব্লগ পলিটিক্সে জড়ানো মানায় কিনা??? দেখো তোমার চোখে আমার সকল যাতনা সহিয়া হে হে করে থাকাটাই মানায় আবার কারো কারো চোখে এই হা হা হিহি আবার চক্ষুশূল!!!!!! কাজেই এত চোখের মন রক্ষা করে চলাটা বড়ই কঠিন কার্য্য আর আমার এ ইচ্ছাও নাই। তাই আমি আসলে নিজের মতই চলি।
হুম আই নো ইউ অলসো লাভ মি আ লট!!!!!! আর ভালো চাও বলেই বলেছো।
তবে তোমার লেখা কেউ পড়ে কি পড়ে না বা কে শ্রদ্ধা অশ্রদ্ধা করছে এ খবরটা জানতাম না ভাইয়া। আজ জানলাম। তোমাকে তো দেখাই যায় না।
আবার লেখা বেঁচে খাও কি খাও না সেটাও ঠিক জানিনা আজকাল। অনেকদিন পর দেখা তো। তবে মান সন্মান রক্ষার সংজ্ঞাটা আসলেও আমার কাছে পালটে গেছে এতগুলো দিনে।
তুমি সেই আগের দিনেই পড়ে আছো আর তাই ভাবছো কিছু বোকাদের হিংসামীতে আমি সেই আগের মতই চুপ থাকবো বা তোমার সংজ্ঞায় তাই থাকা উচিৎ। ভুল ভাইয়া, সে দিন গিয়াছে চলি!
২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৫
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: আমাকে দেখা যায় না কথাটা ভুল। আমি আছি কিন্তু অদৃশ্য! হা হা
তোমাকেও তো বিদ্রোহী রণক্লান্ত ভেবেছিলাম। এক সময় ছিলাম, অন্যায় হলে প্রতিবাদ করেছি। সে যেমন গালিবাজদের বিরুদ্ধে, তেমনি মডারেশন প্যানেল এর বিরুদ্ধেও। কিন্তু এখন মনে হয় সমস্তই অর্থহীন। এর চেয়ে লেখায় সময় দেয়া ভালো। আপনার কাছ থেকে আরও অনেক লেখা চাই।
লেখা বেচে আমরা কেউই খাই না, আপনাকে একটা প্রশ্ন করি, আজ পর্যন্ত কোনদিন আপনার লেখা প্রকাশ এর জন্যে কোন সম্মানী পেয়েছেন ? মনে তো হয় না।
যাই হোক, এই দফা আপনার বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ উঠেছে যাতে আমি খুব কষ্ট পেয়েছি, যেমনটা ওঠার কথা ভাবতেও আমার কষ্ট হয়। প্রতিবাদ করুন যত খুশি কিন্তু আপনিও যেন ওইসব অশিক্ষিত মূর্খের দলে নাম না লেখান সে জন্যেই বললাম।
৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২৭
শায়মা বলেছেন: অদৃশ্যে থাকলে অদৃশ্য কিছু মিস হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে ভাইয়ু। তোমারও হয়েছে তাই।
এতটুকু বয়সেই এই হাল ছেড়ে দেওয়া কেনো? সবকিছু অর্থহীন কেনো!!!!!!
শুনো ভাইয়ু একটা কথা বলি? আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো কি কি বলতে পারো? ঐ তিন মালটির অভিযোগ দেখে তুমি মুষড়ে গেলে? আবার কষ্টও পাচ্ছো!!!!!!! ঐ তিন মালটি ছাড়া কোন কোন অভিযোগের কথা বলছো জানালে উপকৃত হতাম।
তবে মাল্টির অভিযোগের যে জবাব দিয়েছি এই বেশি। আবার তার প্রতিবাদ করবো!!!!!! খেয়ে কি কাজ আসলেই কম পড়েছে!!!!!!
২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৩
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: পরে এক সময় বলব। ফেসবুকে কি আছেন এখনো ?
আমি এখন ব্লগের থেকে ফেসবুকেই বেশি থাকি।
ভালো থাকুন।
সমাজ, সংসার, দেশ কোনখানেই মুক্তবুদ্ধির চর্চা নেই, অন্ধত্ব, দলবাজি যেভাবে চলছে তাতে আমি হাল না ছেড়ে যাব কোথায় ? মাঝখানে প্রায় দুই বছর কিছুই লিখিনি, এখন আবার লিখছি। যদিও হতাশা তেমন কমেনি
৬| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩১
জুন বলেছেন: প্রিয় কবিকে নিয়ে লেখা আমার এক প্রিয় ব্লগারের পোষ্টে প্লাস.।।
+
২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫১
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ধন্যবাদ জুনাপু
যদি ভালবাসা পাই
যদি ভালবাসা পাই আবার শুধরে নেব
জীবনের ভুলগুলি
যদি ভালবাসা পাই ব্যাপক দীর্ঘপথে
তুলে নেব ঝোলাঝুলি
যদি ভালবাসা পাই শীতের রাতের শেষে
মখমল দিন পাব
যদি ভালবাসা পাই পাহাড় ডিঙ্গাবো
আর সমুদ্র সাঁতরাবো
যদি ভালবাসা পাই আমার আকাশ হবে
দ্রুত শরতের নীল
যদি ভালবাসা পাই জীবনে আমিও পাব
মধ্য অন্তমিল।
৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৫৬
স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
আশা করি ভালো আছেন ভ্রাতা।
আপনার লেখাটা পড়লাম।
সমাজ, সংসার, দেশ কোনখানেই মুক্তবুদ্ধির চর্চা নেই, অন্ধত্ব, দলবাজি যেভাবে চলছে তাতে আমি হাল না ছেড়ে যাব কোথায় ? মাঝখানে প্রায় দুই বছর কিছুই লিখিনি, এখন আবার লিখছি। যদিও হতাশা তেমন কমেনি
চারিদিকে হতাশার বন্যা। এসব দেখে ভালো লাগে না। আপনার কলমে হাসি ফুটুক এই কামনা।
আমার সাম্প্রতিক পোস্টে কবি রফিক আজাদের কথা বলেছি, সময় হলে পড়বেন আশা করি। ধন্যবাদ।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:২৪
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: দেখে এলাম, আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ লেখাটা পাঠের জন্যে।
শুভেচ্ছা জানবেন।
৮| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৪
মানবী বলেছেন: অনেক অনেক বছর আগে কবি রফিক আজাদের সাথে দেখা হয়েছিলো। অনেক ছোট ছিলাম- সুকুমার রায়, রবীন্দ্র, নজরুল আর জসিমু্দ্দিন ছেড়ে সবে কবি শামসুর রাহমানের কবিতা জানতে শুরু করেছি।
স্বাভাবিক ভাবেই রফিক আজাদের নাম জানা ছিলোনা।
বেশ অমায়িক(অন্তঃত তখন তাই মনে হয়েছিলো) রফিক আজাদ তাঁর বই থেকে ভাত দে হারামাজাদা পড়ে শুনিয়েছিলেন, বলাবাহুল্য সেসময় খুব বোধগম্য হয়নি কবিতাটি!
সময়ের সাথে তিনি আরও অনেক অনেক বড় কবি হয়েছেন, অণেক পুরস্কার পেয়েছেন। যখনই পত্রপত্রিকায় তাঁর নাম দেখেছি, মনে পড়েছে এক বড় আড্ডায় তিনি কবিতা পড়ে শুনিয়েছিলেন, এক কিশোরী তাঁর/কবিসত্ত্বা সম্পর্কে অবগত ছিলোনা বলে।
এক বছরের বেশি সময়ের পুরনো খবরটা এখন জেনে খারাপ লাগছে।
কবি রফিক আজাদ শান্তিতে থাকখ
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:৫৮
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: রফিক ভাই ছিলেন একজন শিশুর মত সরল মনের মানুষ। ওনার সঙ্গে আমার পরিচয়ের সেই স্মৃতি এখনো চোখে ভাসে, কি নির্মল শান্ত সৌম্য তার কান্তি।
উনি আরও কিছুদিন আমাদের মাঝে থাকলে অনেক ভাল লাগত।
আপনার জন্যে কবি রফিক আজাদের আরেকটি কবিতা।
আমাকে খুঁজো না বৃথা - রফিক আজাদ
আমাকে খুঁজো না বৃথা কাশ্মীরের স্বচ্ছ ডাল হ্রদে,
সুইৎসারল্যান্ডের নয়নলোভন কোনো পর্যটন স্পটে,
গ্রান্ড ক্যানালের গন্ডোলায়ও নয়,
খুঁজো না ফরাসি দেশে পারীর কাফেতে, মধ্যরাতে;
রাইন বা মাইনের তীরে, সুবিস্তীর্ণ ফলের বাগানে. . .
আমাকে খুঁজো না জাম্বো জেটে,
দ্রুতগামী যাত্রীবাহী জাহাজের কিংবা কোনো
বৃহৎ সমুদ্রগামী যাত্রীবাহী জাহাজের ডেকে. . .
ভুল করে অন্ধ গলি-ঘুঁজি পার হয়ে, যদি এই
আঁধার প্রকোষ্ঠে আসো
দেখবে উবুড় হয়ে বাংলার এই মানচিত্রে
মুখ থুবড়ে প'ড়ে আছে চলি্লশ বছর. . .
আমার তৃষ্ণার্ত ঠোঁট ঠেকে আছে
পদ্মার ওপর
এবং আমার দু'চোখের অবিরল ধারা বয়ে গিয়ে
কানায়-কানায় ভ'রে দিচ্ছে সব ক'টি শুষ্ক নদী,
এবং দেখতে পাবে
শ্যামল শস্যের মাঠ
আমার বুকের নিচে আগলে রেখেছি. . .
৯| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৪
মানবী বলেছেন: পোস্টের জন্য ধন্যবাদ রেজওয়ান মাহবুব তানিম ।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:৫৯
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: আপনাকেও অশেষ কৃতজ্ঞতা পাঠের জন্য
১০| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৩২
মানবী বলেছেন: চমৎকার কবিতা!
জীবনানন্দদাসের "আবার আসিবো ফিরে"র কথা মনে করিয়ে দেয়।।
রফিক আজাদের "আমাকে খুঁজো না বৃথা" শেয়ার করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রেজওয়ান তানিম।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার বাকি লেখাগুলোও সময় করে পড়বেন আশা করি।
শুভকামনা
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৩৯
শাহ আজিজ বলেছেন: আমার কৈশোর/যৌবনের কবি (১৯৭৬) রফিক আজাদ মহাকালে মিলেমিশে একাকার ঠাকুর আর দাসের সাথে। কারোই নেই জানা কবিদের আত্মা মহাকালের কোলে কি রুপে কি বর্ণনায় থাকে!!