![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রকাশিত গ্রন্থঃ অসুখগুলো প্রাপ্তবয়স্ক, শাদা পরচুল অন্ধকার, মৌনমুখর বেলায়, শাহবাগের সাথে সংহতি
সকলকে জানাই শুভেচ্ছা। এই বছর আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছে। লেখালেখির দশবছর পূর্ণ হল এবার যা নিয়ে একটি আত্মজৈবনিক প্রবন্ধ কবিতার সাথে দশটি প্রেমঃ কয়েকটি কথা- পর্ব -১ ও পর্ব -২ লিখেছি। কবিতা ও লেখালেখি সংশ্লিষ্ট নানা ভাবনার কথা রয়েছে। যারা আগ্রহী তারা পড়ে দেখতে পারেন। ২য় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আসছে ১২ জুন ব্লগজীবনের অর্ধযুগ অর্থাৎ ছয় বছর পূর্ণ হচ্ছে। সময়ের হিসাবে কম সময় নয়।
ছবি ১ঃ আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থ মৌনমুখর বেলায়
যদিও ব্লগপঠন আরও পূর্বে শুরু হয়েছিল কিন্তু তবুও ব্লগে বিচরণকে আমি এত দীর্ঘ বলতে পারি না। এর প্রথম কারণ আমি আসলে প্রথাগত ব্লগার হবার জন্য কোনদিনই ব্লগিং করিনি। দ্বিতীয় যে কারণে নিজেকে দীর্ঘদিনের ব্লগার বলতে পারি না, তা বলি। ২০১০ থেকে ২০১৩ জুন নাগাদ এই তিন বছর আমি ব্লগের পিছনে প্রচুর সময় ব্যয় করেছি। বলা চলে নাওয়া খাওয়া আর লেখাপড়া বাদে দিনে আট দশ ঘণ্টা ব্লগ নিয়েই পরে থাকতাম। ২০১৩ এর পরে ব্লগ নিয়ে হঠাৎ আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। ২০১১ কিংবা ২০১২ তে কেউ যদি আমাকে বলত যে আমি ব্লগের প্রতি আগ্রহ হারাবো, আমি ভাবতাম ও একটা পাগল। কিন্তু অনেকেই আমাকে বলত। শেষমেশ খুব দ্রুতই আমার ব্লগ লাইফ শেষ হয়ে গেল। এরপরে কোন মৌলিক লেখাই ব্লগে শুরুতে ছাপিনি। যা ছেপেছি তাও ছাড়াছাড়া। যদিও বিস্ময়কর, কোন না কোনভাবে ব্লগে যারা লিখেছেন সৃজনশীল ও মৌলিক সাহিত্য, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েই গেছে। এ জন্য আমি ব্লগারদের কাছে কৃতজ্ঞ। শুরুতে আমার লেখালেখিতে আসার প্রসঙ্গে একটু বলতে চাই।
ছবি-২ঃ সংগীত শিল্পী ও আবৃত্তিকার পুতুল আপা ও শাদা পরচুল অন্ধকার
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগে অফুরন্ত সময়, জীবনে এই প্রথম হাফ ছেড়ে বসা, সারাদিন পড় পড় শুনতে হচ্ছে না। খেলাধুলায়ও ভাল না, মোবাইলের যুগও নয়, বিলও ততোধিক, রাতে চলছে ডিজুস আড্ডা, শুধুমাত্র একজনের সাথে। আরকোন বন্ধুর সাথে যোগাযোগও ছিল না। ছোটবেলায় ছিলাম খুব স্বল্পভাষী, কথা বলতে পারতাম না, মিশতেও পারতাম না লোকের সাথে। একটু বড়সড় ছেলেদের দেখলে ভয় লাগত, মনে হত মারতে আসবে। বলাবাহুল্য আমার স্কুলজীবন মোটেই আনন্দে কাটেনি, কলমের দাগে শার্ট নষ্ট, বরই বিচি শার্টের পেছনে ঢুকিয়ে দেয়া থেকে শুরুর করে বহু ধরণের জ্বালাতন সহ্য করতে হয়েছে। সবচেয়ে বেশি নবম-দশম শ্রেণিতে। ইংরেজিতে যেটাকে ব্যুলিইং বলে, ওটা আমার ওপর চলত খুব ভালভাবেই, না চলার কোন কারণ নেই, এরকম গিনিপিগ সহজে মেলে না।
যাই হোক, নটরডেম কলেজে সময় স্বপ্নের মত কেটেছিল, আস্তে আস্তে খোলস ছেড়ে বের হতে শুরু করলাম। এই ব্লগের একজন যার নাম রিয়াজ মাহমুদ (বাবু বলে ডাকতাম) আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু ওর সাথে রাতে অনেক কিছু নিয়ে কথা বলতাম। ও তখন নটরডেম কলেজে'র পত্রিকাতে দু চারটা কবিতা লিখেছিল। যে কোন কারণেই হোক, আমার চিন্তাজগতে ও ভীষণ আলোড়ন তুলেছিল। যদিও আসলে তেমন কিছু না, কিন্ত আমি অনেক ছোট... একদম এইটুকু থাকার কারণে ওর দ্বারা ভীষণ প্রভাবিত ছিলাম। এই কারণেই প্রথম গ্রন্থ মৌনমুখর বেলায় ( কাব্যগ্রন্থ, জাতীয় গ্রন্থ প্রকাশন ) ওকে উৎসর্গ করেছিলাম।
ছবি-৩ঃ আমার ২য় কাব্যগ্রন্থ 'শাদা পরচুল অন্ধকার'
যা হোক, একদিন ওই মুক্ত সময়ে লিখতে বসলাম। এর মাঝে বুয়েট, মেডিক্যাল, এম আই এস টি এই কয় জায়গাতেই ভর্তি পরিক্ষা হয়ে গেছে। আমাকে নিয়ে তখন পরিবারের অনেক গর্ব, আমিও হালকা বাতাসে ভাসছি। এমন সময় লিখতে বসলাম উপন্যাস। প্রতিদিন এক দু চার পাতা করে প্রায় চল্লিশপাতা ডায়েরিতে লেখা হয়ে গেল। ভীষণ মজার লেখা, বলা চলে হৈমন্তি-২। এ সময়ে শরৎ বাবুর বেশ কিছু উপন্যাস পড়েছিলাম। বুঝতেই পারছেন... সে সব মজার কথা থাক। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর, আমি ভাবলাম, যাক বাচা গেল বাংলার অত্যাচার থেকে, আর কিছু মুখস্ত করতে হবে না। আমি এবার শান্তিতে কিছু বই পড়তে পারি। ভাল কিছু থ্রিলার পড়া হল এ সময়ে, একই সাথে শরৎ সমগ্র। নতুন ক্লাসে এসে লক্ষ্য করলাম এরা কলেজের ছেলেদের মত নয়। আর নটরডেমের যারা আমার ক্লাসে ছিল তাদের সাথে তেমন চেনা পরিচয় ছিল না। কিছুদিন যেতে বাংলাকে খুব মিস করতে শুরু করলাম। একই সাথে কোনবন্ধু না থাকাও পীড়া দিতে থাকল। মোবাইলে মেসেজ দেবার জন্য কবিতার মত করে লাইন লিখলাম একদিন। ওই শুরু। মনে হল লিখি না কেন আমিও। তত কঠিন তো লাগছে না। ২০০৬ মার্চ ১৮ থেকে শুরু করেছি কবিতালেখা, আপনাদের বিরামহীন আস্কারা পেয়ে চালিয়ে যাচ্ছি আজতক। আমি চেয়েছিলাম একজন লেখক হতে। কিন্তু কেন যেন কবিতা লিখতেই ভালবাসতে শুরু করলাম।
ছবি ৪ঃ গল্প সংকলন অবন্তি আমার লেখা একটি গল্প এতে আছে।
আমার আজকের পোস্টে আমি সবাইকে দেখাতে চাই, আমি কতটা ভাগ্যবান এবং একই সাথে কতটা কৃতজ্ঞ ব্লগের কাছে। একজন মানুষও যদি আমাকে কবি বলে মনে করে, তবে আমি বলব এ ব্লগের অবদান শুরুর দিনগুলিতে প্রিয় লেখকেরা কবিরা সর্বোপরি ব্লগারেরা আমাকে এত এত দিয়েছেন ভালবাসা আমার আসলে একে ফেরত দেয়ার কোন উপায় জানা নেই। তাই এই ভালবাসা সবার সাথে শেয়ার করবার জন্যেই আমি আজ আমার ছাইপাশ লেখায় আপনাদের সোনার হাতে লেখা (কিংবা টেপা) কমেন্ট গুলো শেয়ার করতে চাই। সাথে যদি কিছু মজার অভিজ্ঞতা থাকে তাও লিখতে চাই।
ছবি ৫ঃ আমার সম্পাদনায় প্রকাশিত গণজাগরণ বিষয়ক ই-বুক 'শাহবাগের সাথে সংহতি' এর ডাউনলোড লিঙ্ক- ই-বুক ডাউনলোড
প্রথমেই আসি ব্লগে যে লেখাটি দিয়ে আমার লেখা শুরু তার আলাপে। ক্ষমা চাই শিরোনামে পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধার জবানীতে লেখা আমার এই কবিতাটি প্রথমদিকের লেখা। এই লেখাটি লিখেছিলাম একবুক কষ্ট নিয়ে। আপাতত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন হওয়ায় সে কষ্ট দূর হয়েছে। লেখাটি আপলোড এর পর চমৎকার কিছু কমেন্ট পেয়েছি। এতে কমেন্ট করেছে শাহেদ। প্রিয় ভাইয়ামনি যে কত চমৎকার একজন কবি বেশিরভাগ ব্লগারের জানা নেই। শাহেদের সবচেয়ে বড় দোষ সে ভীষণ অলস। সে আরও লিখতে পারত, আমরা অনেক ভাল কিছু পেতে পারতাম ওর কাছে। এই লেখাতে ও বলেছে
শাহেদ খান বলেছেন: কার কাছে ক্ষমা চাও???
এখন চিৎকার করার বয়স !!! ক্ষমা চাওয়ার নয় !!!
আমরা বরং ক্ষমা দাবি করতে পারি আমাদের পূর্ববর্তিদের কাছে যারা অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ'ভাবে দুর্নীতি করে আমাদের এই অবস্থায় এনে ফেলেছে! আখের গোছানোর ব্যস্ততায় যারা খেয়াল'ই করেনি যে দেশটা যুদ্ধাপরাধীদের করায়ত্তে পৌঁছে যাচ্ছিল !
এখন চিৎকার করার বয়স !!! ক্ষমা চাওয়ার নয় !!!
আরেকটা শেয়ার করলাম
মহিমান্বিত একুশ নামে একটা কবিতা নভেম্বরে শেয়ার করেছিলাম। ব্লগারেরা সেটা তখন পড়তে আগ্রহী ছিল না। তাই এরকম কমেন্ট পেয়েছি, মজা লেগেছে খুব
সুশিল নিশীথ বলেছেন: চৈত্রমাসে শীতকালের ওয়াজ
আমার প্রথমদিকে লেখা একটা পছন্দের কবিতা আর নেই দরকার। এই কবিতাটা লিখেছিলাম আর কত দরকার এই শিরোনামের একটা কবিতা ফিরতি হিসেবে। কিন্তু আর কত দরকার কখনো প্রকাশ করিনি তেমন ভাল লাগেনি বলে। চমৎকার একটা কমেন্ট জুটেছে এতে, যা শাহেদেরই কাজ। যদিও এই পোস্টে একটা বিনোদন ছিল ব্লগার বাদ দেন এর কমেন্ট, কবিতা যারা পড়েন না, তাদের ভাল বলার আলাদা গুরুত্ব আছে বৈকি।
বাদ দেন বলেছেন: দূর কবিতার ব্লগ , ভুল কইরা ডুইক্কা গেসি, যাই গা ।
তবে কবিতাটা ভালই
শাহেদ খান বলেছেন: কবি, যে বোধ বাস্তবে কখনও পাইনি, কবিতা পড়ে সেটা অনুভব করতে যাওয়াটা খানিকটা দুষ্কর....কেউ ছেড়ে যাওয়ার কষ্ট... তাই এ কবিতাটা আগে পড়েছি, কিন্তু কমেন্ট করার যোগ্যতা আমার আছে বলে মনে হয়নি...
যাই হোক, এ ধরনের লেখা পড়লেই আমার শুধু একটা জিনিস মনে পড়ে। King Elvis - এর Heartbreak Hotel ! যে গানটা Elvis-এর ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে গাওয়া (১৯৫৪-৫৫) আর যেটা তাকে রাতারাতি হিট বানিয়ে দিয়েছিল !
প্রথম কয়েক লাইন লিরিকস ~
Well, since my baby left me,
I found a new place to dwell.
It's down at the end of lonely street
At Heartbreak Hotel.
Where I'll be-
Where I get so lonely baby,
Well I'm so lonely,
I get so lonely, I could die.
And although it's always crowded,
you still can find some room.
Where broken hearted lovers
do cry away their gloom.
And be so-
Where they'll be so lonely baby,
Well they're so lonely,
They'll be so lonely, they could die...
প্রথম থেকেই আমার কবিতার শক্তিশালী দিক ছিল বিরহ ও প্রেমের কথকতার কবিতা। এই কবিতাগুলো আমি খুব কম পরিশ্রমে লিখে ফেলতে পারতাম। এখনো পারি, যদিও লিখি না। আমার লেখা প্রেমের কবিতাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় কেমন আছ প্রিয়ন্তিকা তে প্রচুর কমেন্ট পড়েছিল যা এখনকার সময়ে একমাস ধরে ব্লগিং করা কারো পক্ষে কল্পনা করাও কঠিন। তার মধ্যে ভাল কিছু কমেন্ট যেমন নাহল লিখে দিয়েছিল অমিয় চক্রবর্তীর অতন্দ্রিলা, হানিফ ভাইয়ের চমৎকার বিশ্লেষণ, ত্রিশঙ্কু মল্লিকের চমৎকার এক কমেন্ট, পাগলা অর্ণবের প্রশংসা ভরা কবিতা কি রেখে কি বলব।
প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন:
"অতন্দ্রিলা, ঘুমাওনি জানি
তাই চুপিচুপি গাঢ় রাত্রে শুয়ে বলি শোন,
সৌর - তারা ছাওয়া এই বিছানায়, সূক্ষ্মজাল রাত্রিএ মশারি
কতদীর্ঘ দুজনার গেলো সারাদিন,
আলাদা নিঃশ্বাসে -
এতক্ষণে ছায়া-ছায়া পাশে ছুঁই
কী আশ্চর্য দুজনে, দুজনা
অতন্দ্রিলা,
হঠাৎ কখনশুভ্র বিছানায় পড়ে জ্যোৎস্না।
দেখি তুমি নেই।"
অতন্দ্রিলা , প্রিয়ন্তিকারা কেউ থাকে না..
হানিফ রাশেদীন বলেছেন: আপনার কবিতায়, তানিম ভাই, প্রথমেই আমার চোখে পড়ে এর সংযত ভাষা, মেদহীন আর বেশ স্মার্ট উপস্থাপনা, কোথাও ঝুলে পড়তে দেখা যায় না। কোনো একটি লেখায় প্রবেশ করতে এই বিষয়গুলোই প্রথম শর্ত, তরপরে আরো গভীরে গিয়ে ভাষা কেমন হলো ও অন্যান্য।
এতো কিছুর পরে কবি যখন বলেন, ''প্রিয়ন্তীকা, আমি ভালো আছি'' আমরা আস্বস্ত হই। কিন্তু পরের লাইনেই দেখতে পাই, ''অনেক, অনেক ভালো।'' আমরা বুঝতে পারি, না, কবি আসলে ভালো নেই। এরপর যখন বলেন, ''মাঝে মাঝে এখন,আকাশের তারাদের- / খুব আপন মনে হয়;'' এখানে এসে আমাদের কাছে কবি-মনের উদাস আর বিষন্ন ভাব একেবারেই স্পষ্ট হয়ে উঠে। আবার বলেন, ''চলে যেতে ইচ্ছে হয়, ওদের কাছে। / হয়ত ওরাও আমার মত একাকী বলে!!''
''আমি ভালই আছি । তুমি? কেমন আছ প্রিয়ন্তীকা ?'' বলে কবিতাটি শেষ হয়, এখানে এসে কবি, মানে প্রেমিকের প্রতি আমাদের মন কেমন করে উঠে, প্রেমিককে আমাদের ভালো লাগে, এমন একজন মানুষকে ভালো লাগে।
দূর্যোধন বলেছেন: দরকার নাই প্রিয়ন্তীকা ........
কোথায় যেন পড়েছিলাম,
প্রেয়সীর চেয়ে সিগারেট ভালো,----কেননা দুঃখ-কষ্টে......অন্ততঃ ঠোঁটে তো আসে !!
ভালো লাগলো
ত্রিশোনকু বলেছেন: প্রিয়ন্তী!
প্রিয়ন্তীকা!!
কি অপূর্ব সব শব্দ!!!
কবিতাটিকে মনে হচ্ছিল গ্রীষ্মের স্কটল্যান্ডের আন্দোলিত টিলায় পড়ন্ত রোদে দাঁড়িয়ে থাকা ছিপছিপে এক যুবা।
অভিনন্দন।
অর্ণব আর্ক বলেছেন:
হতাশার ক্লান্ত দুপুর,
কিংবা কোনো এক বিকেল,
এ তো ছন্দ নিয়ে কারুকাজ,
কবি এতো তোমার খেল।
আজ আর কষ্ট পাইনা।
আব আর কিছুই ভাবিনা।
শুধু সময় আনন্দে উদ্বেলিত হওয়ার।
আর এই অসাধারণ কবিতা পড়ার।
হৃদয়ের কিছূ অভ্যক্ত অনুভূতি
কিছু বর্তমান, আর কিছু স্মৃতি,
এজন্য ছিল ভাললাগা একরত্তি।
কবি তোমায় বলছি সত্যি।
অনেক শুভেচ্ছা তোমার প্রতি।
কখনো কখনো কিছু কবিতা লেখা হয় উদ্দেশ্য সামনে রেখে। এই যেমন স্বপ্ন পথের পথিকেরা, এই কবিতাটি লিখেছিলাম জীবনবাবুর চিত্রকল্প মাথায় রেখে। শুরুর দিকে লেখা বলে হয়ত অত ভাল করতে পারিনি, তবুও কেউ কেউ এনিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন কেউ বলেছেন ঘষামাজা করবার জন্যে
কালপুরুষ বলেছেন: একটু ঘষামাজা করলে আরো ভাল হতে পারতো।
তবুও ভাল লাগলো।
মহাজাগতিক বলেছেন:
দিলেন তো চিন্তার মধ্যে ডুবাইয়া!!
আপনার কবিতাখানা তো বীরবাহাদুর প্রেমিক পুরষের "একান্ত রোমাঞ্চসাধন" হইয়া উঠিয়াছে দেখিতেছি!
জীবনানন্দ বলিতেছেন
হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে .......
আর আপনি বলিতেছেন
যদি কোনোদিন পৃথিবীর পথ ধরে হেঁটে চলতাম .....
এই "যদি" দিয়াই তো কর্ম সারিলেন মশাই। "যদি" দিয়া কি প্রেম ভালবাসা হয়? অত দূর্বলা হইলে কী নারীর হৃদয়ে আপনার জন্য কাতরতা জম্মিবে না রোমাঞ্চ আসিবে? নারীরা পছন্দ করে জীবনানন্দের মত হাজার পথ হাঁটা পোড় খাওয়া সবল পুরুষের বাণী। যাহোক জীবনানন্দ আপনার থেকে মাত্র হাজার বছর সামনে রয়েছেন। চিন্তা নাই। আপনি বলছেন "যদি হাঁটতাম" আর জীবনানন্দ বলেছেন "হাজার বছর ধরে হাঁটিতেছি"।
তবেই বুঝুন কাব্য করার ঠেলা!!
মানে চাপাবাজি আপনাকে করতেই হবে।
বুঝতেই পারছেন আপনার কবিতা পড়ে খুশী হয়েছি বলেই এত বকবক করছি। আপনার আরও লেখার প্রত্যাশায় ধন্যবাদ।
আমি সাধারণত গল্প লিখি না, তবে লিখতে চাইলে যে পারি না তাও নয়। একবার মনো বিশ্লেষণমুলক একটা গল্প লিখেছিলাম দিনান্তে যা বহু ব্লগারের জন্য একটা কঠিন পাঠ ছিল। কি বোঝাতে চেয়েছি গল্পে সেটা অনেকেই বুঝে উঠতে পারেননি। হতে পারে গল্পকার হিসেবে এ আমার ব্যর্থতা, তবে এই গল্পে আমি পেয়েছি বেশ কিছু চমৎকার কমেন্ট। দীর্ঘ কমেন্ট ব্যানের পর নরকের রাজপুত্র খ্যাত হাসান মাহবুব আমার লেখায় প্রথম কমেন্ট করেন। এছাড়া আরও অনেকের কমেন্ট আমি পেয়েছি এই লেখায়-
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই প্রথম আপনার কোন গল্প পড়লাম। আমার কাছে গল্পের কাহিনীর চেয়ে উপস্থাপনটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেদিক থেকে এই গল্পটা অনেক উপভোগ্য। গল্প এত কম লেখেন কেন? আরো গল্প পড়তে চাই।
শাহেদ খান বলেছেন: মনো-বিশ্লেষণ'গুলো দারুণ লাগল।
কিছু জায়গা, যেমন ~
"হাসবার সময় মনে হয় সে জগতের সবচেয়ে সুখী। মাঝেমাঝে অবশ্য তা অনর্থক মনে হয়। তখন এ হাসি সন্দেহের উদ্রেক করে। হতে পারে-এ হাসি পরিবেশকে অতি লঘু করে ফেলে সবাইকে আপন করে নেবার জন্যে, অথবা সবার আপন হবার এ এক নিগূঢ় পন্থা।"
অথবা,
"সে ঝড় আমায় উড়িয়ে নিতে যেতে চাইলো। প্রথমে আমি বিক্ষিপ্ত ভাবে বাধা দিলেও পরে আর কোন বাধা দিলেম না। কারণ সে ঝড়ের তোড়ে উড়ে যেতে মন একান্তই চাইছিল।"
কিংবা,
"যাকে ভালবাসব-তার প্রতি সদা উদ্বিগ্ন থাকাই ভালবাসা।"
~ এই ধরণের অনুভূতিগুলো খুব সুন্দরভাবে প্রকাশিত। আমি পারিনা (খেয়াল করে দেখো, আমার লেখায় শুধু সরল চোখে দৃশ্যের বর্ণনা থাকে), তাই যারা পারে তাদের লেখা মুগ্ধ হয়ে পড়ি।
লেখা চলুক। শুভকামনা রইল...
সরলতা বলেছেন: তানিম ভাই,লেখাটা পড়লাম। মনোযোগ দিতে পারছিনা আসলে আজ কোন লেখাতেই। মনটা একটু বিক্ষিপ্ত। তবে পুরোটা পড়ে যেটুকু বুঝলাম--আমি অতি,অতি সাধারণ। তোমাদের তুলনায় আমার স্তর অনেক নীচু।
এই লেখা বুঝতে হলে আমার স্তর অনেক উপরে তুলতে হবে। কারন লেখার অনেক কিছুই মাথার উপ্রে দিয়ে গেছে।
আমি ঠান্ডা মাথায় আবার এসে পড়ে যাব।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
এ কে এম ওয়াছিয়ুন হালিম বলেছেন: সরলতা বলেছেন: তানিম ভাই,লেখাটা পড়লাম। মনোযোগ দিতে পারছিনা আসলে আজ কোন লেখাতেই। মনটা একটু বিক্ষিপ্ত। তবে পুরোটা পড়ে যেটুকু বুঝলাম--আমি অতি,অতি সাধারণ। তোমাদের তুলনায় আমার স্তর অনেক নীচু।
এই লেখা বুঝতে হলে আমার স্তর অনেক উপরে তুলতে হবে। কারন লেখার অনেক কিছুই মাথার উপ্রে দিয়ে গেছে।
আমি ঠান্ডা মাথায় আবার এসে পড়ে যাব।
আসলে আমার অবস্থাও সেইম। পুরা মাথার উপর দিয়ে গেল।
আপনি চরিত্রগুলোর মনস্তত্ত্ব বিশ্লেষণ করে লিখেছেন ভালো কথা কিন্তু একটু পরিষ্কার করা উচিৎ ছিল বলে মনে হয়।
রবীন্দ্রনাথের ঘরে বাইরে উপন্যাসের ভাবার্থ ধরতে আমাকে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। আপনার গল্প বুঝতেও আমাকে খাটুনি করতে হবে। কিন্তু আসলে হাতে সময় তেমন একটা নেই।
ভালো লিখেছেন, ধন্যবাদ।
মি: জবরদস্ত বলেছেন: ভাই আমি সারা জীবন সহজ ভাষায় লেখা বই পড়ে এসেছি এবং পড়ছি। আমি মুহম্মদ জাফর ইকবাল, হুমায়ূন আহমেদ, কাজী আনোয়ার হোসেন প্রভৃতি লেখদের বই পড়ি, যারা অত্যন্ত সহজ, সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় লেখে থাকেন। এটা হয়ত আমার অক্ষমতা, আমি জটিল লেখা পড়তে পারিনা। তাই এখনো পর্যন্ত অনেক বিখ্যাত বই আমার পড়া হয়ে উঠেনি। আপনার গল্পটা আমার কাছে জটিল মনে হয়েছে, তারপরও পড়েছি কিন্তু কিছুই বুঝিনি
আমার ব্লগে সবসময় আপনাকে স্বাগতম।
আপনার জন্য শুভকামনা।
শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: অনেক গভীর লেখনি। আমি সহজ ভাষা পড়ে অভ্যস্ত। হয়তোবা সত্যিকারের সাহিত্য এখনো পড়তে পারি না। তবে গল্পটি পড়তে ভালো লেগেছে। অনেকগুলো জায়গা মাথার উপর দিয়ে গেছে। তবে মাঝখানের কবিতাটা, "অনেক ভাল তুমি,
সুরের মাঝে যেন সুর সপ্তমী।" খুব ভালো লেগেছে। আর লেখার মাঝে মাঝে কিছু জীবনবোধের কথা ঢুকিয়ে দিয়েছেন। যেটি চমৎকার ছিল।
------------------------
আমার এক নাম্বার গল্পটি পড়েছিলেন। দুই নাম্বারটিও পড়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, সমালোচনামূলক মন্তব্য সহ।
Click This Link
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন: কবিতায় আমি যেটা বুঝলাম... কবির খুব পছন্দের কোন রহস্য মানবীর কথা বলা হয়েছে যার রহস্য কবি খুব সহজে উন্মোচন করেতে পারে না। অলওজেস কনফিউজড থাকে। আর রহস্য মানবীও কবির ভালো লাগার বিষয়টা ধরতে পারে না।কিংবা তার কল্পিত বেদনার কারনে ধরতে চায়ও না। কিন্তু কবি কিছুটা আশাবাদী। এবং সে রহস্য কন্যার প্রতি তার স্বগোক্তি যে অতীত বা কল্পিত বেদনা ভুলে গেলেই সুখপাখি বা প্রিয়জনের ডাক তার কানে পৌঁছানো সম্ভব।
গল্প বার দুই পড়ে কিছুটা বুঝেছি!! যদিও খুব চাতুর্যতার সাথে আপনি পাঠককে অতীত বর্তমান আর ভবিষৎ এ নিয়ে গিয়েছেন!!
অনেক চিন্তাশীল লেখা তানিম!
আচ্ছা ঐটা কি সত্যি কোন গান??
“ তোমার দুয়ারে এসেছি প্রিয়তম...??
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: সুন্দর একটা কাব্যগাঁথা। একটা সময়ে এমন আবেগের বিস্তার করে লেখা পড়তাম। এখন প্রকাশটা অলংকরণ ছেড়ে চলতি থেকে কথ্য ভাষায় ঢুকে পড়েছে। গ্রামোফোনের সময়টা দৃশ্য বাজে। যখন যাকে ভালবাসা হতো তার সঙ্গে বহুদিন পর দেখা হতো। কথা বলার মতো পর্যাপ্ত সুযোগ সাহস মিলতনা। ডায়েরীর পাতাই হতো সম্বল। আর ফেসবুক বা সেলফোনের বদলে স্টেরিওতে ধীরলয়ের সঙ্গীত!
"কিন্তু আমি জানি এ ভালবাসা পবিত্র। এর নেই কোন কামনার উন্মাদনা, বাসনার সুরাপাত্র। ‘‘সে’ আমার অন্তরের প্রবেশ করেছে বিশুদ্ধ ভালবাসা নিয়ে "
ভালবাসার একটা সংজ্ঞা চোখে পড়েছে। দেহের দেয়ালের ভেতর ভালবাসার কোমল বিমূর্ত সৌন্দর্য বসবাস করে। সমস্ত হরমোনের চাবিকাঠি সেই দেহে যার আকর্ষণটা প্রেমকে মহিমান্বিত করে।
অথচ আমাদের সাহিত্যে বরাবরই দেহজ প্রেমকে বিশুদ্ধতার পরিপন্থী গন্য করেছে। বিষয়টিকে কখনো মনে হয় অপরিণত কখনো হিপোক্রেসি -প্লেটোনিক ভাবনাই যেন ভালবাসার সভ্য সন্তান।
গানচিল বলেছেন: সুন্দর লাগলো। উপস্হাপনাটাও অন্য ব্যতিক্রমী।তবে,
“ দোহাই তোদের,একটু সবুর কর!
ভালোবাসিবারে-
দে অবসর।। ”
এই জায়গাটায় একটু সংশোধনীর দরকার আছে। এখানে সবুর শব্দের বদলে "চুপ" শব্দটা ব্যবহৃত হবে।
"For god sake
hold your tongue
and let me love"
দোহাই তোদের একটুকু চুপ কর
ভালবাসিবারে দে আমারে অবসর
শেষের কবিতা থেকে নেয়া তো! আমি মনে করি কবিগুরুর লেখার কোন একটা শব্দের হেরফের করাও কবিরা গুনাহ।মাইন্ড করলেন না তো আবার?
নষ্ট কবি বলেছেন: ওরে বাবা - আমি তো এভাবে কোন দিন ভাবি নাই
অনেক সময় সমসাময়িক লেখক দের লেখা দেখে ভয় লাগে
নিজেকে নিচু স্তরের জীব মনে হয়
লেখাটা পড়ে তাই মনে হল
রেজোওয়ানা বলেছেন: উত্তর আধুনিক ধাঁচের লেখা, স্টাইলটা ভাল লেগেছে। তুমি অনেক পরিশ্রমী লেখক তানিম ভাইয়া..........মঙ্গল হোক তোমার
প্রথম দিকে আমার কবিতা লেখার মূল উদ্দেশ্য ছিল আবৃত্তিযোগ্য কবিতা লেখা, যেহেতু আমি আবৃত্তিতে খুব একটা খারাপ নই। এই সময়ে লেখা কবিতাগুলোর মধ্যে আজ রাত্রে, কলমযোদ্ধা ও বাবা উল্লেখযোগ্য অন্য আরও বেশ কিছু কবিতার সাথে। বাবা কবিতাটি প্রায় এক হাজারবার পঠিত হয়েছিল ব্লগে যা আমার মত একজন নতুন ব্লগারের জন্য অনন্ত উৎসাহের ব্যাপার ছিল। এই কবিতাতে বহু কমেন্ট এসেছিল, তবে একটি কমেন্টই এখানে রাখছি যাতে আহসান ভাই (ডিসকো বান্দর) বই বের করবার ব্যাপারে বলছিলেন। সেদিনের ক্ষুদে ব্লগারের জন্য এ এক পরম পাওয়া।
ডিসকো বান্দর বলেছেন: অড্ভুত লিখেছেন। বই বের করেন ভাই।
আজ রাত্রে কবিতায় একটি কমেন্ট পেয়েছি বেশ বয়স্ক ও মনযোগী পাঠক অলকদার যিনি ব্লগ লেখার শুরু থেকেই আমার লেখা পড়ছিলেন।
অলোক কুমার দাস বলেছেন: bigata du-mas dhore apnar lekha porchi. Avinandan janabar sujog pratham pelam (eto-din anumati chilo na).
Khub bhalo laglo. aro likhun.
সত্যবাদী মনোবট বলেছেন:
ঊষা লগ্নে অবাক দু'চোখে দেখি পৃথিবীটাকে
কত স্বপ্নের জন্ম কিংবা মৃত্যুর
হিসাব তিমিরে মিটিয়ে রবি আসে
আবার আলোকিত ধরনী
এমনি করেই যায় দিবানিশি আর শত আশা
হারিয়ে খুঁজি কি ছিলো ভালোবাসা
আমি যখন ব্লগলেখা শুরু করি তখন ব্লগার সেবু মুস্তাফিজ ত কবির বন্দনা নামে একটি কবিতা লিখতে চেয়েছিলেন যেখানে একশ জন কবিতা লিখবে । কিন্তু কবি সঙ্কটে থেমে আছে । এই বিষয়টা তে যুক্ত হতে কমেন্টের ঘরে একটানে লিখে ফেলি আমি আজ কবিতা লিখতে এসেছি আমি আজ কবিতা লিখতে এসেছি এই কবিতাটি পরবর্তীতে আমি আমার বইয়েও অন্তর্ভুক্ত করি, যেহেতু শত কবির কবিতা আর বের হয়নি। সেই পোস্টের লিংক- আসুন একটা কবিতা লিখি
আইরিন সুলতানা বলেছেন: এটার কথা বিস্মৃত হয়ে গিয়েছিলাম...উদ্যোগটা বেশ ছিল...প্রচারণা চালিয়ে যান...সবাই একটু সিরিয়াসলি এখানে কনট্রিবিউট করলে দারুণ কিছু একটা নিশ্চিত হবে।
ধন্যবাদ আপনাকে সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য।
শাহেদ খান বলেছেন: হুম, সে তো অনেক কাল আগের কথা ! আমি নিজেও একটা দিয়েছিলাম (পোস্ট : ৫১), ভুলেই গিয়েছিলাম... আজ আবার গিয়ে নিজের লেখা দেখে নিজেই অবাক হয়ে গেলাম। ওটা ইন্সট্যান্ট লেখা ছিল, তাই আর মনে ছিল না।
ধন্যবাদ তানিম।
এই কবিতাটাও ভাল লেগেছে। তবে দু'একটা জায়গা, যেমন "ভীরু বাঙালিরে তুমি দিয়েছ পরিচয়" - "ভীরু বাঙালি" কথাটা ঠিক কোন সেন্স-এ বলা, পরিস্কার হল না...
আলিম আল রাজি বলেছেন: অনেক ভালো লিখেছেন।
আফসুস হয়। কেনো যে কবিতা লিখতে পারি না
হানিফ রাশেদীন বলেছেন: দারুন কবিতা, ধরুন ''আমি (কেউ একজন), আজ কবিতা লিখেত এসেছি'' কোথায়? ''মহাকালের পাতায়,'' এ সাধারণ কোনো কবিতা নয়, আমি যে কবিতা লিখতে এসিছি, সেটি ''একটি রাস্ট্রের উথ্থান'' মানে ইতিহাস, ''কিছু আশার বুনন,'' যে-রাষ্ট্র নিয়ে আমাদের আশা, এই আশার সাথে আবার জড়িত নিজ দেশের প্রতি প্রেম, দায়িত্ত্ববোধ, এবং ''একটি স্বপ্নের জাগরণ...'' এই স্বপ্নই আমাদের উদ্বুদ্ধ করে, যুদ্ধে-সংগ্রামে-লড়াইয়ের ময়দানে, এবং আমাদেরকে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে, জাতী হিসেবে আমাদেরকে বিশ্বের দরব্রে তুলে ধরতে উদ্বুদ্ধ করে। অতঃপর বলা যে, দেখো, আমাদের পরিচয় / ইতিহাস / ঐতিহ্য / জাতী হিসেবে কেমন বীর জাতী আমরা, ''আমি লিখতে এসেছি'' এই আমাদের জাতীর বথা ''বারুদ উত্তেজনায় ঠাসা একাত্তর, বায়াণ্ন কিংবা / ঊনসত্তরের দিনগুলোর কথা ।''
চমৎকার কবিতা।
ভারসাম্য বলেছেন: খুবই ভাল হয়েছে। কিন্তু কবিতা এখন আর আমারভাল লাগেনা । আমার ভাল লাগা না লাগা নিয়ে তোমাদের তো তেমন কোন দায় নাই। তাই লিখে যাও ... লিখে যাও আরও অনেক অমর কবিতা... অবিনাশী গান। আমি থাকলাম আমার সত্য আবেগ নিয়ে। কবিতার আবেগ গুলো বাস্তবে কতটা আবেগী করে তোমাদের? আবেগ গুলোর কতটুকু থাকে সত্যকে ঘিরে? ... তাই এমন কবিতা লিখতে না পারার সীমাবদ্ধতা নিয়ে খুব বেশি আফসোস নাই। তাই বলে ভেবনা, আমি তোমার পক্ষে নই। স্বাধীনতার বিপক্ষে কি থাকে কেউ? চালিয়ে যাও বন্ধু ... চালাও আরো জোরে ।
আজকের পোস্ট শেষ করছি আমার কবিতা লেখার একেবারে শুরুর কবিতাটি দিয়ে। যারা এতক্ষণ পোস্টগুলো
দেখে ভেবেছেন আমার লেখায় কখনো সে অর্থে সমালোচনা হয়নি, তারা ভুল ভেবেছেন। আমার এই লেখাটিতে শাহেদ তার মনের মাধুরী মিশিয়ে বলেছে। আমিও ভীষণ খুশি হয়েছি ওর অকপট মন্তব্যে। এমন করে আজকালকার ব্লগারদের লেখায় কেউ কমেন্ট করলে কেউকি সহজে নেবেন ? একটা তথ্য দিয়ে রাখি, এই লেখাটি আমার লেখা প্রথম কবিতা- নদীকুল ও চাষী ২০০৬ সালের ১৮ মার্চ সন্ধ্যা ৬ টায় আমি লিখতে শুরু করি, সেই থেকেই চলছে।
শাহেদ খান বলেছেন: তানিম, তোমার দেয়া লিঙ্ক পেয়ে বেশ ক'বার এ কবিতা দেখে গিয়েছি; কিন্তু মন্তব্য করা হয়নি কখনও... কারণ(গুলো) বলছি:
১। কবিতাটা শুরু করেই প্রতিবার প্রথম ৭ লাইনেই আটকে গেছি; আর আগানো হয়নি - আগাতে পারিনি। পড়া আগাচ্ছিল না
সাধু ভাষাই যদি ব্যবহার করবে, সেক্ষেত্রে আরেকটু সাবধান হতে পারতে। 'বসেছে'র সাধু 'বসিছে' নয়, 'বসিয়াছে' হত এখানটায়.... একইভাবে 'হইছে' নয়, 'হইতেছে' (হচ্ছে)
হয়তো বলবে, প্রথম লেখা তাই পরিবর্তন করিনি - যা ছিল হুবহু তুলে দিয়েছি...ভাল কথা, তবে আমি তো ভাষা পরিবর্তন করতে বলছি না (এটা বলার অধিকারও কারও নেই), তবে বানান সংশোধন দরকার ছিল ভাল'র জন্যই
২। প্রথম প্যারায় আটকে গেলেও এতবার লিঙ্কটা পেয়ে মাঝে মাঝে এসে পরের অংশুটুকুও স্ক্রল করে ২-১ লাইন পড়ে গিয়েছি কখনও... (সেখানেও, যেমন 'আজ যাহিছ' বলতে নিশ্চয় "আজ যাইতেছ" বুঝিয়েছ? অথবা শেষ লাইনে। শুধু "চাহিয়া'র সাথে মেলানোর জন্যই কি 'পাইয়া'কে 'পাহিয়া' বলা??)
তবে এসবে আর যাচ্ছি না... অন্য একটা কথা বলব, সেটা হল এ কবিতায় স্বতঃস্ফূর্ততা'র চেয়ে কঠিন পান্ডিত্যপূর্ন ভাষার দিকে ঝোঁক বেশি দেখা গেল
সাধু বলেই কি? মনে হয়না ! সাধু'তেও অবিরাম সহজ কথা লেখা যায়
এটা পাঠক হিসেবে আমার দোষও হতে পারে। আমি সহজ লিখে আর সহজ পড়ে অভ্যস্ত, হয়তো তাই
৩। এই কবিতা লেখার সময়কালে খুব রবি'ঠাকুর পড়া হত, তাই না?
নদী আর বৃষ্টি বাঙালী কবির খুব আবেগের জায়গা। প্রত্যেক কবি'র আবেগ তাদের কবিতায় ভিন্নমাত্রায় প্রকাশ পায়। ভাল লাগে যে, তোমার কবিতা (নতুনগুলো) এখন আরও অনেক স্বকীয়
৪। কিছু লাইন চোখে পড়ার মত দূর্দান্ত:
এইতো বিধির নীতি,
গত হইলে যজ্ঞ লগন, দেবতা হারায় ভক্ত স্মরণ-
পুরা হইলে প্রয়োজন, যায় না পাওয়া, মানবাগমন।
কবিতাটা দেখার সময় এই ছিল আমার অনুভূতি। তবে একদম শেষে এসে যখন দেখলাম এটা তোমার প্রথম কবিতা, তখন অনুভূতিগুলোকে আর মন্তব্যে প্রকাশ করতে ইচ্ছা হয়নি। প্রথম কবিতা নিশ্চয় খুব আদরের, তাকে নিয়ে এত বিরূপ মন্তব্য ভাল লাগার কথা না...অন্ততঃ আমার ভাল লাগত না ! তাই প্রতিবার এসে মন্তব্য না করেই ভাগতাম
অন্য কারও ব্লগ হলে এত্ত কথা বলার দরকারও মনে করতাম না ! তবে তুমি এখন শুধু একজন ব্লগার না, আমার পরিচিত একজন, তাই এত কথা বলা...
শুধু একটা 'কবিতা' হিসেবে ভেবেই এসব সমালোচনা করা। তবে 'প্রথম কবিতা' হিসেবে ভাবলে, তোমার কবিতা চরমভাবে উৎরে যায়, আমার সমালোচনা সেক্ষেত্রে আমার নিজের চোখেই ধোপে টেকে না
এর উত্তর আমি কি করেছিলাম, সেটাও ব্লগাররা জানতে চাইতে পারেন।
লেখক বলেছেন: ৩ নাম্বার আমার জন্যে আজীবন সত্য । ভাইয়া আপনাকে রবি কবির কবিতা পোস্ট টা দেখতে বলছি । আমাদের মনে রাখতে হবে, সদ্য কৈশোর উত্তীর্ণ এক তরুণ তার মনোবেদনা কে নদীর মাধ্যমে প্রকাশ করেছে । সে কবি হবে, কবিতা লিখবে এমন কোন ব্যাপার ছিল না । তাই তার কবিতায় তার প্রিয় কবির কবিতার ছাপ না থাকাটাই অস্বাভাবিক
কিন্তু আমি নিজেই গর্বিত এই ভেবে মাত্র তিন মাসের মাথায় রবীন্দ্রনাথের ভয়াবহ ভাইরাস আমার মাথা থেকে নেমে গেল । আমি কিন্তু নিজের মত লিখতে শুরু করলাম ।
আমি একটা কথা বিশ্বাস করি, আমার লেখনীর একটা স্টাইল আছে, যা আমার কবিতাকে একটা পরিচিতি দেয় । যারা দু চারটি পড়েছেন, তারা বুঝতে পারেন এ লেখাটি কার (দম্ভ হলে ক্ষমাপ্রার্থী)
"তবে এসবে আর যাচ্ছি না... অন্য একটা কথা বলব, সেটা হল এ কবিতায় স্বতঃস্ফূর্ততা'র চেয়ে কঠিন পান্ডিত্যপূর্ন ভাষার দিকে ঝোঁক বেশি দেখা গেল"
এই বিষয়ে যদি কোন মেন্টাল দ্বিমত পোষণ করে, তবে তার মাথা নষ্ট । আমি মেট্রিক ইন্টার কোনটাতেই বাংলায় লেটার পাইনি । আমার আজীবনের দু:খ । তাই নিজেকে জাহির করা ।
আমি খূবই আনন্দিত শাহেদদ ভাইয়া, আপনি একদম আসল লাইনটা ধরেছেন । আপনি কি জানেন, আমি সবার আগে এই দুই লাইন লিখেছিলাম
গত হইলে যজ্ঞ লগন, দেবতা হারায় ভক্ত স্মরণ-
পুরা হইলে প্রয়োজন, যায় না পাওয়া, মানবাগমন।
পরে পুরো কবিতা লেখা লাইন দুটো কে সাপোর্ট দেবার জন্যে । আগেই বলেছি এ কবিতা আমার বেদনার বাহন ।
১ নং এর জন্যে আমি হতাশ হলাম ভাইয়া । আমার বাংলা কি এতই খারাপ যে আমি সাধু চলিত ট্রান্সফর্মেশনে ভুল করব ?? এটা প্রথম কবিতা, আপনিউ তো বলেছেন............
সবশেষে, একজন বিদগ্ধ পাঠক, একজন লেখকের সম্পদ । আমি অত্যন্ত আনন্দিত, ভাইয়া তুমি এত মনোযোগ দিয়েছ বলে । আমি ধন্য । তোমাকে একটা কথা, যা মনে আসে বলবে, সঙ্কোচ করবে না । আমি আবাল ব্লগার না যে মাইন্ড করব । ভাল থাকবে । আমার জন্যে দোয়া করবে, আমি যেন তোমাদের মনে দাগ কাটার মত কিছু লিখতে পারি।
আজ এ পর্যন্তই। আগামী পোস্টে আমি আরও অন্যান্য লেখায় প্রাপ্ত মতামত নিয়ে ও আমার বর্ষপূর্তি বিষয়ক অনুভূতি শেয়ার করব। আশা করি সবার ভাল লাগবে। শেষ করবার আগে বলতে চাই সদ্য প্রয়াত প্রিয় কবি রফিক আজাদ ভাইয়ের একটা কবিতার লাইন নত হও। লেখক হতে চাইলে আমাদের সকলকেই সময়মত নত হতে শিখতে হবে। ভালবাসা ও কৃতজ্ঞতা সকল ব্লগারদের।
উৎসর্গঃ এই পোস্ট আমি উৎসর্গ করতে চাই, শাহেদ ভাইয়ামনিকে। ও না থাকলে ব্লগ অনেক পানসে হত আমার জন্য। কি যে ভালবাসা ও দিয়েছে আমি আজও ভুলতে পারিনি
০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:২৫
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ বিজন। স্বাগত আমার ব্লগে
আশা রাখছি এই পোস্টে যে লেখাগুলোর কথা লেখা আছে সময় করে দেখবেন
আপনার জন্যে আমার উপহার, আমার নিজের করা একটি আবৃত্তি - অনল শ্রাবণ- রেজওয়ান তানিম
২| ০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:১৯
সুমন কর বলেছেন: অভিনন্দন !!
০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:৫২
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুমন
ভাল লাগল আমার এই পোস্টে, আপনাকে পেয়ে।
উপরে এই লেখাটির লিঙ্ক ভালভাবে আসেনি, আমি আবার এখানে দিচ্ছি। লেখাটি আশা করি আপনার ভাল লাগবে
https://mohapoth.wordpress.com/2016/04/29/কবিতার-সাথে-দশটি-প্রেম-কয়/
৩| ০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:৩১
বিজন রয় বলেছেন: আপনার এই পোস্ট পুরোটাই পড়লাম। অনেক পুরানো ব্লগের নাম জানতে পারলাম। জানলাম তাদের প্রতিক্রিয়া। তারা যদি আজ ব্লগে থাকতো তো কতই না ভাল হতো!! বিশেষ করে আমার মতো নতুনদের জন্য।
যাহোক আপনাকে ধন্যবাদ।
০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:৫৯
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ঠিক বলেছেন, স্বদেশ, হানিফ, মাহি, নাহল, আইরিন, সাজি, ভাঙ্গন, ত্রাতুল আরও অনেক অনেক ছিলেন কবি লেখক, যাদের কাছে আমার অশেষ ঋণ। এ বলা অত্যুক্তি হবে না যে, এদের নান ধরণের কমেন্টের কারণেই আজকে আমি আমার পায়ের তলায় মাটি পেয়েছি।
বাংলাব্লগ সমৃদ্ধ করতে যারা অপরিসীম অবদান রেখেছেন তাদের অনেককেই এই পোস্ট এ পাবেন বলে আমার মনে হয়। সালতামামি ২০১১ : বছর জুড়ে গল্প, কবিতা ও উপন্যাস লেখা পাঠকপ্রিয় সৃজনশীল ব্লগারেরা
ধন্যবাদ অনেক অনেক
৪| ০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:৩৪
বিজন রয় বলেছেন: অটঃ যদি একটু কষ্ট করে আমার ব্লগে আমার কবিতা পড়ে দু-একটি কথা বলতেন তো জানতে পারতাম আমার লেখার অবস্থান।
আপনাদের উপদেশ কাজে লাগবে।
০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:০১
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: আমি অবশ্যই আপনার লেখায় আমার মতামত জানাব। কিছুক্ষণ পরেই। আপনার লেখায় চোখ বুলিয়ে যা দেখলাম আমার বেশ লাগল।
আপনি যদি চান আপনার সাথে কথা হতে পারে মুখগ্রন্থে - Rezwan Tanim
৫| ০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:৩৭
বন্যলোচন বলেছেন: ভালৈ!
০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:২১
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ধন্যবাদ
স্বাগত জানাই আমার ব্লগবাড়িতে, আপনার জন্যে কবিতা ...
বিষাদ দিনের কথা
বিষাদের পপলার পাতাগুলো
অশ্রু লুকায়, ঝরে পড়ে
মুচমুচে পাঁপড় হয়ে , প্রতিটি
শীতের শিশির আসবার আগে ।
প্রাণের প্রাচুর্যে পূর্ণ হৃদয়,
নি:শেষ হয় একদিন, শুষ্কতার সঙ্গমে !
তার পরিণতি বিদ্যমান, ছোট্ট অথচ,
প্রবাহিত অর্থবহ জীবনে ।
সংজ্ঞাহীন একাকীত্বের
হিম সমুদ্রে, ডোবে যে বালক
আলেয়া করে না স্পর্শ তারে
অনাহূত জোছনার ছলে ।
মৌনমুখর বেলায় ( জাতীয় গ্রন্থ প্রকাশন, ২০১২) থেকে।
৬| ০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:০৩
সুমন কর বলেছেন: এ পোস্ট কাল পড়বো, তাই শুধু অভিনন্দন জানিয়ে গিয়েছিলাম।
অ.ট.: আপনি যে লিংক দিয়েছেন, সেটা কি মহাপথ?
০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:২২
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: হা, ওদের ওয়েব এ সাম্প্রতিক লেখায় চোখ বুলালেই পাবেন। লিঙ্ক কেন যেন কাজ করে না
৭| ০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:১০
সায়েম মুন বলেছেন: স্মৃতি তুমি বেদানা
আপনার পোস্টের মাধ্যমে বেশ কয়েকজন গুণী ব্লগারের কথা মনে পড়লো।
শোনা হলো আপনার আত্মকথন। সব মিলিয়ে বেশ লাগলো।
আগাম ৬ বছর পূর্তির শুভেচ্ছা রইলো।
০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:১৯
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: এই রকমের পোস্ট আরও দুই একটা দেব। এই মাস জুড়েই চলবে আমার বর্ষপূর্তিতে স্মৃতিসম্ভোগ
আপনাকে সপ্তবর্ষপূর্তির শুভেচ্ছা
৮| ০৭ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:২১
সুমন কর বলেছেন: এখন পুরো পড়লাম এবং আপনার পোস্টে বিভিন্ন ব্লগারের মন্তব্যগুলো পড়ে ভালো লাগল। আমি যখন ব্লগিং শুরু করি তখন তেমনভাবে আপনাকে পাইনি। তাই লেখাও কম পড়া হয়েছে।
অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো।
০৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৪
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: আসলে সুমন খেয়াল করেছেন কিনা, আপনারা যখন ব্লগে আলো ছড়াচ্ছিলেন তখন আমার ব্লগের সময় প্রায় শেষ। আমি তখন অনুপ্রাণন নিয়ে ভীষণ ব্যাস্ত হয়ে পরেছিলাম। আমার কোন কাজই সে অর্থে বৃথা যায়নি, ভেবে দেখুন শতাধিক কবি লেখকের বই অনুপ্রাণন প্রকাশ করেছে, এর পেছনে আমারও যে অনেক অবদান আছে বেশিরভাগ লোক জানেন না।
তাতে কিছু আসে যায় না। যোগ্য লোকের জন্য কিছু করতে পারা আনন্দের বিষয়। পাওয়া না পাওয়ার হিসাব আমি করি না।
আশা করছি আপনার সঙ্গে আগামীতে আরও কথা হবে
৯| ০৭ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:১৮
অদৃশ্য বলেছেন:
দারুন বিষয়... এই পর্বটা সকালে এসেই চোখে পড়েছে আর সাথে সাথেই পড়ে ফেললাম... প্রিয় তানিমের অনেক কিছুই জানা হলো এখান থেকে যা কিনা অজানা ছিলো... দারুন লাগলো সেই সময়ের বেশ কিছু মন্তব্য পাঠে আর মনে পড়ে গেলো পুরনো বেশ কয়েকজন ব্লগারদের... যারা অন্যকে সমসময়ই অনুপ্রাণিত করে গ্যাছেন আবার চমৎকার সব লিখা লিখেও গ্যাছেন...
এখানে বর্তমানে না থাকা মানুষদের মাঝে রেজোওয়ানা আপা, প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার, শাহেদ ভাই, কালপুরুষ দা, হানিফ রাশেদিন, নষ্ট কবির কথা মনে পড়ছে... সেই সাথে আরও অনেকেই... আশাকরি আপনার পরবর্তী লিখাতে তাদের আবারো স্মরণে আনতে পারবো... অনুভূতি তীব্র হোক...
শুভকামনা...
০৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৪
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: প্রিয় অদৃশ্য অশেষ কৃতজ্ঞতা পাঠের জন্য।
আপনাদের সকলের নিরন্তর ভালবাসা বুকের খাঁচায় পুষে রেখেই লিখে যাচ্ছি, যাব আরও অনেক অনেক বছর।
আমি হারাতে চাই না, কখনোই। তাই বারবার ফিরে ফিরে আসি, কবিতায়।
আপনার জন্য আমার সাম্প্রতিক একটি কবিতা
নষ্ট সময় ।। রেজওয়ান তানিম
পচে যাওয়া সময়ের কালো বিছুটির সাথে
অন্ধ যে বালক, পেতেছিল কাল
বিবর্ণ বাসর; কেউ তারে
বলে যায়নি এসে- নগ্ন রাত আমাদের
উলঙ্গ করে আরো।
অন্ধকার মানে নষ্ট অতীতের ঘোর লাগা সঙ্গম!
নিয়তিবন্দী বালক
এখন একাকী ভীষণ, নিজে পোড়ে আর
সুখফড়িঙের পাখনা পোড়ায়,
পাখনা পোড়ায়!
শাদা পরচুল অন্ধকার (অনুপ্রাণন প্রকাশন) ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ থেকে।
১০| ০৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০
আমি তুমি আমরা বলেছেন: অর্ধযুগ পূর্তির শুভেচ্ছা তানিম ভাই
০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:৫৩
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ, আমি তুমি আমরা। দীর্ঘ দিন ধরে তুমি আমাদের এই ব্লগের রেসিডেনট পরিসংখ্যানবিদের কাজ করছ, সে জন্যে তোমাকে আন্তরিক অভিনন্দন।
তোমার জন্য আজকের দিনে, এই আমার উপহার
অনল শ্রাবণ ।। রেজওয়ান তানিম
বৃষ্টি মানেই অঝোর শ্রাবণ
ঝুমবেদনার রাতনিশীথে কষ্টপাখির
ধূসর শয়ন।
বৃষ্টি মানেই জলের অনল,
পোড়া পাজর আর ভাঙা এ মনের
নিয়ত দহন।
বৃষ্টি মানেই ছেড়াটে মলাট
আকুল হয়ে খণ্ডিত সব স্মৃতিগুলোর
ধূলায় পতন।
বৃষ্টি মানেই চোরঠুকুরির
ভাঙা চৌকাঠ, ফাগুন জমা রঙপ্রহরের
স্বপন হরণ।
১১| ০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৩১
গেম চেঞ্জার বলেছেন: সামুর অন্যতম সফল ব্লগার আপনি, নির্দ্বিধায় বলা যায়।
০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:০০
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: কি যে বলেন, আমার নিজের ফিল্ড এর বাইরে আমি কখনোই যাইনি। ক্ষেত্রবিশেষে মন্তব্য ও করিনি।
একজন পুরনো ব্লগার হিসেবে আমার দায়িত্বপালনে আমি সম্পূর্ণ ব্যর্থ। এ জন্য আমার নিজেরই খুব খারাপ লাগে মাঝে মাঝে।
আপনাদের সকলের কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা এই যে আমাকে মনে রেখেছেন এতদিন
পুরনো একটি কবিতা, অন্ধকারের পরের গান এর অংসবিশেষ
আমরা অবাক হই না আর, কবিতার সর্বব্যাপিতা দেখে ।
কেননা আমরা জানি, যে জীবন পার্থিব, যে জীবন
নগন্য, ক্ষুদ্র কোন প্রাণের, তার প্রাণের উচ্ছাস;
কিছু কম নয় দানবীয় কারো থেকে । সব প্রাণের অস্তিত্বে
প্রলয় তোলে আমাদের লেখা, এই আনকোরা কবিতারা ।
ঠোটের উপর কামনার্ত ঠোটের অস্থির পরশ
পার্থিব জীবনের প্রথম যৌনতা, অন্তহীন সঞ্চালনা
উন্মাদনার, জীবন জারক রস আরো প্রার্থিত ; প্রবল ঘোর
কামোত্তেজনার ! চিন্তাক্লিষ্ট অথচ সুখী কিশোরীর চোখ, নেশায়
অস্থির তখন, অন্ধকারের প্রতি অমোঘ আকর্ষণে ।
তার সমস্ত সত্তা জুড়ে, জপের মালার মন্ত্রের মতন
তার অনাবশ্যক অস্থির সত্ত্বায় ধ্বণিত হয়,
আমাদের প্রেমের কবিতা গুলো- অন্ধকার, একমাত্র
সত্য আমাদের জীবনের । আমরা অন্ধকারের সন্তান ।
তারিখ : ২৩/১০/১১ মৌনমুখর বেলায় (কাব্যগ্রন্থ, জাতীয় গ্রন্থ প্রকাশন) ২০১২ থেকে
১২| ০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:২৫
শায়মা বলেছেন: যাক শেষে এসে আমার থেকেও কিছু শিক্ষার পরিচয় দিলে!
উৎসর্গঃ এই পোস্ট আমি উৎসর্গ করতে চাই, শাহেদ ভাইয়ামনিকে। ও না থাকলে ব্লগ অনেক পানসে হত আমার জন্য। কি যে ভালবাসা ও দিয়েছে আমি আজও ভুলতে পারিনি ।
তুমিও আমার মত ঢং শিখেছো জানতাম না!!!!!!! যাই হোক অনেক অনেক শুভকামনা তানিমভাইয়ামনি!
আরও অনেক বড় হও।
০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:১০
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: শেখার কি আর শেষ আছে গো, শায়মামনি
ওলো আমার শায়মামনি
ঢং করতে আমিও জানি
ঢং এর বেলায় গুরু মানি
বলছি তোমায় আপু মনি
হা হা খুশিতো। ঢংরানী, ঢং ছাড়া আর আছে কি জীবনে ।
আপনার জন্যে.।.।.।
তোমার পালক ভরা পাখনার ছোঁয়াচ
আমায় আশাবাদী করে! জানিনা কেন
অনুভব করি অস্ফুট ভালবাসা?
১৩| ০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ৩:১৩
সানড্যান্স বলেছেন: ব্লগে একজন নতুন লেখক হিসেবে ইউ আর ওয়েল কাম!! :প
০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:১৪
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: হা হা হা, থেঙ্কুস আপ্নারে প্রখ্যাত নারীবিশারদ মাওলানা সান সাহেব ফেসবুকারি
আপনার লাইগা এউক্কা কবিতা আনছি, দেখেন তো কেমন লাগে
সকালগুলো অসমাপ্ত - চার
নরক থেকে বার্তা এসেছে, আমার মৃত্যু নিজস্ব নৌপথে!
আমি জানি, আমার হাতের উপর স্রোতস্বিনী শঙ্খ ডানা মেলে ভেসে বেড়াচ্ছে,
পথক্রম লিখে রেখে গেছে অনাহূত অদৃষ্ট! স্রোতের তোড়ে ভেসে চলছে শাদা
কয়েকটা গুণটানা কাগজের নৌকো।
নৌকোর তলায় মোম লাগাবার কথা, অথচ কেন যেন
লাগানো হয় না, আসলে মনে থাকে না।
একুশ বছর ধরে ক্ষয়ে যাচ্ছে একা একা স্মৃতির সিন্যাপ্স।
শুকিয়ে যাওয়া স্নায়ু ভুলে যাচ্ছে জীবনের শিশুপাঠগুলো।
পৃথিবীর কোথাও এখন মোম লাগাতে ভুলে যাওয়া কোন এক বেভুল যুবকের জন্য,
আর কাঁদে না বেহুলারা। এখন তারা বাসর রাতে ঘুমুতে শুরু করে বিচূর্ণ আর্তনাদ,
অলংকৃত অন্ধকারে দু’পায়ে দলে।
বিষের ছোবলে নীল লখাইদের নিস্তেজ চোখের তারায়
শুধুই বেদনা ও বিস্ময়!
১৪| ০৯ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৩৯
ঈশান আহম্মেদ বলেছেন: আপনার কবিতাগুলো অনেক সুন্দর তো।মুগ্ধ হয়ে পড়লাম।
০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:২২
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ। স্বাগত জানাই আমার ব্লগে।
শিকার
রেজওয়ান তানিম
নীল রক্তে ভেজা বিষাদী রাতপ্রহর, এখন শিকারে নেমেছে!
আমায় লোভ দেখায় পরাবাস্তবতার; সেখানে আশৈশব মৌনতা চাষি সকাল- অদ্ভুত এক ডানা ঝাপটানো
বিহঙ্গের কাছে নিয়ে যাবে, প্রতিশ্রুতি দেয়। আমি লুফে নেই সেই অদ্ভুত আব্দার! মিলিয়ে যেতে চাই তাজা
ব্যাথার কবিতা থেকে সুখের অক্ষরবৃত্তে।
সেই দেশটা কেমন? আমাকে বলেনা রাতের লুব্ধক। কল্পনায় আর কত দূর ভাবতে পারি, বলো! শুধু বিশ্বাস
করি, মন থেকেই জানি- দুঃখ নামক কাঁচপোকাদের জন্য সে এক নিষিদ্ধ শহর, রৌদ্রের ওম লাগানো শান্ত
সবুজ নিয়ে তার পাখনায় আঁকা সুখদেশের স্বর্ণালী ম্যাপ।
এমন আহ্লাদে সে ডাকছে, মন বলে এখনি ছুটে যাই। যাব, চলেই যাব হয়তবা। সুখ নামের সুরবালিকার
উড়বার নক্সার খোজে, বিষাদ লিরিকে মিলনের রাগাশ্রয়ী সুর বসাব বলে ওকে আমার বড্ড দরকার। খুব
তাড়াতাড়ি যাব আমাদের হারানো দিনের জমাট বেদনার এপিটাফ পাথরের খোঁজে। নীল চাঁদের ব্যথাতুর
কোমল ঠোঁটের নীচে যার বাস, বলে গেছে ধ্যানী বুড়িটা।
ফিরে যদি না আসি, ভুলে যেও।
কেউ মনে রেখ না, মিলিও না বিষাদ লিরিকে কান্নাতুর কণ্ঠের ছাঁচ!
স্মৃতি মানেই দু:খের সাথে তার অবিনাশী সহবাস।
আমাদের যেতেই হবে আজ অথবা কাল।
এই কথাটুকু মনে রেখ, ভুলে যেও।
উৎসর্গ: শৈশবে যিনি হাসাতেন, তাকে!
১৫| ০৯ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:০২
কাবিল বলেছেন: একজন সফল কবির জন্য আগাম ৬ বছর (অর্ধ যুগ) পূর্তির শুভেচ্ছা রইলো।
ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন সব সময়।
০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:২৮
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ভালবাসা ও কৃতজ্ঞতা আপনাকে কাবিল। আশা করি আগামীতেও আপনাদের সকলের ভালবাসা পাব।
আমার এই ছাইপাশ লেখার জন্যে আপনাদের পাশে থাকা খুবই জরুরী।
আপনার জন্যে এই কবিতাটি
ভালবাসা প্রিয়তমা
তোমার জন্য ভালবাসা প্রিয়তমা-
যে ভালবাসার গায়ে চল্লিশটা গোলাপ পাপড়ির,
অসহ্য সুন্দরের অমীমাংসিত রহস্য!
অভিশাপ হয়ে তোমার দেহে আছড়ে পড়ুক
কণ্টকময় তেহরানি গোলাপগুচ্ছ আমার।
১৬| ১০ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৪:১৬
কল্লোল পথিক বলেছেন:
সুন্দর পোস্ট।
অর্ধ যুগ পুর্তির অভিন্দন ও শুভেচ্ছা।
১০ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৯
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ধন্যবাদ ও স্বাগত জানাই আমার ব্লগে
আপনার জন্য কবিতা শাদা পরচুল অন্ধকার থেকে
দু'দণ্ডের জীবন
কি আর আছে ছেড়া দুদণ্ড, শাদা পার্চমেন্ট জীবনে? এইটুকু সুখ
একটি স্মরণীয় দিন আর কটা কালশিটে দু:খছোপ ; কত অল্প
আশার চাষ, জীবনের বারোমাস ! ভাসুক না আজ, আপনভোলা
জীবনের খোলা ক্যানো ! উত্তুঙ্গ ক্ষীণাঙ্গিকার এই দুরন্ত জলে।
আমরা কুড়াবো এই- আশ শ্যাওলা, পচা টোপাপানাটির মাঝে
ছিমছাম বেঁচে থাকার অনির্বচনীয় আনন্দ, অবাক হিল্লোল!
১৭| ১০ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:০৭
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
অভিনন্দন।
আয়োজনটা চমৎকার।
১০ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
শুভকামনা আমার ব্লগে।
আপনার জন্য কবিতা শাদা পরচুল অন্ধকার থেকে
ক্লান্তি
বুড়ো অশ্বথের পাতাহীন ডালে
অনাদিকালের আবাস ক্লান্ত
এক রাজশকুনের!
কোঠর ঠেলে বেড়িয়ে আসা রক্তাভ চোখে
সে অপেক্ষা করে,
মস্ত মৃত্যুর।
হাজার হাজার মাইলের বিষাদ সাগর পার হয়ে
মৃত্যুর কাছে আসা সরালির ঝাঁক
আমাদের বলে যায়,
অন্তর্গত অসুস্থতার কথা। জীবনের প্রতি
আরো কোন দাবি, আরো কোন চাওয়া
থাকে না আর পাখিজীবনে।
পাখিজীবনের বিবর্ণ ভাবনাগুলো
কানে কানে বলে
জীবন সরল দোলেকের দোলায়মান
কাটা কোন এক,
সব শেষে তার লেখা থাকে মৃত্যু!
জীবনের অনিবার্য চিত্ররূপ!
১৮| ১৫ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:১৭
শাহেদ খান বলেছেন: অর্ধযুগের শুভেচ্ছা, তানিম! মিস করি ব্লগের সেই সব সময়! নিয়মিত আড্ডার দিনগুলি।
পোস্ট এবং উৎসর্গ দেখে চমকে গেলাম! ব্লগে অনিয়মিত হওয়ার এতদিন পরও এত ভালবাসা পাওয়াটা আমার জন্য অভাবনীয়!
তোমার প্রথম বই প্রকাশের পর আমার ব্লগপোস্টে তোমাকে নিয়ে কিছু কথা লিখেছিলাম। তোমাকে নিয়ে এখন বলতে গেলে হয়তো সেই একই কথাগুলোই বলা হত। তাই তোমার পোস্টের মত "পুরানো সেই দিনের কথা"ই কপি-পেস্ট দিলাম এখানে:
"তানিমের সাথে আমার ব্লগে পরিচয় অনেক আগে থেকেই। যখন তেমন কেউই আমার ব্লগে আসত না, তানিম তখনও নিয়মিত আসত, যোগাযোগ রাখত। তো বন্ধুর মতই আমরা একজন আরেকজনের ব্লগে সবসময়েই একটু হলেও খোঁচা দিয়ে কথা বলি। কবিতায় একটু হলেও খুঁত বের করে সেটা কমেন্টে লিখি ! এতদিনের ট্র্যাডিশন ভাঙা ঠিক না। তাই তানিমকে খোঁচা দিয়েই শুরু করি !
তানিম, তোমার বইয়ে ১৩ নম্বর পৃষ্ঠায় শেষ লাইনে যা বলেছ (শুধু শেষ লাইন'টা) - আমার মনে হয় ওভাবে না লিখলেও পারতে। ওটা ব্লগে লিখলে কিছু বলতাম না, কিন্তু এখন এটা বই, অনেক নতুন পাঠক যারা কখনও ব্লগে যাননি - তারাও এটা পড়বেন ! তাঁদের মজা'টা নিজেকেই খুঁজে পেতে দাও? যারা তোমার পুরানো পাঠক, তারা মজা'টা ঠিকই পাবে - তুমি না বললেও। যারা নতুন, তারা বরং এক্ষেত্রে খানিক ভুরু কুঁচকাবে, "কই মজা পেলাম নাকি? কেমনে কি?" রবি'ঠাকুর থাকলে এক লাইনে বলতেন, "যাহারা জানেন তাহাদের জন্য ইহা প্রকাশ করা বাহুল্য, আর যাহারা জানেন না, উহাদের নিকট প্রকাশ না করাই শ্রেয়"
কী এমন লেখা আছে ঐ লাইনে? পাঠক, জানতে হলে আপনাকে তানিমের বই'টা হাতে নিতে হবে !
কবি হিসেবে, তানিমকে যতটা দেখেছি, সে কবিতা অন্তপ্রাণ। তার সুখ-দুঃখ-রাগ-আনন্দ সব'টা কবিতাকে নিয়েই। এই ছেলে জানে না, সে কবিতা'কে বিয়ে করে ফেলেছে ! আমি যখন দেখি তানিম কারও ওপর রেগে আছে, নিশ্চিত থাকি এর পেছনে কবিতা জড়িত। আবার সে যখন খুব আনন্দিত, তখনও সেটা কবিতার জন্যেই।
তানিম খুব মনোযোগী লেখক। আমার মত 'একটানে যা হয় একটা কিছু' লিখেই সে কাজ শেষ মনে করে না। সে পরিশ্রমী, আর পর্যাপ্ত ঘষা-মাজা করার ধৈর্য-শ্রম তার আছে। কবিতাকে সে সুন্দরতম করতে পারে।
তার ঘরে কবিতা আসবে না কেন?"
১৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:২৪
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: এই পোস্টে বেশিরভাগ জিনিস যেহেতু তোমা সংশ্লিষ্ট সেহেতু এখানে তোমারই অর্ঘে উত্তর দেই। মনে আছে কিনা তোমার তুমি কিংবদন্তী অনুবাদ করেছিলে। তুমি ইংরেজিতে কত দক্ষ এটা তার প্রমাণ।
আচ্ছা, যাই হোক।
যা নিষেধ করা হল সেটা না করলেই নয়, তাই না? কমেন্ট না করেই দেখতে চলে এলেন, উফফ...
আচ্ছা যা বলতে চাইলাম, একটু ভারিক্কী চালেই বলা শুরু করি:
রবীন্দ্রনাথ বলে গিয়েছিলেন, "সঙ্কোচের বিহ্বলতা নিজেরই অপমান !" পঁচিশ বছরের পূর্ণদৈর্ঘ্য জীবনের অভিজ্ঞতায় ধারণা করি, ঘটনা সত্য। তাই নিঃসঙ্কোচে নিচের স্বীকারোক্তি -
হঠাৎ কবিতা অনুবাদের ঝোঁক চাপল সামু ব্লগে আমার সবচেয়ে কাছের ব্লগার তানিমের পোস্টটা দেখে ! একজন কবি তার একটা চমৎকার কবিতা অনুবাদ করেছেন ইংরেজীতে। প্রথম ধাক্কায় ভাল লাগলেও একটু বাদে হিংসায় জ্বলে-পুড়ে মরতে ইচ্ছা হল, তবে উপায় ছিল না ! আমার কবিতায় পাঠকই পাইনা, তাও আবার অনুবাদক ! তো যাই হোক, বয়েল-চার্লসের সূত্র ইত্যাদি পড়েছিলাম বলে জানা ছিল, অনর্থক তাপমাত্রা বাড়তে দিলে মাথার উপর চাপ বাড়বে, তাই আপাতত ব্যাপারটা ভুলে গিয়ে নিশ্চিন্ত হতে চেষ্টা নিলাম। ঠিক তৎক্ষণাৎ আমার মাথায় একটা ভীষণ অনুপ্রেরণা নাযিল হল !
কেন না আমি নিজেই এর অনুবাদ করে বসি? বিজ্ঞানের ছাত্র হলেও, ওয়র্ডসওয়র্থ, ফ্রস্ট বা জন কীটস তো আমি নিজেও কিছুমাত্র কম পড়িনি ! তাই এই কর্মটা ক্ষণিকের ঝোঁকে করা ! যেহেতু কোনও সাহিত্যের রেগুলেটরি কমিটি'র সামনে পড়ার সম্ভাবনা নাই, তাই অনুবাদের গুণগত মান নিয়ে বিশেষ চিন্তায় গেলাম না।
স্বাধীনভাবে ব্লগে একান্ত নিজের একটা অ্যাকাউন্ট পেয়েছি, তাও আবার 'সেফ' তকমা লাগানো ! যা ইচ্ছে তাই করার এই অভাবিত অধিকার হাতছাড়া করার কি কোনও কারণ আছে? (মাঝে মাঝে মনে হয় এসব অনর্থ কেন করি? এই চিন্তা প্রবল হলেই ব্লগ ছেড়ে ডুব দিই)
তো, এত সব কথা-কাহিনী'র পর কবিতা'র বাংলা-ইংরেজী দু'টো ভার্সনই নিশ্চিত বেমালুম মাথা থেকে আউট হয়ে গেছে ! এইজন্যই বলেছিলাম, আগে কমেন্ট করে আসতে !
আচ্ছা, যাই হোক।
দিন তিনেক আগে পোস্ট করা কবিতা'টার ইংরেজী ভার্সন (বাংলা'টাও সংযুক্ত)
And they'll make stories about us
Most of them won't get it at all !
There'll be some who'll get it wrong -
But all admit - it's all our fault !
They may write books on us too !
Who'll buy that? - the story's known !
And publishers can not but curse -
Toward us all the curses be drawn.
There will be big statue of us
Where they pass by - on the street
They all pretend they sure not see
Though all know every inch of it !
The wall - on which we wrote our name
Is long gone, as the time gone by
And 'tis too our fault - people agree
Fact that neither the gossipers deny
Alas ! The earth has another vibe!
'course its us - to be found guilty;
'cause even God hateth you and I
In holy land, who else can it be?
The teen girl's getting out of control !
The boy who dared, is still standing tall?
"Why wouldn't they?'', the angry parents say
Who's really guilty, they know after all.
And there's the traffic - 'tis all our fault
The food's overcooked - our fault at all
The drainage is gone - of course its us
Its us even when the Governments fall !
If some day, you can't take it more,
Run to the statue over the street
Punch so hard that the stone gets bleed
Hurt yourself? - hmm, that's how we treat !
বাংলা'য়:
কিংবদন্তী
ওরা আমাদের নিয়ে মস্ত গল্প বানাবে
কেউ বুঝবে না সেই গল্পের মানে,
কেউ বা আবার পুরোটাই ভুল বুঝবে
আমাদের ওরা দোষ দিতে শুধু জানে !
সেই গল্পের বই-ও বেরোবে হয়তো
কেউ কিনবে না - গল্প সবার জানা
নিরুপায় হয়ে পাবলিশার'রা রেগে
আমাদেরই নামে অভিশাপ দেবে টানা !
আমাদের বড় ভাস্কর্যও থাকবে
চৌরাস্তায়। প্রতিদিন যেতে আবার
ভাণ করবে ওরা - 'কেউ দেখছে না'
প্রতিটি ইঞ্চি মুখস্ত তবু সবার !
তোমার আমার নাম লেখা যে দেয়ালে
সেই কবে তার আস্তর গেছে খসে -
তাও যে শুধু আমাদেরই দোষে - মেনে নেয়
আড্ডাবাজেরা চা-য়ের ক্যাফেতে বসে।
হঠাৎ প্রবল ভূমিকম্পটা হলে
আলবৎ দোষ আমাদের, আর কার?
পূণ্যভুমিতে তুমি আর আমি ছাড়া
কার প্রতি আর আক্রোশ বিধাতার?
জেদী মেয়েটাকে সামলানো যাচ্ছে না !
অসভ্য ছোঁড়া এখনও দাঁড়িয়ে ওখানে?
'ওদের কী দোষ?' - গজগজ করে বাপ-মা
দোষটা যে কার সব্বাইতো তা জানে !
চৌরাস্তায় জ্যাম - আমাদেরই দোষে
নুডুলসটা পুড়ে গেল - আমাদেরই দোষে
জলাবদ্ধতা - সব আমাদের দোষ
সরকার অচল - তাও আমাদের দোষে !
কখনও যদি রাগটা চরমে পৌঁছে,
রাস্তার মোড়ে মূর্তির কাছে গিয়ে -
জোরসে ঘুষিতে দিয়ো মোর নাক খসে
হাতে ব্যথা পাও? - হুম, আমাদেরই দোষে...
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:০৭
বিজন রয় বলেছেন: অভিনন্দন ও শুভকামনা।
আমরা নতুন, আপনাদের মতো গুণী ব্লগারদের পেলে ভাল লাগে।
থাকুন নিয়মিত।