নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমাকে খুঁজে পেতে এখানে যেতে পারেন- https://www.facebook.com/rezwan.tanim?fref=ts

রেজওয়ান তানিম

প্রকাশিত গ্রন্থঃ অসুখগুলো প্রাপ্তবয়স্ক, শাদা পরচুল অন্ধকার, মৌনমুখর বেলায়, শাহবাগের সাথে সংহতি

রেজওয়ান তানিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

রানা প্লাজা\'র কথা ও একটি কবিতাঃ মাংসল অন্ধকার

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৬

ডেট লাইন, ২৪ এপ্রিল, ২০১৬

"বাংলাদেশের ইতিহাসে রানা প্লাজা'র স্থান কোথায়, সেটা বাংলাদেশ সরকার উপলব্ধি করতে সক্ষম না হলেও, আমরা যারা বাইরে থাকি, তাদের প্রায় প্রতিনিয়তই উপলব্ধি করতে হয়। এখনো বাইরের দেশের কারও সাথে বাংলাদেশের গর্বের জায়গা গার্মেন্টস সেক্টর নিয়ে কথা উঠলে তারা রানা প্লাজার কথা বলে। লজ্জায় নত হয়ে আসে আমার মাথা। প্রায় ১৩০০ মানুষের মৃত্যু, তিন হাজারের অধিক আহত ও ঘটনার ব্যাপকতায় ট্রমায় আক্রান্ত এই লোকেদের এখন লড়াই করতে হচ্ছে ক্ষতিপূরণ নিয়ে। ওদের ভুলে গিয়ে সরকার, গার্মেন্টস মালিক সমিতি এখন সুখনিদ্রায় মগ্ন। কিছুতেই কিছু হবে না, রানা প্লাজায় হতাহত ও মৃতরা আজ কেবল একটা সংখ্যা মাত্র।"

আমার এখনো মনে পরে ঘটনার ব্যাপকতা ও বিপুল ধ্বংসাবশেষ দেখে, আমি এতোটাই ট্রমাটাইজ হয়ে পরি যে, তিনদিন ঘর থেকে বের হইনি, কারও সাথে কথাও বলিনি, নীরবে প্রার্থনা করেছি যেন জীবিত উদ্ধার হয়, বেশি সংখ্যক মানুষ। এরপরও আমরা সমস্থ ঘটনা লাইভ দেখেছি টিভিতে, দেখেছি মৃত্যুর নগ্ন উল্লাস। সেদিনের প্রতিক্রিয়ায় আমি যা লিখেছিলাম, শেয়ার করছি তা এখানে।



ডেটলাইন ২৬ এপ্রিল, ২০১৩

বিগত তিন দিন আমি একটি কথাও বলিনি, বলা ভালো বলতে পারিনি। আবারো এত এত মানুষের মৃত্যু আমাকে শোকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। আমি কাঁদতেও ভুলে গেছি ওদের শ্রমের প্রতি একশ্রেণির উন্নাসিকতায়, সমাজ ও রাষ্ট্রের নির্মমতায়। তার পরেও আজ একটু আশার আলো দেখতে পাচ্ছি সাধারন জনতা, ব্লগার, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, পুলিশ, ডাক্তার এবং সেনাবাহিনীর সম্মিলিত ভূমিকায়। কেউ যেন মনে না করেন উদ্ধার অভিযানের প্রথম পর্ব বা সাবধানতার সাথে জীবিত ও মৃতদের উদ্ধারের কাজটি শেষ হয়েছে। এটি চলবে যতক্ষণ একজন লোক ও জীবিত থাকবেন। সবাই আগের মতই একাত্ব থাকুন। যত বেশি প্রাণ আমরা ফিরিয়ে আনতে পারব, ততই পরাজিত হবে মৃত্যু।

রানা প্লাজার এই ঘটনাকে আমি ধরে রাখতে চেয়েছি। এর আগে একটি অনুগল্প উপলব্ধি লিখেছিলাম, যা এই ব্লগেও প্রকাশ হয়েছে। আজ শেয়ার করছি একটি কবিতা

মাংসল অন্ধকার

টেবিলে মাংসের স্তূপ, প্লেটে সালাদ
সাথে স্যান্ডুইচ; ডায়েট কন্ট্রোল
জরুরী দরকার। চোখ রাঙায় ব্লাড প্রেশার!

মাঝখানে অন্ধকারের বিষ...
হাজার হাজার কোটি টাকা লাভের অন্ধকার!
অদ্ভুত ব্যবধান তুলে বসে আছে
দেয়ালের দুই পাশে।

পাতে মাংস তুলবে বলে
শাহিনা, ঝর্ণারা আজ মালিকদের টেবিলে
স্যান্ডুইচের দোমড়ানো মাংসের কিমা!

দারুণ স্বাদ...
হতেই হবে, এ যে কচি নরমাংসের।

উৎসর্গঃ বলতে খুব লজ্জা হচ্ছে, এই কবিতা তোমাদের জন্য হে বস্ত্রবন্ধুরা। আমাদের ক্ষমা করো, কাপড় তুলে দিলে যারা আমাদের নগ্ন বিবেকে।

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৬

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: আমাদের ক্ষমা করো, কাপড় তুলে দিলে যারা আমাদের নগ্ন বিবেকে।

খুব অসাধারণ উপলদ্ধি। লজ্জিত বিবেক।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৬

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: কি আর বলব, আজকের দিনে আমার শুধু কাঁদতে ইচ্ছা করছে

শুকিয়ে যাওয়া চোখের জলে কি কান্না হয় ?

২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: আমাদের নেতা দেশের কর্তাদের তথা দন্ডমুন্ডের মালিকদের এসব কথায় কিছু আসে যায় না। তারা তাদের লাভ নিয়ে ব্যাস্ত! ওসব হতদরিদ্র শ্রমিকরা মরেছে পঙ্গু হয়েছে চিরতরে তাতে কি, আরো আসবে। ক্ষতিপুরণ? ভুলে যান।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১২

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ওরা বাইরে থেকে টাকা নিয়েছে প্রচুর, নিয়ে নিজেদের পকেটে ভরেছে।

এত বড় রাক্ষসীপনা পৃথিবীর আর কোথাও খুঁজে পাওয়া ভার।

৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩২

সিফাত ও তার কবিতা বলেছেন: মাংসল অন্ধকার।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৩

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: এ আঁধার কখনো হবে না শেষ

৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যখন পুরা জাতি কাঁদছিল রানা প্লাজা ট্যাজিডিতে.. তখনো খুঁজে দেখুন তারা ক্যালকুলেটারে হিসাব করছিল ইন্স্যুরেন্স ক্ষতিপূরন কত পাবে!!! এ বাবদ বিদেশী অনুদানই বা কত বেশি আনা যেতে পারে আর পাওয়া যেতে পারে!

অথচ ইশ্বর কেড়ে নেয় তাদের রিযক- অসুখের উসিলায়- বুঝেও নির্বোধ আরও টাকার পিছনে ছুটে.. রক্ত মাংসের খুনে নদী সাতরে...

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৪

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: যখন পুরা জাতি কাঁদছিল রানা প্লাজা ট্যাজিডিতে.. তখনো খুঁজে দেখুন তারা ক্যালকুলেটারে হিসাব করছিল ইন্স্যুরেন্স ক্ষতিপূরন কত পাবে!!! এ বাবদ বিদেশী অনুদানই বা কত বেশি আনা যেতে পারে আর পাওয়া যেতে পারে!

একেবারে সত্য বলেছেন, মাঝে মাঝে মনে হয় ভুলে যাই এই নির্লজ্জ মিথ্যুকের দেশ আমার না

৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৩

কালনী নদী বলেছেন: লজ্জিত বিবেক।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: আমাদের লজ্জা ও ঘৃণায় কিছু আসে যায় না। পুঁজিপতি তার নষ্টামি কি থামাবে ?

৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৪

ফয়সাল রকি বলেছেন: পাশাপাশি দুঃখজনকও :(

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:১৪

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: কি বলবে, ভেবে পাইনি, কমেন্ট এর উত্তর দিতেও কষ্ট হচ্ছে। কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম কি বলেছে এ নিয়ে দেখি

http://www.theguardian.com/world/rana-plaza

৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১০

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
তানিম, আপনি ক্ষমা চেয়েছেন। আমার যেনো সে সাহসটুকও নেই....

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:২০

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: আমার আর কিছু বলার নেই, তবে আক্কেল জ্ঞানহীন সংবাদকর্মীদের নিয়ে লিখেছিলাম কয়েকটা লাইন

সৈকতে, সূর্যস্নানে...
হাঁটু অবধি ফেনা তোলা জল...

চোরাবালি অকস্মাৎ,
একটু একটু করে দেবে যাওয়া।

গলা ডোবে, মুখে ঘাই দেয় নোনা জল!

হঠাৎ ওরা আসে
ওরা আসে ঝাঁকে ঝাঁকে

হাত না বাড়িয়ে জানতে চায়,
কিম্ভুত দায়িত্বজ্ঞানে, ডুবে যাবার আগে
যদি বলেন, আপনার অনুভূতি কী ?

৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: এক অকল্পনীয় শোকের ব্যাপার, যা কখনই মুছে যাবে না।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:২১

রেজওয়ান তানিম বলেছেন:
কি বলব, হাসান ভাই, আপনি একটা গল্প লিখলে পারেন এই নিয়ে।

http://www.cleanclothes.org/safety/ranaplaza

৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৩৪

রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: আমাদের বিবেকের উপর ময়লা জমেছে।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:২২

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: রানা প্লাজা এখন কেবল কয়েকটা সংখ্যা, কিছু পরিসংখ্যান। বাঙালীর আহা উহু করার উপাদান। মিডিয়া এখন আর রানা প্লাজায় অতটা আগ্রহ খুঁজে পায় না। আমাদের দেশপ্রেমিক জনতাও দায়িত্ব শেষ ভেবে ঘরে ফিরে গেছে। অথচ রানা প্লাজায় হতাহত হওয়া শ্রমিকদের স্বজনেরা এখনও দ্বারে দ্বারে ঘুর ফিরছেন ক্ষতিপূরনের আশায়, বিচারের আশায়।

যত দিন না এই শ্রমিকরা নিজের হিস্যা নিজে কড়ায় গণ্ডায় আদায় করতে শিখবে ততদিন তারা মার খেতে থাকবে। একই কথা প্রযোজ্য বাংলাদেশের আপামত জনতার ক্ষেত্রেও।

১০| ০১ লা মে, ২০১৬ রাত ৯:১৬

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: কি দরকার ভাই মনে করার?? সবাই ভুলে গেছে আসেন আমরাও ভুলে যাই। গোল্ডফিশের মেমোরি ছাড়া বাংলাদেশে ভালো থাকাটা খুব কষ্টের।


লজ্জা !! লজ্জা!!

০১ লা মে, ২০১৬ রাত ১১:১৭

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ১২০০ মানুষের মৃত্যু হয়ে গেছে শুধু সংখ্যা মাত্র !!

১১| ০৬ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:১৭

অদৃশ্য বলেছেন:



তানিম, আপনার এই লিখাটি নিয়ে আপাতত কিছু বলছিনা... আপনার প্রকাশ করবার ক্ষমতা ছিলো আপনি তা করেছেন, সাধুবাদ...

অনেকদিন পর ব্লগে আপনাকে চোখে পড়লো... আমি ভাবলাম সেই তানিম নাকি অন্য কেউ... না এই তানিম সেই তানিমই ! ... এটা চমৎকার রকমের এক ভালোলাগা...

আশাকরছি ভালো ছিলেন আর আছেনও... সামনে চমৎকার সব লিখা আসুক, অপেক্ষায় থাকলাম...
প্রিয় তানিমের জন্য
শুভকামনা...

০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:১৩

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। কমেন্টে কৃতজ্ঞতা

লিখছি আসলে প্রায় নিয়মিতই তবে ব্লগে অতটা নিয়মিত নই, নানা কারণে। আমার ফেবুতে যোগদেবার অনুরোধ রইল- Rezwan Tanim

আশা করি, কবিতা নিয়ে কথা হবে সেখানে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.