নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমাকে খুঁজে পেতে এখানে যেতে পারেন- https://www.facebook.com/rezwan.tanim?fref=ts

রেজওয়ান তানিম

প্রকাশিত গ্রন্থঃ অসুখগুলো প্রাপ্তবয়স্ক, শাদা পরচুল অন্ধকার, মৌনমুখর বেলায়, শাহবাগের সাথে সংহতি

রেজওয়ান তানিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংখ্যালঘুর কোন দেশ নেই ।। রেজওয়ান তানিম

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৬

উষর জলপাই ক্ষেতে হাঁটতে হাঁটতে
তিনি আশার আবাদ করেন, ভাবেন, ওদের শিকড় প্রোথিত হবে
জীবন্ত হবে আরও একবার, যেমন তারা ছিল
একদিন তাদের পূর্বপুরুষদের মতোই ফলবতী।

ফিলিস্তিনের গভীর কালো মাটির গন্ধ যেন
তরল সাদা পনির মাখানো আধপোড়া পিটা রুটি।
----------------------------------- জলপাই ।। ফারাহা সারাফা

প্রায় বছর পাঁচেক আগে আমি অনুবাদ করেছিলাম ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত মার্কিন কবি ফারাহ সারাফার জলপাই কবিতাটি। কবিতাটিতে তিনি তার পিতামহের আশা হিসেবে দেখিয়েছেন যে আবার একদিন নতুন করে ফলবতী হবে জলপাই গাছ, আবারো ফিলিস্তিনের মাটি ফুলে ফসলে ভরে উঠবে। কিন্তু না, নিজের দেশের সংখ্যালঘু হয়ে পড়া ফিলিস্তিনে আর কখনো আসবে না নতুন জলপাই দিন। কেননা যে কোন কারণেই হোক সংখ্যালঘুর কোন দেশ নেই, সংখ্যালঘুর কোন সরকার নেই, সংখ্যালঘুর কোন অধিকার নেই। চেচনিয়া থেকে উইঘুর, কসোভো থেকে বসনিয়া, আমাজনের রেইন ফরেস্ট থেকে অস্ট্রেলিয়ান এবোরেজিনস, কানাডা আমেরিকার রেড ইন্ডিয়ান থেকে শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকা এশিয়রা-- পৃথিবীর হেন কোন দেশ নেই যেখানে সংখ্যালঘু নির্যাতন নেই। মানবতা বলে কোন শব্দ আসলে সভ্যতার জানা নেই, কেননা মানবতার মৃত্যুই প্রতিদিন বারবার ঘটতে থাকে। এটাই যেন সভ্যতা। জোর যার মুল্লুক তার, এই বিশ্বাস মানুষের হাজার বছরের। রক্ত ও আগুনের খেলাই হচ্ছে মানবতার অন্য নাম।



মানবসভ্যতার ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে শাসনব্যবস্থা সব সময়েই ছিল নিষ্ঠুর। এই নিষ্ঠুরতার মূল কারণ উৎপাদনের সংকট। যারা বেশী উৎপাদন করত তারা অপরাপর যাযাবরদের দ্বারা সব সময় আক্রান্ত হত। হাজার বছর ধরে বাংলা পরাধীন থাকা বিদেশীদের দ্বারা শাসিত হবার এই মূল কারণ। মঙ্গল, আরব, জাপানিজ এই জাতীয় যাযাবর গোষ্ঠীরা বিশ্বে উৎপাদনশীল এলাকায় আক্রমণ করত এবং লুট করে নিত খাদ্য থেকে অস্ত্র, পোশাক থেকে নারী সবকিছু। উৎপাদনের সমস্যা মিটে যাবার পরেই সামনে চলে আসে ধর্ম আর জাতিভেদ। এই ভেদাভেদ আর ধর্মগত হিংসা এমনকি একই ধর্মের বিভিন্ন গোত্রে ও সম্প্রদায়ে হয়ে আসছে। আর যদি তা হয় অন্য ধর্ম ও ভিন্ন জাতিসত্তার তবে তো কথাই নেই। আজকের দিনে ঝড়, বন্যা, নদী ভাঙন, সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি ইত্যাকার নানা সমস্যায় জর্জরিত বাংলাদেশের সামনে সবচেয়ে বড় সমস্যার নাম সম্ভবত রোহিংগা সমস্যা। রোহিঙ্গা কারা এবং তারা আদৌ বার্মিজ কিনা এই নিয়েই প্রোপ্যাগান্ডা চালাচ্ছে বার্মিজ মিলিটারি সমর্থিত অং সান সু চি সরকার। রোহিংগা সমস্যার মুলে যেতে হলে আমাদের জানতে হবে রোহিংগা কারা এবং তাদের উপর বার্মিজ মিলিটারি ও সরকারের ক্ষোভের কি কারণ।

মায়ানমারের রাখাইন বা আরাকান রাজ্যের জনগণ দীর্ঘকাল যাবৎ বসবাস করছেন ওই অঞ্চলে। এই এলাকার মোট ভূমির পরিমাণ প্রায় ২২ হাজার বর্গমাইল (বাংলাদেশের তিন ভাগের একভাগ)। উইকিপিডিয়া থেকে এখানে উদ্ধৃতি দিচ্ছি,

"বর্তমান মিয়ানমারের "রোসাং" এর অপভ্রংশ "রোহাং" (আরাকানের মধ্যযুগীয় নাম) এলাকায় এ জনগোষ্ঠীর বসবাস। আরাকানের প্রাচীন নাম রূহ্ম জনপদ। ইতিহাস ও ভূগোল বলছে, রাখাইন প্রদেশে পূর্ব ভারত হতে প্রায় খৃষ্টপূর্ব ১৫০০ বছর পূর্বে অষ্ট্রিক জাতির একটি শাখা "কুরুখ" (Kurukh) নৃগোষ্ঠী প্রথম বসতি স্থাপন করে, ক্রমান্বয়ে বাঙালি হিন্দু (পরবর্তীকালে ধর্মান্তরিত মুসলিম), পার্সিয়ান, তুর্কি, মোগল, আরবীয় ও পাঠানরা বঙ্গোপসাগরের উপকূল বরাবর বসতি স্থাপন করেছে। এ সকল নৃগোষ্ঠীর শংকরজাত জনগোষ্ঠী হলো এই রোহিঙ্গা। বস্তুত রোহিঙ্গারা কথ্য ভাষায় চট্টগ্রামের স্থানীয় উচ্চারণের প্রভাব রয়েছে। উর্দু, হিন্দি, আরবি শব্দও রয়েছে। পক্ষান্তরে ১০৪৪ খ্রিষ্টাব্দে আরাকান রাজ্য দখলদার কট্টর বৌদ্ধ বর্মী রাজা "আনাওহতা" (Anawahta) মগদের বার্মা থেকে দক্ষিণাঞ্চলে রোহিংগাদের বিতাড়িত করে বৌদ্ধ বসতি স্থাপন করান। রাখাইনে দুটি সম্প্রদায়ের বসবাস দক্ষিণে বামার বংশোদ্ভূত ‘মগ’ ও উত্তরে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ‘রোহিঙ্গা’। মগরা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। মগের মুল্লুক কথাটি বাংলাদেশে পরিচিত। দস্যুবৃত্তির কারণেই এমন নাম হয়েছে ‘মগ’দের। এক সময় তাদের দৌরাত্ম্য ঢাকা পর্যন্ত পৌঁছেছিল। মোগলরা তাদের তাড়া করে জঙ্গলে ফেরত পাঠায়।''

রাখাইন শব্দটি এসেছে পালী শব্দ রাক্ষাপুরা থেকে, যার সংস্কৃত প্রতিশব্দ হলো রাক্ষসপুরা। অর্থাৎ রাক্ষসদের আবাসভূমি। প্রাচীন হিন্দু ধর্মীয় শাস্ত্রাদিতে অস্ট্রিক (অষ্ট্রোলয়েড) মহাজাতিকে রাক্ষস জাতি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়াছিল। মজার ব্যাপার হলো- মগ জাতির কিন্তু অষ্ট্রোলয়েড মহাজাতির সাথে কোন সম্পরক নেই, তারা মঙ্গোলয়েড মহাজাতি অন্তর্ভুক্ত জাতি। ইতিহাস এটা জানায় যে, ১৪৩০ থেকে ১৭৮৪ সাল পর্যন্ত ২২ হাজার বর্গমাইল আয়তনের রোহাঙ্গা স্বাধীন রাজ্য ছিল। মিয়ানমারের রাজা বোদাওফায়া এ রাজ্য দখল করার পর চরম বৌদ্ধ আধিপত্য শুরু হয়।''

তাহলে দেখা যাচ্ছে তারা মোটেও ভারতবর্ষ কিংবা বাংলাদেশ থেকে গিয়ে ভুঁইফোঁড় গজিয়ে ওঠা জাতি নয়। তারা সেখানে ছিল হাজার বছর। এই হাজার বছরের ইতিহাস যদি বাদও দেই সাম্প্রতিক সময়ে অর্থাৎ ব্রিটিশরাজ ভারতীয় উপমহাদেশ ছেড়ে চলে যাবার সময়েও রোহিংগারা কিন্তু ব্রাত্য ছিলেন না সমাজের কাছে। রোহিঙ্গা নেতারা একসময় বার্মার সক্রিয় রাজনীতি করত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অং সানের নেতৃত্বে জাপানীদের পক্ষে এবং স্থানীয় নেতাদের নেতৃত্বে ব্রিটিশদের পক্ষে যুদ্ধও করেছে রোহিঙ্গারা। কাফি কামালের লেখা প্রবন্ধ 'রোহিঙ্গা ইস্যুতে মানবিক, সচেতন ও সোচ্চার হোন' থেকে কিছু অংশ উদ্ধৃত করছি--

"প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে অনেক রোহিঙ্গা নেতাই প্রতিনিধিত্ব করেছেন মিয়ানমারের পার্লামেন্টে। দেশটির ইতিহাসে প্রথম প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত দুই নারীর একজন ছিলেন রোহিঙ্গা জোরা বেগম। রোহিঙ্গা নেতা এবং দেশটির সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুলতান আহমদের ছেলে কো নি সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও মানবাধিকার কর্মীর পাশাপাশি সূ চি’র উপদেষ্টা ছিলেন। যাকে চলতি বছরের ২৯শে জানুয়ারি ইন্দোনেশিয়া থেকে ফেরার পথে রেঙ্গুন বিমানবন্দরে হত্যা করে মিয়ানমারের একজন উগ্র জাতীয়তাবাদী। সূ চি‘র পক্ষে ভূমিকা রাখায় সামরিক সরকার একজন রোহিঙ্গা এমপি শামসুল আনোয়ার হককে সামরিক সরকার ৪৭ বছর এবং তার স্ত্রী-কন্যা ও ছেলেকে ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে। ইউ নো প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একজন রোহিঙ্গা এমপি গাফ্ফার ছিলেন দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পার্লামেন্টারী সেক্রেটারি। আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে প্রশ্ন রাখুন, রোহিঙ্গারা সেদেশের নাগরিক না হলে তারা কিভাবে সেখানে রাজনীতি করেছে, নির্বাচন করেছে, নির্বাচিত হয়েছে এবং স্থানীয় প্রশাসন পরিচালনা ও সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছে। অতএব, রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে মিয়ানমারের দাবি অযৌক্তিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।"

আমরা সকলেই দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে দেখছি রোহিংগাদের উপর মায়ানমারের সামরিক বাহিনীর অত্যাচার, গ্রামকে গ্রাম জ্বালিয়ে দিচ্ছে তারা, তারা বলে ওরা বাংলাদেশী, অথচ আমরা সকলেই জানি ওরা বার্মিজ। এই জাতিগত সমস্যাকে আজকাল বহু মানুষ ধর্ম দিয়ে বিচার করেন। অথচ তারা ভুলে যাচ্ছেন এই মগ দস্যুরা ইতিহাসে কুখ্যাত এমনি এমনি না। আজকাল খবরে পাওয়া যাচ্ছে তারা হিন্দু রোহিংগাদেরও ছাড় দিচ্ছে না। এর আগে তারা মধ্যযুগে শ্যামদেশ (থাইল্যান্ড) আক্রমণ করে শত শত বৌদ্ধমূর্তির মাথা গুড়িয়ে দিয়েছে। তাই ওদের হিংস্রতা শুধু ধর্ম-বিদ্বেষ থেকে বলা একান্তই ভুল বিচার। অনেকেই ধর্ম দিয়ে সংখ্যালঘু বিচার করতে করতে রোহিঙ্গা সমস্যাকে ভুল ব্যাখ্যা করছেন। ধর্ম এক হলেও আপনি যদি জাতিগত ভাবে সংখ্যালঘু হন তবে নির্যাতিত হবেন, উদাহরণ তামিল ও শ্রীলঙ্কান। এরকম হাজারো ঘটনা আছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ন্যক্কারজনক ভাবে রোহিঙ্গাদের বাঙালি বলে নিধনের যে যজ্ঞ প্রায় প্রতি বছরেই চালাচ্ছে সে সমস্যাকে বুঝতে হলে এর মূলে যেতে হবে।
বাঙালি কিংবা বাংলাদেশীদের ফেসবুকীয় বিপ্লবে আর প্রতিবাদে কিছু আসবে যাবে না মায়ানমারের সামরিক জান্তাদের। সুচি এখন ক্ষমতায় কিন্তু সে মাথা বর্গা দিয়ে এসেছে আর্মির কাছে, তার কাছে এর সুরাহা চাওয়া আর শেয়ালের কাছে মুরগি বর্গা এককথা। বিশ্বের সবচেয়ে বেশী রহস্যঘেরা ও নিজেদের আড়াল করে রাখা দেশগুলোর একটি বার্মা বা মায়ানমার। এ দেশে সামরিক শাসন চলছে প্রায় দীর্ঘ ষাট বছর। বহুকাল ধরে আর্মি সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধদের নির্যাতন করেছে। এখন তারা আরাকান থেকে সমস্ত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পাঠানোর চেষ্টা করছে। এখন আমরা বাংলাদেশ কি করতে পারি?

একটা জনসংখ্যার আধিক্যে জর্জরিত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ তার সামর্থ্যের চেয়ে বেশী করছে। এদেশে প্রায় আট লাখের উপরে রোহিঙ্গা আছে, এছাড়াও প্রায় প্রতিদিনই হাজার হাজার লোক আসছে। জানা যায় এবারে প্রায় তিন লাখের উপরে লোক এসেছে বাংলাদেশে। স্বাধীনতার পর ১৯৭৮ সালে প্রথম তারা এদেশে আসতে শুরু করে বার্মিজ নির্যাতনের কারণে। ১৯৯২ সালেও প্রায় তিন লাখের উপরে রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসেন। এরা আর ফিরে যাননি। সেই থেকে এদেশে বসবাস করছেন। মানবিক বিবেচনা থেকে বাংলাদেশ সরকার সবসময়ই তাদের পাশে ছিল। এমনকি এবারেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্গত লোকদের সশরীরে গিয়ে দেখে এসেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হল এই শরণার্থী ক্যাম্প কতদিন চালাবার ক্ষমতা আমাদের আছে ? অনেকেই প্রবল আবেগে যুদ্ধংদেহী অবস্থান নিচ্ছেন, এমনকি কবি নির্মলেন্দু গুণও যুদ্ধে যেতে চান কিন্তু তারা ভুলে যাচ্ছেন এ যুদ্ধ শুরু হলে দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অস্তিত্ব নিয়েও টান পড়তে পারে। আন্তর্জাতিক স্বার্থের এই পৃথিবীতে বাংলাদেশের পাশে নেই চীন এবং ভারতের মত দুই দৈত্য। অতএব এ যুদ্ধ বাংলাদেশের একার। বাংলাদেশ এই মুহূর্তে যা পারে তার একটি হচ্ছে সব ধরণের বার্মিজ পণ্য বর্জন। সবার আগে ইয়াবা বর্জন হোক না, পরে না হয় যুদ্ধ করা যাবে।

বাংলাদেশ এক দেড় দশক আগেও উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় আসত না। স্বল্পকাল ধরে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় আসা এই দেশ এমনিতেই বিপুল জনসংখ্যা এবং দুর্যোগের ভারে ভারাক্রান্ত। এখন এই লাখ লাখ রোহিংগাকে মায়ানমার যাদের তাদের দেশের নাগরিক হিসেবে যথাযথ মর্যাদা দিয়ে ফিরিয়ে নেয় সেই ব্যবস্থা করা আমাদের কর্তব্য। বাংলাদেশ সরকার জার্মানি নয় এবং স্বল্প সামর্থ্যেও যা করেছে তা বিশ্বের অন্যত্র হলে এ নিয়ে তোলপাড় হয়ে যেত। এখন এই সমস্যা মোকাবেলার জন্য আমাদের সরকারের জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় বিচার দেয়া উচিত এবং এই ঢুকে যাওয়া বার্মিজ লোকেদের পুনর্বাসনে আন্তর্জাতিক তহবিল থেকে অর্থ খালাস করার দাবি তোলা উচিত। অনন্তকাল ধরে বাংলাদেশ এভাবে অনির্দিষ্ট পরিমাণ নতুন লোকের চাপ নিতে পারে না। সে সামর্থ্য আমাদের নেই। কিন্তু সাময়িক আশ্রয় দেয়ার যেমন মানবিক দায় তেমনি বিশ্বেরও আমাদের সাহায্য করা উচিত। বাংলাদেশ সরকারের আশু পদক্ষেপ নেয়া উচিত। আশা করব বাংলাদেশ সরকার এই আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে সফল হবে। আর মায়ানমারকেও বুঝতে হবে, বোঝাতে হবে রাষ্ট্রকে হতে হয় ইনক্লুসিভ। ভিন্ন মতের দমন করে, প্রপাগ্যান্ডা চালিয়ে, সংখ্যালঘুকে হত্যা করে 'এথনিক ক্লিনজিং' করে পৃথিবীতে কখনো কোন রাষ্ট্রের অভীষ্ট উন্নতি সম্ভব হয়নি। আমরা জানি পৃথিবীর কোথাও সংখ্যালঘুর কোন দেশ নেই, রোহিঙ্গারা আজন্ম সংখ্যালঘু কিন্তু দিনশেষে এই সত্য, তারাও মানুষ!

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪১

জুন বলেছেন: সংখ্যালঘুর কোন দেশ নেই, সংখ্যালঘুর কোন সরকার নেই, সংখ্যালঘুর কোন অধিকার নেই। চেচনিয়া থেকে উইঘুর, কসোভো থেকে বসনিয়া, আমাজনের রেইন ফরেস্ট থেকে অস্ট্রেলিয়ান এবোরেজিনস, কানাডা আমেরিকার রেড ইন্ডিয়ান থেকে শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকা এশিয়রা-- পৃথিবীর হেন কোন দেশ নেই যেখানে সংখ্যালঘু নির্যাতন নেই।
তানিম এটাই চুড়ান্ত সত্য ।
+

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪১

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: সেটাই, পৃথিবীর এমন কোন জায়গা নেই যেখানে ধনী দরিদ্রকে, শক্তিশালী শক্তিহীনকে শোষণ না করে।

২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: রেজওয়ান তানিম ,




চমৎকার তথ্য সমৃদ্ধ একটি লেখা যা আবার মানবীয় আবেগে ভরপুর । শুরুর কবিতাটিই তার প্রমান -----
একদিন নতুন করে ফলবতী হবে জলপাই গাছ, আবারো ফিলিস্তিনের মাটি ফুলে ফসলে ভরে উঠবে। কিন্তু না, নিজের দেশের সংখ্যালঘু হয়ে পড়া ফিলিস্তিনে আর কখনো আসবে না নতুন জলপাই দিন। কেননা যে কোন কারণেই হোক সংখ্যালঘুর কোন দেশ নেই, সংখ্যালঘুর কোন সরকার নেই, সংখ্যালঘুর কোন অধিকার নেই.......................

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৩

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমাদের সকলেরই মন খারাপ। কিন্তু তার জন্যে বিবেকবর্জিত হয়ে উল্টা পাল্টা ভাবলে মুশকিল।

যা অনেকেই বুঝতে চাইছেন না

ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সংখ্যালঘু শব্দার মধ্যে মিশে আছে বৈষম্য, বঞ্চনা ....... :(

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৪

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: একদম তাই। সংখ্যালঘু মানেই বঞ্চিত।

৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫২

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: নিগৃহীত মানবতার এই জায়গায় এসে আমরা স্তব্ধ হয়ে যাই।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৭

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: আর দেখি পুনঃ পুনঃ নির্যাতন, এইসব অসভ্যতা।

৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৭

কালীদাস বলেছেন: থার্ড ওয়াল্ডের দেশগুলোকে গরীব দেশ না বলে ভদ্রতার জন্য উন্নয়নশীল বলা হয়। জিডিপি আগের চেয়ে বাড়ায় পলিটিকালি এখন বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশ বলে ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে। বাস্তবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমাদের ফরেন পলিসি কতটা নাজুক সেটা কঠিনভাবে প্রকাশ পেয়ে গেছে। আমাদের সোকলড বন্ধু দেশগুলো টু সাউন্ডও করেনি আমাদের বর্ডার ক্রাইসিসে।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৩

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: বাংলাদেশের ফরেন পলিসি বিশ্বের অনেক দরিদ্র দেশগুলোর চেয়েও অনেক দুর্বল। আমার তো মনে হয় সঠিকভাবে বারগেইন করা এদেশের আমলারা জানেন না।

যাই হোক, অনেক দিন পর আপনাকে দেখলাম। ভাল লাগল।

৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩২

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: সংখ্যালঘুদের দেশ আছে কিন্তু ঈশ্বর নেই

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৮

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ঈশ্বর নির্বিকার, তিনি কিছু বলেন না, করেন না

৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



পৃথিবী এই আধুনিক যুগেও প্রাগৈতিহাসিক কালকে তুলে ধরছে। ডায়নাসোরেরা এখন কিছু দুর্বৃত্তের কলবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে!

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৯

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: মানুষ ডাইনোসর এর চেয়েও বিপদজনক

৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪০

জুন বলেছেন: বইটা/ম্যাগাজিন হাতে আসেন তানিম :(
আসার অপেক্ষায় :)

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:২১

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: এখনো যায়নি কেন বুঝতে পারছি না। আমি ওদের বলে দেব। পেয়ে যাবেন কোন একদিন

৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৫

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আপনি আমার ব্লগে না গেলে আপনার এই লেখাটি আমার পড়াই হতো না | খুবই তথ্যপূর্ণ লেখা |এতো কম লিখেন কেন ? ব্যক্তিগত ব্যস্ততা ? এই রকম সমসাময়িক বিষয়গুলো নিয়ে লিখুন প্লীজ | ব্লগে এধরণের লেখা কম মনে হয় আমার | রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে অনেক নতুন ব্যাপার জানলাম | ভালো লাগলো আপনার লেখা |অনেক ধন্যবাদ নেবেন |

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:২৪

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ব্লগের স্বর্ণযুগে অনেক ভাল ভাল সাংবাদিক ছিলেন যারা কিনা এমন লেখা লিখতেন এইসব নিয়ে যা অনেকক্ষেত্রে বড় বড় পত্রিকার চেয়েও ভাল ছিল। এই ধরণের লেখা আমার কাজ নয়। এই ব্লগে এক সময় প্রচুর সময় দিয়েছি সেই দিন ও ফুরিয়েছে বলে আমার মাঝে মাঝে মন খারাপ হয়, কষ্টও লাগে। কিন্তু বাস্তবতাকে মেনে নিতেই হয়। এই ব্লগে দেড়শ লেখা আছে আমার।

সময় করে দেখবেন, আমার মনে হয় খারাপ লাগবে না। পাঠের জন্য কৃতজ্ঞতা...

১০| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০০

জুন বলেছেন: :( :(

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:৫৩

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: সুখবর সুখবর :)

১১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৮

বিজন রয় বলেছেন: বিদায় ২০১৭, স্বাগতম ২০১৮,......... নতুনের শুভেচ্ছা রইল।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৪

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ধন্যবাদ ও ভালোবাসা।

বহুদিন আসিনি ব্লগে। দেরি হল বলে ক্ষমাপ্রার্থী।

১২| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ রাত ১২:১২

মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: কেমন আছেন?

মানবিক আবেগ আর তথ্যের মিশেলে অনন্য পোস্ট।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: এইত ভাই, অনেক ভাল আছি।

ব্লগে আসলে ইদানীং তত আসা হয় না বলে উত্তর দিতে দেরি হয়ে গেল।

ভাল থাকা হোক, শুভকামনা...

১৩| ২৯ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:১১

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: ভাই কই হারালেন, আজকাল আর দেখিনা।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ব্লগে তো তেমন লিখিনা আজকাল ভাই।

ধন্যবাদ পাঠের জন্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.